পাঠ্যবই এ ছিলো। তাই একরকম মুখস্তই বলা চলে। আমি খুব বেশি ছোট গল্প পড়ি নাই। যাও পড়ছি তাও গল্পগুচ্ছ থেকেই। আর বিদেশী কয়েকটা আছে। তবে নির্দ্বিধায়বলা যায় এটা সেরা। এই চেয়ে ভালো কোনো ছোট গল্প হওয়া আসলে সম্ভম না মনে হয়
Awarded the Nobel Prize in Literature in 1913 "because of his profoundly sensitive, fresh and beautiful verse, by which, with consummate skill, he has made his poetic thought, expressed in his own English words, a part of the literature of the West."
Tagore modernised Bengali art by spurning rigid classical forms and resisting linguistic strictures. His novels, stories, songs, dance-dramas, and essays spoke to topics political and personal. Gitanjali (Song Offerings), Gora (Fair-Faced), and Ghare-Baire (The Home and the World) are his best-known works, and his verse, short stories, and novels were acclaimed—or panned—for their lyricism, colloquialism, naturalism, and unnatural contemplation. His compositions were chosen by two nations as national anthems: India's Jana Gana Mana and Bangladesh's Amar Shonar Bangla.
ফটিক আস্তে আস্তে পাশ ফিরিয়া কাহাকেও লক্ষ্য না করিয়া মৃদুস্বরে কহিল," মা,এখন আমার ছুটি হয়েছে মা,এখন আমি বাড়ি যাচ্ছি।"
আমি বইটি পড়েছি তখন আমি ক্লাস ফোরে পড়ি যে বছর আমার বড় ভাই নবম শ্রেণিতে উঠল। আমার বেশ মনে আছে আমার কোমল মনে বেশ কষ্ট লেগেছিল। গল্পের শেষে এসে চোখ ভিজে গিয়েছে কতবার। ছোটগল্প হয়েও একটি বালক মনের আবেগ কষ্ট সব যেন চোখের সামনে ভেসে উঠে পাঠকের চোখে। আমি জানি না এখন পাঠ্যপুস্তকে আছে কিনা এই ছোট গল্প কিনা। বাংলা সাহিত্যের প্রেমী হলে এই ছোট গল্প না পড়া থাকলে জীবন ষোল আনাই বৃথা।
রবী ঠাকুরের এই একটা ছোট্ট গল্প, আমার সাজানো-গোছানো শহুরে জীবনের পর্দা টেনে ছিড়ে বুকের মাঝে লুকিয়ে রাখা হোমসিকনেস আর স্মৃতিকাতর বিষাদময়তাকে জীবনের মঞ্চে উন্মুক্ত করল।
প্রিয় ফটিক, একবার নিজের বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পরে সে বাড়ি আর নিজের থাকে না। একটাসময় আমাদের নিজের বাড়িতে নিজেকেই অতিথির মতো থাকতে হয়। ছুটিগুলোও বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই যেন শেষ হয়ে যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা প্রকৃতি ও মানুষ সম্পর্কিত ছোটগল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই গল্পটি। গ্রাম্য প্রকৃতি ও পরিবেশে বেড়ে ওঠা এক কিশোর যে ইট-কাঠ-পাথরের খাঁচায় বেমানান তার নিদারুণ করুণ পরিণতির অসাধারণ চিত্রণ চিত্রায়িত হয়েছে। আদিগন্ত বিস্তৃত মুক্ত প্রকৃতিতে ছুটে-খেলে বেড়ানো ফটিকের মামা বিশ্বম্ভরবাবুর কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাবে সাময়িক উচ্ছলতার সৃষ্টি করলেও অচিরেই তার মোহভঙ্গ হয়। একদিকে মামীর অস্বস্তির কারণ আর অন্যদিকে গো-বৎসের ন্যায় মায়ের জন্য তীব্র আকুলতা - এ দুয়ের টানাপোড়েন বয়ঃসন্ধির ফটিকের মনে অব্যক্ত যন্ত্রণার সৃষ্টি করে। বোধহয় তারই পরিণতিতে একাধারে শহুরে পরিমণ্ডলে স্কুল জীবন তথা রক্ত-মাংসের জীবন থেকে ছুটি হয়ে গেল। গল্পের পরিসরে একটি কিশোরের দেহ-মনের পরিবর্তনের সাথে তার বয়সোচিত চাওয়া পাওয়াগুলির অসামান্য মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই ছোটগল্পটি আমাদের বয়ঃসন্ধিকালের একজন বালকের জন্য স্নেহ-মমতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিয়ে যায়। বয়ঃসন্ধিকাল সময়টা খুবই অদ্ভুত। এ বয়েসীদের মাঝে নানারকম শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা যায়। কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের এই সময়টুকুতে সঠিক পথপ্রদর্শন ও পরিমিত স্নেহ মমতা না পেলে তা একজন বালকের জীবনে কতটা নির্মম পরিণতি ডেকে আনতে পারে, তা ‘ছুটি’ গল্পের ফটিকের পরিণতির মাধ্যমেই কবিগুরু সমাজকে বার্তা দিয়ে গেছেন । ফটিকের ভাষাতেই বলি, " আমার ছুটি হয়েছে, আমি বাড়ি যাচ্ছি মা। "
এই গল্পটা প্রথম শুনেছিলাম বাবার কাছে। বাবার দশম শ্রেণির পাঠ্যবইএ গল্পটা ছিল। প্রায়ই গল্পের একটা লাইন আমাদের শোনাতেন, "বারো-তেরো বছরের ছেলের মত পৃথিবীতে এমন বালাই আর নাই"। অনেক বছর পর আবার আজ যখন গল্পটি পড়লাম, এতটুকু মনে হয়নাই যে এতো আগেরই শোনা গল্প। ফটিকের জন্যে যে ক্লেশ অনুভব করলাম তা একেবারেই নতুন, এতটুকুও পুরাতন হয়নি। ফটিকের স্থানে নিজেকে বসিয়ে যে নিদারুণ কষ্ট অনুভব করলাম তার বাস্তবিক উদাহরণই যেন শেষ লাইনটুকু পড়ে চোখ দিয়ে গড়িয়ে পরা জলখানি। "মা এখন আমার ছুটি হয়েছে, এখন আমি বাড়ি যাচ্ছি"
পাঠ্যবইয়ে ছিল, একদিন ক্লাসে প্রদীপ স্যার পড়াচ্ছিলেন। এতো সুন্দর, সাবলীল, মোহনীয় আবেগ দিয়ে পড়াচ্ছিলেন যে আমি কখনো ভুলতে পারবো না। বাংলা যে এত সুন্দরভাবে পড়া যায় স্যারকে আজীবন মনে রাখবো। বাংলা সাহিত্যের আমার সেরা উক্তিটি যে এই ছোট্টগল্পের! "মা, এখন আমার ছুটি হয়েছে মা, এখন আমি বাড়ি যাচ্ছি।"
আমাদের ছোটবেলায় দিন গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল কারণ আমরা বিশ্বকবির মহামুল্য কিছু গল্প পরে ধন্য হতে পেরেছি। ছুটি তার মধ্যে অন্যতম ছোট বেলা থেকেই "ফটিক" চরিত্রটা মনে একটা স্থান করে নিয়েছে, অাস্তে আস্তে বুঝতে পেরেছি মা,বাবা ছাড়া পৃথিবীতে আপন কেউ হয় না যতই রক্তের সম্পর্ক হোক না কেন।
শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। আমি ফটিকের মতোই ছিলাম ;অবুঝ আর উশৃংখল। এই বয়সের ছেলেমেয়েরা অবুঝ হয় বলেই তারা উশৃংখল হয়। অনেক সময় পরিবারের বড়রা এটা বুঝতে ব্যর্থ হয় এবং তাদেরকে সেভাবে মানসিক সাপোর্ট দিতে পারেন। একটা অন্যরকম অনুভূতি হল ❤️
"ছুটি" -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 🍂ফটিক আস্তে আস্তে পাশ ফিরিয়া কাহাকেও লক্ষ্য না করিয়া মৃদুস্বরে কহিল," মা,এখন আমার ছুটি হয়েছে মা,এখন আমি বাড়ি যাচ্ছি।" এই লাইনটি মনে আছে? নবম-দশম শ্রেনীর বাংলা বইয়ে "ছুটি" গল্পটা ছিলো। এই গল্পটি আমার পড়া ছোটগল্পের মধ্যে সেরা একটি গল্প।প্রথম যখন পড়েছিলাম তখন পাঠ্য হিসেবে পড়েছিলাম,কিন্তু তাও পড়তে ভীষণ ভালো লেগেছিলো।কয়েকবার করে পড়েছিলাম।শেষ লাইনটা যতোবারই পড়তাম কি যে ভীষণ একটা কষ্ট হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পগুচ্ছ টা আছে আমার কাছে,এখনো পড়ে শেষ করতে পারিনি।সেখানে "ছুটি" গল্পটা আছে।পাঠ্য হিসেবে পড়েছিলাম আর কাহিনীও মনে ছিলো বলে যখন গল্পগুচ্ছ পড়তে নেই তখন আর "ছুটি" গল্পটা পড়িনি।ভেবেছিলাম পড়বোনা। কিন্তু কিছুদিন আগে আড়ংয়ে গিয়েছিলাম।সেখানে এই বইটা দেখে খুবই মুগ্ধ হয়েছি।ছোট্ট একটা বই,কিন্তু কি যে সুন্দর।😍বইটি ভালোলাগার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে প্রতিটা পৃষ্ঠায় ই কাহিনীর সাথে মিল করে ছবি আঁকা আছে।❤বইটি উল্টেপাল্টে দেখার পর না কিনে আর আসতে মন চাচ্ছিলো না।আর সেই জন্য এই ছোট কিন্তু ভীষণ সুন্দর বইটা কিনে খুশিতে বাক-বাকুম করতে করতে বাসায় চলে এসেছিলাম।^_^
পাঠ্যবই এ ছিলো। তাই একরকম মুখস্তই বলা চলে। আমি খুব বেশি ছোট গল্প পড়ি নাই। যাও পড়ছি তাও গল্পগুচ্ছ থেকেই। আর বিদেশী কয়েকটা আছে। তবে নির্দ্বিধায়বলা যায় এটা সেরা। এই চেয়ে ভালো কোনো ছোট গল্প হওয়া আসলে সম্ভম না মনে হয়।