পঞ্চাশটি ভুতের গল্পের পর আরও পঞ্চাশটি ভূতের গল্প। শুধু তাই নয়, সত্যি ভূতের গল্প। ভূত আছে কি নেই সেটা তর্কের ব্যাপার। যাঁরা ভূতের অস্তিত্ব উপলব্ধি করেছেন তাঁদের কাছে অবশ্যই আছে, যাঁরা করেননি তাঁদের কাছে ভূত আজও কল্পনার। তবে লেখক বেশ কয়েকবার অশরীরীর অস্তিত্ব অনুভব করেছেন। এই গ্রন্থে তাঁর সেই অভিজ্ঞতার কথা তো আছেই, তা ছাড়াও আছে প্রত্যক্ষদর্শীদের মুখ থেকে শোনা রোমাঞ্চকর গা-ছমছমে সব কাহিনি। তাই বহু জেলার বহু মানুষের অভিজ্ঞতার কথায় ভরে উঠেছে লেখকের সঞ্চয়ের ঝুলি। যাঁরা ভূতের গল্প পড়তে ভালবাসেন এ বই তাঁদের কাছে অপরিহার্য।
সূচি-
গন্ধ ভূতের গল্প জোড়া ভূতের গল্প গাছা-ভূত কাছারিডাঙার ভূত ভূবনেশ্বরী বুদ্ধিতে ভূত ভাগে ভূতের রাজা দিল বর পণ্ডিত এবং ভূতেরা ভূতকে যদি প্রেতে ধরে প্রেত পাহাড়ের কাহিনি পুরনো দিনের ভূতের গল্প জাঁতার গুণ লে হালুয়া দানো কমলমণির চর বসন্ত ঠাকুরের গান বাজিতপুরের যাত্রী বেগড়ির ভূতেরা ভেদিয়ার ভেদো বামুন ভোলা ডাক্তারের বিপদ ম্যাজিসিয়ানের বিপদ মজুমদারা শ্যামডাঙার মাঠ শ্রীফল চালভাজা আগন্তুক মধুপুরের ঘটনা মধুমালতীর ছবি কুঞ্জভিলা বসুভিলা অচেনা অতিথি ঝড় বৃষ্টির রাতে রাত বিরেতে রূপুসপুরের রের যাত্রী সে রাতে তালিতে সে রাত ছিল পূর্ণিমার রামগড়ের রাত রাত বারোটার পর রানিগঞ্জের পোড়ো বাড়ি আজিমগঞ্জের পোড়ো বাড়ি সাহেবগঞ্জের বাড়ি পঞ্চাশ বছর আগে ফুলবানু গাববেড়িয়ার ঘটনা উপানন্দের কাহিনি অসমাপ্ত ছবি খ্যাঁদা যাত্রা দেখতে গিয়ে ভোরের সৈকতে সন্ধ্যাসঙ্গিনী
Sasthipada Chattopadhyay (born 9 March 1941) was an Indian novelist and short story writer predominantly in the Bengali language. He was a well-known figure, famous for his juvenile detective stories, namely, the 'Pandob Goenda' series, as well as his contribution to children's fiction in general.
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়-এর জন্ম ২৫ ফাল্গুন ১৩৪৭। ইংরাজি ১৯৪১। মধ্য হাওড়া খুরুট ষষ্ঠীতলায়।
কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্য সাধনার শুরু। ১৯৬১ সাল থেকে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় আলোচনীর সঙ্গে লেখালেখি সূত্রে যুক্ত থাকলেও ১৯৮১ সালে প্রকাশিত ছোটদের জন্য লেখা ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’ই লেখককে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র জনপ্রিয়তার পর থেকে বিরামহীনভাবে লিখে চলেছেন একটির পর একটি বই। মূলত অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, তাই দেশে দেশে ঘুরে যে-সব দুর্লভ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তাঁর প্রতিটি লেখার ক্ষেত্রে।
ভূতের গল্প নামের কলঙ্ক গল্পগুলো। শুরুরদিকে একগাদা রূপকথার গল্প ভূতের গল্প বলে চালিয়ে দিয়েছে। এরপর গোটা দুই বাদে সবগুলোই নিরীহ আর উপকারী ভূতদের কেচ্ছা কাহিনি। শীতের সন্ধ্যায় বা ঝড় বৃষ্টির রাতে হোটেল, রাস্তা, স্টেশনে বা পুরনো বাড়িতে গল্প বলা, রান্না করা, গরুর গাড়ি টানা, ডাক্তারি করা, যাত্রায় অভিনয় করা, বিপদগ্রস্ত তরুণী বা পেটুক টাইপ এইসব নিরীহ উপকারী ভূতদের দেখেই গল্পকথক ভয়ে ভিমড়ি খায়। ভরদুপুরে ভূতুড়ে মাঠ পার হওয়ার একটা গল্প আর গভীর রাতে পরিষ্কার থান পরে কালো হাত পা নিয়ে নিথর দাঁড়িয়ে থাকা পেত্নীর গল্প দুইটা বাদে বাকিগুলো পুরো ট্র্যাশ।
প্রতিটি গল্প ছোটবেলার স্মৃতি ফিরিয়ে দিলো। যদিও, অনেক জায়গায় মনে হয়েছে, যে গল্পের শুরুটা অন্য আরেকটা গল্পের সাথে মিলে যাচ্ছে। বা কখনো কখনো মাঝখানের কিছু অংশ, আরেকটা গল্পের মতো শোনাচ্ছে, কিন্ত আখেরে কোথাও না কোথাও গিয়ে, গল্প গুলো একটার চেয়ে আলাদা । বেশ উপভোগ্য ।