Jump to ratings and reviews
Rate this book

অতসীমামী

Rate this book
অতসীমামী মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় মুদ্রিত গ্রন্থ ও প্রথম গল্পসংগ্রহ। এই বইয়ে সংকলিত গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. অতসীমামী
২. নেকি
৩. বৃহত্তর মহত্তর
৪. শিপ্রার অপমৃত্যু
৫. সর্পিল
৬. পোড়াকপালি
৭. আগন্তুক
৮. মাটির সাকি
৯. মহাসংগম
১০.আত্মহত্যার অধিকার

273 pages, Unknown Binding

First published August 1, 1935

11 people are currently reading
312 people want to read

About the author

Manik Bandopadhyay

129 books493 followers
Manik Bandopadhyay (Bengali: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়) was an Indian Bengali novelist and is considered one of the leading lights of modern Bangla fiction. During a short lifespan of forty-eight years, plagued simultaneously by illness and financial crisis, he produced 36 novels and 177 short-stories. His important works include Padma Nadir Majhi (The Boatman on The River Padma, 1936) and Putul Nacher Itikatha (The Puppet's Tale, 1936), Shahartali (The Suburbia, 1941) and Chatushkone (The Quadrilateral, 1948).

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
97 (32%)
4 stars
147 (50%)
3 stars
44 (14%)
2 stars
4 (1%)
1 star
2 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 38 reviews
Profile Image for Yeasin Reza.
508 reviews85 followers
March 31, 2024
মানিক বন্দোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের এক কালজয়ী নাম। মানিকের লেখা নিয়ে আজ নতুন করে বলার কিছু নেই। ইতিমধ্যেই তাঁর নাম বাংলা সাহিত্যের মহারথীদের সাথে একত্রে উচ্চারণ করা হয়। এই ঘটনা কোন অভূতপূর্ব ঘটনা নয়।মানিক যখন সাহিত্য জগতে পা দেয়,তখন সংকল্প করেই নেমেছিলেন। তিনি তাঁর বড় ভাইকে চিঠিতে বলেছিলেন " আপনি দেখে নিবেন- কালে কালে লেখার মাধ্যমেই আমি বাংলার লেখকদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীতে স্থান করে নেব। রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্রের সমপর্যায়ে আমার নাম ঘোষিত হবে"। মানিকের কথা'র যথার্থতা সময় আজ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে।তাঁর ইচ্ছে ছিলো বয়স ত্রিশের আগে তিনি লিখবেন না।যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আর প্রস্তুতি নিয়েই সাহিত্যে আগমনের ইচ্ছে ছিলো।কিন্তু মাত্র বিশ বছর বয়সেই বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে ' অতসী মামি' লেখেন।এরপর পুরোদমে সাহিত্য চর্চা করে গেছেন আমৃত্যু।শুধুমাত্র সাহিত্য চর্চা করেই জীবন পার করবার ইচ্ছে ছিলো এবং সেটাই করেছিলেন।ফলে দারিদ্র আর রোগের যাতাকলে পিষ্ট হয়েছেন সারাজীবন। যখন ' বঙ্গশ্রী ' পত্রিকায় চাকরীর আবেদন করেন তখন আবেদন পত্রের শেষে সেই চাকরী ই আরেক সাহিত্যকে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। মৃগীরোগে আক্রান্ত হোন এবং এর প্রতিকার করতে গিয়ে মদে আসক্ত হোন। যে একদিন শুধুমাত্র সাহিত্যিক হবেন বলে স্বগর্বে ঘোষনা করেছিলেন, সেই মানিকই একদিন বলেছিলেন অস্ফুটভাবে বলেছিলেন " দেখো, দুটি ডাল-ভাতের সংস্থান না রেখে বাংলাদেশে কেউ যেন সাহিত্য করতে না যায়"।

মানিকের মনোবিশ্লেষন ক্ষমতা অসাধারণ ছিলো। মানবমনের অন্ধকার আর অপ্রকৃতস্থ দিক তিনি নিপুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর গল্প উপন্যাসে। কঠিন বাস্তবতা আর সমাজের অসঙ্গতিগুলো তাঁর লেখায় ওঠে এসেছে। জীবনকে দেখেছেন বৈজ্ঞানিকের নির্মোহ দৃষ্টিতে। চুল চেরা বিশ্লেষণ করেছেন মানব মনের আচরণের কারণ। জীবন যে রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান নয়, প্রাগৈতিহাসিক এক অন্ধকার যে আমাদের হাড়ে মিশে আছে তা মানিক গল্প উপন্যাসের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।মানিকের প্রায় প্রতিটি বই বিস্ময়কর বর্ণনাভঙ্গি আর মোহময় ভাষার অপূর্ব কারুকার্যময় শৈল্পিক নিদর্শন। পৃথিবীকে যেমন দেখেছেন ঠিক তেমনভাবেই বর্ণনা করেছেন। ক্লেদময় নিরন্তর জীবন সংগ্রামকে দেখে ও না দেখার ভান করে রুপকথার প্রেমময় জীবনের স্তুতি তিনি গান নি। তাই বলে কিন্তু প্রেম আর প্রেমের মহত্ত্ব কে তিনি অবহেলা করেননি।তবে প্রেম যে শরীরের অস্তিত্ব অস্বীকার শুধু হাওয়া থেকে উৎপন্ন হয়না সেই সত্য অকপটে বলেছেন। প্রখর মন বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানব প্রবৃত্তির সহজাত স্বরুপ দর্পণের ন্যায় দেখিয়েছেন তিনি।তাই মানিক পাঠের অভিজ্ঞতা পাঠকে ধীমান পরিনত করে তুলে।


' অতসী মামি' গল্পগ্রন্থে মোট দশটি গল্প রয়েছে। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৫ সালে।প্রথম গল্পটি সম্পর্কে কিছু বলার দরকার নেই। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে বিখ্যাত গল্পের অন্যতম এটি। প্রকাশের পরপর পাঠক আর লেখক সমাজে বিপুল সাড়া পড়ে গিয়েছিলো। ' বিচিত্রা 'র সম্পাদক তাঁকে প্রায় বাধ্যই করে পরবর্তী গল্প লেখার জন্য। অথচ ভবিষ্যতে মানিক এই গল্পকে বলেন ' রোমান্টিক অবাস্তব গল্প!'

এর পরের গল্প হচ্ছে ' নেকি'।গল্প শুরু হয় এক শহর ফেরত যুবক অশোকের সাথে গ্রামের মেয়ে নেকি' র ঝগড়া দিয়ে। একদিকে অশোকের বিশ্লেষণাত্মক মন আবিষ্কার করে দারিদ্র কিভাবে মানুষকে নীচ আর হীন করে দেয়। নেকির সরল আবেদনে অশোক দেখে রুপ দিয়ে মন ভোলানোর খেলা। আসলেই কি তা ছিলো?

গল্প হিসেবে নেকি চমৎকার।

'বৃহত্তর মহত্তর' গল্পটি পাঠক কে বেশ ভাবাবে। স্বামীর অত্যাচারে গৃহত্যাগ করা আশ্রমবাসী মমতাদি কে দেখতে যায় গল্পকথক। 'পতি দেবতুল্য ' কিন্তু যখন সে মদ খেয়ে তিনবেলা শারীরিক অত্যাচার করে তখন ও? মমতাদি এই বেদবাক্য মেনে নিয়ে এগারো বছর নারকীয় সংসার করে ক্ষান্ত দেন। নতুন বিশ্বাস আর দৃঢ় মনোবল নিয়ে দেশ সেবায় যোগ দেন। তখন গল্পকথক আর মমতাদি'র কথোপকথনে অনেক কিছুই ওঠে আসে।

আমার কাছে গল্পটি বেশ চিন্তার খোরাক দিয়েছে।

' শিপ্রার অপমৃত্যু' গল্পে শহুরে মেয়ে শিপ্রা বান্ধবী অনিন্দিতার গ্রামে এসে অদ্ভুত আচরণ করে। পুরো গ্রাম একই সাথে মুগ্ধ এবং বিব্রত।পরাশরের সাথে শিপ্রার দেখার পর ঘটে যায় অচিন্তনীয় ঘটনা।এবং গল্পের শেষটা বেশ আকর্ষনীয়।

বেশ ভালো লেগেছে।


সর্পিল' গল্পে অনন্ত বেড়াতে আসে তার বান্ধবী কেতকীর স্বামীর বাসায়। অনন্ত কেতকী এবং কেতকীর কালীপূজক স্বামীর একত্রে এক রাতের গল্প।গল্পের শেষটা হয় ঝড়ের শেষ দিয়ে।

ভালোই।

' পোড়াকপালি ' গল্পটি কুসুমের গল্প।যার সুখের সংসারের এক দূর্ঘটনা পাল্টে দেয় সব। সে আসলেই নিজেকে মনে করে পোড়াকপালি। কেনো তা জানতে হলে পড়তে হবে।

আমার অত্যন্ত ভালো লেগেছে। কুসুমের ইচ্ছের প্রতি একটা সমর্থন ও চলে আসছিলো যদি ও তা ঠিক না!

' আগন্তুক' অনেকদিন পর মুকুল নিজ বাড়িতে ফিরে আসে।পরিবারের সবার ভাব বিশ্লেষণ তার মনে চলে।সেটিই গল্পের উপজীব্য বস্তু।

টিপিক্যাল মানিকীয় গল্প।

' মাটির সাকি' একদিকে অর্থে পরিপূর্ণ এক দম্পতি আর আরেকদিকে অভাবের প্রাচুর্যে ধুকতে থাকা আরেক দম্পতি। সম্পূর্ণ বিপরীত প্রান্তের থাকা দুই শ্রেণী।একদল সুখে থাকলে আরেকল দুঃখে থাকার কথা। আসলেই কি তাই?

মনে নাড়া দিবে গল্পটি।

মহাসংগম' গল্পটি এক সাতাশী বছরের বৃদ্ধের গল্প। জীবনের শেষ প্রান্তে দাড়িয়ে মৃত্যুর দরজায় কড়া নাড়ার মহাসংগমে অবস্থানরত বৃদ্ধের জীবনের প্রতি মনোভাবের চমৎকার কাব্যিক মনোবিশ্লেষণ গল্পটিকে করেছে অনন্যসাধারণ।

ব্যাক্তিগত ভাবে আমার মনে হয় এই সংকলনের শ্রেষ্ঠ গল্প এটি। চমৎকার!

আত্মহত্যার অধিকার' ঝড়ের সময় এক দরিদ্র পরিবারের গল্প। দারিদ্র বিমোচন করতে না পারা পিতা নগেনের মানসিক ডিলেমা, প্রতিবেশীর ঘরে আশ্রয় নিতে হীনমন্যতায় ভোগা ইত্যাদি মনোবিশ্লেষনমূলক গল্প।

সেই টিপিক্যাল মানিকের দেখা মেলে এখানে এবং অবশ্যই ভালো লাগতে বাধ্য হতে হয়!
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
October 31, 2018
নেকী গল্পটা রীতিমত অসাধারণ। শুধুমাত্র এই গল্পটার জন্যই 4 স্টার। অতসী মামী টাও মোটামুটি।

নেকী শহুরে মেয়ে। পিতার আকস্মিক আত্মহত্যার পর পিসির হাত ধরে গ্রামে মামার বাড়ি চলে আসে। কিন্তু মামার অর্থনৈতিক অবস্থা দ্রম্নত খারাপ হয়ে পড়ায় বাড়ির সব কাজ তাকেই করতে হয়। কিন্তু পাড়াগাঁয়ের এসব কাজের অভ্যাস তার কোন দিন ছিল না। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাকে এসব কাজে অভ্যসত্ম হতে হয়েছে। অশোক শহরে পড়াশোনা করে। ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে আসে। এরপর নেকীর সাথে যতবার দেখা হয় ততোবারই তার ঝগড়া হয়। কিন্তু একদিন ঝড়ের রাতে নেকীর বাড়িতে সে আশ্রয় নিলে দু'জনের মধ্যে একটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু মামার অন্যায় আব্দারে নেকীকে ভুল বোঝে অশোক। এরপর অশোক ঢাকায় ফিরে আসলে নেকী অনিয়ম করে কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়।

তারপর......... মোটেও বলা যাবে না। পড়তে হবে। ...
Profile Image for শাহ্‌ পরাণ.
259 reviews74 followers
January 15, 2023
১। অতসীমামীঃ

গল্পে দুটো জিনিস দেখানো হয়েছে।

ক। কিছ�� কিছু মানুষের সাথে আমাদের জীবনে খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা হয়, সম্পর্ক হয়, গভীর সম্পর্ক হয়। তারপর গভীর ভালোবাসায় জীবনকে সিক্ত করে তারা ��ারিয়ে যায়। জীবনের প্রয়োজনে মিলন হয়ে জীবনের প্রয়োজনেই তারা আবার হারিয়ে যায়। অতসী মামি ছিলেন গল্পকথকের জীবনে এমনই একটি মানুষ।

খ। কিছু কিছু মানুষ বাঁচতে গিয়ে অনেক মানুষের ভালোবাসা পায় আবার কিছু মানুষ একটা মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য বেঁচে থাকে। তারা ভালোবাসার বহুরূপতা জানে না, তারা জীবনের একমাত্র ভালোবাসা একটি মানুষকে কেন্দ্র করে পায়। যতীন ছিলেন অতসীর জীবনে এমনই একমাত্র ভালোবাসা। অতসী ভালোবাসার জন্য হাতের মুঠোয় প্রাণ নেয়নি, অতসী তার ভালবাসার মাঝে প্রাণকে ধারণ করেছিলেন।

বইয়ের ভালো লাগা দুটো লাইনঃ

মানুষের স্বভাবই এই যখন যে দুঃখটা পায় তখন সেই দুঃখটাকেই সকলের বড়ো করে দেখে।

জীবনের জুয়াখেলায় হারজিতের কথা কদিন আর মানুষ বুকে পুষে রাখতে পারে?



২। নেকিঃ

কিছু গল্প থাকে যেগুলো একটা নির্দিষ্ট বয়সের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। নেকি গল্পটা ১৬-১৭ বছরের তরুনের জন্য একটি উপযুক্ত গল্প। প্রথম যৌবনে প্রথম নারীর ছোঁয়া যে শিহরন দেয় সেই শিহরনের গল্প পড়ার জন্য ১৬-১৭ বছরটাই সর্বশ্রেষ্ঠ তবে এই বুড়ো বয়সে পড়তেও খুব ভালো লেগেছে। নচিকেতার ভাষায় বললে, যদিও বয়স আমার হাজার বারো, মনের বয়স আমার সবে আঠারো।

গল্পে শরৎ বাবুর লেখার ছায়া আছে বলে আমার মনে হয়েছে। তবে নায়িকা নায়ককে সেবা দিয়ে সারিয়ে তুলেনি এই যা স্বস্তি। তবে উল্টো পথে মানিকবাবু হেটেছেন।

গল্পে দুপুরের বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখক লিখেছেনঃ

দুপুরবেলা, -কিন্তু চারিদিকে গভীর রজনীর স্তব্ধতা ব্যাপ্ত হয়ে আছে। প্রকৃতির অস্বাভাবিক গাম্ভীর্য যেন স্পর্শ করা যায়, অনুভূতির সীমার মাঝে যেন আপনি হাত বাড়িয়ে ধরা দিতে চায়। রাতদুপুরের যা নিজস্ব, আজ দিনদুপুরে চমৎকার মানিয়ে গেছে।

দুপুরের এই বর্ণনা আমার শৈশব আর কৈশোরে নানা বাড়িতে কাটানো অনেকগুলো ঝিম ধরা দুপুরকে মনে করিয়ে দিলো। গল্পের আরো কিছু ভালো লাগা লাইনঃ

নিজের মনে ময়লা থাকলে সমস্ত পৃথিবীটাকে কালো দেখায়।

বেদনা দেওয়া সহজ, আঘাত করা ততোধিক! কিন্তু অমন একটা সহজ কাজ করেও সুখ মেলে না।

সূক্ষ্ম সৌন্দর্য আবিস্কার করবার মানুষের একটা বিপুল অক্ষমতা আছে।



৩। বৃহত্তর মহত্তরঃ

মানব জন্মের জন্য কোনটি মতত্তর? সংসার ধর্ম নাকি মানবসেবা? নাকি দুটোই? কোনটার মাঝে জীবন বিলীয়ে দেওয়ার মাঝেও কি জীবনের ব্যার্থতা লুকিয়ে থাকতে পারে? এরকম আরো প্রশ্নের বিশ্লেষনাত্নক আলোচনার মধ্যে দিয়েই গল্পের সমাপ্তি। ঠিক গল্প না বলে দুজন মানুষের মধ্যে চমৎকার আলোচনা বলা যেতে পারে। প্লেটোর সংলাপ বা প্লেটোর সিম্পজিয়াম পড়তেছি মনে হচ্ছিলো। আমার কাছে খুবই উপভোগ্য লেগেছে। চিন্তা করার জন্য প্রচুর উপাদান রয়েছে গল্পে। গল্পের কিছু ভালো লাগা লাইনঃ

একই পথ বেয়ে আমিও চলেছি এত লোকও চলেছে কিন্তু প্রত্যেকের মনোবেদনার উৎস কত বিভিন্ন!

একের সঙ্গে লাখের তুলনা চলে? যে বক আঁকতে পারল না, সাহিত্যিক হয়ে সে মানুষের সৃষ্টি করতে পারবে না একথা বলা যায়? একটিমাত্র রত্নাকরের মঙ্গল করে গেলে সে একদিন বাল্মীকি হয়ে উঠবে এমন আশা করা বোকামি। কিন্তু এ আশা অনায়াসেই করা যায় লাখের মধ্যে হাজার বাল্মীকি ঘুমিয়ে আছে। গণ্ডি ছোটো হলেই যে ভালো কাজ করা যাবে তার মানে নেই! বাড়ির বউ সমস্ত বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারে—কিন্তু বাড়ির সবচেয়ে ছোটো ঘরটি পরিষ্কার করার জন্য ডাকতে হয় মেথরকে।

নিজের চেয়ে মানুষের আপনার কেউ নয় – প্রেমে নয়, স্নেহে নয়। প্রেম দুটি আত্মাকে কাছে আনে কিন্তু আত্মগত আত্মার চেয়ে কাছে আসা আত্মার দূরত্ব বেশি।

সবাই পরের জন্যেই অবশ্য বেঁচে থাকে, কিন্তু নিজের জন্য আহরণ করে ওই বেঁচে থাকার সার্থকতাটুকু। ওরই নাম নিজের আত্মার কল্যাণ।

একটি মানুষ থেকে মানবজাতি হয়েছে – কে বলতে পারে একটি পাপী থেকে একদিন একটি বিরাট পাপীর জাতি পৃথিবীতে দেখা দেবে না? একটি অমানুষের মধ্যে সমগ্র মানবজাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংসের সম্ভাবনা নিহিত আছে।

অবস্থা বিশেষে মা হওয়া সত্যই মহাপাপ, মহৎ ব্যর্থতা।

নরকের অন্ধকার আর স্বর্গের জ্যোতি টেনে আনলে দুটোই চোখকে খোঁচা দেবে, অসুস্থ করবে। আমরা পৃথিবীর মানুষ আমাদের মাঝামাঝি রফা হওয়াই ভালো।

যার যে অধিকার নেই সে তা করলে ভেবে নিতে হয় ঠাট্রা করেছে।



৪। শিপ্রার অপমৃত্যুঃ

ত্রিভুজ প্রেমর (নাকি ছলনার?) গল্প। প্রেম আর মোহর মাঝে পার্থক্য আছে। মোহ ক্ষণিকের, প্রেম চিরন্তন। মোহ শুধু আনন্দ দেয়, প্রেম আনন্দ আর কষ্ট দুটোই দেয়। মোহ শুধু পেতে জানে, প্রেম দিতেও জানে। মোহ মানুষকে উন্মাদ করে, প্রেম মানুষকে অন্ধ করে। মোহর যেখেনে মৃত্যু, প্রেমের সেখানে জন্ম। মোহকে একটা না একটা সময় পরাজিত হতে হয়, হাড়িয়ে যেতে হয়। প্রেম প্রেমিক প্রেমিকার উর্ধে, প্রেম পরাজিত হয় না, প্রেম কখনো হাড়িয়ে যায় না।

মেয়েদের জন্য লেখক সতর্কবার্তা দিয়ে গেছেন এই গল্পেঃ

পৃথিবীতে রোমান্স না থাকলে মেয়েদের উপায় আছে? রোমান্টিক যুগে মেয়েদের ভোঁতা হওয়া চলত, হাজার প্র্যাকটিক্যাল হলেও ক্ষতি ছিল না। এখন পুরুষরা রোমান্স ভুলতে বসেছে, সিনিক আর প্র্যাকটিক্যাল হয়ে উঠেছে। মেয়েদেরই এখন রোমান্টিক সেন্টিমেন্টাল সব কিছু হওয়া দরকার। নইলে তারা টিকবে কী করে?


৫। সর্পিলঃ

এই বইয়ের সবচেয়ে দুর্বল গল্প লেগেছে আমার কাছে। ত্রিভুজ প্রেম বা অপ্রেম অথবা বন্ধুত্ব এবং অবিশ্বাস - পরিশেষে মৃত্যু এবং ভুল বোঝাবুঝি। গল্পের ভালো লাগা লাইনঃ

শুধু বাঁচিয়া থাকার মধ্যেই এমন কতকগুলি চিরন্তন রহস্য আছে সচরাচর যাহার খবর সব মানুষ রাখে না; তুচ্ছ কোন উপলক্ষে হঠাৎ একদিন সেগুলি মানুষকে চিন্তিত করিয়া তোলে, বিচলিত করিয়া দেয়।


৬। পোড়াকপালিঃ

অভাবের সংসারে বিশুদ্ধ প্রেমের নায়িকা কুসুম। স্বামীর অকাল মৃত্যু তাকে দিয়ে যায় চিরজন্মের অপরাধবোধ। কুসুম সেই অপরাধবোধের জগতে বসবাস শুরু করে, ডুবে যেতে থাকে অপরাধবোধের মহাসমুদ্রে। সেখানে তার মৃত্যু নেই, কিন্তু বেচে থাকাও সম্ভব হয়না।


৭। আগন্তুকঃ

ক্লাস ফাইভে থাকতে মোবারক স্যার প্রতিদিনই বলতেন, “out of sight, out of mind”, চোখের আড়াল হলেই মনের আড়াল। স্যার চোখের আড়াল হয়েছেন, মনেরও আড়াল হয়েছেন কিন্তু এই কথাটি মনে পড়লে খোঁচা খাচা পাকা দাঁড়ি আর চুল ওয়ালা মোবারক স্যারের কথা ঠিকই মনে পড়ে। প্রাইমারি স্কুলের আর কোন শিক্ষকের কথা তেমন মনে না পড়লেও এই সারের কথা মনে পড়ে।

আগন্তুক গল্পে উঠে এসেছে মুকুলের গল্প। মুকুল পাঁচ বছর পর বাড়িতে ফিরে এসেছে। তার অবর্তমানে তাকে তার প্রিয়জনরা কতটা ভুলে গেছে, কতটা পর করেছে, কতটা মানিয়ে নিয়েছে তারই একটা প্রকাশ ঘটেছে গল্পে।


৮। মাটির সাকিঃ

থার্ড ইয়ারে পড়ার সময় শেখর স্যার ক্লাসে বলেছিলেন, “এই পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষের সুখ আর দুঃখের অনুপাতের মান খুব কাছাকাছি। একজন রিক্সাওয়ালার সুখ আর দুঃখের অনুপাত যা হবে প্রধান মন্ত্রীর সুখ আর দুঃখের অনুপাত তার খুবই কাছাকাছি হবে। একজন আমেরিকান মানুষের সুখ আর দুঃখের অনুপাত যা হবে একজন কুসংস্কারমনা বাঙালী গ্রাম্য মানুষের সুখ আর দুঃখের অনুপাত এর খুব কাছাকাছি হবে।

উপরের লেখা স্যারের কথাটাই এই গল্পের মূল কথা। পাশাপাশি দুটো পরিবার। একটিতে অর্থের কোন অভাব নেই কিন্তু সন্তানের অভাব, অন্যটিতে সন্তানের অভাব নেই কিন্তু অর্থের অভাব। সৃষ্টিকর্তা কখনো কোন মানুষকে সব কিছু দিয়ে এই পৃথিবীতে পাঠায় না। তার মাঝে কোন না কোন শূন্যতা রেখে দেয়, অপূর্ণতা রেখে দেয়, হাহাকার রেখে দেয়। এজন্যই মানুষ তার সীমা বুঝতে পারে, নিজের ক্ষুদ্রতা অনুভব করতে পারে। হয়তো এজন্যই পৃথিবীকে আমাদের সুন্দর লাগে, বাঁচতে আরো বেশি ইচ্ছে করে আবার একইসাথে মৃত্যুকেও কামনা করতে ইচ্ছে করে।

গল্পের ভালো লাগা লাইনঃ

চিরদিনের অভাবও স্বভাবে পরিণত হয় না, একদিন সহিয়া যায় এই মাত্র।


৯। মহাসংগমঃ


মৃত্যুর প্রতি প্রতিটা মানু���ের রয়েছে সহজাত ভীতি একইভাবে বেচে থাকার প্রতি সকল মানুষের রয়েছে সহজাত আকাঙ্খা। মৃত্যুর পরের জীবনটা কেমন? আদৌ আছে কি? যদি থাকে আমার কী অবস্থা হবে? এসকল প্রশ্নের ধোঁয়াটে উত্তর আমাদের মাঝে আছে বলেই আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই। এসব প্রশ্নের উত্তর যার কাছে যত স্পষ্ট, মৃত্যুর প্রতি তার ভয় ততটা কম।

গল্পের মূল চরিত্র মৃত্যুপথযাত্রী নিঃস্ব পশুপতি। মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে করতে সে ক্লান্ত, সে একা না, তার চারপাশের অন্যরাও ক্লান্ত। তা সত্বেও বেচে থাকার আকাঙ্খা তার এক বিন্দুও কমেনি। যৌবনের ঐশ্বর্য তার ফুরিয়েছে কিন্তু জীবনের ঐশ্বর্যকে সে এখনো হাতের মুঠোয় ধরে রাখতে চায়, মাঝে মাঝে তা হাত থেকে ফসকে যায় কিন্তু সে আবার ধরে ফেলে আর মৃত্যুর সাথে তার মহাসংগমের অপেক্ষা করে।

গল্পের ভালো লাগা একটি লাইনঃ

মানুষের ধর্মই এই, সাতাশি বছর বয়সেও মানুষকে এই ধর্মই পালন করিতে হয়। সেবা হোক, মমতা হোক, তোষামোদ হোক, অর্থ হোক, দুপক্ষের প্রয়োজন আছে বলিয়াই সংসারে এ সবের আদান-প্রদান চলে।


১০। আত্মহত্যার অধিকার


গল্পের চৌম্বক লাইন হলোঃ

সকলে যেখানে বাঁচিতে চায়, লাখো মানুষের জীবিকা একা জমাইতে চায়, কিন্তু কাহাকেও বাঁচাইতে চায় না, সেখানে সে (নীলমণি) বাঁচিবে কীসের জোরে?


জীবনের অপূর্ণতা, অভাবের বিলাসিতা, কষ্টের প্রাচুর্যতা, শারীরিক অক্ষমতা আর একটি পরিপূর্ণ সংসারের বোঝা যার মাথায় আছে তার জন্য বেচে থাকার সপক্ষে অকাট্য যুক্তি কী থাকতে পারে? অথবা জীর্ণ শীর্ণ রোগে ভুগছে যে পৌঢ় তার জন্যই বা বেচে থাকার সপক্ষে অকাট্য যুক্তি কী থাকতে পারে? এই ছিল লেখকের প্রশ্ন পাঠকের কাছে।
Profile Image for Sohan.
274 reviews74 followers
March 6, 2021
"হঠাৎ কোনো লেখকই গজান না। রাতারাতি লেখকে পরিণত হওয়ার ম্যাজিকে আমি বিশ্বাস করি না। অনেক কাল আগে থেকেই প্রস্তুতি চলে।লেখক হবার জন্য প্রস্তুত হয়ে আসতে আসতেই কেবল একজনের পক্ষে হঠাৎ একদিন লেখক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করা সম্ভব" - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়


অতসী মামী গল্পটি যে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে লেখা তা মনেই হয়না, অতসী মামী ছাড়া পরের গল্পগুলোর মধ্যে মানব জীবনের যত টানাপড়েন নিয়ে কলম চালিয়েছেন তা হয় কুড়ি বছরের যুবক লিখতে পারেননা নয়তো ইহা ম্যাজিক না হয়ে যায়না!
অনেকেই যেমন দশ বারো বার পদ্মা নদীর মাঝি পড়েছেন, আমি একবারও পড়িনি, আমি জানি, মানিক এক রাতে মানিক হননি, আমিও স্রেফ পদ্মা নদীর মাঝি পড়ে মানিককে বিচার করতে পারবো না। তিনি গল্প লেখার আগে বঙ্কিম, ঠাকুর, নজরুল, শৈলেন্দ্র, প্রেমেন্দ্র, অচিন্তকুমার, শরৎচন্দ্র গিলে খেয়েছেন, তবেই লিখতে বসেছেন, শুধু দিশি না বিদিশি সাহিত্যও হজম করেছেন। তাঁর গল্প লেখার প্রস্তুতি ছিল একটা শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে, তিনি ফ্রয়েড পড়েছেন, হ্যাঁ, ফ্রয়েড, আপনারা জানেন, তাঁর লেখায় ফ্রয়েডের প্রভাব কতটা প্রবল। আমি মনে করি, তাঁর লেখা পড়ার আগে পাঠকেরও প্রস্তুতি দরকার। আমার একান্ত মতামত, পদ্মা নদীর মাঝি দিয়ে মানিক শুরু করা উচিৎ নয়।

বন্ধুদের সাথে বাজি ধরেছিলেন মানে এই না, তাঁর গল্প রাতারাতি জন্ম নিয়েছে, অইযে, বললাম না, তিনি রবীন্দ্র-শরৎ গিলে খেয়েছেন, তিনি চেয়েছিলেন প্রচলিত কাঠামো ভেঙ্গে ফেলতে, করেছেনও তাই, যদিও কিছু কিছু গল্প রোমান্সে ঠাঁসা ফ্যান্টাসি গোছের, তবুও তো, ছ্যাবলামি, ন্যাকামির চেয়ে ভালো!

পরবর্তীতে যখন তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন তখন স্বাভাবিকভাবেই তাঁর লেখায় মার্ক্সবাদী জীবনদর্শন ফুটে ওঠে, অবশ্য সে আলোচনা এই বইয়ের ক্ষেত্রে না, সে আলোচনা পরে হবে, তার আগে আমায় বলুন, গুডরিডসে দেয়ার মতো একটা ভালো প্রচ্ছদ কি নেই, এই বইয়ের জন্য?




Profile Image for Dystopian.
434 reviews228 followers
November 26, 2024
মনের গভীরে কিভাবে পৌছাতে হয় খুব কম লেখকই জানেন। তবে তার মাঝে অন্যতম সেরা মানিক বন্দোপধ্যায়!
এত স্বল্প পরিসরে পাঠক মনে দাগ কাটতে পুরোপুরি সফল তিনি।
Profile Image for Avishek Bhattacharjee.
370 reviews79 followers
January 26, 2022
কয়েকটা গল্প নিয়ে সংকলিত বইটি মানিক বন্দোপাধ্যায় নিজের সিগনেচার ভংগিতেই লিখেছেন। ছোট্ট একটা ঘটনাকে কি পরিমানে গভীর ভাব নিয়ে লেখা যায় সে এ বই না পড়লে বুঝা যায় না। আর মানিকের লেখা আমার কাছে কেন জানি ডার্ক লাগে। বিষয় সামাজিক হইলেও অনুভূতি নিয়ে যেন জাগলিং করতে ভালবাসতেন লেখক। আমার অতসী মামী, নেকী আর সর্পিল গল্পগুলা বেশ ভাল লাগল।
Profile Image for Kripasindhu  Joy.
542 reviews
April 2, 2025
মানিকের উপন্যাস কম শক্তিশালী নয়। কিন্তু তার গল্পের সমান নয়।
Profile Image for Mahiya Tabassum.
24 reviews73 followers
June 2, 2020
গল্পগ্রন্থের প্রত্যেকটা গল্প ব্রিলিয়ান্ট!
সাধারণ সম্পর্কগুলোর মাঝে নিহিত জটিল মানবিক আবেগের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ মানিকের লেখনীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য, যা বরাবরই মুগ্ধ করে।
Profile Image for Tamanna Binte Rahman.
184 reviews140 followers
December 30, 2022
বাংলা সাহিত্যের শক্তিশালী লেখকদের একজন ছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে হিসেবে তার প্রথম লেখা গল্পও যে অসাধারণ হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ ছিলোনা। মাত্র ২০ বছর বয়সে লেখা তার এই গল্পটি তাই পুরোটুকু মনোযোগ কেড়ে নিতে পেরেছে। বিশ্বসাহিত্য তাকে মনে রাখবে কী রাখবেনা সে না জানলেও বাংলা সাহিত্যে তিনি যে অমর হয়ে থাকবেন তা চিরন্তন সত্য।

পরাবস্তব রোমান্টিক গল্প। বন্ধুর সাথে তর্ক করে নিজের লেখক সত্ত্বাকে বুঝিয়ে দেবার জন্যই লিখেছিলেন গল্পটি আর সফলও হয়েছিলেন।
Profile Image for Joynab Rimu.
75 reviews115 followers
September 2, 2019
যাপিত জীবনের টুকরো চিত্র উঠে এসেছে দশটি গল্পে..সম্পর্কের টানাপোড়েন,নিত্যকার নিজের সাথে নিজের যে যুদ্ধে যুঝছে মানুষ,নিদাঘ কষ্টে সহমর্মিতার শীতল সুবাতাস,চলতে ফিরতে যাদের দেখছি আমরা,তাদেরই জীবনের খন্ডচিত্র এসব গল্প.. সবচেয়ে নাড়া দিয়ে গেছে দারিদ্র‍্যের কষাঘাত..মানিকের মত করে দারিদ্র্যের অন্ধকার আর কজনই বা ফুটিয়ে তুলতে পারে?
Profile Image for Aritra De.
59 reviews6 followers
May 20, 2023
বাঁশি বাজানোর নেশায় পাগল এক মানুষের হৃদয় বিদারক কাহিনী। যে প্রতিবার বাঁশি বাজানোর পরে তার মুখ দিয়ে রক্ত ওঠে কিন্তু সে বাঁশি বাজাতে এতই ভালোবাসে যে বাঁশি বাজানো ছাড়তে পারেনা। এমন মন কেমন করা গল্প বেশি পড়া যায় না। তাই প্রথম গল্পটাই শুধু পড়লাম। গল্প গ্রন্হের বাকি গল্পগুলো নাহয় পরে আবার কোনও দিন ���ড়া যাবে।
Profile Image for আহসানুল শোভন.
Author 39 books91 followers
February 23, 2018
অতসী মামী গল্পটা ছাড়া অন্য গল্পগুলো খুব একটা ভালো লাগেনি।
Profile Image for Royhana Akter Rimu.
73 reviews4 followers
August 24, 2020
প্রাগৈতিহাসিক পড়ার পর মনে হয়েছিল এই বইটা পড়া দরকার। পড়েও ফেললাম। ম্যাক্সিমাম গল্পই খুব ভাল লেগেছে।
Profile Image for অনিরুদ্ধ.
143 reviews23 followers
October 8, 2020
অতসী মামি, সর্পিল ও আগন্তুক, শুধুমাত্র এই তিনটি গল্পের জন্যে পাঁচ তারা দেয়া যেতো!
Profile Image for Zabir Rafy.
312 reviews10 followers
June 28, 2025
আহা! কী নিদারুণ লিখেন মানিক বন্দোপাধ্যায়! এর আগে তার উপন্যাস পড়েছিলাম। আজ গল্প পড়লাম। অতসী মামি অনেকদিন পূজিত হবেন.....
Profile Image for Monisha Mohtarema.
86 reviews2 followers
Read
July 2, 2020
ক্লাস এইটে পড়া "তৈলচিত্রের ভূত" গল্পটির কথা মনে পড়ে?ওই যে নগেনের মামা মারা যাওয়ার পর দেখা গেল তার কৃপন মামা তার জন্য বেশ মোটা অঙ্কের টাকা উইল করে গিয়েছে;যা নগেন কখনো ভাবেনি!তাই এক প্রকার আত্মগ্লানিতে ভুগতো,কেননা সারাজীবন শ্রদ্ধা ভক্তির নামে মামাকে ঠকিয়েছে!তাই লাইব্রেরিতে রাখা মামার তৈলচিত্রে মাথা ঠেকাতে গিয়েই বাঁধে বিপত্তি!মাথা ঠেকাতে গেলেই মামা সজোরে মারে ধাক্কা!কিছু মনে পড়লো?
না,অতসী মামি গল্পের সাথে এই গল্পের কোন মিল নেই!তবে কেন অবতারণা করলাম প্রথমেই তৈলচিত্রের ভূত গল্পটি নিয়ে!কারন মানিক বন্দোপাধ্যায়ের গল্পের প্রথমটা পড়ে কখনো শেষটা কি হবে তার আন্দাজ করা মুশকিল বটে!আমি ভেবেছিলাম অতসী মামি হয়তো কোন এক দজ্জাল মামির গল্প!যে কিনা গল্পের নায়ককে নানা ভাবে জ্বালাতন করে;কিন্তু গল্পটা একবারেই আলাদা!যা মুহূর্তেই একটি আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করবে!

মোট দশটি ছোটগল্পের বইটিতে দুইটি অসাধারণ গল্প আছে - বৃহত্তর মহত্তর আর নেকি।'বৃহত্তর মহত্তর' এগারো বছরের দাম্পত্য জীবন ছেড়ে দেশসেবায় নিয়োজিত এক মায়ের আত্মোপলব্ধির উপাখ্যান! বলে নেয়া ভালো বৃহত্তর মহত্তর গল্পের নায়িকা কিন্তু মমতাদি!সেই মমতাদি,যে রান্নার লোক লাগবে কি না বলে এসেছিলো একদিন বাড়িতে!মমতাদির গল্পটা তো আমাদের জানা!তবে এই গল্পটা আলাদা!বৃহত্তর মহত্তর' গল্পের মায়ের জীবনবোধ আপনাকে ভাবাবে।

আর 'নেকি' একটি সুন্দর প্রেমের গল্প। এই তিনটি গল্পই আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে!তবে বাকিগুলোও খারাপ না!
Profile Image for Abhishek Saha Joy.
191 reviews56 followers
June 26, 2020
মোট দশটি ছোটগল্পের বইটিতে দুইটি অসাধারণ গল্প আছে - বৃহত্তর মহত্তর আর নেকি।'বৃহত্তর মহত্তর' এগারো বছরের দাম্পত্য জীবন ছেড়ে দেশসেবায় নিয়োজিত এক মায়ের আত্মোপলব্ধির উপাখ্যান আর 'নেকি' একটি নিষ্পাপ,পবিত্র প্রেমের গল্প।

'বৃহত্তর মহত্তর' গল্পের মায়ের জীবনবোধ আপনাকে ভাবাবে।নারী জীবনের সার্থকতা কিসে?স্বামী-সন্তানের জন্যে নিজের সবকিছু ত্যাগে?নিজেকে শূন্য করে দিয়ে,নিজের অনুভূতি বিসর্জন দিয়ে শুধু অন্যের জন্য বেঁচে থাকাতে?

'অতসীমামি' গল্পটিও ভালো।এছাড়া বাকিগুলো মোটামুটি, তেমন দাগ কাটে না!
Profile Image for Masudur Tipu.
125 reviews2 followers
January 1, 2025
সুন্দর ছিমছাম ভিতরে নাড়াচাড়া দেয়া ছোট গল্প
Profile Image for শাবেকুন  শামস্.
22 reviews4 followers
June 28, 2025
সম্পর্ক শুধু রক্তেরই হয় না, সম্পর্ক হয় হৃদয়ের। আর এ আপ্ত বাক্যকেই উপজীব্য করে সহস্র শিল্পী সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য শিল্প। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম ছোটগল্প অতসী মামির প্লটও তৈরি হয়েছে এ ধারণাকে উপজীব্য করেই। এক ব্যক্তির বাঁশি বাজানোর প্রশংসা শুনে তাকে দেখার আগ্রহ এবং পরবর্তী সময় স্বর্গীয় এক সম্পর্কের শ্রদ্ধায় মনের টান থেকে তৈরী নতুন সম্পর্ককে ঘিরে গল্পের আবর্তন। সেখানে আছে ভালোবাসার অনুরণন, আছে বিচ্ছেদের ব্যথা, আছে হারিয়েও খুঁজে পাওয়া সম্পর্কে পীড়নের আনন্দ।

একজন শিল্পপ্রেমী ও শখের বশে বাঁশিবাদক সুরেশ তার মামার মাধ্যমে একজন বাঁশিপ্রেমীর কথা জানতে পারেন। নিতান্ত দুর্মুখ ব্যক্তিকেও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেখে সাক্ষাতে তার বাঁশি শোনার আগ্রহ বেড়ে যায় আরো বহুগুণ। বাঁশি বাজানোর মতো শখ পোষা একজনকে সুরেশ যেভাবে ভেবে রেখেছিল, ঠিকানায় গিয়ে মোটামুটি তার ভিন্ন দৃশ্য দেখে আশ্চর্য হয় সে। বাড়ি ও বাড়ির কর্তার মাঝের এ পার্থক্যকে লেখক লিখেছেন- ভারী সুন্দর একটা ছবিকে কে যেন অতি বিশ্রী একটা ফ্রেমে বাঁধিয়ে দিয়েছে। তবে আশ্চর্যের এখানেই শেষ নয়, বরং শুরু। মামার বন্ধু সে দিক থেকে মামা-ভাগ্নের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় আপনা থেকেই। বাকি যে মনের টান, তা ঘটাতে আর কিছুটা সাহায্য করেছে যতীন মামার স্ত্রী অতসী মামি।

পড়ে কেউ বলতে পারবে না এই গল্প লেখকের জীবনের প্রথম লেখা। এমন পরিপ্বক্ক লেখা শুধু মানিক বাবুর পক্ষেই সম্ভব।
Profile Image for Protiva  Tasmia .
12 reviews17 followers
March 6, 2022
২২ বছর বয়েসী মানিকবাবু বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে লিখেছিলেন বলে সতেরো বছর বয়েসী আমি অভিভূত হতে পেরেছিলাম। মানিকবাবুকে পড়তে চাইলে রেকমেন্ডেড।
Profile Image for Sukarna Majumder.
37 reviews8 followers
July 23, 2025
অদূর অমোঘতার মাঝে এক সুস্থ হৃদয়ের অসুস্থ বাঁশির অন্তিম তান।
Profile Image for Alvi Rahman Shovon.
467 reviews16 followers
March 2, 2022
ছোটগল্প খুব কম পড়া হয়, কেনাও হয় কম ছোটগল্পের বই। উপহার পেয়েছিলাম বইটা তাই পড়া হয়ে গেলো। খুব বিমুগ্ধ হয়ে পড়েছি গল্পগুলো। নেকী, অতসীমামী আর শিপ্রার অপমৃত্যু গল্পগুলো বেশি ভালো লেগেছে।
Profile Image for Tamalika Manna.
31 reviews3 followers
Read
December 17, 2022
অতসী মামী, নেকী, মহাসংগম , আত্মহত্যার অধিকার গল্প গুলি বেশ ভালো লেগেছে ।
Profile Image for Anindita Paul.
14 reviews
April 8, 2025
খুব বেশি ভালো না লাগেনি।
Profile Image for Ruman.
5 reviews
August 15, 2025
এখানে "মানিক রচনাসমগ্র" থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী **অতসী মামী** বইটির একটি রিভিউ দেওয়া হলো:

**বইয়ের নাম:** **অতসী মামী**
**লেখক:** মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী "মানিক রচনাসমগ্র"-এর অংশ হওয়ায় লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে অনুমিত) [৪, ৮, ইত্যাদি]
**ধরন:** ছোটগল্প সংকলন

এই সংকলনটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা **অতসী মামী** গল্পটিকে কেন্দ্র করে রচিত, যা বইটির প্রচ্ছদেও দৃশ্যমান। উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই সংগ্রহে গল্পগুলি **লেখকের রচনার সময়কাল অনুসারে সাজানো হয়েছে**। বিশেষত, **অতসী মামী** গল্পটি লেখকের **প্রথম দিকের রচনাগুলির মধ্যে অন্যতম**। সংকলনের ভূমিকায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ ��রা হয়েছে যে, লেখকের লেখার ধরনে পরবর্তী সময়ে **অনেক পরিবর্তন** এসেছে, যা পাঠক গল্পগুলো পড়ার সময় **সহজেই বুঝতে পারবেন**। এটি লেখকের সাহিত্যিক বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে।

সংকলনে **অতসী মামী** গল্পটি ছাড়াও **নাকি**, **মহাসংঘম**, এবং **আটশো আঠারো** শিরোনামের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অংশও রয়েছে। প্রতিটি গল্পই লেখকের গভীর পর্যবেক্ষণ এবং সূক্ষ্ম জীবনবোধের পরিচয় বহন করে।

* **অতসী মামী** গল্পে কথক এবং অতসী মামীর মধ্যে বিভিন্ন কথোপকথনের মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনের নানা অনুষঙ্গ, যেমন – অর্থ, স্বাস্থ্য, সামাজিক সম্পর্ক এবং দার্শনিক বিষয়াবলী জীবন্তভাবে উঠে এসেছে।
* **নাকি** অংশটিতে (যেমন পৃষ্ঠা 18-এ উল্লিখিত) শহর, দারিদ্র্য, এবং মানব প্রকৃতির জটিল দিকগুলি নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে, যা সেসময়ের সামাজিক বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলে।
* **মহাসংঘম** গল্পে (পৃষ্ঠা 93-এ উল্লিখিত "পশুপতি" চরিত্রের মধ্য দিয়ে) সম্ভবত জীবনের গভীর অর্থ বা প্রতীকী ধারণার অন্বেষণ করা হয়েছে, যা পাঠককে এক ভিন্ন মাত্রার চিন্তায় উদ্দীপিত করে।
* **আটশো আঠারো** একটি স্বতন্ত্র গল্প, যেখানে নীলমণি চরিত্রটি প্রধান ভূমিকা পালন করে।

এই সংগ্রহটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্মের একটি বিস্তৃত চিত্র উপস্থাপন করে। লেখকের **শৈলীগত পরিবর্তন এবং বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য** অনুধাবনের জন্য এটি একটি মূল্যবান সংকলন। বইটি পাঠককে মানব জীবন, সমাজ এবং সম্পর্কের গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে।
Profile Image for Pritom Paul.
133 reviews1 follower
July 15, 2020
আমার পড়া শ্রেষ্ঠ গল্প গুলোর একটি হল অতসী মামী
নেকি,পোড়াকপালি, আগন্তুক গল্পগুলোও বেশ লাগলো।

সম্পর্ক শুধু রক্তেরই হয় না, সম্পর্ক হয় হৃদয়ের। আর এ আপ্ত বাক্যকেই উপজীব্য করে সহস্র শিল্পী সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য শিল্প। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম ছোটগল্প অতসী মামির প্লটও তৈরি হয়েছে এ ধারণাকে উপজীব্য করেই। এক ব্যক্তির বাঁশি বাজানোর প্রশংসা শুনে তাকে দেখার আগ্রহ এবং পরবর্তী সময় স্বর্গীয় এক সম্পর্কের শ্রদ্ধায় মনের টান থেকে তৈরী নতুন সম্পর্ককে ঘিরে গল্পের আবর্তন। সেখানে আছে ভালোবাসার অনুরণন, আছে বিচ্ছেদের ব্যথা, আছে হারিয়েও খুঁজে পাওয়া সম্পর্কে পীড়নের আনন্দ।একজন শিল্পপ্রেমী ও শখের বশে বাঁশিবাদক সুরেশ তার মামার মাধ্যমে একজন বাঁশিপ্রেমীর কথা জানতে পারেন। নিতান্ত দুর্মুখ ব্যক্তিকেও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেখে সাক্ষাতে তার বাঁশি শোনার আগ্রহ বেড়ে যায় আরো বহুগুণ। বাঁশি বাজানোর মতো শখ পোষা একজনকে সুরেশ যেভাবে ভেবে রেখেছিল, ঠিকানায় গিয়ে মোটামুটি তার ভিন্ন দৃশ্য দেখে আশ্চর্য হয় সে। বাড়ি ও বাড়ির কর্তার মাঝের এ পার্থক্যকে লেখক লিখেছেন- ভারী সুন্দর একটা ছবিকে কে যেন অতি বিশ্রী একটা ফ্রেমে বাঁধিয়ে দিয়েছে। তবে আশ্চর্যের এখানেই শেষ নয়, বরং শুরু। মামার বন্ধু সে দিক থেকে মামা-ভাগ্নের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় আপনা থেকেই। বাকি যে মনের টান, তা ঘটাতে আর কিছুটা সাহায্য করেছে যতীন মামার স্ত্রী অতসী মামি
Profile Image for Rajin.
35 reviews2 followers
November 12, 2024
অতসী মামি' গল্পগ্রন্থে মোট দশটি গল্প রয়েছে। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৫ সালে।প্রথম গল্পটি সম্পর্কে কিছু বলার দরকার নেই। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে বিখ্যাত গল্পের অন্যতম এটি। প্রকাশের পরপর পাঠক আর লেখক সমাজে বিপুল সাড়া পড়ে গিয়েছিলো। ' বিচিত্রা 'র সম্পাদক তাঁকে প্রায় বাধ্যই করে পরবর্তী গল্প লেখার জন্য। অথচ ভবিষ্যতে মানিক এই গল্পকে বলেন ' রোমান্টিক অবাস্তব গল্প!'

বাংলা সাহিত্যের শক্তিশালী লেখকদের একজন ছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে হিসেবে তার প্রথম লেখা গল্পও যে অসাধারণ হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ ছিলোনা। মাত্র ২০ বছর বয়সে লেখা তার এই গল্পটি তাই পুরোটুকু মনোযোগ কেড়ে নিতে পেরেছে। বিশ্বসাহিত্য তাকে মনে রাখবে কী রাখবেনা সে না জানলেও বাংলা সাহিত্যে তিনি যে অমর হয়ে থাকবেন তা চিরন্তন সত্য।

পরাবস্তব রোমান্টিক গল্প। বন্ধুর সাথে তর্ক করে নিজের লেখক সত্ত্বাকে বুঝিয়ে দেবার জন্যই লিখেছিলেন গল্পটি আর সফলও হয়েছিলেন।
Profile Image for Muhammad Amanullah Abir.
12 reviews
January 27, 2023
দারুণ!
রবীন্দ্রনাথ এর পরে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে মনকাড়া ছোটগল্পকার এই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কেই লেগেছে আমার কাছে। রবীন্দ্রনাথের চেয়েও যা ভালো লেগেছে, তা হলো সাবলীল ভাষায় মানুষের অন্তস্থ অনুভুতি গুলো কে অক্ষরের রুপ দেয়া।

অতসী মামীর প্রতি যতীন্দ্রের গভীর প্রেম, শেষে একাকিত্ব সাথে করে অতসীর বেঁচে থাকা থেকে শুরু করে নীলমনির আত্মপ্রবোধ দেয়া - কী অসাধারণ সব গল্প বলে গিয়েছেন মানিক বন্দ্যোপাধায়!

সবচেয়ে ভালো লেগেছে - মহাসংগম। শেষবেলার একা মানুষের জীবন যতখানি কাছ থেকে অনুভব করা সম্ভব, লেখক তাই'ই অনুভব করিয়েছেন পাঠককে।

আগন্তক ও দারুণ। স্মৃতি যেমনি অষ্পষ্ট হয়, মানুষ-ও চোখের সামনে না থাকলে তেমনি করে অষ্পষ্ট হয়ে যায়, এই-ই এ গল্প থেকে পাওয়া বোধ।

নেকী, পোড়াকপালি আর মাটির সাকি গল্পগুলিও মনকাড়া।
Profile Image for Rune.
19 reviews2 followers
February 21, 2025
খুব একটা ছোটগল্প পড়তে ভালবাসিনা তবে ইউটিউব এ শোনা এই গল্পগুলি আমার মধ্যে যেই অনুভূতির সৃষ্টি করলো, কিছু না লিখে পারলাম না। অতসী মামী গল্পের শেষে মনে হলো আমি যেনো তখনও শুনতে পারছি যতীনবাবুর সেই মধুর বাঁশি। জীবন মৃত্যুর এই গল্পে ভালোবাসাই বোধহয় বেচেঁ থাকলো শেষ পর্যন্ত।

নেকী চরিত্রের সাহসিকতা এবং সেই সময়ে দাড়িয়ে যে উদার মানসিকতার প্রকাশ পাওয়া যায় গল্পটিতে এইরূপ মানসিকতা বোধহয় এখনও অনেকের মধ্যে আসেনি। এই গল্পসমগ্রের মধ্যে আমার অন্যতম প্রিয় চরিত্র হয়ে উঠলো নেকী বা লীলা।

"পোড়াকপালি" সত্যিই পোড়াকপালি মৃত্যর এত কাছে এসেও যে মৃত্যুশান্তি খুঁজে পায় না, এই নাম ছাড়া কি নামই বা সে পাওয়ার উপযোগী?

"মাটির সাকি" ও "আত্মহত্যার অধিকার" এ নারীদের অবস্থা যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে তা আমায় বাকরুদ্ধ করলো।
51 reviews
November 19, 2024
অতসী মামি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ক্ষুদ্র, কিন্তু গভীর এবং বেদনাদায়ক গল্প। এই গল্পে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার অনন্য বাস্তবধর্মী শৈলীর মাধ্যমে সমাজের নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির যন্ত্রণা, সামাজিক সম্পর্কের টানাপোড়েন, এবং নৈতিকতার জটিলতা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন।

গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র অতসী মামি, একজন সাধারণ গৃহবধূ, যিনি কঠিন আর্থিক এবং সামাজিক পরিবেশে নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করার চেষ্টা করেন। তাঁর জীবনযাত্রা, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কের টানাপোড়েন, এবং তাঁর চারপাশের সমাজের বৈপরীত্য গল্পটিকে জীবন্ত করে তোলে। অতসীর চরিত্���ে একটি আশ্চর্যজনক মানবিকতা এবং সংগ্রামের প্রতিফলন দেখা যায়, যা পাঠকদের সহানুভূতি অর্জন করে।
Displaying 1 - 30 of 38 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.