"... ১৯৬১ থেকে ১৯৬৪ - এই চার বছরের কোনও খাতাতেই ফেলুদার নাম গন্ধ নেই। তারপর হঠাতই, ১৯৬৫-তে, খাতার একেবারে তৃতীয় পাতায় 'ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি' শুরু হয়ে গেছে। প্রথম পাতায় শুধু ইংরেজিতে লেখা বাবার সই ও সাল। এক নতুন চরিত্র জন্মের আগে, একজন লেখক সাধারণত যেসব প্রাথমিক খসড়া করে থাকেন, উনি তা কিছুই করেন নি। গত চার বছরে লেখা অন্যান্য গল্পের মতো সরাসরি আরম্ভ করে দিয়েছেন। ফেলুদাকে নিয়ে যে একটা জবরদস্ত, সাড়া-জাগানো সিরিজ হতে পারে, সেই চিন্তা কিন্তু তখনও তার মাথায় আসেনি।..."
Satyajit Ray (Bengali: সত্যজিৎ রায়) was an Indian filmmaker and author of Bengali fiction and regarded as one of the greatest auteurs of world cinema. Ray was born in the city of Calcutta into a Bengali family prominent in the world of arts and literature. Starting his career as a commercial artist, Ray was drawn into independent filmmaking after meeting French filmmaker Jean Renoir and watching Vittorio De Sica's Italian neorealist 1948 film, Bicycle Thieves.
Ray directed 36 films, including feature films, documentaries and shorts. He was also a fiction writer, publisher, illustrator, calligrapher, graphic designer and film critic. He authored several short stories and novels, primarily aimed at children and adolescents.
Ray's first film, Pather Panchali (1955), won eleven international prizes, including Best Human Documentary at the Cannes Film Festival. This film, Aparajito (1956) and Apur Sansar (1959) form The Apu Trilogy. Ray did the scripting, casting, scoring, and editing, and designed his own credit titles and publicity material. Ray received many major awards in his career, including 32 Indian National Film Awards, a number of awards at international film festivals and award ceremonies, and an Academy Award in 1992. The Government of India honoured him with the Bharat Ratna in 1992.
Early Life and Background: Ray's grandfather, Upendrakishore Ray Chowdhury was a writer, illustrator, philosopher, publisher, amateur astronomer and a leader of the Brahmo Samaj, a religious and social movement in nineteenth century Bengal. Sukumar Ray, Upendrakishore's son and father of Satyajit, was a pioneering Bengali author and poet of nonsense rhyme and children's literature, an illustrator and a critic. Ray was born to Sukumar and Suprabha Ray in Calcutta.
Ray completed his B.A. (Hons.) in Economics at Presidency College of the University of Calcutta, though his interest was always in Fine Arts. In 1940, he went to study in Santiniketan where Ray came to appreciate Oriental Art. In 1949, Ray married Bijoya Das and the couple had a son, Sandip ray, who is now a famous film director.
Literary Works: Ray created two of the most famous fictional characters ever in Bengali children's literature—Feluda, a sleuth in Holmesian tradition, and Professor Shonku, a genius scientist. Ray also wrote many short stories mostly centered on Macabre, Thriller and Paranormal which were published as collections of 12 stories. Ray wrote an autobiography about his childhood years, Jakhan Choto Chilam (1982). He also wrote essays on film, published as the collections: Our Films, Their Films (1976), Bishoy Chalachchitra (1976), and Ekei Bole Shooting (1979).
Awards, Honors and Recognitions: Ray received many awards, including 32 National Film Awards by the Government of India. At the Moscow Film Festival in 1979, he was awarded for the contribution to cinema. At the Berlin Film Festival, he was one of only three to win the Silver Bear for Best Director more than once and holds the record for the most Golden Bear nominations, with seven. At the Venice Film Festival, he won a Golden Lion for Aparajito(1956), and awarded the Golden Lion Honorary Award in 1982. In 1992 he was posthumously awarded the Akira Kurosawa Award for Lifetime Achievement in Directing at the San Francisco International Film Festival.
ফেলুদার অন্য গল্পগুলোর মত এখানে তেমন কোন রহস্য নেই। বাচ্চা বয়সেই প্রেডিক্ট করতে পেরেছিলাম কালপ্রিট টা কে। কিন্তু ঘটনাটি মজার। তাই গল্পটা বেশ ভালো লাগে। আরও ভালো লাগার কারণ আমাদের প্রিয় সেই ফেলুদা আর তোপসের সাথে পরিচয় আমার এই গল্পের মধ্য দিয়েই হয়েছিল। ছোটবেলায় তিন গোয়েন্দার প্রথম যে গল্পটি পড়েছিলাম সেটা ভলিউম-৬৯ এর একটি গল্প ছিল, যেটা পড়ে তখন আহামরি ভালো লাগেনি। এরপর থেকে ঠিক করেছিলাম কোন সিরিজ পড়লে সেটা প্রথম থেকে সিরিয়ালি পড়ার চেষ্টা করবো। তাই ফেলুদা শুরু করেছিলাম প্রথম গল্পটি দিয়েই।
গল্পটি শুরু হয় রাজেনবাবু নামের পঁয়ষট্টি বছরের একজন রিটায়ার্ড উকিলকে কেন্দ্র করে। তিনি অ্যানটিক জিনিসপত্র আর মুখোশ সংগ্রহ করতে বেশ পছন্দ করেন। লোকাল ডাকে তিনি একটি উড়ো চিঠি পান যেখানে লেখা থাকে – “তোমার অন্যায়ের শাস্তি ভোগ করিতে প্রস্তুত থাক।” চিঠিটি পাওয়ার পর তিনি একটু ঘাবড়ে যান। রহস্য থাকবে আর প্রদোষ মিত্র সেখানে ইন্টারেস্টেড হবে না তা তো আর হয় না। ব্যাস! ফেলুদাও বানাতে শুরু করলো সাসপেক্ট লিস্ট। যেখানে আছেন – চৌষট্টি বছরের আরও একজন বৃদ্ধ ‘তিনকড়িবাবু’ - যিনি দার্জিলিং বেড়াতে এসে রাজেনবাবুর বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে উঠেছেন; রাজেনবাবুর পরিচিত ডাক্তার ‘ফণী মিত্র’ - যিনি রাজেনবাবুর অসুখ-বিসুখ হলে তাকে বাড়িতে এসে ট্রিটমেন্ট করে যান; ‘অবনীমোহন ঘোষাল’ – রাজেনবাবুর মত তিনিও কিউরিও সংগ্রহ করেন; আর রাজেনবাবুর ছেলে প্রবীর মজুমদার। অনেক ছোট কেস আর অনেক ছোট সাসপেক্ট লিস্ট। কিন্তু গল্পের শেষটি বেশ মজার। একটা অদ্ভুত ছেলেমানুষী রয়েছে।
ডিসেম্বর ১৯৬৫ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬, বাংলা ও বাঙালির জীবনে এই বিশেষ সময়ের তাৎপর্য কী? হ্যাঁ, একথা ঠিক যে গোটা উপমহাদেশের রাজনীতিতেই তখন আসছে উথালি-পাথালি ঢেউ। বারুদ আর রক্তের গন্ধ মিশে যাচ্ছে খাদ্য, বস্ত্র, ভাষার দাবিতে ওঠা আওয়াজে। কিন্তু তা ছাড়াও এই সময়টার একটা অন্য মহিমা ছিল। বাংলা ভাষার ইতিহাসে শিশু-কিশোর সাহিত্যের সবচেয়ে সোনালি অধ্যায়টা দখল করে রাখা, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও সুকুমার রায়-এর ঐতিহ্য বিজড়িত পত্রিকা "সন্দেশ"-এ ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল 'ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি'। আর সেই সঙ্গেই আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, বাংলায় শুধুমাত্র শিশু-কিশোর পাঠকদের জন্য প্রথম রহস্যভেদী তথা প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর, শ্রী প্রদোষ চন্দ্র মিত্র। ওরফে ফেলুদা। কথক হিসেবে শ্রী তপেশ রঞ্জন, ওরফে তোপসে-র সঙ্গেও সেই আমাদের প্রথম আলাপ। পরবর্তীকালে শার্লক হোমসের দীর্ঘ ছায়া ফেলুদার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে রহস্যরোমাঞ্চ কাহিনির ব্যাকরণটাই বদলে দেয়। কিন্তু এই প্রথম লেখায় তার আচরণে বাঙালিয়ানা, তথা বেড়াতে গিয়ে নতুন কিছু দেখতে পেয়ে তাতে মনোযোগী হওয়ার প্রবণতাটা অনেক বেশি। তাই তার স্বাদ ও গন্ধটাও বেশ বাঙালি ধাঁচের। সর্বোপরি, পরবর্তী প্রায় পঁচিশ বছর ধরে সত্যজিৎ রায়-এর এই অমর সৃষ্টি যে বাঙালিকে একেবারে ফিদা করে রাখবে, তার তেমন কোনো আভাসও ছিল না এই লেখায়। কিন্তু, সেই ফেলুদার দাদাগিরি শুরুর এই প্রথম অধ্যায়টাও একেবারে মাস্ট-রিড। কারণ এর ক'মাস পড়েই, ১৯৬৬-র মে থেকে ১৯৬৭-র মে অবধি ধারাবাহিক ভাবে "সন্দেশ"-এই প্রকাশিত হবে ফেলুদার প্রথম উপন্যাস 'বাদশাহি আংটি'। তার আগের কথাগুলো বাদ দিলে কি চলে?
A short, simple yet thrilling way to provide a character introduction. Unlike Byomkesh Bakshi or any other Bengali detective fiction, the 'crime' is kept very grounded (probably keeping in mind the young readers) and also unfolded in a straightforward way (that isn’t unsophisticated at all). Quite a way to begin making Feluda a part of our childhood. But this is also very much underappreciated, and unpopular compared to his other tales.
ফেলুদার প্রথম অভিযানের গল্পটা মুগ্ধ করল আমাকে। এটা আগে পড়া হয়নি। ব্যস্ততার মধ্যে এই গল্পটা যেন একরাশ মুক্ত হাওয়া। শেষটা দারুণ। অপরাধী কে সেটা আগে আঁচ করলেও মোটিভটা ধরা দুরূহ। সেইসাথে দার্জিলিং, কেভেন্টার্স.... সত্যজিতের জয়।
বইটা যখন পড়েছিলাম তখন আমি হাইস্কুলে পড়ি। স্কুলের লাইব্রেরী থেকে নিয়েছিলাম। কী যে ভালো লেগেছিল বইটি।স্কুলের পড়া বাদ দিয়ে একবসায় শেষ করেছিলাম লুকিয়ে লুকিয়ে।
চিঠি লেখার অভিনব পদ্ধতিটা আমার কাছে এত্ত ভাল লেগেছিল! দারুণ পদ্ধতি! চিঠি লিখে হুমকি দেয়া হল কিন্তু কেউ ধরতেই পারবে না কে লিখেছে😁 কাহিনীর শেষটা আমি ভাবতেই পারি নি যে, এমন হবে। শেষে আমি হাসতেছিলাম। কেউ এমন করতে পারে xD
আরেহ, তুই এখনো ফেলুদা পড়িস নাই?! ছিঃ ছিঃ ছিঃ, নিজেকে বিবলিওফাইল বলে পরিচয় দিতে লজ্জা করে না?! এমন লিজেন্ডারি রাইটার, লিজেন্ডরি তার ক্রিয়েশন, কিছু পড়িস নাই, আর ফেসবুকে বায়ো তে লিখে রাখছিস বিবলিওফাইল, ছিঃ!!!
এমনন কিছু শোনার ভয়ে, চটজলদি সিদ্ধান্ত নিছিলাম ফেলুদা পড়ার। লজ্জাজনক হলেও সত্য যে আমি এখন অব্দি ফেলুদার গল্প বা সিনেমা কোনটাই দেখি বা পড়ি নাই। বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় গোয়েন্দা, প্রদোষ চন্দ্র মিত্র ওরফে ফেলুদার গল্প পড়া... সরী শোনা শুরু করি কারণ তখনো হার্ডকভার কিনে পারি নাই। আর ব্লেসিং হয়ে আমার জীবনে আসে সানডে সাসপেন্স... আহহহহ, আমি চিরকৃতজ্ঞ, সানডে সাসপেন্স শুধু যে গল্প পড়ে শোনায় তা কিন্তু না বরং এক লাইফ টাইম এক্সপেরিয়েন্স ও দেয়।
শুরুটা এভাবেই হয়েছিল... এবছরের দ্বিতীয় মাস, ফেব্রুয়ারিতে। আর এরপর... গুণে গুণে ১৭টা গল্প ইউটিউব মারফতে শোনা। কিন্তু শুনেই কী স্বস্তি মেলে? অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর... বছর শেষ নামতে দু মাস আগে কিনে ফেললাম ফেলুদা সমগ্র। ক্যালকুলেশনটা ভাল জমছে না? যাত্রা শুরু হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে আর বই কিন্নাফেল্লাম নভেম্বরে!
যাইহোক, হার্ড কভার বিবেচনায় প্রথম গল্প "ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি" যে ফেলু সমগ্র ১ এর প্রথম গল্প মাত্রই পড়ে শেষ করলাম। তবে... নাহহহরে, মিরচির অডিওবুকের স্বাদ নিজে পড়ার মাঝে নাই, শত হোক তা হার্ড কভার হাতে নিয়ে, ওটা এক আলাদা ইমোশন ছিল। যাইহোক, শুরুটা হল...এরপর ভাবছি অডিওবুক আর হার্ডকভার হাতে নিয়ে Sync করে পড়ব। দেখি কতটা ফিল পাই।
১৯৬৫ সাল। বাংলা সাহিত্যের জন্য গুরুত্বপূর্ন এক সময়। কেন? কারন এই সময়ে জন্ম নেয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন চরিত্র ফেলুদা। এই গল্পকে ফেলুদার ডেব্যু বলা যেতে পারে। খুব ছোট করে লেখা গল্প পড়ে ফেলুদার সম্পর্কে অনেক কিছু জানা না গেলেও ধারনা ভাল করেই করা যায় যে সামনে কি আসছে।
মাত্র ৪০ পেজের গল্পের সার সংক্ষেপ বলতে গেলে সব বলা হয়ে যায় যদিও। কাহিনী এমন যে, তপশে হঠাত করে শুনে ফেলে রাজেনবাবুর কাছে একটা উড়ো হুমকি চিঠি এসেছে। ফেলুদা তার বুদ্ধি দিয়ে আবিষ্কার করতে থাকে কেন এবং কার কাছে থেকেই বা এসেছে এই চিঠি।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ছড়ানো ছিটানো ভাবে অনেক ফেলুদা পড়া থাকলেও একবারে সিরিয়ালি ফেলুদা পড়ার ইচ্ছে ছিল আগে থেকেই। তাই এত দিন পরে এসে শুরু করে দিলাম সিরিয়ালি (টাইম লাইন ধরে) ফেলুদা পড়া।
ফেলুদার প্রথম গল্পটাই এতদিন পড়া হয়নি। একদম সাধারণ মানের একটা গল্প। কিন্তু এটা যে একটা ইতিহাস সৃষ্টির সূচনা। যুগের পর যুগ রহস্য রোমাঞ্চ প্রিয় বাঙালি পাঠককে মোহিত করে রাখবে যে ফেলু মিত্তির তার সৃষ্টি যে এই গল্পের মাধ্যমে। জয় বাবা ফেলুনাথ।
#ফেলুদা series এর মোট ৩৫টি গল্প /উপন্যাসগুলোর মধ্যে এটি হলো প্রথম। গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে ' সন্দেশ ' পত্রিকায়।গল্পটি ধারাবাহিকভাবে তিন কিস্তিতে বের হয়। এই গল্পটিতে ফেলুদাকে তপেশের মাসতুতো দাদা বলে পরিচয় দেওয়া হয়। তপেশের পুরোনাম তপেশ রঞ্জন বোস।পরবর্তীকালে সত্যজিৎ রায় এগুলিকে পরিবর্তন করেন। তপেশ (পদবিও change kore মিত্র করা হয়) হয়ে যায় ফেলুদার খুড়তুতো ভাই।
ফেলুদা সিরিজের প্রথম গল্প হলেও গল্পটা ভালোই লাগলো । এই গল্পে ফেলুদার বয়স ২৭ আর তোপসের এর অর্ধেক। দার্জিলিং এ ঘটা ফেলুদার দুটি গল্পের মধ্যে এটিই প্রথম, অন্যটি ' দার্জিলিং জমজমাট '।
ফেলুদা সিরিজের প্রথম বই। আমারও ফেলুদা সিরিজ পড়া শুরু হলো। ভালো লেগেছে, যদিও মাঝেই টুইস্ট ধরে ফেলেছি কিন্তু তবু সত্যজিতের সাসপেন্স ধরে রাখার ক্ষমতা মুগ্ধ করেছে।
This was a short story that marked the beginning of the Feluda series. I don't think a lot of people outside of India (or even Bengal actually) know about this desi counterpart of Sherlock Holmes made for a young audience.
I've never read a Feluda story before this so this was definitely a novel experience and honestly quite enjoyable. I didn't really like the ending though, it was too simplistic(?) but this was a good beginning overall and pretty enjoyable.
এই নিয়ে কতবার যে শুরু করলাম তার ইয়ত্তা নাই। এবার শপথ নিয়েছি একাধারে ৩৫ টা পড়ে শেষ করবই। এবং সেজন্য এডিট করে একটা ইপাব বানানো হয়েছে যাতে দুরত্ব, ওজন, সময়, রিসোর্স কোনটাই কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে। এবার পড়ার সময় সবগুলোর রিভিউতে কাহিনী সংক্ষেপ ও লিখে রাখবো ভেবেছি।
স্পয়লারঃ ফেলুদার কাহিনীর শুরু। রাজেনবাবু নামের ভদ্রলোক একটা হুমকি মূলক চিঠি পান।
‘তোমার অন্যায়ের শাস্তি ভোগ করিতে প্রস্তুত হও।'
খবরের কাগজ আর পুরনো বই কেটে বানানো। কে হুমকি দিল তা খুজে বের করা নিয়ে কাহিনী গড়িয়েছে। বাকিটুকু পাওয়া যাবে গল্পের শেষে রাজেন বাবুকে লেখা তিনকড়ি বাবুর চিঠিতে।
‘প্রিয় রাজু, কলকাতায় জ্ঞানেশের কাছ থেকে তোমার খবর পেয়ে যখন তোমায় চিঠি লিখি, তখনও জানতাম না আসলে তুমি কে। তোমার বাড়িতে এসে তোমার ছেলেবয়সের ছবিখানা দেখেই চিনেছি, তুমি সেই পঞ্চাশ বছর আগের বাঁকুড়া মিশনারি স্কুলের আমারই সহপাঠী রাজু! ‘এতকাল পরেও যে পুরনো আক্রোশ চাগিয়ে উঠতে পারে, সেটা আমার জানা ছিল না। অন্যায়ভাবে ল্যাং মেরে তুমি যে শুধু আমার হাণ্ড্রেড ইয়ার্ডস-এর নিশ্চিত পুরস্কার ও রেকর্ড থেকে বঞ্চিত করেছিলে, তাই নয়–আমাকে রীতিমত জখমও করেছিলে। বাবা বদলি হলেন তখনই, তাই তোমার সঙ্গে বোঝাপড়াও হয়নি, আর তুমিও আমার মন আর শরীরের কষ্টের কথা জানতে পারোনি। তিনি মাস পায়ে প্লাস্টার লাগিয়ে হাসপাতালে পড়ে ছিলাম। ‘এখানে এসে তোমার জীবনের শান্তিময় পরিপূর্ণতার ছবি আমাকে অশান্ত করেছিল। তাই তোমার মনে খানিকটা সাময়িক উদ্বেগের সঞ্চার করে তোমার সেই প্রাচীন অপরাধের শাস্তি দিলাম। শুভেচ্ছা নিও। ইতি–তিনু (শ্রীতিনকড়ি মুখোপাধ্যায়)।
তখন প্রথম প্রথম লকডাউন দিয়েছে, স্কুল বন্ধ (পড়াশোনাও 😆)। বই তখন মোটামুটি ভালোই পড়ি। একদিন কোনো প্লান ছাড়া, কারো সাজেশন ছাড়াই অনলাইনে কিনে ফেললাম ফেলুদা সমগ্র। কিন্তু হাতে পাওয়ার পর মনে হলো কারো কাছে তো শুনলামও না ফেলুদা কেমন (তখনও ফেলুদার জনপ্রিয়তা কতটা তা জানতাম না)। দুপুরে খাওয়ার পর শুরু করলাম প্রথম গল্প 'ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি' পড়া। এখানে তোপসে ১৩, আর ফেলুদার বয়স তার ডাবল। ফেলুদা তখনও পুরোদমে গোয়েন্দাগিরি শুরু করেনি। ও হ্যা, ফেলু-তোপসে জ্যাঠতুতো ভাই, কিন্তু তোপসে তখন ফেলুদাকে মাসতুতো ভাই হিসেবে লিখত। একটু গল্পের মতো করে লেখার চেষ্টা করতো আর কি। কিন্তু ফেলুদা ধমক দেওয়ায় পরবর্তীতে ঠিকটাই লেখা শুরু করে। যাই হোক, এই গল্পে ওরা ছুটিতে বেড়াতে এসেছে দার্জিলিংয়ে। এখানেই ফেলুদা সন্ধান পেয়ে যায় রহস্যের। ফেলুদার অন্যান্য গল্পের মতো এখানে তেমন প্যাঁচ নেই, কিছুটা অনুমানও করা যায় কি হবে সামনে। তবে ছোটখাটো বিভিন্ন বিষয়ে ফেলুদার পর্যবেক্ষনক্ষমতা, বুদ্ধিমত্তা পাঠকদের অবশ্যই মুগ্ধ করবে। এই একটি গল্প পড়েই আমি ফেলুদাভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম, আশা করি সবারই ভালো লাগবে।
চমৎকার বৃষ্টিমুখর দিনে প্রিয় ডেজার্ট রান্না করতে করতে শুনলাম ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি। ফেলুদাকে নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের প্রথম বই। ফেলুদার মূল থিম পুরোপুরি মাত্রায় না আসলেও, অনেকটা লক্ষ্য করা যায় এই বইয়ে। আর এই ফেলুদাকে নিয়েই সত্য��িৎ রায় লিখবেন বাংলা সাহিত্যের অমর কিছু ডিটেকটিভ উপন্যাস। হালকা মেজাজের কাহিনী আর সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও প্রথম সাক্ষাতেই ফেলুদাকে পাঠকের মনে থাকবে।
'Danger in Darjeeling' (Feluda #1) by Satyajit Ray. [Translated in English by Gopa Majumdar]
Rating: 2.5/5.
Review: Danger in Darjeeling heralds the beginning of numerous adventures of Satyajit Ray's most popular amateur detective, Feluda. Often regarded as Sherlock Holmes' Indian counterpart, Feluda's stories (originally written in Bengali) became more popular among the different parts of India in the 1980s when their English translations became readily available to the common masses.
The two-volume omnibus of The Complete Adventures of Feluda (English translation) had been languishing at the bottom of my unread pile of books for over the last decade. I had bought it with great exuberance, but owing to one reason or another, I hadn't found the time or the interest to pick up these copies. However, after a long wait, I decided to remedy the situation.
Danger in Darjeeling is a short story, clocking just short of 20 pages. The plot is quite simple and straightforward and doesn't require any special efforts to be set up. I must confess that I came out of the story feeling quite underwhelmed and dissatisfied. Most of Feluda's investigative efforts happen off-screen. Suspicions are laid on three characters, one of whom is likely to be the perpetrator of the crime. But, eventually, it turns out to be someone else! It felt as if the writer intended it to be unpredictable just for the sake of being unpredictable. It's weird how, while reading this story, I thought it would be funny if none of the three individuals suspected of the crime turned out to be the actual culprit, and someone else (I turned out to be right about this, not because there were subtle clues dropped about his identity, but rather because of how absurd it would turn out to be if it had to be so!) turned out to be the actual criminal.
Feluda made some clever deductions in the story, but none of these were about the main crime. Most of his brilliant deductions were to show off to his cousin, a boy half his age. A large number of vital clues about the crime were highlighted to Feluda by the author, who used to write crime novels for a living. All in all, this book has so far proved inefficient in showcasing the brilliant deductive brain of Feluda, the Indian counterpart of Sherlock Holmes.
I won't be overly critical of this story, though. It was the first short story featuring Feluda, and I'm sure the stories would have greatly improved, and Feluda's character has been more developed as more stories were written. On to the next one, then!
অবশেষে শুরু করে দিয়েছি। দেখা যাক কতটুকু যাওয়া যায়। অনেকে রিভিউয়ে দেখলাম আগে ভাগেই প্রাঙ্কমাস্টারকে ধরে ফেলছে কিন্তু আমি কখনোই এইসব ধরতে পারি না। অই লেখক যে দিকে নির্দেশ করে সেই দিকেই যাই, লেখক প্রবীর মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি সন্দেহ করছে আর আমি তো ধরেই নিছি এই লোকই প্রাঙ্ক করছে। কিন্তু ঘটনা তো তা না, জীবনেও এইসব অনুমান করতে পারলাম না। দেখা যাক পরের গুলো কেমন হয় যদিও আমার সব ফেলুদা দেখা আছে আগেরই এতদিনে কাহিনিগুলো ভুলে গেলেই কেবল মজা পাব, না ভুললেও পাব কারণ পড়া আলাদা জিনিস।
i've read some of feluda's stories & seen both the movies directed by satyajit ray and some of the ones directed by sandip ray. it's time to fill those gaps.
Feluda was originally written by Satyajit Ray for the children’s magazine ‘Sandesh’. The popularity of the series was such that Ray went on to include a few adult themes in the later stories when he realized that even adults were enjoying the series. I actually read Feluda before Agatha Christie and as such Feluda was my introduction to detective fiction. The best part of the stories is the evergreen manner of Ray’s narrative. I remember reading ‘Baadhshahi Angti’ which was written in 1960s and when I visited Lucknow in 1990s, I could still recognize the places described in the book. The other thing that I loved about the series was that in every story we learned something new – be it about geometry or about telepathy. Absolutely and irrevocably in love with Feluda and his adventures – forever a fan.
গল্পটি শুরু হয় রাজেনবাবু নামের পঁয়ষট্টি বছরের একজন রিটায়ার্ড উকিলকে কেন্দ্র করে। তিনি অ্যানটিক জিনিসপত্র আর মুখোশ সংগ্রহ করতে বেশ পছন্দ করেন। লোকাল ডাকে তিনি একটি উড়ো চিঠি পান যেখানে লেখা থাকে – “তোমার অন্যায়ের শাস্তি ভোগ করিতে প্রস্তুত থাক।” চিঠিটি পাওয়ার পর তিনি একটু ঘাবড়ে যান। রহস্য থাকবে আর প্রদোষ মিত্র সেখানে ইন্টারেস্টেড হবে না তা তো আর হয় না। ব্যাস! ফেলুদাও বানাতে শুরু করলো সাসপেক্ট লিস্ট। যেখানে আছেন – চৌষট্টি বছরের আরও একজন বৃদ্ধ ‘তিনকড়িবাবু’ - যিনি দার্জিলিং বেড়াতে এসে রাজেনবাবুর বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে উঠেছেন; রাজেনবাবুর পরিচিত ডাক্তার ‘ফণী মিত্র’ - যিনি রাজেনবাবুর অসুখ-বিসুখ হলে তাকে বাড়িতে এসে ট্রিটমেন্ট করে যান; ‘অবনীমোহন ঘোষাল’ – রাজেনবাবুর মত তিনিও কিউরিও সংগ্রহ করেন; আর রাজেনবাবুর ছেলে প্রবীর মজুমদার। অনেক ছোট কেস আর অনেক ছোট সাসপেক্ট লিস্ট। কিন্তু গল্পের শেষটি বেশ মজার। একটা অদ্ভুত ছেলেমানুষী রয়েছে।
ফেলুদার সর্বপ্রথম বই এটা। ছোট গল্প কিন্তু ভাল লেগেছে। ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি শুরু করার প্রথম ধাপ। রাজেনবাবুর বিভিন্ন মুখোশ এবং প্রাচীন জিনিস সংগ্রহ করার শখ। তাঁর ছেলের বিপথগামী হওয়া এবং শেষে বিলেতে যাওয়া তারপর আবার দেশে ফিরে এসে হোটেলে উঠা, বাবার সাথে দেখা না করা। রাজেনবাবুর বাসায় তিনকরিবাবুর ভাড়া করে থাকা, পরে জানা যায় সে একজন বিখ্যাত গোয়েন্দা লেখক। ডাক্তার ফনী মিত্তিরের বেহাল অবস্থা। মি.অবনীমোহন ঘোষাল এর প্রাচীন জিনিস কিনে আবার বিক্রি করার ব্যাবসা। কিন্তু যেহেতু এটা সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদাকে নিয়ে লেখা প্রথম বই, সেজন্যই বোধহয় উনি খুব দ্রুত বইটি শেষ করে দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত জানা গেল তিনকরিবাবুই বেনামে চিঠিটা লিখেছিলেন, তাঁর ছোটবেলার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য।
ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি শুরুর গল্প এটি। যেহেতু একদম প্রথম গল্প, সত্যজিৎ রায় কোনরকম পরিকল্পনা ছাড়াই এর খসড়া করে ফেলেছিলেন। তখনো কেউই জানতাম না যে এই ফেলুদা-ই মানুষের মক্নে এভাবে জায়গা করে নিবে।
এই গল্পটি একদম সাদামাটা হলেও ফেলুদা ও তোপসের সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য বেশ। এছাড়া প্রাইভেট ডিটেকটিভ হিসেবে ফেলুদার কাজকর্মের ধারণা পাওয়া যায়।
ছোট এ গল্পটি খুব একটা থ্রিলিং না হলেও ঘটনাটা মজার হওয়ায় পড়তে ভাল লাগবে, এক বসাতেই শেষ করার মত। এবং ফেলুদাকে জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে।