ফ্ল্যাপে লেখা কথা: সুসং দুর্গাপুরের চন্ডিগড় গ্রামে ছবি বানাতে গেছেন একজন বিখ্যাত পরিচালক। ছবির নাম আমার আছে জল। বিরাট ইউনিট, বিরাট কর্মকান্ড। ছবিতে প্রথম কাজ করতে এসেছে রুমালী নামের এক কিশোরী। ছবি বানানোর এই বিপুল আয়োজন, এই বিশাল কর্মকান্ড সে দেখছে অবাক বিস্ময়ে। সে এক সময় ছবির গল্পের সঙ্গে মিশে যেতে শুরু করল। তার মনে হতে লাগলো সে রুমালী নয় সে আমার আছে জল-এর কিশোরী নায়িকা, দিলূ। শুরু হল বিচিত্র এক মেটামরফোসিস। রুমালীর গল্প এক অস্বাভাবিক রূপান্তরের গল্প। লাগাম-হীন তীব্র আবেগের গল্প, তীব্র হাহাকারের গল্প, অমোঘ নিয়তির গল্প। সে নিয়তির কাছেই আমাদের সকল সমর্পন।
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
প্রথমে কেনার পর কতবার পড়েছি মনে নেই। এখন আবার পড়লাম প্রায় ৩-৪ বছর পর বোধহয়।
রেটিং কমালাম। ৪ তারা থেকে ৩ তারা। সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ আছে তার পেছনে।
একটা সময় পর্যন্ত খুব মুগ্ধ হয়ে হুমায়ূন আহমেদের বই পড়তাম। কখনও কোন কিছু নিয়ে মনে হয় নি যে,"আচ্ছা এই ঘটনাটা বোধহয় একটু কেমন জানি।" এখন মনে হচ্ছে, যে উনার পরের দিকের বইয়ের চরিত্রগুলো খুব বেশি বিশ্বাসযোগ্য না, বিশেষ করে মেয়েগুলো। কথায় কথায় বাঁধাধরা ছকে সবাইকে বেঁধে ফেলার বা স্টেরিওটাইপে ফেলে দেওয়ার উনার যে প্রবণতা তা খুবই অবাক করার মত। যেমন - "প্রকৃতি মেয়েদের...", "ছেলেরা মেয়েদের......" ইত্যাদি ইত্যাদি। এবং এই ধরণের কথাবার্তা উনার বেশিরভাগ বইয়েই আছে। ব্যাপারটা চিন্তা করে কেমন লাগছে !
"রুমালী" উপন্যাসের সবচেয়ে শক্রিশালী চরিত্র ছিলেন মঈন সাহেব। রুমালীকে মনে হয়েছে একেবারে অন্য বই থেকে তুলে এনে ফেলা হয়েছে। মাওলানা চরিত্র সব বইয়ে একই। এবং আমি নিশ্চিত প্রতিটা চরিত্রের মত আরেকটি চরিত্র খুঁজে পাওয়া যাবে।
একজন মানুষ যে কখনও হুমায়ূন আহমেদের কোন বই পড়েনি, তাকে এই বই পড়তে দিলে হয়তো তার খুবই ভালো লাগতো। আমার লাগেনি।
ফালতু বই আমি অনেক পড়েছি, তবে এতটা ফালতু বই বোধহয় আর পড়িনি। আমার পড়া সেরা ফালতু বইগুলোর তালিকার শীর্ষে এ বইটি জায়গা করে নেবে বলেই মনে হয়। বইটি এতটাই অখাদ্য যে, পড়ার পর মনে হলো সত্যি সত্যি বমি করে ফেলি!
In my opinion, one of the WORST books by Humayun Ahmed ever. And the book is one of his bigger length novels, which most of the times turned out to be great, but in this case not even good or merely okay... just pure garbage. Talk about a tragedy.
একজন বিখ্যাত পরিচালক ও তার বিশাল ইউনিটং সুসঙ দুরগাপুরের চন্ডিগড় গ্রামে সিনেমা বানাতে গিয়েছেন | সিনেমার নাম 'আমার আছে জল' | আর সেই সিনেমাতে একটি পার্শ্ব নারী চরিত্রে অভিনয় করতে এসেছে রুমালী নামের এক কিশোরী |
সিনেমার শুটিং এর পাশাপাশি শুটিং এর বিপুল আয়োজন , এলাহিকান্ড এবং বিভিন্নরকম মানুষের সংস্পর্শে এসে নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছে রুমালী |
কিন্তু এইসব থেকেও তাকে সবচেয়ে বেশী আকৃষ্ট করেছে পরিচালক মঈ্ন সাহেব | পরে রুমালী পরিচালক মঈ্ন সাহেবের স্ত্রীর মাধ্যমে জানতে পারে যে, এই পরিচালকের মাঝেই লুকিয়ে আছে অদ্ভুত এক রহস্যময়ী চরিত্র |
💬পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ
'রুমালী' বইটি পড়ার সময় হুমায়ূন আহমেদের লেখা ' আমার আছে জল' উপন্যাসের সাথে অনেক অংশে মিল লাগতে পারে কিন্তু 'রুমালী' উপন্যাসের মূলভাব এবং গল্প দুটোই আসলে অন্যরকম |
হুমায়ূন আহমেদ স্যার আমাদেরকে অস্মাপ্ত গল্পতে অভস্ত্য করে ফেলেছেন। এ নিয়ে তার লেখা কতটি অশমাপ্ত বই পড়লাম, কিন্তু কোনোটি পড়েই মন খারাপ হয়নি। এটা যেন স্যারের স্টাইল, এটাই তার লেখাকে মানায়। তিনি আমাদেরকে নিজেদের মতো করে গল্প শেষ করার সুযোগ দিয়েছেন।
বইটা রুমালী নামে এক কিশোরীকে নিয়ে যার বাবা আরেকটা বিয়ে করে তাকে এবং তার মাকে ছেড়ে গেছে। মেয়েটি একটা সিনেমা করতে যায় নেত্রকোণাতে। সিনেমার ক্রুর সাথে মেয়েটির বসবাস, অভিনয় সংলাপ, ভালোবাসা এসব নিয়েই উপন্যাস। প্রথমত, মাত্রাতিরিক্ত বড় লেগেছে গল্পের কলেবর। দ্বিতীয়ত, পটেনশিয়াল ভালো ছিলো প্লটের। ধীরে ধীরে লেখক নিজেই সেটা নষ্ট করে দিয়েছেন। এক পর্যায়ে শুধু শেষ করতে হবে বলে শেষ করলাম। শুরুর আমেজ থাকে নাই।
ব্যেক্তগত ভাবে আমার কাছে পুরো বইটা পড়া ছিল চ্যালেঞ্জিং একটা ব্যাপার। এত দূর্বল প্রধান চরিত্র নিয়ে অন্য কোনো লেখকের বই হলে কখনোই হয়তো শেষ করতে পারতাম না৷
Just re-read this one..... I won't say this is one of the better writings of the author. The first time, this book kind of spellbound me. The second time, the starting felt okay and the ending felt like a labyrinth.... I am not sure how to rate this book. It's not a great one but kind of captivating.
বর্ষার প্রথম কদম ফুল, কেউ কী পারে তার সৌন্দর্য্য,তার নির্মলতা অস্বীকার করতে!ঠিক তেমন প্রথম ভালবাসার যে পবিত্রতা, যে গভীরতা, যে ভালোলাগা তা অস্বীকার করা যায় না।একজন ১৬-১৭ বছরের তরুণী নাম তার রুমালী সে ও পারিনি,তার প্রথম প্রেমকে তুচ্ছ করতে,পারে নি সরে আসতে।সে যথেষ্ট বুদ্ধিমতি,সে খুব ভাল করে জানে তার এই ভালবাসার কোন ভবিষ্যৎ নেই কিন্তু তবুও পারে নি দূরে চলে যেতে।যে ব্যক্তি তার মন জুড়ে আছে, বয়সে তার দ্বিগুণ এবং বিবাহিত। আর সেই লোকটির প্রতিটি কথা তার কাছে মিষ্টমধু-বেদ বাক্যের ন্যায় ।লোকটি তাকে এমন বিমোহিত করেছে যে,রুমালীর নয়ন শুধু সেই লোকটির নয়ন খুঁজে। লোকটি আর কেউ নয়, তার স্যার মঈন।(কিন্তু কেমন স্যার! জানতে হলে পড়তে হবে) মঈন এই ব্যক্তির এমন কিছু ক্ষমতা আছে যার বলে সে খুব সহজে মেয়েদের আকৃষ্ট করতে পারে।কিন্তু রুমালি তো আর চারটে মেয়ের মত না কিন্তু তবু ও পারে নি এই লোকটি কে অগ্রাহ্য করতে।কিন্তু কী এমন হল যে মঈন তার কথাই অনুপ্রাণিত হয়ে আত্নহত্যা করল।জানতে হলে অব্যশই পড়তে হবে। এবার আসি উপন্যাস টি কেমন?? এই উপন্যাসে মানুষের মনের ভিতরে যে টানাপোড়ন থাকে সেটি খুব ভাল করে তুলে ধরা হয়েছে।একটা মানুষের বাইরের হাস্যময় রূপ দেখে কখনো অনুমান করা যায় না যে,
ভিতরটা তার কত যে বিষাদময় ।সব সময় তাকে একটা মুখশ পরে থাকতে হয়।লেখক খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন মানুষের অন্তরের দিক টি আর সেই একই সাথে তুলে ধরেছেন একটি মাতৃছায়াই বড় হওয়া তরুণীর ভালবাসার গল্প,যে ভালবাসার কোন দাবী নেই,নেই কোন যুক্তি,নেই কোন ভবিষ্যৎ। তার ভালবাসার লোকটি যেমনই হোক তার ভালোবাসার কোন পরিবর্তন নেই।উপ্যনাসের শুরু হতে শেষ অবধি,মঈন স্যার কে সে একইভাবে ভালবেসেছে। #পরিশেষে বলব, ভালোলাগার মত একটি বই,আর বিলম্ব না করে পড়েই ফেলুন।
নতুন এক মেয়ে যে সিনেমাতে একটি পার্শ্ব নারী চরিত্র করতে এসেছে। একটা শুটিং মানে এলাহিকাণ্ড, অনেক রকম অনেক চরিত্রের মানুষ। সে বিভিন্ন রকম মানুষের সংস্পর্শে নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছে। কিন্তু তাকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করেছে পরিচালক সাহেব। অথচ তার মাঝেই লুকিয়ে আছে কি অদ্ভুত এক রহস্যময় মানুষ! হুমায়ুন আহমেদের অনেকগুলো অসাধারণ কাজের মধ্যে একটি। যারা পড়েন নি আজই পড়ুন। আপনাদের আমন্ত্রণ এই অদ্ভুদ কাহিনীটিতে।
আমার মনে হয় হুমায়ুন আহমেদ স্যারের আন্ডাররেটেড বই গুলোর মধ্যে রুমালী অন্যতম একটি। এই বইটার কথা হয়তো অনেকে জানেনই না। বইটা অন্যরকম! কেমন ঠিক জানিনা... তবে অদ্ভুত!
আমার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে। চেপে চেপে চোখের জল ফেলা না, একেবারে হাউমাউ কান্না! কিন্তু আমার ইচ্ছেতেই তো আর সব হয় না, কান্নার সম্ভবত একটা স্বতন্ত্র সত্তা আছে, যে আমার কাছে ধরা দিতে চাচ্ছে না! হাস্যকর মনে হচ্ছে? মোটেও হাস্যকর না, আমার খুব যন্ত্রণা হচ্ছে হাউমাউ করে কাঁদতে না পেরে! ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছেন? বুক রিভিউ না লিখে কী সব ভুজুংভাজুং লিখছি? ঠিকাছে, আমার 'রুমালী' পড়ার গল্প বলি।
মেয়েটার নাম — মালিহা রুমালী বকুল। নামের মিলের জন্যই বোধহয় বইটার জন্য আমার ভিন্নরকম একটা সেন্টিমেন্ট কাজ করছে। বইটা প্রথম পড়েছিলাম বছর কয়েক আগে। নতুন নতুন তখন ফোনে বা পিসিতে পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে শিখেছি। একটা সাইট ঘাঁটতে গিয়ে সামনে চলে আসে বইটা। প্রচ্ছদ দেখে প্রথমে মনে হয়েছিল অটোবায়োগ্রাফি টাইপ কিছু হবে, পড়তে গিয়ে দেখলাম উপন্যাস। হুমায়ূন আহমেদ সম্ভবত লেডি ক্যারেক্টারের জবানিতে খুব বেশি লেখেননি। আমি উনার রুমালী ছাড়া লেডি ক্যারেক্টারের জবানিতে লেখা বই সম্ভবত দ্বিতীয়টা পড়িনি। আরো লিখেছেন নাকি? জানা থাকলে রিকমেন্ড করবেন প্লিজ।
গল্পে রুমালীর বয়স সতেরো। প্রথম যখন পড়েছিলাম বইটা তখনো আমার বয়স সতেরো হয়নি। পড়তে পড়তে ভেবেছিলাম — আমার বয়স যখন সতেরো হবে, আমি বইটা আবার পড়ব। এই যে আমি দ্বিতীয়বার পড়তে বসেছি, কিন্তু দেরী হয়ে গেছে! সতেরো বছর বয়সটা পেরিয়ে পড়তে বসেছি। সতেরো পেরিয়ে গেছে, ভাবতেই খারাপ লাগছে! অবশ্য বেশি না, একটু একটু খারাপ লাগছে। রুমালীর বাবা, দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। আর তার পাগলাটে মা বাপের আলিশান বাড়ির এক কোণে মেয়েকে নিয়ে সংসার পেতেছেন৷ হুমামেদের লেখার একটা চমৎকার বৈশিষ্ট্য হলো — ছোট ছোট টুইস্ট দেয়া। একেবারে ছোট ছোট টুইস্ট, কিন্তু টুইস্টগুলো সংখ্যায় অনেক। টুইস্টেড অংশটুকু পড়ে পাঠক ধরতেই পারবে না যে এখানে কোনো টুইস্ট আছে। কিন্তু একটার পর একটা টুইস্টে পাঠকের মস্তিষ্কে ডোপামিন বন্যা ঠিকই বয়ে যাবে! রুমালীর বাবা-মায়ের সম্পর্কটা এমনই একটা ছোট টুইস্ট।
ঢাকা থেকে দূরে, চণ্ডিগড় নামে এক জায়গায় শুটিং ইউনিটের সাথে এসেছে রুমালী আর তার মা। রুমালী হলো সিনেমার এক নম্বর নায়িকা। আরেক ফার্স্ট ক্লাস নায়িকা — পাপিয়া ম্যাডাম, যিনি সিনেমার দুই নম্বর নায়িকা — ক্ষেপে যাবে, এই ভয়ে ইউনিটে সবাই জানে রুমালীই দুই নম্বর নায়িকা! যে সিনেমার আউটডোর পার্ট করতে ওরা চণ্ডিগড় এসেছে সেটা 'আমার আছে জল' — সরাসরি নাম অবশ্যই বলা নেই উপন্যাসে, চিত্রনাট্য নিয়ে যতটুকু কপচানো হয়েছে তাতেই অনুমান করা যায়৷ রুমালী করছে দিলু চরিত্রটা।
একটা সময় হুমামেদের লেখা ভীষণ অপছন্দ করতাম আমি। সবাই বড় বড় চোখে তাকিয়ে থাকত আমার দিকে। আমি মজা পেতাম। বড় বড় চোখে সবাই আমার দিতে তাকিয়ে থাকবে — অবশ্যই এই উদ্দেশ্যে হুমামেদকে অপছন্দনীয় বলতাম না আমি। অপ্রয়োজনীয় - ভুজুংভাজুং সংলাপ, বাস্তবতা বর্জিত উদ্ভট কান্ডকারখানা — হুমামেদের লেখার এই বিষয়গুলো খুউবই অপছন্দ ছিল আমার। ছিল কেন? এখনো অপছন্দ করি আমি!
কিন্তু কী, ম্যাজিক বলে একটা ব্যাপার আছে না? এই মানুষটার লেখায় যে ম্যাজিকটা আছে, সেটার প্রভাব দিনে দিনে স্পষ্ট হচ্ছে। আমার অপছন্দের বলয়টা ভেঙে যাচ্ছে। আমি অপছন্দটা ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর ছিলাম, কিন্তু ধরে রাখতে পারছি না, হেরে যাচ্ছি। হেরে যাচ্ছি বলে কষ্ট লাগার কথা, কষ্টও লাগছে না বরং আমোদ পাচ্ছি!
আমার ভাবনার জগতটা আবেগের বাষ্পে ভরে যাচ্ছিল। বাষ্প জমতে জমতে সেসব তরল ফোঁটায় পরিণত হলো, তারপর ফোঁটা ফোঁটা আবেগ মিলে আবেগের সমুদ্র। আবেগের সমুদ্রে এখন বড় বড় ঢেউ আসছে। 'রুমালী' সেই ঢেউয়ে ফেনা আর বুদবুদ তৈরি করে দিলো। সে বুদবুদে পৃথিবী ঢেকে যাচ্ছে, সব ঢেকে যাচ্ছে, সব!
ধুর ছাই! আমি একটুও কাঁদতে পারছি না! আমি একটু কাঁদতে চাই!
"খুব বেশি পছন্দ যাকে করবে সে তোমাকে গ্রাস করে ফেলবে!কখন গ্রাস করবে তুমি বুঝতেই পারবে না!মানুষের মধ্যে আছে ঝিনুক স্বভাব!ঝিনুক কী করে?-মুখ খুলে হা করে থাকে!ধরা যাক তুমি কোনো একটা ঝিনুককে খুব বেশি পছন্দ করে ফেললে,তুমি তখন কী করবে,তার পেটের ভেতর গিয়ে গুটিশুটি মেরে শুয়ে পড়বে!ওম্নি ঝিনুক তার ডালা বন্ধ করে ফেলবে!চির জীবনের জন্য ঝিনুকের ভেতরে আটকা পড়ে যাবে!মানুষ যদি ঝিনুকের মতো হয় তাহলে আমি মায়ের ঝিনুকের ভেতর বসে আছি!মা ডালা বন্ধ করে রেখেছেন!"-বই থেকে নেয়া!
হুমায়ূন আহমেদ স্যার আমাদের অসমাপ্ত গল্পে অভ্যস্ত করে ফেলেছেন! অনেক বইতেই তার অপ্রত্যাশিত সম��প্তি আমরা দেখেছি, কিন্তু "রুমালী" কিছুটা আলাদা! এই বইটি রহস্য, হাসি, ভালোলাগা, বিচ্ছেদ, চাঞ্চল্য এবং একঘেয়েমির এক অদ্ভুত মিশেল!
রুমালী,সতেরো বছরের একজন কিশোরী, যার জীবন তিক্ততার ভেতর দিয়ে চলে!তার বাবা তাকে ও তার মাকে ছেড়ে অন্য একটি বিয়ে করেছেন, এবং এই ঘটনার পর থেকে রুমালী ও তাঁর মায়ের জীবনে একের পর এক দুঃখ ও সংগ্রাম আসে! গল্পের শুরুতে মনে হয় রুমালী হচ্ছে প্রধান চরিত্র, কিন্তু আ��ল শক্তিশালী চরিত্র হয়ে ওঠেন মঈন সাহেব, যিনি একজন পরিচালক এবং তার জীবনে একটি জটিল ভূমিকায় প্রবেশ করেন!
বইটি শুধুমাত্র সম্পর্কের জটিলতা, বিচ্ছেদ এবং হতাশা নিয়ে লেখা নয়, এটি জীবনের এক অগোছালো এবং অস্থির পরিস্থিতি তুলে ধরে!রুমালী’র মতো চরিত্রের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই, জীবনে কখনও কখনও কিছুই বদলানো যায় না, শুধু সময় চলে যায়, আর সম্পর্কগুলো আরো জটিল হয়ে ওঠে!
"রুমালী" হুমায়ূন আহমেদের লেখা এমন একটি উপন্যাস, যা পড়ার পর মনে হয়, জীবনের অনেক কিছুই অসমাপ্ত হয়ে থাকে, যেখানে কোনো সহজ সমাধান বা আশার জায়গা নেই! তবে, গল্পে কিছু মজার এবং হাস্যরসাত্মক মুহূর্তও রয়েছে, যা পাঠককে অপ্রতিরোধ্যভাবে হাসতে বাধ্য করে!
সোজা কথায় বইটি একদমই ভালো লাগেনি। তাও আবার এত বিশাল কলেবরের বই। কী ভেবে যে লেখক এটা লিখে তাঁর নিজের সময় নষ্ট করলেন। এবং পড়তে গিয়ে আমার নিজেরও সময় নষ্ট হল। হুমায়ূন আহমেদের কত সুন্দর লেখার মধ্যে এ যেন পুরোই এক 'আবর্জনা'! তারপরও একে দুইতারা দিলাম সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। এই বই পড়ে বহুদিন পর আবার ডায়েরী লেখা শুরু করলাম। বইটি রুমালী নামক একটি অতি আবেগপ্রবণ মেয়ের ডায়েরী বলা যেতে পারে, সে জন্য হয়ত। দুর্গাপুরে জীবনের প্রথম ছবি করতে গিয়ে সদ্য তরুনী মেয়েটির মইন সাহেবকে (ছবির পরিচালক) ঘিরে তার মনোজগতের উথাল পাতার হবার দিনলিপি। তবে এরপরও বহুদিন এত বিরক্তি নিয়ে কোনো বই শেষ করিনি।
don't understand the negative reviews on this one,its no worse than any other humayun novel
the protagonist is a teenage girl with underlying daddy issues finding herself in love with an older man,who keeps leading her on,while dealing with an overbearing mother,her thoughts are incoherent, melodramatic and ridden with teen angst
felt like the writer was projecting himself on the director tho, either way he narrated from a teenage girls pov very well,
হুমায়ুন আহমেদের সব মাওলানা চরিত্র আর নায়িকা নারী চরিত্র, নায়ক পুরুষ চরিত্র এক ছকে বাধা। ভালা সাধাসিধে মাওলানা, প্রকৃতি প্রেমী বিদূষী নারী যে প্রেমে পড়ে কোন ভালো উদাস পুরুষের, উদাস ভালো মনের একটা পুরুষ চরিত্র। সবই এক। এখানে রুমালি যেন ওনার ছকবাধা নায়িকা থেকে বের হতে চেয়েছে, যেটা ভালো লেগেছে। মইন সাহেবের মৃত্যুটা দাগ কেটেছে মনে
First of all, my feelings read the book to have a good and they're honestly feeling so attacked right now. He really did capture the 360 of a teenager's soul consuming crush on someone older. Also, I can't help but feel meta about the film that's being shot in the book.
The writer is full of himself. Only praising the the writer himself. Its frustrating. So, I dropped it at 70%. Reading the rest would be useless. I didn't gave it a one star! He is Humayun Ahmed after all.!!!
This entire review has been hidden because of spoilers.
চমৎকার বর্ণনা ও লেখনী। বইটি কেনার পর কতবার পড়েছি জানিনা। এই বইটি সবসময় আমার পছন্দের তালিকায় সবার উর্ধে থাকবে। যদি ঝট করে কাউকে কোনো বই সাজেস্ট করতে হয়, কোনো সন্দেহ ব্যাতিত বলা যাবে "রুমালী"। প্রতিটি মূহুর্ত লেখক আপনাকে আবদ্ধ করে রাখবেন উনার লেখনী দিয়ে বইয়ের জগতে।