এই মেঘ, রৌদ্রছায়া

Humayun Ahmed (Chronological List) #141

by Humayun Ahmed

নাটকের মেয়ে চিত্রা। চিত্রা তার আসল নাম নয়। ছদ্মনাম। পাড়াগাঁ মফস্বলে নাটকে পার্ট করে সংসার চালায় সে। তার মতো খারাপ মেয়েদের নাম জানাতে নেই।

স্বপ্নালু যুবক মাহফুজ। তিন বারের ইন্টারমিডিয়েট ফেইল। গ্রামে স্কুল বানাতে জমিজিরাত বেচে দিয়েছে সে। তার সেই স্বপ্ন কি পূরণ হবে?

মওলানা ইস্কান্দর আলী। নিঃসঙ্গ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এক ধর্মভীরু মানুষ। পঞ্চাশ বছর বয়সেও আল কোরআন মুখস্ত করে উঠতে পারেননি। আদৌ কি পারবেন?

অপরূপ রূপসী মেয়ে রানু। হাসিখুশি প্রাণবন্ত। কিন্তু তার বড় অসুখ। অসুখটা কী?

খারাপ লোক ছদরুল ব্যাপারী। এই খারাপি নিয়ে সে গর্বও করে। আজ তার বড় বিপদ। সেই বিপদ থেকে কি সে বাঁচতে পারবে?

Genres: Fiction, Drama, Novels

123 pages, Hardcover

First published February 12, 1999

About the author

Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Reviews

[Yeasin Reza · Rating 3 out of 5]

গল্প আহামরি কিছু নয়, টিপিক্যাল হুমায়ুনীয় ক্রাফ্টিং তবুও এটি একটি অন্য রকম উপন্যাস। সমাজে বিপন্ন এক তরুণীর টিকে থাকার সংগ্রাম, স্বাপ্নিক আদর্শবান তরুণ, অত্যন্ত রূপসী তরুণী, গ্রাম্য রাজনীতি, ক্ষমতার খেলা আর হুমায়ুনের বিশেষ এক মাওলানা চরিত্র নিয়ে উক্ত উপন্যাস। মানুষের মন নিয়ে হুমায়ুন আহমেদের বিশেষ আগ্রহ ছিলো। এ উপন্যাসের চরিত্রদের সাইকি নিয়ে তিনি বেশ খেলেছেন। গল্পের শেষ পরিণতি বেশ মেলো-ড্রামাটিক তবে তিনি যা দেখাতে চেয়েছিলেন সেটা তে তিনি সফল বলে মনে হলো।

হুমায়ুন নতুন করে পড়ে অনেক কিছু শিখছি। তিনি হেমিংওয়ের ভক্ত ছিলেন, হেমিংওয়ের আইসবার্গ থিওরির সফল ব্যবহার তার গল্প উপন্যাসে দেখা মেলে। গল্প যা বলা হয়েছে তার থেকে বেশি বলা হয় যা না-বলা থেকে গেছে। ' এই মেঘ, রৌদ্রছায়া ' তেমনি ধারার উপন্যাস।

[Rifat · Rating 3 out of 5]

কাহিনীর শুরুতে দেখা যায় মাহফুজ নামের এক যুবক চিত্রা নামের এক তরুণীকে নিয়ে নৌভ্রমণে বের হয়েছে। শখের কোনো ভ্রমণ না। মাহফুজ দায়িত্ব নিয়ে স্পন্সর খুঁজে ওর গ্রামে একটা স্কুল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে তার সুবাদে সে আবার গ্রামে নাটকের আয়োজনও করেছে। নাটকের অংশ হিসেবে নাটকের মেয়েকে ভাড়া করে নিয়ে যাচ্ছে।

মাহফুজের গ্রামেরই এক গণ্যমান্য ব্যক্তি সুলতান সাহেব। তিনি তার মেয়ে রানুকে নিয়ে ক'টা দিন শান্তিতে কাটাতে গ্রামে এসেছেন। এসেই মাহফুজ নামের ছেলেটির কাজে কিঞ্চিৎ বিরক্ত। তার উপর এক সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারলো তার বাড়িতে নাকি ছেলেটা এক নাটকের মেয়েকে গেস্ট হিসেবে রেখে গেছে। ভোর বেলায় বাগানে অচেনা এক মেয়েকে আপন মনে হেসে বেড়াতে দেখে রানু অবশ্য খুব খুশি হয়। আলাপ করে জানতে পারে ওরা একই বয়সের। চিত্রা দেখতে বেশ, তবে গায়ের রঙ একটু ময়লা। কিন্তু রানু ভীষণ রূপবতী। গ্রামের হুলস্থুল ব্যক্তি ছদরুল ব্যাপারীর যা মনে হল-

"ছদরুল বেপারী ঘর থেকেই বের হয়ে স্তম্ভিত হয়ে গেল। বাগানে একটা পরী হাঁটছে। পরী তো অবশ্যই। পৃথিবীর কোন মেয়ে এত সুন্দর হতে পারে না। নিশ্চয়ই সুলতান সাহেবের মেয়ে। সবুজ রঙের শাড়ি পরেছে। সবুজ গাছপালার ভেতর সুবজ রঙের শাড়ি। বাগানের সঙ্গে মেয়েটার মিশে যাবার কথা। মিশে যায় নি। মনে হচ্ছে সমস্ত বাগান এক দিকে আর মেয়েটি অন্যদিকে। ছদরুল বেপারীর চোখ চকচক করছে। মেয়েটা নিজের মনে হাঁটছে। ছদরুল বেপারীর দিকে তাকাচ্ছে না। এটা ভাল। চোখে চোখ পড়লে ছদরুল বেপারীকে চলে যেতে হবে। চোখ না পড়া পর্যন্ত তাকিয়ে থাকায় কোন দোষ নেই।"

মাহফুজের চোখে-

"মাহফুজের বিস্ময়ের সীমা রইল না। মেয়েটির রূপ আগুনের মতো। বিস্ময়ের জন্যে এটাই যথেষ্ট। এমন রূপবতী মেয়ে হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায়।"

গ্রামের মসজিদের ইমাম মওলানা ইস্কান্দার আলির চোখে-

"ইস্কান্দার আলি হতভম্ব হয়ে গেলেন। তার মনে হল দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের জীবনে তিনি এমন রূপবতী তরুণী দেখেন নি। বেহেশতবাসী প্রত্যেককে সেবার জন্যে সাতটা করে হুর দেয়া হবে। ইস্কান্দার আলির মনে হল সেই সাতটা হুরের কোনটাই এই মেয়ের পায়ের কড়ে আঙ্গুলের নখের কাছে যেতে পারবে না। এক দৃষ্টিতে কোন তরুণী মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকা নিতান্তই অভদ্রতা, কিন্তু ইস্কান্দার আলি চোখ ফিরিয়ে নিতে পারছেন না। রানু ইস্কান্দার আলির দিকে তাকিয়ে বলল, চাচা স্লামালিকুম।"

(আমি এই সৌন্দর্যের বর্ণনা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ, হুমায়ূন পারেনও! মেয়েটি অতি রূপবতী, আগুনের মতো রূপ! এসব ছাড়া আর কোনো কিছু পাওয়া যাবে না। কথা হচ্ছে ওদের সাথে সাথে আমিও খুবই আগ্রহ নিয়ে কল্পনায় হা করে তাকিয়ে এমন রূপ দেখার চেষ্টা করছিলাম🤣 সিরিয়াসলি! শ্যাহ!🤣 এখন আমার এমন আগুনরূপা রূপবতী পরী দেখার অনেক ইচ্ছা হয়েছে হুমায়ূন পড়ে🤣)


যাইহোক, অবশেষে রাতে এক রিয়ালিস্টিক নাটকের পর্দা নামে।

মন্দ নহে, ভালোই লাগলো :)

দেখা যায় ছদরুল ব্যাপারীর উপর হামলার প্ল্যান হয়েছে, এসব হট্টগোলের সাথে তার নিজের লোকও জড়িত। নাটকের মেইন পার্ট যিনি করবেন তার এসিস্ট্যান্ট গুলি খায়। রানু হট্টগোলের মাঝে তালগোল হারিয়ে ফেলে ছদরুল ব্যাপারীর আশ্রয়ে দৌড়াতে থাকে। দু'জন মিলে মওলানা ইস্কান্দার আলির বাড়িতে গিয়ে ওঠে। ইস্কান্দার আলি হন্তদন্ত হয়ে জানান তিনি মাত্রই হাফেজ হয়েছেন। ছদরুল ব্যাপারী হাফেজকে বলেন রানুর দেখভাল করতে কিন্তু ইতিমধ্যে শত্রুপক্ষ হাজির হয়ে গোলাগুলি করলে তা ইস্কান্দার আলির গায়ে লাগে আর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৯ জুন, ২০২৩

[Abid · Rating 3 out of 5]

নেগেটিভ রিভিউ পড়ে শুরু করসিলাম। এক্সপেকটেশন তেমন ছিলোনা সো আশাহত হই নাই। এভারেজ হুমায়ূনীয় বই। শেষদিকে থ্রিলার মুভির একটা ভাইব ছিলো কিন্তু এন্ডিংটা হইসে বাংলা কমার্শিয়াল মুভির মতো।

[Mubtasim Fuad · Rating 1 out of 5]

চুপচাপ শুয়ে ইনস্টাগ্রামে জিঞ্জার বিলাইয়ের রিলস দেখছিলাম। কিন্তু ভাল লাগছিল না৷ অন্য সময় হলে এই ভিডিও দেখে হাসতে থাকতাম কিন্তু আজ কি হইল জানিনা৷
অতঃপর ভাবলাম এভাবে মনমরা হয়ে শুয়ে না থেকে বইয়ের পৃষ্ঠায় চোখ বুলাই।
এই মেঘ, রৌদ্রছায়া বইটা বের করলাম। নামটা ভিষণ সুন্দর না?
অনেক শান্ত মনে পড়া শুরু করি। কিন্তু সেই সেমমমমমমমমম হুমায়ূন স্টাইল। অতি রূপবতী নারীর বাপের সাথে ত্যাড়ামী। বেকুব স্বভাবের নায়ক। ঢঙ্গী মেয়ে৷ সেমম জিনিস রিপিটেডলি কত কত কত কতততত বার যে পড়ছি তার ইয়া্ত্তা নাই।
তবুও, যেহেতু শুরু করছি শেষ না নামালে কি হয়?! পড়ে যাচ্ছি। আমার চেহারা সমগ্র উপন্যাস জুড়ে একদম ব্রেকিং ব্যাডের হাইজেনবার্গের মতন হয়ে ছিল। লোল!
সাংঘাতিক এলোমেলো লেগেছে বইটা৷ কাহিনি কই থেকে কই যায়, কেন যায় এসব বুঝতেছিলাম না৷
যখন শেষ পৃষ্ঠায় এসে বইটা শেষ করলাম। তখন মনে হইল এই বই না পড়ে আমার জিন্জার বিড়ালের রিলস দেখাই হয়ত বেটার ছিল।

[Biplob Baray · Rating 4 out of 5]

ভালমানুষের সঙ্গ কখনোই ইন্টারেস্টিং হয় না। যে যত মন্দ তার সঙ্গ তত আনন্দময়।

~ হুমায়ূন আহমেদ

~ এই মেঘ, রৌদ্রছায়া 📖

[Omar Faruk · Rating 4 out of 5]

ভালো লেগেছে। বেশ ভালো। তবে বিয়ে না খাইতে পারার আফসোস হচ্ছে।

[Mahabubur Rahman · Rating 3 out of 5]

এই বইটা আসলে বড়দের জন্য, ছোটদের জন্য না । ছোটরা এই বইয়ের অনেক কিছুই বুঝতে পারবে না । উল্টো ছোটরা মনে করবে এটা নিষিদ্ধ টাইপ বই । ছোটদের হাতে এই বই না পড়লেই ভাল ।

[Chowdhury Arpit · Rating 4 out of 5]

"মানুষের সিদ্ধান্ত অতি দ্রুত বদলায়। জোয়ার ভাটা হয় নির্দিষ্ট সময়ে। মানুষের জোয়ার ভাটার কোনো সময় নেই।"

হুমায়ূনের প্রধান মুনশিয়ানা কী জানেন? খুবই সহজ সিম্পল একটা গল্পের মাঝেও অসাধারণ কিছু ঢুকিয়ে দেয়া। পড়তে পড়তে মনে হবে ওয়াও সেরা একটা লেখা পড়ছি! পড়া শেষ হলে মনে পড়বে - আরে, তেমন মালমসলা তো কিছু ছিলোনা! তবুও এত ভালো লাগলো কেনো!

রাঁধুনির দক্ষতা ভালো মশলা দিয়ে ভালো রান্না করা নয়। বরং সাধারণ মশলা দিয়েই অসাধারণ কিছু বানানো। হুমায়ূন তেমন একজন রাঁধুনি।

'এই মেঘ, রৌদ্রছায়া' - সোহাগী নামের নেত্রকোনা/ময়মনসিংহের কোনো এক পাড়াগাঁর পটভূমিতে লেখা। গ্রামের স্বপ্নালু যুবক মাহফুজ। তার সব চিন্তা গ্রামের উন্নয়ন ঘিরে। নিজের ধানী জমি স্কুলের জন্য দান করে দিয়েছে। সেই স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর হবে, তার জন্য জোরেশোরে কাজ চালাচ্ছে নাটকের। নাটক হলে লোক হবে, লোক হলে ডোনেশন আসবে।

নাটকের নাম টিপু সুলতান। অন্যতম চরিত্র সোফিয়া। সোফিয়ার পার্ট করতে আবির্ভাব ঘটে চিত্রা নামের এক সাধারণ মেয়ের। হুমায়ূনের বাদবাকি নারী চরিত্রের মতই - চিত্রা, শ্যামলা অথচ মায়াবতী। অল্পশিক্ষিত অথচ বুদ্ধিমতী।

নভেলাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং রহস্যময় দুটি চরিত্র আছে। একজন ছদরুল বেপারী। স্বস্বীকৃত খারাপ মানুষ। খারাপির মাঝে সবচেয়ে বড় খারাপি মেয়েমানুষের লোভ। কিন্তু এই খারাপির মাঝেও ভালোমানুষি ঝিলিক মারে। হুমায়ূন ছদরুল বেপারীকে দিয়ে একটা ধোঁয়াশা রাখতে চেয়েছেন, যদিও কাহিনীর শেষদিকে এসে ধোঁয়া কেটে ভালোমানুষিটাই প্রকট হয়ে উঠে!

অপর চরিত্রটি মওলানা ইস্কান্দার আলী। গ্রামের একমাত্র মসজিদে একাকী দিন গুজরান করেন, বছরের বেশিরভাগ সময়ই রোজা রাখেন, এর ওর বাড়িতে ইফতার করে কাটিয়ে দেন। তাঁর বড় ইচ্ছা হাফেজ হওয়ার। যদিও তাঁর প্রতি সৃষ্টিকর্তার সুদৃষ্টি না থাকায় এখনো সম্পূর্ণ আল-কোরআন মুখস্থ করে উঠতে পারেননি। গল্প যত আগায় তাঁর এই অতৃপ্তি পূর্ণতার দিকে যেতে থাকে।

নভেলাতে আরো দুটি চরিত্র আছে। অপরূপ সুন্দরী রানু ও তার বাবা বিখ্যাত ডিপ্লোমেট সুলতান সাহেব। রানুকে আরেক টিপিকাল হুমায়ূনী নায়িকা বলা যায়। বড়লোক বাবার অসম্ভব রূপবতী কন্যা, কিন্তু চিন্তাভাবনা বাবার সাথে খাপ খাবেনা। একটা বেদনাবিধুর পাস্ট থাকবে, সেই পাস্ট বয়ে নিয়ে আসবে মানসিক কোনো অসুখ।

নভেলাতে রানু কিংবা তার বাবা কোনো ইমপ্যাক্ট ফেলেনি। বাকিরাও ফেলেছে কি?

বইটির নাম - এই মেঘ, রৌদ্রছায়া। চরিত্রগুলোর জীবনে এই মেঘ রোদ ছায়া ঘুরেফিরে এসেছে। কারো শুরুটা মেঘ দিয়ে শেষটা রোদ। কারো শুরুটা রোদ দিয়ে শেষটা মেঘ। আবার কারো ক্ষেত্রে পালাক্রমে মেঘ - রোদ - ছায়া।

চিত্রা চরিত্রটা খুব ভালো লেগেছে। হুমায়ূন আহমেদের প্রতিটা লেখায় এরকম একটা নারী চরিত্র থাকবেই। যার চেহারা নয় - বরং ম্যাচিউরিটি, বুদ্ধি, মায়ায় পুরুষ পাঠকরা হাবুডুবু খেতে বাধ্য।

আর ভালো লেগেছে চরিত্র গুলোর পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া।

খারাপের মাঝে কাহিনীটা বেশ সাধারণ। আর শেষটা কেমন যেন। শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ।

রেটিং ৪/৫। সাধারণ কাহিনী হলেও হুমায়ূন বই রেখে অন্য দিকে চোখ সরানোর সুযোগ দেননি। ঐ যে বললাম - মুনশিয়ানা!

[Bidhan Sarkar · Rating 4 out of 5]

হুমায়ূন আহমেদ কে পড়ছি সেই কত বছর আগে।অনেকদিন পর আবার নতুন করে আবিষ্কার করলাম।আগ্রহে, উত্তেজনায়। ইদের ছুটিতে বাড়ি ফিরবো।প্রতিবার লঞ্চে বিজ্ঞানচিন্তা বা অন্য কোনো ম্যাগাজিন কিনে পড়ি। এবার বাংলাবাজার থেকে কিনলাম হুমায়ূন আহমেদের বই।এই মেঘ,রৌদ্রছায়া।কোনো এক লেখকেকে একসময় প্রচুর পরে, অনেকদিন পরে পড়ার একটা অন্যরকম আনন্দ আছে।

শুরুর দিকটা সাদামাটা। আর হুমায়ূন আহমেদের বই যেমন হয় আরকি, এক বসায় পরে শেষ করার মত।গল্প আগাচ্ছিলো সহজ সুন্দর ভাবে।রানু, চিত্রা রূপের অসাধারণ বর্ননা,যেটা হুমায়ূন আহমেদের সব মেয়ে চরিত্রের মধ্যে ঢেলে দেন রূপের আগুন।সুলতান সাহেব আর ছদরুল ব্যাপারীর মনস্তত্ত্ব আর মাহফুজের সাহস ও সৎকাজের প্রসংশায় অলৌকিক ভাবে গল্প শেষ টায় চলে আসছে।শেষে এসে এক সাসপেন্স, তখন বাড়তি উত্তেজনা।শেষটায় এই উত্তেজনার বলি হয়েছে হাফেজ মওলানা ইস্কান্দার আলি।সব মিলায় এই উপন্যাস পাবে ৪/৫.

[Jenia Juthi · Rating 3 out of 5]

"মিথ্যা কথা কইলে কি হয় জানস? শয়তানের বিবাহ হয়। শয়তানের স্ত্রীর গর্ভে শয়তান শিশুর জন্ম হয়। এই জন্যেই একটা মিথ্যা কথা কইলেই সাথে আরো তিনটা চাইরটা মিথ্যা বলতে হয়। সেই মিথ্যাগুলো হইল শয়তানের সন্তান। বুঝছস কিছু?"

এই লাইনগুলো যতবার পড়েছি, ততোবারই হেসেছি🤣 তাছাড়া, এই বইখানা কেমন জানি লাগলো। হঠাৎ ওমুক আসলো, তমুল গেলো আবার কিভাবে কিভাবে যেন শেষ হয়ে গেলো। এই হচ্ছে কাহিনী! শেষটা ঘোলাটে...

[Hasanul Banna Siam · Rating 5 out of 5]

সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা অনেক সুন্দর একটা গল্প। সমাজের অনেক বাস্তবতা, অসংগতি এবং সৌন্দর্য ফুঁটে উঠেছে এই গল্পে। সবচেয়ে ভাল লেগেছে এব্যাপারটা ভেবে যে লেখক হুমায়ুন আহমেদ স্যার এ গল্পে পাঠকের সাইকোলজিকে কাজে লাগিয়ে গল্পের শেষ পর্যন্ত উৎসাহ ধরে রাখতে পেরেছেন। বেশ কিছু অংশে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাবে। অবসর সময়ে বোরডেম কাটানোর জন্য এরকম গল্প ৫/৫ পাবার যোগ্য।

[Aminur Rahman · Rating 1 out of 5]

চানাচুর উপন্যাস।

[ULFA Nufaisa · Rating 3 out of 5]

হবইটা পড়ার সময় কেন যেন আগে পড়েছি বলে মনে হচ্ছিল। কিন্ত পরক্ষনেই ভুল ভাংলো৷ কারন আগে বইটি পড়িনি। কিন্ত তারপরেও কাহিনী টা পরিচিত লাগছিল আবিস্কার করলাম "এই গল্পে" মেহের আফরোজ শাওনের তৈরী একটি নাটক দেখেছি। আরেকটা ব্যাপার হলো "এই নামে" হুমায়ুন আহমেদের একটি ধারাবাহিক নাটক ও আমি দেখেছি। তারপর ইউটিউব এ সার্চ করে দেখলাম এই নামে হুমায়ুন আহমেদের যেই নাটক টা আছে তার গল্প টা এই উপন্যাসের না। :/ অদ্ভুত কান্ড। উপন্যাস শেষ করে এই গল্পে নির্মিত নাটকটির কাস্ট মনে করার ট্রাই করলাম। চিত্রা চরিত্রে থাকে নুসরাত ইমরোজ তিশা,, মাহফুজ চরিত্রে থাকে মীর সাব্বির আর রানু চরিত্রে থাকে সোহানা সাবা। নাটকের নাম ভিন্ন। কিন্ত গল্প এই উপন্যাস থেকে নেয়া।


স্পয়লার: উপন্যাসের একটা চরিত্র ইস্কান্দার যিনি খুব পরহেজগার ও উপন্যাসের শেষ এ অনেকদিনের বাসনা পূর্ণ করেন তিনি হাফেজ হন। হাফেজ হওয়া মাত্র তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।এই অংশটা মর্মস্পর্শী কিন্ত নাটকে এই চরিত্রের বদলে রানুর পেটে গুলি লাগে ও শেষ এ আশ্চর্য জনক ভাবে রানু বেচে য��য়।

[Nishat Anjum Semonti]

বই- এই মেঘ, রৌদ্রছায়া
লেখক- হূমায়ন আহমেদ

গ্রামীণ পটভূমিতে রচিত সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা সুন্দর একটি গল্প। সমাজের অনেক অসংগতি, বাস্তবতা, সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে এই গল্পে। গল্পের শেষ পর্যন্ত পাঠকের আগ্রহ ধর�� রাখে বইটা খুব সুন্দর ভাবেই।
জীবনের ছোট ছোট বিষয়গুলো যে কিভাবে খুব হৃদয়ের কাছাকাছি কড়া নাড়ে সেই বিষয়টাই যেন বোধ হয়েছে। মানুষ মায়ায় পড়ে খুব অপরিচিত একজন যে কীভাবে খুব কাছের হয়ে ওঠে এই গল্প তা যেন আরো একবার মনে করিয়ে দেয়।
প্রতিটি চরিত্র লেখকের হাতে খুব সুন্দর ভাবে বিকশিত হয়েছে।
হালকা ধাঁচের বইটি সময় কাটানোর জন্য ভালো সঙ্গ দিবে🌻

[টির্ধম অর্ভনর ভর্টধর ভটফ (শেখ মুজাহিদ) · Rating 5 out of 5]

এইটাকে আমি ফাইব স্টারই দিব। রাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে, রুমের বাইরের, সিড়ির লাইটের আলোয় পড়ে শেষ দিছিলাম, এরকম কারণ রাত হয়ে গেছিল এবং রুমগুলার লাইট ফ করে দেয়া হইছিল।

শেষের দিকে ইমাম সাহেবের (নাম স্মরণে নাই তাই দুঃখিত বোধ করতেছি) মৃত্যু হওয়া, বরং শহিদ হওয়া, গুলি খাইয়া—খুবই কষ্টের এন্ডিং দিছিল।

[Piyal · Rating 2 out of 5]

Humayun Ahmed has some great works of literature, but this is not one of them. Mind-numbingly shallow and full of remarks that if they were written by anyone other than him, people would laugh or cringe at them. Definitely one of his 'typical' and forgettable works.

[Mohammad Alamin · Rating 5 out of 5]

Best

[Bappy Rahman · Rating 5 out of 5]

অসম্ভব সুন্দর একটা গল্প।

[فَرَح · Rating 3 out of 5]

হুমায়ুন আহমেদের অন্য সব বইয়ের মতোই। কিন্তু একটা জিনিস বুঝলাম না। মাওলানা এক বিকালে পুরো কোরআন তিলাওয়াত করে কীভাবে বুঝলেন যে উনি হাফেজ হয়ে গেছেন?

[Priyonty Mutsuddi · Rating 4 out of 5]

এই মেঘ, রৌদ্রছায়ার মতোই হয়ত কেটে যাবে আরেকটি বছর। সূচনা করলাম এই বইটি পড়ে।

[Kazi Md. Al-Wakil · Rating 4 out of 5]

সোহাগী গ্রামে একটি নাটক হবে। তাই মাহফুজ চিত্রা নামের একটি মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছে তাদের গ্রামে নাটক করার জন্য। গ্রামের ২ জন প্রতাপশালী ব্যাক্তিকে নাটকের প্রধান অতিথি করা হয়েছে। সুলতান সাহেব (এম্বেসেডর) আর ছদরুল ব্যাপারী (বিরাট টাকাওয়ালা মানুষ)। মাহফুজের উদ্দেশ্যে তাদের কাছ থেকে গ্রামের স্বার্থে কিছু টাকা নেয়া। মাহফুজ চিত্রাকে সুলতান সাহেবের বাড়িতে রেখে এসেছিলো। কিন্তু সুলতান সাহেব পছন্দ করলেন না ব্যাপারটা। তিনি গ্রামে তার মেয়ে রানুকে নিয়ে কয়েকদিন থাকতে এসেছেন আরামে, ঝামেলা নিতে চান না। রানু, চিত্রাকে খুব পছন্দ করেছিলো। রানুর চরিত্রটি খুবই ডিপ্রেসড এই গল্পতে। ছদরুল ব্যাপারী খুবই ক্ষমতাবান লোক, সে তার সাথে কয়েকজন মানুষকে রাখে তাকে প্রটেক্ট করার জন্য। এর আগেও কয়েকবার তাকে মারার এটেমপ্ট নেয়া হয়েছে, তাই এতো সতর্কতা। ছদরুল ব্যাপারীর একটাই সমস্যা, মেয়ে জাতীয় সমস্যা। সে মাহফুজকে বলেছে, চিত্রা নামের মেয়েটিকে তার কাছে দিয়ে আসতে নাটক শেষে। মাহফুজকে ১০ লাখ টাকাও সেধেছে স্কুল এর জন্য। মাহফুজ মানা করে দিয়ে চলে এসেছে। মাহফুজের একটি সমস্যা আছে, তার মাথায় কল্পনাতে তার দাদী সুপারি বাটে, সেখান থেকে তার মাথা ব্যাথা ও জ্বর আসে। চিত্রা মাহফুজের এই বাজে অবস্থা দেখে, মাহফুজের সেবা করে। লেখক মাহফুজ ও চিত্রার বিষয়টি খুব সুক্ষ করে এবং খুবই সুন্দর ভাবে প্রেজেন্ট করেছেন। সোহাগী গ্রামের আরেকজন উল্লেখযোগ্য চরিত্র ইস্কান্দার আলি। তিনি প্রায় সব দিনই রোজা রাখেন। আর কোরান হাফেজ হওয়ার চেষ্টায় আছেন। কিন্তু তিনি হাফেজ হতে পারছেন না। তিনি কোরান শরীফ ভুলে যাচ্ছেন। নাটক যেদিন হবে, সেদিন কানা রফিক আসে ছদরুল ব্যাপারীকে মারতে। তাই গ্রামে হাঙ্গামা করে ফেলে। সেখান থেকে ছদরুল ব্যাপারী পালিয়ে যায়। রানুও গিয়েছিলো নাটক দেখতে। কিন্তু ছোটাছুটিতে সেও ভয় পেয়ে হারিয়ে যায়। ছদরুল ব্যাপারী রানুকে পায়। তারপর তাকে নিয়ে আসে ইস্কান্দার আলীর বাসায়। ইস্কান্দার আলীর মন খুব খুশি কেননা তিনি কোরান হাফেজ হতে পেরেছেন। পুরা কোরান মুখস্ত বলতে পেরেছেন। এই গল্পে মূলত খারাপ একটি চরিত্র (ছদরুল ব্যাপারী) মৃত্যুর মুখে কিভাবে রানুর সঙ্গ দিয়েছেন সেদিকটিই সুন্দর করে ফুটে উঠেছে। যখন কানা রফিকের দল ছদরুল ব্যাপারীকে মারার জন্য বন্দুক থেকে গুলি করেন, বাধা হয়ে সামনে আসে ইস্কান্দার আলী। ছদরুল ব্যাপারী পাশে বসে ইস্কান্দার আলীকে বলেন, " মাওলানা সাহেব মনে সাহস রাখেন। আমাকে কয়েক ঘন্টা সময় দেন। কয়েক ঘন্টা সময় যদি পাই আমি আপনাকে বাঁচায়ে ফেলবো। আমার সমস্ত টাকা-পয়সা একদিকে আর আপনে একদিকে।" ইস্কান্দার আলীর চোখে ছিলো অশ্রু। চাঁদের আলোয় সেই অশ্রু চিকচিক করছে।

[আহসানুল শোভন · Rating 4 out of 5]

বইটি অভিনেতা মাহফুজ আহমেদকে উৎসর্গ করা। সে কারণেই হয়ত নায়কের নামও মাহফুজ। মাহফুজ একটি মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তার গ্রামে যাচ্ছে। সেখানে স্কুল উদ্বোধন উপলক্ষ্যে টিপু সুলতান নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। মেয়েটি একজন অভিনেত্রী। সোহাগী গ্রামে যেতে হলে নদী পার হতে হয়। নৌকায় মাহফুজের আকাশ-পাতাল জ্বর আসে। সেই সাথে আসে ঝড়। চিত্রা ভয়ে থাকে কখন নৌকা ডুবে সে মারা যায়।

গ্রামীণ পটভূমিতে রচিত সুন্দর একটি উপন্যাস।

[Saquib Bin Habib · Rating 4 out of 5]

বইয়ের শুরুতে মাহফুজের সাথে একটি মেয়ের যাত্রা পথের কাহিনির বর্ণনা থাকে। মেয়েদের মনস্তত্ত্ব, সাজার সবিস্তার সারাংশ সুন্দরভাবে লেখক এঁকেছেন।

A bit of a different book. The ending was kinda thriller.

[Hasan Shohug]

i think ......