দশ বছর পরে শিকাগো থেকে কলকাতায় এসেছে রুকু। পুরনো বাড়ি, কাকার পরিবার আর ঠাকুমা আছে। আছে আরেকজন। হারিয়ে যাওয়া খুব প্রিয় এক মানুষ। খুঁজতে শুরু করে সে। আর সেই অন্বেষণের মধ্যে দিয়ে ক্রমশ সামনে চলে আসে দশ বছর আগের রুকু। ওর জীবন। যেখানে তার মা ছিল। বাবাও ছিল। আর ছিল তোশানা। কিন্তু সবটাই কি আসলে ছিল? থাকলে এ ইদশ বছর পরের রুকুটা এতটা নিঃসঙ্গ কেন? কেন বার বার তোশানার কথা মনে পড়ে ওর? অতীতের ভুল বোঝাবুঝি কি মেটাতে চায় এখন? মোম-কাগজ জড়ানো আবছা সম্পর্কগুলো কি স্পষ্ট করতে চায়? আর এরই মধ্যে কী করে পুরনো বাড়ির দিকে হাত বাড়ানো প্রোমোটারকে সামলাবে সে? শিকাগোয় ফিরে যাওয়ার আগে দশ বছর আগের অর্ধেক গল্পটা কি সম্পূর্ণ করতে পারবে রুকু? একটা জীবনকে দু’ভাগ করে সামনে নিয়ে আসে এই উপন্যাস। নতজানু মানুষের ফিরে আসার গল্পকেও সামনে নিয়ে আসে। স্পষ্ট করে দেয় আমাদের ভালবাসাগুলো যা আমরাই অভিমান আর ভুল-বোঝাবুঝি দিয়ে মুড়ে রাখি মোম-কাগজে।
স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর জন্ম ১৯ জুন ১৯৭৬, কলকাতায়। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত। প্রথম ছোটগল্প ‘উনিশ কুড়ি’-র প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত। প্রথম ধারাবাহিক ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত। শৈলজানন্দ স্মৃতি পুরস্কার ২০১৪, এবিপি এবেলা অজেয় সম্মান ২০১৭, বর্ষালিপি সম্মান ২০১৮, এবিপি আনন্দ সেরা বাঙালি (সাহিত্য) ২০১৯, সানডে টাইমস লিটেরারি অ্যাওয়ার্ড ২০২২, সেন্ট জেভিয়ার্স দশভুজা বাঙালি ২০২৩, কবি কৃত্তিবাস সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩, উৎসব পুরস্কার ২০২৪, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড ২০২৪, আনন্দ পুরস্কার (উপন্যাস: '‘শূন্য পথের মল্লিকা') ২০২৫ ইত্যাদি পুরস্কারে সম্মানিত ।
গভীর কোনো দার্শনিক চিন্তা নয়, জীবন ও জগতের জটিল কোনো রহস্যের উন্মোচন নয়, মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নয়; স্মরণজিতের কাছ থেকে ঠিক এরকম জমজমাট গল্প প্রত্যাশা করি। লেখকের গুছিয়ে লেখার দক্ষতা প্রশ্নাতীত।
মানুষের আন্তরিকতার থেকে সুন্দর জিনিস খুব কমই আছে। কোর্টে যাওয়া আসা শুরু করেছি কাটায় কাটায় ১ মাস। পিউপিলেজের এই ছোট্ট সফরে দুই আন্টির সাথে পরিচয়। দুইজনই এত আন্তরিক। তাদের মধ্যে বন্দনা আন্টি একটু বেশি আদর। শান্তিনিকেতনি ভাষা নিয়ে যতই এ যুগের 'কুল' জাতি হাসাহাসি করুক, তার মুখে কথা শুনলে বোঝা যায় আসলে ভাষার সৌন্দর্যটা কোথায় লুকিয়ে আছে।আদর আদর বন্দনা আন্টি পহেলা বৈশাখের আগের দিন র্যাপিং করা দুই তিনটা প্যাকেট নিয়ে এসে আমাদের সবার মুখের সামনে দিয়ে বললেন, ' নিয়ে নাওতো যার যেটা পছন্দ, দেখি কার ভাগ্যে কি পরে।'
ও মা! খুলতেই দেখি সাগর পাবলিশার্স এর দোকান থেকে কেনা অরিজিনাল আনন্দের বই , ঝকঝকে তকতকে। অমিতের ভাগে পরলো গুন্টার গ্রাস , ফারির ভাগ্যে প্রিয় সুচিত্রাদির মিতিনমাসি, তৌফিকের হাতে বুদ্ধদেব বসু। আর আমার কপালে এসে জুটলো স্মরণজিৎ চক্রবর্তী নামের ভদ্রলোকের 'মোম-কাগজ'। আমি জীবনেও এই লেখকের নাম শুনিনি। অমিতের বইটার উপর নজর ছিল। পরে কি ভেবে রেখে দিলাম হাতে যেটা এসেছে সেটাই।
বইয়ের প্রথম পাতাতেই লেখা- 'পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা, আশীর্বাদান্তে বন্দনা আন্টি'। কি মিষ্টি! ঠিক করে ফেললাম দুই একদিনের মধ্যে পড়া শুরু করতেই হবে, করেও দিলাম। শুরুটা ভালই। কনটেম্পোরারি! ঝরঝরা। কাহিনী ভালও না , খারাপও না! চলে টাইপ। কিন্তু লেখাটা সহজ সাবলীল বলে পড়তে খুব আরাম লাগে। রুকু নামের একজনের অতীত-ভবিষ্যৎ প্রতি চ্যাপ্টারে চ্যাপ্টারে পালাবদল করে লেখা। সেইসাথে টুকটুক করে এগিয়ে যাওয়া কাহিনী। সবচেয়ে বেশি ভাল লাগার জায়গাটা হলো এই যে অতীত আর ভবিষ্যতের মসৃণ টান্সজিশন্টা। এত মসৃণভাবে এগিয়েছে যে বোঝাই যায়না। প্রেম আছে, বাস্তবতা আছে, টানাপড়েন আছে। কিন্তু একটা জায়গায় গিয়ে মনে হয় খুব বেশি ড্রামাটিক ভাবে কাহিনী আগাচ্ছে। মনে হয় যেন এটা উপন্যাস না হয়ে সিনেমা নাটকের গল্প হলেই বেশি মানায়। কিন্তু শেষটা গিয়েই একটা ধাক্কা মারলো। আনেক্সপেক্টেডলি এক্সপেক্টেড।
কনটেম্পোরারি নভেল লেখায় অপার ভারতের লেখকদের মুনশিয়ানা আছে এটা আমি স্বীকার করি। এই বইটাও তার সাক্ষ্যই রাখে । ভাল লাগলেও মনে হয় তাও কিছুটা পথ এখনো এই লেখকের পাড়ি দিলে বোধয় ভাল হবে।তারপরও ৪ তারা কারণ সাদামাটা কাহিনীর অন্যরকম সৌন্দর্য আছে। সামনে আরও সুন্দর সুন্দর বই পাবার আশা রাখছি, সেই সাথে বাকি বইগুলো পড়ে ফেল্বার ইচ্ছাও।
তোশানা ও রুক্মীনিকুমার মুখোপাধ্যায় ওরফে রুকু এই গল্পের মূল ক্যারেক্টার। রুকু বাবা মায়ের প্রেম ঘটিত বিয়ের অশান্তি কর সংসার জীবন দেখে নিজেকে প্রেম থেকে দূরে রাখতো কিন্তু হঠাৎ তোশানা নামের দমকা হাওয়া তার জীবনে প্রেমের জোয়ার এনে দেয়। সংসারিক অশান্তি ও জীবনের নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে যেতে একদিন রুকুর সামনে এক আশ্চর্য সত্যের মুখোমুখি হয় যা জানার পর তার কাছে গোটা পৃথিবীটাই উল্টে যায়।অন্যদিকে একটা ভুল বোঝাবুঝি রুকুকে আলাদা করে দেয় তোশানার থেকে। দেখতে দেখতে দশ বছর কেটে যায়, মাঝের সময়টাতে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। সময় পেরোলেও জীবনে আবার সুযোগ আসে সব কিছু ঠিক করার।
মোটামুটি ধরনের সাদামাটা জীবনের গল্প। প্রেম বা রোমান্স সেইভাবে জায়গা পায়নি। তবে একটা প্রশ্ন থেকে গেলো কে বা কারা রুকুকে মারতে চেয়েছিলো ? আর শেষপর্যন্ত তোশানার শেষপর্যন্ত কি হয় ?
#মোমকাগজ বইটি পড়লাম প্রাক্তনের জন্মদিনে|সম্পূর্ন বই জুড়ে মনখারাপের মেঘ জমে আছে|মনখারাপ কী বইয়ের কারনে ছিল না অন্য কারনে বুঝে উঠিনি|বাস্তবে গল্পগুলির শেষ মনখারাপ দিয়েই হয়|তাই,হয়ত দাদা শেষে লিখেছেন ,পিপারমিন্টের তুষারপাত ছাড়া বাকী সব কাল্পনিক|দাদার ব্যপারে যাই বলি কম বলা হবে|২ টো প্রশ্নই মনের মধ্যে আটকে আছে|
১)বাস্তব অনূভুতি কাল্পনিক ভাবে এত সুন্দর করে কীভাবে লেখা যায়?স্মরনজিত দাদা অনেক আগেই মন জয় করে নিয়েছেন|
Smaranjit Chakraborty is one of the best authors of this generation. He always captures and articulates human nature and modern day humane behavior with utmost finesse. I always enjoy reading him And this one was not an exception either.
Although, It left me unsatisfied in the end. I wish The author had explored The Kamal Doctor's character a little more.
The lead female character is not at all loveable. Absolutely no empathy for her. The hero, Ruku, is likeable.
It has been written in first person. The craft of writing is phenomenal. Easy, Lucid and enjoyable narrative. It never bored rather kept engaging me throughout the reading sessions.
The speciality of Smaranjit Chakraborty is that, each of his characters are very known to us. You can see all of them in your life and he excels to portrait the life of Kolkata. It's a story of a NRI who comes back to India after 10 long years. What is the reason for staying back in States of so long? Why he is so aloof? Does he really forgot how to love? These are the things, that drive you to read this novel. For me it was not an extraordinary novel, but it was a fairly good novel for one time read.
বহু বছরের পুরনো কোন সকালকে কী আবার ফিরে পেতে ইচ্ছে করে কিংবা ইচ্ছে করে জীবনের কোন এক বাঁকে হারিয়ে ফেলা কোন প্রিয়মুখকে আবার প্রাণপণে সর্বশক্তি দিয়ে কাছে টেনে নিতে।বাবার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমে ঢোলে পড়া কিংবা মায়ের আঁচল দিয়ে খাবারের পর শেষ জলবিন্দুটুকু মুছে নেয়া।নিঃসঙ্গ এ গ্রহে রাত নেমে আসে,বিকেল নুয়ে পড়ে সন্ধ্যার দিকে,পড়ন্ত কোন বিকেলের শেষ আভাটুকু মনের ভেতর উস্কে দেয় ধুলোপড়া,জংধরা কোন এক স্মৃতিকে। চাপা আর্তনাদে গলার ভেতর দলা পাকিয়ে আসে, চোখের জল পেয়ে বসে বাঁধ ভাঙার শক্তি।জীবনের খেরোখাতা খুলে বসি।পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় হাতড়ে বেড়াই সেই ফেলে আসা সকালটাকে, সেই হারিয়ে ফেলা প্রিয়মুখটাকে,হারিয়ে ফেলা বাবার কাঁধ টাকে, ফেলে আসা মায়ের আচলটাকে। জীবন রুকুকেও(রুক্মিণীকুমার মুখোপাধ্যায়) তাড়া করে বেড়ায়, তাইতো সে দশ বছর পর শিকাগো থেকে ফিরে আসে কলকাতায়, টুকরো টুকরো হয়ে পরে থাকা স্মৃতিগুলোকে কুড়িয়ে নিতে।ফিরে আসে কলকাতার সেই পুরনো ঘরটাতে যেটাতে একসময় মা ছিল,বাবা ছিল, কিন্তু জীবনের কোন এক মোহনা তাদের ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।সে ফিরে যেতে চায় তার প্রিয় মানুষটার কাছে যে তাকে একসময় ভৎসনার আগুনে দগ্ধ করে দূরে ছুঁড়ে ফেলেছিল।সে কি পারবে অনন্তকাল ধরে তার পিছু নেয়া স্মৃতিগুলোর সামনে গিয়ে দাড়াতে।জীবন কি খুলে দেবে মোম কাগজে মোড়ানো কোন এক অশরীরীকে...
সময় কারোর জন্য থেমে থাকে না; সে দশ মিনিটই হোক আর দশ বছরই হোক.. স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর লেখা উপন্যাসে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটা মূল বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে সময়, এক বা একাধিক সময়কালকে নিজের কলমের মধ্যে বেঁধে ফেলতে অত্যন্ত সাবলীল তিনি.. এই 'মোম-কাগজ' উপন্যাসের নায়ক রুকু শিকাগো থেকে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটে না.. চারপাশের যে ঘেঁটে যাওয়া জীবন ছেড়ে সে চলে গিয়েছিল; দশ বছর পরেও কি চারপাশ আর তেমনটা থাকে? রুকুর জীবনে দশ বছর সময়কালের আগে ও পরে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনা নিয়েই লেখক গড়ে তুলেছেন এই কাহিনীর পটভূমিকা.. তবে শুধু রুকু একা নয়; শাখা-প্রশাখা নিয়ে বেড়ে উঠেছে কাহিনীর পার্শ্বচরিত্ররাও.. সময়ের সরণি বেয়ে বদলে গেছে শহর কলকাতা আর সেখানে বাস করা মানুষজনও.. কিন্তু আজ পাল্টায়নি তোশানার চাহনি, ঠাকুমার ভালোবাসা আর খিটকমলের সেই সাইকেলের হর্ন.. পাল্টে যাওয়া এই দোষটা বছরে আজ বড় একা লাগে রুকুর.. বারবার রুকুর মনে হয় বোধহয় মা থাকলে এমনটা হত না.. দশ বছর পর ফিরে আসা এই নতুন জীবনে তোশানা কি পারবে আর রুকুকে ভালোবাসতে? রুকুই কি পারবে তার বাবার সব দোষ ক্ষমা করে দিতে? কাকা যা চাইছে রুকু কি পারবে তা দিয়ে যেতে? এইরকমই অনেক পারা না-পারার উত্তর আছে এই 'মোম-কাগজ' উপন্যাসে..
This book hit me hard. Mom-kagaj (which means Wax Paper) is one of those sad, beautiful stories about trying to fix your past before it completely ruins your future. The title itself is the perfect metaphor for the whole vibe of the book.
It has Ruku, who comes back to his old home in Kolkata after ten years living in Chicago. But he’s not just visiting family—he’s on a quiet, desperate mission to find someone he lost, a person named Toshana.
The way the book jumps back and forth between Ruku's lonely life now and the confusing mess of a decade ago is brilliant. It totally nails how we use things like misunderstandings, pride, and just plain silence to wrap up the people we care about most. They get blurry, fragile, and totally out of reach.
Seriously, this isn't just a search story. It's about Ruku finally saying, "Enough is enough," and deciding to stop living half a life. It's a humble, powerful reminder that you can always choose to unwrap those sealed connections and reclaim the love you thought was gone forever. Grab this one!
লেখনিতে কল্পনার অভাব পরিলক্ষিত হয়, এমনকি বাড়ির নম্বরেও, তাই পাঠককেও কি ঘটতে চলেছে তা বুঝতে কষ্ট করতে হয় না, যাই হোক গল্পটা ভালো, বেশীরভাগ মানুষেরই ভালো লাগবে, তবে ফ্ল্যাশব্যাক আর বর্তমান একসাথে বলতে গিয়ে মাঝে মাঝে খিচুড়ি করে ফেলেছেন... এখানে লেখক মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক, চাওয়া-পাওয়া এসব স্পষ্ট করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, পুরুষ ও নারীর একে অপরের প্রতি আগ্রহ ও তাদের পারস্পরিক চাওয়া-পাওয়া এবং অনুভুতি স্পষ্ট করতে পেরেছেন, তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রোমোটার রাজ ও তাদের শিকর বাংলায় কিভাবে গেড়ে বসেছে তা এবং তার ক্ষতিকারক দিক গুলি স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন... গভীর প্রেমের উপলব্ধির সাথে প্রচুর মনখারাপের অনুভুতি মিশিয়ে যে মিশ্রন তৈরী করেছেন তা জনপ্রিয় হওয়া স্বাভাবিক...
কাহিনী বাজে নয় , বেশ ভালই প্লট টি । কিন্তু রোমান্স বলতে তেমন কিছু নাই এই গল্পে । একদম ভালো লাগে নি তাদের প্রেম কাহিনী । মাঝে কিছুটা একঘেয়েমি ও হয়েছে বটে । আর যেভাবে সে তার বাবাকে ক্ষমা করে দিলো বিশ্বাস করা যায় না । মুখ্য চরিত্র যদিও অনেকবার কনস্ট্যানট থাকে নি আর অনেকসময় আমার তাকে হিপোক্রেট মনে হয়েছে। আর পুরো কাহিনী টি একটা খুব সামান্য ভুল বুঝার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ।
যাইহোক ফাইনালি শেষ করলাম আর ঠিকঠাক লাগলো খুব ভালো ও না বাজেও না। পরার যোগ্য বলতে পারো। এটা আমার দ্বিতীয় বই এই লেখকের তবে আগের বইটা ( পাতাঝরার মরশুমে) আমাকে হালকা বেশি ভালো লেগেছে ।
বলা হয়, উনি নাকি প্রেমের গল্প দারুণ লেখেন। এখানে রুকু আর তোশানার মধ্যে প্রেমটা কী করে হল সেটাই বুঝতে পারলাম না আমি। অন্ধকারে ধাক্কা খেয়ে প্রেম? সিরিয়াসলি? –_–
শেষ করে ফেললাম মোম-কাগজ। এটা আমার পড়া স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর প্রথম বই ।প্রেমের উপন্যাস ভেবে কিনেছিলাম, তবে প্রেম সেরকম কিছু আহামরি নেই। কিন্তু যে ভালো লাগেনি, সেটাও নয়! গল্পটা রুকুর, গল্পটা এক ভেঙে যাওয়া পরিবারের আর গল্পটা মন ভাঙা এক ছেলের আবার নতুনভাবে আপনজনদের ফিরে পাওয়ার। লেখকের ভাষা এত গোছানো ও সুন্দর যে এক সময় এই ভাঙা পরিবারটিকে দেখে গলার ভেতরটা কেমন যেন ভারী হয়ে উঠে। এককথায় বেশ লেগেছে পড়তে। ভবিষ্যতে লেখকের আরো অন্যান্য বই পড়ার ইচ্ছে আছে। ❤️❤️
এই উপন্যাস স্পষ্ট করে দেয় আমাদের ভালোবাসাগুলো যা আমরাই অভিমান আর ভুল-বোঝাবুঝি দিয়ে মুড়ে রাখি মোম - কাগজে । আমরা অনেকসময় রাগ করে কত মানুষের থেকে দূরে চলে যাই , ' অভিমান ' শব্দকে জিতিয়ে দিই আমরাই । ভুল বোঝাবুঝি কে পাথেয় করে জয়ের টীকা পরিয়ে দিই । একযুগ, দশ বছর পর শিকাগো থেকে ফেরে রুকু ওরফে রুক্মিণী মুখোপাধ্যায়। রুকু বুঝতে পারল দশ বছর আগের কলকাতা এবং এখন কলকাতার মধ্যে আকাশপাতাল তফাৎ । কিন্তু সে বুঝতে পারে তার পুরোনো কিছু অনুভূতি মনের মধ্যে টাটকা । কেমন আছে সেই অভিমান করে ছেড়ে যাওয়া মানুষগুলো। আসলে রুকু বুঝতে পারে সে অভিমান করার ভান করেছিলো মাত্র। কালকাতা আসার পর শুধু তোশনাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে সে । সেই আগের বন্ধুবান্ধব সবাই পাল্টে গেছে, সে শুধু খুঁজে বেড়াচ্ছে আগের সেই রুকুকে । বাবা মায়ের ঝামেলা, রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া ; সবকিছু এক লহমায় মনে পড়ে সে বুঝতে পারে সে সবকিছু সময়ের সাথে সাথে হারিয়েছে। নিজেকে একা করেছে ইচ্ছেতেই । কিন্তু রুকুর দায়িত্ববোধ, শ্রদ্ধা নজর কাড়ে। আশা ছিল তোশনা - রুকুর মেলবন্ধন দিয়ে উপন্যাস শেষ হবে। লেখক সেই আশায় ইতি টেনে দিয়েছেন । মনে প্রশ্ন নিয়ে উপন্যাস শেষ হয় - রুকুকে কে মারতে চেয়েছিল? তোশনার সাথে কি আদৌ মেলবন্ধন ঘটেছিল ?
Smaranjit er lekha guli chirokaal-e mon kharap kore dai. Majhkhan-a Tnaar lekhar jonne mon kharap hochchilo/thik jomchilo na, kintu 'mom-kagoj' er sathe sathe abar shei lekha guli pore mon kharap er din guli fire ashlow...
স্মরণজিতের লেখা দেখলেই খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি। আফসোসের বিষয় হল আজকাল দেশ-আনন্দলোক-সানন্দা তিনটের যে কোন একটায় উপন্যাস লেখেন, আরেকটায় হয়ত ছোটগল্প। আরও কিছু পড়ার জন্য খুঁজি,পাই না। বরাবরের মতই, ছিমছাম কাহিনী। দুটো সময়কাল জুড়ে একই চরিত্রদেড় নিয়ে গল্প এগিয়েছে,পড়তে দারুণ লেগেছে।