This work of monumental research is atreatise on Ayodhyã with utmost authenticity and absolute accuracy. Based on original sources and scientific investigation; it propounds a new thesis, which demolishes many popular perceptions. It exonerates the intrepid warrior Babur from the charge of demolishing a temple on the birth-site of Rãma and constructing the mosque which has been a source of contention and dissension for long. It further shows how inscriptions in the mosque were fictitious and Mir Baqi of inscriptions is a fictitious person different from Baqi Tashkindi/Shegawal of the Baburnama. The book produces incontrovertible evidence which indubitably proves that there existed a Rãma temple on the Rãmajanmabhùmi. The exact birthplace of Rãma was earmarked by a rectangular Vedi measuring 18 ft. 9 inches in length and 15ft. in width, and was located in the inner portion of the disputed shrine. The demolition of the temple and the construction of the mosque did not take place in 1528 A.D. but in c. 1660 A.D. when Fedai Khan was the Governor of Aurangzeb at Ayodhyã. It is a historical fact that until the British takeover of Awadh administration in 1858 both the Hindus and Muslims used to perform puja and offer Namaz respectively inside it. All Mughal Emperors from Babur to Shah-Jahan were magnanimous and liberal rulers and the Bairãgìs of Ayodhyã enjoyed the patronage of the first four Nawabs of Awadh. However, during the long rule of Aurangzeb, the country was engulfed in the fire of fanaticism. It has been shown in this book how an absolutely unfounded rumour in 1855 A.D. that the Hanumangarhi temple was constructed on the site of a mosque created the cleavage between the two communities, and the resultant festering wounds have not healed despite best efforts by saner elements of both the communities. The book exposes many eminent historians’ hypocrisy and their lack of certitude in writing history and it may be said that their presentation of contrived history on Ayodhya has caused irreparable damage to the cause of harmonizing communal relations in the country. In contrast; this text earnestly tries to takeaway the toxin from the polluted body ofIndian politics. For the first time, a number of unexplored documents have been incorporated in this book as evidence, and it may be proclaimed with pride that this book contains much more information on Ayodhya than available hitherto. Justice G.B. Patnaik, a former Chief Justice of India, after going through the manuscript; has endorsed the author's thesis in his Foreword. It is hoped that the book will put a quietus to the long-standing dispute.
i read this book last year. I recently came to know that this book was used in Supreme court in Ram Lalla case. Even Rajiv Dhavan (advocate) who was representing Muslim side got frustrated that he torn this book. Such a shame that lawyer lose his cool in court. Anyway read this book. This book is quite an exhaustive account on Ayodhya. Highly recommended
বইটির অসামান্য হয়ে ওঠার সমস্ত উপাদান ছিল হাতের কাছেই। সুশীলতার কৃমি সহসাই কুটকুটিয়ে উঠলো লেখকের নিতম্বাগ্রে। ফলস্বরূপ, বইটি partly brilliant !
ভারতের এক প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্ট চীফ জাস্টিস এই বই সম্পর্কে বলছেন --
"All said and done, the author has given a new dimension to the history of Ayodhya and his valuable contribution to the subject will be of a great assistance to research scholars as well as the people of India who can have a meaningful debate at a burning subject. I have no doubt that this book will be of great assistance to the research scholars in history, and common man desirous of knowing about Ayodhya and existence of temple there which is believed to be the birth place of Lord Rama. The writer deserves commendation for his in-depth study and scientific analysis on which he has based his conclusions..."
এক্কেবারে myopic বিশ্লেষণ।
বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রামের জন্ম অযোধ্যায়।
কিছু মানুষের কথায়, বাবরি মসজিদ যেখানে ছিল ঠিক সেখানেই রামচন্দ্র জন্মেছিলেন। সেখানে রামের মন্দির ধ্বংস করে বাবর মসজিদ বানিয়েছিলেন। সেই ‘বাবর-ই-মসজিদ’। বিরোধীরা বলছেন, এ গল্প ১৮ শতকের।
তার আগে রাম জন্মভূমির কোনও ‘প্রমাণ’ কেউ দেখাননি।
মির বাকি ছিলেন বাবরের সেনাপতি। তিনি নাকি মন্দির ভেঙে মসজিদটি তৈরি করেন ১৫২৮-’২৯ সালে।
ভারতের পুরাতাত্ত্বিক বিভাগ মসজিদের নীচে একটি মন্দিরের অংশ খুঁজে পায়। ১৮৫৯ সালে ইংরেজ সরকার একটি পাঁচিল দিয়ে হিন্দু-মুসলমানের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা ঠিক করে দেন। হিন্দুরা পাঁচিলের বাইরে পুজো দেবে, আর মুসলমানেরা ব্যবহার করবে পাঁচিলের ভিতরে মসজিদের অংশ।
মহন্ত রঘুবীর দাস প্রথম মামলা করেন ফৈজাবাদ জেলা আদালতে। মসজিদের বাইরে রামচবুতরার উপরে একটি চন্দ্রাতপ বা ছাউনি তৈরির জন্য আদালতের সম্মতি চান তিনি। ফৈজাবাদ আদালত কিন্তু সম্মতি দেয়নি। আবেদন বাতিল করেছে। সেটা ১৮৮৫ সাল।
এই বইটি বালের , বুঝলেন পাঠক?
লেখক বলছেন :
"Mr. Kunal has successfully proved that the common belief that the temple at Ram Janambhoomi was demolished by Babur is erroneous. He has established that the mosque, Babari Masjid, was never built by Babar..."
এবং,
"According to the writer all this happened during the reign of Aurangzeb some time in 1660 and Babar had no role to play. This book establishes the fact that Babar practised religious tolerance and he was not a fanatic."
আরেকটু পিছনে ফেরা যাক।
১৪০১ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর তাতার সৈন্যরা যখন দামাস্কাস গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, এক সমাধিসৌধের গম্বুজ— আদল অযোধ্যার মতোই কিছুটা— দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন আমির তৈমুর গুরিগান, দুনিয়া জুড়ে যিনি তৈমুর লঙ্গ নামে কুখ্যাত।
ভেঙে ফেলবার আগে সঙ্গের চিত্রকরকে নির্দেশ দেন ওই গম্বুজের একটা নকসা দ্রুত এঁকে নিতে।
সমরখন্দে ফিরে অতিকায় মসজিদ তৈরির সময় গম্বুজের ওই আদলটিকে আরও অপরূপ করে তোলেন তিনি। তাঁর প্রধান বেগম বিবি খানুমের মসজিদে আজও শোভা পাচ্ছে তেমনই একটি গম্বুজ, ছুঁচলো-শীর্ষ, সবুজ পাথরে মোড়া।
গোটা ট্রান্স-অক্সিয়ানা জুড়ে গম্বুজটি জনপ্রিয় হতে হতে উত্তরে মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ১৫২৬-এ ইব্রাহিম লোদিকে যুদ্ধে হারিয়ে তৈমুরের অধস্তন ষষ্ঠ পুরুষ জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবর যখন দিল্লি-আগ্রার দখল নেন, তাঁর এবং সঙ্গীদের মাথায় তত দিনে গেড়ে বসেছে দুনিয়ার একদা-সেরা শহর সমরখন্দের ছবি, তার নির্ভার অথচ রাজকীয় স্থাপত্যগুলি।
তার ওই গম্বুজ।
এবং নানা স্থাপত্যের শোভাবর্ধন করে পূর্ব-বিশ্বে গম্বুজটির সেরা অবস্থান শেষ পর্যন্ত তাজমহলের শীর্ষদেশে।
আঠারোটি তথ্য দেওয়া হলো , যেগুলির একটিও এই বইয়ের লেখক হয় ধর্তব্যের মধ্যে আনেননি, অথবা আনলেও নমঃ নমঃ করে গাঁদা ফুল ছিটিয়ে প্রসঙ্গান্তরে গিয়েছেন।
১) মসজিদের গাত্রে খোদিত বিবরণ থেকেও জানা যায়, বাবরের ইচ্ছানুসারে সেনাপতি মীর বাকী ১৫২৮-২৯ খ্রীষ্টাব্দে মসজিদটি নির্মাণ করেন। ব্রিটিশ আমলে নথিভুক্ত হওয়া যত সরকারি দস্তাবেজ আছে যা U.P. District Gazetteers, Faizabad নামে পরিচিত; কংগ্রেস রাজ্য সরকারের দ্বারা পুনর্মুদ্রিত হয়েছিল। ১৯৬০ সালে, পুনর্মুদ্রিত এই সকল দস্তাবেজগুলি থেকে জানা যায় যে, ৯৩৫ হিজরি সনে (১৫২৮ খ্রিষ্টাব্দে) জহির-উদ-দিন মহম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকী সেখানে রাম মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ গড়েছিলেন।
২) তবে, বাবরের জীবনীগ্রন্থ ‘বাবরনামা’য় মসজিদ বা মন্দির ধ্বংসের কোন উল্লেখ পাওয়া যায় না। তুলসীদাসের ‘রামচরিতমানস'(১৫৭৪) বা আবুল ফজল ইবনে মুবারকের ‘আইন এ আকবরী’ (১৫৯৮)-তেও মসজিদের উল্লেখ নেই।
৩) ১৬১১ খ্রীষ্টাব্দে, একজন ইংরেজ পর্যটক উইলিয়াম ফিঞ্চ অযোধ্যা ভ্রমণে আসেন এবং তার বর্ণনায় ‘রামচন্দ্রের প্রাসাদ ও মহলের অবশিষ্টাংশ’ দেখেছেন, এই মর্মে নথিভুক্ত করেন। তিনি প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ স্থলে পাণ্ডাদের তীর্থযাত্রীদের বিবরণ লিখতে দেখেছিলেন। তাঁর বিবরণীতে মসজিদের কোন উল্লেখ পাওয়া যায় নি।
৪) ১৬৩৪ খ্রীষ্টাব্দে, থমাস হারবার্ট ‘পুরনো একটি রামচন্দ্রের প্রাসাদ’ এর বর্ণনা দেন। যেখানে তিনি এই স্থানকে একটি ‘বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য’ প্রাচীন মনুমেণ্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনিও লেখেন যে, তিনি ওই স্থানে ব্রাহ্মণদের তীর্থযাত্রীদের বিবরণ নথিভুক্ত করতে দেখেছিলেন।
৫) ’অযোধ্যা রিভিজিটেড’ এর লেখক ও গবেষক কিশোর কুনালের বক্তব্য, ঔরঙ্গজেবের গভর্ণর ফিদাই খান ১৬৬০ সাল নাগাদ মসজিদটি নির্মাণ করেন। ঔরঙ্গজেব অযোধ্যায় অনেকগুলি মন্দির ধ্বংস করেছিলেন।
৬) ১৬৭২ খ্রীষ্টাব্দ,নাগাদ এই স্থানে মন্দির ভেঙে মসজিদের উপস্থিতির অনুমান করা যায়। কারণ, লাল দাস রচিত ‘আওয়াধ বিলাসা’ (১৬৭২)-য়, তিনি জন্মস্থানের উল্লেখ করলেও সেই স্থানে কোনপ্রকার মন্দির বা প্রাসাদের উল্লেখ করেন নি।
৭) ১৭১৭ খ্রীষ্টাব্দে, মুঘল রাজপুত সোয়াই জয়সিংহ এই স্থানের পরিবেষ্টক ভূমি ক্রয় করেন এবং তাঁর নথিপত্রে মসজিদের উপস্থিতির প্রমাণ রয়েছে। জয়সিংহের নথিপত্র রাজস্থানের জয়পুরের সিটি প্যালেস মিউজিয়ামের কাপাড় দোয়ার সংগ্রহে জমা আছে। সাথে বাবরি মসজিদ স্থলের একটি স্কেচও আছে। এই স্কেচে একটি মুক্ত প্রাঙ্গণ, যেখানে মন্দিরের তিনটি শিখরের স্থাপত্য দেখা যায়, যেগুলি বর্তমানের বাবরির তিনটি গম্বুজের অনুরূপ। এই প্রাঙ্গণটিকে রামের জন্মস্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং একটি ‘রাম চবুতরা’ হিসাবে দেখানো যায়। স্থাপত্যের কেন্দ্রীয় অংশটিকে ‘চাঠি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যা জন্মস্থলের সাথে যুক্ত।
৮) খ্রীষ্টান মিশনারী জোসেফ স্টিফেনথ্যালার যিনি ১৭৬৬-১৭৭১ এর মধ্যে ভ্রমণে আসেন, তিনি লিখেছেন, হয় ঔরঙ্গজেব নতুবা বাবর, রামকোট দুর্গ এবং ঘর যেখানে হিন্দুদের মতে, রামের জন্ম হয়েছিল, তা ধ্বংস করেন। তিনি আরো বলছেন, সেই স্থানে মসজিদ নির্মিত হলেও হিন্দুরা একটি কর্দমাক্ত স্থান, যেটিকে রামের জন্মস্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেখানে প্রত্যহ পূজা-পাঠ করতেন।
৯) বস্তুত, মুঘল সম্রাটরা জনরোষের ভয়ে মসজিদটি সম্পূর্ণ নির্মাণ করতে পারেন নি। ওজু করার স্থান এবং মিনারেট স্থানের নির্মাণকার্য অসমাপ্ত থেকে যায়।
১০) হিন্দুদের ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত করার জন্যে হানাদার বাবরের নাতি মুঘল সম্রাট আকবর ওই বিতর্কিত স্থানের ‘সীতা কি রসুই’ এবং ‘রামলালা বিরাজমানে’ হিন্দুদের পুজোর অনুমতি দেয়।
১১) ১৭৮৮ খ্রীষ্টাব্দে ফরাসি ইতিহাসবিদ জোসেফ বারনউলির বই ‘ডেসক্রিপটো ইণ্ডিকা’ প্রকাশিত হয়। তার মতে, ঔরঙ্গজেব অযোধ্যার রামকোট নামক প্রাসাদ এবং সেই ঘরট���, যা রামের জন্মস্থল হিসেবে পরিচিত ছিল, বিধ্বস্ত করে সেখানে বাবরি মসজিদ তৈরি করিয়েছিল। মন্দির ধ্বংস করার পর পাওয়া সামগ্রী দিয়েই মসজিদ ন���র্মিত হয়েছিল, যার তিনটি গম্বুজ আজও দৃশ্যমান।
১২) ১৮১০ খ্রীষ্টাব্দে, ফ্রান্সিস বুকানন এই স্থান পরিদর্শন করেন এবং জানান, যে স্থাপত্য ধ্বংস করা হয়েছে তা কোন সাধারণ বাড়ি নয়, রামের মন্দির ছিল। অধিকাংশ সূত্রের মতে, এই মন্দির ধ্বংস করার পর উক্ত মসজিদটি নির্মিত হয়।
১৩) ১৮৩৮ খ্রীষ্টাব্দে, ব্রিটিশ সমীক্ষক মণ্টেগোমারি মার্টিন লিখেছেন, উক্ত মসজিদের গম্বুজগুলি মন্দির থেকে নেওয়া হয়েছে। ঐতিহাসিকদের একাংশ যেমন বামপন্থী ঐতিহাসিক আর এস শর্মা, যা মানতে অস্বীকার করেন এবং বিবৃতি দিয়ে জানান যে, মন্দির ধ্বংসের দাবী নাকি অষ্টাদশ শতাব্দীর পরে উত্থাপিত হয়েছে! যাই হোক, ওনার যুক্তিটি, প্রাপ্ত তথ্যসমুহের নিরিখে একান্ত অকেজোই বলা চলে।
১৪) ১৮৫৮ তে ব্রিটিশ আমলে অযোধ্যার কোতয়ালীর দস্তাবেজে, ইন্সপেক্টর শীতলা প্রসাদ দুবে, ওই স্থানকে ‘মসজিদ – এ – জন্মস্থান’ বলে উল্লেখ করেন। ১৮৫৮ সালের ৩০শে নভেম্বর বাবরি মসজিদের মুয়াজ্জিন মুহম্মদ আসগরও একটি প্রার্থনাপত্রে বাবরি মসজিদকে ‘মসজিদ –এ – জন্মস্থান’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ১৯৪০ পর্যন্ত এই শব্দবন্ধটিই ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে কায়েমী স্বার্থের কারণে শব্দটির ব্যবহার বন্ধ হয়ে শুধু বাবরি মসজিদ শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়।
১৫) ব্রিটিশ শল্য চিকিৎসক এডওয়ার্ড ব্যালফোর ১৮৫৮ সালে প্রকাশিত Encyclopedia of India and of Eastem and Southern Asia লিখেছেন যে, “অযোধ্যায় অন্তত তিনটি মসজিদ আছে, যেগুলি তিন হিন্দু মন্দির ভেঙ্গে তার ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে রাম জন্মস্থান সবচেয়ে বিখ্যাত, কিংবদন্তী অনুসারে সেখানে রামচন্দ্রের জন্ম হয়েছিল।”
১৬) ব্রিটিশ সার্ভেয়ার P. Carnegie ১৮৭০ সালে প্রকাশিত A Historical Sketch of Tehsil Fyzabad with old capitals Ayodhya and Faizabad, Lucknow গ্রন্থে লিখেছেন যে, ‘রাম জন্মভূমির অত্যন্ত সুন্দর একটি মন্দির ভেঙ্গে বাবর সেখানে মসজিদ গড়েছিলেন। সেই মন্দিরের অনেক কিছুই মসজিদের ভেতরে এখনও অপরিবর্তিত অবস্থায় আছে।’
১৭) ভাই মণি সিংহ ১৭৩০ সালে ‘পথি জনম সাক্ষী’ শীর্ষক রচনায় লিখেছেন নানক পায়ে হেঁটে অযোধ্যায় আসেন এবং শিষ্য মর্দানাকে বলেন – “হে মর্দানা! এহ আজুধিয়া নগরী শ্রী রামচন্দ্র জি কী হ্যায়, সো চল, ইসকা দর্শন করিয়ে!” আবার শিখ সাহিত্যিক ভাই বালা ‘ওয়ালা জনম সাক্ষী’ উল্লেখ করেছেন, গুরু নানক নাকি তার শিষ্যকে বলছেন, “ভাই বালা! ইহ নগরী শ্রী রামচন্দ্র জি কী হ্যায়, এথে শ্রী রামচন্দ্র জি নে অবতার ধার কে চরিত্র কিতে হায়, সো দেখ কে হি চলিয়ে”। এই রচনা ১৮৮৩ সালে পুনর্মুদ্রিত হয়েছিল।
১৮) অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ঔরঙ্গজেবের পৌত্র প্রথম বাহাদুর শাহের কন্যা দ্বারা রচিত,’সাহিফা ই চিহিল নাসিহা বাহাদুর শাহী’ বইটি থেকে জানা যায়, মথুরা, অযোধ্যা, বেনারসের হিন্দু স্থাপত্যকীর্তি এবং উপাসনাস্থল ভেঙে বহু মসজিদ নির্মিত হয়। হিন্দুরা অযোধ্যার এই ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরগুলিকে ‘সীতা রসুই’, ‘হনুমানের গৃহ’ বলে অভিহিত করতেন।
আর কিছু বলার নেই।
বইটির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলুম ব্লার্বের নিম্নলিখিত দু'টি পয়েন্ট পড়ে:
১) The book produces incontrovertible evidence which indubitably proves that there existed a Rãma temple on the Rãmajanmabhùmi.The exact birthplace of Rãma was earmarked by a rectangular Bedi measuring 18 ft. 9 inches in length and 15ft. in width and was located in the inner portion of the disputed shrine.
২) The demolition of the temple and the construction of the mosque did not take place in 1528 A.D. but in c. 1660 A.D.when Fedai Khan was the Governor of Aurangzeb at Ayodhyã.
কিন্তু যে অংশটি ব্লার্বের দ্বিতীয়াংশে দেওয়া রয়েছে তা দেখলে হয়তো সময়ের অপচয় করতুম না। লেখক বলেছেন :
"It is a historical fact that until the British takeover of Awadh administration in 1858 both the Hindus and Muslims used to perform puja and offer Namaz respectively inside it..."
এবং আরও চমৎকারভাবে লিখলেন
"All Mughal Emperors from Babur to Shah Jahan were magnanimous and liberal rulers and the Bairãgìs of Ayodhyã enjoyed patronage of the first four Nawabs of Awadh."
লেখক নিজের ইচ্ছামতো ন্যারেটিভ সাজিয়েছেন। অল্প কথায়।
তিনি বলছেন যে ১৯৪৯ সাল, গোরক্ষনাথ মঠ থেকে ৯ দিন একটানা রামচরিত মানস পাঠ চলল।
পাঠশেষে ২২ ডিসেম্বর অখিল ভারতীয় রামায়ণ মহাসভার তরফে হিন্দু সন্তদের নেতৃত্বে মসজিদের দরজা ভেঙে ভিতরে রাম-সীতার মূর্তি বসিয়ে দেওয়া হল। গোটা ঘটনাটি ঘটে দ্বিগ্বিজয় নাথের নামে।
প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দিয়েছিলেন মূর্তি সরিয়ে দিতে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন জানায়, সেটা করতে গেলে সাম্প্রদায়িক গন্ডগোল শুরু হয়ে যাবে। বরং তারা মসজিদ তালা মেরে বন্ধ করে দিচ্ছেন, যাতে ভিতরে কেউই না ঢুকতে পারে। পুজোআচ্চার ব্যবস্থা করতে না পারে।সেই বন্দোবস্ত মেনে নেওয়া হয়। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড আর অখিল ভারতীয় রামায়ণী মহাসভা পরস্পরের বিরুদ্ধে আদালতে যায়। আর পুরো বিষয়টি বিচারবিভাগের আওতায় চলে যায়।
এরপর ১৯৮৯ সাল। বিজেপি তাদের সম্মেলনে প্রস্তাব গ্রহণ করে রামমন্দির নিয়ে। আর ১৯৯০ সালে আডবাণী গুজরাতের সোমনাথ মন্দির থেকে শুরু করেন তাঁর রথযাত্রা। বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু হয়। আডবাণী গ্রেফতার হন বিহারে।
শেষতম লাইনদু'টি পড়লেন তো পাঠক ?
লেখক সবচাইতে downplay করেছেন এই অধ্যায়টি।
ঘটনাবলী তো দিনের আলোর মতো স্পষ্ট --
১৯৮৪ সালে বাবরির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সংযোজিত হয়। জাতীয় কংগ্রেসের পর এক নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান হয়। ভারতীয় জনতা পার্টি। তার সঙ্গে গোটা দেশে মাথাচাড়া দেয় হিন্দুত্ববাদ। ভগবান রামের জন্মভূমিকে অশুভ শক্তি থেকে ‘মুক্ত’ করার ডাক দিয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে গঠিত হয় রাম মন্দির কমিটি। তার পুরোধা করা হয় বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানীকে।
ঠিক দু’বছর পর জেলা আদালতের বিচারক আচমকাই নির্দেশ দেন, হিন্দুদের পুজো-অর্চনার জন্য বিতর্কিত কাঠামোর গেট খুলে দেওয়া হোক। নির্দেশের ঘন্টাখানেকের মধ্যে গেট খুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি গঠন করে ফেলেন।
তিন বছর পর ১৯৮৯ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এক অভিযান শুরু করে। বিতর্কিত কাঠামো লাগোয়া জমিতে রাম মন্দির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় এই অভিযানের মধ্য দিয়ে।
পরের বছর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য-সমর্থকরা বিতর্কিত কাঠামোর উপর রাম মন্দির নির্মাণ করতে যাওয়ায় গম্বুজের আংশিক ক্ষতি হয়। এরপরই উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব করসেবকদের উপর গুলিচালনার নির্দেশ দেন। রাম মন্দির নির্মাণের সমর্থনে আডবানী দেশ জুড়ে রথযাত্রা বের করেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর গোটা ঘটনায় মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করলেও তা বিফলে যায়। এক বছর পরই সবাইকে চমকে দিয়ে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। কেন্দ্রে যথারীতি কংগ্রেস।
৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২। ভারতের ইতিহাসের এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ভিএইচপি, বিজেপি এবং শিব সেনার সমর্থকরা চড়াও হয়ে গুঁড়িয়ে দেয় বাবরি মসজিদের বিতর্কিত কাঠামো। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা। প্রায় দু’হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ যায় এই দাঙ্গায়। ১৯৯৮ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে বিজেপির জোট সরকার। প্রধানমন্ত্রী হন অটল বিহারী বাজপেয়ী। চার বছর পর বাজপেয়ী নিজের অফিসে একটি অযোধ্যা সেল গঠন করেন। ওই বছরই মার্চ মাসের মধ্যে মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করার চ্যালেঞ্জ নেয় ভিএইচপি। ফেব্রুয়ারির ২৭ তারিখ অযোধ্যা থেকে ফেরার সময় গুজরাতের গোধরার কাছে সবরমতী এক্সপ্রেসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় ৫৮ জন করসেবকের।
তিনদিনের মধ্যে গোধরাকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা বাধে। বহু মানুষের মৃত্যু হয় তাতে। এপ্রিল মাসে বিতর্কিত কাঠামোয় অধিকার কোন সম্প্রংদায়ের, সেই মর্মে এলা��াবাদ হাই কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হয়।
আদৌ বিতর্কিত কাঠামোর মধ্যে রাম মন্দির ছিল কি না তা জানার জন্য পরের বছর জানুয়ারি মাসে আদালত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে সার্ভে করার দায়িত্ব দেয়। ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে এএসআই রিপোর্টে জানায়, মসজিদের নিচে রাম মন্দির থাকার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এই রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে মুসলিম ল’ বোর্ড।
দু’বছর পর নির্মীয়মাণ রাম মন্দিরের সাইটে জিপবোঝাই বিস্ফোরক-সহ হামলা চালায় বেশ কিছু ইসলামিক জঙ্গি। সেনা প্রত্যেককে নিকেশ করে দেয়।
২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাস। আরও এক অধ্যায় সংযোজিত হল অযোধ্যার ইতিহাসে। এলাহাবাদ হাই কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায় দেয়। বিতর্কিত কাঠামোকে তিন ভাগে বিভক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এক ভাগ পায় উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং বাকি দুই ভাগ দেওয়া হয় নির্মোহী আখাড়া এবং রাম লালা কমিটিকে।
কাঠামোর কর্তৃত্ব যায় হিন্দুদের দখলে। মুসলিমদের হয়ে এক আইনজীবী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানান। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
এর পরের ইতিহাস আপনাদের জানা।
লিগ্যাল ডিটেইলস আরও অনেক বেশি আশা করেছিলাম লেখকের থেকে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও ইতিহাসের তথ্যনিষ্ঠ বিশ্লষণের আশা ছিল অনেকটা। সেগুলো প্রায় না থাকার মতো বললেই চলে।
প্রথম তিনটি অধ্যায়, (যার মধ্যে সেরা, অবশ্যই 'Eleven Documents of Vital Importance on the Ayodhya Dispute') বাদ দিলে বইটি যথেষ্ট মধ্যমানের।
স্রেফ কাঠ কাঠ ভাবে ঘটনাবলীর বিবরণ দিলেই চলে? তার আগে ও পরে কী হয়েছিল? বলতে হবে না?
Very written content from beginning to end. Proper information I found with some true facts. I would love to say that honour to read this book and seeking more books like Ayodhya revisited