Jump to ratings and reviews
Rate this book
Rate this book
দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা
পাঠক পাঠিকারা ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছেন কি-না জানি না, দ্বিতীয় মুদ্রণ না বলে আমি বলছি দ্বিতীয় সংস্করণ কারণ মূল গল্প বেশ খানিকটা বদলেছি। প্রখম সংস্করনের বইটি অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছিল। যা বলতে চেয়েছিলা তা ঠিক মত বলতে পারিনি- অস্পষ্ট রয়ে গেছে। তাছাড়া কিছু চরিত্রের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। পৃথিবীর কাছ থেকে এরা সহানুভূতি পায়নি বলে লেখকের কাছ থেকেও পাবে না তাতো হয় না।
হুমায়ূন আহমেদ
শহীদুল্লাহ হল
৫.১২.৯১

102 pages, Hardcover

First published November 1, 1991

8 people are currently reading
276 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

450 books2,908 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
186 (21%)
4 stars
326 (37%)
3 stars
280 (32%)
2 stars
59 (6%)
1 star
19 (2%)
Displaying 1 - 30 of 67 reviews
Profile Image for Rifat.
501 reviews329 followers
June 14, 2023
একই টাইপের গল্প নতুন মোড়কে যে হুমায়ূন আহমেদ ঠিক কতবার বলেছেন তা আমার হিসাবের বাইরে চলে গেছে। নিজের জবানিতে পরিবারের গল্প করা ছোট মেয়ে রেনু, হুট করে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া বাবা, ঠাট্টা মশকরা করা বড় ভাই ফানি ম্যান রঞ্জু যে কিনা পাগলদের সাথে আলাপ জমায়, ভাইয়ের সাথে আলাপ হওয়া নিম্নবিত্ত পরিবারের সুন্দরমতো মায়াবতী মেয়ে আভা, অতি রূপবতী বড় আপা মীরা, দয়াবান বাড়ির মালিক কিংবা প্রতিবেশী সুন্দরী দুলু আপা। তারপরও এইসব একঘেয়ে পাঁচালী পড়ে যখন রেনুর কাছে শুনি, "জানেন এই কিছুক্ষণ আগে আমার ভাই মারা গেছে। ওর নাম রঞ্জু। ফানি ম্যান রঞ্জু।" চোখ টলমল করে, নিজেই নিজেকে বলতে হয় ধুত্তোরি চোখে কী যেন পড়লো, জ্বালা জ্বালা...


১৪ জুন, ২০২৩

Profile Image for Samiur Rashid Abir.
217 reviews44 followers
March 4, 2023
হুমায়ূনের কিছু বই বার বার পড়া যায়। "আশাবরী" ও তেমন। আজ আবার পড়লাম, দুপুরবেলায় ভাতঘুমের সময়ে শুয়ে শুয়ে। প্রথমবার যখন এই বই আমি পড়ি তখন আমি ক্যাডেট কলেজের ছাত্র। স্ট্রিক্ট শিডিউলের চাপে পড়ার সময় নাই।
ক্লাসরুমে পড়তে গেলে বই সিজ হবে নিশ্চিত। তাই ড্রাইং রুমে লুকায়ে বসে বসে পড়ছিলাম বইটা। পড়ে হু হু করে কাঁদছিলাম। হুমায়ূন মুগ্ধতা চরমভাবে থাকলে যা হয় আরকি। এই বই পড়তে গিয়ে আবিষ্কার করছিলাম বইটা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯১ সালে আর আমার কাছে যে কপি টা ছিল সেটা ৯১ পৃষ্ঠা ছিল। সংখ্যার এই কাকতালীয়তাটা ভাবাইছিল বড্ড। ফানিম্যান রঞ্জুর মতন বলতে ইচ্ছে করতেছে, স্ট্রেঞ্জ, ভেরী স্ট্রেঞ্জ।
Profile Image for শাহ্‌ পরাণ.
259 reviews74 followers
January 5, 2024
৩.৭৫/৫

খুবই সাধারণ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের হাসি-কান্না-মমতা-আবেগ আর ভালবাসার গল্প এটি। গল্পকথক রেনু কলেজের ছাত্রী। তার চোখ দিয়ে, ভাষা দিয়ে লেখক গল্পটি বলেছেন।

রেনুর বাবা বাউন্ডুলে মানুষ। পরিবারের দায়িত্ব অবহেলা করার শিল্প তার চরিত্রে গেঁথে আছে। চরিত্রটি রহস্যময়তায় ঘেরা, যেসকল মানুষ জীবনের বাস্তবতাকে খুব বেশি সহজভাবে গ্রহণ করে তাদেরকে বুঝে উঠা কঠিন। রেনুর বাবা চরিত্রটিকে আমিও ঠিক বুঝতে পারিনি, হয়তো লেখকও চাননি।

রেনুর বড়ো বোন মীরা। সাধারণত: অসম্ভব সুন্দরী মেয়েদের একটা হীনমন্যতা অথবা অহংকার থাকে যে, তাদের চারপাশে সকলে হয়তো তাদের সৌন্দর্যের জন্য তাদেরকে অনুগ্রহ করছে; অবশ্য করেও। কিন্তু সবাই তো করে না, কারা যে করে আর কারা যে করে না এ ব্যাপারটা ফিল্টার করতে করতে তারা হয়তো এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং হাল ছেড়ে দেয়। মীরাও এরকম অসম্ভব সুন্দরী এবং খুব বুদ্ধিমতী মেয়ে, সে জানে সে সুন্দরী এবং সে জানে তা দিয়ে সে কী করতে পারবে তবুও সে অপেক্ষা করে, কিসের অপেক্ষা সে নিজেও জানে না।

রেনুর বড়ো ভাই রঞ্জু। বাবার কিছু বাউন্ডুলে ছাঁচ ছেলের মধ্যে আসছে। তার মাঝে রসিকতা করার একটা চমৎকার গুণ থাকায় মানুষ তাকে পছন্দ করে, পাশের বাড়ির দুলু বা আভারা খুব সহজেই রঞ্জুর প্রেমে পড়ে। মেয়েরা হয়তো খুব সহজে সাধারণ সমীকরণের বাইরে চলা একটা বাউন্ডুলে ছেলের প্রেমে পড়ে। সাধারণত্বকে ছাপিয়ে যেতে না পারলে আর যাই হোক প্রেমিক তো হওয়া যায় না। তবুও রঞ্জুর প্রেম হয়না কিন্তু ভালবাসা হয়। সেই ভালোবাসায় রঞ্জু ডুবতে চেয়েছিল, সেই ভালোবাসায় রঞ্জু পুড়তে চেয়েছিল। কিন্তু তা হয়ে উঠলো না। সব ভালোবাসার পূর্ণতা থাকতে হয় না, সব ভালোবাসার যদি পূর্ণতা থাকে তাহলে বিরহ নামক অনুভূতির মৃত্যু হবে; এ পৃথিবী বিরহ ছাড়া কিভাবে টিকে থাকবে?

অবশেষে রেনুর মা। অপেক্ষা বইয়ের সুরাইয়ার কথা মনে আছে? রেনুর মা যেন সুরাইয়ারই আরেক রূপ বলা যায়। বাউন্ডুলে এই লোকটিকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে রেনুর মা বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে। এতখানি ভালোবাসার তীব্রতা হয়তো বইয়েই মানায়, বাস্তব জীবনে কি মানায়? বাস্তবতা হয়তো ভিন্ন কথা বলে, Unconditional Love জিনিসটা বায়বীয়, বাস্তব জগতটা কঠিন। Unconditional Love এ গ্রাফ থাকে এক্স অক্ষের সমান্তরাল, বাস্তব জীবনের ভালোবাসায় গ্রাফ হয় সাইন কার্ভের মতো অথবা xy সম্বলিত কোনো জটিল বক্ররেখার মত কখনো অনেক বেশি কখনোবা ঋণাত্বক। ভালোবাসা অনেক সময় ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্কযুক্ত x আর y এর মত, শুরু হয় অনেক বড়ো সংখ্যা দিয়ে কিন্তু অসীম সময় পর্যন্ত শূন্যের কাছাকাছি যেতে যেতেও কখনো শূন্য হয়ে উঠে না। তবুও রেনুর মা'রা আমাদেরই চারপাশে আছে, বুকের পুরোটা অংশে তারা শুধু একজনকেই ভালোবাসতে জানে, তারা এই ভালোবাসার মাঝেই তাদের জীবনকে ধারণ করে, বেচেঁ থাকে, মরতে চায়। বাস্তবে এমন ভালোবাসা হয়তো খুব বেশি হয় না, তবুও সবার জীবনে এমন ভালোবাসা আসুক।

আর রেনুর কথা কী বলবো! তার সুন্দর দুটো চোখ আছে, সে এই চোখ দিয়ে সব দেখে, সব বুঝে। তার একটা মন আছে, মনের গভীর অনুভূতি আছে, সেখানে আবেগ আছে, ভালোবাসার বীজ বুনার জন্য একটা উর্বর জমি তৈরি হচ্ছে সে এসব বুঝে। কিন্তু তার আশ্রয় নেই। তার কোথাও কোনো আশ্রয় নেই।

বইয়ের ভালো লাগা কিছু লাইন:

দরিদ্র পরিবারে সুন্দরী হয়ে জন্মানো খুব সুখের নয়।

স্বার্থ ছাড়া ভালবাসে এমন মানুষ আমরা দেখি না।

আয়না না থাকার একটা বড় সুবিধা কি জানিস? রোজ নিজেকে দেখতে হয় না। মানুষ নিজেকে যেমন ভালবাসে নিজেকে তেমন ঘৃণাও করে। ঘৃণার মানুষটাকে রোজ দেখতে হচ্ছে না, এটা আনন্দের ব্যাপার না?

মন্ত্রীরা কারো কথাই ফেলেন না। তাঁদের বিশাল একটা কালো বাক্স আছে – সবার কথাবার্তা তাঁরা ঐ বাক্সে রেখে তালা দিয়ে দেন। ঐ তালা আর খোলেন না।

একটা মানুষ কত ভালো ছিল তা টের পাওয়া যায় মৃত্যুর পর।

বিব্রত মানুষের উপর এমনিতেই আমাদের মমতা বোধ হয়।

মেয়েরা কথার পিঠে কথা বললে ছেলেরা ঠিক তাল রাখতে পারে না। তাদের চিন্তাভাবনা এলোমেলো হয়ে যায়।

একজন মানুষ বেশিক্ষণ যেমন মন ভালো রাখতে পারে না - বেশিক্ষণ মন খারাপও রাখতে পারে না।

একজন মানুষ খুব পরিচিত একজনকে তখনি ভয় করে যখন সে তাকে বুঝতে পারে না।
Profile Image for Omar Faruk.
263 reviews16 followers
June 20, 2023
হুমায়ূন আহমেদের এমন ধরনের কাহিনীর বই অনেকগুলোই খুঁজলে পাওয়া যাবে। তবুও ভালো লেগেছে। বিষণ্ণ সুন্দর একটা বই।
Profile Image for Tawheeda Rufah Nilima.
294 reviews58 followers
February 21, 2021
কিছু কিছু বই আমার কেনো জানি এতো বেশি ভালো লেগে যায় তা ঠিক ভেবে পাই না। মানে কেনো বইটা পড়ে এতো ভালো লাগলো সেটা গুছিয়ে বলে উঠতে পারিনা। আশাবরী ঠিক এমন ই একটা বই।
রঞ্জুর জন্যে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। ভীষণ।
আজ হুমায়ূন স্যার নেই, নাহলে এরকম আরো কিছু বই পড়ার জন্য থাকতো।
হুমায়ূন স্যার কি কোনোদিনও জানবে যে তার সৃষ্ট চরিত্র রঞ্জুর জন্য আমার খুব কষ্ট হচ���ছে, হাহাকার লাগছে? রঞ্জু ও কি কোনোদিন জানবে তা?
Profile Image for Tuhin Khan.
53 reviews1 follower
May 3, 2025
Was sad when I read it, loved the book, ending made me more sad. But a great book I must say!
Profile Image for Promit Basak.
15 reviews1 follower
November 18, 2018
গল্পটা একটা মধ্যবিত্ত স্ট্রাগলিং ফ্যামিলির। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা হলেও সুখানুভূতির দরিদ্রতা ছিল না। পরিবারের "বাবা"র বিদায়ের পরে ধীরে সেই সেই সুখের জায়গা দখল করে সুখী থাকার মিথ্যে অভিনয়। একটা মানুষ তখনই মিথ্যাকে আশ্রয় করে বেঁচে থাকে যখন সত্যে তাকে বলে তার আর বেঁচে থাকার সম্ভবনা নেই। পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যের মধ্যেই এর প্রভাব দেখা যায়। দারিদ্রতা আর ভালোবাসা খুবই দরদীভাবে ফুঁটে উঠেছে উপন্যাসে। বাবা-মা, শুভ্র-আভা-দুলু, রেণু-মবিন প্রত্যেকটা সম্পর্কই আলাদা আঙ্গিকের। অথচ প্রথমটা বাদে কোনোটাই পূর্ণতা পায়নি, বাস্তবতার কশাঘাতে পথ হারিয়েছে বিশুদ্ধ মানবিক অনুভূতিগুলো। তবুও জীবন থমবে না, যেমন থামে না দুলুর মাঝরাতের ক্যাসেট, থামে না মিথ্যে আশার তাগিদ।

হুমায়ূন আহমেদ সম্ভবত এই উপন্যাসের প্লট নিয়েছিলেন নিজের জীবন থেকেই। একাত্তরে বাবা হারিয়ে যাওয়ার পরে যে প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তার পরিবারের প্রত্যেককে, সেই স্মৃতিই রোমন্থন করেছেন এখানে। সে হিসেবে তিনি নিজেকে এঁকেছেন শুভ্র চরিত্রের মাঝে। যদিও তার জীবনটা উপন্যাসের মত শেষ হয়নি। একটা সময় তিনি বিলাসী জীবনের সন্ধান পেয়েছিলেন। এজন্যই বোধহয় দুই শতাব্দীর হুমায়ূন-রচনার মধ্যে এত পার্থক্য দেখি আমরা।

যাই হোক, বহুদিন পর একটা উপন্যাস মনে দাগ কেটেছে।
31 reviews1 follower
April 17, 2023
ঘন্টাখানেক সময় নিয়া হাহা, হিহি, ওহ, উপস, ইশ বলতে বলতে শেষ করে ফেললাম!
Profile Image for Sanowar Hossain.
281 reviews26 followers
December 20, 2023
হুমায়ূন আহমেদের 'সিগনেচার স্টাইল' ধরনের আরেকটা লেখা আশাবরী। মধ্যবিত্তের সুখ দুঃখ, রূপবতী মেয়ের বিয়ের চিন্তা, প্রেম প্রেম ভাব কিন্তু মুখে বলতে পারেনা, মৃত্যু বিষয়গুলো নিয়ে অনেক বইই লিখেছেন তিনি। মধ্যবিত্ত জীবনের হাসি কান্নার বয়ান আশাবরী।

গল্পকথিকা রেণু কলেজের ছাত্রী। বড় ভাই রঞ্জু, আপা মীরা ও বাবা মাকে নিয়ে সুলায়মান সাহেবের বাসায় ভাড়া থাকে। রেণুর বাবা ছোটখাটো ব্যবসা করেন। ব্যবসা বলতে একজায়গা থেকে কিছু কিনে আরেক জায়গায় বিক্রি করেন। এই ব্যবসার কাজে দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। মাঝেমধ্যে বাড়িতে চিঠি ও টাকা পাঠিয়ে চিন্তা করতে বারণ করে দেন। রেণুর বাবা ও মায়ের প্রেমের বিয়ে। বিশেষ দিনগুলোতে স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকার চেষ্টা করেন। তাই নিয়ে সন্তানেরা হাসি ঠাট্টা করলে রেণুর মা লজ্জায় মিইয়ে যান। রঞ্জু বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে কাজ করে বেড়ায়। একবার এক পত্রিকার জন্য পাগলদের ব্যাপারে একটি লেখার নির্দেশ পায়। লেখাটির জন্য পাগলদের সাথে মেশা শুরু করে রঞ্জু। সবাই ভাবে রঞ্জুও পাগল হয়ে গিয়েছে। এদিকে মীরার বিয়ে দেওয়াটাও জরুরি। কারণ সুন্দরী মেয়ে বেশিদিন অবিবাহিত থাকলে আশেপাশে অনেক আলোচনা হয়।

সুলায়মান সাহেব বাড়িতে একা থাকেন। তিন মেয়েরই বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তিনি শান্তিতে নেই। মেয়ের জামাইরা বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট বাড়ি করতে চাচ্ছে। তাই যত তাড়াতাড়ি তাঁর মৃত্যু হয় সেটাই তাদের জন্য ভালো। রঞ্জুকে তিনি অনেক ভালোবাসেন। তাই বাসা ভাড়া বাকি পড়লেও সেই ব্যাপারে কোনো তাগাদা দেন না। রেণুদের বাসার কাছেই দুলুদের বাড়ি। দুলুর বাবা রাজনীতি করেন। শীঘ্রই মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। দুলু পছন্দ করে রঞ্জুকে কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলেনি। রেণু প্রায়ই দুলুদের বাসায় যায় এবং দুলুর পাগলাটে কর্মকাণ্ডের সঙ্গী হতে হয়।

নাম-পরিচয় পালটে অন্য বইয়ের নাম দিলেই এমন বেশ কিছু গল্প আছে হুমায়ূন আহমেদের। আশাহত হয়েছি বলবো না। কারণ আশাই করিনি এটা খুব ভালো হবে। ভালো খারাপের মাঝামাঝি একটা বই। হ্যাপি রিডিং।
Profile Image for Pritam.
25 reviews4 followers
June 19, 2022
হূমায়ূণ আহমেদের মত মধ্যবিত্তদের জীবন নিয়ে এত ভালো লেখা কেউ কোনোদিন লিখতে পারে নাই, ভবিষ্যতেও পারবে না। উনার অনেক বই পড়া হয়েছে।কিন্তু কিছুদিন পরই গল্পগুলা ভুলে যাই।এই বইটাও আমি আগে পড়েছি।কিন্তু অভ্যাসবশত আবার ভুলে গেসি। নতুন বই ভেবেই আবার পড়তে বসলাম।পড়ার সময় আবার মনে পড়লো গল্পটা।কিন্তু অনুভূতিটা সেই একই রকম।প্রথমবার পড়েও যেমন কষ্ট পেয়েছিলাম,এবারও সেইম। মনে হচ্ছিলো কষ্টটা দলা পাকিয়ে গলায় আটকে আছে। রেনুর মত আমারও ফানি ম্যানের জন্য খুব খারাপ লাগছে।পৃথিবী বড়ই নিষ্ঠুর। ভালো মানুষগুলো এ পৃথিবীতে মনেহয় বেশিদিন থাকে না। হূমায়ূণ স্যার জীবিত থাকলে হয়তো এমন আরও মধ্যবিত্তদের জীবন নিয়ে করুন গল্প পড়তে পারতাম এবং পড়ার পর সেই শূন্যতা অনুভব করতে পারতাম।
Profile Image for Noyon.
53 reviews8 followers
March 4, 2023
মন খারাপ করে দেওয়া বই
Profile Image for Uzzal Orpheus.
60 reviews6 followers
November 16, 2021
হুমায়ুন খুব বেশি পড়া হয়ে ওঠেনি। যাই পড়ি, কিছুদিন পর সেই বইয়ের নাম শুনলে দেখি কাহিনী কিছুই মনে পড়ছে না অথচ পড়ার সময় কি আবেগ আক্রান্তই না হয়েছিলাম। পড়া শেষ তো গল্পটাও শেষ। সে যাইহোক পড়ার সময়ের আবেগটুকুকে কিভাবে অস্বীকার করি? যতবার আমি হুমায়ুন পড়েছি, অধিকাংশ সময়ই মনে হয়েছে, 'এমন আরেকজন লেখক কি আছেন গোটা বিশ্বসাহিত্যে?'

এখানে আছে হুমায়ুনের চিরাচরিত সেই পরিবার, হটাত নিরুদ্দেশ হওয়া বাবা, অভিমানী এক মা, ফানি ম্যান ভাইয়া শহরের পাগলদের নিয়ে যার গবেষণা, বড় আপা মীরা, ছোট বোন রেনু, বাড়িওয়ালা, আভা, দুলু আপা।
Profile Image for Yasin Akib .
60 reviews4 followers
March 6, 2025
রাত ১১ টায় হঠাৎ খুঁজতে খুঁজতে বই টা পাই। ২ টায় বই পড়া শেষ। অনেক ভালো।
Profile Image for Atif Mohammad.
4 reviews
January 22, 2020
কোনো চরিত্রই পূর্ণতা পায়নি। সম্পূর্ণ বাস্তবধর্মী একটি গল্প। এক কোথায় অসাধারণ।
Profile Image for Bubun Saha.
193 reviews6 followers
July 1, 2024
আশাবরীর review লিখছি। এক গরীব পরিবারের কাহিনী। বাবা ভবঘুরে, ঘুরে ঘুরে ব্যবসা। ১০ দিন বাড়ি থাকে, খায় দায়, পরিবারের সাথে থাকে, আবার উধাও হয়। মা আর পাঁচজন গরীব ঘরের ম���য়ের মতো, অভাবের সংসার সামলায়। দুই বোন, এক দাদা। দিদি অসম্ভব সুন্দরী, কিন্তু নিজের মতো থাকে। বোন কলেজে পড়ে। দাদা রোজগারের আশায় এদিক-ওদিক ঘোরে।

অভাব আছে, কিন্তু দুঃখ নেই। তাদের ঘরে আয়না নেই প্রায় কমাস। আয়না ছাড়া কেউ চলতে পারে নাকি, কিন্তু তারা চলে। কোনো অসুবিধাই নেই। পাশের বাড়ির দুলু মনে মনে দাদা রঞ্জুকে পছন্দ করে। আর রঞ্জু পাগলদের সঙ্গে নিয়ে সারাদিন ঘোরে, তাদের নিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে। অদ্ভুত, মজার মজার সব কথা বলে। বাবার ভাষায় দাদা "ফানি ম্যান, ভেরি ফানি ম্যান"।

অভাবের সংসার, তবুও সবাই সাথে ছিল। কিন্তু একদিন বাবা উধাও হলেন, চিরকালের জন্য। কোথায় গেলেন, কি হলো, কেউ জানে না। জানে, হয়ত মানে না। সত্যকে সামনে আনতে ভয় পায়।

গল্প এগোয়। দিদি বিয়ে করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে চায়। মা কথা বলা, খাওয়া আস্তে আস্তে কমিয়ে দেয়। তার ফানি ম্যান দাদাও যেন কেমন চুপচাপ, গম্ভীর হয়ে যায়। তারপর.... ফানি ম্যান দের দুঃখ হয়তো এভাবেই সবার কাছে অধরা থেকে যায়, শেষ অবধি কেউ টের পায় না।

এই গল্পে বলার মতো কিছু নেই। কোনো উৎসাহ, কৌতূহল জাগেনি। তারপরেও গল্প শেষে মন খারাপ করে বসে আছি। ধুর.. হুমায়ূন বাবু, আপনি একজন ফানি ম্যান, ভেরি ফানি ম্যান।
Profile Image for Shamik.
216 reviews7 followers
October 24, 2020
ওঁনার এই প্রথম একটা বইতে একেবারেই মন দিতে পারলাম না। খুবই অ্যাভারেজ।
Profile Image for Tasmin Nisha.
163 reviews9 followers
March 13, 2023
বইটি রেনুর জবানিতে তার পরিবার ও আশেপাশের চরিত্রকে ঘিরে। অস্বচ্ছল সংসারে মা, বাবা, বড় বোন ও বড় ভাইকে নিয়ে রেনুর পরিবার। বড় ভাই রঞ্জু সবাইকে খুব হাসাতে পারলেও বড় বোন মীরা তার বিপরীত, অল্পতেই রেগে যায়। তাদের বাবা হঠাৎ কিছু দিন পরপর নিরুদ্দেশ হয়ে যায় কিন্তু যদি সেটা কোনো বিশেষ দিন হয় যা তাকে ও রেনুর মাকে নিয়ে তবে সে ঠিকই ফেরত আসে এবং রেনুর মায়ের সাথে বিশেষ দিনটি উৎযাপনও করে। তবে সে বিশেষ দিনটি কি নিয়ে তা তিন ভাই বোন জানতে বরাবরই ব্যর্থ হয়।


সংসারে নানা ঝামেলায় ভরপুর হলেও পরিবারের সবাই স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে ঠিক যেমন তিন মাস ধরে আয়না না থাকার ব্যাপারটা যেন খুব স্বাভাবিক। হয়তো মনে তাদের দুশ্চিন্তা ছিল কিন্তু প্রকাশ করা হতো না। এর মাঝে রেনুর বাবা আবারও নিরুদ্দেশ হয়ে যায় তবে এবার দীর্ঘ সময় ধরে তার কোনো খবর নেই, আশেপাশের মানুষেরা কানাঘুষা করতে লাগে। পরিবারের একজনকে তাদের চিরতরে হারাতে হয়। তবে রেনুদের পরিবারে সকলের জীবনে হারানোর সংখ্যাটা হয়তো বেশি বলে কোনো দুঃখ তাদের খুব বেশি প্রভাবিত করতে পারে না। বাস্তবেও হারিয়ে যাওয়ার কোটা যখন পূর্ণ হতে থাকে তখন না হারানোটাই বরং আমাদের বিস্মিত করে।
Profile Image for Farheen.
14 reviews1 follower
January 8, 2020
এই পৃথিবী পরম রহস্যময়। হাসপাতাল থেকে নামামাত্র আমি যে মানুষটিকে এতদিন ধরে খুজঁছি তার দেখা পেলাম। তিনি প্রথম দিনের মত রিকশা করে ফিরছেন। হাতে বাজারের ব্যাগ। আমি ছুটে গিয়ে বললাম,কেমন আছেন?
তিনি বিস্মিত গলায় বললেন,চিনতে পারছি না তো, কে?
'চিনতে পারছেন না?'
'না। কে তুমি?'
'ওগেনকি দেসু কা?'
ভদ্রলোক অবাক হয়ে বললেন, এর মানে?
আমি শান্তগলায় বললাম এটা জাপানী ভাষা আপনি বুঝবেন না।
ভদ্রলোক রিকশা থামিয়েছেন। আমি এগিয়ে যাচ্ছি। প্রতি মুহূর্তেই অপেক্ষা করছি তিনি পেছন থেকে কোমল গলায় ডেকে উঠবেন -- "রেনু। এই রেনু। "
Profile Image for Roohul  Poolak.
53 reviews2 followers
October 19, 2018
যদিও এটা একটা স্বাভাবিক হুমায়নীয় রচনা, কিন্তু হুমায়নীয় রচনা মানেই তাতে বিশেষ কিছু আশা করা যেতেই পারে। আশাবরীও সেই মাত্রারই একটা বই। একটা স্ট্রাগলিং ফ্যামিলি একের পর এক যে পরিবর্তনগুলোর মাঝে দিয়ে যায়, কিছু অন্ধ বিশ্বাস, কিছু আশা, কিছু অন্ধকারে হাতড়ে খোঁজা, কিছু ফিরিয়ে দেয়া... আমি নিশ্চিত যে আশপাশে তাকালেই এমন পরিবার অসংখ্য খুঁজে পাওয়া যাবে। আর হুমায়ুন সাহেবের সবচেয়ে ছুঁয়ে যাওয়া লেখা গুলোই আশেপাশের মানুষদের নিয়ে।
Profile Image for Nosib Zehadi.
Author 9 books188 followers
August 8, 2017
শৈশবে এই বই আমাকে নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিলো!
Profile Image for Pranti.
7 reviews2 followers
Read
August 11, 2019
আমাদের জীবনটা খুব সুন্দর গোছানো কখনো হয় না। জীবন চলে নিজ গতিতে। না আমরা যা চাই তা হয়, না চিরকাল প্রিয় মানুষগুলো আমাদের পাশে থাকে। ধারায় বহমান জীবন কারো প্রার্থনা শুনে না। কখনো না...
212 reviews4 followers
October 15, 2021
সেই চিরচেনা হুমায়ুন। পড়তে গিয়ে অদ্ভুত বিষাদে ছেয়ে যায় মন।
Profile Image for Miss Ira.
56 reviews
December 8, 2021
উপন্যাসটি এতোটা ভালো লেগে যাবে বুঝতে পারিনি। আচ্ছা মানুষ কেন হারিয়ে যায়?
Profile Image for Mubtasim  Fuad.
316 reviews41 followers
July 30, 2025
আজ থেকে প্রায় ৬-৭ মাস আগে আমি আশাবরী পড়া শুরু করি। পড়তে পড়তে বেশ কয়েক পৃষ্ঠা অব্দি গেছিলাম ঠিকই কিন্তু হঠাৎ কি যে হয়েছিল, মনে পড়ছে না। পড়া থামিয়ে দেই আর, বুকমার্ক টাও বের করে রেখে দি, ফলস্বরূপ হারিয়ে ফেলি পৃষ্ঠা, আর পরবর্তীতে পুনরায় আগ্রহ নিয়ে আর শুরু করা হইছিল না।
এই দীর্ঘ সময় একাধিক বই পড়ে শেষ করেছিলাম। কিন্তু এই বইটা কোন ভাবেই যেন ধরা হয়ে উঠছিল না। অবহেলায় পড়ে ছিল এক কোণে।

কয়েকদিন আগে মাঝরাতে পড়া ফাঁকি দিয়ে ফোনের নোটশে চেখ করছিলাম, আমার হুমায়ূন কমপ্লিট চ্যালেন্জে আর কয়টা বই বাকি আছে, সেখানেই দেখি আশাবরী আনটিক অবস্থায় আছে, আমি একবার ভেবে নিছিলাম যে হয়ত আমার পড়া শেষ, আর হুমায��ূন আহমেদের প্রচুর সংখ্যাক রিপিটেড স্টোরীর বই থাকায়, হয়ত গুলিয়ে ফেলছি কাহিনি। কিন্তু পরে ভাল ভাবে চেক করে দেখি যে, না পড়া হয় নাই।
এরপর আর কী, পড়া শুরু করে দি, দৃঢ় মনবল নিয়ে, এবার আর আমাকে দমানোর মতন কোন প্রতিবন্ধকতা আল্লাহ রহমতে আসে নাই তাই ভাল ভাবেই শেষ করতে পেরেছি।


বইটা হুমায়ূন আহমেদের ক্লাসিক ট্রাজেডি উপন্যাস গুলার একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলা যায়। এখানে ছিলো নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প, তাদের জীবনের আপস এন্ড ডাউন, আর এরপর...ট্রাজেডি!
অপেক্ষা উপন্যাসের সাথে খানিকটা মিল রয়েছে। তবে অপেক্ষা বেশি পপুলারিটি পেয়েছে তার নামের জন্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় এটেনশন গ্রাভের জন্য দারুণ বই, কিন্তু আশাবরী নামটা হয়ত সবার ওভাবে ভাল লাগে নাই। তাই বইটা খুব খুব খুববব আন্ডারেটেড থেকে গেছে।

বইটা শেষ করে ঠিক কেমন ফিলিংস হবে আমি বলি, অনুভূতি অনেকটা নন্দিত নরকে, কোথাও কেউ নেই, নির্বাসন, আমি আজ কোথাও যাব না ইত্যাদি বই পড়ার পর যেমন হয়েছে, অনেককটাই তেমন।

আমি এই হুমায়ূন আহমেদের লেখাকে বেশ কিছুদিন ধরে খুব মিস করছিলাম। ওনার বেশ কিছু আবর্জনা পড়ে মুখ তিতা হয়ে গেছিল, অবশেষে সেই তিতা ভাব কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। Good for me!
Displaying 1 - 30 of 67 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.