পৃথিবীতে একটা বই নিয়ে অসংখ্য বই লেখা হয়েছে। একটা বই মানবজাতিকে আমূল বদলে দিয়েছে এমন নজির আর নেই।
আনপড় একটা জাতিকে একটা বই পড়াশোনাতে ডুবিয়ে দিয়েছে, এমন ঘটনা পৃথিবীতে আর ঘটেনি। পৃথিবীর লাখ লাখ লোক একটা বই আগা-গোড়া মুখস্থ করে রেখেছে-এমন বই একটাই।
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন অডিওবুক সেটি-মানুষ শুধু পড়ে না, শোনেও।
বইটি দাবি করে সেটি এই পৃথিবীর না। বইটি দাবি করে সে ভুলের উর্ধ্বে। বইটি দাবি করে তার প্রাণ আছে, সে প্রাণ দেয়, আলো দেয়, অন্ধকার সরায়, সত্য আর মিথ্যাকে আলাদা করে দেয়।
ওমর আল জাবির. He is the Head of Engineering & Design for Retail CRM Delivery Unit in BT, living in London, UK.
He did his diploma on Islamic Studies from Islamic Online University. He learnt Arabic and Quran Tafsir from Aziz Muhammad of Egypt's Al-Azhar University.
He was born in Dhaka, Bangladesh. He holds a B.Sc in Computer Science and doing his M.Sc in Software Engineering at Oxford.
একটা কথা এখনকার দিনে অনেক বড় সত্য যা হল কুর'আন পড়ার প্রতি আমাদের অনাগ্রহ। আর পড়লেও বেশীক্ষণ পড়ার ধৈর্য আমাদের থাকে না। আর না বুঝে পড়ার কারণে আমরা এর থেকে কোনো শিক্ষা নিতে পারছি না, আর কেউ ভুল ব্যাখা করছে নাকি এটাও আমরা বুঝতে পারছি না।
“পড়ো” বইটি পড়ার পর কুর'আন বুঝে পড়ার গুরুত্ব আরো বেশী করে বুঝা যাবে। বিশেষ করে আরবি শিখে কুর'আন পড়া কেন জরুরি তা অনুধাবন করা সম্ভব। এই বইটি ছোট একটি বই, যেখানে সুরা ফাতিহা আর সুরা বাকারাহ এর কিছু আয়াত নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আয়াত গুলোর সামাজিক, রাজনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপট ব্যাখা করা হয়েছে।
একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রুপান্তর করলে পরিপূর্ণ ভাবে অর্থটি প্রকাশ করা যায় না। আর তাছাড়া মাঝে মাঝে একদম সঠিক অর্থ প্রকাশ করার মত কোনো শব্দও খুজে পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা শব্দটির গভীরতাটাও বুঝি না। এমনও হয় যে অনুবাদ এর ক্ষেত্রে সঠিক শব্দ না পেয়ে এমন শব্দ ব্যবহার করে ফেলা হয় যেটার কারণে পুরো অর্থটাই পালটে যায়।
বইটির একটি সুন্দর দিক হচ্ছে বাস্তবধমী উদাহরণ এর ব্যবহার। কিভাবে আমরা কুর'আন ভুলভাবে ব্যাখা করে নিজেদের সুবিধামত করে কাজে লাগাচ্ছি তা উদাহরণ এর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমাদের নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং আংশিক মেনে চলা যা আমাদের মানতে সহজ লাগে আর ওই সব বিষয় ছেড়ে দেয়া যা মানলে মানুশ কি বলবে তা নিয়ে ভাবতে থাকার কারণে আমরা আজ সব দিকে লাঞ্চিত।
বইটির এক দুইটি জায়গায় শব্দ চয়নটা বাদ দিলে খুব ভাল একটি বই যা একনিমেষে পড়ে ফেলার মত। বইটির একটি লাইন খুবি ভাল লাগলো তা হলঃ “যে মানুষটা নামাযে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহা পড়ার সময় বুকের ভিতর থেকে ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম (আমাদের সরল পথ প্রদান করুন), তাকে আল্লাহ সঠিক পথ না দেখিয়ে জাহান্নামের আগুনে পাঠাবেন-- এটা কখনো হতে পারে না।”
আলহামদুলিল্লাহ্, অনেক ভালো লেগেছে বইটা। পিডিএফ পড়তে শুরু করেছিলাম। ২০-২৫ পৃষ্ঠা পরে হার্ড কপি কিনে নিলাম। কারণ এমন একটি বই নিজ সংগ্রহে না থাকলেই নয়। পরবর্তী বইয়ের অপেক্ষায় রইলাম এবং ইনশাল্লাহ চেষ্টা করবো যা জেনেছি তার উপর আমল করার। বিশেষ করে সালাত কায়েম করার। জাযাকাল্লাহ
‘লোকে কী বলবে’ সেটা আমি ভয় পাই না বরং ‘আমার প্রভু রাগ করবেন’ সেটা আমি সবচেয়ে বেশি ভয় পাই
এই ভয়টাই আমাদের পাওয়া উচিৎ অথচ কার কোন অনুষ্ঠানে না গেলে কে কী ভাববে তা ভেবে কূল পাই না আমরা। এই বইটা আমার ক্ষেত্রে সেই ভয়টাই জাগাতে সাহায্য করেছে। লেখক কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের মাধ্যমে একটা জার্নির মতো করে আমাদের ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাগুলো শিখিয়ে দিয়েছেন।
সুরা ফাতিহা দিয়ে শুরু হওয়া প্রথম খন্ডের জার্নি শেষ হয় সুরা বাক্বারার এক অংশে। কিন্তু এই কয়েকটা আয়াতের মধ্যে যে আমাদের জন্য এত শিক্ষা নিহিত ছিল সেটা আমি এই বই না পড়লে আন্দাজও করতে পারতাম না। আল্লাহ্ কে আরও ভালোভাবে বুঝেছি বইটার বাস্তবধর্মী উদাহরণগুলোর মাধ্যমে। শুধু আশে পাশে চৌধুরী সাহেবরা নেই, নিজের ভিতরেও হয়তো দুই একটা পাওয়া যাবে।
শেষের দিকে কেয়ামতের দিনের আয়াতগুলো নিয়ে কথা বলেছেন লেখক। ওখানের প্রতিটা কথা তীরের মতো লিাগছিলো। কেয়ামতের দিন আমরা realize করবো যে যেই বন্ধুর বা আত্মীয়ের মন রক্ষার্থে আমরা আল্লাহ্ এর বিধানের বাইরে গিয়েছিলাম সেই ফ্রেন্ডকে খুশি করে বরং বিপদ অপদ কামিয়েছি আমরা। কেয়ামত এর প্রতি আমাদের ভয়টা কমে গেছে যে কারণে আমরা ইসলাম, হিজাব এসবকে এক ধরনের fashion হিসেবে নিচ্ছি এবং কোনোমতো এসবের পাঠ চুকিয়ে নিজেকে অনেক ধার্মিক ভাবছি, খিলাফা, শরীয়াহ্ এসব নিয়ে কথা বললে মানুষকে জঙ্গি tag দিচ্ছি। এভাবে যারা জীবনযাপন করছে, আল্লাহ্ কুরআনেই কাদের সতর্ক করেছেন কেয়ামতের কথা মনে করিয়ে দিয়ে। কেয়ামতের দিন কেউ কাউকে চিনবে না। সেদিন দুনিয়ার কোনো কিছু তখন তাদের কাজে আসবে না।
সত্যি কথা বলতে, peer pressure বা family এর কারণে এমন অনেক সামাজিক জিনিসে আমরা অংশগ্রহণ করি যেটা বি’দাত বা হারাম। সেখানে কিছু বলা অনেক কঠিন কিন্তু কঠিন জেনেও মানুষকে সতর্ক করার মধ্য়েও সওয়াব লিখিত আছে। আর যদি খুব বেশি কঠিন লাগে তখন নিজেকে বলবেন নবীজি আমার চেয়ে হাজারগুণ বেশি কষ্ট করে গেছেন, আমার কষ্ট নবীজির বা সাহাবীদের কষ্টের সামনে অত্যন্ত সহজ। আমি জানি একদিনে এটা হবে না, আর মানুষও আপনাকে বুঝবে না কিন্তু তাও আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
বইটা যে কত ভালো লেগেছে তা এই পর্যন্ত রিভিউ পড়ে বুঝেই গেছেন হয়তো। ২০২৫ এর শুরুটা সুন্দর।
This book is really awesome. It's like a Tafseer but it's not. It described some important facts and gave some important information with amazing stories and examples. Like the example of "Chowdhury Shaheb". Any way the book is really awesome. It tells us about how else should read the Quran to feel it and get 'Khushoo'. And how to avoid the waswas of Saytan and stay away from not to misunderstand the interpretation of the Qur'an in various languages. So I highly recommend this book to every Bengali Muslims.
পড়ো তোমার রবের নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। [সূরা আলাকঃ ১] লেখক প্রকাশক জানিয়েই দিয়েছেন এটা তাফসীর গ্রন্থ নয়। কুরআনের আয়াত নিয়ে চিন্তা ভাবনার খোরাক জোগানোর বই।
যারা তাফসীর পড়া শুরু করতে চান কিন্তু ভাবছেন কোথা থেকে শুরু করবো তাহলে পড়ো সিরিজ টা আপনার জন্য উত্তম সূচনা হবে বলে আমি মনে করি। কারণ বইটিতে অনেক তাফসির গ্রন্থের সাহায্য নেয়া হয়েছে কুরআনের আয়াত আলোচনায়। তাই আমি মনে করি এটি সবার আগে পড়া উচিত।
আমরা যারা পুরোপুরি মুমিন বান্দা না হলেও চেষ্টা করি ইসলাম মেনে চলার, তারা ইসলামের অনেক গুলো কমন বিষয় সমূহ জানি ও মানার চেষ্টা করি। কিন্তু কোথায় যেন একটু খটকা লেগেই থাকে। মনে হয় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের জন্য ইসলাম কে সহজ সরল জীবন বিধান বলে আখ্যায়িত করেছেন তারপরও এই সামান্য বিষয় গুলাকে কেন আরেকটু সহজ ভাবে নিলেন না। এই টা কেন এমন বানালেন, ওইটা কেন হল না, এটা করলে ভালো করতেন ইত্যাদি ইত্যাদি হাজারো প্রশ্ন। আমাদের মতো দুর্বল ঈমানের মানুষদের মাঝে ওই সব প্রশ্ন আশাটাও অনেকটা স্বাভাবিক, কারণ আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর ক্ষমতা, জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তার ক্লিয়ার ধারনা এখনো পাইনি তাই। তিনি যে কত মহান, তাঁর কথার যে কি মর্মার্থ তা খালি চোখে শুধুমাত্র কুরআনুল কারিম এর বাংলা আনুবাদ পড়ে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। গভীর ভাবে জানতে হলে জানতে হবে আরবি ভাষা, আরবি ভাষার গ্রামার, আরবি ভাষার গঠন ও ব্যবহার প্রণালি। ও আমার আল্লাহ, এতো কিছু শিখার আমার সময় কই ? আমি কি তাহলে কিছুই জানতে পারবোনা ? অন্য রাস্তা কি আছে আমার জন্য ? হ্যাঁ অবশ্যই অন্য রাস্তা আছে আপনার জন্য, যুগে যুগে সেই সময়ের শ্রেষ্ঠ আলেম রা আপনার বুঝার জন্য সহজ সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় রচনা করে গেছেন হাজারো বই। যেমন "ওমার আল জাবির" এর এই "পড়ো" বইটি। আমি হয়তো বইটির যথাযোগ্য রিভিউ লিখতে পারলাম না বা আমি এরকম একটা বইয়ের রিভিউ লেখার যোগ্যও না। তবে বিস্তারিত জানতে ও আপনার ঈমান কে আরও মজবুত করতে চাইলে অবশ্যই পড়ে দেখতে হবে এই বইটি। ধন্যবাদ।
কুরআনের ব্যখ্যা এত্ত সুন্দর করে দিয়েছে লেখক, মনে হচ্ছিলো এডভেঞ্চার এ আছি। ব্যখ্যা গুলা পরলে আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা চলে আসে। এটা তাফসির নয়, তাফসির বল্লেও ভুল হবে না। লেখকের উদাহরণ, কিছু কিঞ্চিৎ অংশ পরলে হাসি এসে পরে। খুব মজা পেয়েছি, শিক্ষা নেওয়াটা মুল।
পড়ো সিরিজের প্রথম বইটা পড়েই বাকি তিনটি বইও কিনেছিলাম। চারটি বই ই আলহামদুলিল্লাহ পড়েছি।এই বইগুলোর পড়ার মাধ্যমে যে কারোরই কুরআনের প্রতি একটা তীব্র ভালোবাসা তৈরি হবে বলে আমি মনে করি।
Most of the educational institutes, medias, books in todays world are based on secularism in my opinion. In such world most of us have become confused about religion. On the one hand media propaganda and on the other hand ignorance about Islam have made us more confused. This book has logically given these answers by using Qur'an and it's interpretation. Every educated muslim specially who use logic and science to understand Islam should read it.
🔷ইউটিউব ব্রাউজ করার সময় আরবি ভাষাশিক্ষা ক্লাসের ভিডিও সামনে পড়ে প্রায়সময়। দু'এক বার ক্লিক করেছিলাম। নিরস, কাঠখোট্টা মনে হয়েছে। কিন্তু, একটা জিনিষ অস্পষ্ট থাকায় বিষয়টাকে কাঠখোট্টা মনে হয়েছে। আর সেটা হচ্ছে 'Quranic Linguistic Miracle' বা কুরানিক ভাষার যে অনন্যতা, যে ভাষাগত মাধুর্যতা, সেটি সম্পর্কে আমি ছিলাম অজ্ঞ।
🔷কুরআন কি আধুনিক যুগের সাথে যায়? কিংবা এ থেকে আমাদের কি এমন আছে শিক্ষা নেয়ার? এমন প্রশ্ন 'আধুনিক শিক্ষায়' শিক্ষিতদের মনে ঘুরপাক খায়। আদৌ কি এই যুগের মাপকাঠিতে কুরআন গ্রহণীয়?
🔷আমরা অনেকেই শুনি যে, কুরআনের তাফসীর বা ব্যাখ্যাগ্রন্থ না পড়লে অস্পষ্টতা থেকে যায়। কারণ, কুরআন এসেছে আরবিতে, আর একমাত্র আরবিতেই এর সার বা নির্যাস গ্রহণ করা সম্ভব। যারা আরবিভাষী নন, কিংবা আরবি শেখায় অক্ষম, তাফসিরগ্রন্থ তাদের জন্য সহায়ক। কিন্তু, তাফসির গ্রন্থগুলো বেশ বড় হওয়ায়, একইসাথে সময়ের অভাবে আমাদের সেগুলো পড়া হয়ে উঠেনা। আবার, কেনাও হয়ে উঠেনা।
🔷'পড়ো' সিরিজের ১ নাম্বার বই এটি। আরবি ভাষার যে একটি মাধুর্যতা আছে, কুরানিক ভাষার মাধ্যমেই যে পূর্ণাঙ্গভাবে কুরআনকে বুঝা সম্ভব, তা অত্যন্ত সাবলীলভাবে লেখনীর মাধ্যমে তোলে ধরেছেন লেখক ওমর আল জাবির। প্রথম অধ্যায় সম্পূর্ণটাই সূরা আল ফাতিহার প্রতিটি আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়ে সাজানো হয়েছে। এরপর লেখক বিভিন্ন আয়াতকে একেকটি অধ্যায়ে ব্যাখ্যা করে তুলে ধরেছেন আয়াতের মধ্যকার অত্যন্ত ছোটোখাটো ব্যাকরণিক অবস্থানের মাধ্যমে কিভাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাঁর ভাষাশৈলির চূড়ান্ত সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন। যা কিনা তৎকালীন আরবদেরকে অবাক করে দিয়েছিলো। কারণ, তারা তখন ভাষাগত দিক দিয়ে ছিলো পৃথিবীতে সেরা। তাদের থেকেও সেরা ভাবধারায়, তাদেরই ভাষায় একটি আসমানি কিতাব নাযিল হয়েছে, এটি তারা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলো। কিন্তু শুধুমাত্র নিজেদের ঔদ্ধত্যতার দরুন কিছু আরব তা অবজ্ঞা করে গিয়েছে জীবনের শেষ অব্দি।
🔷আমার মতো নবীনদের জন্য দারুণ একটি স্টার্ট আপ হবে এই বই। আমরা যারা জেনারেল লাইনে থেকে কুরআনকে বুঝতে চাই, তাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী করে সাজানো হয়েছে বইটি।
🔴লেখক শুরুতেই লিখে দিয়েছেন, বইটি কোনো তাফসিরগ্রন্থ নয়। বরং বিভিন্ন তাফসিরগ্রন্থের সাহায্য নিয়ে লেখা হয়েছে। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব এবং ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনার সমাহার এই বই। বইটির শারঈ সম্পাদনা করেছেন ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া এবং সানাউল্লাহ নজির আহমদ।
🔲লেখক পরিচিতি: ওমর আল জাবির পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। সপরিবারে থাকেন লন্ডনে। বর্তমানে কাজ করছেন ফেইসবুক কোম্পানির মেসেঞ্জার নিরাপত্তা টিমের ম্যানেজার হিসেবে। মাস্টার্স করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটি (IOU) থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন ইসলামিক স্টাডিজে। মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাইখ আজিজ মুহাম্মাদ এর তত্ত্বাবধানে আরবি এবং কুরআনের তাফসীর শিখেছেন বেশ কয়েক বছর। বর্তমানে আলিমিয়্যাহ পড়ছেন কেমব্রিজ ইসলামিক কলেজের ডিন ড. আকরাম হুসাইন নদভির তত্ত্বাবধানে। প্রথম বই: Building a Web 2.0 Portal with ASP ডট NET 3.5 আমেরিকার ও'রিইলি পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
(ইক্বরা) পড়ো, অাল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এ-ই ছিল রাসূল (স.) প্রতি সর্বপ্রথম অাদেশ ও ওহী। পড়ো দিয়ে শুরু করে ২৩ বছর ধরে প্রয়োজনানুসারে পাঠাতে থাকেন মানবজাতির পথপ্রদর্শনের বাণীগুলা। হাজার দেড় হাজার বছর পুরানো বিশ্বকে, পুরানো নীতিকে, পুরানো পরিবেশ ও সেযুগের অনেক চিন্তা ভাবনাকে এ অাধুনিকযুগের জন্য কোনরূপ উপযুক্ত ভাবতে পারেন না। মানবসৃষ্ট সেইসব নিয়ম অ���চার নীতি সেকেলে বা প্রাচীন হলেও ১৪০০ বছর পূর্বে অবতীর্ণ কোরান অাধুনিক বিজ্ঞানযুগের পরিবেশ, সমাজ, পরিবার ও জীবননীতি ও রীতির জন্য সমান ফলপ্রসূ। এই অাধুনিক জমানার জীবনব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কোরন মানেই পঠিত সবচেয়ে বেশি পঠিত এই বইকে মানবজাতির পথপ্রদর্শক হিসেবে পাঠিয়েছেন প্রভু। এই বইয়ের মাধ্যমে বিপথগামী খোঁজে পেয়েছে সুপথ। অথচ সেই কিতাবটিকে অামরা অাজ অবহেলা করতে শুরু করেছি। যে বইয়ের শুরুতেই বলা হয়েছে “এটি এমন একটি কিতাব যাতে সন্দেহের অবকাশ পর্যন্ত নেই। অার এটি মুত্তাকীদের জন্য পথপ্রদর্শক।” পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ ব��� লেখা হয়েছে। কোন বইয়ের লেখক বলতে পারেনি অামার বইয়ে কোন ভূল নেয়। তবুও অামরা অনেক বই খুটিনাটি নেড়ে নেড়ে পড়ি। যে বই পথ দেখায় সে বইটি পড়া হয়না। পড়লেও সেটা অর্থ ও মতলব বুঝে পড়ার চেষ্টা কোথায়? একপ্রকারের ঘুমান্ত, কোরান হতে দূরে হারিয়ে যাওয়া লোকদের কোরানমুখী করতে "পড়ো" বইটি। কোরানের খুব গুরত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে এনেছেন "পড়ো" বইটিতে। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মাল্টিভার্স থিওরী ও ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্বে চোখওয়ালা কানা পন্ডিতদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে কিছুটা চেষ্টা করেছেন লেখক। কোরানের বিভিন্ন অায়াতের সঠিক অর্থ ও সাবলীল ভাষায় বিভিন্ন তাফসীরগ্রন্থের ব্যাখ্যা, যুগোপযোগী অলোচনা ও নিজের চিন্তা ভাবনা ব্যক্ত করেছেন। কোরানের কিছু অায়াত নিয়ে ডাবল স্ট্যান্ডার্ডদের ভ্রান্ত ধারণা ও প্রশ্নগুলোর বিচক্ষণতার সহিত সুন্দর উত্তর দিয়েছেন লেখক। এমন বই অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। বইটি সংগ্রহ করুন। পড়ুন অাশা করি অনেক লাভবান হবেন। অবশেষে খোদার নিকট প্রার্থনা অাল্লাহ অামাদের সিরাতুল মুসতাকিম প্রদান করুন।
সাধারণত বিদেশি ভাষার বই অনুবাদ ছাড়া পড়া হয় না। পাঠক সমাজের বেশির ভাগই যে আমার মতো, তা নিয়ে আসলে আমার কোনো সন্দেহ নেই। অনুবাদ পড়ার সময় সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা হয় সেটা হলো বাক্যের কঠিন গঠন, সঠিক শব্দচয়নের অভাব, ভাবার্থের পরিবর্তন। আলাদা অনুবাদকের একই বইয়ের অনুবাদে আকাশ পাতাল পার্থক্য পাওয়া সম্ভব। বাক্যের কঠিন গঠনে আটকে যাওয়া সম্ভব পাঠকের ঠোঁট। ভাবার্থের পরিবর্তনে বইয়ের সৌন্দর্যতো বটেই, পালটে যেতে পারে বইয়ের আসল ফিলোসোফিই! মোটাদাগে বলা যায়, অনুবাদে আসল বইয়ের স্বাদ, গুণাগুণ কোনটাই শতভাগ পাওয়া সম্ভব নয়। লেখকের চিন্তাধারার সাথে মিশে যেতে পারে অনুবাদকের চিন্তাধারাও। তাই অনুবাদে অন্য ভাষাভাষি মানুষের কাছে বই পৌছে দেয়া গেলেও, প্রকৃত অর্থে লেখার স্বার্থকতা অর্জন সম্ভব নয়। এখন এমন কোনো যুগান্তকারী বইয়ের অনুবাদ করার কথা ভাবুন, যার লেখক এমন কেও, যিনি দাবি করেছেন বইটিতে কোনো ভুল নেই, কোনো অস্পষ্টতা নেই। বইটি এমন এক যুগান্তকারী বই, যার মতো কোনো বই মানুষের পক্ষে রচনা সম্ভব না, এমনকি এর কোনো একটা বাক্যের মতো বাক্য রচনাও না। এবং আজ পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন, পরিমার্জন এই বইতে করা হয়নি, করা সম্ভবও নয়। এখানেই শেষ নয়! বইটি রচনা করা হয়েছে এমন এক অসাধারন ভাষায়, যার মতো ব্যাকরণ, অর্থগত বৈচিত্র অন্য যেকোনো ভাষায় অনুপস্থিত। তাহলে এখন ভাবুন! এই মহান বইয়ের অনুবাদ করলে আপনি এর কতটুকু ধারণ করতে পারবেন আপনার অনুবাদে? কতটুকু স্বাদ পাওয়া যাবে আপনার অনুবাদে? বাস্তবিক অর্থে কুরআন এর পরিপূর্ণ অনুবাদ করা সম্ভব নয়। কুরআনকে ব্যঝতে হলে তাঁর নিজের ভাষায় বুঝতে হবে। তাঁর লেখক যেভাবে বুঝাতে চেয়েছেন সেভাবে বুঝতে হবে। যার মাধ্যমে বুঝিয়েছেন তাঁর মতো করে বুঝতে হবে। “পড়” বইটা কুরআন নিয়ে লেখা। কুরআনের অসাধারনত্ব নিয়ে লেখা। কুরআনের ভাষায় কুরআন পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হবে এই বইয়ের পাতায় পাতায়। সৃষ্টিকুলের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তায়ালার পাঠানো এই বানীর সৌন্দর্য সম্পর্কে একটু হলেও আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারবে এই বই। সূরা ফাতিহা, সূরা ইখলাস এবং সূরা বাকারার বড় একটা অংশের কিছু ব্যাখ্যা, শিক্ষা, আর উপদেশ ধারণ করেছে বইটি। রচনাশৈলী চমৎকার। পড়ার সময় তেমন আটকাবেনা। এক বসায় শেষ করা যাবে, কিন্তু তেমন বই এটা না। কুরআন এবং কুরআন নিয়ে লেখা বই পড়া উচিৎ ধীরে ধীরে, আত্তস্থ করতে করতে, চিন্তা করতে করতে। কারন আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ তবে কি তারা কুরআন নিয়ে গভীর চিন্তা- ভাবনা করে না? নাকি তাদের অন্তরসমূহে তালা রয়েছে? সূরাঃ মুহাম্মাদ-২৪
অসাধারন একটি বই। উস্তাদ নোমান আলী খানের লেকচার থেকেই অধিকাংশ লেখা হয়েছে। তবে উপস্থাপন শৈলী খুবই সুন্দর ও সাবলীল ছিল। বইটিতে হয়তো কুরআনের এমন রূপ খুজে পাবেন যা সচারাচর বাংলা অনুবাদ বা তাফসীরগুলোতে দেখা যায় না।
This book helped me to clear many of my doubts and issues regarding Islam religion.It has given me a new perspective of looking at things.Looking forward to read next sequels.
তাদের অবস্থা হলো একদল মানুষের মতো, যারা আগুন জ্বালাবার চেষ্টা করছে। যখনই আগুন জ্বলে তাদের চারদিক উজ্জ্বল করে দেয়, তখনই আল্লাহ তাদের সব আলো কেড়ে নিয়ে, তাদের বিভিন্ন গভীরতার অন্ধকারে ছেড়ে দেন। তারা কিছুই দেখতে পায় না। তারা বধির, মূক এবং অন্ধ-তারা কখনো ফিরে আসবে না। অথবা, (আরেকটি উদাহরণ হলো)-আকাশ থেকে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে, চারদিকে বিভিন্ন গভীরতার অন্ধকার, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, বজ্রপাত হচ্ছে একদল মানুষ পথ চলার চেষ্টা করছে। বজ্রপাতের প্রচণ্ড শব্দ শুনে তারা মৃত্যুর ভয়ে কানে আঙুল দেয়। কিন্তু যারা সত্যকে অস্বীকার করে-কাফির, তাদের আল্লাহ ঠিকই ঘিরে রাখেন। বিদ্যুৎচমক তাদের দৃষ্টি প্রায় কেড়ে নেয়। যখনই তা আলো দেয়, তারা একটু সামনে এগোয়। আবার যখন চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়, তারা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। যদি আল্লাহ চাইতেন, তিনি তাদের শোনা এবং দেখার ক্ষমতা কেড়ে নিতেন। আল্লাহ সবকিছুর ওপরে পূর্ণ ক্ষমতাশীল। [আল-বাকারাহ: ১৭-২০]
কুরআনের খুবই ছোট্ট অংশ নিয়ে চমৎকার আলোচনা। গল্প, ফ্যাক্ট, বিজ্ঞান, সাইকোলজিক্যাল আলাপ, কুরআনিক শব্দ ও অক্ষর কিভাবে বিভিন্ন উপমা হিসাবে কাজ করে, আরবি ভাষার প্রাচুর্যতা ওবং সেখানে কিভাবে কুরআনের ভাষা সাহিত্যের দিক দিয়েও শ্রেষ্ঠ সেটি লেখক খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। যারা আমার মতো ধর্মীয় বই নিয়ে খুব বেশি অধ্যায়ন করতে আলস্য বোধ করে, তাদের জন্য এই বইটি মাস্ট।
লেখক এটিকে তাফসীর হিসাবে না নিয়ে আলোচনার দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখতে বলেছেন এবং কুরআন পড়ার একটা তরিকা বাতলে দিয়েছেন। লেখক উপসংহারের শুরুতেই বলেছেন ❝এটা শেষ নয়,শুরু❞। উল্লিখিত ❝আলোচনা❞ শব্দ দ্বারা লেখক শাব্দিক ও ভাবার্থ দুইটিই বুঝিয়েছেন, বোধহয়!
পড়ো বলতে মূলত পবিত্র কুরআন পড়ার কথা বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআনুল কারীমের এর বেশ কিছু আয়াতের সহজ ও সাবলীল ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখাবে সাথে আমাদের কোরআনের অর্থ বুঝতে অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করি।