আতঙ্কের কোনও নাম নেই, কোনও রূপ নেই। কখনও মনের গভীরে অন্ধকার ছায়া ফেলে, কখনও নিশীথ রাতের কুয়াশায় মুড়ে থাকে আতঙ্ক! কখনও শীতল নিঃশ্বাস, কখনও হিমেল বাতাস চুপি চুপি ছুঁয়ে বলে যায় ওদের কথা। কখনও বা মনের ভেতরে আঁচড় কাটে অস্তুত এক নামহীন ভয়! ডর সে লিপটা হর চেহরা, কিতনে দিন টিক পায়েগা, যাে আয়া হ্যায়, উয়ােহ যায়েগা... লৌকিক আর অলৌকিক এর মধ্যের ফারাকটা খুব সূক্ষ্ম। আর যখন সেই ফারাকটা মুছে যায় তখন গাঢ় হয়ে ওঠে ভয়ের সাম্রাজ্য। এরকম আটটি ভয়াল ভয়ংকর অলৌকিক ও সাইকো-হরর গল্প দিয়ে সাজানাে 'এড়ানাে যায় না।'
সায়ন্তনীর গড়িয়ায় বাস। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও কলকাতা ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির শখ। কবিতা ও গদ্য দুইই চর্চার বস্তু।ক্লাস সেভেনে প্রথম প্রকাশ সংবাদ প্রতিদিনের শনিবাসরীয় পাতায়'চশমা' ছোট গল্প। তারপর প্রতিদিন, বর্তমান, সুখী গৃহকোণ, আর ছোটদের পত্রিকা সাহানা আর বাংলা দেশের পত্রিকা ভোরের কাগজে লাগাতার লিখে যাওয়া।
মনস্তাত্ত্বিক আর অলৌকিক— এই দুই ঘরানার মিশ্রণে গড়া টানটান একগুচ্ছ গল্প সংকলিত হয়েছে এই বইয়ে। তারা হল~ (ক) ছোটোগল্প:- ১. অথচ... ২. হ্যালুসিনেশন ৩. ডার্করুম ৪. ফ্যাসিনেটিং ৫. বীরেনবাবুর প্রশ্ন ৬. বিড়াল (খ) বড়োগল্প:- ১) জীবন্ত প্রস্তর ২) আমি জানি যা হয়েছিল লেখাগুলো প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকের জন্যই রচিত। সায়ন্তনী'র হাতে মানবমনের অন্ধকার দিকগুলো চমৎকার খোলে; এই বইয়ের লেখাগুলোও তার ব্যতিক্রম নয়। বড়োদের জন্য ভয়ের গল্প পড়তে চাইলে এই বইটিকে আপন করতেই পারেন।