রুদ্রাণী ও প্রিয়ম, সদ্যবিবাহিত দম্পতি। অফিস বাড়ি মিলিয়ে এই দুই তরুণ তরুণীর নিস্তরঙ্গ জীবনে ঢেউ উঠল যখন রুদ্র কর্মসুবাদে এক জমিদার বাড়িতে গিয়ে আবিষ্কার করলো এক রহস্যময় চিত্র – ধ্যানরত সন্ন্যাসী , সাথে এক বিচিত্র দর্শন কুণ্ডলী পাকানো প্রাণী। ড্রাগন?
রুদ্রর বাবা প্রখ্যাত আর্কিয়োলজিস্ট ডঃ সুরঞ্জন সিংহরায় নিখোঁজ হয়েছিলেন প্রায় আট বছর আগে। কোনো সম্পর্ক কি আছে এই জমিদার বাড়ির সঙ্গে রুদ্রর বাবার অন্তর্ধানের? শুরু হল অদৃষ্টের সঙ্গে লুকোচুরি। কলকাতা, শহরতলি, সুদূর ভুটান মিলিয়ে ঘটে চলল একের পর এক রোমহর্ষক ঘটনা। বাবাকে নতুন করে খুঁজতে গিয়ে রুদ্রর সামনে উন্মোচিত হতে লাগল একের পর অদ্ভুত সব সত্য। আভাষ মিলল বজ্রযান বৌদ্ধধর্মের কিছু অজানা রহস্যের ওপারে লুকিয়ে থাকা এমন এক অবিশ্বাস্য সত্যের যা অশুভ লোকের হাতে পড়লে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে সমগ্র মানবজাতি।
সত্যিই কি বন্দি করা যায় ঈশ্বরকে? রুদ্র কি পারবে খুঁজে বের করতে তার বাবাকে?
ইতিহাস, বিজ্ঞান ও পুরণের মেলবন্ধনে এগোনো রুদ্ধশ্বাস রোমাঞ্চে ভরপুর অতিপ্রাকৃত থ্রিলার উপন্যাস ‘ঈশ্বর যখন বন্দি’।
Debarati Mukhopadhyay is presently one of the most popular and celebrated authors of Bengali Literature and a TED Speaker having millions of readers worldwide.
A young Government Officer by profession and awarded with several accolades like Indian Express Devi Award 2022, Tagore Samman, 2022, Literary Star of Bengal etc, she has written 25+ bestselling novels in West Bengal from leading publishing houses. Global publishers like Harper Collins, Rupa Publication have published her English works worldwide.
A no. of novels are already made up into movies starting Nusrat Jahan, Mithun Chakraborty, Dev etc by big production houses like SVF, Eskay etc. Her stories are immensely popular in Sunday Suspense, Storytel etc.
Her Novel ‘Dasgupta Travels’, has been shortlisted for ‘Sahitya Akademi Yuva Pursakar, 2021’.
Her Novel ‘Shikhandi’ created a history when it was acquired for film by SVF within 24 hours of it’s publication. Beside this, she contributes in Bengal’s prominent literary magazines and journals regularly.
She has been selected as Country's only Bengali Literature Faculty for the esteemed Himalayan Writing Retreat.
An excellent orator, Debarati motivates people through her way of positive thinking, voluntarily guides aspirants for Government job preparation in leisure.
She’s a regular speaker in eminent institutions like Ramakrishna Mission and other educational seminars and often considered as youth icon of Bengal. She’s extremely popular in Bengal and having more than 5,00,000+ followers in Social media.
এই সময়ে কলকাতা-কেন্দ্রিক সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত বাংলা থ্রিলার কোনটি? উত্তর নিয়ে দ্বিমতের অবকাশ নেই, কারণ প্রকাশের মাস দেড়েকের মধ্যে প্রথম সংস্করণের গণ্ডি পেরিয়ে দ্বিতীয়ের দিকে এগোনোর মতো চোখ-কপালে-তোলা কৃতিত্ব দেখিয়ে সেই জায়গায় পৌঁছে গেছে দেবারতি মুখোপাধ্যায়-এর “ঈশ্বর যখন বন্দি”। বড়োদিনের সন্ধ্যায় বাইরের রাস্তা যখন পিকনিক-ফেরত গাড়ির হর্নে মুখর, আর আমার ফাঁকা কোয়ার্টারের সর্বত্র জমে উঠছে অন্ধকার, তখন আমি তাই এই বইটাই হাতে তুলে নিলাম। চিন্তা ছিল, বইটা ভালো লাগবে তো। বিভা পাবলিকেশনের বইয়ের মুদ্রণ সৌকর্য নিয়ে চিন্তা থাকে না, তাই পেপারব্যাক থ্রিলারটিও যে দৃষ্টিনন্দন হবে সেটা আমি আগেই বুঝেছিলাম। বানান বা ছাপা নিয়েও ভাবনা ছিল না, কারণ বিভা ওই ব্যাপারগুলোতে যত্নবান থাকে। সত্যি কথাই লিখি। আমি চিন্তিত ছিলাম কারণ, ফেসবুকে লেখক নিজের নামের আগে “স্বপনচারিণী” শব্দটি গুঁজে নিজের পরিচয় দেন, তাই থ্রিলারের মতো একটি ঝোড়ো এবং আনরোমান্টিক জঁর-এর রচনায় তিনি কতটা কুশল হবেন সে ব্যাপারে সংশয় ছিল। অকপটে স্বীকার করি, উপন্যাসটি আমার বড়ো ভালো লেগেছে। কেন? এক-এক করে লিখি। ১) কিছু-কিছু অসতর্ক পদস্থলন (যেমনঃ ৭৪ ও ৭৫ পৃষ্ঠায় ৩৩-কে মৌলিক সংখ্যা হিসেবে উল্লেখ করা) এবং টাইমলাইনে কয়েকটা ছোট্ট ত্রুটি বাদ দিলে এই বইটা প্রায় নির্ভুল। ২) ন্যারেটিভ অত্যন্ত গতিময়। সত্যি বলতে কি, তরুণ স্বামী-স্ত্রীর উপস্থিতি রয়েছে অথচ শয্যাদৃশ্য নেই, বাংলায় এমন বই পাওয়াই যেখানে প্রায় অসম্ভব, সেখানে এই উপন্যাসে ঘটনাপ্রবাহ এবং তথ্য ছাড়া অন্য কোনো রকম “আজাইরা প্যাচাল” না থাকা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ৩) উক্ত স্বামী (প্রিয়ম) আর স্ত্রী (রুদ্রাণী)-র সম্পর্ক, তাদের কথোপকথন, তাদের খুনসুটি, তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসাঃ এই জিনিসগুলো এই টানটান গল্পেও এত বাস্তবিক, এত সহজ হয়ে ফুটে উঠেছে, যে আমি সিরিয়াসলি লজ্জিত বোধ করছি লেখকের আগের পোস্টগুলোকে এতদিন পাত্তা দিইনি বলে। ওয়েল, বেটার লেট দ্যান নেভার। ৪) সম্প্রতি নানা প্রসঙ্গে তন্ত্র এবং তিব্বতে সুপ্রতিষ্ঠিত বজ্রযান ধর্মমত নিয়ে নানা আলোচনা আর গল্প সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাঠক ও গুণীজনের নজরে পড়েছে নিশ্চই। এই বইটির বিশেষত্ব এখানেই যে বিষয়গত ভাবে তার খুব কাছে থেকেও অলৌকিকের বদলে এতে ধরা পড়েছে বিজ্ঞান ও অপবিজ্ঞানের এক অদ্ভুত সংঘর্ষ, যা এই বইকে খুব সংক্ষিপ্ত পরিসরেও সেই অতি বিরল সম্প্রদায়ভুক্ত করেছে যা আমরা বাংলায় প্রায় দেখিই নাঃ বিজ্ঞানভিত্তিক মৌলিক রহস্যকাহিনি। ৫) খাঁটি বিজ্ঞান নয়, বরং এই উপন্যাসকে “একশৃঙ্গ অভিযান” বা “কাকাবাবু ও বজ্রলামা” গোত্রের ফ্যান্টাস্টিক রোমাঞ্চ বলা যায়। কিন্তু বর্ণনার গুণে, মিতকথনে, এবং পাঠক হিসেবে আমাদের ক্রমাগত ব্যস্ত রেখে লেখক প্রায় টেকনো-থ্রিলার পড়ার স্বাদ উপহার দিয়েছেন আমাদের।
একটাই শুধু আক্ষেপ রয়ে গেল। গল্পের শেষটা বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো করে হল। বজ্র কীভাবে জীবদেহে সঞ্চিত হল সেই প্রক্রিয়াটার কথা কিছুই বলা হল না। বইয়ের প্রচ্ছদে সন্ন্যাসী ছাড়া অন্য যে প্রাণীটি দৃশ্যমান, তাকেও ঠিক তেমন ভাবে পেলাম না আমরা।
যাই হোক, শেষ বিচারে এটিই বলার যে বছর শেষ করার আগে এই গতিময়, আধুনিক, সাসপেন্স ও কল্পনার উড়ানে ভরপুর থ্রিলারটি পড়ে ফেললে আপনারো ভালো লাগবে বলেই আমার ধারণা। বিভা পাবলিকেশন-কে ধন্যবাদ দেবারতির এই উপন্যাসটি আমাদের কাছে পেশ করার জন্য। দেবারতি মুখোপাধ্যায়-কেও ধন্যবাদ এমন একটি ঝকঝকে স্মার্ট থ্রিলার পড়তে দেওয়ার জন্য। ভবিষ্যতে আরো অনেক লেখা পাব আপনার কাছ থেকে, এই আশায় রইলাম।
পড়ে ফেললাম ওপার বাংলার ২০১৬ সালের সর্বাধিক বিক্রিত থৃলার। কেমন লেগেছে? ভালো। এধরণের উপন্যাস বরারবরই ভালো লাগে, কিন্তু শেষমেশ তৃপ্তির ঢেঁকুরটা তুলতে পারিনি। এধরণের বইয়ে যা যা থাকে- ১. প্রফেসর-আছে ২. মিথ/ধর্মীয় ইতিহাস নিয়ে কারবার- আছে ৩. পর্দার পেছনে আন্তর্জাতিক কোন চক্র-আছে ৪. প্রোটাগোনিস্ট যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ঘটনার সাথে জড়িয়ে যাবে- আছে নতুনত্ব বলতে মূল প্লট। যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের সাথে সংমিশ্রণ করা হয়েছে "ড্রাগন" এর। হ্যা, ঠিকই শুনেছেন, ড্রাগন। এই যুগে এসে এরকম একটা এলিমেন্ট নিয়ে লেখক যখন আপাত বিশ্বাসযোগ্য একটি প্লট দাঁড় করাতে পেরেছেন, তা অবশ্যই বাহবার যোগ্য। যারা সিগমা ফোর্স কিংবা এরকম অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার থৃলার পরে অভ্যস্ত তারা এক্সপেকটেশন কমিয়ে রেখে পড়লে মজা পাবেন বেশি। তবে বাংলাতে এরকম প্লট নিয়ে লেখাই হয়েছে কতটা? শরীফুল হাসান ভাইয়ের সাম্ভালা টৃলোজি, ঋভু, মাশুদুল হক ভাইয়ের মিনিমালিস্ট। কিশোর পাশা ইমনের মিথস্ক্রিয়াকেও আনা যায় এই তালিকায়। তবে পরিণতির দিক দিয়ে "ঈশ্বর যখন বন্দি নিশ্চিত ভাবেই আরেকটু পরিণত হতে পারতো বোধহয়। যে ড্রাগনকে ঘিরে এতকিছু সেখানেই বড্ড দ্রুত শেষ হয়ে গেল ক্লাইম্যাক্স। ভিলেনকে বড্ড কমিক মনে হয়েছে সেই পাতাগুলোতে। ভালো লেগেছে বৌদ্ধ ধর্ম সংক্রান্ত বর্ণনাগুলো, আসলেও দারুণ। আর ভীষণ সাবলীল বর্ণনা টেনে নিচ্ছিল তরতর করে। কিন্তু রুদ্রাণী-প্রিয়মের মধ্যে খুনসুটি গুলো একটু যেন চোখে লেগেছে। একটা ব্যতিক্রম আছে এই জায়গাতেও। ঈশ্বর যখন বন্দী উপন্যাসের প্রোটাগোনিস্ট একজন নারী, যেটা সচরাচর দেখা যায় না এরকম উপন্যাসে। এ ব্যাপারটাও রিফ্রেশিং। গল্প- ঘটনাক্রমে ৮০০ শতাব্দীর এক ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়ে রূদ্রাণী। যার সাথে আবার তার নিজের বাবার হারিয়ে যাবার ঘটনাও সম্পৃক্ত। সেই রহস্যের সূত্র উদঘাটনেই ধীরে ধীরে গল্পে আসতে থাকে পদ্মসম্ভার, ভূটান, বৌদ্ধ ধর্ম। ইতিহাস আর পুরাণের বিভিন্ন পাজল মিলিয়ে সামনে এগোতে থাকে রুদ্রাণী আর তার স্বামী প্রিয়ম। জট খুলতে থাকে সবকিছুর। :)
আগে বলে নেই : *মানে স্পয়লার শুরু, আর # মানে শেষ । আমার মত: দেশি বাংলার গন্ডি পেরিয়ে ওপার বাংলার 'আধুনিক' থ্রিলারে পদাপর্ণ। সমস্যা একটাই, এতোটা হাইপ ওঠা বই আসলে শেষ পর্যন্ত মন ভরাতে পারে না। এর দোষ বইয়ের না, লেখকের না। পাঠক আর পাঠকের চাহিদার। তবে হ্যা, বইটা ভালো লেগেছে নিশ্চয়। কীভাবে বুঝলাম? সারাদিন দৌড়ে এসে যখন রাত ২-২.৩০টা পর্যন্ত জেগে থেকে বই শেষ করে ঘুমানো হয়, তখন নিশ্চয় বইটা ভালো লাগেনি বলার উপায় থাকে না! ছোট পরিসরের গল্প না হলেও, চরিত্রগুলো ছোট পরিসরের। মানে হাতে গোণা কিছু আরকী। প্রাইমারি ফোকাস থাকে রুদ্র আর প্রিয়মের উপর। সেই সাথে সুরঞ্জন আর কিছুটা হালকাভাবে পূরবীর উপরেও। চরিত্র গুলোর ব্যাপারে একটা কথাই বলার আছে, রুদ্র যতটা যত্ন পেয়েছে, অন্য গুলো মনে হয় পায়নি। বিশেষ করে প্রিয়ম আর সুরঞ্জন। দুই বাংলার একটা কমন সমস্যার কথা বলি, থ্রিলার চলে বলে, যেকোন জনরার বই থ্রিলার বলে চালিয়ে দেয়া হয়। জনরা একটা কনফিউজিং জিনিস, লেখক এক বলে জমা দেন। সম্পাদক আর প্রকাশক সেটাকে অন্য জনরায় ফেলে দেন। বাইরে প্রতিটা জনরার জন্য আলাদা আলাদা অ্যাসোসিয়েশন আছ���। সেই অ্যাসোসিয়েশন থেকে পুরষ্কারও দেয়া হয়। তাই তাদের জন্য জনরাটা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের জন্য সেটা না। সাব জনরার ক্ষেত্রে ব্যাপা���টা আরও ধোঁয়াশে হয় যায়। এক বই যার কাছে মেডিকেল থ্রিলার, অন্য জনের কাছে সেটা পুলিশ প্রসেডিউলার! তবে প্রধান জনরাগুলোর কথা আলাদা। ফ্যান্টসি বইতে কি থ্রিলার এলিমেন্ট থাকে না? থাকে। কিন্তু তাই বলে সেটা থ্রিলার হয়ে যায় না। তবে আমাদের কপাল মন্দ, যেহেতু পাঠক 'থ্রিলার' বা 'থৃলার' খায় বলে জাদু বেশ করে দুই জাদুকরের যুদ্ধের বইও হয়ে যায় থৃলার, ফ্যান্টাসি থাকে না। কিং এদেশে জন্ম নিলে হয়তো 'ইট' বইটাও ওই জনরারেই পড়ত। প্রশ্ন ওঠে মনে, বাস্তবসম্মত সব ব্যাখ্যা থাকা সত্ত্বেও কেন শিব ত্রয়ী বা ইক্ষাকু কুলতিলক ফ্যান্টাসি। আবার কেন চরমতম কন্ট্রোভার্সাল হলেও, ভিঞ্চি কোড বা অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডেমনস থ্রিলার? যাই হোক, জনরা যা-ই হোক না কেন, বইটা বেশ উপভোগ্য। লেখনিকে এক্ষেত্রে প্রধান ক্রেডিট দিতে হয়। খুব কঠিন সব বাক্য ব্যবহার করেননি, আবার একেবারে সহজপাচ্যও ছিল না। ইংরেজির ব্যবহারও ছিল পরিমিত। কয়েক জায়গায়, বিশেষ করে সর্বনাম ব্যবহার আর সংলাপ ব্যতীত বর্ণনার অল্প কিছু জায়গায় শুধু কিছুটা ছন্দপতন ঘটে, এই যা। এবার আসি কিছু খটকার জায়গায়: *লেখিকা লিখেছেন, যাদের যাদের ইমিউনিটি ভালো, তারা তারা শরীরে বজ্র ধারণ করতে সক্ষম (অনেকটা এরকমই, হুবহু না হলেও)। মানুষের ক্ষেত্রে ইমিউনিটি রোগের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে। সাপের ক্ষেত্রেও তাই হলে, এই ইমিউনিটি ব্যবহার প্রশ্নবিদ্ধ। *আমাদের জৈবিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় লিম্বিক সিস্টেম দিয়ে। সাপের ব্যাপারে বিশদ জানা নেই, কিন্তু মগজ জিনিসটা এমন যে সিলেক্টিভ কাজ করবে আর বাকি কাজ করবে না, এমনটা সম্ভব হবার কথা না। *সুরঞ্জনকে ধরে নিয়ে গেল সন্ত্রাসী, তাকে অন্য কারও সাথে দেখা করতে দেয়া হলো না। তাকে বাইরের দুনিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে দেয়া হলো না। তাহলে রুদ্রের ক্ষতি করার দরকার ছিলটা কি? না করেও যদি বলত যে ক্ষতি করেছি, অবিশ্বাস করার কোন কারণ ছিল কি সুরঞ্জনের?# সব মিলিয়ে, শেষের দিকটা খুব একটা আকর্ষনীয় ছিল না। আরেকটু গুছিয়ে খোলা যেত রহস্যটা। ওভারওল রেটিং-৩.৫/৫
রিটায়ার করার পর কাজ বলতে খাওয়া, ঘুমনো আর বই পড়া, মধ্যে মধ্যে গিন্নীর বকুনি। আর মাসে একবার কি দু'বার বইপাড়ায় ঢুঁ মারা। দিন কয়েক আগে তেমনই খেয়েদেয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম কলেজ ষ্ট্রীটের দোকানগুলোয় চক্কর কাটতে। দরকারি ক'টা বই কিনে ঢুকেছি একবার চক্রবর্তী চ্যাটার্জিতে, নেড়ে ঘেঁটে দেখছি, কানে এলো পাশে দুটো রিনরিনে গলা, "কাকু, ঈশ্বর যখন বন্দি আছে? দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের?" নামটা শোনা শোনা মনে হতে চেয়ে দেখি দুটো কলেজ পড়ুয়া বাচ্চা মেয়ে। ব্যবসায়ী তপনদা বহুদিনের চেনা, জিজ্ঞাসু মুখে তাকাতে বললেন, "এই বইটা গত এক সপ্তাহে তিনশো কপি প্রায় বিক্রি করলুম সুমন্ত্র'দা। বাংলা বই, তায় নতুন রাইটার, এত সেল দেখিনি!" আমারও ঝট করে মনে পড়ে গেল, কয়েক দিন আগে কোনো এক বইপোকা এখানে বইটার সুখ্যাতি করে দু-চারকথা লিখেছিলেন। আর দেরী না করে কিনেই ফেল্লুম। বাড়ি এসে উল্টে পালটে দেখি ও বাবা নতুন লেখক হলে কি হবে , অনেক রিসার্চ করা ইতিহাস, পুরান আর বিজ্ঞানের সমন্বয় একটা মাত্র উপন্যাসে, সত্যিই রোমহর্ষক কাহিনী। সাথে রয়েছে পাকা হাতের ডিটেইলিং আর নিখুঁত বর্ণনা, পড়তে পড়তে চোখের সামনে ভেসে উঠছিল সবটা…প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত টান টান উত্তেজনা… ভালো লাগল আরো যে এই রকম ডিটেকটিভ, থ্রিলিং একটা উপন্যাসের মধ্যেও সমান্তরালে এগিয়েছে মিষ্টি একটা ভালবাসার গল্প। সব মিলিয়ে দারুন কিছু অনুভূতি... জাকে বলে শেষ অবধি টানটান। ঝকঝকে মলাটের পেপারব্যাক। তারপর জানলাম মেয়েটি বাচ্চা হলে কি হবে, এর মধ্যেই দারুণ জনপ্রিয় একটি ফেসবুক পেজ চালায়, তাতে লেখা ছোটগল্পগুলোও ফেসবুকে খুঁজে খুঁজে পড়লাম, ভীষণ নতুনত্বে মোড়া। বড় ভাল লাগলো। বইপোকা গ্রুপকে ধন্যবাদ এইরকম নতুন বইয়ের খোঁজ দেওয়ার জন্য। স্বর্গত লেখকদের বই নিয়ে আর কতকাল গর্ব করবো আমরা, এবার একটু নতুনদের খোঁজা হোক!
বজ্রের শক্তি কিভাবে জীবদেহে সঞ্চিত হলো সেটাই তো বললেন না লেখিকা, তাহলে আমিও একটা ড্রাগন বানাতাম😣😣😣, আর ওটাকে নিজের ইচ্ছে মতো কন্ট্রোল করে সব কাজ করতাম 😂।
Jokes apart । পুরো বইটি একদিনে বসে শেষ করার মতো, দারুন উপভোগ্য। বইতে যেমন রুদ্র- প্রিয়মের খুনসুটি আছে(যদিও রুদ্রর পুরো নাম যে রুদ্রানী সেটা জানতে পেরেছি বইয়ের প্রায় ৫০ পাতায় এসে) তেমনই আছে প্রায় ৯ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বাবার খোঁজ রুদ্র আর প্রিয়মের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোঁজ চালানো। তবে আমার কেমন জানি মনে হলো প্রিয়মের চরিত্রটির প্রতি আরেকটু যত্নশীল হলে ভালো হতো।
একটি অতি গতবাধা অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী যা বার্ষিক পরীক্ষায় পাশ করে থ্রিলারে উত্তীর্ন হতে পারেনি। তারসাথে সামান্য হোকাস-বিজ্ঞান পোকাস-ইতিহাস। একটু প্রেম আছে, একটু ভ্রমন আছে, একটু রহস্যভেদ আছে, কিছুটা মারপিটও আছে, বিরহ-মিলন আছে, এবং একগাদা ইনফো ডাম্প। কেবল যা আছে তাও নাই। এরপর ধরা যাক ভূটানের যে চার-পাঁচজনের জনের নাম শুনা গেল তাদের একজন জিগমে আর একজন ওয়াংচুক, কী চমৎকার যোগাযোগ!
বইটার প্রতি আগ্রহ জন্মানোর কারণ স্রেফ দুটো। শিরোনাম এবং প্রচ্ছদ। ডেব্যুট্যান্ট লেখকরা বরাবরই পাঠকের উৎসাহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন না।এক্ষেত্রে প্রকাশনীর ব্র্যান্ডভ্যালু এবং শিরোনাম আর প্রচ্ছদের কাঁধেই পাঠকের আগ্রহ জাগানোর দায়িত্ব থাকে।বিভা আমার জন্যে নতুন, লেখিকার মতোনই। ৩ এর থেকে ১ ঝরে তাই রইলো বাকী ২; প্রচ্ছদ এবং শিরোনাম।খুব জোর গলাতেই বলি, শুরুতে এ দুই জায়গায় ই লেটার মার্ক নিয়ে নিয়েছে দেবারতি’র “ঈশ্বর যখন বন্দি”।
খুব সাধারণ ভাবেই রুদ্রাণী একটা ঘটনার সাথে জুড়ে যায়; যার সাথে তার বাবার অন্তর্ধানের যোগসূত্র আঁচ করা যায় এবং এসবের শেকড়ের খোঁজ পাওয়া যায় সেই ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দের কিছু মানুষের জীবনাচরণ আর সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকার গল্পে।
উপক্রমণিকা খুব সাধারণ ভাবে বলে প্রতিক্রিয়ায় ঢুকে যাচ্ছি বলে ভাববেননা ব্যাপারগুলো খুব এলেবেলে ছিল। একটা ব্যাপার কি জানেন, জেমস রোলিন্স আমাদের খুব সর্বনাশ করে দিয়েছেন; সাড়ে সর্বনাশ বলা যায় যাকে। ইতিহাস, মিথ, ধর্ম, বিজ্ঞান মিলিয়ে সিগমা ফোর্স সিরিজে থৃলারের যে হাইটাপ করেছেন; সেটা অনেকের চেয়ে অনেক অনেক বেশি উঁচুতে। আর সিগমা’র বই এত বেরোয় আর এত পড়ি আমরা; ইতিহাস-মিথ-ধর্ম-বিজ্ঞান মেলানো থৃলারের স্ট্যান্ডার্ড ই যেন দাঁড়িয়ে গেছে রোলিন্স সাহেব। এই স্ট্যান্ডার্ড টা যদি কেবল জে. রোলিন্সের জন্যে তুলে রাখেন; তাহলে ভাল করবেন। খুব ভাল করবেন। অন্য কাউকে ওই পরিমাপে মাপতে গেলে ভাল লেখাও পান্তাজল ট্যাল-ট্যালে লাগবে।
দেবারতি’র এই প্রথম প্রয়াস যথেষ্ঠ ভাল, যদি মাথা থেকে সিগমা সরিয়ে রাখেন। মিথ, ধর্ম, বিজ্ঞান মিলিয়ে গল্পটা ভাল ফেঁদেছেন দেবারতি। রুদ্রাণী আর প্রিয়মের খুনসুটি কখনও কখনও সর্ট অব “কুয়ারা” মনে হলেও, মানছি সে দোষ আমার। আমার অপছন্দের।ওসবে পোষায়না একদম। সেসব ধর্তব্য মনে না করলে, আবারও বলি বেশ লেখা, “ঈশ্বর যখন বন্দি”। মোদ্দা রহস্যগুলো এখানে পূঞ্জীভূত করা হয়েছে ম্যাপিং, খুব ছোট কলেবরের পাজল দিয়ে। সেসবের গ্রন্থিমোচনে মগজ খাটানোর জায়গা থাকলেও বেশি আছে ছুটোছুটি।একটু নাখোশি তারজন্যে। তবে যট্টুক আছে, অতটুকুই পাই কই বাংলা থৃলারে? গণিত নিয়ে যট্টুক আয়োজন, সেটা ভাল লাগবে। লেখিকা যে খেটেছেন, তার প্রমাণ পাওয়া যায় লেখায়।
শুধু অধ্যবসায়ের বাহবা দিলে তাঁকে ছোট করা হয়। কল্পনাশক্তিরও দারুণ স্ফূরণ দেখিয়েছেন দেবারতি।ওটার অভাব থাকলে বিশ্বাসযোগ্যভাবে ২০১৬-১৭ সালে “ড্রাগন” আনতে পারতেন না। প্রচ্ছদে, গল্পের শুরু থেকে দেয়া ইঙ্গিতে, ড্রাগন খুব টেনেছে। তাই মন চাইছিল ড্রাগন নিয়ে আরও জমকালো কোন পরিণতি আসুক।কিন্তু সে জায়গাতেই তাড়াহুড়ো করলেন বোধহয় লেখিকা। তৃপ্তি পেলাম না পুরো। তবে প্রাচীন ধর্ম নিয়ে যে কয়পাতা খরচ করা হয়েছে, সেখানে আমি ১০ এ ৯ তো দেবই। গৌতম বুদ্ধ, তাঁর অন্য অবতার এসব পড়ে শিহরিত হয়েছি বারংবার। মুকুট আর মুকুটহীন বুদ্ধের তফাৎ আর তফাৎ হবার কারণ জানতে পেরে লেখিকার প্রতি মুগ্ধতা বেড়েছে। কাইলকা মইরা গেলেগা, এইগুলা না জাইন্নাই মরতাম :( ছোট-খাট এবং বড় পরিসরে এমন অনেক তথ্যের সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে বইটিতে।
দুশো চব্বিশ পৃষ্ঠার পেপারব্যাক বই দেখতে যেমন কিউট, গল্পের টানে পড়তেও ঝরঝরে বেশ। লেখিকার জন্যে শুভকামনা থাকবে; তার পরবর্তী লেখা, পড়ার টানও থাকবে।সঙ্গে একটা খায়েশের কথা জানাই, বাংলাভাষী সব থৃলারলেখিয়েদের কাছে--- “জেমস রোলিন্স সাহেবকে ছাপিয়ে যান না ইতিহাস-বিজ্ঞান-মিথ-ধর্ম মাখানো থৃলারে, বাংলা ভাষায়। লোভ তো বাড়িয়ে দিয়েছেন আপনারাই, সক্ষমতা-মেধার স্ফূরণ দেখিয়ে। এখন আর স্ফূলিঙ্গে পোষাচ্ছেনা। দাবানল চাই, অগ্ন্যুৎপাত।”
বইটা আসলে ২ স্টার পাওয়ার যোগ্য। এবং সেটার মূল কারণ শেষটা ভালো করে না লেখা। মানে যার জন্য এত কিছু সে এলো আর গেলো লজিক টজিক এর বাপ মা উদ্ধার করে। বাংলা থ্রিলার লেখকদের মূল সমস্যা। তারা শুরুটা যেভাবে করেন, মাঝখানে তার অনেকটা ধরে রাখতে পারলেও বেশিরভাগ লেখকই শেষটা গুবলেট করে ফেলেন।
একটা স্টার বেশি দিলাম তরতরিয়ে পড়ে যাবার মত লিখনশৈলীর গুণের কারণে।
The storyline somehow felt like a desperate attempt which turned to a cheap thriller. Had quite a lot of expectation going by reviews and author's previous works but quite disappointed.
এই বইয়ের মূল থিম হচ্ছে তিব্বতের অতি প্রাচীন বৌদ্ধ একটা পুঁথিতে লেখা আছে বজ্রপাতের প্রচন্ড শক্তিশালী বৈদ্যুতিশক্তি সংগ্রহ করার একটা অলৌকিক পদ্ধতি। বহু বছর পরে একজন ভারতীয় ইতিহাসের অধ্যাপক এই পদ্ধতিটা পুনরায় উদ্ধার করেন। একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুক অতি প্রাচীনকালে এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন। তার নাম ছিল রিনপোচে। তিনি মৃত্যুর আগে তিন্জ্যুর নামের এক পুঁথিতে এই পদ্ধতিটা লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন।
একটি সাধারণ বজ্রপাতে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ভোল্ট বিদ্যুৎ থাকে, যদিও এর তীব্রতার উপর নির্ভর করে এই ভোল্টেজ ১ বিলিয়ন ভোল্ট পর্যন্ত হতে পারে। এর বিপরীতে, আমাদের বাসাবাড়িতে সাধারণত ১২০ বা ২২০ ভোল্টের বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়। বজ্রপাতের সময় তড়িৎ বিভবের পার্থক্য দশ মিলিয়ন ভোল্ট পর্যন্ত হতে পারে, আর তড়িৎ প্রবাহের মাত্রা ৩০ হাজার অ্যাম্পিয়ার পর্যন্ত হতে পারে।এই প্রচন্ড শক্তির স্থায়িত্ব সেকেন্ডের মাত্র দশ ভাগের এক ভাগ।
এই বইতে দেওয়া প্রাচীন পদ্ধতি অনুসারে একজন ভারতীয় ইতিহাসের অধ্যাপক পুঁথি পড়ে সাপের উপর এই বজ্রপাত ফেলে সেই শক্তি সঞ্চয় করে সাপকে ড্রাগনের রূপান্তর করেছিলেন। এভাবেই নাকি পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ড্রাগন তৈরি হয়েছিল। এই বইটা সবচেয়ে বড় ভুল হচ্ছে জনরা নির্ধারণে ভুল। এই ধরনের চরম আজগুবি এবং হাস্যকর থিওরি শুধুমাত্র ফ্যান্টাসি জনরাতেই ব্যবহার করা উচিত। ৩০০ মিলিয়ন ভোল্টের একটা বজ্রপাত কোন কিছুর উপর পড়লে সেটা পরিবর্তন বা বিবর্তন যাই বলি না কেন, সেটা তো দূরের কথা, সেটার ছাইও খুঁজে পাওয়ার কথা না। এই ধরনের হাস্যকর একটা মিথ তৈরি করে গোয়েন্দা থ্রিলার লেখা আসলে একেবারেই মানায় না।
বইতে ইনফরমেশন ডাম্প করা হয়েছে অনেক। ধরতে গেলে এই বইয়ের মোটামুটি ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশই বিভিন্ন ইনফরমেশন ডাম্প করা হয়েছে। লেখিকা অবশ্য প্রচন্ড পরিশ্রম করেছেন এই সমস্ত তথ্যগুলো জোগাড় করার জন্য। এত বেশি তথ্য ডাম্প করার জন্য এই বইতে মূল লেখার পরিমাণ যথেষ্ট কমে এসেছে। এই বইয়ের মূল চরিত্র রুদ্র ও প্রিয়ম বাদ দিলে বাকি কোন চরিত্রকেই গুছিয়ে স্থাপন করা হয়নি। রাত বিরাতে সম্পূর্ণ অচেনা-অজানা একটা জায়গায় অল্প বয়সী একটা মেয়েকে ধুমধাম করে বের হয়ে পাহাড় পর্বত অতিক্রম করে দুর্গম একটা গুহা আবিষ্কার করার মতো বিভিন্ন কাহিনী এখানে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। কিছু কিছু সময় মনে হয়েছে রুদ্রের জায়গায় প্রিয়মকে ব্যবহার করলে মনে হয় ভালো হতো, কেননা মূল চরিত্রকে এখানে বেশ কিছু কঠিন কায়িক পরিশ্রম করার কথা বলা হয়েছে, যেটা একটা মেয়ের পক্ষে এতটা আদৌ সম্ভব কিনা সেটা সত্যি প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়।
একেবারে শেষের দিকে এসে উনি ভুটানের একটা গ্রামের সামান্য কিছু গ্রামবাসীদেরকে কিছু ছুরি কাচি নিয়ে ভয়ংকর ড্রাগনের সাথে মারামারি করতে দেখিয়েছেন। এমনকি ভয়ংকর ড্রাগনকেও মেরে ফেলা দেখিয়েছেন সামান্য ছুরি কাচি দিয়ে, যার মুখ থেকে আগুনের গোলা বের হয়। অবশ্য লেখিকা দেখিয়েছেন যে ড্রাগন শুধুমাত্র আগুন ছুড়ে মারে ভিলেনদের দিকে, কিন্তু নায়ক-নায়িকা কিংবা গ্রামবাসীদের দিকে আগুন ছুঁড়ে দেয় না। যে ভয়ংকর গ্যাঙ সারা ইউরোপ জুড়ে বিভিন্ন দেশে পুলিশ বাহিনীকে নাকানিচুবানি খেয়েছে, তাদেরকে সামান্য এক রুদ্রই রাতের বেলা অভিযান চালিয়ে ঠান্ডা করে দিয়েছে, এটা জানি কেমন লাগলো!
লেখিকার লেখার হাত অবশ্যই ভালো। কেননা পড়ার সময় কোথাও হোঁচট খেতে হয়নি। লেখার উপস্থাপনাও আকর্ষণীয়। আবার বিভিন্ন তথ্যগুলো খুব সুন্দর করে বইয়ের ভেতরে স্থাপন করা হয়েছে। তবে পড়ার সময় অবাক লাগে যখন একটা ট্রেনের ভিতরে মাত্র একজনের সাথে প্রিয়মের ধাক্কা খাওয়া আর সেটাই একজন ভিলেন হওয়া। আবার ভুটানের দুর্গম একটা পাহাড়ে নির্জন লোকালয়ে একটা চায়ের দোকানে একজন মাত্র ফরেনারকে দেখা আবার তাকেই ভিলেন হ��়ে যাওয়ার আজগুবি জোড়াতালি! যে কোন পাঠক এইসব পড়ার সময় অবশ্যই বিষ্ময়বোধ করবেন। তবে একটা থ্রিলার বইয়ের ভেতরে যে সাসপেন্স বা অ্যাডভেঞ্চারের একটা আকর্ষণ থাকা উচিত, যা পাঠককে উপন্যাসের সাথে বেঁধে রাখবে, সেটা কোথাও খুঁজে পাইনি আমি। সবচেয়ে আজব লেগেছে বাংলা সিনেমার মতো শেষ দৃশ্যে পুলিশের আগমন এবং সবকিছু মিলিয়ে দেওয়া। পুরো উপন্যাসটা কেমন যেন বাংলা সিনেমার একটা চিত্রনাট্যের মতো ��েগেছে যেখানে, সবকিছু একটা পয়েন্টে এসে ঠিকঠাক মতো হুবহু মিলে গিয়েছে।
বইটা খারাপ লেগেছে বলবো না, তবে এত হাইপে উঠে যাওয়ার মতো আহমরি কোন থ্রিলার মনে হয়নি আমার কাছে।
লেখিকার ছোটগল্প গুলো সত্যিই সুন্দর, শুধু লেখার মুনশিয়ানাই নয়, গল্পগুলোর প্লটেও বেশ নতুনত্ব,অনেকদিন ধরেই দেখছি। তাই যখন দেখলাম এই লেখিকার প্রথম বই 'ঈশ্বর যখন বন্দি' প্রকাশিত হচ্ছে, তাও আবার হোম ডেলিভারি, দিয়েই দিয়েছিলাম এক কপি অর্ডার। থ্রিলার উপন্যাস। ভেবেছিলাম গতানুগতিক ছকে এগোবে অ্যাডভেঞ্চার, যেমন হয়। কিন্তু পড়ে হতবাক হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছিলো ড্যান ব্রাউনের কোনও নভেল পড়ছি। যেমন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা, ইতিহাস আর বর্তমানের টানাপোড়েনে তেমনই ঠাস বুনোটে বাঁধা চিত্রনাট্য। সমান্তরালে এগিয়েছে সম্পর্কের জটিলতাও। যদিও আমি এত জটিল অঙ্ক, তার ব্যখ্যা দিয়ে ইতিহাসকে পুনরাবিষ্কার করা বুঝি না, কিন্তু এত প্রাঞ্জল্ভাবে লেখা যে উপন্যাসের আকর্ষণ শেষ পৃষ্ঠা অবধি টানটান থাকে। বাংলায় এতো বিশাল পরিধির আন্তর্জাতিক মানের উপন্যাস খুব একটা পড়িনি। বইয়ের মলাট, ডিজাইনও তেমনই সুন্দর, ছিমছাম। নাহ, এটাই ভাল লাগছে, আমাদের ভাষায় যতই পড়ুয়ার আকাল হোক, নতুনরা এখন নিজের জাত চেনাচ্ছেন। এরাই একদিন মহীরুহ হবেন।
খানিক মিথলজি, খানিক কল্পবিজ্ঞান আর কেজি দশেক অ্যাডভেঞ্চার মিশিয়ে তৈরি রুদ্র-প্রিয়ম সিরিজ এর প্রথম বই। ২০৬ পাতার বইটি সারতে লেগেছে মাত্র একদিন। এতই আঠালো বইটি।
লেখিকা সম্পর্কে কিছু বলার ক্ষমতা বা যোগ্যতা নেই তাও বইয়ের কিছু কি-পয়েন্ট যা খুব ভালো লেগেছে সেগুলো তুলে ধরলাম।
* গল্পের নায়িকা-নায়ক একে অপরের পরিপূরক। একজন অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী তো আরেকজন স্থিতধী। একজন সাহসী তো একজন পাজল সলভ করতে ওস্তাদ। এর মাধ্যমে এক জনেরই যে সর্বগুন সম্পন্ন হতে হবে এই চিন্তাকে উৎখাত করেছেন লেখিকা, যা খুব মন কে ছুঁয়ে গেছে।
** গল্পে আছে কিছু ইমোশনাল দিক। আছে স্বামী-স্ত্রীর বন্ধুসুলভ খুনসুটি। বাবা-মেয়ের স্নেহের সম্পর্ক। আবার জামাই-শ্বশুরের ব্রাদারহুড।
*** হারিয়ে যাওয়া মিথ কে তুলে এনে তাকে কল্পবিজ্ঞানের ছাঁচে ঢেলে একটি অ্যাডভেঞ্চার গল্পের প্রেক্ষাপটে দাঁড় করানো এ যেন ড্যান ব্রাউনের কেকের ওপরে আরও দুটো স্তর চাপানো। (তাও নির্ভুল এবং সঠিক মাপ বুঝে। ) তুলনা করিনি দুটো সমান্তরাল বললাম। কেউ কম না।
বইটি কিনেছিলাম ২০১৭ সালে। তখনকার প্রকাশক ছিলো বিভা পাবলিকেশন। এতদিন পড়িনি কারণ বিভিন্ন লোকের মুখে লেখিকার লেখনশৈলী সম্বন্ধে বিভিন্ন কথা শুনে। তাও অনেক ভেবেচিন্তে পড়ে বোঝার চেষ্টা করলাম যে লেখিকার লেখনশৈলী বলতে কি আদৌ কিছু আছে? না। সত্যি বলতে কিছুই নেই। আর সত্যি কথা বলতে 75 পাতা অব্দি পড়ে আর পড়তেই পারিনি। বইটা যদিও এক দুই পাতাই ডিসার্ভ করে। তবুও আর একটু বেশি পড়ে দেখার চেষ্টা করলাম। কিন্তু না। আর নেওয়া যাচ্ছিলো না এই অতিরিক্তি খাজা লেখা। লেখিকার লেখায় সেই গভীরতাটাই তো নেই। কলমের জোর বলতে কিছুই নেই। বই পড়ছি মানে সাহিত্যিক ভাষার প্রয়োগ থাকবে সেটাই আশা রাখি যে কোনও বই পড়ার আগে। লেখিকার লেখায় সেটা পাইনি। কারণ লেখিকার লেখার হাতযশ নেই সেটা খুব সহজেই বোঝা যায়। থ্রিলার হিসাবে টানটান ব্যাপারটাও নেই। তাই ওনার কেনা আরও দুটি বই 'নরক সংকেত' ও 'অঘোরে ঘুমিয়ে শিব' বাতিলের খাতায় ফেলে দিলাম। সঙ্গে লেখিকার লেখা অন্য কোনও বইও আর কোনও দিন ছুঁয়েও দেখবো না। লোকে যেটা বলতো এই লেখিকার ক্ষেত্রে সেটাই দেখলাম ঠিক। অতিরিক্ত খাজা লেখা। আরও সহজভাবে বললে বলতে হয় খাজাস্য খাজা লেখা। আবর্জনা বা Trash।
বইটির প্রতি আগ্রহ জন্মায় এর প্রচ্ছদ ও নামকরণ দেখে। গল্পের বিষয়বস্তু নিয়ে বলার দরকার বোধ করছি না, সেটা বুক ডেসক্রিপশনে দেওয়া আছে। বইটা কেমন লেগেছে ? এককথায় বলবো আমার তো ভালোই লেগেছে। কল্পবিজ্ঞান + বৌদ্ধধর্ম + মিথ এসবের একটি সংমিশ্রণ 'ঈশ্বর যখন বন্দী'। বইএর ভাষা বেশ সহজ সরল,সাবলীল বর্ণনা,কোনো কঠিন বাক্য ব্যবহার ছিল না, কোথাও বুঝতে কোনো অসুবিধা হয়নি। ভুটানের প্রেক্ষাপটে লেখা এক রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার। এর সাথে আছে রুদ্রানী প্রিয়মের প্রেম - বেশ লাগে দুজনকে, একে অপরের পরিপূরক।রুদ্রানী প্রিয়মের জুটিটা আমার ভালো লেগেছে। একটা ব্যাপারে একটু ডিটেলস দেখালে ভালো হত, প্রাণীদেহে বজ্র সঞ্চারণের প্রক্রিয়াটা কীরকম। গল্পের মূল চরিত্রে আছে - রুদ্রানী, প্রিয়ম, রুদ্রানীর বাবা প্রখ্যাত আর্কিয়োলোজিস্ট সুরঞ্জন ও মার্ক।
সম্পূর্ণ রিভিউ আমার youtube channel এ ( bookishbong )
রুদ্র-প্রিয়ম সিরিজের প্রথম বই। এর আমার পড়া এই লেখিকার প্রথম বই। রুদ্রের মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষদিন হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় তার বাবা। নয় বছর পরে ব্যাংকের ম্যানাজার হয়ে ধনিয়াখালীর এক জমিদার বাড়ি গিয়ে , এক ছবি দেখে আটকে যায় তার চোখ। এই ছবি তার চেনা। একের পর এক রহস্যের ধাঁধায় তারা জড়িয়ে পরে। আর এই জট ছাড়াতে হাজির হয় ভুটানে। রহস্য আর এডভেঞ্চারের মিল ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে। গল্প বেশ ভালোই তবে যেন হঠাৎ করে ,তাড়াহুড়ো করে শেষ হয়ে গেল।
বইয়ের নাম : ঈশ্বর যখন বন্দি লেখক: দেবরতি মুখোপাধ্যায় জনরা : থৃলা��� প্রকাশনী : বিভা ক্লাসিকস কলকাতা প্রকাশ কাল: নভেম্বর ২০১৬ পৃষ্ঠা:২২৪ মূল্য :১৬৬ ভারতীয় রুপি।
কাহিনী সংক্ষেপ:: রুদ্রাণী প্রিয়ম সদ্য বিবাহিত দম্পতি। রুদ্র অফিসে গেলে হঠাত তার স্বামী প্রিয়ম তার ডায়েরিতে কিছু অব্যক্ত কথা পড়ে ফেলে। সেখান থেকে প্রিয়ম জানতে পারে রুদ্র সাম্প্রতি একটা কিছুতে জরিয়ে গিয়েছে। রুদ্র এর অফিসে এক লোক আসে লোন এর জন্য। তার ব্যাংক লোন দিতে রাজি হলে রুদ্র সেই লোক এর কুঠিতে যায়। সেই ধনেখালি জমিদার বাড়িতে রুদ্র আবিস্কার করে বিচিত্র কিছু চিত্র। সে চিত্রকর্ম ছিল প্রাচীন বৌদ্ধ সন্নাসী আর ড্রাগন। ঘটনা ত শুরু হয়েছে আরো অনেক আগে থেকেই । আনুমানিক ৭৫০ সাল, লাল কাপড়ে মোড়া মহামূল্যবান এক বস্তুু নালন্দায় আচার্য শান্তিদেবের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তিব্বতের রুক্ষ নির্জন তুষারপাত এর মাঝে এগিয়ে চলেছে এক অজ্ঞাত পরিচয় সাধক।
রুদ্রের বাবা প্রখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ সুরেনঞ্জন সিংহরায় আট বছর আগে নিঁখোজ হয়েছে। রুদ্রের মা হন্য হয়ে খুঁজার পর এক পর্যায় তাকে খোজা বন্ধ করে দেয় এবং রুদ্রকেও সে সব ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব থেকে দুরে সরিয়ে রাখে। ঘটনা চক্রে জমিদার বাড়ির সাথে তার বাবার সম্পর্ক এসে দাড়ায়। রুদ্র এবার হন্য হয়ে উঠে তার বাবাকে খোজার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় রুদ্র জরিয়ে পড়ে কোন এক ভয়ংকর চক্রান্তে। তার সাহায্য এর জন্য এগিয়ে আসে তার সবসময় এর সঙ্গী তার স্বামী প্রিয়ম। রুদ্রাণী এবং প্রিয়ম তার বাবাকে খোজার জন্য, জমিদার বাড়ির রহস্য এবং আরো কিছু রহস্য এর জন্য পারি জমায় ভুটানে। তার বাবার হারিয়ে যাওয়ার পিছনে ছিল আন্তর্জাতিক কোন চক্রান্ত এবং বজ্রজান বৌদ্ধ ধর্মের অজানা সত্য যা হাতে পরলে ধ্বংস হবে পুরো মানবজাতি। অন্য দিকে ঈশ্বর কে বন্দি করার অদম্য প্রচেষ্টায় এর আগে প্রান দিয়েছে অনেকে। তাহলে কি রুদ্র ও প্রিয়ম পারবে সে রহস্য উন্মোচন করতে? তথা তার বাবাকে খুজে পেতে? আর সত্যি কি ঈশ্বরকে বন্দি করা যায়? আর সে ড্রাগন কি তার রহস্য? ইতিহাস মিথলজি নিয়ে ভারত ভুটান চষে বেরিয়ে রুদ্রাণী আর প্রিয়ম এভেঞ্চার এ সাক্ষী হতে প্রিয় পাঠক আপনিও আসুন দেবরতি মুখোপাধ্যায় এর ঈশ্বর যখন বন্দি তে।
পাঠ প্রতিক্রিয়া :: বইটি প্রসংশা পাবার দাবি রাখে সব ক্ষেত্রে। ইতিহাস তার সাথে মিথলজি এর একটি মিশ্রণ আবার থৃলিং সবকিছু মিলিয়ে অসাধারন বলতে হয়। কলকাতায় ২০১৬ সালে সর্বাধিক বিক্রিত বলি আর জনপ্রিয় বইই বলি সবদিক থেকে বইটি যে চমৎকার তা বলার অপেক্ষা রাখে না । প্রথমত্ব রুদ্র প্রিয়ম চরিত্রদ্বয়, তাদের এডভেঞ্চারে জরিয়ে পরা, তারপর ইতিহাস এর সাথে প্রচলিত মিথ এর সমন্বয়, এবং রুদ্র এর বাবাকে খোজা আর থৃলিং সবকিছুই পারফেক্ট ভাবেই ছিল বইটিতে। তাই বলা যায় অসাধারন একটি থৃলার জনরার বই ছিল এবং আমার কাছে ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদান্তে :: অনেক দিন যাবৎ দেবতরি মুখোপাধ্যায় এর বই পড়বো পড়বো বলো ভাবছিলাম কিন্তু বাংলাদেশি পাঠকদের জন্য কলকাতার বই পড়া সুবিধাজনক হয়ে উঠেনা। তাই কিছুটা চড়াই উতরাই করে গ্রুপ এর সম্মানিত সদস্য রক্তিম আভা ভাই এর থেকে দেবরতি মুখোপাধ্যায় এর দুটি বই ধার নিয়ে প্রথমটি তথা ঈশ্বর যখন বন্দি শেষ করলাম। তো ভাইকে ধন্যবাদ।
ঈশ্বর যখন বন্দি - দেবারতি মুখোপাধ্যায় (বিভা প্রকাশনী, ₹১৬৬)
গত কয়েক বছরের সবথেকে সাড়া জাগানো থ্রিলার বোধহয় “ঈশ্বর যখন বন্দি”। বৌদ্ধ ধর্মের সাথে অংকের ব্যবহার হয়েছে শুনে বইটির প্রতি আগ্রহ জাগে, তারপর দেখলাম প্রচুর মানুষ বইটি পড়েছেন এবং পছন্দ করেছেন। প্রায় এক বছর আগে কলকাতায় গিয়ে বইটা কিনি তবে অন্যান্য বই পড়ার দরুন অবশেষে নতুন বছর শুরু করলাম এই বইটি দিয়ে।
প্রথমে বলি যা ভালো লাগলো -
১) রুদ্রানী আর প্রিয়মের সম্পর্কের খুব সুন্দর ছবি এঁকেছেন লেখিকা। তাদের কথোপকথন একেবারে সাবলীল এবং বিশ্বাসযোগ্য। কারুর শারীরিক বর্ননায় অহেতুক শব্দ খরচ না করেও দুজনের চারিত্রিক বৈশিষ্টকে পাঠকের মনে জায়গা করে দিতে লেখিকা সফল।
২) বেসিক প্লটটা আমার ভালোই লেগেছে। টাইম জাম্প করে অনেক পুরোন দিনের ঘটনা দিয়ে শুরুটাও ভালোই ছিল।
এবার যা খারাপ লেগেছে -
১) কথোপকথনের ভাষায় যে সাবলীলতা রয়েছে, সেই একই ভঙ্গি বাকি গদ্যে চলে আসায় অনেক জায়গায় দেবারতির লেখনশৈলী খুব জোলো ও হালকা হয়ে পড়েছে। একাধিক জায়গায় “উপত্যকা”র জায়গায় “ভ্যালি”র ব্যবহার একটি উদাহরণ। এক্ষেত্রে স্মরঞ্জিত বাবুর ভাষায় যে ভারসাম্য থাকে, সেটা থাকলে গল্পটি আরো সুখপাঠ্য হতো।
তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে সাহিত্যগুন ভালো থ্রিলার বোঝার মাপকাঠি নয়। Arthur Hailey, Robert Ludlum বা Sidney Sheldon এদের লেখা খুব উঁচু মানের সাহিত্য নয়, যদিও থ্রিলার লেখক হিসেবে এঁরা সবাই কিংবদন্তি। থ্রিল ফ্যাক্টর পুরো মাত্রায় থাকলেই সেটি সার্থক থ্রিলার। থ্রিলারের লেখনশৈলীর দিকে তখনই মন যাবে যখন থ্রিল ফ্যাক্টর কম থাকবে।
২) দুটি জায়গায় রহস্যের জট ছাড়াতে অংকের ব্যবহার রয়েছে। প্রথম ক্ষেত্রে সেই জট বড়ই সহজে সমাধান হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ক্ষেত্রে অংকটির ব্যাপারে সম্পুর্ন তথ্যই দেওয়া হয়নি। আর সমাধান? সেটি প্রায় “কোথা হইতে কি হইয়া গেল এবং মোহন মাঝ সমুদ্রে ভাসিয়া উঠিল” গোছের ব্যাপার।
৩) মিউটেশন বা মেটামরফসিসের ব্যবহার রয়েছে একবার। এটি নতুন কোন কনসেপ্ট নয়। Marvel Comics এর X-Men থেকে গত শুকতারা পুজোসংখ্যায় সৈকত মুখোপাধ্যায়ের “পাঁচ নম্বর স্পেসিমেন” সব জায়গাতেই এর ব্যবহার দেখা যায়। মিউটেশনের যোগসূত্রে এনার্জি স্টোর করার কথা রয়েছে এক জায়গায়। তবে এই জটিল কাজটি কিকরে সম্ভব হলো সেই বিষয়টিও “কোথা হইতে কি হইয়া গেল এবং মোহন মাঝ সমুদ্রে ভাসিয়া উঠিল”।
ইন্টারনেট পূর্ব যুগে শশধর দত্ত দস্যু মোহনকে নিয়ে যে ভাবে কাহিনী পরিবেশন করতেন, সেই একই ফাঁক এযুগের গল্পে থাকলে সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মধ্যরাতে চূড়ান্ত অপ্রয়োজনীয় একটি chase sequence এর বদলে এই দিকটায় বেশি শব্দ ব্যয় করলে বেশি ভালো হতো।
শেষে এটাই বলব যে থ্রিলার সিরিয়াস সাহিত্য না হলেও জঁর হিসেবে যে খুবই সিরিয়াস। তাড়াহুড়ো করে শেষ করতে গিয়ে যদি থ্রিলারের ক্লাইম্যাক্সের বারোটা বেজে যায় তবে সেই থ্রিলার কোনদিনও সার্থক থ্রিলার হবে না।
ISSHOR JOKHON BONDI Debarati Mukhopadhyay Biva Publisher 166/-
Sopner mto misti jbn katachilo priyam r rudrani..nistorngo jbn e hotathi ek jomider bari te rudrani dekhte pelo ek lama o dragon er chobi..tar mone pore gelo 8-9 bochor ager tar archaeologist baba r niruddesh hbar ghotona..baba suranjan k joto bari khojar katha vebeche rudrani, badha dieche tar ma..kintu kno?? Babar mrito sir er rekhe jawa maths formula r jore priyam-rudrani suru kore baba k khojar oddhay.. Edike london er ek choto jaygae art-theft der dol-prodhaner chele keli, bikkhato hbar neshae bivor..sudur bhutan e bastobaito hcche tar sopno..asole 1300 bochor ager bojrojan guru Padmashambhav er research k pray churi kore nijer kaj e lagate chay se..kintu ki sei research!!! Onno dike priyam-rudrani jibnpon kore baba r khoj e egoche..jotoi egoche, totoi buddhism..bojrojan pontha..dragon....sb kichu r moddhe harie jache ora..priyam-rudrani ki khuje pabe baba k??ki sotti lukie ache ei itihas er dewal er opor pare?? stti ki ache dragon namer ei odbhut prani?? parbe ki rudrani ra sei stti k voyonkor lok er hathe pora theke bachate...!!!!
Biva pub er notun boi gulo prothom dekhatei mon kere nae..jmn darun procchod..tmni valo page quality..r lekhar kno tulona hbe na..ekke bare notun lekhika Debarati Mukhopadhyay er theke ekta darun thriller pelm..sob milie 166/- puro ushul...bojrojan pontha r padmasambhav k nie prochur research kore lekha hoeche boi ta..bhutan er jayga gulor prakritik bornonao boro sundor diechen lekhika...tobe jotota proyojon tototai..amr bektigoto mot hlo, thriller lekhae prakitik bornona thakbe..kintu ekta limit obdi..nale lekha ta boddo slow lage..jeta thriller e kammo noy..sob miliye banglae lekha valo valo thriller k tekka dite pare ei uponnasti..
Ami isshor-biswasi noyi..tobu bolchi..isshor k bondi korar prochesta bodhae na korai valo..keno bollam emn katha?? jante hole porte hbe... ISSHOR JOKHN BONDI......
* কলকাতার প্রথম কোন থ্রিলার বই পড়লাম। অনেক হাইপ ছিল বইটা নিয়ে। বেস্টসেলার বই নাকি এইটা...
* বইটা কি অনেক ভাল? নাহ! ... প্রথম দিকে গল্পের গাঁথুনি বেশ ভাল ভাবে করা হলেও, গল্পের সাসপেন্স থেকে পরিসমাপ্তি একটু অতিরিক্ত দ্রুতই করে ফেলেছে! এত্ত ভাল ভাবে শুরু করেও সাদামাটাভাবে শেষ করাতে মনক্ষুণ্ন হয়েছি আমি।
* কিছু জায়গায় কাহিনী অতিরিক্ত রকমের অদ্ভুতুড়ে লেগেছে... ভাবতেছিলাম, ক্যামনে কী! গল্পের মুখ্য নায়িকা যখন তার পিতার সাথে দেখা হয়, প্রথমে ভাল লাগলেও, একটু চিন্তা করে দেখলাম, এটা আবার কিভাবে সম্ভব হয়! আবার , ড্রাগনদের যে বর্ণনা ছিল, সেটা আমার কাছে মনে হয়েছে অনেক খামখেয়ালি করে লেখা, আরেকটু সুন্দর করে উপস্থাপন করা যেতো!
* লেখিকার প্রথম বই, সেক্ষেত্রে বলা যায়, অনেক পরিণত লেখা। প্রয়োজন শুধু, আরেকটু গুছিয়ে, শেষে এসে যাতে তালগোল না পাকায়, সেদিকে খেয়াল করা! শুভ কামনা!
থ্রিলারের স্বার্থকতা যদি থ্রিলের মধ্যে নিহিত থাকে, তবে উপন্যাস খানা মোটেও স্বার্থক না।
লেখিকা গবেষণা করেছেন, এবং বইয়ের প্রতি পাতায় পাতায় সেটা টের পাওয়া যায়। তবে গবেষণার মজা থিসিস পেপারে থাকলেও উপন্যাসের জন্য সেটা পরিমিত না হলে উল্টো পথ ধরে। অনর্থক কিছু অংশ জুড়ে না দিলে হয়তো গল্প আরও জমতো। কিংবা গল্প হয়তো জমেছে, শুধু বইয়ের প্রতি অতিরিক্ত আশা ছিল আমার, তাই মনে ধরেনি। অবশ্য কোনো কিছুর প্রতি অতিরিক্ত এক্সেপেক্টেশন রাখা বাদ দিয়েছি অনেক আগে থেকেই, তাই এ বইখানার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কিছু ঘটা অসম্ভব বই কিছুই নয়। তখন আবার স্রোডিংগারের বিলাই তত্ত্বের কথা মনে পড়ে!
মানে বলতে চাচ্ছি ‘ঈশ্বর যখন বন্দি’ আমার ভালো লাগেনি। কিন্তু আমার না ভালো লাগার মানে এই না যে বইটা খারাপ— বই ভালো, আমার কাছে লেগেছে অখাদ্য। ওয়েল, বই না পড়ে গিললে অবশ্য অখাদ্য-ই লাগবে!
দেবারতি মুখপাধ্যায়ের রুদ্র-প্রিয়ম সিরিজের প্রথম বই "ইশ্বর যখন বন্দী"। বইটিকে থ্রিলার বলা হলেও, আমার এখানে আ্যডভেঞ্চারের উপাদানটি বেশী লেগেছে।বইটা শুরুর দিকে মারাত্মকভাবে শুরু হয়। বিশেষ করে ডায়েরির অংশটি।এমনকি বৌদ্ধ ইতিহাস নিয়ে যে ক্ষুদ্র পরিসরে আলোচনা করা আছে, সেটাও প্রশংসা সাপেক্ষ। তবে সাপের কীরকম বিশেষ পদ্ধতিতে পা হতে পারে( কারণ ভুটানের ড্রাগনে পা আছে) অথবা কীভাবে পদ্মসম্ভব সেখানে সরীসৃপ পেলেন(কারণ ওই তাপমাত্রায় তো সরীসৃপ বাঁচে না, তাছাড়া অত বছর আগে প্রযুক্তিও অত উন্নত ছিল না) সেটা নিয়ে খটকা লাগলেও। ফ্যান্টাসির এলিমেন্ট হিসেবে ছাড় দেওয়া যায়। কিন্তু গল্পের শেষদিকটা একদমই শুরুর মতো না। কীরকম একটা তাড়াতাড়ি শেষ হল মনে হচ্ছে। বিশেষ করে ওরকম একটা ভিলেন পুরো শুকিয়ে গেল..😐। সবমিলিয়ে রেটিং: ২.৫
টান টান উত্তেজনা নিয়ে শুরু হয় এই গল্পের। তথ্য সমৃদ্ধ, অনেক কিছু জানা এবং শেখা যায়। লেখিকাকে কুর্নিশ জানাই এরম একটা বিষয়বস্তুর উপর গল্পটিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য-যেটা র পাঁচটা থ্রিলার থেকে আলাদা করে। বাংলা উপন্যাসে এরকম খুব কম দেখা যায় এবং এত রিসার্চ করে সাবলীল লেখায় বোঝানোর জন্য। সবটাই ঠিক চলছিল কিন্তু শেষটা খুব দ্রুত এবং predictable হয়ে গেল। কিছুটা "and they lived happily ever after" এর মতন। শেষের দিকটা ছাড়া নতুন কিছুর স্বাদগ্রহণ করতে এই বইটি অনবদ্য এবং ভুটানে যাওয়ার ইচ্ছেও প্রকট হয়ে উঠেছে। :)
এক্সাইটিংভাবে শুরু হলেও কিছুক্ষণ বাদে যে ঝিম মেরে গেলো আর উঠতে পারেনি। মাঝে দিয়ে কিছুটা ভ্রমণকাহিনীর স্বাদ পাওয়া গেছে তবে থ্রিলার হয়ে উঠেনি কোনো অংশেই। ওভারহাইপড একটা বই!