ASARIRI BHAYONKAR Collection of supernatural stories & novels By Anish Deb
প্রচ্ছদ-সৌজন্য চক্রবর্তী
অলংকরণ- সুদীপ্ত মন্ডল
চোখের পলকে ঝুরো মাটির আবরণ সরিয়ে ভ্যাম্পায়ারটা এক ঝটকায় উঠে বসল। ওটার গা বেয়ে মাটির গুঁড়ো ঝরে পড়তে লাগল। ভ্যাম্পায়ারের মুখটা লম্বাটে। সারা গা ফ্যাকাসে সাদা। চোখ আর ঠোঁট লাল। মাথা ভরতি ঢেউখেলানো ঝাঁকড়া চুল। গায়ে কাদামাটি মাখা একটা ফুলস্লিভ শার্ট, আর গাঢ় ছাই রঙের চকচকে একটা প্যান্ট।
একটা দাঁড়াশ সাপ যেভাবে গাছ বেয়ে ওঠে ঠিক সেভাবে নিলির গা বেয়ে সড়সড় করে উঠে দাঁড়াল ভ্যাম্পায়ারটা। এক ঝাপটায় ছিঁড়ে নিল নিলির গলার রুমাল।
নিলি চোখ বড় করে চিৎকার করতে শুরু করল।
১৩টি অলৌকিক কাহিনি। সবকটাই নতুন এবং ভয়ঙ্কর।
সূচিপত্র –
গল্প –
অন্তরে সাপ ছিল রুপোলি ফ্লাস্ক ডাক যখন আসে এপারে তিনজন, ওপারে একজন কেয়ার অফ অন্ধকার একটা ভাঙাচোরা বাড়ির ভেতরে উজ্জ্বল অন্ধকার তুমি যখন থাকবে না পাঁচ মিনিট পর বিপদে পড়ে আপনাকে বলছি কালো ঘাস ভালো নয়
Anish Deb (22 October 1951 – 28 April 2021) was an Indian Bengali writer and academic. He was noted for his writings in the science fiction and thriller genre. He received several literary awards including Vidyasagar Award in 2019.
Anish Deb was born in 1951 in Kolkata. He completed his B.Tech. (1974), M.Tech. (1976) and Ph.D. (Tech.) with 1 silver and 2 university gold medals in Applied Physics from the Rajabazar Science College campus of University of Calcutta.
Anish Deb started his writing career in 1968. He also edited a number of collections of popular fictions, novels and detective stories. Some of his notable writings are: Ghaser Sheesh Nei, Saper Chokh, Teerbiddho, Teish Ghanta Shat Minute, Hate Kalome Computer, Bignyaner Dashdiganto, Jibon Jokhon Phuriye Jay.
অনীশ দেবের 'অশরীরী ভয়ংকর' বইটা মোটেই তেমন ভয়ংকর নয়। পুরোটা পড়ে ফেলার পর ও সে রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছি। নাঃ, কোন স্বপ্ন- টপনো ও চোখে পড়েনি। বইটার সবচেয়ে ভালো অংশ হচ্ছে বইয়ের ভূমিকা (যেটাকে এই লেখক নাম দিয়েছেন 'এক মিনিট আপনাকে বলছি'); এটা একটা পড়ার মত জিনিস, যদিও মাত্র ৮ লাইনের। আর গল্পগুলো ? সে কথাতেই তো আসছি...
বইটায় ১১ টি গল্প এবং লেখকের ভাষায় "দুটি মাপে বড় হওয়ায় উপন্যাস" । এদের পড়তে কিন্তু মোটেই খারাপ লাগবে না...বরং পড়ে ফেলার পর মনে হতে পারে - এ গল্প এতক্ষণ ধরে পড়লাম !কেন ? সেটার উত্তর আমিও খুঁজে পাইনি... অনীশ দেবের আরও বেশ কিছু লেখার মতই। ভদ্রলোক বোধহয় ম্যাজিক জানেন। প্রথমকথা, গল্পগুলোর সবকটা অলৌকিক কাহিনী নয়... তারমধ্যে কল্পবিজ্ঞান আছে, অপরাধ আছে, আছে হ্যালুসিনেশন এর মত কিছু অতিলৌকিক কিছু ঘটনা। আর দ্বিতীয়ত, যেটা সবচেয়ে মারাত্মক, গল্প গুলোর অধিকাংশই একেবারে সাধারণ জ্ঞানের অতীত। মানে, কিছু কিছু গল্প তো এমন আছে, পড়ে লেখকের মস্তিষ্কের সুস্থতা সম্পর্কে সন্দেহ জাগা অসম্ভব কিছু নয়... কিন্তু যখনি দেখবেন ইনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর দুবার স্বর্ণ আর একবার রৌপ্য পদক বিজয়ী... শুধু তাই নয়...ইনি ছিলেন রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজের অধ্যাপক... তখন সেই সিদ্ধান্ত টা গিলে ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। প্রায় অর্ধেকের বেশি গল্প ভ্যাম্পায়ার দের নিয়ে। সে থাকুক ক্ষতি নেই...কিন্তু কলকাতা শহরে যদি এত ভ্যাম্পায়ার ঘুরে বেড়ায় যে সন্ধের পর বাড়ি থেকে বেরোলেই রক্তহীন মৃতদেহ রাস্তায় পড়ে থাকছে তাহলে ভাবনার বিষয় বৈকি ! অবশ্য কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যে নয়... কলকাতার কিছু কিছু জায়গায় রাতের বেলা অনেক সময়ই কারা যেন ঘুরে বেড়ায়... যারা ভ্যাম্পায়ার কিনা জানি না অবশ্য কিন্তু মানুষের পক্ষে যে ক্ষতিকারক সেকথা সবাই স্বীকার করবে। লেখক কি ঘুরিয়ে এদের কথাই বলতে চেয়েছেন ? জানা নেই...
পত্র ভারতী র প্রকাশনা। লেখক নিজের ইমেল আইডি টাও দিয়ে রেখেছেন যোগাযোগের জন্য। হয়ত Fantasy এরকম ই হবার কথা, তবু মনে হয় লেখক অবিশ্বাস্য কেও বিশ্বাস যোগ্য করে তোলার চেষ্টার ব্যাপারে আরেকটু যত্নবান হলে ভালো হয়।