বিয়ের সন্ধ্যায় দানসামগ্রীর মধ্যে নড়বড়ে ওয়ার্ডরোব দেখে ছিছিক্কার তুলেছিল দেবারতির শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়রা। সেই শুরু। ছিছিক্কার তার সঙ্গে নানাভাবে লেগে রইল সাতটি বছর। কৈশোরে সে ভালবেসেছিল ঋতবানকে। মানুষ মানুষকে ছেড়ে যায়, এই উপলব্ধি ঋতবানই দেয় তাকে। সে-ও শুরু করে ছেড়ে যাবার খেলা। নীল, সঞ্জয়দা, শুভাশিস, অমিতেশদা, সুশান্ত জানা– একের পর এক মিথ্যে সম্পর্কের মধ্যে থাকতে থাকতে সে আবিষ্কার করে কী নিদারুণ ব্যর্থ সে! কী ভীষণ একা! মেধা থাকা সত্ত্বেও, আত্মনির্ভরতার তীব্র ইচ্ছা সত্ত্বেও সে এক ঘোরের মধ্যে এসে দাঁড়ায় অন্ধকার ভবিষ্যতের মুখোমুখি। একটি ছোট বেসরকারি সংস্থার চাকরিতে তিক্ত অভিজ্ঞতায় পূর্বাপর না ভেবে নীলকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। বিয়ের পর নীলকে ভালবাসতে চেয়েছিল দেবারতি কিন্তু পারেনি শেষ পর্যন্ত। নিরন্তর প্রতারণা এবং অবমাননার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে একদিন হঠাৎ সে পেয়ে যায় এক আশ্চর্য অনুভবের জগৎ। সৃষ্টিশীলতা ধরা দেয় তার হাতে। সে লেখে একের পর এক কবিতা। লেখে উপন্যাস। সেসব প্রকাশ করতে গিয়েও এমনকী দেখে সে সম্পাদক লোকটির ঘৃণ্য লোভাতুরতা। অন্তহীন একাকিত্বের মধ্যে সে কেবল মৃত্যুর পরিকল্পনা করে। নির্বিকার দেখে অর্থলোভে নীলের অধোগমন। এবং একদিন, নিজের কাছেই নিজের মনুষ্যত্ব প্রমাণের জন্য সে ঘুরে দাঁড়ায়। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সঙ্গে করে ছেড়ে যায় নীলকে। শুরু হয় তার অন্যতর একাকী জীবন।
Tilottoma Mojumdar is an Indian Bengali novelist, short story writer, poet, lyricist, and essayist. She writes in the Bengali language. She was born in North Bengal, where she spent her childhood in tea plantations. She was educated at the Scottish Church College at the University of Calcutta.
তিলোত্তমা মজুমদার-এর জন্ম ১১ জানুয়ারি ১৯৬৬, উত্তরবঙ্গে। কালচিনি চা-বাগানে। ইউনিয়ন একাডেমি স্কুলে পড়াশোনা। ১৯৮৫-তে স্নাতক স্তরে পড়তে আসেন। কলকাতায়, স্কটিশ চার্চ কলেজে। ১৯৯৩ থেকে লিখছেন। পরিবারের সকলেই সাহিত্যচর্চা করেন। সাহিত্যরচনার প্রথম অনুপ্রেরণা দাদা। ভালবাসেন গান ও ভ্রমণ। ‘বসুধারা’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার (১৪০৯)। ‘একতারা’-র জন্য পেয়েছেন ডেটল-আনন্দবাজার পত্রিকা শারদ অর্ঘ্য (১৪১৩) এবং ভাগলপুরের শরৎস্মৃতি পুরস্কার (২০০৭)।
✨📖 উপন্যাসের নাম - একতারা📖✨ ✍️লেখক - তিলোত্তমা মজুমদার 🖨প্রকাশক - আনন্দ পাবলিশার্স 📖পৃষ্ঠা সংখ্যা - 237
💫📚 মেধা ও আত্মনির্ভরতার তীব্র ইচ্ছা সত্ত্বেও দেবারতি এক ঘোরের মধ্যে এসে দাঁড়ায় অন্ধকার ভবিষ্যতের মুখোমুখি । একটি বেসরকারি সংস্থার চাকরিতে তিক্ত অভিজ্ঞতায় পূর্বাপর না ভেবে নীলকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় সে । এরপর নিরন্তর প্রতারণা এবং অবমাননার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে একদিন হঠাৎ সে পেয়ে যায় এক আশ্চর্য অনুভবের জগৎ । সৃষ্টিশীলতা ধরা দেয় তার হাতে। 📚💫
💫📚বিয়ের সন্ধ্যায় দানসামগ্রীর মধ্যে নড়বড়ে ওয়ার্ডরোব দেখে ছিছিক্কার তুলেছিল । দেবারতির স্বশুরবাড়ির আত্মীয়রা । সেই শুরু । ছিছিক্কার তার সঙ্গে নানাভাবে লেগে রইল সাতটি বছর । কৈশোরে সে ভালবেসেছিল ঋতবানকে । মানুষ মানুষকে ছেড়ে যায় , এই উপলব্ধি ঋতবানই দেয় তাকে । সে - ও শুরু করে ছেড়ে যাবার খেলা । নীল , সঞ্জয়দা , শুভাশিস , অমিতেশদা , সুশান্ত জানা— একের পর এক মিথ্যে সম্পর্কের মধ্যে থাকতে থাকতে সে আবিষ্কার করে কী নিদারুণ ব্যর্থ সে ! কী ভীষণ একা । মেধা থাকা সত্ত্বেও , আত্মনির্ভরতার তীব্র ইচ্ছা সত্ত্বেও সে এক ঘোরের মধ্যে এসে দাঁড়ায় অন্ধকার ভবিষ্যতের মুখোমুখি । একটি ছোট বেসরকারি সংস্থার চাকরিতে তিক্ত অভিজ্ঞতায় পূর্বাপর না ভেবে নীলকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় সে । বিয়ের পর নীলকে ভালবাসতে চেয়েছিল দেবারতি কিন্তু পারেনি শেষ পর্যন্ত । নিরন্তর প্রতারণা এবং অবমাননার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে একদিন হঠাৎ সে পেয়ে যায় এক আশ্চর্য অনুভবের জগৎ । সৃষ্টিশীলতা ধরা দেয় তার হাতে । সে লেখে একের পর এক কবিতা লেখে উপন্যাস । সেসব প্রকাশ করতে গিয়েও এমনকী দেখে সে সম্পাদক লোকটির ঘৃণ্য লোভাতুরতা । অন্তহীন একাকিত্বের মধ্যে সে কেবল মৃত্যুর পরিকল্পনা করে । নির্বিকার দেখে অর্থলোভে নীলের অধোগমন । এবং একদিন , নিজের কাছেই নিজের মনুষ্যত্ব প্রমাণের জন্য সে ঘুরে দাঁড়ায় । অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সঙ্গে করে ছেড়ে যায় নীলকে । শুরু হয় তার অন্যতর একাকী জীবন ।📚💫
আমি দেবারতির মধ্যে দিয়ে বেচেঁ থাকার একটা ক্ষীণ কারন খুঁজে পেয়েছি। এরকম প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে জীবনের বাজি জিততে দেখেছি। আমাদের সবার মধ্যে দেবারতি লুকিয়ে আছে তাই বিভিন্ন কষ্ট ,দুঃখ, ব্যাথা, বেদনা অপমান সবকিছুই সহ্য করে এখনো আমরা বেচেঁ আছি আমাদের বেচেঁ থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। একদম শেষের দিকে ভেবেছিলাম হয়তো সে হার মেনে নিতে চাইছে কিন্তু না সে মানেনি। নিজের আত্মসম্মান এর সাথে আপোষ না করে আমাদের সবাই কে বেচেঁ থাকার নতুন রাস্তা দেখিয়েছে।
ধন্যবাদ জানাই লেখিকা কে এত্তো সুন্দর একটা বই রচনা করার জন্য।