রূপার পালঙ্ক

Humayun Ahmed (Chronological List) #144

by Humayun Ahmed

"রূপার পালঙ্ক" বইয়ের ফ্ল্যাপের অংশ থেকে নেয়া:
শুধু পূর্ণিমার রাতে মােবারকের খুব কষ্ট হয়—আকাশ ভেঙে জোছনা নামে। মােবারকের মনে হয় সমস্ত পৃথিবীটাই বুঝি বিশাল এক রূপার পালঙ্ক । এত প্রকাণ্ড এক পালঙ্কে সে বসে আছে একা। অনেক দূরে দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে। আছে লাজুক একটা মেয়ে। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে একবার যদি বলা যায়, খুকি এসাে। সে ছুটে চলে আসবে। কিন্তু মােবারক বলতে পারছে না। কারণ কথাগুলি বলার জন্যে তাকে রূপার পালঙ্ক থেকে নেমে মেয়েটার কাছে যেতে হবে । সে যেতে পারছে না। যে রূপার পালঙ্কে সে বসে আছে সেখান থেকে নামার। ক্ষমতা তার নেই। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাদের আলাে তীব্র হয়। রূপার পালঙ্ক ঝকমক করতে থাকে।

Genres: Fiction, Drama, Audiobook, Novels, Contemporary

87 pages, Hardcover

First published February 1, 1999

About the author

Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Reviews

[শাহ্‌ পরাণ]

নেশাখোর এক চোরের গল্প। তার জীবনের ছোট ছোট চাওয়া, ছোট ছোট ইচ্ছা, ভালবাসার গভীরতা, এবং নিষ্ঠার সাথে চুরি করে যাওয়া গল্পে উঠে এসেছে।
এরকম একটা চরিত্রকে নিয়ে গল্প কেউ লিখে না, হুমায়ূন আহমেদ বলেই লিখতে পেরেছেন। নেশাখোর কোনো চোরের সাথে আমার ব্যাক্তিগত পরিচয় কখনো ঘটেনি। তাদের জীবনকে লেখক কতটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন তা আমার পক্ষে জানা সম্ভব না, কিন্তু খুব সুন্দর একটা চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।
কোনো নেশাখোর চোর হয়তো কখনো এই গল্প পড়বে না, জানবে না। তবুও তারা সুখী, বিস্ময়কর, ও হতাশ ।

[সালমান হক · Rating 4 out of 5]

'বিল্লি মে কাট দিয়া' শুধু এই বাক্যটা দ্বারাই উপন্যাসটা দীর্ঘ সময় মনে রাখা সম্ভব। আমার ধারণা হুমায়ূন আহমেদের এই উপন্যাসটা উইয়ার্ড ফিকশন ধারাতেই পড়বে। গোটা ব্যাপারটা বেশ কষ্টদায়ক হলেও এর উপস্থাপন রম্য উপন্যাসের মতন। হুমায়ূনীয় বাস্তবতা নামে আলাদা একটা বাস্তবতার কথা এখন আমরা চিন্তা করতেই পারি কারণ বর্তমানে বিভিন্ন লেখককেই আমরা পেয়েছি তার মতন এরকম বাস্তবতায় লেখার চেষ্টা করতে। গল্পটা মূলত মোবারকের। তার পেশার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ নেই। এরকম মানুষের পেশা না থাকারই কথা। বিভিন্ন সময়ে চুরি করে এবং প্রিয় দুই বন্ধুর সাথে নেশা করে তার সময় কাটে। বইটায় তাদের এরকম নেশা পর্বের বিস্তর বর্ননা আছে যা হাসির উদ্রেক ঘটাবে। এমতাবস্থায় পত্রিকায় কিডনি চাই বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করে মোবারক। স্পর্শকাতর এই বিষয়টাও হাসি-ঠাট্টার ছলে উপস্থাপন করা হয়েছে। খুব দ্রুত পড়া শেষ হয়ে গেলেও বইটার রেশ রয়ে যাবে মনে।

[Yeasin Reza · Rating 4 out of 5]

হুমায়ুন আহমেদের চরিত্রায়ন কতটা সূক্ষ্ম হতে পারে এটা পড়লে বোঝা যায়। । হুমায়ুনের অন্যান্য উপন্যাসের মতোই এর গঠন ও পরিণতি কিন্তু এটা একটু ব্যতিক্রমী বলেই আমার ধারণা। হুমায়ুন শুধু মধ্যবিত্ত সেন্টিমেন্ট নিয়ে লিখেছেন এমন অভিযোগ যারা করেন, তাদের মত ভুল প্রমান করার আরেকটা নজরিয়া উক্ত উপন্যাসখানি। আমি কয়েক বছর পর পড়ে আবারও মুগ্ধ হলাম।

৩.৫/৫*

[Fariha Rahman Bonhi · Rating 3 out of 5]

কত বিচিত্র সব মানুষ আমাদের আশেপাশে, কত বিচিত্র তাদের জীবন ধারা, তাদের সুখ—দুঃখ,তাদের স্বপ্ন!
কিন্তু আমরা যেন কিছুই দেখি না আবার কত কিছুই যেন দেখি মনে রাখি না আবার হয়তো মনেও রাখি!!

[Dystopian · Rating 4 out of 5]

গল্পটা খুব সাধারণ মনে হলেও রেশ টা থেকে যাবে। সাধারণ গল্প গুলোর গভীরতা হয় অসাধারণ মাপের। ১০০ কোটি টাকার মালিকের ১০ কোয়া কমলার গল্প, চোরের ভালোবাসার গল্প, কিশোরীর চোখে স্বপ্ন, মৃত্যু পথযাত্রী বৃদ্ধার খাটের গল্প!
এগুলা সাধারণ গল্প ছাড়া আর কি? এমন সাধারণ গল্প হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া আর কেউ লিখতে পারেন নি, কেউ কখনো লিখতে পারবেন ও না।

[Pranta Biswas · Rating 2 out of 5]

হুমায়ুন আহমেদের বই পড়া মানেই আমার কাছে No-Brainer টাইপ কাজ। পড়া শেষে সব বই যে ভাল লাগে তা না, কিন্তু কোন বই ই পড়ার সময় ক্লান্তি আসে না। রিডার্স ব্লক কাটানোর ক্ষেত্রে আমার জন্য উৎকৃষ্ট।

[Hosneara Ami · Rating 5 out of 5]

আয়নাকে নিজেকে দেখলে আপনার কি মনে হয়? অনেক কিছুই মনে হতে পারে। এই গল্পের নায়ক মোবারকের কি মনে হয় জানেন? মনে হয় - নিজেকে না, তার জমজ ভাইকে দেখছে। যে ভাই কলেজে অধ্যাপনা করে। যার কলাবাগান টাইপ জায়গায় একটা বাড়ি আছে। যে বাড়ির সামনের বাগানে সে তার স্ত্রী ছেলেমেয়ে নিয়ে বিকালে চা নাস্তা খায়।

মোবারক হোসেন। বয়স প্রায় চল্লিশ বছর। পেশায় কিছুই করে না। মেসে থাকে একাই। সংসারে শুধু বুড়ো দাদি আকলিমা বেগম আর দাদিকে দেখাশোনা করা মেয়েটা-সরূফা । আর প্রিয় বন্ধু জহির আর বজলুকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে মোবারকের জীবন।

এই মূহুর্তে কাগজের বিজ্ঞাপন দেখে কিডনী বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছে সে। ভাব দেখে মনে হচ্ছে বানিজ্যটা মনে হয় হয়েই যাবে। কিডনী বিক্রির টাকা দিয়ে কি কি করবে সব ভেবে রেখেছে মোবারক। আদৌ কি তার ইচ্ছা পূরণ হবে? নাকি ছাতিম গাছের নিচেই কেটে যাবে তিন বন্ধুর জীবন?

আমার কথা :

আমার পড়া হুমায়ূন আহমেদের প্রথম লেখা রূপার পালঙ্ক। সেই ছোট্ট বয়সে অসম্ভব আলোড়িত হয়েছিলাম আমি এই লেখে পড়ে। সেই বয়সে অনেক কিছুই বুঝতে পারিনি, কিন্তু মনকে অসম্ভব দোলা দিয়েছিল।

তারপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাইনি। আজ হুমায়ূন আহমেদ আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক। যার শুরু হয়েছিল এই লেখার হাত ধরে। জীবনের যে গভীর দর্শন, ন্যায়-অন্যায়ের যে বিভেধ, সমাজের বিভিন্ন অসংগতি এই লেখনির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে তা ব্যক্তি মাত্রই অনুধাবন করতে পারেন।

আর শেষটা তো আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে এই লেখায়। হুমায়ূন আহমেদের লেখনি যেন বারবার মনে করিয়ে দেয় জীবনটা পদ্মপাতার পানিও না, সিনেমার গল্পও না।।।

হ্যাপি রিডিং।।।

[Kazi Md. Al-Wakil · Rating 2 out of 5]

গল্পটি ৩ বন্ধুকে কেন্দ্র করে। মোবারক, জহির, বজলু। ৩ জন এর নেচারই সেইম। ৩ বন্ধুই কোনো কাজ করে না, সারাদিন ঘুর ঘুর করে, আড্ডা দেয়, নেশা করে, আর মিথ্যা কথা বলে, আর প্রচুর অনৈতিকতায় ভর্তি।

মোবারক তার কিডনি বিক্রি করবে। তার বদলে ২ লাখ টাকা চেয়েছে। যার কাছে কিডনি দিবে, তিনি আবার অনেক বড়লোক, মোবারককে আশ্বাসও দিয়েছে যে মোবারকের একটা ব্যবসা দাড় করায় দিয়ে যাবে। ফুল আর ফল এর দোকান। এই খোয়াব দেখছে সারাদিন মোবারক। সুইজারল্যান্ডও নিয়ে যাবে। সেই বাসায় দেখা করতে গিয়েও মোবারক চুরি করেছে। দামী সিগারেট, শাল, এস্ট্রে সরিয়েছে। সুইজারল্যান্ড ঠান্ডার দেশ। তাই জামা কাপড় কেনার জন্য ২৫ হাজার টাকা সাথে গাড়িও দেয়া হয় মোবারককে, সেই গাড়ি আর টাকা দিয়ে প্রচুর ফুটানি করেছে মোবারক।

জহির এদিকে পুরা অসুস্থ একজন মানুষ। প্রতিবারই বড় একটা অসুখ হয়, ডাক্তার বলে কোনো আশা নেই, কিন্তু ঠিকই ফেরত আসে। এসে আগের মতোই নেশা করতে থাকে। জহির এর খালু মারা যাওয়ার পর কাফনের টাকাও হয় না। জহির এর খালা ধার দেনা করে ১০০০ টাকা এনে দেয় জহিরকে, জহির সেই টাকা নিয়ে চলে আসে। অনেকগুলা মদ এর বোতল কিনে ৩ বন্ধু ফুর্তি করে। কিন্তু মনের ভিতর গিল্টিভাব আছে। কিন্তু মুহূর্তেই সেই ভাব দূর হয় যায় ভাব এর দুনিয়াতে যাওয়ার পর।

মোবারক এর শেষমেষ আর যাওয়া হয়নি সুইজারল্যান্ড। কারণ তার আগের দিন�� রোগী মারা যায়। মোবারক আবার ফিরে যায় বেকার, নেশাখোর দুনিয়ায়। যেখানে টাকা জমলেই নেশা করবে ৩ বন্ধু মিলে।

[Tatinee · Rating 2 out of 5]

ইনসমনিয়ার জন্য আজকাল হুমায়ূন আহমেদ খুব পড়া হচ্ছে। একেকটা বই নিই, শেষ করে সাধারণত ঘুমিয়ে পড়ি। অথবা আরেকটা বই তুলে নিই।
তেমন চিন্তা করতে হয় না বলেই হয়তো এ সিদ্ধান্ত! আজও তাই করছিলাম।
গল্প বলার ধরনে অনেক সময় হাস্যরস চলে আসে, শীর্ষেন্দুর অদ্ভুতুড়ে সিরিজ যেমন। কিন্তু যখন হিউমার টেনেহিঁচড়ে ঠেসে দেবার চেষ্টা করা হয় এখানে সেখানে, তখন (অন্যদের কথা জানি না) বিরক্তি চলে আসে।
পুরোটা জুড়ে এ-ই মনে হয়েছে আমার। তবে ফিনিশিং টুক ভালো লেগেছে।
এবং শুধু ফিনিশিংটুক-ই ভালো লেগেছে।

[mobashir097 · Rating 3 out of 5]

হুমায়ুন আহমেদের গল্প বা উপন্যাস এর বেশিরভাগেই শেষদিকে এমন কিছু ভাবের কথা থাকবে যা পাঠককে এক ধরনের নেশার ভাবগ্রস্ত বানায় ফেলে। গল্পে রুপার পালংকে নিয়ে কিছু তেমন লাইন আছে। নৈর্ব্যক্তিক ভাবে চিন্তা করলে পুরো গল্পেই কিছু নেই।

[Miss Ira · Rating 5 out of 5]

হিউমারে পরিপূর্ণ কাহিনী। হাসি কান্নার অদ্ভুত এক মিশ্রণ। একজন ব্যর্থ মানুষের ইতিকথা যে কিনা আরেকটা বার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আর সেই চেষ্টাও বিফলে গেছে।

"বিল্লি মে কাট দিয়া" লিখে শেষ করছি। যারা উপন্যাসটা পড়েছেন তারাই বুঝবেন।

[Sayla Afroz Keka · Rating 4 out of 5]

নিজেকে খুব ব্যর্থ মনে হচ্ছে আজকাল। আর এমন সময়েই বইটা পড়লাম। হাসি কান্না মিলেমিশে একাকার। একজন ব্যর্থ মানুষের গল্প।

আমরা ব্যর্থ হবো। পৃথিবী জোছনায় ভাসবে। অভাগাদের রূপার পালঙ্কে শোয়া হবেনা। তবুও চলবে জীবন। কিংবা একদিন শেষ হয়ে যাবে!

[Masud Imtiaz · Rating 3 out of 5]

যার সাহস আছে তাঁর সবকিছু আছে। যার সাহস নেই তাঁর কিছুই নেই।

[রায়হান রিফাত · Rating 4 out of 5]

যে কটা বই আমার মনে হয়েছে উনি শুধু টাকার জন্য লিখেছেন বা প্রকাশকের জোরাজোরিতে লিখেছেন, এইটাও তন্মধ্যে ছিল।
অন্তত ৫০পৃষ্ঠা পর্যন্ত।
উনার লেখনী সাধারণত বোরিং হয়না।
ভাল রাইড হয় উনার বই পড়ে।
তবে এইটার ক্ষেত্রে বিরক্ত হচ্ছিলাম।

তবে ৫০ এর পর যেন পাল্টে দিলেন সব সমীকরণ।

খুব সুক্ষ্ম ভাবে মানুষের চরিত্রের কিছু দিক তুলে ধরলেন।

যেমন ধরেন :

১/ গণপিটুনি তে অংশ নেওয়া সাধারণ একজন। যে কখন ও কারো উপর হয়ত রাগ ও দেখায়নি, সে ও এসে মারধর করে চলে যায় ভীড়ের মাঝে।

২/নিজে বড় হলে নিজের সাথের মানুষ দের ও সংগে করে বড় করা যায়।

৩/ হঠাৎ টাকা হাতে আসলে জাতে উঠে যাওয়া মানুষের ব্যবহারেই পরিচয় পাওয়া যায়। অথবা কতিপয় চামার শ্রেণির মানুষ যারা হঠাৎ টাকা হলে জাতে উঠতে চায় বা অন্যকে কন্ট্রোল করতে চাই, এদের শেষ নির্ধারিত!!

৪/ বিপদে দুটো কথা শুনিয়েও পাশে দাড়ানো মানুষ টাকে যথার্থ সম্মান দেওয়া।

৫/ জাতে উঠার পর নিজের অতীত আর অতীতের মানুষ কে ভুলে না যাওয়া।

রেটিং : ৭/১০

[Mubtasim Fuad · Rating 4 out of 5]

আমি প্রথম যখন বইটার নাম দেখি তখন ভাবছিলাম এটা বুঝি রূপা ক্যারেক্টারকে ঘিরে লেখা একটা উপন্যাস কিন্তু পড়তে গিয়ে আমি একবারে “থ”।
আমি বেশ কিছুদিন আগে হুমায়ূন আহমেদের লেখা আরেকটা উপন্যাস পড়েছিলাম। নাম - চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক, ভবঘুরে কয়েকট ক্যারেক্টার নিয়ে লেখা এলোপাতাড়ি এক গল্প। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে আমার কাছে ভালই লাগছিল। পড়ে স্বস্তি পাইছিলাম। নিজের যেহেতু বন্ধুবান্ধব নাই তাই আমার কাছে একটু অন্যরকম লাগছিল।
সেদিন রাত্রে এই উপন্যাসটা পড়তে গিয়ে ওই উপন্যাসের সাথে একটু মিল পাচ্ছিলাম। ক্লাসিক হুমায়ূন হিউমারের সাথে দারুণ কম্বিনেশন ফেদে বসেছিল তা মানতেই হবে। বন্ধুত্বের বন্ধন আর কিডনি বি-ক্রি-র মজার এক প্লট নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ ভালই গল্প ফেদেছিলেন। আমি ইনজয় করেছি।

[Anish Bhowmik · Rating 3 out of 5]

7/10

[Abdul Mugni]

Q

[Shahriyer Ruhan · Rating 3 out of 5]

না, হলো না!

[Binti · Rating 4 out of 5]

'' ছাতিম গাছের পাতায় শিশির জমেছে। মাঝে মাঝে দুএকটা ফোঁটা এদের গায়ে পড়ছে " - লাইনটা সুন্দর লেগেছে।

আর " বিল্লি মে কাট দিয়া "




সহজ সাবলীল ভাবে কিছু বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে।

[Israt Sharmin · Rating 3 out of 5]

এই বই দিয়েই আমার হুমায়ুন আহমেদের জগতে আসা। গল্পের জাদুকর তারপর চোখের সামনে মেলে দিয়েছিলেন এক নতুন ভাবনার জগৎ।

[Nova · Rating 3 out of 5]

'Death' or incapability is the রূপার পালঙ্ক

[Shah Jahan Shuvo · Rating 5 out of 5]

আমি উপন্যাসটির প্রকাশকাল দেখছিলাম, ১৯৯৯ সাল। কারণটা উপন্যাসের কোন চরিত্রের জন্য নয়। ভাবছিলাম আমির খান অভিনীত বিখ্যাত ‘থ্রি ইডিঅটস্’ এর কথা, মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। হুমায়ুন আহমেদ আগেই লিখেছিলেন। তিন বন্ধুর অনেক গল্প আছে সত্য, কিন্তু আমাদের গল্পগুলো অন্যরকম।
বাংলাদেশের বেকার সমস্যা নিয়ে অসংখ্য বই-চলচ্চিত্র হয়েছে। যদিও হুমায়ুন আহমেদ এই উপন্যাসে বেকারত্ব নিয়ে কোন হা-হুতাশ করেননি। তবে বেকার হলেই যে বোতলের পর বোতল মদ খেতে হবে এটাও কিন্তু ঠিক নয়। আবার চুর��র প্রসঙ্গটা হয়তো কৌতুক আকারেই এসেছে বা চরিত্রের ভিন্নতা বুঝাতেই হয়তো। উপন্যাসের মাঝখানে একটু ঝিমিয়ে পড়েছিলাম। পরে আবার টেনেছে আমাকে। শেষটা ছিল অসাধারণ।
মাঝামাঝিতে ঝিমিয়ে পড়ার একটা কারণ ছিল, কিডনি বিক্রির বিষয়টি। হুমায়ুন আহমেদের অনেক উপন্যাস ও নাটকে এই ধরনের ঘটনা এসেছে। সুতরাং আমার কাছে বিষয়টি রিপিটেড মনে হয়েছে। পরে অবশ্য মোবারককে কিডনি দিতে হয়নি। তার আগেই শিল্পপতি মারা যান। তিন বন্ধুর স্বপ্নের ঘোরে বেঁচে থাকার মাধ্যমে সমাপ্ত হয় উপন্যাসটি।
এই গল্পের বেশ কিছু উক্তি আমার ভালো লেগেছে। যেমন-“ভাবের রাজ্যে ভ��ন্নমতের ঠাই নেই।” খুবই শক্তিশালী দারশনিক উক্তি। গল্পের এক জায়গায় হয়, “খাওয়ার ব্যবস্থা থাকলে মানুষে, মানুষ খেতো।” এই উপন্যাসে দেখা পাই হুমায়ুন আহমেদের সেই বিখ্যাত উক্তি-“ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশি। যারা মিছকা শয়তান, তারা রাগ করেনা। পাছায় লাথি মারলেও তারা হাসে।” সত্যিই অসাধারণ! শিল্পপতির একটা উক্তি আমার মনে দাগ কাটে-“পৃথিবীর সব বাবার মতো আমার বাবাও তাঁর কণ্যাকে বেশি ভালোবাসতেন।”
উপন্যাসের সবচেয়ে হাস্যকর হিন্দি উক্তিটি ছিল, “বিল্লি মে কাট দিয়া।”
“ফ্রুটস এন্ড ফ্লাওয়ার” নামে যে ব্যবসার ধারণা মোবারক ওই শিল্পপতি থেকে পান। আমি মনে করি এটি একটি শক্তিশালী আইডিয়া এবং একান্তই ইউনিক। কেউ চাইলে একটি ভালো ব্যবসা দাড় করাতে পারেন।
উপন্যাসটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে।

[Jahangir Alam · Rating 5 out of 5]

এরকম একটা বই আগে কেন পড়ি নাই সেটা ভেবেই আফসোস হচ্ছে। ভাল লেগেছে বইটা।

[Rakibul Dolon · Rating 4 out of 5]

A reader lives a thousand lives before he dies. এতগুলো জীবনের অভিজ্ঞতা নিতে যেই লেখকরা আমাদের সাহায্য করেন তারা আসলেই অসাধারণ.

[Rezaul Karim Onik · Rating 5 out of 5]

অসাধারণ একটা বই। যারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে তাদের জন্য এই বই।

[Md Tazri · Rating 4 out of 5]

আসলেই অনেকের ইচ্ছা পূরন হয় না।অপূরন থেকে যায়।ঠিক তেমনটা ঘটেছে মোবারকের বেলায়।শেষ দিকে উনার জন্য কষ্টেই লেগেছে।নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছিলো কিন্তু পারেনি।বিষয়টাই আমার জন্য অনেক খারাপ লেগেছে।🥺🥺

[Noshin · Rating 4 out of 5]

শুধু শেষ প্যারাটার জন্য চার তারা

[Afia Auhona · Rating 3 out of 5]

অহেতুক হিউমার ছাড়া পুরো গল্পে বিশেষ কোনো উপাদান ছিল না। মনোযোগ দিয়ে না পড়লেও পুরোটাই আন্দাজ করতে পারবেন। কিন্তু এটাও তো হুমায়ুন আহমেদ এর বই, তাই শেষে এসে বাজিমাত। পরিশেষের জাদুতেই ৩ স্টার দিলাম।

[Mohammed Minhazz · Rating 5 out of 5]

অদ্ভুতূড়ে!

[Ziaul Hasan · Rating 5 out of 5]

রুপার পালঙ্ক হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম সেরা সৃষ্টি। বইটি পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো চোখের সামনে চিত্র গুলো বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। তার লেখা যত পড়ি তত মুগ্ধ হই