Jump to ratings and reviews
Rate this book

কল্লোল যুগ

Rate this book

250 pages, Hardcover

First published January 1, 1950

5 people are currently reading
75 people want to read

About the author

Achintya Kumar Sengupta

22 books3 followers
Achintya Kumar Sengupta (19 September, 1903 – January 9, 1976) was a Bengali poet, novelist and editor. After Tagore and Sharat Chandra, he was one of the writers of the modern era in Bengali literature. In 1921, his first poem was published in Probashi patrika under the pseudonym ‘Niharika Debi’. Then he got special achievement in novels and short stories writing. ‘Bede (1928) was first written novel of his and it is known as a prominent novel in modern Bengali literature for its organic, composition stance and formatting issues. There is reflected modernity a very strong way through his writings. Main Content of his compositions were the lives of ordinary working people. He wrote more than seventy books and his notable books are- novels: Kakjyosna, Protham Prem, Bibaher Cheye Boro, Prachir O Pantor, Protham Kadamphul, poetry books: Amabasya, Amra, Priya O Prithibi, Nil Akash, Uttarayan, Biography: Param Purush Sri Sri Ramkrishna, Bireshwar Bibekananda, Story book: Tutaphuta, Kat-Khar Kerosin, Chashabhusha, Ekratry etc.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
7 (33%)
4 stars
8 (38%)
3 stars
4 (19%)
2 stars
2 (9%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 8 of 8 reviews
Profile Image for Rubell.
188 reviews23 followers
February 8, 2021
রিভিউ লেখার সময় নেই। বইটার বেশিরভাগ অংশ ভীষণ উপভোগ করেছি। তাই বইয়ের বিজ্ঞাপনের স্বার্থে কিছু কথা লিখতে মন চাইছে। কল্লোল যুগের কথা সাহিত্যপ্রেমীরা সবাই কমবেশি জানি। বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথই শেষ কথা নয় - এমন চিন্তাভাবনা লালন করা একদল তরুণ সাহিত্যিক নতুন রকম সৃষ্টির আনন্দ নিয়ে লিখতে শুরু করলেন গল্প, কবিতা, উপন্যাস; এসব প্রকাশিত হল কল্লোল নামের পত্রিকায়। পরিচিত-অপরিচিত অনেক তরুণ প্রতিভা যুক্ত হয়েছিল কল্লোলের সাথে। কল্লোলের প্রকাশকাল ১৯২৩-১৯২৯, মানে এখন থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে বাংলা সাহিত্যে তারুণ্যের জোয়ার আসবো আসবো করছে। সেই কল্লোলের সুবর্ণ সময়টার স্মৃতিচারণ করেছেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত।

কল্লোলের একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক কাজী নজরুল ইসলাম কল্লোল প্রতিষ্ঠার আগেই বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন। প্রেমেন্দ্র মিত্র খুব কাছের বন্ধু ছিলেন অচিন্ত্যকুমারের। তাঁর মৃত্য নিয়ে ভাবনাগুলি বেশ মনে দাগ কাটে। প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা চিঠি, অমিয় চক্রবর্তীর চিঠি... আরও কার কার চিঠি পড়লাম মনে পড়ছে না। সব চিঠি বইতে তুলে দিয়েছেন। চিঠি পড়ার আনন্দই আলাদা। বুদ্ধদেব বসু, জসীমউদ্দীন, জীবনানন্দ দাশ, তারাশঙ্কর... সবাই তাদের সাহিত্যিক সত্ত্বার বিকাশে কল্লোলকে পাশে পেয়েছিলেন। মানিক বন্দোপাধ্যায় তার 'অতসী মামী' গল্প নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে হাজির হয়েছিলেন কল্লোলে। এমন কত কত কিংবদন্তী রচিত হয়েছে কল্লোল যুগে। কল্লোলের ছেলেরা কিন্তু রবীন্দ্রনাথ, প্রমথ চৌধুরী, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়দের মত লব্ধপ্রতিষ্ঠ সাহিত্যিকদেরও স্নেহধন্য হয়েছিলেন।
বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করা আরও অনেক রথি-মহারথির টুকরো টুকরো গল্প-কথা নিয়ে সাজানো 'কল্লোল যুগ'।
এই বই না পড়ে থাকলে ভয়ংকর মিস করেছেন। পারলে আজই শুরু করে দিন। শুভকামনা।
Profile Image for Shotabdi.
819 reviews194 followers
April 9, 2021
অন্তরঙ্গতার স্পর্শশিখর ছুঁয়ে গেছে এই অসামান্য স্মৃতিকথাটি, তাও বাংলা সাহিত্যের এক অন্যতম উল্লেখযোগ্য যুগ 'কল্লোল যুগ'কে নিয়ে।
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত এর নাম এবং কাজ উভয়ের সাথেই পরিচয় বহু আগের হলেও কোন লেখা পড়ার সৌভাগ্য হল এই প্রথম। আশ্চর্য স্বাদু গদ্যতে এই বিখ্যাত স্মৃতিকথাটি রচনা করেছেন তিনি।
বাংলা সাহিত্যে যে পত্রিকাটির নামে একটি যুগের সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে, তার অবদান যে কতখানি তা ঘটা করে বলার অপেক্ষা আজকের দিনে রাখেনা তেমন।
বরং বইটি পড়তে পড়তে কী কী মুগ্ধতা ছুঁয়ে গেল তা একটু দেখার চেষ্টা করা যাক।
অচিন্ত্যকুমার এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র।
এই বইটিতে নানান গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিকদের নিয়ে লেখকের ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ থাকলেও সবচেয়ে মন ছুঁয়ে গেছে প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা মায়াময় এবং কাব্যিক চিঠিগুলো। কী অপূর্ব ভাষা এবং ভাব চিঠিগুলোর! লাইনে লাইনে প্রেম, কাব্য, প্রকৃতি, আশা, উচ্ছ্বাস হৃদয় স্পর্শ করেছে। কয়েকবার কেবল এই চিঠিগুলোই পড়া যায় বোধহয়!
বুদ্ধদেব বসু এবং অন্নদাশঙ্কর রায়ের চিঠিগুলোও ছিল বড্ড মনকাড়া। সকলেই শত ব্যস্ততার মধ্য দিয়েও একে অপরের মাতৃকুশলাদি নিতে ভুলতেন না। তখনকার সময়ে আধুনিক কাব্যের জন্য লড়াই করা দলটির গায়ে অশ্লীলতার সাইনবোর্ড আঁটা হয়েছিল, কিন্তু ব্যক্তি জীবনে প্রত্যেকেই স্বাপ্নিক-উদ্যমী এবং ছিলেন বিনয়ী।
প্রেমেন্দ্র মিত্র, বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দ দাশ, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্নদাশঙ্কর রায় এঁদের সম্পর্কে কিছু কিছু তো জানা ছিলই।
এছাড়াও প্রবলভাবে ছিলেন 'দে গরুর গা ধুইয়ে' ডায়ালগটিকে নিজের পরিচয় বানিয়ে ফেলা নজরুল। আমাদের বিপ্লবী, উদ্যমী, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। টুকরো টুকরো আড্ডার অকৃত্রিম স্মৃতিগুলো এবং তাঁদের কথোপকথন এর মধ্যে বাগবৈদগ্ধ্য পড়ে না হেসে পারা যায় না।
পরবর্তীতে কালি-কলম এবং কল্লোল প্রায় একই লেখকগোষ্ঠীর দুই পৃথক বাহন হয়ে উঠেছিল। আর ছিল এই আধুনিক কবিদের পদে পদে হেনস্থা করতে চাওয়া 'শনিবারের চিঠি' এবং সজনীকান্ত দাশ।
শৈলজানন্দ, বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়, যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, যতীন্দ্রনাথ বাগচী প্রভৃতি সকলেই লিখেছেন কল্লোলে। মোহিতলাল মজুমদার অনেক সময় এই শনিবারের চিঠি, কালি-কলম এবং কল্লোলের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করতেন৷
ফাঁকে ফাঁকে কবিতাগুলো জুড়ে দিয়েছেন লেখক। ফলে কার কোন কবিতা কল্লোলে ছাপা হয়েছিল জানা গেছে স্বল্প পরিসরে।
বুদ্ধদেবের প্রগতি পত্রিকার প্রতি ভালোবাসা এবং সেটাকে টিকিয়ে রাখার যে অদম্য স্পৃহা ফুটে উঠেছে অচিন্ত্যকে লেখা চিঠিগুলোতে, সাহিত্যের প্রতি বুদ্ধদেব বসুর গভীর ভালোবাসার ইঙ্গিত বহন করে তা।
ভিনদেশী কবিদেরও মন ছুঁয়েছিল কল্লোল। খুব বেশিদিন না চললেও, তাই কল্লোলের নামেই সৃষ্টি হয়েছে একটি যুগ, সৃষ্টি হয়েছে বাংলা কবিতায় নবধারা, সূচিত হয়েছে এক ঝাঁক প্রতিভাবান কবি-সাহিত্যিকের দৃপ্ত পদচারণা।
সাবলীল এই স্মৃতিকাহিনী কেবল সেই সময়ের প্রতিভাদেরই আরেকটু আলাদা করে চেনায় না, দেখায় কতটা লড়াই এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে এসেছে এক একটা নতুন চিন্তা। অচিন্ত্যকুমার কেবল এই 'কল্লোল যুগ' লেখার জন্য হলেও যুগ যুগ টিকে থাকবেন পাঠকদের হৃদয়মন্দিরে।
Profile Image for বনিক.
31 reviews55 followers
May 31, 2020
কল্লোল যুগ। বাংলাসাহিত্যে কল্লোলযুগের একটা বড়সড় প্রভাব আছে। কল্লোল মূলত একটা পত্রিকা।উনিশশো বিশের গোড়ার দিকে বাংলার কবিতায় একটা Revolution ঘটে এই পত্রিকার মাধ্যমে। বুদ্ধদেব বসু,প্রেমেন্দ্র মিত্র,অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত,সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, অমিয় চক্রবর্তীদের হাত ধরে কল্লোল গড়ে ওঠে।এদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মূলত রবীন্দ্রপ্রভাব থেকে বের হয়ে কবিতার ক্ষেত্রে একটা নতুন জগত সৃষ্টি করা।কবিতাকে পদ্য থেকে গদ্যে বিকশিত করা।অর্থাৎ আমাদের Modern কবিতা বলতে যা বুঝি সেটা প্রথম উঠে এসেছে তাদের হাত ধরে। রবীন্দ্রবিরোধী বলতে যা বোঝায় এরা কিন্তু মোটেই তা ছিল না।শুধু কবিতাটা নতুন গদ্যমাত্রা যোগ করতে চেয়েছিলো তারা।

এইখানে বলে রাখি, অনেকেই হয়তো জানে না, রবীন্দ্রনাথ নিজেই কিন্তু শেষ জীবনে এসে গদ্যরীতিতে বিশ্বাসী হয়ে অনেকগুলো গদ্যকবিতা লিখেছিলেন।কিন্তু সেগুলো সাহিত্যের মানমর্যাদা ধরে রাখতে পারে নি বুঝতে পেরে নিজেই আবার পুরনো ছন্দে ফেরত যান।

তো বইটা সেই কল্লোল যুগের জীবনী সে যুগেরই এক কবির হাত ধরে।কল্লোল যদি নিজে লিখতে পারতো তাহলে সম্ভবত এই লেখাগুলোই বেরিয়ে আসতো তার কলম দিয়ে।লেখকের স্বার্থকতা এখানেই।

তার উপরে পাতায় পাতায় সব বড়ো বড়ো কবি সাহিত্যিকেরা হেসে-খেলে গপ্পো করছে,আর কবিতা লিখে বেড়াচ্ছে ভাবতেই তো গা শিউরে ওঠার অবস্থা!
Profile Image for Kripasindhu  Joy.
543 reviews
July 4, 2024
বেশ ইন্টারেসটিং লাগলো তবে আরও ভাল হতে পারতো। কেমন যেন খাপছাড়া গোছের করে লেখা বলে মনে হয়।
Profile Image for Abdul Ahad.
58 reviews4 followers
September 13, 2023
কল্লোলের সময়টা জানার জন্য অসাধারণ একটা বই। কিভাবে কল্লোলের সূচনা, কিভাবে কল্লোলের লেখকদের আবির্ভাব ঘঠে, সাহিত্য কিভাবে নতুনত্বের স্থান গড়ে উঠে সেই সম্পর্কে পাবেন বিশদ বিবরণ। সেই সময়ের একটা স্থির চিত্র আপনার চোখে ভেসে উঠবে। বিশেষ করে প্রেমেন্দ্র মিত্রের চিঠিগুলো দারুন উপভোগ্য। জীবন সম্পর্কে পাবেন প্রেমেন্দ্র মিত্রের অসাধারণ দর্শন।
Profile Image for Yeasin Reza.
508 reviews86 followers
March 10, 2025
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো কল্লোল যুগ, যা মূলত ১৯২৩ থেকে ১৯৩৫ সালের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই সময়ে বাংলা সাহিত্য একটি নতুন মোড় নেয়, যেখানে প্রথাবিরোধিতা, বাস্তববাদ ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রবলভাবে প্রতিফলিত হয়। ‘কল্লোল’ নামের সাহিত্য পত্রিকার মাধ্যমে এই সাহিত্যধারা শুরু হয়। এবং পরে এটি একটি সাহিত্য-আন্দোলনে পরিণত হয়। মূলত রবীন্দ্রবিরোধী তৎপরতা থেকেই এর শুরু হয়। প্রকৃত পক্ষে বাংলা সাহিত্যের আধুনিকতার যাত্রা শুরু হয় কল্লোল কে কেন্দ্র করে। প্রেমেন্দ্র থেকে শুরু করে নজরুল ,বুদ্ধদেব ,জীবনানন্দ ,তারাশংকর সবাই কল্লোলের স্রোত থেকে আসা। সমকালীন রক্ষণশীল সমাজ কল্লোল কে হজম করতে পারেনি। বিশেষ করে ' শনিবারের চিঠি' একেবারে আদাজল খেয়ে পিছনে লেগে ছিলোও।

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত শুধুমাত্র ' কল্লোল' নামক একটি পত্রিকার সাধারণ স্মৃতি
কথা উক্ত বইতে লিখেননি। বরং তিনি উপন্যাসসম এই বইয়ে অতি যত্নে একটি সময়কে অতি চমৎকারভাবে এঁকে রেখেছেন যে সময় পালটে দিবে গোটা সাহিত্যকে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কোথায় জানি প্রেমেন্দ্র মিত্রকে এই বইয়ের নায়ক বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি একদম ঠিক বলেছিলেন। প্রেমেন্দ্র মিত্রের একেকটা চিঠি এত বিস্ময়কর! জীবন ও জগত সম্পর্কে এত অল্প বয়সে এত গভীর উপলব্ধি কিভাবে আসতে পারে তা ধারণার বাইরে।

বাংলা সাহিত্যের উৎসুক পাঠকদের এই বই পড়া একটা দারুণ অভিজ্ঞতা হবে তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। অচিন্ত্যকুমারের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
Profile Image for Gain Manik.
340 reviews4 followers
December 4, 2024
এই ব‌ইটি পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। অনেক সাহিত্যিক যাদের নাম‌ও কখনো শুনিনি তাদের সম্পর্কে এবং তাদের গ্ৰন্থ সম্পর্কে জানতে পারলাম। এখন ইচ্ছা যে এইসব লেখকদের ব‌ইগুলো সংগ্রহ করে পড়া নয়তো জীবন রয়ে যাবে অসম্পূর্ণ।
Displaying 1 - 8 of 8 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.