এবং হিমু ...

হিমু #5

by Humayun Ahmed

Bengali

Genres: Fiction, Novels, Comedy, Contemporary, Drama, Audiobook, Humor

80 pages, Hardcover

First published February 1, 1995

About the author

Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Reviews

[Aishu Rehman · Rating 3 out of 5]

এ গল্পে রেশমা খালা না থাকলে নিঃসন্দেহে গল্পটি সাদামাটা রূপ ধারণ করতো। আমার এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার পড়া হয়েছে! এখনও মাঝে মাঝে পড়ি। বিশেষ করে শেষের দিকে ইরা আর হিমুর মধ্যকার কথোপকথন এক ধরনের অন্যরকম শিহরনের জন্ম দেয়। আর রূপা চরিত্রটি... যেন প্রতিটি গল্পেই নিজের মতো! পছন্দনীয় অথচ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য!

[Tiyas · Rating 3 out of 5]

হিমুর কাহিনীগুলো আমি চাইলেও আলাদা করে মনে রাখতে পারি না। এক উপন্যাসের কাহিনী আরেক উপন্যাসের মাথায় এবং এক চরিত্রকে আরেক চরিত্রের সাথে গুলিয়ে ফেলতে ফেলতে, এখন আর খুব একটা আশ্চর্য হই না। খোদ লেখক নিজেও হয়তো এসব কন্টিনিউইটির তোয়াক্কা করতেন না, এটাই যা প্রবোধ। এবারেও এই একদম 'নতুন' উপন্যাসটি পড়তে বসে বুঝতে পারলাম, এর অর্ধেকখানি আমার আগেই পড়া। বাকিটা যে ঠিক কেন শেষ করিনি, সেটা অমীমাংসিত রহস্যই হয়েই থাক।

যাই হোক, হিমুকে আইডোলাইস করতে পারি না কক্ষনো। সে যে সকল জায়গা হতে ঘাড়ধাক্কা খায়, সংযত কারণেই খায়। তবে তাই বলে ছেলেটার প্রতি মায়াও হয়। এবারেও হলো এবং যথেষ্ট পরিমাণেই। উপন্যাসটির শেষটুকু অনিশ্চয় এবং হৃদয়বিদারক, পূর্বপঠিত হিমু উপন্যাসের চিরাচরিত all's well, that ends well ঘরাণার নয়। কিছুটা বিভ্রান্তিকর, খানিকটা অগোছালো। পাঠ অভিজ্ঞতাটুকু আনপ্রেডিক্টেবলই মিশ্র!

বইয়ের শেষ লাইনে এসে লেখক যেন সচেতন ভাবেই হিমু চরিত্রের যাবতীয় অসহায়তা, আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। বুঝিয়ে দেন, ছেলেটা আদতেই একা। হিমুর এই মহাকাব্যিক জীবনযাত্রার দৃশ্যমান দেওয়ালের ফাঁকগুলো দিয়ে তার অন্তর্নিহিত একাকীত্ব মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আমরা বা বইয়ের সমুদয় চরিত্ররা যতই চেষ্টা করুক, হিমু হয়তো কোনোদিনই তার পিতৃদত্ত জীবনধারার বাইরে বেরিয়ে আসতে পারবে না।

এখানেই তার নির্বিবাদ অসহায়তা!

[Maliha Tabassum (back from hiatus) Tisha · Rating 1 out of 5]

হিমুর বড় ফুপু ও বড় খালা (পারাপার) দুজনের নামই দেখা যাচ্ছে সুরমা। আবার দুজনেরই হাজবেন্ডের মদ্যপানের অভ্যেস। কিন্তু খালারা আপাতদৃষ্টিতে নিঃসন্তান (কিংবা খালার ছেলে বাদলটা হিমুর প্রভাব থেকে বঞ্চিত হবার দরূন অস্ট্রেলিয়ায় অত্যন্ত মনোযোগের সহিত লেখাপড়া করছে)। অতএব, সহজেই ধরে নেয়া যেতে পারে আগের বইটি কোনো এক প্যারালাল ইউনিভার্সের হিমুকে নিয়ে লেখা ছিল, যেখানে সুরমা ফুপু হয়ে গেলেন সুরমা খালা।🐸 হয়ত তাই বইটির নাম লেখক "পারাপার" রেখেছিলেন?

যাহাই হোক, পারাপার-এ যে হিমুকে এত ভালো লাগতে শুরু করেছিল, এ বইতে সে-ই বেশ বিরক্তিকর রূপ ধারণ করেছে। প্লটে কোথাও কোনো নতুনত্ব নেই। ইরা ক্রমশ বেশ নিম্নমানের প্লট ডিভাইসে অবনীত হয়। উপন্যাসের সমাপ্তি যদিও মেনে নেয়া যায়, শেষ দৃশ্যটি না থাকলেই ভালো হত, অথবা একটু অন্যভাবে লেখা হলে।

শেষ লাইনটি ছিল বইটির একমাত্র রিডিমিং ফিচার। 🖤

হিমু কম্প্লিটিস্ট না হলে এ বই এড়িয়ে যেতে পারেন।

[Juiena Shabnam (জুইয়েনা শবনম) · Rating 4 out of 5]

ট্রেনে যেতে যেতে এবং হিমু, পড়ে ফেললাম, ভালোই ছিল।বাদলের আজগুবি কর্মকাণ্ড দেখে যেমন হেসেছি ঠিক তেমন বদরুল সাহেবের অমায়িক ব্যবহার আর অর্থকষ্ট দেখে কষ্ট পেয়েছি।
ইয়াকুবের মত অনেক বন্ধু আমাদের আছে যারা আসলে থাকা আর না থাকাটা একদম সমান।
রেশমা খালার একাকিত্ব আমাকে ভাবিয়েছে।মানুষ টাকা-পয়সা, সম্মানের পিছনে ছুটতে ছুটতে এমন একা হয়ে যায় যে,সে একসময় তার নিজ ছায়াকে ভয় পেতে শুরু করে। আমার মনে দাগ কেটেছে যে লাইনগুলো --
"পাশাপাশি দু’ভাবে থাকা যায়। স্থুলভাবে থাকা যায়। এই যেমন তুই আর আমি এখন পাশাপাশি বসে আছি। আবার সূক্ষ্মভাবে—চেতনার ভেতরও থাকা যায়।"
শেষটা একটু অন্যরকম হলে বেশি ভালো লাগতো,কিন্তু লেখকের মর্জি যা ছিল তাই হয়েছে।
যারা হিমুকে ভালোবাসেন তারা পড়ে ফেলুন,আশা করি খারাপ লাগবে না।

[সালমান হক · Rating 4 out of 5]

হিমুর এই বইটার প্রতি আমার ভালো লাগার পরিমাণ কিঞ্চিত বেশি। তার কারণ হচ্ছে এর রহস্যময়তা। পুরো বই জুড়েই এই ভাবটা ছিল। মিসির আলির কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হিমুর মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। আমার ধারণা এবং হিমুর পাশাপাশি সেই সময়ে লেখক মিসির আলির কোন বইও লিখছিলেন খুব সম্ভবত। পুনরায় বাদল, বড় ফুপু এবং ফুপাকে দেখি আমরা। সেই সাথে প্লটের প্রয়োজনে রেশমা খালার দেখা মেলে। বইয়ের মূল প্লটটা তাকে নিয়েই। গল্পের শেষটা একদম টিপিক্যাল হুমায়ূনীয় এন্ডিং। কিন্তু ভাল লেগেছে। পাঠক মনে ঠিক এরকম বিভ্রান্তি তৈরি করাটাই খুব সম্ভবত উদ্দেশ্য ছিল লেখকের। সেই উদ্দেশ্যে তিনি সফল। স্বল্প সময়ের জন্যে রূপার দেখাও মেলে।

[Md. Faysal Alam Riyad · Rating 3 out of 5]

ইরা নিচু গলায় বলল, হিমু ভাই, আমি কি আপনার সাথে হাঁটতে পারি ? শুধুমাত্র একটা রাতের জন্য?

আমি বললাম, অবশ্যই পার।
ইরা অস্পষ্ট স্বরে বলল, আমি যদি বলি আমার হাত ধরতে, আপনি কি রাগ করবেন ?

আমি শান্ত গলায় বললাম, আমি রাগ করব না। কিন্তু ইরা, আমি তোমার হাত ধরব না। হিমুরা কখনও কারো হাত ধরে না।

[Adwitiya (অদ্বিতীয়া) · Rating 4 out of 5]

One of the better stories in the Himu series, I'd say. Humayun Ahmed is in his full element here. I was surprised by how much I enjoyed it.

~ 2 December 2025

[Aman · Rating 5 out of 5]

ধারাবাহিকভাবে হিমু সিরিজের উপন্যাসগুলো পড়া শুরু করেছিলাম।
এতোদিনে এসে মনে হলো এক উপন্যাসের সাথে আরেক উপন্যাসের মিল খুঁজে পড়তে গিয়ে হিমু পড়ার মূল আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
এক পর্বের খালা কিভাবে আরেক পর্বে ফুপু হয়ে গেলো এই প্রশ্নে না গিয়ে বরং হিমুর দিকে নজর দেয়াই ভালো। সে ঠিক আছে। আগের মতোই তার বাবার উপদেশ মেনে মহাপুরুষ হবার চেষ্টা চালাচ্ছে।

যাইহোক, শেষটা ভালো লেগেছে। একদম হুমায়ূন আহমেদ তার উপন্যাসে যেমন এন্ডিং দিয়ে থাকেন। যতোই সুন্দর প্ল্যান করে আগাও না কেনো শেষে গিয়ে সব অন্যরকম হয়ে যাবে।

[তান জীম · Rating 4 out of 5]

কাল রাতে হঠাৎ করেই মনে হলো, খিদে লেগেছে। অথচ খেয়েছি মাত্র ঘন্টা খানেক হবে। কিন্তু এর মধ্যেই মনে হচ্ছে, হালকা টক টক হয়ে যাওয়া বিরিয়ানী যেটার খাবার পর ফ্রিজে তুলে রাখা হয়, ওটার স্বাদ নেবার জন্য প্রাণ বেরিয়ে যাচ্ছে। এমনটা কেন হচ্ছে? আর এই খাবার আমি খেয়েছিই বা কোথায়? আসলে কোথাওই খাইনি। এটার কথা যার কাছ থেকে জেনেছি আসলে তার সাথে খানিকটা সময় পার করবার খিদে লেগেছে���

সেই ভাবনা থেকেই হিমুর একটা বই হাতে নিলাম (ফোনে নিলাম বললে বেশি পারফেক্ট হবে)। এই বইতে সেই বিরিয়ানীর বর্ণনা থাকবে কিনা জানা ছিলো না। কিন্তু কাকতালীয় ভাবে বইয়ের শুরুতেই সেই বিরিয়ানীর বর্ণনা পেলাম। এভাবে মিলে যাওয়ার অনুভূতিটা দারুণ ছিলো। আর সেই সাথে হিমু শুরু দিককার গল্পগুলা, আহ! অনেকদিন পরে হিমু পরে আবার বিষণ্ণ হয়ে গেলাম।

[Raihan Ferdous Bappy · Rating 4 out of 5]

রাত ৩:২৯।

শেষ করলাম হিমু সিরিজের পঞ্চম বই "এবং হিমু"। হিমু! কি অদ্ভুত এক চরিত্র! প্রেডিক্ট করার কোনো সুযোগ নাই। একদম আনপ্রেডিক্টেবল ক্যারেক্টার। পড়তে পড়তে কখন যে এই চরিত্রে ঢুকে যায় বুঝতেই পারি না।

হিমু সিরিজে যে চরিত্রগুলোর সাথে সচরাচর আমরা পরিচিত তার বাইরেও এই বইয়ে বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং চরিত্রের সাথে পরিচিত হওয়া যায়। তার মধ্যে বদরুল আর রেশমা খালা অন্যতম। এছাড়াও আরো কয়েকটা চরিত্র যোগ হয়েছে। সেদিকে আর গেলাম না। যেই দুইটা চরিত্র বেশি ভাল লেগেছে তাদের কথায় বললাম শুধু।

রেশমা খালা! রেশমা খালার সাথে হিমুর শেষের কনভারসেশনটা এতোই জোশ ছিলো রে ভাই! না হেসে উপায় ছিলো না। খুবই মজা লেগেছে আমার। একদম হোহো করে হেসেছি। লাস্টে খালুর ব্যাপারে যে কনভারসেশনটা হিমু আর রেশমা খালার ভেতরে হয়, সেটা বেশ কয়েকবার পড়েছি। পড়ে প্রত্যেকবারই হেসেছি।

অন্যদিকে, বদরুলের শেষটা এতোই খারাপ লাগলো! অবশ্য এইটা হুমায়ূন সাহেবের বিশেষত্ব। তার উপন্যাসে এইরকম ইন্ডিং এখন আর অবাক করে না। বই শেষ করে মন খারাপ করে বসে থাকার মধ্যেও একটা আনন্দ আছে। তাও আবার এতো রাতে! এই রিভিউটা লিখে চুপচাপ বসে থাকবো।

সবমিলিয়ে, খুব মজা পেয়েছি। পড়ে ফেলুন। ভালো লাগবে।

[HR Habibur Rahman · Rating 4 out of 5]

হিমু সিরিজের গোটা ১০ এর মতো বই পড়েছি এই অবদি। কেনো জানি মনে হয় গল্পের শেষ একটা আফসোস থেকে যায়। জানার ইচ্ছা থাকে ওই মানুষটার কি হলো। হুমায়ূন আহমেদের হিমু সিরিজটা আসলে অগছালো একটা শহরের গল্প। শুধু হিমু যেখানে মুখ্য বিষয় না বলে আমি মনে করি। তার লেখা গল্প পড়ার সময় মায়া লেগে থাকে। মনে হয় আরেকটু পড়ি আরেকটু পড়ি। পড়ার পর মনে হয় এটা কি ছিলো? 🙄
তবে এই বইটা ব্যতিক্রম ছিলো। যদিও জানতে ইচ্ছে করে হাসপাতালের সেই ব্যাক্তি কি চাকরিটা করেছিলেন পরে? না পরপারে গেছেন গা। :-D
তবে বইটা ভালো লেগেছে বেশ ♥♥

[Muhammad · Rating 3 out of 5]

পুরোটা বই ভালো লেগেছে বলবোনা। অনেক কিছুই অনেক অপ্রয়োজনীয় লেগেছে। শেষে এসে আবার কেমন ভালোও লাগলো একটু। সব মিলিয়ে মিশ্র অনুভূতি।

[Abdus Sattar Sazib · Rating 4 out of 5]

হিমু চরিত্রের আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। লেখক হিমুর বাবাকে বর্ণনা করেছেন একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ হিসেবে; যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তিনি মহাপুরুষ তৈরির জন্য একটি বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু।
হিমুর পোশাক হল পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী। হলুদ বৈরাগের রঙ বলেই পোশাকের রং হলুদ নির্বাচিত করা হয়েছিল। ঢাকা শহরের পথে-পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো তার কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না।
হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ। প্রেম ভালবাসা উপেক্ষা করা হিমুর ধর্মের মধ্যে পড়ে। কোন উপন্যাসেই কোন মায়া তাকে কাবু করতে পারে নি। মায়াজালে আটকা পড়তে গেলেই সে উধাও হয়ে যায়। হিমু উপন্যাসে সাধারণত হিমুর কিছু ভক্তশ্রেণীর মানুষ থাকে যারা হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে। এদের মধ্যে হিমুর ফুপাতো ভাই বাদল অন্যতম। মেস ম্যানেজার বা হোটেল মালিক- এরকম আরও কিছু ভক্ত চরিত্র প্রায় সব উপন্যাসেই দেখা যায়।
এছাড়াও কিছু বইয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী ও খুনি ব্যক্তিদের সাথেও তার সু-সম্পর্ক ঘটতে দেখা যায়। হিমুর একজন বান্ধবী রয়েছে, যার নাম রূপা; যাকে ঘিরে হিমুর প্রায় উপন্যাসে রহস্য আবর্তিত হয়। নিরপরাধী হওয়া সত্ত্বেও সন্দেহভাজন হওয়ায় হিমু অনেকবার হাজতবাস করেছে এবং বিভিন্ন থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।

হিমু বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় ও কাল্পনিক। নব্বই দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। হিমু ও মিসির আলি হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট সর্বাধিক জনপ্রিয় দু’টি কাল্পনিক চরিত্র। উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙালি তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।

[Soumyabrata Sarkar · Rating 2 out of 5]

This one was just okay. . . . felt so-so, and to be frank, I felt quite disappointed reading this one after পারাপার, which was far BETTER and perhaps the Best Himu I have read so far . . The main reason for this is perhaps its predictability. From the beginning itself, when you read about the characters like Badrul, Reshma khala and Ira for a couple of pages, you could clearly trace the pattern as what is going to happen with them. The author does not stray away from the predictable path, even after getting so many chances. From the middle itself, you could see that Himu is going to get that job to Badrul or is going to leave Reshma khala soon. Ira would also get influenced by Himu at one point of time or the other. At times, this story becomes preachy, and lacks the classic humour that comes with the Himu stories. The story is good, no doubt about it, but here the presentation lacks a bit, in comparison with the former Himu novels. Perhaps, if the reader is new to Himu, then he/she may find it to be a Good/Great read. . . . For me, it was just Okay . . . and when I judge it in the basis of being a Himu novel, it degrades more. TWO STARS. . . sorry! It could have been better!

[ANGSHUMAN · Rating 4 out of 5]

হিমুর প্রতিটি গল্পই আশ্চর্যকর রকমের। আর হিমু হওয়ার প্রধান শর্তই হলো হিমুকে সম্পূর্ণ আনপ্রেডিক্টেবল হতে হবে। মোহ তার কোনকালে কোন বিষয়েই নেই। পড়তে পড়তে ঢুকে যাই হিমুর চরিত্রে,মনে হয় জীবনের কোন না কোন সময় আমরা হিমু হতে চাই। অথচ জগতের মায়ার বাঁধনে আটকে পড়ে আছি।
ইরা,রেশমা খালা,বদরুল সায়েব প্রত্যেকেই জীবনযুদ্ধে জিততে গিয়ে হিমুর কাছে হেরে যান,জিতে যায় হিমুই।

[Pranta Biswas · Rating 5 out of 5]

বদরুল সাহেবের চাকরির ব্যবস্থা করা মাধ্যমে গল্প শেষ করার ব্যাপারটি অনেক ভাল লেগেছে। সাধারণত হিমু সিরিজের আগের পড়া গল্পগুলোতে শেষে একটা 'কিন্তু', 'অপ্রাপ্তি' থেকে যায়। যেন সব শেষ হয়েও হলো না, আরো কিছু থাকলে হয়তো ভালো হত। কিন্তু এইটি আলাদা। অনেকেই ভাবতে পারে বদরুল সাহেবের কি হলো শেষ পর্যন্ত তা লেখক বলে নি। কিন্তু আমি জানি বদরুল সাহেব ঠিকই সুস্থ হয়ে ছয় মাসের এডভান্স দিয়ে সস্ত্রীক মালিবাগের দুই রুমের বাসায় গিয়ে উঠবেন, যে বাসার সামনে আমগাছ আর ডালে দোলনা বাধা।রোজ সন্ধ্যাবেলা বদরুল সাহেব তার ছোট মেয়েকে কাছে বসিয়ে যত্ন করে পড়াবেন, যার নাম জাহেদা বেগম, ক্লাস সিক্স, রোল ১।

[Kazi Md. Al-Wakil · Rating 4 out of 5]

হিমুর মেসে মেট বদরুল সাহেব। খুব সহজ সরল মানুষ। চাকরি চলে গেসে। বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারে না। মেসে টাকাও বাকি পড়ে গেসে বলে খাওয়া পায় না। হিমু না থাকলে হিমুর ভাগেরটা খেয়ে নেয়। এদিকে রেশমা খালা হিমুকে তার বাসায় গিয়ে থাকতে বলেছে। কারণ সে ভয় পায়। তার বিছানার নীচে নাকি তার স্বামী নগ্ন হয়ে বসে থাকে । এদিকে বাদল গলার কাঁটা নামিয়ে ফেলে হিমু এক নিমিষে। এতে বাদলের বাড়াবাড়ি দেখে ওদের বাসায় থাকতে আসা ইরার অনেক মেজাজ গরম হয়। হিমু বদরুল সাহেব এর একটি চাকরি জোগাড় করে । চাকরিটা জোগাড় করে দেয় রূপা।

[অহর্নিশ অভ্র · Rating 5 out of 5]

আমি সাধারণত বই রিভিউ করি না। বই পড়ি এ কথা কাউকে বলিও না। বলতে ভালোও লাগে না। হয়তো এই কারনেই আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে বই গিফট পাওয়াই যায় না!😅

বই পড়ার আগ্রহ নিয়ে বই পড়া শুরু করি নি। বরং বই পড়ে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ এসেছিল। আর সেই বই হল ‘এবং হিমু’। যদি এই বইটা হাতে না পেতাম তাহলে বোধ হয় আর কখনোই পাঠক হয়ে উঠা হতো না। হয়তো এখনো নিজের ৮, ১০ টা বন্ধুর মতো ফ্রি ফায়ার নিয়ে বসে থাকতাম। ক্লাস ফোর এ প্রথম বই পড়েছিলাম আর তাও এবং হিমু। হিমু শব্দটাই এক ধরনের আবেগ। কিন্তু এবং হিমু আমার জন্য আরো বেশি!

বই এর ভিতরে কি আছে সেটা বলব না সেটা জানা আপনার দায়িত্ব আমার না।

[Mueed Mahtab · Rating 3 out of 5]

২০২৩ সালের এপ্রিলে প্রথমবার যখন বইটা পড়লাম তখন রেটিং দিয়েছিলাম ৫/৫

হুমায়ুন আহমেদের আরেকটা উপন্যাস যেখানে আহামরি কিছু নেই। ছোটখাটো দুই একটা লাইন হয়তো আছে একটু হার্ট টাচিং কিন্ত এখন আর হার্টে টাচ করেনা এসব। বইয়ের শেষে নায়িকা নায়কের হাত ধরতে চাইলে বইটাকে আর বিশেষ বিশেষ বা অন্যরকম লাগে না, উল্টা ফালতু মনে হয়।
দুই ঘন্টা টানা সময় নিয়ে আশি পৃষ্ঠার এই উপন্যাসে তেমন কিছু পাইনি।

এপ্রিল ২০২৩ : ৫/৫
জুন ২০২৫ : ২.৫/৫

[Azher Fahim · Rating 4 out of 5]

**Main Characters:**

Aunt Reshma (Goni Mia's wife), Abdur Rashid (Now poor begar friends of a friend), Bodrul (friend), Yakub(Bodruls friend), Hyder Ali (Mess manager), Ira (Students of physics, Live in Badol's home), Idris (Shef), Muhib (Ira's Boy Friend), Rupa.

**Summary:**

Himu went to his cousin Badal's house to eat rice at half-past one in the night after Confused the police as usual. There he met Ira. Ira's presence was much greater throughout the novel.

Ira, Himu's Aunties (Fufu) nephew. Live in Shamsunnahar Hall of DU. Study in physics. Her final exam is knocking at the door, Hall is not suitable for study; therefore, she came to Badal's home. She reads all day to get record marks.

Meanwhile, Badal has not been eating rice for two days. There is a thorn in the side of the throat. When the thorn came down the next day when Himu came home, everyone thought that it was possible because of Himu because he is a great man.

Seeing Badal's excesses, Ira became very hot and angry. Ira thinks Himu is a liar, a cheater. Throughout the novel, Ira maintained this view.

Aunt Reshma is Himu's Distant Relatives. Uncle, Gani Mia. He died and became a ghost. Reshma's aunt told Himu to go to her house. Because he is afraid. Her husband sits naked under her bed. Aunt Reshma wants Himu to do something.

Badrul lives in Himu's Mess. He is a Very simple and good-hearted person. His job is gone and Can't send money to the village. Now he can not eat in the mess because lots of money is already due. If Himu is not in the mess, he eats Himus's meal. Himu got a job for Badrul with the help of Rupa.

Himu is nowhere to be found. Meanwhile, Badal has been meditating naked for ten days!
When Himu advent, Badal complained about Ira and said, 'Brother Himu, make Ira a Himu. Wearing yellow Punjabi she will walk at night. She will be a female Himu.

At the end of the book, Ira said, "Would you be angry if I told you to hold my hand?"
Here is the success of Himu! One night Ira became Himu!
Himu said, "No, I will not be angry. But Ira, I will not hold your hand. People like Himu never hold anyone's hand." Himu's uniqueness is in this answer!

In the novel, the author describes women in very different ways. According to him,

1. The young woman means quite excited and curious. Their look is sometimes loving and sometimes difficult. Difficult because the author thinks that the level of 'ego' of this species is a bit higher.
2. Pride, jealousy, quarrels are quite common to them.
3. However, girls are already beautiful, they look more beautiful when they are angry. Anger mixed with hatred does not make girls look beautiful. Anger that is mixed with love, even the slightest, enhances the appearance of girls.
4. A fire burns in their eyes when they are arguing or when they are angry which is very nice because it does not have heat. And speaking of pride, it's pretty warm and sweet.
5. The way they talk is a puzzle. Clear but twisted. Many mysteries are mixed. But girls are 'logically illogical'. To talk to them, they have to surrender to logic. But in terms of consideration, they are partially illogical.
6. The girls are hard on the outside but soft on the inside.
7. The nerves of girls are a bit stronger than those of boys. They don't shock like boys.
8. Science subjects will be read by uninterested girls. Beautiful girls should read Bengali or English literature. What a unique connection beautiful women have with the subject of literature.

**Hidden Messages:**

1. Anger that is mixed with hatred does not look good during anger. Anger that is mixed with love, even if it is slight, looks beautiful.
2. Love is like a banyan tree. It starts with a tiny seed. Then suddenly one day it becomes large and gives you shade

[Ahmed Miraz · Rating 3 out of 5]

বইঃ এবং হিমু
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
পৃষ্ঠাঃ ৮০
সময় প্রকাশন
প্রথম প্রকাশঃ বইমেলা ১৯৯৫
মূল্যঃ ১২৫

গুডরিডস রেটিং ৩.৬/৫
আমার রেটিং ৩.২/৫

হিমু সিরিজের #৫ম বই।

----

হিমু সিরিজের সচারাচর উপন্যাস গুলোর মতই এখানে কাহিনী গড়িয়েছে।

পকেটে টাকা থাকলে সেদিন রাস্তায় কোন বন্ধুবান্ধব আপনি না চাইলেও জোর করে খাওয়াবে। কিন্তু যেদিন টাকা থাকবে না, সেদিন চাইলেও কারো দেখা পাবেন না। আর হিমুর তো পকেটই নাই, টাকা থাকার প্রশ্ন অবান্তর।
পুলিশকে যথারীতি ঘোল খাইয়ে রাত দেড়টায় ভাত খেতে ফুফাতো ভাই বাদলদের বাসায় যায় হিমু । সেখানে গিয়ে পরিচয় হয় ইরার সাথে। উপন্যাসের পুরো অংশেই ইরার উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি।
হিমুর ফুফার খালাতো ভাইয়ের বড় মেয়ে ইরা। ঢাবির শামসুন্নাহার হলে থাকে। ফিজিক্সে পড়ে। ফাইনাল পরীক্ষা, হলে পড়া হয়না তাই বাদলদের বাড়িতে এসেছে। না পড়লেও ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হবে; তবুও সারাদিন পড়ে রেকর্ড মার্ক্স পাওয়ার জন্য।
এদিকে দুদিন ধরে বাদল ভাত খাচ্ছে না। গলায় কাঁটা বিধেঁছে। হিমু বাড়িতে আসার পরদিনই কাঁটা নেমে গেলে সবাই ধারণা করল হিমুর কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে কারণ সে মহাপুরুষ!
এসব দেখে ইরার মনে হল হিমু একটা ভন্ড, প্রতারক। পুরো উপন্যাসজুড়েই ইরার এই দৃষ্টিভঙ্গি বজায় ছিল।
.
হিমুর ' লতায়-পাতায়' খালা রেশমা।
খালু গনি মিয়া। খালু মারা গিয়ে ভূত হয়েছে। ভূত হয়ে রেশমা খালাকে বিরক্ত করে, ভয় দেখায়; রাতে ঠিকমত ঘুমাতে দেয় না। রেশমা খালা ধরে হিমুকে কিছু একটা করার জন্য।

হিমু সিরিজের বেশিরভাগ উপন্যাসেই অনেক অপ্রাসঙ্গিক বিষয় থাকে। এই রেশমা খালার ব্যাপারটাও তেমনি অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে- শুধু বইয়ের পৃষ্ঠা বাড়িয়েছে।
.
হিমুকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে বাদল নগ্ন হয়ে ধ্যান করছে দশদিন যাবত! হিমু আসলে বাদল ইরাকে নিয়ে অভিযোগ করে বলল, 'হিমু ভাই, ইরাকে হিমু বানিয়ে দাও। হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে রাতে হাটবে। মহিলা হিমু।"


ইরা বলল, "আপনাকে যদি আমার হাতটা ধরতে বলি, রাগ করবেন?"
এখানেই হিমুর সার্থকতা! এক রাতে ইরা সত্যি হিমু হয়ে গেল!
হিমু বলল, "নাহ রাগ করবো না। কিন্তু ইরা আমি তোমার হাত ধরব না। হিমুরা কখনো কারো হাত ধরে না।"

এই উত্তরেই হিমুর স্বাতন্ত্র্যতা!
.
দুইটা উক্তি যা অনেকেরই ভালো লাগতে পারে।

"যে রাগের সাথে ঘৃণা ম��শানো থাকে সেই রাগের সময় সুন্দর লাগে না। যেই রাগের সাথে সামান্যতম হলেও ভালোবাসা মেশানো থাকে সেই রাগ সুন্দর লাগে। "

"ভালোবাসা বটগাছের মত। ক্ষুদ্র বীজ থেকে শুরু হয়। তারপর হঠাৎ একদিন একদিন ডালপালা মেলে দেয়, ঝুড়ি নামিয়ে দেয়। "

যারা পড়েননি এখনো, জলদি পড়ে ফেলুন ; আশা করি ভাল লাগবে।

©Ahmed Miraz | 11.06.2020

[Aiman · Rating 3 out of 5]

কাহিনি সারসংক্ষেপ: হিমুর মেসের বন্ধু বদরুল সাহেব। আগে একটা যায়গায় চাকরি করতো, হুট করে চাকরি থেকে তাকে ছাটাই করে দিয়েছে, বেচারা চাকরি যাওয়াতে পড়েছে বেকায়দায়, তিন মাস মেসের ভাড়া দিতে পারেনি, খাওয়ার টাকাটাও নেই, হিমুর রাতের খারাপ টা মাঝে মাঝে খেয়ে ফেলে দেখে মেসের অনেকে তার উপর বিরক্ত।

���ন্য দিকে বাদলের গলায় কাটা ঢুকে পরেছে সে মহা বিপদে, সেই কাটা নামার কোনো নাম নেই, সবাই হিমুকে খোঁজে বেড়াচ্ছে, বাদলের বিশ্বাস হিমু কাটা নামিয়ে ফেলতে পারবে। ইরা এটা নিয়ে মহা বিরক্ত, তার কথা মতে বাদল তাকে মহাপুরুষ ভাবছে যেটা হিমু নয়।

পাঠপ্রতিক্রিয়া:

বইয়ের কাহিনি টা এমন ভাবে লেখা যে, কাহিনির সারসংক্ষেপ কীভাবে লিখবো এটা ভাবতে ভাবতেই কয়েক ঘন্টা কাটিয়ে দেওয়া যাবে, কয়েকটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাহিনি সাজানো। কীভাবে লিখবো এটাই বুঝে উঠতে রারছিলাম না।

বইয়ের একটা বিষয় খারাপ লেগেছে, বদরুল সাহেব আশা করে বসে আছে তার বন্ধু তাকে চাকরি দিবে, বন্ধু তাকে শুধু ঘুরাচ্ছে, চাকরি দিতে পারবে কিনা সরাসরি বলছে না। ঠিক এমন ভাবে আমাদের আশেপাশে কিছু মানুষও ঠিক এমন করে সরাসরি বারণ করবে না ঝুলিয়ে রাখবে, কয়েকদিন ঘুরাতে ঘুরাতে একদিন খুব সুন্দর ভাবে আশা ভেঙ্গে দিবে, তারপর এমন ভাব করবে যেন কিছুই করেনি। যারা এমন করে তাদের তো মজাই লাগে কিন্তু যার সাথে হয় তার অবস্থা ভাবলেই খারাপ লাগে।

বইটা ভালোই ছিল, এক বসাতেই পড়ে শেষ করে ফেলার মতো বই, এত সহজ ভাবে লেখা যে, যে কারো ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের লেখা হয়তো এজন্যই সবাই পছন্দ করে।

বই: এবং হিমু

লেখক: হুমায়ূন আহমেদ

রেটিং ৩/৫

[Mubtasim Fuad · Rating 2 out of 5]

আসলে হিমুর জগৎটা হচ্ছে পুরাপুরি দেলুলু টাইপের। এখানে কোন কিছুই সেন্স বানায় না।
হিমু পড়তে বসতে হবে খুব চিল মুড নিয়ে। মাথায় কোন দুশ্চিন্তা কিংবা প্রেসার নিয়ে এই বই পড়তে শুরু করলে কোন গ্যারান্টি নাই, হয়ত এক স্টেজে গিয়ে বই ছিড়ে ফেলে কুটিকুটি করতে মন চাইবে।

হিমু হচ্ছে অনেকটা বিশাল আলোকিত এক নক্ষত্রের মতন যাকে ঘিরে পুরা জগৎ আবর্তন করে। (হুমায়ূন আহমেদ এভাবেই ক্যারেক্টার ডিভলপ করেছেন)।
আমি এক্ষেত্রে তার চারপাশে আবর্তনের পরিবর্তে প্রতিমুহূর্তে ক্রিন্জ ফিল করছিলাম। কিছু কিছু সংলাপ এতত ফালতু লাগছিল, কাচাঁ লেবু খেলে মুখ যেমন হয় অনেকটা তেমন লাগছিল। হয়ত যখন বইটা প্রকাশ পায়, তখনকার সময়ের সাথে বইটা যুতসই ছিল ভাল মতন।

ইরা ক্যারেক্টারটা সাংঘাতিক এনোয়িং। বা হয়ত, আমার নিজের ন্যাকামী জিনিসটা পচ্ছন্দ না তাই অদ্ভুতুড়ে লেগেছে বলতে পারব না কিন্তু এই মেয়ের কথাবার্তা, কাজ করবার যথেষ্ট বিরক্ত করতেছিল আমায়। আর উপন্যাসের শেষে হাত-ধরাধরি, ইউউউউ ক্রিন্জ ভাইইই!
হুমায়ূন আহমেদ ক্লাস ৬-৭ এর মেয়েদের জন্য হয়ত বইটা লিখেছিল কারণ একমাত্র তারই এই দেলুলু পড়ে কল্পনায় সব সাজাতে পারবে।
শারীরিক ও মানসিক ভাবে ২০+ বয়সীরা যেকোনো মূল্যে হিমু এভোয়েড করেন এমন একটা সতর্কীকরণ দেওয়া উচিত ছিল 😞

[Muhammad Mehedi Hasan · Rating 3 out of 5]

এবং হিমু | হুমায়ূন আহমেদ

হিমুর ফুফাত ভাই বাদলের গলায় কাটা আটকিয়েছে বিয়ে বাড়িতে খেতে গিয়ে। ডাক্তারের ডাক্তার আনা হয়েছে, সমস্যার সমাধান নেই। হিমু রাতে খেতে গিয়েছিল ফুফার বাসায়। সেখানে গিয়ে বাদলের এই অবস্থা দেখে ভাত খাবিয়ে বাদলের গলার কাটা সরিয়ে দিল।

বদরুল সাহেব হিমু সাথে মেসেই থাকে। চাকরি চলে যাওয়াতে এখন সে বেকার, মেসের কয়েকমাসের ভাড়া বাকি আছে। ছোটবেলার বন্ধু ইয়াকুব সাহেবের কাছে বারবার ছুটাছুটি করছে চাকরি আশায়।

একদিন হঠাৎ রেশমা খালার সাথে হিমুর দেখা। তিনি তাকে তার মহলে থাকার দাওয়াত দিলেন, রাতে ঘুম না হওয়া সমস্যা সমাধানের আশায়। যদিও রেশমা খালাই পরে হিমু মহল থেকে বের করে দেয় ঘুমের সমস্যার সমাধানের প্রস্তাব শুনে।

পাঠপ্রতিক্রিয়া
সিরিজের অন্যান্য উপন্যাসের তুলনায় এটাকে বেশ সাদামাটাই মনে হয়েছে। তবে বেশি আশা মনে না রেখে সময় পার করার জন্য পড়তে চাইলে পড়তে পারেন।

Rating 🌟🌟🌟

[Ibnul Fiaaz Dhrubo · Rating 1 out of 5]

বইটা যখন পড়ছিলাম তখন ভালোই লাগছিল। হিমু সিরিজের কাহিনীগুলো এতই কৌতূহলোদ্দীপক যে যতক্ষণ না পর্যন্ত বইটা পড়া শেষ হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বই ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু একেকটা বই পড়া শেষ করে মনে হয় যেন হুদাই পড়ছি এটা! কাহিনীও শেষ, আর আমার জ্ঞানের খাতাটাও প্রায় শূণ্য। এর বদলে অন্য কিছু একটা পড়লেও পারতাম।

আমার বন্ধুদের দেখা যায় হিমু সিরিজের বই পড়া নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। সেই হুজুগে আমিও কয়েকটা হিমু পড়েছিলাম। কিন্তু অতটাও ভালো লাগেনি আমার কাছে।

[Shreya · Rating 4 out of 5]

"Himura kakhono karor hat dhore na"
Amai feminist bole hasahasi kortei paren tobe himur character analysis korte bolle bolbo emotionally unavailable red flag, se jevabe rupar sujog nei khali tate take jotota kharap mone hoi rupa k thik tototai boka mone hoi.... Haan valobasai manush boka hoi, tobe seta ki self harm kore?

[Md Suny · Rating 1 out of 5]

এই বই পড়ার আগে 'সুবোধ' বইটা পড়েছিলাম। যেটা হিমুর প্যারোডি গল্প জানতাম, কিন্তু কোন গল্প তা জানতাম না। এই বইয়ের প্রথম কিছু পৃষ্ঠা পড়ার পর বুঝতে পারলাম এইটা সেই বই। ওই প্যারোডি ভাল লাগেনি। তাই আর আগ বাড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করি নি।

[Saquib Bin Habib · Rating 4 out of 5]

'মায়া জিনিসটা ভাল না। অনিত্য এই সংসারে মায়া বিসর্জন দেয়া শিখতে হয়'।
বাদলের গলায় মাছের কাটা নামানো থেকে শুরু, ইরার সাথে কথোপকথনে শেষ।
আচ্চা, বদরুল সাহেব কি সুস্থ হন? রেশমা খালা কি ভূত দেখা বন্ধ করেন? ইরার সাথে যে ছেলেটি ছিল তার কি হয়?
'হিমুরা কখনো কারো হাত ধরে না'

[Tawheeda Rufah Nilima · Rating 5 out of 5]

রাত বিরাতে হিমু বই পড়ে নিঃশব্দে কান্না করার এই স্বভাব আমার কোনোদিন যাবে না বোধ হয়। এই স্বভাব আমার কেনো হলো? কিভাবে হলো?

অবশ্য এই স্বভাবের জন্য যে খুব সমস্যায় পড়ছি তাও না।

যাই হোক, হিমু পড়ার ম্যারাথন চলছে।

[Towhid Zaman · Rating 4 out of 5]

আগেরবারের ফুফু এখন খালা হয়ে গেলো, ফুফা হয়ে গেলো খালু! কেমনে! একটূ ঘোলাটে হিসাব নিকাশ, নিশ্চয় আগেরটার(পারাপারের) হিসাব ঐভাবেই করা হইছিলো.

যাইহোক, সব মিলিয়ে সুন্দর. কিন্তু আমি এইটাই চার স্টার দিবো।

০৮ অক্টোবর, ২০২২