Jump to ratings and reviews
Rate this book

Humayun Ahmed (Chronological List) #122

মেঘ বলেছে যাব যাব

Rate this book
ফ্ল্যাপে লেখ কিছু কথাঃ
মেঘ বলেছে যাবো।আকাশের মেঘেরা কি কথা বলে? তারা কি যেতে চায় কোথাও? তারা কোথায় যেতে চায়? বর্ষান ঘন কালো আকাশের দিকে তাকিয়ে চিত্রলেখার হঠাৎ এই কথা মনে হল। দশ-বার বছরের কিশোরীর মনে এর রকম একটা চিন্তা আসতে পারে, চিত্রলেখার বয়স পঁচিশ। এ রকম উদ্ভট তার জন্যে স্বাভাবিক নয়। তবুও কেন জানি নিজেকে তার মেঘের মতো মনে হয়। তার কোথায় জানি যেতে ইচ্ছা করে। এ রকম ইচ্ছা তো সব মানুষেরই কবে। সব মানুষের ভেতরই কি তাহলে এক টুকরা মেঘ ঢুকে আছে, যে কেবলি কোথাও যেতে চায়?


ভূমিকাঃ
অনেকদিন থেকে লেখালেখি করতে পারছিলাম না। কাগজ-কলম নিয়ে বসি-ঘন্টাখানিক পার হয় উঠে আসি। কাগজে নানাবিধ চিত্রকলা দেখা যায়। সেইসব চিত্রকর্ম দেখে আমার পুত্র নুহাশ খুব আহ্লাদিত হলেও অন্যরা আমার দিকে কেমন কেমন করে যেন তাকায়। এক সময় লিখতে শুরু করলাম। খুবই অনাগ্রহ দিনে লেখা। যেন আনন্দময় লেখা নয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেবার জন্যে টার্ম পেপার তৈরি করছি। লেখাটা এগোতে লাগল একটু অদ্ভুত ভঙ্গিতে, সবাই প্রথম চ্যাপ্টার লিখে দ্বিতীয় চ্যাপ্টার লেখে তারপর যায় তৃতীয়তে। আমি শুরু করলাম উল্টো দিকে। প্রথম যে চ্যাপ্টারটা লেখা হল-এক সময় সেটা হয়ে গেল সপ্তম চ্যাপ্টার। যা শুরু হল আমাদের ময়মনহিংহের ভাষায় তাকে বলে-“বেরাছেড়া”। এক সময় সেই বেরাছেড়ার সমাপ্তি হল। প্রকাশক বন্ধু আলমগীর রহমান খুশি মনে পাণ্ডুলিপি ছাপতে নিয়ে গেলেন। লেখা কম্পোজ এবং প্রুফ দেখা শেষ হবার পর যখন ছাপা শুরু হবে তখন আমি তাঁকে বললাম- কয়েকটা নাম পাল্টে দিতে হবে। নামগুলো উপন্যাসের চরিত্রগুলোর সঙ্গে যাচ্ছে না। তিনি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন। সঙ্গত যুক্তি দেখালেন-নামের সঙ্গে চরিত্রের সম্পর্ক কী? একই নাম অথচ চরিত্রের আকাশ-পাতাল পার্থক্য তো সব সময় দেখা যায়। অকাট্য যুক্তি-কিন্তু লেখালেখির জগৎটা হিমুর জগতের মতো যেখানে যুক্তি সব সময় খাটে না। নাম পাল্টানো হল। তখন আমি বললাম, বইয়ের নামও আমি পাল্টেছি। তিনি দ্বিতীয়বার মাথায় হত দিয়ে বসে পড়লেন। কারণ প্রচ্ছদ হয়ে গেছে। আবার নতুন নামে প্রচ্ছদ হল। বই বের হয়ে গেছে। এখন আমার বইয়ের বর্তমান নামটাও পছন্দ হচ্ছে না। মনে হচেছ আগের নামটাই ভালো ছিল। তারচেয়েও মজার ব্যাপার-চরিত্রগুলোর আগে যে নাম ছিল এখন মনে হচেছ সেই নামগুলোই ঠিক ছিল।

হুমায়ূন আহমেদ
৩১ জানুয়ারি’ ৯৭

244 pages, Hardcover

First published February 1, 1997

77 people are currently reading
1396 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

456 books2,906 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
1,091 (38%)
4 stars
1,080 (38%)
3 stars
533 (18%)
2 stars
88 (3%)
1 star
27 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 190 reviews
Profile Image for সালমান হক.
Author 66 books1,956 followers
July 26, 2021
মানুষ মরণশীল। মৃত্যু যে কোন সময়, যে কোন দিক থেকে ধেয়ে আসতে পারে। সেই হিসেবে বলা যায়, আমরা হয়তো জানবো না যে কোন বইটা হবে আমাদের পড়া শেষ বই। এই বইটা যদি আমার পড়া শেষ বই হয়ে থাকে, তাহলেও আমার কোন আক্ষেপ থাকবে না। বেশ তৃপ্তিদায়ক একটা বইয়ের মাধ্যমেই পড়ুয়া জীবন শেষ হবে।
Profile Image for বিমুক্তি(Vimukti).
156 reviews88 followers
November 6, 2020
একজন মানুষ তার সমগ্র জীবনে একশ’ বার সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষের কাছ থেকে মমতা ও করুণায় আদ্র কথা শুনবে। সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন মানুষ বাড়িয়ে দেবে সাহায্যের হাত। এই রিকশাওয়ালা কি সেই একশ’ জনের এক জন?


উপরের কথাগুলার কি কোনো মানে আছে? নাই! এইসব জিনিস হইতেসে নিজের লেখার সঙ্গে নিজেই পাগলামো করা। এরকম আরও আছে,

স্বপ্নে হাতি দেখা খুব খারাপ। হাতির পিঠ কবরের মতো বলে হাতি দেখলে অতি প্রিয় কারো মৃত্যু হয়।




ঠিক করে খোঁজলে প্রতি দুই পৃষ্ঠায় এরকম দুইটা করে লাইন মিলবে। হুমায়ূন আহমেদের মাথায় হালকা ছিট ছিল, ছিট থাকা অবশ্য খারাপ কিছু না। আপনার মাথার কিছু নাট বল্টু ঢিলা না থাকলে আপনি লেখতে পারবেন না, আর লিখলেও আপনার লেখা কেউ পড়বে না। এখন আপনার মাথা যতো বেশি ছিটগ্রস্ত হবে আপনি ততো ভালো লিখবেন। হুমায়ূনের মাথা ভালোই নষ্ট ছিল, তাই লিখতেনও ভালো।


এ বইয়ের প্লট নিতান্ত সাধারণ, কোনো বিশেষত্বই নাই। মাস্টার্স পাশ না করতে পারা হাসান, তার পরিবার, একজন তিতলি আর অর্ধেক চিত্রলেখার গল্প। এই জায়গা থেকে এটাকে একটা সুখপাঠ্য উপন্যাসে পরিণত করার কৃতিত্ব নিশ্চয়ই হুমায়ূনের ছিটগ্রস্ত সুন্দর লেখনী।


এই বই বাইশ ক্যারেট আবেগ দিয়ে মোড়ানো বই, আবেগ ছাড়া বেশি কিছু নাই। এক্সট্রা জিনিস হিসেবে একগুচ্ছ ট্র‍্যাজেডি ঢুকানো হইসে, এ বইয়ে একের পর এক ট্র‍্যাজেডি শুধু। আর এতো ট্র‍্যাজেডির ফলেই হয়ে গেছে আবেগে ভরপুর।


তিন তারা দিতাম, কিন্তু বইটা আমার খুব প্রিয় একজন ব্রাদার হাইলি রেকমেন্ড করসিলেন। তাই, শেষ করার পর কিছু সময় ভাবলাম বইটা নিয়ে।

নাহ! বেশ ভালোই ছিল, চার তারা দেওয়াই যায়। কিছু অবিচার হয় না তাতে।
Profile Image for Saikat Mahmud.
44 reviews21 followers
January 15, 2015
Goodreads আমাকে জিজ্ঞেস করছে, এই বইটি নিয়ে আমার কী ভাবনা? আমি ভাবলাম। ভেবে যেটা পেলাম তা হলো, এই বইটির মূল্য আমার কাছে একটি দিক থেকে অন্য অনেক নামজাদা বই থেকে অনেক উপরে। একজন ভাই তার কোন এক জন্মদিনে তারই ছোট বোনের কাছ থেকে একটি বই উপহার পেল। এবং বইটির নাম 'মেঘ বলেছে যাব যাব'। আশা করি, আমি কারণ হিসেবে যেটা বলতে চাইছি, সেটা এখন অনেক স্পষ্ট।

হুমায়ূন আহমেদ লিখবেন এবং আমরা সেটা গোগ্রাসে গিলবো। তারপর তা বেমালুম ভুলে যাবো এবং আবার গলাধঃকরণের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করবো। এটাই তাঁর সৃষ্টির অনন্য দিক। NTV তে একটা সময় এই উপন্যাসটি থেকে ধারাবাহিক নাটক আকারে প্রচারিত হয়েছে। তখন প্রথম দেখেছিলাম। কলেজে পড়ার সময় 'মেহেদি' নামে আমার এক বন্ধু ছিল, যে ছিল হুমায়ূনপোকা। সে বইটা আমাকে রেকমেন্ড করেছিল। পরে তার কাছ থেকেই ধার নিয়ে প্রথম পড়েছিলাম। পুরো উপন্যাসটাই ছিল উপাদেয়। সমাপ্তিটাই ছিল অন্যরকমের। বারবার পড়া যায় এমন। যেমন শেষ করার আগে একটা জায়গায় এসে লেখক বলছেন,

'বাস্তব কখনো গল্পের মত হয় না। বাস্তবের রীনা ফিরে আসে না। বাস্তবের হাসানদের সঙ্গে কখনো বুড়িগঙ্গা জলের উপর চিত্রলেখার দেখা হয় না। তবে বাস্তবেও সুন্দর সুন্দর কিছু ব্যাপার ঘটে। যেমন- লিটনের ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়।'

আসলে তাই। জীবনের গল্পে পালাবদল আসে, নতুন কুশীলব আসে, তাদের ভূমিকার বদল ঘটে। কিন্তু জীবনের গল্পে থামাথামি নেই। জীবনের গল্প থেমে থাকে না।
Profile Image for Shadin Pranto.
1,469 reviews560 followers
October 8, 2023
হুমায়ূন আহমেদের যে কোনো লেখার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো তা একেবারে জীবনঘনিষ্ঠ। এই মহান লেখকের অসামান্য কিছু বইয়ের একটি 'মেঘ বলেছে যাব যাব'। প্রথমবার পড়ি নবমশ্রেণিতে থাকতে। টিনেজারের জীবনের সাথে কোনো সাযুজ্য বইটিতে নেই। তবু একবসায় পড়ে ফেলার পর একটা শূন্যতা আমাকে প্রবলভাবে স্পর্শ করেছিল। এক বুক ভালোবাসা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো হাসানকে যেন চর্মচক্ষুতে দেখতে পাচ্ছিলাম।

আবার কলেজে উঠে বইটা পড়ি। এবারও একই অনুভূতি। তবে হাসান সাহেবের সাথে এবার মমত্ববোধ তৈরি হয়েছিল চিত্রলেখার জন্য। এমন মেয়ে দেবদুর্লভ।

২০২৩ সালের আগস্ট মাসে আবার পড়লাম 'মেঘ বলেছে যাব যাব'। এবার কিন্তু আমি নিজে মাস্টার্স পাস বেকার। তাই হাসান সাহেবের পরিস্থিতি আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারলাম। তিতলিকে আগে নিষ্ঠুর মনে হতো। প্রথমবারের মতো তিতলিকে কাজকে সমর্থন করতে পারলাম। হ্যাঁ, প্রত্যেকের অধিকার আছে নিজের সুখ-শান্তিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার। আর, চিত্রলেখাকে দূরের কোনো চরিত্র মনে হলো। বাংলাদেশের মতো সমাজে অস্তিত্ব নেই - এমন মানুষ মনে হচ্ছিল চিত্রলেখাকে। এরা শুধু সিনেমা আর গল্প-উপন্যাসেই থাকে। বাস্তবে তাদের দেখা যায় না।

হাসানের বেকার অথচ বিবাহিত বন্ধুকে একেবারে পরিচিত ঠেকছিল। এমন যেন হরহামেশাই দেখি!

প্রত্যেকটি ভালো বই জীবনের একেকপর্যায়ে পড়লে একেকরকম অভিজ্ঞতা হয়। তা শতভাগ সত্য।
Profile Image for Ësrât .
515 reviews85 followers
May 29, 2021
"
কাছে থাকো কিংবা দূরে থাকো..যেখানেই থাকো,তবু তুমি
থাকো
তবু তুমি থেকো
আমার জন্য না হোক...অন‍্য কারো জন্য-যার জন্য তুমি,তারই জন্য থেকো
শুধু একটিবার গভীর রাতের ঝুম বৃষ্টিতে আমার জন্য থেকো
শুধু আমার জন‍্যই থেকো"


গল্পের শুরু মেঘ নিয়ে,মেঘে ঢাকা তারা বা মেঘবিষাদের কল্পকথা নিয়ে। যেখানে মেঘের পালকের পালকিতে চড়ে নিত‍্যদিনের নানান কাজের ফাঁকে এক যুবকের যাপিত জীবনের টানাপোড়েনের মাঝে সন্ধ‍্যাতারার মতো মিলিয়ে যায় তিতলীরা,যেখানে ধূমকেতুর মতো আসে চিত্রলেখারা।

তবু আমার মেঘ বৃষ্টি আলোছায়ায় হারিয়ে যাওয়া ইচ্ছে বুড়ি ঘুড়ির মতো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

কিংবা এ গল্প সেই নয় বছরের বাঁধন ছেড়ে নিয়মনীতির বিধান ফেলে স্বামী সন্তান সংসার নিয়ে সুখী গৃহকোণে অন‍্যায় না মেনে বেরিয়ে আসা আটপৌরে মেয়ে রীনার;এক রাজ‍্যহারা রমনীর।

বিবেকবোধের বিসর্জনে বা অসংযমে হারিয়ে যাওয়া রকিবের,তারেকের;বাধনহারা টগর-পলাশ,অনুঢ়া থেকে কারো অনুরাগে জড়িয়ে পড়া লায়লা , কিংবা ঐ টুকরো মেঘের মতো ভেসে চলা লিটন সুমি শম্পা হাশিমুদ্দিন সুরাইয়া নাদিয়া দের নিত‍্য চলার মাঝে খানিকপরে গল্প শোনার জন্য সব গল্প।

শুধু এখানে সবখানে থেকেও শব শ্রাদ্ধের পর একরাশ ক্লান্তি নিয়ে শ্রান্ত জীবন শেষ করে হাসানরা

মেঘ বলেছে যাবো যাবো কিন্তু এই গোধূলি বেলায় কনে দেখা আলোয় আমার মন আনমনে যেন ঝুম বৃষ্টির প্রথম ফোঁটায় পরিশুদ্ধির পরিতৃপ্তি পেতে আকাশ জোড়া মেঘের কোলে রোদের হ���সি রুখে শ্রাবনধারার প্লাবনে প্রকৃতিতে মিশে বলে যেতে চায়;

'
আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন - কতদিন আমিও তোমাকে
খুঁজি নাকো; - এক নক্ষত্রের নিচে তবু - একই আলো পৃথিবীর পারে
আমরা দুজনে আছি; পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়,
'

রেটিং :🌠🌠🌠🌠
29/05/21
Profile Image for Dystopian.
434 reviews228 followers
December 18, 2024
বাস্তবতার সাথে আবেগের সম্পর্ক খুব গভীর। আবার ব্যাস্ততার সাথে এই আবেগেরই ব্যাস্তানুপাতিক সম্পর্ক। বেশ কিছুদিন হলো নিজের কাছে নিজেকে বেশিই খসখসে মনে হচ্ছিল। আশেপাশের কিছুই যেন ছুতে পারছিল না। নিজের এক্সিস্টেন্স নিয়ে ঠিক এই সময় গুলোতেই প্রশ্ন ওঠে নিজের কাছে।

❝মেঘ বলেছে যাব যাব ❞ আমার ব্যেক্তিগত লাইফের জন্য অনেক বেশি ইম্পর্টেন্ট। এই মূহূর্তে খুব বেশি দরকার ছিল বইটা পড়ার, নিজেকে উদ্ধারের জন্যই। তবে শেষ করে মনে হলো, আমি বাস্তবেই আছি, আবেগ শূন্য হইনি। বিষাদময় পথে মুরাকামী কেই সব সময় বেছে নিয়েছি, তারপরও হুমায়ূন আহমেদের এই অসাধারণ বই আমার কাছে আমার জন্য এই সময়ে সত্যিই সেরা ছিল।
Profile Image for Yeasin Reza.
508 reviews85 followers
December 6, 2024
আমার মতে এটি হুমায়ুনের অন্যতম গোছানো লেখা। কাহিনী শুরু করে হঠাৎ শেষ করে দেওয়া কিংবা গল্প যেখানে জমে উঠার কথা সেখানে পরিসমাপ্তি টানার জন্য পাঠকসমাজে হুমায়ুনের ভালোই ' কুখ্যাতি ' আছে! সেই হিসেবে ' মেঘ বলেছে যাব যাব' অতি চমৎকার গোছানো গল্প। প্রত্যেকটি চরিত্রের ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট হুমায়ুন দারুণভাবে করেছেন। কৈশোরের এই প্রিয় উপন্যাস আবার পড়ে আগের থেকে বেশি মুগ্ধ হয়েছি। আবিরকে ধন্যবাদ, ও কথার কথায় এই উপন্যাসের রেফারেন্স দেয়াতে পুনর্পাঠ করা হয় আমার।
Profile Image for Fahad Ahammed.
386 reviews44 followers
March 17, 2019
IMG-20190304-041556

মেঘের সঙ্গে মানুষের খুব মিল। মানুষ যেমন কাঁদে মেঘও কাঁদে। বৃষ্টি হচ্ছে মেঘের অশ্রু।

গাল বেয়ে পড়া আবেগ শূন্য বাস্তবতার সেই অশ্রু যখন লেখকের কলম হয়ে ছাপা হয়, তখন তা অন্যের অশ্রুর কারণ হয়।

বাস্তব কখনো গল্পের মতো হয় না। বাস্তবের রীনা ফিরে আসে না। বাস্তবের হাসানদের সঙ্গে কখনো বুড়িগঙ্গার জলের উপর চিত্রলেখার দেখা হয় না।

জীবন বয়ে চলবে। আবার এক নতুন গল্প শুরু হবে নতুন চিত্রলেখাকে নিয়ে। কোনো এক লেখক লিখবেন নতুন গল্প, আশা ও আনন্দের অপূর্ব কোনো সঙ্গীত।

একটানা পড়ে রাত ৪ টায় শেষ করেছি, এই বছরে এখন পর্যন্ত আমার পড়া সেরা উপন্যাস।
Profile Image for Amit Das.
179 reviews117 followers
August 4, 2020
অনেকদিন পর হুমায়ূন আহমেদ পড়লাম। বইটা আসলে শুরু করেছিলাম গতমাসের শেষদিকে। কিছু অংশ পড়ার পর কোনো এক বিচিত্র কারণে আর পড়া হয়ে ওঠেনি, আজ একবসাতেই বাকিটুকু শেষ করলাম। কেমন লেগেছে বলতে গেলে বলবো যতটুকু প্রত্যাশা ছিল, পূরণ হয়েছে পুরোটাই।
Profile Image for Israt Iram.
31 reviews26 followers
May 5, 2016
"মেঘের সঙ্গে মানুষের খুব মিল। মানুষ যেমন কাঁদে মেঘও কাঁদে। বৃষ্টি হচ্ছে মেঘের অশ্রু।"
Profile Image for Aatrolita George.
49 reviews15 followers
August 10, 2022
অল্পবয়সে পড়েছি বলে কিনা জানিনা, তবে এই বইটা আমার খুব প্রিয়।
Profile Image for তানভীর রুমি.
119 reviews63 followers
December 28, 2021
আজ রাতে নতুন করে পড়া শেষ করার পর মনে হলো, এই বই লেখার প্রায় ১৫ বছর পর যখন আমেরিকায় হুমায়ূন আহমেদ ক্যান্সারের সাথে লড়াই করছিলেন, তাঁর কি হাসানের কথা মনে পড়ছিল?

প্রথম যখন এই বই পড়ি, কেবলই হুমায়ূন আহমেদের বই পড়তে হবে তাই পড়া। কিন্তু এরপর বিভিন্ন ‘অকেশন’এ এই বই পড়েছি। এর আগের অকেশনের তারিখগুলো মনে নেই, এবার মনে থাকবে।

মেঘ বলেছে যাব যাব প্রিয় বই বলা যায়কি? যায় হয়তো, নইলে তো বারবার পড়তাম না! প্রিয় হওয়ার কারণ কি? কারণ শেষের কটা বাক্য। ভানহীনভাবে, হুমায়ূন স্বীকারোক্তি দিয়ে দেন— বাস্তব কখনো গল্পের মতো হয়না।

আচ্ছা, এটা কি একটা প্যারাডক্স? কারণ বাস্তব যদি গল্পের মতো না হয়, তবে গল্পের হাসানের মতো বাস্তবের হাসান বেকার ঘুরবে না, প্রেমিকার অন্য জায়গায় বিয়ে হবে না, রীনা ফিরে আসবে— বাস্তবে তো এমনই হওয়ার কথা, তাই না?

খুব অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, হাসানের সাথে যখন চিত্রলেখা দেখা করতে আসে, তখন ইয়ারফোনে বাজছিল, ‘যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে’, শাহ্ জাহান রিজেন্সি সিনেমায় রূপঙ্করের গাওয়া ভার্সনটা, আমার ভয়ংকর ভালো লাগে রূপঙ্করের গলায় এই গানটা। পৃথিবী এতো অদ্ভুত কেন?
Profile Image for Rifat.
501 reviews329 followers
May 29, 2021

"এই তো সেই মেঘ।আকাশের মেঘ হাত দিয়ে ছোঁয়া যাচ্ছে! মেঘে শরীর ডুবিয়ে সে দাঁড়িয়ে আছে। কী আশ্চর্য! কী আশ্চর্য! কী আশ্চর্য! চোখের সামনে হিমালয়ের রং বদলে
যাচ্ছে - প্রকৃতি এত সুন্দর হয়? তিতলীর রীতিমতো কান্না পেয়ে গেল!"


এ কাহিনীর শুরু হাসানকে দিয়ে, শেষও বোধহয় তাকে দিয়েই।তার জন্য খারাপ লেগেছে।
হাসানের পরিবারে আছে মা,বাবা,বড় ভাই তারেক,ভাবী রীনা, ভাতিজা - টগর আর পলাশ, ছোট বোন লায়লা,ভাই রকিব।আর বড় বুবুর বিয়ে হয়ে গেছে।

হাসান বেকার। এক্সিডেন্ট জনিত কারণে তার এমএ পরীক্ষা আর দেয়া হয়ে উঠে নি।প্রিয় ছাত্রী সুমির টিউশনিও হাতছাড়া হয়,সে হালকা ভবিষ্যৎ দেখতে পারে।সবার না, শুধু প্রিয় মানুষদের।সে হাসানের ভবিষ্যৎ দেখতে পায় এ জন্যে।

তিতলী মেয়েটিকে সে খুব ভালোবাসে,তেমনি মেয়েটিও।একটা চাকরি যোগার করতে পারলেই ওদের বাড়িতে প্রস্তাব দিতে পারে হাসান। হাসান একটা চাকরির ব্যাপারে হিশামুদ্দিন সাহেবকে বলতে লজ্জা বোধ করে। আপাতত হাসান বড় ব্যবসায়ী হিশামুদিনের ওখানে প্রতি বুধবার একঘন্টা কাজ করে। কাজ হচ্ছে হিশামুদ্দিন সাহেব যা বলবেন তা লিখে রাখা। ঘন্টা প্রতি ৬০০৳
এদিক দিয়ে তিতলী পরিবার নিম্ন মধ্যবিত্ত টাইপের তিন বোন ওরা। বাবা মতিন সাহেব এখন কিছু করেন না। মেজো বোন নাদিয়া তুখোর ছাত্রী।
তিতলী জগন্নাথ কলেজে পরে।
একদিন হঠাৎ করে তিতলীর বিয়ে হয়ে যায়।হাসান দিশেহারা হয়ে যায়। আবার অন্য দিকে তার ভাই তারেক আর ভাবী রীনার মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি লায়লার আগমন ঘটে। সংসার ফেলে চলে যায় রীনা। তিতলীর বিয়ে হয় ঢাবির জুয়োলজির ইয়াং ধনী লেকচারার শওকত এর সাথে। প্রথমে তিতলী মেনে নিতে পারে না তাকে। কিন্তু পরে প্রকৃতির নিয়মেই শওকতের কাছে সপে দেয় নিজেকে।

এদিকে হিশামুদ্দিন সাহেব মারা গেলে তার ব্যবসার হাল ধরেন মেয়ে চিত্রলেখা, তিনি হাসানকে ঠিক বাবার মতোই কথা লিখার জন্য রেখে দেন।তিনি হাসানকে অসম্ভব পছন্দ করে ফেলেন এটা অবশ্য বলেন না।
হাসানের ভাই রকিব খারাপ পথে চলে যায়। খুন হয়ে যায় শেষে কিন্তু হাসান ছাড়া আর কেউ জানে না ���া। এক সময় হাসান আক্রান্ত হয় ব্রেন টিউমারে। চির বিদায় নেয় দুনিয়া থেকে।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for  Sabit Ara Orpa.
78 reviews14 followers
January 7, 2022
বইয়ের নাম টি রবীন্দ্রনাথের একটা গান থেকে নেয়া। সেই গানে দুইটা লাইন আছে "প্রেম বলে যে যুগে যুগে তোমার লাগি আছি জেগে". বাস্তবেই কি প্রেম চিরকাল থাকে? নাকি তা কাঠমান্ডুর পথ ভুলো মেঘের মত হাওয়াই মিঠাই হয়ে মিশে যায়।
Profile Image for Muntasir Dhip.
165 reviews3 followers
June 14, 2024
নিজেকে এখন খুব করে হাসান মনে হচ্ছে।💔
Profile Image for অনিরুদ্ধ.
143 reviews23 followers
May 14, 2020
'বাস্তব কখনো গল্পের মতো হয় না।... তবে বাস্তবেও কখনো সুন্দর সুন্দর ব্যাপার ঘটে।'
Profile Image for Md Shariful Islam.
258 reviews84 followers
September 25, 2020
ভাই তারেক আর ভাবি রীনার সংসারে থাকে প্রায় বেকার হাসান। প্রায় বেকার বললাম কারণ হাসানের একটা চাকরি আছে, সপ্তাহে একদিন হিশামুদ্দিন কোম্পানির মালিক হিশামুদ্দিন সাহেবের জীবনী লেখার কাজ করে সে। এদিকে একসময়ের প্রতিবেশী তিতলীকে ভালোবাসে হাসান কিন্তু কোনো এক অদ্ভূত কারণে সে সহজ হতে পারে না তিতলীর কাছে। আর বাবার পছন্দের মানুষ হাসান কেমন যেন আকর্ষণ করে চিত্রলেখাকে, ওর কাছে আসলেই কেমন যেন মায়া মায়া অনুভব করে সে। দুই ছেলেকে নিয়ে তারেকের সাথে নয়টা বছর ভালোভাবে কাটালেও অফিসের টাইপিস্ট লাবণীকে কেন্দ্র করে একটু একটু করে জটিল হচ্ছে তারেক-রীনার সম্পর্ক। কল্পনাতে তো আমরা সবসময় চাই ‘ অতঃপর তারা সুখে-শান্তিতে বাস করতে লাগল' ধরণের ফলাফল কিন্তু বাস্তবতা যে এতটা সহজ হয় না, মানুষের কল্পনার সাথে বাস্তবতার মিল যে খুব একটা হয় না তাইতো সবাই কোনো না কোনো একসময় নিজেদের আবিস্কার করে বাস্তবতার চোরাবালিতে!

অতি পরিচিত এক মধ্যবিত্ত সমাজের গল্প। মধ্যবিত্ত পরিবারের সুখ, দুঃখ, ভালোবাসা, সংকট, স্বপ্ন, আশা ইত্যাদির পরিচিত বয়ান। লেখকের স্বভাবসুলভ অনেক বৈশিষ্ট্যই আছে বইটাতে; বেকার নায়ক, কর্তৃত্বপরায়ণ এক বাবা, অদ্ভূত এক বৃদ্ধ/বৃদ্ধা চরিত্র, হেযালি কিছু চরিত্র, দারোয়ান বা এ জাতীয় মানুষদের নিয়ে মজা করা, অতি সরলীকৃত কিছু চটকদার উক্তি ইত্যাদি।

আবেগ নিয়ে বেশ ভালোভাবে খেলেছেন লেখক। হাসান-তিতলী, হাসান-চিত্রলেখা, শওকত-তিতলী, তারেক-রীনাসহ নানা ধরনের সম্পর্ক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। একেক সম্পর্ককে একেক পরিণতি দিযে পাঠককে কখনও হতাশ করেছেন, কখনও ক্রুদ্ধ করেছেন, কখনও আশাবাদী করেছেন। প্রতিটা চরিত্র সৃষ্টি করেছেন দোষ-গুণ মিলিয়ে, তাইতো কোনো চরিত্রকেই শুধু ঘৃণা করা যায় না আবার শুধু ভালোবাসাও যায় না। পুরো বইয়ে পাঠক কি চাচ্ছিল তা যেন অনুমান করতে পেরেছিলেন লেখক তাইতো সেগুলোকে কল্পনা বলে তুলে ধরেছেন ভিন্ন বাস্তবতা যা পাঠককে একধরনের আঘাত দিতে যথেষ্ট। শেষ পৃষ্ঠাটা ভীষণ সুন্দর, বারবার পড়ার মতো, মনে রাখার মতো।
Profile Image for Md. Rahat Khan.
50 reviews5 followers
May 13, 2025
হুমায়ূন আহমেদ এর বই সাধারনত রিডার্স ব্লক কাটানোর জন্য পড়ি। এটাও সেজন্যই পড়া৷ মিসির আলী বাদে কোন বই পড়ার আনন্দটুকু জোগাতে পারেনি।
Profile Image for Muhi Uddin.
103 reviews4 followers
March 16, 2023
হুমায়ূন মুগ্ধ আমি, মজি তার লেখায়।
হুমায়ূন পড়লে পরে, খুব ভাবতে শেখায়।

একজন হুমায়ূন আহমেদ। যার মানুষকে অধিকার করার ক্ষমতা খুব প্রবল। তার লেখা পড়ে আমি মুগ্ধ হইনা এমন লেখা নাই। খুব সংক্ষেপে খুব বিস্তারিত লেখা লিখতেন তিনি। লেখা পড়ে আমি মুগ্ধ হই, হারিয়ে যাই, পাগলের মতো একাকী হাসি, বিরহে কাঁদি। একই সাথে এতো কিছু কীভাবে উপহার দিয়েছেন, এই ক্ষমতা কোত্থেকে পেলেন তা আমার জানতে ইচ্ছে করে।

এই মানুষটার লিখা পড়ে যেরকম আনন্দ হয় তারথেকে বহুগুণে আফসোসও করি। বাংগালী পাঠক আর হাজার বছরে চাইলেও একজন হুমায়ূনের নতুন লেখা পড়তে পারব না। জীবনে যা লিখেছেন তা হয়তো তার একজীবনের জন্য প্রচুর। কিন্তু পাঠকের কাছে তা খুব সামান্য। তিনি নিজে বলেছেন, "একজীবনে একজন মানুষ 'দশ হাজারে'র বেশী বই পড়তে পারবে না।" তিনি যদি এই পরিমাণ বই লিখে যেতে পারতেন তবে পাঠকের কাছে তার অভিযোগ কমে আসতো। এতো ঘোর লাগা লেখা হাতে গোনা কয়টা বই পড়েই পাঠককে খুশী থাকতে হবে এর থেকে ভয়ানক অপ্রাপ্তি আর কী হতে পারে!

আমার হুমায়ূন! রবের কাছে খুব ভালো থাকুন। আখিরাতে মুসলমান হিসেবে যদি জান্নাত পাই। তবে প্রভুর কাছে একটা আহ্লাদী আবদার থাকবে।

"হে রব! তোমার শত নেয়ামতের সাথে হুমায়ুন আহমেদকেও রাইখো। আমি যেনো তার থেকে তালিম নিতে পারি। মানুষের মস্তিষ্ক অধিকারের তালিম।"

হুমায়ুন আহমেদের বই সম্পর্কে আলাদা রিকমেন্ডেশন নাই। চাইলে পড়তে পারেন।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Aditya.
37 reviews6 followers
January 16, 2024
বিষণ্ণ সুন্দর ❤️
Profile Image for Nehal.
27 reviews1 follower
June 24, 2018
বইটির প্লট মূলত মধ্যবিত্ত পরিবারের দৈনন্দিন বিভিন্ন দিক এবং কঠিন বাস্তবতা বলা যায়। বইটির মূল চরিত্র হাসান নামক এক বেকার যুবক।হাসান এর দুই ভাই তারেক, রকিব; বোন লায়লা , ভাবি রীনা , আর মা বাবা নিয়ে মোটামুটি হাস্যোজ্জল একটি পরিবার এর ছবিই বইয়ের শুরুতে চিত্রিত হয়। হাসানের সাথে তিতলির ভালোবাসার দিকটি বইয়ের প্রথম অর্ধেক অংশে পরিলক্ষিত হয়। তিতলির পরিবারের মাধ্যমেই লেখক মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি স্বরূপ তুলে ধরেছেন।
তবে বাস্তবতার সবচেয়ে কঠিনতম দিকটিও যেন দেখা মিলবে এই বইটিতে । তিতলির বিয়ে শওকতের সাথে হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে, রীনার সপ্ন ও হাস্যোজ্জল সেই সংসার ধংসের মাধ্যমে কিংবা হিশামুদ্দিন সাহেবের বলা জীবনের বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে ।
বইটির শেষ পাতাটি কিন্তু আমাদের এই কঠিন বাস্তবতার কথাটিকেই স্মরণ করিয়ে দেয়ঃ “ মানুষের কল্পনার সাথে বাস্তবতার মিল খুব একটা হয় না । কল্পনা করতে ভাল লাগে হাসানের অসুখ সেরে গেছে। সে শুরু করেছে আনন্দময় একটা জীবন। বুড়িগঙ্গায় নৌকায় করে ঘুরতে গিয়েছে। নদীতে খুব ঢেউ উঠেছে। চিত্রলেখা ভয় পেয়ে বলছে, এ কথায় নিয়ে এলে ? আমিতো সাঁতার জানি না। নৌকা এমন দুলছে কেন? নৌকার মাঝি হাসিমুখে বলছে, টাইট হইয়া বহেন আপা আমি আছি কোন চিন্তা নেই।
খুব সহজে কল্পনা করা যায়, তারেক ঘর গোছাতে গিয়ে হঠাৎ খুঁজে পেয়েছে রীনার লেখা চিঠি – চিঠিটা খুব ছোট্ট । রীনা লিখেছে, তুমি কোনোদিন জানবে না আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি। চিঠি পরেই তারেক বের হল। যে করেই হোক রাগ ভাঙিয়ে রীনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
বাস্তব কখনও গল্পের ম��� হয় না। বাস্তবের রীনা ফিরে আসে না।বাস্তবের হাসানদের সঙ্গে কখনো বুড়িগঙ্গার জলের উপর চিত্রলেখার দেখা হয় না। “
বইটিতে প্রিয় চরিত্র হাসান আর রীনা ভাবি। লেখক হাসানকে এভবেই তুলে ধরেছেন যে সবারই প্রিয় চরিত্রের জায়গা দখল করবে। অনেক সময় আমার মনে হয়েছিল হাসানকে হয়ত একটু বেশিই ভালোভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মানুষ মনে হয় এত ভাল হয় না।
বইটি পরার সময় আমি অন্যরকম কিছু অনুভুতি পেয়েছি। এমন কছু জায়গা আছে যা পড়লে চোখে পানি আসতে চায় কিন্তু অদ্ভূত চোখে কখনো পানি আসে না। বইটি শেষ হওয়ার পর ও অন্য ধরণের একটা অনুভূতি কাজ করে। ২৪৪ পৃষ্ঠার এই বইটি পাঠক হৃদয় কে ভালভাবেই স্পর্শ করবে।
আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কারণ রিভিউটিতে অনেকখানি স্পয়লার ছিল তবে আমি নিশ্চিত এতি এমন একটি বই যাতে স্পয়লার এ কিছুই যায় আসে না।
My rating: 4.7/5
বই থেকে কয়েকটি লাইন দিয়ে দিচ্ছিঃ
১. মানুষের বিপদে এখন আর মানুষ এগিয়ে আসে না। এ যুগের নীতি হচ্ছে বিপদ্গ্রস্ত মানুষ এর কাছ থেকে দূরে চলে যাওয়া। যে যত দূরে যাবে সে তত ভাল থাকবে।
২.না বলতে পারাটা অনেক বড় গুন। বেসিরভাগ মানুষ না বলতে পারে না। এতে তারা নিজেরাও সমস্যায় পরে, অন্যদেরও সমস্যায় ফেলে।
৩.মানুষের প্রধান সমস্যা হল সে কোন কিছুই খুতিয়ে দেখে না।তার সব দেখা। সব observation ভাসা ভাসা।
তুমি একশ টাকার নোট অনেকবার দেখেছ। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে তুমি বলতে পারবে না একশ টাকার নোটের দু পিঠে কি ছবি আছে।
৪. বাস্তব আশার পথ ধরে না- বাস্তব চলে নিরাশার এবড়োখেবড়ো পথে।
৫.দু ধরনের মানুষ মিথ্যা বলতে পারে না। সবল মনের মানুষ এবং দুর্বল মনের মানুষ।
৬. মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু অর্থ। স্বার্থহীন বন্ধু । যে মানুষের চারদিকে শক্ত দেয়াল হয়ে মানুষকে রক্ষা করে।
৭. সঙ্গপ্রিয় মানুষের নিঃসঙ্গতার শাস্তি – কঠিন শাস্তি। এই শাস্তি মানুষকে বদলে দেয়।
৮. মানুষ ভবিষ্যৎ জানে না। জানে না বলেই মনের আনন্দে বর্তমান পার করতে পারে।
৯. You have to be cruel, only to be kind.
আর রিভিউটি কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
Profile Image for Jenia Juthi .
258 reviews64 followers
September 14, 2020
মেঘ বলেছে যাব যাব, একটা গান আছে না? ঠিক মনে পড়ছে না লাইনগুলো। হুমায়ূনপোকা আমি এমন না, তবে বইটাকে আমার ইচ্ছে করছে এত্তগুলা রেটিং দিতে।
হুমায়ূন আহমেদ কিছু কথা খুব সহজসরল ভাবে লিখে, যে কারণে আমি ওইসব লেখা বারবার পড়ি। যেমন, কারো মৃত্যুর কথা।
আচ্ছা যাই হোক, মেঘের সাথে মানুষের মিলটা কোথায়? আমার মনে হয়, আকাশের যখন মন খারাপ হয় তখনই মেঘ হয়। আমাদের ও মন খারাপ হয়!এমনটা কেনো ভাবি জানি না।
যখন তিতলীর বিয়ে হয়ে গেলো আমার খুব কষ্ট লাগলো, কিন্তু তিতলী সুখেই আছে। আচ্ছা,লিটন কী জানতে পেরেছে পরে তার জন্য এতসব কে করেছে? হুমায়ূন আহমেদের এত্তো বড় বই আমি পড়বো তাও মনোযোগ সহকারে এমন আমি নই। তবে, তা করেছি। আর কিছু জায়গা পড়তে গিয়ে কান্না করতে ইচ্ছে করেছে। বাচ্চাদের মতো লাগে ব্যাপারটা! তাই চুপ করে ছিলাম।
বইটা পড়ে আমার কষ্ট লাগছে, খুব কষ্ট লাগছে। কষ্ট লাগছে, চিত্রলেখার জন্য!কষ্ট লাগছে রীনার জন্য!
Profile Image for Asif Azad.
24 reviews1 follower
March 8, 2023
শুরুটা ভালো লেগেছে, মাঝখানে ঝিমিয়ে পড়ছিলাম কিন্তু শেষে এসে হুমায়ূন আহমেদ তার নিজের পরিচয় দিয়েছেন। "শেষ ভালো যার, সব ভালো তার " - প্রবাদ অনুযায়ী এই বইটি অসাধারণ ; যদিও বইটির সমাপ্তি পাঠকের মনে চাপা বেদনার উদ্রেক করবে। শেষের অনুচ্ছেদ সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আর চিত্রলেখা নামটি খুবই পছন্দ হয়েছে। হয়তো লেখকেরও নামটি পছন্দের, হয়তো তাই লিটন তার মেয়ের জন্য হাসানের সুপারিশ করা নামগুলো: "তিতলী, চিত্রলেখা" - এর মধ্যে চিত্রলেখা বেছে নিয়েছে।
Profile Image for Raihan Ferdous  Bappy.
226 reviews13 followers
February 5, 2025
বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি
রাত ১২:০৬।

হুমায়ূন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক কেনো জানেন? কারণ, তিনি আমার, আপনার, আমাদের সবার জীবন থেকে ঘটনাগুলো নিয়ে উপন্যাসে রূপান্তর করেন। মাত্রই শেষ করলাম 'মেঘ বলেছে যাব যাব'। তবে, রেশ কাটাতে যে কত সময় লাগবে!

গল্পের মূল চরিত্র হাসান। যিনি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের একজন বেকার যুবক। বেকার বললে অবশ্য ভুল হবে। সে হিশামুদ্দিন সাহেব নামক একজন ধনী ব্যক্তির কাছে সপ্তাহে একদিন ঘন্টা হিসেবে কাজ করে।
হাসানের পরিবারে বাবা মা, দুই ভাই, ভাবী, ভাইয়ের দুই ছেলে। এই পরিবার নিয়েই গল্প চলতে থাকে। বেশি কিছু আর না বলি।

বইটা কেমন লেগেছে তা বলার মতো ভাষা আসলে আমার নাই। অসাধারণভাবে ভালো লেগেছে। উপন্যাসের সবগুলো চরিত্রই মাথার ভেতরে একদম গেঁথে গেছে। খুবই চমৎকার একটা বই পড়লাম।

সবমিলিয়ে, অবশ্যই অবশ্যই পড়বেন। আমার পছন্দের বইগুলোর তালিকায় অনায়াসে জায়গা করে নিলো এই সুন্দর বইটা। নিজেকে এখন খুব করে হাসান মনে হচ্ছে।

যাইহোক, শুভরাত্রি।
Profile Image for momo ✉️.
35 reviews52 followers
September 3, 2022
তিতলী চরিত্রটা পছন্দ হয়নি, যদিও গল্পের কাহিনীর জন্য এই চরিত্রস্বভাবই দরকার ছিল হয়তো, তাও এই লজিকটা ভেবে অপছন্দ ঠেকাতে পারছিনা। আর এইজন্য ৫ তারকা দিলামনা। কিন্তু বইটা আমার অসম্ভব পছন্দের।
যারা গল্প ভেবে বইটা পড়তে বসেছিল তারা নিঃসন্দেহে একটা ধাক্কা খাবে, কারণ গল্প হলো বাস্তবের মতন হয় না।
Profile Image for Anud Binte Olid.
8 reviews
February 3, 2023
কিছু কিছু বই আছে,পড়তে এতো ভালো লাগে,কিন্তু শেষ হয়ে যাবে এই ভেবে পড়ার ইচ্ছে হয় না। 'মেঘ বলেছে যাবো যাবো' আমার পড়া এমন একটি বই।গল্পটা এতো সাধারণ,আহামরি কোনো প্লট নেই, এক্সাইটিং কাহিনী নেই,তাও কিছু একটা আছে,চরিত্র গুলোর মাঝে যে নিজের প্রতি মায়া আদায় করেই ছাড়ে।বই পড়া শেষ হওয়ার পরে মনে হচ্ছিলো শেষের কিছু লাইন না লিখলেই তো পারতেন,আবার পরক্ষনেই মনে হয়,সব কাল্পনিক বাস্তবতা সুখের না হলেই সুন্দর হয়।
Profile Image for Aman.
45 reviews10 followers
February 2, 2023
পড়তে গিয়ে একবার মনে হলো লেখক চাইলে কিন্তু গল্পটা নিয়ে একটা টিভি সিরিয়াল বা সিনেমা বানাতে পারতেন।
হলে মন্দ হতো না হয়তো।
Profile Image for Nuzud Binte Olid.
13 reviews2 followers
June 9, 2023
আমার বন্ধু-বান্ধব এবং ভাই-বোনদের মধ্যে যারাই এই বইটি পড়েছেন,বইটি চোখের সামনে দেখা মাত্রই তাদের ঠোঁটে স্নিগ্ধ হাসির রেখা দেখা গিয়েছে।এই কারণেই বইটি পড়ার জন্য অধিক আগ্রহে বসে ছিলাম।শেষপর্যন্ত বইটি পড়লাম এবং আমিও তাদের দলভুক্ত হালাম!
বইটি দেখা মাত্র একধরনের শান্তি কাজ করছে!
বইটির রেশ কাটিয়ে উঠতে পারছি না।
Displaying 1 - 30 of 190 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.