বর্তমান সমাজের অসহায়তা, একাকিত্ব, পাপবোধ। জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে আবদ্ধ নতুন প্রজন্ম। রহস্যের নিকষ আঁধার। আর সেই অন্ধকার দূর করার আলো যার হাতে, তার নাম – অবশ্যই মিতিন
বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দার সংখ্যা কম নয়। কিন্তু মহিলা গোয়েন্দার সংখ্যা হাতে গোনা। বাংলা রহস্য-সাহিত্যে মিতিন প্রথম আবির্ভাবেই সাড়া জাগিয়েছিল। সুন্দরী, বিদুষী আধুনিকা তরুণী মিতিন। ক্ষুরধার বুদ্ধি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে রহস্য সমাধানে। আধুনিক সমাজের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ত্রিকোণ প্রেম, ঈর্ষা, পারিবারিক জটিলতা, বন্ধুত্বের জটিল সম্পর্ক – এ সবই ধরা পড়েছে সুচিত্রা ভট্টাচার্যর মিতিন-কাহিনিতে। ঠাসবুনোট রহস্যের জাল আর অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নিপুণভাবে সেই ঊর্ণজাল ছিঁড়ে মিতিন পৌঁছে যাচ্ছে রহস্যের কেন্দ্রে। যেখানে রয়েছে সেই রহস্যের সমাধান। নতুন প্রজন্মের এই গোয়েন্দা পাঠকদের খুব প্রিয়। এটা পাঠকদের কাছে খুবই খেদের, লেখকের অকালমৃত্যুতে আমরা আর মিতিনের গল্প পাব না। মিতিনের পাঁচটি কাহিনিকে একত্রে নিয়ে এই সংকলন।
এতে যা আছে –
একটা শুধু রঙ নাম্বার বিষ মেঘের পরে মেঘ মারণ বাতাস তৃষ্ণা মারা গেছে
Her writing focuses on contemporary social issues. She is a perceptive observer of the changing urban milieu and her writing closely examines the contemporary Bengali middle class. Crisis in human relationships and the changing values of the present era along with degeneration of the moral fibre of the society in the backdrop of globalisation and consumerism are depicted in her prose. Exploitations and sufferings of women regardless of their social or economic identities find a distinct voice in her writing. While she is famous for her writing on women's issues, she does not consider herself as a feminist. She took up many odd jobs in her early youth and finally joined the public service which she left in 2004 to become a fulltime writer. Her long career is reflected in many of her stories and novels.
Over the past two decades, Suchitra has written about 24 novels and a large number of short stories in different leading Bangla literary magazines. Some of her acclaimed novels are Kachher Manush (Close to Me), Dahan (The Burning), Kacher Dewal(The Wall Of Glass), Hemonter Pakhi(Bird of Autumn), Neel Ghurni, Aleek Shukh(Heavenly happiness), Gabhir Ashukh (A Grave Illness), Uro Megh(Flying Cloud), Chhera Taar, Alochhaya(Shadows Of Light), Anyo Basanto(Another Spring), Parabas, Palabar Path Nei, Aami Raikishori, Rangin Pritibi and Jalchhobi among others. Her novels and short stories have been translated into many Indian languages such as Hindi, Tamil, Telugu, Malayalam, Oriya, Marathi, Gujarati, Punjabi and English. She also writes novels and short stories for children. Her novel Dahan was made into a movie by famous Bengali director, Rituparno Ghosh.
সরি সুচিত্রা পিসি, আপনার 'গার্লবস' পর্যায়টিকে আমি 'আন্ডারএস্টিমেট' করে ফেলেছিলাম। কান মুলে ক্ষমা চাইছি আজ।
অবশ্য, আমাকে খুব একটা দোষ দিয়েও লাভ নেই। মিতিনের এই পাঁচটি গল্প নিয়ে ভালো কথা কমই শুনেছি। বিশ্বাস হচ্ছে না? নিজে একবার খোঁজ নিয়ে দেখুন দেখি! সেন্ট পার্সেন্ট গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, হলফনামার মতন একটাই কথা শুনবেন - 'ওওও না পড়লেও চলে। বাচ্চাদের গুলো পড়ুন'গে যান। ঐযে টুপুর না টাপুর আছে, ওগুলো।'
সত্যি বলতে, কথাগুলো ফ্যালনা নয়। সার্থক, মুখরোচক গোয়েন্দা কাহিনীর স্বাদ আপনি এইখানেতে পাবেন না। তবে একবার এই বইয়ের খপ্পরে পড়লে এক বসাতে না খালাস করে উঠে যাওয়াও অসম্ভব। এইতো ডিলেমা! নেপথ্যে আর কেউ নয়, লেখিকা ও ওনার অসম্ভব গতিময় কলমের মজারু আস্ফালন। সাক্ষাৎ সরস্বতী ঠাকুরের কৃপাধন্য না হলে, এতটা সাবলীল লেখা যায় না। তা সে হোক না শুধু ভুলভাল গোয়েন্দা গল্প মাত্র।
বইয়ের দুটো উপন্যাস ও গল্প তিনটে একেবারে ফরমায়েশি কি না, সেটা জানি না। তবে হলফ করে বলতে পারি শীর্ষেন্দুর শবর কাহিনীগুলোর তুলনায় এ জিনিস অনেক বেশি জমাট। কম্প্যারিজন টানলাম, কারণ দুই সাহিত্যিকই নিজেদের গোয়েন্দা চরিত্রদের ঠিক স্বেচ্ছায় সৃষ্টি করেননি। শবরের ক্ষেত্রে দুটো গল্পের পরেই লেখক হাল ছেড়ে দেন যেন। তুলনায় মিতিনের কোয়ালিটি বরাবরই ফার্স্ট ক্লাস। এমনকি শেষদিকের কিশোর কাহিনীগুলো অসামান্য না হলেও, দিব্যি উপভোগ্য।
এর পুরো ক্রেডিটটাই লেখিকার প্রাপ্য। গড়পড়তা কাহিনীকে স্রেফ সুপাচ্য লেখনী দিয়ে উৎরে দেওয়াটাই এই জগতের আসল ম্যাজিক ট্রিক। সারাটা জীবন এই জাদুবিদ্যা মনের আনন্দে, বইয়ের পাতায় প্রদর্শন করে গেলেন সুচিত্রা ভট্টাচার্য। এবং এখানেও সেটার অন্যথা হলো না যথারীতি। দ্রুতগামী প্লট, বুদ্ধিদীপ্ত সংলাপ ও বাস্তবসম্মত ক্যারেক্টার মোমেন্টস সুদ্ধু বইটির পেছনে কটা টাকা গচ্চা দিয়ে মন খারাপ হয় না আর।
বড়দের জন্য লেখা বলে এতে খুনখারাপিও আসে যথাক্রমে। তবে সবটাই বেশ সহজ-সরল। যার সমাধান, মিতিন-পার্থের বেশরম ফ্লার্টিং মাঝেই, এক ফাঁকে চটজলদি মিলেও যায়। তাই মন্দ কি? আমার আবার 'পালাবার পথ নেই'টা পড়া নেই। সময় হলে ওটাও উদরস্থ করবো'খন। তারপরে আবার যেই কে সেই। ব্যক টু আনন্দমেলাল্যান্ড!
প্রজ্ঞাপারমিতা মুখার্জী, ডাকমাম মিতিন । বোনঝি টুপুরের কাছে মিতিন মাসি এবং বাঙালি রহস্যপ্রিয় পাঠকের কাছে গোয়েন্দা মিতিনমাসি নামে পরিচিত। টুপুর মিতিনের সহকারি হিসেবে সবসময় মিতিনের কেসে সাহায্য করতে চেষ্টা করে৷ অপরাধ বিজ্ঞান, ফরেন্সিক সায়েন্স, অপরাধীদের মনঃস্তত্ত্ব, নানা রকমের অস্ত্রশস্ত্রের খুঁটিনাটি, অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, নানা রকম আইন সব কিছু নিয়েই চর্চা করেন মিতিন। তিনি ক্যারাটে জানেন, রিভলভার সঙ্গে রাখেন আবার রান্নাতেও পটু।
আনন্দমেলা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত মিতিনমাসির গোয়েন্দা কাহিনিগুলো মূলত কিশোর/ বাচ্চাদের জন্যই। পরবর্তীতে আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত দুই খণ্ডের মিতিনমাসি সমগ্রে সেগুলোর সবকটি সংকলিত হয়েছে। মিতিনমাসি চরিত্রটি বিখ্যাত এই কিশোর রহস্য/ রোমাঞ্চ কাহিনির জন্যেই।
তবে সেগুলোর বাইরেও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গোয়েন্দা 'মিতিনের' কিছু অভিযান রয়েছে। এই মিতিনের সাথে মিতিনমাসির পার্থক্য সুস্পষ্টভাবে লক্ষণীয়।
বলে রাখা ভালো, মিতিন মাসির প্রথম আত্মপ্রকাশ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। প্রথম উপন্যাস ‘পালাবার পথ নেই’ আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয়তে প্রকাশিত হয়েছিল।
এছাড়াও ‘বিষ’, ‘মারণ বাতাস’, ‘তৃষ্ণা মারা গেছে’, 'একটা রং নাম্বার, ''মেঘের পরে মেঘ' প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য লেখা উপন্যাস ও বড়গল্প। এই কাহিনিগুলো নিয়েই পাঁচ মিতিন।
আহামরি কিছু নয়, তবে একবার পড়ে ভুলে যাওয়ার জন্য খুব খারাপও নয়। যৌনতা, পরকীয়া, জটিল সম্পর্কের টানাপোড়েন - এই বিষয়গুলোই মূল উপজীব্য। কন্টেন্ট এবং ড্রামাটিক টার্নিং পয়েন্টের কারণে পাঠক কিঞ্চিৎ বিরক্ত হতে পারেন।
মিতিন মাসি আমার খুব প্রিয় একটি চরিত্র,তাই এখনও ওনাকে নিয়ে যেকোনো বই ই আমি গোগ্রাসে গিলে ফেলতে পারি। কিন্তু এই বইটির গল্পগুলোর প্লট এডাল্ট গোয়েন্দা কাহিনী হিসেবে খুব ভালো লাগলেও, কাহিনী বিন্যাস আরেকটু দীর্ঘ, আরেকটু জমজমাট করলে গল্পগুলো আরও উপভোগ্য হত।
যারা আমাকে চেনে, তারা জানে— আমি ডিটেকটিভ আর ক্রাইম ফিকশনের ভীষণ ভক্ত। সৌভাগ্যবশত, বাংলায় গোয়েন্দার কোনো অভাব নেই, আর আমি এখনো কেবল সেই বিশাল ভান্ডারের উপরে উপরে ঘুরছি। পাঁচ মিতিন হলো সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখা পাঁচটি উপন্যাস এর সংকলন, যেখানে প্রজ্ঞাপারমিতা মুখার্জি ওরফে মিতিন মাসি তার বুদ্ধি আর দৃঢ়তায় নানান জটিল রহস্যের জট খুলে দেন। আগে পড়া কিশোরপাঠ্য মিতিন কাহিনির তুলনায়, এই গল্পগুলো অনেক বেশি প্রাপ্তবয়স্ক বাস্তবতা নিয়ে লেখা। বাংলায় নারী গোয়েন্দা চরিত্র খুব বেশি নেই, তাই মিতিনের গল্পগুলো সবসময়ই বিশেষ লাগে। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখনী টানটান উত্তেজনায় ভরপুর— প্রতিটি কাহিনি শেষ না করা পর্যন্ত মন স্থির থাকে না। দুঃখের বিষয়, লেখিকা আর আমাদের মধ্যে নেই, তাই নতুন মিতিন গল্প পাব না, তবু এই সংকলনটি রয়ে যাবে এক অসাধারণ উপহার হিসেবে। গোয়েন্দা সাহিত্যে আগ্রহী হলে পাঁচ মিতিন অবশ্যই পড়ে দেখা যায়।
Here are my thoughts about the five stories of the book; overall it is an enjoyable read.
Sudhu ekta wrong number - Story about a missed call, an eve-teasing incident finally leading to a big revelation.
Feedback - Good story, moderately thrilling.
Bish - A Story about a hysterical woman who comes to Mitin for help as she suspects someone is slow-poisoning her. She gets killed. How Mitin finds out the killer forms the crux of the story.
Feedback - Very good story, thrilling and engaging. Unpredictable till the end.
Megher pore megh - It is about a man getting killed in his apartment in another whodunnit mystery. Feedback - Good story, moderately thrilling and a decent climax.
Maron Batas - It is about the murder case of an invalid man. His wife gets arrested as a suspect. But Mitin finds out someone else is the killer.
Feedback - Short and effective story with a good yet predictable climax.
Trishna mara geche - It is about the suicide of a girl in a flat. The mystery is around whether it is a suicide or a murder.
Feedback - Long but effective storytelling. Arguably the best story of the book with multiple layers.
মিতিন কিন্তু এতে মিতিনমাসি নয়, সে এখানে কেবলই মিতিন। বোনঝি টুপুর এই বইয়ের ৫টি কাহিনির কোনটিতেই নেই। মূলত এটি মিতিনের প্রাপ্তবয়স্ক সিরিজ। কিশোর কাহিনিগুলির মতোন অ্যাডভেঞ্চার-মূলক একদমই নয়, সবকটিই who done it গোত্রের ছাপোষা ডিটেকটিভ গল্প।
৫টি কাহিনিই সুন্দর লাগল। সুচিত্রা ভট্টাচার্য আমার বড় প্রিয় লেখিকা, তাই প্রতিটা কাহিনিকে আলাদাভাবে পোস্টমর্টেম করলাম না। তবে এইটুকু নিরপেক্ষভাবে বলতেই পারি যে গাদাখানেক রহস্য গোয়েন্দা পড়ার পরেও আমার যখন ভালো লেগেছে, তখন তা ভালোই।
বইটির ৫টি কাহিনির মধ্যে সবচেয়ে ভালো লাগল, "মেঘের পরে মেঘ"। বাকিগুলিও বেশ ভালো।