Late Binoy Majumdar was born in Myanmar (erstwhile Burma) on the 17th of September 1934. His family later moved to what is now West Bengal in India. Binoy loved mathematics from his early youth. He completed 'Intermediate' (pre-University) from the Presidency College of the University of Calcutta. Although he graduated with a degree in mechanical engineering graduate from Bengal Engineering College, Calcutta, in 1957, Binoy turned to poetry later in life. He translated a number of science texts from the Russian to Bengali. When Binoy took to writing, the scientific training of systematic observation and enquiry of objects found a place, quite naturally, in his poetry. His first book of verse was Nakshatrer Aloy (in the light of the stars). However, Binoy Majumdar's most famous piece of work to date is Phire Esho, Chaka (Come back, O Wheel, 1960), which was written in the format of a diary. The book is dedicated to Gayatri Chakravorty Spivak, a fellow-Calcuttan and contemporary of Majumdar.
"আত্ম পরিচয়" কবি বিনয় মজুমদার এর আত্মকথা। মাত্র তের বছর বয়স থেকে বিনয় মজুমদার কবিতা লিখতে শুরু করেন। এর পর থেকে কখনও থেমে থাকেন নি। তবে বইয়ের দুই মালাটে কবিতা গুলোকে বাঁধা পড়তে সময় লেগেছে। অপেক্ষা করতে হয়েছে। দিতে হয়েছে অনেক প্রতিদান।
তাছাড়া লেখক ছোট থেকে লেখা কবিতাগুলো এক সময় এসে মনে হয়েছে এর কোনটাই প্রকাশের যোগ্য নয়।
পড়ালেখার পাশাপাশি কবিতা লেখাটা চালিয়ে গেছেন নিজের ইচ্ছাতেই।
দেব কুমার বাবুর আঁকা প্রচ্ছদে প্রথম কবিতার বই "নক্ষত্রের আলোয়" প্রকাশিত হয়।
তবে বইটা তেমন পাঠকপ্রিয়তা পায়নি। তাছাড়া বইটার কেউ ভালো করে রিভিউ ও করলো না।
কবি জ্যোতির্ময় দত্ত "ফিরে এসো চাকা" বইটা নিজের টাকা দিয়ে প্রকাশ করেন। কবি বিনয় মজুমদারের এই বই খুব জনপ্রিয়তা পায় এবং পুরস্কার ও পায়।
এর পর থেকে কোন বই প্রকাশ করতে আর কখনও নিজের টাকা খরচ করতে হয়নি লেখকে।
কবি বিনয় মজুমদার বলেছেন ", কবি জ্যোতিড়ময় দত্ত পৃথিবীতে যদি জন্মগ্রহণ না করতেন তবে আমার কী হতো কে জানে।"
আমেরিকাতে কবির কবিতা অনুবাদ করে প্রকাশ করেন জ্যোতির্ময় দত্ত হাডসন রিভিয়ু পত্রিকায়।
কবিতা লিখে এবং বই প্রকাশ করতে গিয়ে বন্ধু হিসেবে পেয়েছেন অনেক কবি লেখক ও প্রকাশকে।
শক্তিমান কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর কথাতে প্রকাশক ব্রজকিশোর মন্ডল কবি বিনয় মজুমদার এর " বাল্মীকির কবিতা" বইটি প্রকাশ করেন। এই বইখানা বিনয় মজুমদার উৎসর্গ করেছিলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায় কে।
এমন অসংখ্য কথা ও অনুভূতি প্রকাশ করেছেন কবি "আত্ম পরিচয় " বইটাতে। ছোট এ বইটা সহজ সরল ভাষাতে লিখে যাওয়া।
ছোট থেকে কবিতা লিখে যাওয়া, কবিতা লেখার প্রেক্ষাপট, কবিতা নিয়ে ভাবনা, বই আকারে কবিতা প্রকাশ করা, বিভিন্ন পত্রিকাতে কবিতা প্রকাশ করা ছাড়াও বইটিতে আছে কিছু স্মৃতিকথা। তবে তার সবটাই বই আর কবিতাকে ঘিরে, কোন একান্ত ব্যক্তিগত কোন কথা উঠে আসেনি কোন স্মৃতির গল্পে।
"সাংস্কৃতিক অগ্রগতিতে কবির কবিতা প্রকৃতপক্ষে জননীরাই লেখেন, পরে নাম ধাম যারই যুক্ত হোক, কবির ভূমিকা উক্ত জননীদের সহিত থাকা এবং পরস্পর তুরীয় একত্ব বজায় রাখা। সকল কবিতাই কবির জীবনী; কবিতাই স্বর্গ।"
আত্মপরিচয় বইয়ের বিষয়বস্তু বিনয় মজুমদারের নিজের লেখালেখির বিষয় নিয়ে। তাই এখানে তাঁর ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে জানা যাবে না। শুধু জানা যাবে তাঁর লেখালেখির বিষয়বস্তু, ইতিহাস আর সহযোগী বন্ধু-বান্ধব সম্পর্কে।
জ্যোতির্ময় দত্ত, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর মতো সাহিত্যিকরা যদি বিনয় মজুমদারের পাশে এসে না দাঁড়াতো, তবে হয়ত আমরা এই উজ্জ্বল প্রতিভাকে পেতাম না। অবহেলায় হারিয়ে যেত পঞ্চাশ এর দশকেই। ভাগ্যিস সে সময়ের কল্লোল যুগের সাহিত্যিকরা যোগ্যদের মর্যাদা দিতে পেরেছিল।
আত্মপরিচয়: প্রথম পর্ব, আত্মপরিচয়: দ্বিতীয় পর্ব, স্মৃতিকথা — এই তিনের সমন্বয়ে সংক্ষিপ্ত কলেবরে বিনয় মজুমদারের 'আত্মপরিচয়' গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন কবি প্রকাশনী নামমাত্র মূল্যে(৳১০০)। পুনমুর্দ্রণ হলে অবশ্যই মূল্য বৃদ্ধি পাবে।
এই সীমাহীন জায়গায় প্রায় অনন্ত সময়ব্যাপী উড়ে আজ আছি পৃথিবী জুড়ে। যেই দেখলাম এই শরীর পেয়েছি হাত পেয়ে গেছি অমনি আমার মনে হলো আর সব কাজই ফুরোলো লেখা শুধু লেখা প্রয়োজন। আমার জীবন এইভাবে শুরু হয়ে গেলো পৃথিবীতে, শুরু করলাম আমি লিখে লিখে দিতে। খাদ্য নয় বায়ু নয় মানুষের আশা শুধু ভালবাসা। যার মনে অমরার ভালোবাসা নেই সেই নরটিকে নারীটিকে মৃত মনে করি, তাই আমি ধরি। যদিও সে হাঁটে পৃথিবীর শহরে বা মাঠে তবুও সে মৃতদেহ, অন্য কিছু নয় এই ভাবি সকল সময়। তবুও যাহোক এই বিশ্বলোক টিকে আছে পরস্পরের আকর্ষণ ক'রে এই আকর্ষণ আছে পৃথিবীর প'রে। নারীতে ও নরে এইরূপ আকর্ষণ থাকা প্রয়োজন। এই হলো আমার বাচন। একে বলি প্রেম ভালোবাসা আসল তামাশা আমি একা একা লোক, প্রিয়জন নেই সেই হেতু এই পৃথিবীর অগণন মানুষকে অমর করেছি ভালোবেসে গেছি যে নারীকে যেও নিয়ে নিলো তার যা পাথেয়। স্বামী নয় পুত্রকন্যা নয় আমার নামের সঙ্গে তার নাম রয়। আমার হৃদয়ে আছে ঠাসা এই ভালোবাসা। ভালোবাসবার প্রতিযোগীতায় জিতে গেছি আমি আর ভবে আমার নামের সঙ্গে তারই নাম উচ্চারিত হবে। এইভাবে আমি গেছি বেঁচে। সেই নারী কোথায় থেকেছে কী ক'রে যে গেছে। বর্তমানে তার নেচে নেচে আমাকেই ভালোবাসা ছাড়া আর কোনো গতি নেই। আমি বুঝি এই কারণ সে হয়েছে অমরা অথচ সে দিলো না তো ধরা আমার নিকটে। এই কথা অতি সত্য বটে। পুত্র নয় কন্যা নয় কোন পত্নী নয় আমাদের মনে মনে রয় অমরত্ব সকল সময় এবং বিলয় পেয়ে যাবে যখন শরীর এই পৃথিবীর নরনারীদের মুখ দিয়ে ঢের কথা বলে যাব আমি ভবিষ্যতে তার মানে হলো তখনো আমার প্রাণ রয়ে যাবে; সেই নারী সেও এইভাবে বেঁচে রবে, যেই দেখলাম এই শরীর পেয়েছি হাত পেয়ে গেছি তখন ভেবেছি আমি এই মওকায় এইসব লিখে রাখা যায়।
(বেশ ছোট এই লেখাটার কথা আলাদাভাবে বলার কিছু নেই। তার চেয়ে বরং প্রথম ভালো লাগা কবিতাটা তোলা থাক।)
'বিনয় মজুমদার' এর জীবনীর চেয়ে তার বই লিখার,প্রকাশের দিনগুলোর কথাই মূলত উঠে এসেছে এই বইটিকে। আধুনিক কবিতায় যিনি অবিস্মরণীয় ছাপ রেখে গেছেন তার জীবনেও বিভিন্নভাবে যারা ছাপ রেখেছেন তা নিয়ে লিখেছেন তিনি সাথে লিখেছেন কষ্টের দিনগুলোর কথাও। বিনয় মজুমদার কে জানতে হলে বা ছোট কলেবরে বুঝতে হলে এই বইটি পড়া যায়।
বইটা পড়ে ফেললাম অল্প সময়ে, ছোট পাতার মোটে ৪৭ পাতার একটি বই। স্মৃতিচারণমূলক প্রবন্ধের বই। তার কবি হয়ে ওঠার পথঘাটের বেশ হদিশ মেলে। হাঙরি জেনারেশনের জনক বলা হয় তাকে, বইটিতে যেভাবে সব দায় শক্তি চট্টপাধ্যায়ের ঘাড়ে চাপিয়ে হাত ধুয়ে ফেলল���ন তা পুরোটাই সত্য কিনা আমি বলতে পারি না। কবিরা কখনোই বিশ্বাসযোগ্য ছিলেন না। পলায়নপরতা তাদের কমবেশি সবারই থাকে। যাহোক, গদ্য ততটা সুন্দর না, তবুও সুপাঠ্য বলা চলে।
বিনয় মজুমদারের কবিতা লেখার শুরু এবং কবিজীবনের ইতিবৃত্ত নিয়ে লেখা ছোট্ট এই বইটি। মূলত বিভিন্ন সময়ে লেখকের নিজের রচিত কবিতা এবং বইপ্রকাশের যাত্রা নিয়ে লেখা তিনটে আলাদা প্রবন্ধকে এক মলাটে নিয়ে আসা হয়েছে 'আত্মপরিচয়' নামে। টেনেটুনে ৪৬ পৃষ্ঠার এই মলাটবদ্ধ অবয়বকে ঠিক বই-ও বলা যায় না। কবিতা লেখা ও প্রকাশ সংক্রান্ত কথা ছাড়া ব্যক্তিজীবনের প্রায় কিছুরই উল্লেখ নেই এ বইতে। তাই কবি বিনয় মজুমদারকে জানতে এ বই পড়তে বসলে উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। প্রথম কবিতা লেখা, বই প্রকাশ এবং ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কথা বেশ সুন্দভাবে প্রকাশ পেয়েছে এই স্বল্পায়তনেও। তবে তৃতীয় সংস্করণ নেবার পরও বানান ভুল এবং কিছু জায়গায় লাইনের পুনরাবৃত্তি চোখে পড়বার মতো। লেখক স্মৃতি থেকে ঘটনা উল্লেখ করায় কোনো কথা একাধিকবারও এসেছে, কখনো বর্তমান থেকে হুট করে চলে গেছেন কলেজ জীবনের কথায় আবার সেখান থেকে নিকট বর্তমান সময়ের কথা লিখে গেছেন। সে বিবেচনায় লেখাখানি কিছুটা অগোছালোও বলা যায়। আত্মজৈবনিক ধাচের লেখায় রেটিং দেয়া ধৃষ্টতার পর্যায়ে পড়ে। লেখকের বর্ণনাভঙ্গি এতোই সুন্দর যে বইটি আয়তনে বড় হলে পাচ তারকা দিতাম নির্দ্বিধায়।