যাযাবরদের ক্যারাভান এটা। ঘুরে বেড়ায় এখানে ওখানে। কোনো গন্তব্য নেই। মেয়ে দুটো বড় হয়েছে যাযাবরদের এই তাবুতেই। একটা মেয়ে একটু ভাবুক। সূর্যের দিকে তাকিয়ে প্রায়ই ভাবে কোথায় যাচ্ছি? একদিন দলপতিদের কাছে গিয়ে বলল সে, ভুল পথে চলেছি আমরা। - প্রমাণ? - ওই যে সূর্যটা দেখুন। আর ওই যে তারাগুলো। - উহু, এটাই ঠিক পথ। এ পথেই আমাদের পূর্বপুরুষেরা ঘুরে বেড়াতেন। মেয়েটা উদভ্রান্তের মতো ঘুরল আরও কয়েকদিন ক্যারাভানটার সাথে। তারপর বুঝল এই নিরুদ্দেশ যাত্রা পরিণাম ভয়াবহ। এপথ ভুল পথ। সে জানে তার একটা নীড় আছে--কোথায় সেই নীড়? সেই নীড়ে ফেরার একটা পথ আছে। কোন সেই পথ? বিশাল দিগন্তে অভিযাত্রী দুই বোন। সংগ্রাম মুখর এক পর্যটন। কীভাবে ফিরেছিল তারা নীড়ে? ফেরার পরিক্রমায় স্বাগতম।
সম্পাদিকা, মা, এবং গৃহিণী৷ তিন সন্তান৷ ভবিষ্যতে সন্তানদের আলোকিত মানুষ, সত্য পথের যোদ্ধা হিসেবে তৈরী করবেন—এই স্বপ্ন তাঁর৷ এ বিশাল ডামাডোলের মাঝে ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটিতে ব্যাচেলরস অফ এডুকেশনে পড়ার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন বটে৷
দুই বোনের খ্রিষ্টান থেকে ইসলাম ধর্মে ফেরা নিয়ে গল্প।। আমার যেমন ভাল লেগেছে, আমার আম্মুর ও ভাল লেগেছে বইটা....
আসলে এই বই থেকে একটা ব্যাপার বুঝলাম যে, যার ইসলাম নিয়ে জ্ঞান যত বেশি তার ঈমান তত শক্ত।। so, ইসলাম ধর্ম নিয়ে খুব পড়াশোনা করা উচিত।
এই মেয়েটা যেভাবে অন্য ধর্ম থেকে এসে ইসলাম ধর্ম নিজের মধ্যে ধারণ করে এবং ইসলাম নিয়ে জ্ঞান অর্জনে নিজেকে ব্যস্ত রাখে, আমরা ইসলাম ধর্মে জন্ম নিয়েও মেয়েটার ছিটেফোঁটাও পালন করি না.....
বইটাতে শিখার আছে অনেক কিছু!! অনেক ভাল ভাল কিছু message আছে বইটাতে। পড়তে recommend করলাম 🌻
নিজেকে নতুন করে ভাবতে পারলাম। অনুভব করল এত সুযোগ সুবিধা পেয়েও জীবনের কত সময় হেলায় নষ্ট করলাম। ইনশাহআল্লাহ, পথভ্রষ্টতা আর নয়। ।।।।।। কিছু কথা : ১০ টার উপরে Online Book Selling Shop এ যোগাযোগ করার পরও কেউ বইটি দিতে পারে নি। পাই নি বইয়ের স্বর্গ বলে খ্যাত নিলক্ষেত এবং বাংলাবাজারে। এমনকি মূল প্রকাশক এর সাথে যোগাযোগ করলে তারা "Market Out" বলে দিল। আর কখনও হয়ত বইটি reprint (পূনমুুদ্রণ) হবে না, কারন Organization টার Publication Department (সরোবর প্রকাশন) সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবে প্রায় ১০/১১ দিন অন্বষণের পর হঠাৎ খুলনার একটি বইয়ে দোকানে পেলাম আকাংক্ষিত বইটা। সাথে সাথেই অর্ডার। আসল দামের থেকে ডাবল টাকা Bkash (First Bkash in my life) করলাম। বইটি পরে মনে হল, এই কষ্টগুলো সার্থক হল।
যে কেউ সত্যনিষ্ঠার সাথে, নিজের কামনা-বাসনার উর্ধে গিয়ে জীবনের সঠিক পথের,সঠিক উদ্দেশ্যের সন্ধান করে তাকে আল্লাহ অবশ্যই সাহায্য করেন।এ বইটি যেন এরই প্রমাণ।
বইটি যদিও খৃষ্টধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া দুই বোনের কাহিনী।তবুও এতে যেকোনো ধর্মের অনুসারীদের জন্যে অনেক চিন্তার খোরাক রয়েছে ইন শা আল্লাহ।বইটি তার মুসলিম পাঠকদেরকেও ঈমান যে কত বড় নেয়ামত তা উপলব্ধি করতে ও ঈমানের বিভিন্ন দাবি পূরনের ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে সহায়তা করবে ইন শা আল্লাহ।
ইসলামিক সাহিত্য সম্পর্কিত বই পড়া হয় কি? বইটির রিভিউ শুরু করার আগে একদম ভিন্ন একটা বিষয় নিয়ে একটু কথা বলি। কোনো এক বিচিত্র কারণে আমরা ইসলামিক বই তেমন একটা পড়তে চাই না। এবার হোক সেটা ইসলামিক ইতিহাস, ইসলামিক সাহিত্য কিংবা কোনো বায়োগ্রাফি। অন্য ধর্মের সাথে সম্পর্কিত এমন ধারার বইগুলো আমরা সাহিত্য হিসেবে গ্রহণ করে নিলেও ইসলামিক বই গুলো নিয়ে কেনো যে আমাদের মধ্যকার এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব তা সত্যি আমার জানা নেই। যাকগে, বইয়ের প্রসঙ্গে আসি। "ফেরা" বইটি মূলত দুই বোনের নীড় খুঁজে পাবার গল্প, প্রশান্তি খুঁজে পাবার গল্প। কিভাবে স্টেফানি হয়ে উঠে সিহিন্তা শরীফা তার গল্প এটি। বাবা নব্যখৃষ্টান ও মা গোড়া ক্যাথলিক রোমান খ্রিস্টান - এই ধরণের পরিবারে জন্মেও, ছোট থেকে গোড়া খ্রিস্টান হিসেবে বড় হয়েও শুধুমাত্র আত্ম-অনুসন্ধান ও প্রচুর পড়ার মাধ্যমে , হ্যা শুধু পড়ার মাধ্যমে যে প্রকৃত দ্বীনের সন্ধান খুঁজে পাওয়া যায় তার আখ্যান এই বইটি। বইটিতে উঠে আসে মুসলিম হবার সময়কার তার সংগ্রাম, বাধা বিপত্তির মুখে অটল থাকা, মানসিক চাপ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আল্লাহর সহায়তা। আমার সবচেয়ে হতবাক লাগে এটি দেখে যে তিনি দ্বীনের সন্ধানে কেমন আপোষহীন ছিলেন এত কঠিন ও কষ্টদায়ক পরিবেশেও। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে সাহায্য করেছেন প্রত্যেক পদে পদে। তার খ্রিস্টান মৃত মেজো মামার বাড়িতে চতুর্থ শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বই খুঁজে পাওয়া- এই অসম্ভব ঘটনাটি আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আর কিই বা হতে পারে! পরিশেষে যে বিষয়টি আমার সবচেয়ে দুঃখজনক লাগে তা হলো জ্ঞানের অভাবে আমাদের দেশের মুসলিমদের দুর্দশা ও করুন পরিস্থিতি। এই জন্মগত কিন্তু নামধারী মুসলিম সমাজের পশ্চিমাদের অনুসরণ ও অনুকরণে এবং নিজেদের সত্তা নিয়ে লজ্জায়, লেখিকা যেনো বাকহীন। সত্যি তো, পরিবারের চাপে ইসলাম পালনকারী মুসলিমদের মধ্যে অন্তর থেকে ইসলাম পালন করছে কয়জন? বইটি পড়ে আত্মসমালোচনা ও আত্ম উপলব্ধির সৃষ্টি হয়। শুধু মুসলিম নয়, প্রকৃত দ্বীনের সন্ধানকারী প্রত্যেকেই একবার এই বইটি যেনো পড়ে দেখেন।
This entire review has been hidden because of spoilers.
বইটা মূলত দুই খ্রিস্টান বোনের ইসলাম এর পথে আসা এবং তাদের ইসলাম গ্রহণের পূর্বের, অপ্রকাশিত ভাবে ইসলাম পালনের ও ইসলামের ছায়াতলে আসার পরের এক মহিমান্বিত গল্প। কিন্তু এর বাইরেও বইটিতে আলোড়ন সৃষ্টি কারী কিছু বিষয় আছে যা আপনার মনের জানালায় নাড়া দিয়ে যাবে আমি নিশ্চিত। বইটিতে খুবই স্পষ্ট ভাবে দেখানো হয়েছে যে আমরা যারা বাপ্-দাদার ধর্ম হিসেবে ইসলাম কে পেয়েছি এবং নাম মাত্র মুসলমান। তারা কি পর্যায়ে ইসলাম পালন করছি। ইসলাম ই নিয়ম কানুন থেকে, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল (সঃ ) থেকে কতটা দূরে চলে গেছি।
আলহামদুলিল্লাহ! সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর যিনি এই অসাধারণ বইটি পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।
দুই খ্রিষ্টান পিঠাপিঠি বোনের ইসলামে ফেরার ম্যাজিকাল গল্প ফেরা। তাদের প্রতিটা দিন, প্রতিটা জার্নি যেন চোখের সামনে ভাসছিলো বইটি পড়ার সময়। অদ্ভুত মায়াময় সে ভ্রমণ। চোখে পড়ছিলো অন্য ধর্মের অসারতা আর ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব। একই সঙ্গে চোখ এড়ায় নি শ্রেষ্ঠ ধর্মের মধ্যে থেকেও হতভাগ্য নামধারী মুসলমানরা। আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুন।
দুই বোনের ভাষ্যে ফেরা বইটি দারুণ উপভোগ্য ছিলো। তাদের বিশুদ্ধ আবেগ তাদের লেখায় এনেছে নিষ্পাপ সারল্য। অদ্ভুত সুন্দর এক সত্যি গল্পের জগতে স্বাগতম। ফেরা পড়ে আমরা সকলেই ফিরে আসি সত্য সুন্দর শাশ্বত জীবনে সেটাই মহান আল্লাহর কাছে দুয়া করি।
প্রতিদিন আমরা অসংখ্য গন্তব্যে ফিরি। তবে চূড়ান্ত গন্তব্য একটাই, জীবনের গন্তব্য। একমাত্র সততা নিয়ে যারা সেই গন্তব্যের খোঁজ করে তাদের সৃষ্টিকর্তা সে দিকেই ধাবিত করে এবং সে যে ধর্মেরই মানুষ হোক। ফেরা বইয়ের দুই লেখিকা তেমন দুজন মানুষ, যারা খুঁজে পেয়েছিল জীবনের গন্তব্য। আমরা কি খুঁজি জীবনের গন্তব্য? দু বোন���র গল্প আমাদের বদলের শিক্ষা দেয়, শিক্ষা দেয় কি ভাবে বদলে যেতে হয়। খ্রিস্ট ধর্ম থেকে উঠে এসে ইসলামকে আলিঙ্গন করার অপরূপ এক গল্প ফেরা।
আমার জীবনে পড়া সবচেয়ে সুন্দর বইগুলোর একটা। One of the most beautiful books I’ve read in my life. Jazaki Allahu Khairan Lisan, for lending me this book.
৩.৫/৫ এক মুসলিম যুবক, এক খ্রিষ্টান মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করে। বিয়ের জন্য ছেলেটিও খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহন করে। তাদের ঘরে জন্ম নেয় দুটি মেয়ে সন্তান। জন্ম সূত্রে তারাও খ্রিষ্টান। কিন্তু এক সময় তাদের হেদায়েত পাওয়ার সৌভাগ্য হয়। মহান আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দান করেন। শুরু হয় কঠিন পথচলা। খ্রিষ্টান পরিবারে থেকে ইসলাম পালন করাও মোটেও সহজ ছিলো না। পালন করার চেয়েও কঠিন কাজ ছিলো একটি খ্রিষ্টান পরিবারে থেকে ইসলাম সম্পর্কে শেখা, কিভাবে নামাজ পড়তে হয়, হালাল-হারাম, কোরয়ান শিক্ষা। মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন, সমাজ, নানান বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। দুই বোনের ইসলামে ফেরার সেই বন্ধুর পথের গল্পই এই বইতে বলা হয়েছে। সাহিত্যের দিক থেকে বাক্য গুলো বা গল্প বলার ধরণ হয়তো অনেকের পছন্দ না-ও হতে পারে, তবে আমার মনে হয় বইটা কারও কতোটা ভালোলাগবে এটা নির্ভর করছে পাঠকের ইমান কতোটা দৃঢ়, তার উপর।
আমরা যারা জন্মসূত্রে মুসলিম তারা যে কতো সৌভাগ্যবান তা কি আমরা উপলব্ধি করতে পারি? আমরা নামাজ পড়লে আমাদেরকে কেউ বাধা দেয় না। কোরয়ান পাঠ করলে কেউ বকা দেয় না। ইসলাম সম্পর্কে জানতে শিখতে আমাদের কোনো বাধা নেই। এরপরও এতো বড় নেয়ামতকে আমরা গুরুত্ব দিই না। বাপ দাদার ধর্ম হিসেবেই পালন করি, নিয়ম রক্ষার জন্য পালন করি। প্রকৃতপক্ষে আমরা কয়জন মন থেকে ইসলামকে ভালোবাসি? ইসলামকে জানার চেষ্টা করি? মুসলিম হিসেবে জন্ম নিলেও প্রকৃতপক্ষে আমাদের নীড়ে ফেরা এখনও বাকি!
আমরা যারা আলহামদুলিল্লাহ্ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি এবং এখনও নিজেদেরকে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিই, আমার কাছে মনে হয়েছে তাদের জন্য একটি মহা কঠিন প্রশ্ন হচ্ছে এই বইটি।
মুসলমান কি কেবল নামেই? নাকি কাজেও তার পরিচয় পাওয়া যাবে? তার সমগ্র কথাবার্তায় ও কি তার পরিচয় পাওয়া যাবে না?
আল্লাহ্ আমাদেরকে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করিয়েছেন তার জন্য আমরা কতটুকুই বা তার কাছে কৃতজ্ঞ? একজন মুসলমানের প্রতি কেন অন্য ধর্মের মানুষের অনেকেরই রয়েছে ঘৃণা, তা আমার কাছে মনে হয় একদম চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো হয়েছে বইটিতে।
এবার আসি মূল প্রসঙ্গে, বইটির মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে ২ জন বোনকে নিয়ে। যারা জন্মগতভাবে খ্রিস্টান। যাদের মা খ্রিস্টান এবং বাবা ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান। তাদের বাবা হয়ত আমাদের বর্তমান অনেক মুসলিমদের জন্য একটি বড় উদাহরণ যে, আমরা আল্লাহ্কে কতটুকুই বা ভালবাসতে পেরেছি। এটা ভাবতেও অনেক কষ্ট যে, আমরা হয়ত আল্লাহ্কে ইবাদত করি কেবলমাত্র আমাদের বাবা-মা বা আমাদের পূর্বপুরুষ করেছে এজন্য। আর এ কারণেই হয়ত যখন আমাদের সামনে ইসলামের কোন একটি বিষয় আলেমগণ ভুল দেখিয়ে দেয় আমরা তা মেনে নিতে রাজি থাকি না, ঐ যে আমাদের বাবা-মা এভাবে করেছে আমরা কেন পরিবর্তন করব?
কোন একজন আলেম ( সম্ভবত ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ) বলেছিলেন যে, একজন অমুসলিম যখন মুসলিম হয় তখন তার ঈমান অন্য সাধারণ মুসলিম থেকে বেশি হয়। কারণ সে জেনে বুঝে তারপর ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হয়েছে।
কিন্তু আমাদের জন্মগত মুসলিমদের মাঝে হয়ত ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা করাটাকে তেমন গুরত্বই দেয়া হয় না। আলোচ্য বইয়ে এই বিষয়টি দেখা যায় যে, কীভাবে ইলম অর্জনের মাধ্যমে ২ জন বোনের বড় বোন ইসলাম সম্পর্কে আসল ধারণা পেলেন। তাদের নানা সংগ্রাম হয়ত যেকোনো মুসলিমের চোখ দিয়ে পানি ঝরে পড়ার জন্য যথেষ্ট।
রোজার দিনে তাদের লুকিয়ে রোজা রাখা সত্যিই এক কষ্টদায়ক ব্যাপার। তাদের লুকিয়ে লুকিয়ে ইসলাম পালন ছিল সত্যিই করুণ। না পারছে তারা তাদের মাকে বলতে, না পারছে সইতে। অবশেষে আল্লাহর রহমতে তাদের কষ্টের পরিসমাপ্তি ঘটে বড় বোনের বিয়ের মাধ্যমে। সে এক বিশাল ঘটনা। কিন্তু এরপর ছোটবোনের ও অনেক কষ্ট হয়। অতঃপর তারও মুসলিম পরিবারেই বিয়ে হয়। পুরো গল্পটি কেবল রিভিউ দ্বারা হয়ত কখনোই লেখা সম্ভব না। আমার কাছে মনে হয় বইটির রিভিউ বইটি নিজেই।
প্রতিটি মুসলিমের জন্য ইনশাআল্লাহ্ অনেক উপকারে আসবে। সময় পেলেই পড়ে ফেলার জন্য অনুরোধ রইল। ইনশাআল্লাহ্ অনেক কিছুই জানতে পারবেন ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়ে।
অসাধারণ একটা বই। এখানে দুই বোনের খৃষ্টান থেকে মুসলমান হওয়ার গল্প। তাদের সংগ্রাম ও ত্যাগের কথাও উল্লেখ আছে। আমি মনে করি মুসলিম অমুসলিম সবার একবার হলেও পড়া উচিত।
আলহামদুলিল্লাহ, বইটা পড়ার পর থেকে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। বইটাতে সিহীন্তা শরিফা এবং নাইলাহ আমাতুল্লাহ নিজেদের ইসলাম গ্রহনের জার্নিটা শেয়ার করেছেন। এক ওয়াক্ত নামাজ কিংবা একটা রোজা রাখার জন্য তাদের যে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তা দেখে বারবার মনে হচ্ছিল, আমরা যারা বাই বর্ন মুসলিম তাদের জন্য জন্য দ্বীন পালন করা কতই না স��জ। আরেকটা জিনিস বুঝতে পেরেছি, ইসলামে জ্ঞানার্জনের কোন বিকল্প নেই। যাই হয়ে যাক না কেন, পথভ্রষ্টতা আর নয়। তাছাড়া বইটার লেখনশৈলী অসাধারন। এক বসায় পুরোটা পড়ে শেষ করেছি। গল্প দুটো খুবই হার্ট টাচিং। আশা করছি ওঁনারা ভবিষ্যতে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর বই উপহার দেবেন।
বইঃ ফেরা লেখিকাঃ সিহিন্তা শরীফা, নাইলাহ আমাতুল্লাহ সম্পাদনাঃ শরীফ আবু হায়াত অপু শরঈ সম্পাদনাঃ সানাউল্লাহ নজির আহমেদ প্রকাশনীঃ সমকালীন প্রকাশন দুইবোনের ইসলামে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা দ্বারা প্রকাশিত হয় ফেরা বইটি। সিহিন্তা শরীফার গল্প দিয়ে শুরু হলেও নাইলাহ আমাতুল্লাহ এর ঘটনাও যে এর সাথে জড়িত তা প্রথমে বুঝতে পারিনি। এমনিতেও নন ফিকশন বই পড়তে হলে রীতিমত প্রস্তুতি নিয়ে বসতে হয় আর যদি তা হয় ইসলামী বই তাহলে তো কথাই নেই। খ্রিষ্টধর্ম থেকে ইসলামে ফিরে আসা দুইবোনের অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে বইটিতে। সিহিন্তা শরীফা ও নাইলাহ দুইবোনের বাবা ইসলাম ধর্ম থেকে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে। কিন্তু দুই বোন এক সৃষ্টিকর্তার খোজে কোন ধর্মে কিনারা না পেয়ে অবশেষে সত্যধর্ম ইসলাম গ্রহণ করে। যারা জন্মসূত্রে ইসলাম ধর্ম পেয়েছেন তাদের মধ্যেও অনেকেই ইসলাম ঠিকভাবে পালন করেন না এই বিষয়টিই আমার অনুভূতিতে সারা জাগিয়েছে বইটি। পশ্চিমা সভ্যতা অনুসরণ করতে গিয়ে ইসলামে অপশনাল হিসেবে রাখছি আমরা। দুইবোন তাদের মুসলিম সহপাঠীদের সঙ্গত্যাগ করেন। কেননা তারা শুধু শুক্রবারের নামাজকে ইসলাম বলে মানছে অথবা জুম্মার নামাজ আদায় করাতেই ইসলামকে সীমাবদ্ধ রাখছে। নানা ধরনের প্রতিকুলতা স্বত্তেও ইসলামের প্রতি অকৃত্তিম ভালবাসার টানে কিভাবে দিনযাপন করেছেন তারা দুইবোন বইটি থেকে জানা যাবে। বইটা সহজ এবং সুখ পাঠ্য সাথে চিন্তার খোরাক জাগাবে।
বাবা সাধারণ মুসলিম পরিবারের একজন ছিলেন। তিনি খ্রিস্টান পরিবারের একজন মেয়ের সাথে সম্পর্ক করেন। মাকে বিয়ে করার জন্য বাবা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। বিয়ের পর জন্ম নেই আমরা দুই বোন এক ভাই। খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম হওয়ায় সাধারণ খ্রিস্টান রিতীমতই আমরা বড় হতে থাকি। একসময় সত্যের সন্ধানে মুখোমুখি হতে শুরু করি সত্যিকার ধর্মের অনুসন্ধান। এই অনুসন্ধানে আল্লাহ তায়ালা আমাদের দুই বোন কে হেদায়েত দান করেছেন। আমরা আলোর পথ খুঁজে পেয়েছি ইসলামে। সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বেছে নিয়েছি ইসলাম ধর্ম। "ফেরা" (সারমর্ম) এই মেয়েটা অন্য ধর্ম থেকে এসে ইসলাম ধর্ম যেভাবে পালন করছে আমরা ইসলাম ধর্মে থেকেও এর ছিটেফোঁটা পালন করি না। এই বইটি পড়ে একটি ব্যাপার বুঝলাম যার ইসলাম নিয়ে জ্ঞান যত বেশি তার ঈমান ততো বেশি শক্ত। ইসলাম নিয়ে খুব সুন্দর মেসেজ রয়েছে বইটিতে। এবং শেখার আছে অনেক কিছু।
পার্সোনাল রেটিং ৪/৫ _মাহিদ
This entire review has been hidden because of spoilers.
“আল্লাহ যাকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে চান, তাকে সত্যের জন্য তাঁর হৃদয় খুলে দেন।” — (সূরা আল-আন'আম ৬:১২৫)
বয়সের সাথে সাথে আমাদের জ্ঞান বাড়ে, চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটে, আশেপাশের জিনিসগুলো নিয়ে আমরা ভাবতে শুরু করি। কখনো কখনো পুরনো জিনিস গুলোই আমাদের সামনে নতুন করে ধরা দেয় বা বলা ভালো, নতুন রূপে ধরা দেয়। অনেক কিছুই আমাদের কাছে সঠিক মনে হয় না। ধরা যাক ধর্মের কথা। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ অহরহ আছে যারা এক ধর্ম থেকে আরেক ধর্মে রূপান্তরিত হচ্ছে, ধর্মবিদ্বেষী হয়ে উঠছে। এমনই দুজন ধর্মান্তরিত মুসলিম বোনের গল্প এই “ফেরা” বইয়ে উঠে এসেছে। যারা বয়স আর জ্ঞানের বিস্তৃতির সাথে সাথে জীবনে নতুন পথ, নতুন আলো খুঁজে পেয়েছেন।
স্টেফানি ছোটবেলা থেকে একজন ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান। ছোট থেকেই তার স্বধর্মের প্রতি ছলি অগাধ আনুগত্য আর শ্রদ্ধা। পরিবারের অন্যরা নামে ধর্মপালন সঠিকভাবে না করতে পারলেও স্টেফানি ছিল ব্যতিক্রম। তার ছোট বোনও অবশ্য তারই মতো ছিল। স্টেফানির স্কুলে তার অন্য হিন্দু, মুসলিম সহপাঠীরাও ছিল। মুসলিম সহপাঠীদের মিলাদ পড়া দেখে সে খুব মজা করত। দাড়িওয়ালা কাউকে দেখলে তাচ্ছিল্যের সুরে কথা বলত। আজান শুনে সেটাকে মজা করে পুনরাবৃত্তি করত। কিন্তু একদিক থেকে স্টেফানি ভালো ছিল। সে সবসময় বই পড়ার মধ্যেই ডুবে থাকত। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার মা তাকে বাড়ির বাইরে যাওয়া থেকে আটকাতো। এর পেছনেও অবশ্য বিশাল কাহিনি আছে৷ স্টেফানির বাবা একজন মুসলিম ছিলেন। পরবর্তীতে প্রেমের টানে খ্রিষ্ট ধর্মে রূপান্তরিত হয়ে স্টেফানির মাকে বিয়ে করেন৷ এজন্য স্টেফানি যে তার অন্যান্য মুসলিমদের সাথে মিশে উল্টো মুসলিম হয়ে যাবে না, এর ভরসা নেই। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু ঘটতে পারে।
এসবের জন্যই মূলত স্টেফানির বাসা থেকে বের হওয়া হতো না। আর অগত্যা বাসায় এমনি বসে থেকে তো লাভ নেই। তাই সবসময় বইয়ের মধ্যেই ডুবে থাকত সে। সবকিছু এমনিতে ভালোই চলছিল কিন্তু তার সকল ধরে বই পড়া হলেও নিজ ধর্ম নিয়ে কখনোই পড়া হয়নি। ছোট থেকে আশেপাশে দেখে যা শিখেছে, তাইই অন্ধের মতো পালন করত। কিন্তু এখন তো জানতে হবে নিজের ধর্মকে! এরমধ্যে একটা বাইবেলও তার সংগ্রহে চলে আসলো। কিন্তু সেটাই হলো তার কাল। সে যতই সামনে পড়ছে ততই অবাক আর বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাচ্ছে। এসব সে কী পড়ছে? ছোট থেকে এতদিন ধর্মীয় যেসব রীতিনীতি, উৎসব পালন করে আসছে সেগুলোর ছিটেফোঁটাও তো বাইবেলে নেই। বরং রয়েছে উল্টো। এখানে মূর্তিপূজা করতে নিষেধ করা হয়েছে কিন্তু তারা ছোট থেকেই মূর্তিপূজা করছে। শূকরের মাংসা খেতে নিষেধ করা আছে কিন্তু সেটা তার অন্যতম প্রিয় খাবার। এসব কি তার বাবা, মা, আত্মীয় স্বজনরা জানে না? জানলে কেন তার বিপরীত কার্যকলাপে উদযাপিত হয় তাদের উৎসব? সবাই কি অন্ধ?
এখান থেকেই শুরু হয় স্টেফানির নতুন জগতে চলা। জ্ঞানের দুনিয়ায় গা ভাসানো, নতুন কিছুর সন্ধান। মন যেন সর্বদা কোনোকিছুর জন্য আকুল। শান্তি নেই। আশেপাশে কাউকে ধর্মপালন করতে দেখলেও রাগ হত। এরা কি আসলেই ধর্ম সম্পর্কে কিছু জানে? তাদের ধর্ম যে নিতান্তই মানুষ দ্বারা তৈরি, তা কি এরা বোঝে না? নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করে?
এই গল্পটা দুই বোনের। যারা অনেক অনেক সংগ্রামের মাধ্যমে ইসলামে প্রবেশ করেছিল। তাদের সেসব সংগ্রাম, মানসিক কষ্ট, হাজারো বাধার গল্প জানতে হলে বইটি পড়ে ফেলতে হবে। এই বইটিকে আমি কোনো উপন্যাস কিংবা গল্পের বই বলার চেয়ে স্মৃতিকথন বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব। কারণ এখানে গল্পের পরিবর্তে তাদের জীবনের সংগ্রাম নিয়েই কথা হয়েছে। গল্পে যেমন একটা ধারাবাহিকতা, অবজেক্টের বর্ণনা ইত্যাদি থাকে এই বইয়ে সেসব নেই। এখানে লেখিকারা তাদের নিজের মতো করে লিখে গিয়েছেন। তবে এটার জন্য যে গল্পের স্বাদ হারিয়ে গিয়েছে কিংবা গল্পের প্রতি আমি আকর্ষিত হইনি, ব্যাপারটা এমন না। বরং এভাবে লেখার কারণেই বেশি ভালো লেগেছে। যেটা একদম সত্য ও বাস্তব সেটাই পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে তুলে ধরেছেন। ফলে বাড়তি মেদ নেই। উল্টো সংক্ষেপে তাদের জীবনের ছোট ছোট গল্পগুলো জানতে পেরেছি।
বলে রাখা ভালো, এই বইয়ের যে দুজন লেখিকা তাদের নিজেদের জীবনের গল্পই কিন্তু এই বইয়ে রয়েছে। আমার রিভিউ পড়তে গিয়ে আমার গোলমাল পাকিয়েন না। যাকগে, আলোচনায় আসা যাক। একজন বিধর্মী যখন ইসলাম ধর্মে আসে তখন কিন্তু সে সবকিছু জেনেশুনেই আসে। তারা ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয় বেশি। কিন্তু আমরা যারা জন্মগত মুসলিম তাদের সিংহভাগ মানুষের মধ্যে নিজেদের ধর্ম নিয়ে জানার স্পৃহা নেই। এই গল্পে যে জিনিসটা আমার কাছে সবচেয়ে খারাপ লেগেছে, বলা যায় যেটা আসলে বাস্তব, তা হলো এই বোনেরা তার আশেপাশের মুসলিমদের দেখে কখনোই ইসলামে��� প্রতি আকর্ষিত হয়নি। উল্টো যখন তারা ইসলামের প্রাথমিক বিষয়গুলো ও ইবাদাহগুলো সম্পর্কে জেনেছে তখন দেখেছে যে তার পরিচিত বা আশেপাশের মুসলিমরা এসব পালন করা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামায় না। উল্টো যেসব ইসলামে নিষেধ সেগুলোই বুক ফুলিয়ে করে বেড়ায়।
তো আমি যেটা বোঝাতে চাচ্ছি সেটা হলো, আমরা নিজেরাই ইসলাম সম্পর্কে ঠিকমতো জানি না। তাহলে আমাদের উপর যে অন্য ধর্মের মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার এক গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা কীভাবে আমরা পালন করব? কোথায় কেউ ইসলামে আসতে চাইলে তাদেরকে গিয়ে আমরা সাহায্য করব, তা না বরং আমাদের দেখে কোনো মানুষের মনে ইসলাম সম্পর্কে যে ভালো ধারণাটুকু থাকে সেটাও নষ্ট হয়ে যায়। তাই আগে আমাদের ঠিক হতে হবে। লেখিকা নিজেও বইয়ের শেষে এই সম্পর্কে একটু কথা বলেছে।
এই বোনেদের গল্প পড়তে গিয়ে ছোটখাটো কিছু বিষয় সামনে আসবে ইসলামের নীতিমালার মধ্যে। এগুলো পড়ার সময় আমি নিজেও ভাবছিলাম যে আসলে আমি এসব নিয়ে কতটুকু জানি? এই বোনেরা যতটুকু মনোযোগ নিয়ে সালাত আদায় করে আমি সেরকম সালাত শেষ কবে আদায় করেছি, জানি না। অথচ আল্লাহ আমাকে দ্বীন সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান দিয়েছেন। এই যে ইসলাম একটা পূর্ণ জীবনব্যবস্থা, এই জীবনব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা কতটুকু অবগত। অতসব বাদ যাক, আমরা সাধারণ ইবাদাহগুলো সম্বন্ধেই ভালোমত অবগত নই। আসলে এতসব কথা বলছি কারণ আমার নিজের উপর আফসোস হচ্ছে। এই জাতির উপর আফসোস হচ্ছে। হায়!
সবশেষে, এই বইটি পড়তে আমি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করব। বিশেষত যারা ইসলামিক বই পড়তে পছন্দ করেন তাদের বলছি। বইটা শুধু পড়ার জন্যই পড়বেন না৷ বরং পড়ার সময় ছোটখাটো যেসব কথা, ঘটনা উঠে আসবে সেগুলো উপলব্ধি করতে চেষ্টা করবেন। প্রতিটা জিনিস কল্পনায় দেখবেন। এরপর নিজেকে প্রশ্ন করবেন সেই অবস্থায় আপনি থাকলে কি করতেন? উত্তর সন্তুষ্টিজনক হলে ভালো, আর না হলে এর উত্তর আপনার কাছেই।
দুই বোনের কাহিনী যারা খ্রিস্টান থেকে ইসলামের পথে এসেছে। বইটা পড়ে এমন অনেক বিষয় জানলাম যা আগে জানতাম না। যদিও জানতাম শেষ পরিনতি কী হবে কিন্তু প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটা উত্তেজনা কাজ করছিল– এরপর কী হয়! বেশ কিছু জায়গায় ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম।
দুই বোনের কাহিনী পৃথকভাবে দেয়া হয়েছে। সিহিন্তা আপুর লেখা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো লেগেছে। কিন্তু নাইলাহ আপুর বর্ণনার ধরন প্রথম দিকে ভালো না লাগলেও তার কাহিনী পড়েই বেশি ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম। সত্যিই মানুষের বাস্তব জীবনের গল্প ফিকশনকেও হার মানায়।
This book retells the story of two former-Christian sisters finding their path back to Islam. Written in the style of autobiographies, the story goes through how the sisters perceived Islam in their childhood, how they came to know about the true Islam, and the challenges they faced on their path to God. This is a good read for everyone.
একটি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী পরিবারে বেড়ে ওঠে ইসলামের ছায়াতলে হেদায়াতপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে আসতে যে কি পরিমাণ দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয় তা জন্মসূত্রে ইসলামি পরিবেশে বেড়ে ওঠে কখনই উপলব্ধি করা সম্ভব নয়, তবুও এই বইটির মাধ্যমে সেই দুর্বিষহ দুর্গম পথযাত্রার কিছুটা খন্ড চিত্র উপলব্ধি করার সুযোগ হয়েছে। হেদায়েত একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।
দ্বিতীয়বারের মতো বইটা পড়লাম। জন্মগতভাবে ইসলামকে ধর্ম হিসেবে পাওয়া মানুষদের জন্যও এতে শিক্ষা রয়েছে। যারা অন্যধর্ম থেকে ইসলামে ফিরে এসেছেন তাদের জার্নি সবসময় আমাকে অভিভূত করে। গল্পের ছলে দুই বোনের মুসলিমাহ হওয়ার ইতিহাসটুকু মুগ্ধ করেছে আমাকে।