Jump to ratings and reviews
Rate this book

Hassan, the Story of Hassan of Bagdad, and how he Came to Make the Golden Journey to Samarkand;

Rate this book
This work has been selected by scholars as being culturally important, and is part of the knowledge base of civilization as we know it. This work was reproduced from the original artifact, and remains as true to the original work as possible. Therefore, you will see the original copyright references, library stamps (as most of these works have been housed in our most important libraries around the world), and other notations in the work. This work is in the public domain in the United States of America, and possibly other nations. Within the United States, you may freely copy and distribute this work, as no entity (individual or corporate) has a copyright on the body of the work.As a reproduction of a historical artifact, this work may contain missing or blurred pages, poor pictures, errant marks, etc. Scholars believe, and we concur, that this work is important enough to be preserved, reproduced, and made generally available to the public. We appreciate your support of the preservation process, and thank you for being an important part of keeping this knowledge alive and relevant.

186 pages, Hardcover

First published January 1, 1922

21 people are currently reading
145 people want to read

About the author

James Elroy Flecker

78 books18 followers
James Elroy Flecker was an English poet, novelist and playwright.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
16 (26%)
4 stars
28 (45%)
3 stars
12 (19%)
2 stars
2 (3%)
1 star
3 (4%)
Displaying 1 - 14 of 14 reviews
Profile Image for Pontus Presents.
134 reviews127 followers
December 15, 2018
✦✦✦✦✧
“ ISHAK The poet must learn what man's agony can teach him.
HASSAN Is it then not better not to be a poet?
ISHAK [bitterly] Allah did not ask me that question when he made me a poet and a dissector of souls . . . Thus I corrupt my soul to create–Allah knoweth what–ten little words like rubies glimmering in a row . . . ”

What a brilliant play! Humorous & swiftly poetic with much cleverness of words.
Resembling some tale from Arabian Nights - romanticized, gripping and very lyrical. A beautiful forgotten gem set in Bagdad with poetry at its core.

A carpet is a carpet, and a woman is a woman

And some to Meccah turn to pray,
and I toward thy bed, Yasmin
Profile Image for Clinton Smith.
Author 35 books1 follower
December 13, 2013
Hassan is probably by now, considered a forgotten gem. Glorious poetry that lingers in the mind. 'We are those who ride faster than fate/ we are those who come early of late/ we storm at your ivory gate/ pale kings of the sunset, beware.'

I have not read Hassan since my schooldays, but its lines still linger in my mind. Perhaps ill-remembered, but still there.

Beautiful, evocative, superb.
Profile Image for أحمد البخاري.
Author 9 books332 followers
March 21, 2015

عندما أمسكت بكتاب "حسان" تساءلت سؤالاً واحداً فقط، أين بقية السلسلة ؟!، ولماذا أختفت منشورات "دار الجماهيرية للنشر" ؟!، حسان .. هو كتاب لمسرحية من ثلاثة فصول، وهي في الأصل رواية للشاعر والكاتب المسرحي الإنجليزي جيمس إلروي فلكر، وقام بترجمة المسرحية د.علي فهمي خشيم، نشرت هذه الترجمة سنة 1987 ضمن الطبعة الثانية لسلسلة الكتاب المسرحي التي قدمتها منشورات دار الجماهيرية للنشر، ويحمل الكتاب أو المسرحية الرقم 11 من السلسلة .. فأين أختفت بقية السلسلة ؟!

في البداية إستغربت كيف يكتب مسرحي إنجليزي مسرحية بعنوان "حسان" ثم أنجلت الرؤية عندما علمت أن جيمس فلكر هو أحد المستشرقين المعروفين، وهو كما واضح من المسرحية متأثر بأجواء "ألف ليلة وليلة" وهو ما كان واضحاً في المسرحية، في البداية ظننت المسرحية قد تكون إحدى المسرحيات الهزلية التي تحاكي أجواء الشرق الساحر فقط لا غير، ولكني تفاجأت من الرمزية الواضحة في المسرحية، فالقصة تحكي عن الرجل "حسان" الرجل العامي اللذي هام بحب جارته ياسمين فقادته ظروف هذا الحب للوقوع في أحداث ثورة يقودها "ملك الشحاذين" ضد ملك المملكة لإسترداد حبيبته، وخلفه جيش من الشخاذين اللذين يعتقدون أنها ثورة من أجل رفع الظلم والإستبداد والحرية ..

إسقاطات سياسية واضحة لا أدري ماذا يقصد بها د.علي خشيم بإختياره هذه المسرحية في فترة الثمانينات، ومونولوج مسرحي فلسفي بين الشخصيات مكتوب ببراعة شديدة تناول فيها الكاتب الحب والتضحية والقدر والوجود والعدل، وبإختصار شديد، فقد راقتني المسرحية وأعجبت بها جداً، خاصة مع النهاية الملحمية الرائعة..
270 reviews17 followers
February 13, 2021
This is an absolutely stunning book in this folio edition. I had never heard of the work but I am currently reading a novel which contains quotes from this play and they so attracted me that I had to find an edition of the play to read. I was fortunate enough to obtain this beautifully presented version. I am surprised as to how many lines from this play are already familiar to me and I thoroughly enjoyed reading it, now back to the novel which led me to it...
Profile Image for Muhammad Two Point O.
36 reviews1 follower
October 14, 2024


ব্রিটিশ কবি ও নাট্যকার জেইমস এলরয় ফ্লেকার-এর নাটক ‘হাসান’। ১৯২৫ সালে লেখা এ নাটক মূলত বাগদাদের হাসানের ঠিকানা কিভাবে শেষতক সামারকান্দে গিয়ে ঠেকলো তার-ই আখ্যান (এটিই নাটকের উপশিরোনাম)। ইসলামিক বিশ্বের আব্বাসীয় খিলাফতের পঞ্চম খলিফা হারুন-উর-রশীদ-এর শাসনকাল (৭৮৬-৮০৯) এ নাটকের পটভূমি। ‘আরব্য রজনী’’র বদৌলতে খলিফা হারুনের এ সময়টির সত্যমিথ্যে অনেক গল্পই আমাদের জানা। ফ্লেকার যে সময়ের মানুষ, পশ্চিমা বিশ্বে তখন-মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভারত-গোটা পূর্বাঞ্চলটি নিয়েই ভীষণ আগ্রহ, যার বরাতে প্রচুর পশ্চিমা লেখকের বই আজ আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। তাঁদের গবেষণার ফল এই বইগুলো সবসময় যে প্রাচ্যের সত্যিকার চিত্রটি তুলে ধরে তেমন নয়। বহু পশ্চিমাই প্রাচ্যকে রহস্যে ঘেরা জাদুকরী এক জায়গা হিসেবে দেখেছেন, যেখানে কি না মানুষ রাস্তাঘাটে হাত সাফাই করার খেলা দেখায়, পশু পাখির সাথে কথা বলে, জাদুর কার্পেটে উড়ে বেড়ায়…

পশ্চিমা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে প্রাচ্যকে এঁদের অনেকেই গেঁয়ো, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, পিছিয়ে পড়া এক জনপদ হিসেবে দেখেছেন, যেখানের মানুষের লোকাচার রীতিমতো বুনো ও আদিম। সত্তরের দশকে এডওয়ার্ড সাইদ পশ্চিমাদের এই মনোভাবটিকে টিটকারী মেরে ‘অরিয়েন্টালিজম’ নাম দিয়েছিলেন। ফ্লেকারের এ নাটকটি লেখার সময়কাল, ও এর বিষয়বস্তু এমন যে আধুনিক অনেক পাঠক এতে সেই অরিয়েন্টালিজম-এর ভুত দেখতে পারেন। মূলত আপনার রুচিবোধই নির্ধারণ করে দেবে এ ভুতটি আপনি দেখতে পাবেন নাকি পাবেন না।
নাট্যকার নাটক লেখেন আসলে কোন একটি ‘বদ’ উদ্দেশ্য নিয়ে। একটি পক্ষ অবলম্বন করে নানান ঘটনার ‘নাটক’ সাজিয়ে নাট্যকার তাঁর নৈতিক অবস্থানের পক্ষে প্রপাগ্যান্ডা চালান মূলত। আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এথেন্স ও স্পার্টা’র মাঝে যখন পেলোপনেজিয়ান যুদ্ধ শুরু হয়, সে যুদ্ধ বন্ধে গ্রীক কমেডি নাটকের অন্যতম শীর্ষ গুরু অ্যারিস্টোফেনিস একটি অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছিলেন; ‘লিজিস্ট্রাটা’ নাটকে তিনি দেখান যুদ্ধরত সৈনিকদের স্ত্রীরা একটি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে-তাদের স্বামীদের সাথে তারা আর যৌনমিলনে অংশ নেবেনা, হোক না তাতে তাদের যতই কষ্ট! কামনার শরে বিদ্ধ হতে হতে দুর্বল হয়ে যাওয়া সৈনিকেরা বাধ্য হয়ে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবে এটাই লিজিস্ট্রাটার আশা ছিলো।

বাস্তবের পেলোপনেজিয়ান যুদ্ধে এমন কিছু ঘটেনি, ঘটার কথাও নয়, কিন্তু যে বার্তাটি অ্যারিস্টোফেনিস দিয়ে গেছেন, সেটিই এখানে মুখ্য। প্রাচীন গ্রেকো-রোমান বহু নাট্যকারকেই আমরা এ ধরণের প্রপাগ্যান্ডা চালাতে দেখি; মেনান্দার, প্লাউতাস, টেরেন্স-এঁরা সবাই-ই দু হাজার বছরেরও ওপরের আগের মানুষ হয়েও ক্রীতদাস প্রথার বিরুদ্ধে সূক্ষ্মভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন। দু’হাজার বছরের রুচির পার্থক্যে এঁদের কমেডি আজ আমাদের কাছে দিলদার কি হারুন কিসিঞ্জারের কমেডির মতোই সস্তা, গেঁয়ো ও খেলো ঠেকতে পারে, কিন্তু তাঁদের নাটকগুলো সাক্ষ্য দেয়, চিন্তায়-চেতনায় তাঁরা আমাদের অনেকের-প্রায় বেশীরভাগেরই বোধহয়-চেয়েই অনেক আধুনিক ছিলেন।

বিংশ শতকের ইংরেজ কবি হয়ে ফ্লেকার কেন অষ্টম শতকের ইসলামী খলিফাকে নিয়ে নাটক লিখতে গেলেন? এ নাটকের নাম হাসান, তবে কেন্দ্রীয় চরিত্রটি সে নয়; নাটকের ঘটনাপ্রবাহ যাকে ঘিরে তার নাম রাফি, ভিক্ষুকদের সর্দার সে। রাজ্যের ফকির মিসকীনদের নিয়ে খলিফা হারুন-উর-রশীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ গড়ে তুলেছে রাফি। কারণ? রাফি’র বাগদত্তা পারভীনকে ক্রীতদাস বেচাকেনার হাটে নিয়ে যাওয়া হয় জোর করে। বহু কষ্টকর যাত্রার পর যখন অবশেষে পারভীনকে হাটে খুঁজে পায় রাফি, তখনও তাকে টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনতে পারেনা সে, কারণ খলিফা হারুনের আদেশ-বাজারের সেরা সব ‘মাল’ যাবে খলিফার হারেমে, তাঁর সওদা করা শেষ হলেই বাকী সব এঁটো ঝুটারা রাফিদের মতো ফকির ফাতরা গরীব গুর্বাদের ভাগে যাবে।

আব্বাসীয় খিলাফতকে ইসলামের ইতিহাসে সোনালী এক অধ্যায় হিসেবে দেখা হয়, যখন দিকে দিকে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ছে, খলিফাদের বীরত্বের নানান গল্প পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এসে পৌঁছাচ্ছে। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা এই সময়টিকে নিয়ে ভীষণ গর্ব বোধ করেন, এবং পশ্চিমারা যে কেবলই ভোগ পান ও অবাধ যৌনতায় মেতে থাকে তা নিয়ে ছিছিকারে মাতেন। তবে এই আব্বাসীয় খলিফেরা “ভোগ পান ও অবাধ যৌনতায়” কারো চেয়েই যে কম কিছু ছিলেন না-এ ইতিহাসটি অনেকটা ইচ্ছেকৃতভাবেই ভুলে যান তাঁরা। বিশেষত হারেম শব্দটি আজ আব্বাসীয় খলিফাদের সমার্থক শব্দই হয়ে উঠেছে। আব্বাসীয় হারেম-এর ব্যাপকতার ধারণা দেয়ার জন্য একটি তথ্য দেয়া যেতে পারে। অষ্টাদশ আব্বাসীয় খলিফা আবুল ফজল জাফর ইবনে আহমেদ আল মুক্তাদির-এর হারেমে সব মিলিয়ে ১৫ হাজার বন্দিনী/ দাসী/ বাঁদি ছিলো।

আব্বাসীয় হারেমের বাসিন্দা এই নারীদের মাঝে একধরণের hierarchy বা শ্রেণিবিন্যাসও ছিলো; মোটা দাগে ৫ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে এই ছোট্ট রাজ্যের অধিবাসীদেরঃ স্ত্রী,উপস্ত্রী বা রক্ষিতা, খলিফার বিশেষ খেদমতে নিয়োজিত নর্তকী যাদের “জাওয়ারি” বলা হতো, বাচ্চাকাচ্চাদের দেখে রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত “কাহরামানা”, এবং সবশেষে এই নারীদের পাহারার দায়িত্বে থাকা খোজা পুরুষেরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রাক-ইসলামী আরবের সবকিছুকেই খারাপ ও বাতিল ঘোষণা করা এই খলিফারা প্রাক-ইসলামী যুগের গাইয়ে বন্দিনী “কিয়ান”দের ঠিকই সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন, এবং এদের অনেককেই “জাওয়ারি”’র পদে তাঁরা অধিষ্ঠিত করেন। রাজকার্য, যুদ্ধবিগ্রহ নিয়ে ব্যস্ত থাকা খলিফাদের সময় থাকতোনা হারেমের ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেবার, তাই বিশাল এই সংগঠনটির দায়িত্বে থাকতেন খলিফাদের মায়েরা। খলিফাদের যে ৪ বা এরও বহু সংখ্যক স্ত্রী থাকতো, তাদের কাউকে এ দায়িত্ব দেয়া হতোনা, কারণ, ইসলামে এক স্ত্রীকে অপর স্ত্রীদের চেয়ে বেশী ক্ষমতাবান না বানাবার নির্দেশ এসেছে।

ছবিঃ খাজারদের (তুর্কী বংশোদ্ভূত স্লাভিক মুসলমান) কাছে রাশানরা ক্রীতদাস বিক্রী করছে। সের্গেই ইভানভ (১৯১৩)। সূত্রঃ উইকিপিডিয়া

ফ্লেকারের এ নাটকে ইসলামী আরব সংস্কৃতির টুকরো টুকরো অনেক ছবিই চমৎকারভাবে উঠে আসে। ইয়াসমিনের প্রেমে হাবুডুবু খেতে থাকা হাসান যখন বারবার ‘ইয়াল্লাহ, ইয়াল্লাহ’ জপতে থাকে, তার বন্ধু সেলিম তাকে “O father of repetition” বলে সম্বোধন করে মনে করিয়ে দেয় বিগত কয়েক মিনিটে হাসান ৩৭ বার ‘ইয়াল্লাহ’ বলা ছাড়া আর কিছুই বলেনি। কমবয়েসী সুন্দরী ইয়াসমিনের এক টুকরো হাসির প্রত্যাশায় থাকা প্রৌঢ় হাসান হতাশ হয়ে শেষতক বলেই বসে অবিশ্বাসীদের জন্য বেহেশতের দরজা যেমন চিরতরে বন্ধ, হাসানের জন্যও ইয়াসমিনের হাসির দেখা পাওয়া বোধহয় তেমনি অসম্ভব। আরবীভাষীদের নিজেদের মাঝে একে অপরকে নিয়ে হাসি-তামাশা’র ব্যাপারটি আমরা অনেকেই জানি, সামান্য পরিসরে তার কিছুটা এ নাটকেও উঠে আসে; হাসানের প্রেমরোগ সারাবার জন্য বন্ধু সেলিম যখন বিখ্যাত এক ইহুদী জাদুকরের গুণের বর্ণনায় দাবী করে কায়রোর সুলতানের সামনে সে জাদুকর উপস্থিত দর্শকদের আধ ঘন্টার জন্য বাঁদর বানিয়ে রেখেছিলো, জবাবে হাসান বলে “মিশরীয়দের ভাল করে চিনলে সহজেই বুঝে নিতে পারতে এটা মোটেই কোন তাক লাগানো খেল নয়!”।

রেগে গেলে এ নাটকের চরিত্ররা একে অপরকে কাফির বা অবিশ্বাসী বলে গালাগাল করে, “নালায় মরা কুত্তা টেনে আনা ছোটলোক”-বলে অপমান করে, শূলে চড়িয়ে সে লাশ বিষ্ঠার স্তূপে ছুঁড়ে ফেলার হুমকি দেয়, অপেক্ষা করিয়ে রাখলে দেরী করিয়ে দেবার জন্য “আমারে কি ইহুদী নাইলে খ্রীষ্টান মনে অয় তর?” বলে চিৎকার চেঁচামেচি লাগিয়ে দেয়, সামান্য তুচ্ছ একটি মেয়েকে হারেমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে গোটা ইসলামের সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করে রাফি কি গর্হিত এক অপরাধ করেছে তা তাকে বারবার মনে করিয়ে দেয়…নাটকের পরতে পরতে নানান চোখা সংলাপ আর দৃশ্যের অবতারণা ঘটিয়ে ফ্লেকার তাঁর এজেন্ডা বাস্তবায়িত করেছেন, ব্যঙ্গের এক ‘নাটক’ সাজিয়ে যা বোঝাবার বুঝিয়ে দিয়েছেন। একটি বিষয় বারবারই চোখে পড়ে, সেটি হলো খলিফার স্নেহধন্য চাটুকার চরিত্রগুলো এখানে খলিফাকে বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করে সম্বোধন করে, কখনো খলিফা “আগ্নেয় থুতু নিক্ষেপক”, কখনো “অবিশ্বাসীদের হাড় ভঙ্গনকারী”, কখনো “ইসলামের বাগানের মালী”, কখনো “পৃথিবীর বুকে স্রষ্টার ছায়া”, আর কখনো তিনি স্রেফ “সর্বশক্তিমান”। একজন খেয়ালী খলিফাকে কেন্দ্রে রেখেই যে গোটা ইসলামিক বিশ্ব ঘোরে সেটি ঘুরেফিরে উঠে আসে এই খেতাবগুলোর ভেতর দিয়ে।

জেইমস ফ্লেকার আজ অনেকটাই বিস্মৃতপ্রায়, মাত্র ৩১ বছর বয়েসেই প্রাণ হারানো এ কবি খুব বেশী কাজ রেখে যেতে পারেন নি। কিন্তু এই অতি ছোট জীবনেই তিনি তাঁর সময়ের বাঘা বাঘা সব লেখক সাহিত্যিকদের নজর কেড়েছেন। হোর্হে লুই বোর্হেস, আগাথা ক্রিস্টি, বিক্রম শেঠ, নেভিল শ্যুট, সাকি, অ্যান্থনি পাওয়েল থেকে শুরু করে হালের সময়ের নেইল গাইম্যান-এঁরা সবাই-ই নিজেদের কাজে ফ্লেকারকে উদ্ধৃত করেছেন। এতগুলো নেইম ড্রপিং-এর পর আমার একার মন্তব্যে আর কি এসে যায়?

এ বইতে পাওয়া ফ্লেকারের একটি চুটকি দিয়ে শেষ করছি, যেটি তিনি খলিফার মুখে আমাদের শুনিয়েছেন। খলিফার দরবারে ডলফিন ও নগ্নবালক-সংবলিত দারুণ সুন্দর একটি ফোয়ারা দেখে হাসান যখন মুগ্ধ হয়, তখন খলিফা হারুন গর্বভরে এ ফোয়ারার ইতিহাসটি ব্যক্ত করেন (সম্মানিত পাঠক, লক্ষ্য করুন, ইসলামী বিধিতে ভাস্কর্য তৈয়ার করা হারেমে রক্ষিতা পোষার মতোই নিষিদ্ধ)। হারুন-উর রশীদের বাবা খলিফা আল মাহদী’র দরবারে একদিন এক গ্রীক ভাস্কর অনিন্দ্যসুন্দর এই ফোয়ারাটি নিয়ে হাজির হন। আল মাহদী তাকে জিজ্ঞেস করেন এমন ফোয়ারা সে আরো বানিয়ে দিতে পারবে কি না। “সানন্দে! চাইলে এমন আরো ১০০টা বানিয়ে দিতে পারবো”-উত্তর দেয় গ্রীক ভাস্কর। “এই কে আছিস, এই বিধর্মী কাফির শুয়োরটাকে শূলে চড়া এক্ষুণি”-হাঁক দিয়ে ওঠেন আল মাহদী। এর পর থেকে গোটা পৃথিবীতে এই ফোয়ারা এই এক খানাই আছে।

Profile Image for Muhammad .
152 reviews11 followers
July 5, 2023
ব্রিটিশ কবি ও নাট্যকার জেইমস এলরয় ফ্লেকার-এর নাটক ‘হাসান’। ১৯২৫ সালে লেখা এ নাটক মূলত বাগদাদের হাসানের ঠিকানা কিভাবে শেষতক সামারকান্দে গিয়ে ঠেকলো তার-ই আখ্যান (এটিই নাটকের উপশিরোনাম)। ইসলামিক বিশ্বের আব্বাসীয় খিলাফতের পঞ্চম খলিফা হারুন-উর-রশীদ-এর শাসনকাল (৭৮৬-৮০৯) এ নাটকের পটভূমি। ‘আরব্য রজনী’’র বদৌলতে খলিফা হারুনের এ সময়টির সত্যমিথ্যে অনেক গল্পই আমাদের জানা। ফ্লেকার যে সময়ের মানুষ, পশ্চিমা বিশ্বে তখন-মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভারত-গোটা পূর্বাঞ্চলটি নিয়েই ভীষণ আগ্রহ, যার বরাতে প্রচুর পশ্চিমা লেখকের বই আজ আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। তাঁদের গবেষণার ফল এই বইগুলো সবসময় যে প্রাচ্যের সত্যিকার চিত্রটি তুলে ধরে তেমন নয়। বহু পশ্চিমাই প্রাচ্যকে রহস্যে ঘেরা জাদুকরী এক জায়গা হিসেবে দেখেছেন, যেখানে কি না মানুষ রাস্তাঘাটে হাত সাফাই করার খেলা দেখায়, পশু পাখির সাথে কথা বলে, জাদুর কার্পেটে উড়ে বেড়ায়…

পশ্চিমা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে প্রাচ্যকে এঁদের অনেকেই গেঁয়ো, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, পিছিয়ে পড়া এক জনপদ হিসেবে দেখেছেন, যেখানের মানুষের লোকাচার রীতিমতো বুনো ও আদিম। সত্তরের দশকে এডওয়ার্ড সাইদ পশ্চিমাদের এই মনোভাবটিকে টিটকারী মেরে ‘অরিয়েন্টালিজম’ নাম দিয়েছিলেন। ফ্লেকারের এ নাটকটি লেখার সময়কাল, ও এর বিষয়বস্তু এমন যে আধুনিক অনেক পাঠক এতে সেই অরিয়েন্টালিজম-এর ভুত দেখতে পারেন। মূলত আপনার রুচিবোধই নির্ধারণ করে দেবে এ ভুতটি আপনি দেখতে পাবেন নাকি পাবেন না।

নাট্যকার নাটক লেখেন আসলে কোন একটি ‘বদ’ উদ্দেশ্য নিয়ে। একটি পক্ষ অবলম্বন করে নানান ঘটনার ‘নাটক’ সাজিয়ে নাট্যকার তাঁর নৈতিক অবস্থানের পক্ষে প্রপাগ্যান্ডা চালান মূলত। আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এথেন্স ও স্পার্টা’র মাঝে যখন পেলোপনেজিয়ান যুদ্ধ শুরু হয়, সে যুদ্ধ বন্ধে গ্রীক কমেডি নাটকের অন্যতম শীর্ষ গুরু অ্যারিস্টোফেনিস একটি অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছিলেন; ‘লিজিস্ট্রাটা’ নাটকে তিনি দেখান যুদ্ধরত সৈনিকদের স্ত্রীরা একটি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে-তাদের স্বামীদের সা��ে তারা আর যৌনমিলনে অংশ নেবেনা, হোক না তাতে তাদের যতই কষ্ট! কামনার শরে বিদ্ধ হতে হতে দুর্বল হয়ে যাওয়া সৈনিকেরা বাধ্য হয়ে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবে এটাই লিজিস্ট্রাটার আশা ছিলো।

বাস্তবের পেলোপনেজিয়ান যুদ্ধে এমন কিছু ঘটেনি, ঘটার কথাও নয়, কিন্তু যে বার্তাটি অ্যারিস্টোফেনিস দিয়ে গেছেন, সেটিই এখানে মুখ্য। প্রাচীন গ্রেকো-রোমান বহু নাট্যকারকেই আমরা এ ধরণের প্রপাগ্যান্ডা চালাতে দেখি; মেনান্দার, প্লাউতাস, টেরেন্স-এঁরা সবাই-ই দু হাজার বছরেরও ওপরের আগের মানুষ হয়েও ক্রীতদাস প্রথার বিরুদ্ধে সূক্ষ্মভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন। দু’হাজার বছরের রুচির পার্থক্যে এঁদের কমেডি আজ আমাদের কাছে দিলদার কি হারুন কিসিঞ্জারের কমেডির মতোই সস্তা, গেঁয়ো ও খেলো ঠেকতে পারে, কিন্তু তাঁদের নাটকগুলো সাক্ষ্য দেয়, চিন্তায়-চেতনায় তাঁরা আমাদের অনেকের-প্রায় বেশীরভাগেরই বোধহয়-চেয়েই অনেক আধুনিক ছিলেন।

বিংশ শতকের ইংরেজ কবি হয়ে ফ্লেকার কেন অষ্টম শতকের ইসলামী খলিফাকে নিয়ে নাটক লিখতে গেলেন? এ নাটকের নাম হাসান, তবে কেন্দ্রীয় চরিত্রটি সে নয়; নাটকের ঘটনাপ্রবাহ যাকে ঘিরে তার নাম রাফি, ভিক্ষুকদের সর্দার সে। রাজ্যের ফকির মিসকীনদের নিয়ে খলিফা হারুন-উর-রশীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ গড়ে তুলেছে রাফি। কারণ? রাফি’র বাগদত্তা পারভীনকে ক্রীতদাস বেচাকেনার হাটে নিয়ে যাওয়া হয় জোর করে। বহু কষ্টকর যাত্রার পর যখন অবশেষে পারভীনকে হাটে খুঁজে পায় রাফি, তখনও তাকে টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনতে পারেনা সে, কারণ খলিফা হারুনের আদেশ-বাজারের সেরা সব ‘মাল’ যাবে খলিফার হারেমে, তাঁর সওদা করা শেষ হলেই বাকী সব এঁটো ঝুটারা রাফিদের মতো ফকির ফাতরা গরীব গুর্বাদের ভাগে যাবে।

আব্বাসীয় খিলাফতকে ইসলামের ইতিহাসে সোনালী এক অধ্যায় হিসেবে দেখা হয়, যখন দিকে দিকে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ছে, খলিফাদের বীরত্বের নানান গল্প পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এসে পৌঁছাচ্ছে। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা এই সময়টিকে নিয়ে ভীষণ গর্ব বোধ করেন, এবং পশ্চিমারা যে কেবলই ভোগ পান ও অবাধ যৌনতায় মেতে থাকে তা নিয়ে ছিছিকারে মাতেন। তবে এই আব্বাসীয় খলিফেরা “ভোগ পান ও অবাধ যৌনতায়” কারো চেয়েই যে কম কিছু ছিলেন না-এ ইতিহাসটি অনেকটা ইচ্ছেকৃতভাবেই ভুলে যান তাঁরা। বিশেষত হারেম শব্দটি আজ আব্বাসীয় খলিফাদের সমার্থক শব্দই হয়ে উঠেছে। আব্বাসীয় হারেম-এর ব্যাপকতার ধারণা দেয়ার জন্য একটি তথ্য দেয়া যেতে পারে। অষ্টাদশ আব্বাসীয় খলিফা আবুল ফজল জাফর ইবনে আহমেদ আল মুক্তাদির-এর হারেমে সব মিলিয়ে ১৫ হাজার বন্দিনী/ দাসী/ বাঁদি ছিলো।

আব্বাসীয় হারেমের বাসিন্দা এই নারীদের মাঝে একধরণের hierarchy বা শ্রেণিবিন্যাসও ছিলো; মোটা দাগে ৫ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে এই ছোট্ট রাজ্যের অধিবাসীদেরঃ স্ত্রী,উপস্ত্রী বা রক্ষিতা, খলিফার বিশেষ খেদমতে নিয়োজিত নর্তকী যাদের “জাওয়ারি” বলা হতো, বাচ্চাকাচ্চাদের দেখে রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত “কাহরামানা”, এবং সবশেষে এই নারীদের পাহারার দায়িত্বে থাকা খোজা পুরুষেরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রাক-ইসলামী আরবের সবকিছুকেই খারাপ ও বাতিল ঘোষণা করা এই খলিফারা প্রাক-ইসলামী যুগের গাইয়ে বন্দিনী “কিয়ান”দের ঠিকই সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন, এবং এদের অনেককেই “জাওয়ারি”’র পদে তাঁরা অধিষ্ঠিত করেন। রাজকার্য, যুদ্ধবিগ্রহ নিয়ে ব্যস্ত থাকা খলিফাদের সময় থাকতোনা হারেমের ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেবার, তাই বিশাল এই সংগঠনটির দায়িত্বে থাকতেন খলিফাদের মায়েরা। খলিফাদের যে ৪ বা এরও বহু সংখ্যক স্ত্রী থাকতো, তাদের কাউকে এ দায়িত্ব দেয়া হতোনা, কারণ, ইসলামে এক স্ত্রীকে অপর স্ত্রীদের চেয়ে বেশী ক্ষমতাবান না বানাবার নির্দেশ এসেছে।

ছবিঃ খাজারদের (তুর্কী বংশোদ্ভূত স্লাভিক মুসলমান) কাছে রাশানরা ক্রীতদাস বিক্রী করছে। সের্গেই ইভানভ (১৯১৩)। সূত্রঃ উইকিপিডিয়া

ফ্লেকারের এ নাটকে ইসলামী আরব সংস্কৃতির টুকরো টুকরো অনেক ছবিই চমৎকারভাবে উঠে আসে। ইয়াসমিনের প্রেমে হাবুডুবু খেতে থাকা হাসান যখন বারবার ‘ইয়াল্লাহ, ইয়াল্লাহ’ জপতে থাকে, তার বন্ধু সেলিম তাকে “O father of repetition” বলে সম্বোধন করে মনে করিয়ে দেয় বিগত কয়েক মিনিটে হাসান ৩৭ বার ‘ইয়াল্লাহ’ বলা ছাড়া আর কিছুই বলেনি। কমবয়েসী সুন্দরী ইয়াসমিনের এক টুকরো হাসির প্রত্যাশায় থাকা প্রৌঢ় হাসান হতাশ হয়ে শেষতক বলেই বসে অবিশ্বাসীদের জন্য বেহেশতের দরজা যেমন চিরতরে বন্ধ, হাসানের জন্যও ইয়াসমিনের হাসির দেখা পাওয়া বোধহয় তেমনি অসম্ভব। আরবীভাষীদের নিজেদের মাঝে একে অপরকে নিয়ে হাসি-তামাশা’র ব্যাপারটি আমরা অনেকেই জানি, সামান্য পরিসরে তার কিছুটা এ নাটকেও উঠে আসে; হাসানের প্রেমরোগ সারাবার জন্য বন্ধু সেলিম যখন বিখ্যাত এক ইহুদী জাদুকরের গুণের বর্ণনায় দাবী করে কায়রোর সুলতানের সামনে সে জাদুকর উপস্থিত দর্শকদের আধ ঘন্টার জন্য বাঁদর বানিয়ে রেখেছিলো, জবাবে হাসান বলে “মিশরীয়দের ভাল করে চিনলে সহজেই বুঝে নিতে পারতে এটা মোটেই কোন তাক লাগানো খেল নয়!”।

রেগে গেলে এ নাটকের চরিত্ররা একে অপরকে কাফির বা অবিশ্বাসী বলে গালাগাল করে, “নালায় মরা কুত্তা টেনে আনা ছোটলোক”-বলে অপমান করে, শূলে চড়িয়ে সে লাশ বিষ্ঠার স্তূপে ছুঁড়ে ফেলার হুমকি দেয়, অপেক্ষা করিয়ে রাখলে দেরী করিয়ে দেবার জন্য “আমারে কি ইহুদী নাইলে খ্রীষ্টান মনে অয় তর?” বলে চিৎকার চেঁচামেচি লাগিয়ে দেয়, সামান্য তুচ্ছ একটি মেয়েকে হারেমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে গোটা ইসলামের সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করে রাফি কি গর্হিত এক অপরাধ করেছে তা তাকে বারবার মনে করিয়ে দেয়…নাটকের পরতে পরতে নানান চোখা সংলাপ আর দৃশ্যের অবতারণা ঘটিয়ে ফ্লেকার তাঁর এজেন্ডা বাস্তবায়িত করেছেন, ব্যঙ্গের এক ‘নাটক’ সাজিয়ে যা বোঝাবার বুঝিয়ে দিয়েছেন। একটি বিষয় বারবারই চোখে পড়ে, সেটি হলো খলিফার স্নেহধন্য চাটুকার চরিত্রগুলো এখানে খলিফাকে বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করে সম্বোধন করে, কখনো খলিফা “আগ্নেয় থুতু নিক্ষেপক”, কখনো “অবিশ্বাসীদের হাড় ভঙ্গনকারী”, কখনো “ইসলামের বাগানের মালী”, কখনো “পৃথিবীর বুকে স্রষ্টার ছায়া”, আর কখনো তিনি স্রেফ “সর্বশক্তিমান”। একজন খেয়ালী খলিফাকে কেন্দ্রে রেখেই যে গোটা ইসলামিক বিশ্ব ঘোরে সেটি ঘুরেফিরে উঠে আসে এই খেতাবগুলোর ভেতর দিয়ে।

জেইমস ফ্লেকার আজ অনেকটাই বিস্মৃতপ্রায়, মাত্র ৩১ বছর বয়েসেই প্রাণ হারানো এ কবি খুব বেশী কাজ রেখে যেতে পারেন নি। কিন্তু এই অতি ছোট জীবনেই তিনি তাঁর সময়ের বাঘা বাঘা সব লেখক সাহিত্যিকদের নজর কেড়েছেন। হোর্হে লুই বোর্হেস, আগাথা ক্রিস্টি, বিক্রম শেঠ, নেভিল শ্যুট, সাকি, অ্যান্থনি পাওয়েল থেকে শুরু করে হালের সময়ের নেইল গাইম্যান-এঁরা সবাই-ই নিজেদের কাজে ফ্লেকারকে উদ্ধৃত করেছেন। এতগুলো নেইম ড্রপিং-এর পর আমার একার মন্তব্যে আর কি এসে যায়?

এ বইতে পাওয়া ফ্লেকারের একটি চুটকি দিয়ে শেষ করছি, যেটি তিনি খলিফার মুখে আমাদের শুনিয়েছেন। খলিফার দরবারে ডলফিন ও নগ্নবালক-সংবলিত দারুণ সুন্দর একটি ফোয়ারা দেখে হাসান যখন মুগ্ধ হয়, তখন খলিফা হারুন গর্বভরে এ ফোয়ারার ইতিহাসটি ব্যক্ত করেন (সম্মানিত পাঠক, লক্ষ্য করুন, ইসলামী বিধিতে ভাস্কর্য তৈয়ার করা হারেমে রক্ষিতা পোষার মতোই নিষিদ্ধ)। হারুন-উর রশীদের বাবা খলিফা আল মাহদী’র দরবারে একদিন এক গ্রীক ভাস্কর অনিন্দ্যসুন্দর এই ফোয়ারাটি নিয়ে হাজির হন। আল মাহদী তাকে জিজ্ঞেস করেন এমন ফোয়ারা সে আরো বানিয়ে দিতে পারবে কি না। “সানন্দে! চাইলে এমন আরো ১০০টা বানিয়ে দিতে পারবো”-উত্তর দেয় গ্রীক ভাস্কর। “এই কে আছিস, এই বিধর্মী কাফির শুয়োরটাকে শূলে চড়া এক্ষুণি”-হাঁক দিয়ে ওঠেন আল মাহদী। এর পর থেকে গোটা পৃথিবীতে এই ফোয়ারা এই এক খানাই আছে।
Profile Image for John Tobias.
25 reviews18 followers
Read
March 27, 2016
Classic as always. You owe it to yourself to try this book. I re-read this book every couple of years and it never gets old. My favorite bit is this:

Caliph: And now how shall we employ the time of waiting for our deliverance?
Jafar: I shall meditate upon the mutability of human affairs.
Masrur: And I shall sharpen my sword upon my thigh.
Hassan: And I shall study the reasons of the excessive ugliness of the pattern of this carpet.
Caliph: Hassan, I will join thee: Thou art a man of taste.
Profile Image for Martin Roberts.
Author 4 books30 followers
October 26, 2016
Plesant surprise to uncover this (now) little-known and almost forgotten gem. Wonderfully lyrical.
It was also somewhere between ironical and a relief to read of places such as Baghdad, Basra and Mosul as the stuff of legend and poetry, rather than gruesome war reports.
15 reviews
July 26, 2018
HASSAN: "Forget, forget? O rose of morning and O rose of evening, vainly for me shall you fade on domes of ebony or azure. This rose has faded, and this rose is bitter, and this rose is nothing but the world."


How sad that this play has been forgotten.
Profile Image for Zuberino.
427 reviews81 followers
July 4, 2020
Orientalist twaddle. Beautifully written, but twaddle all the same.

First read this back home in my 20s, because I remembered the words Flecker, Hassan and Samarkand from a kiddie book about explorers.
Profile Image for Sarthak Bhatt.
146 reviews6 followers
January 12, 2021
The last act was very elegantly written.

The play was beautiful and very poetic although i needed a dictionary by my side all the time(lol). Still i felt that I would have understood the gazals better if i had a literature teacher with me.
Profile Image for MrsPyramidhead.
66 reviews8 followers
April 20, 2016
Disappointing. I became interested in James Elroy Fleckers work after hearing The Golden Journey from In the Nursery's album Anatomy of a Poet. I guess I should've left it at that but after I had read another excerpt that is on an SAS (Special Air Service) clocktower in England I thought boy this guy can write. Most of the work included in this just isn't for me. I enjoyed The Golden Journey Prologue and Bryan of Brittany also parts of a couple others. I'd suggest avoiding this and just getting the CD or looking for ways to view the works for free as you may find more value in them then I did.
10 reviews1 follower
January 11, 2010
This is actually my favourite play. Flecker had a masterful touch and there is a rhetorical symmetry to the way that events unfold. The scene with the ghosts by the fountain is astonishingly well done. There's a rumour that Laurence Olivier wanted to make a movie of this but could never find a backer. I'm not at all surprised if he did. It's a beautiful piece of poetry that deserves to be brought to life.
Displaying 1 - 14 of 14 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.