Rabindranath Tagore, also written Rabindranatha Thakura, (7 May 1861 - 7 August 1941), sobriquet Gurudev, was a Bengali polymath who reshaped Bengali literature and music, as well as Indian art with Contextual Modernism in the late 19th and early 20th centuries. Author of Gitanjali and its "profoundly sensitive, fresh and beautiful verse", he became the first non-European to win the Nobel Prize in Literature in 1913. In translation his poetry was viewed as spiritual and mercurial; however, his "elegant prose and magical poetry remain largely unknown outside Bengal. Tagore introduced new prose and verse forms and the use of colloquial language into Bengali literature, thereby freeing it from traditional models based on classical Sanskrit. He was highly influential in introducing the best of Indian culture to the West and vice versa, and he is generally regarded as the outstanding creative artist of the modern Indian subcontinent, being highly commemorated in India and Bangladesh, as well as in Sri Lanka, Nepal and Pakistan.
Awarded the Nobel Prize in Literature in 1913 "because of his profoundly sensitive, fresh and beautiful verse, by which, with consummate skill, he has made his poetic thought, expressed in his own English words, a part of the literature of the West."
Tagore modernised Bengali art by spurning rigid classical forms and resisting linguistic strictures. His novels, stories, songs, dance-dramas, and essays spoke to topics political and personal. Gitanjali (Song Offerings), Gora (Fair-Faced), and Ghare-Baire (The Home and the World) are his best-known works, and his verse, short stories, and novels were acclaimed—or panned—for their lyricism, colloquialism, naturalism, and unnatural contemplation. His compositions were chosen by two nations as national anthems: India's Jana Gana Mana and Bangladesh's Amar Shonar Bangla.
‘ছোটগল্প’ শব্দটি উচ্চারণ মাত্রই আমাদের মনে যে নামটি ভেসে উঠে তা আর কারো না, নোবেল বিজয়ী বিশ্ববরেণ্য ছোটগল্পকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এখনো পর্যন্ত তিনিই বাংলা ছোটগল্পের প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ রূপকার। বলা বাহুল্য, বাংলা সাহিত্যের প্রায় সকল শাখাতেই তিনি সমগ্রপ্রসারী আর দিগন্তবিস্তারী সৃষ্টি প্রতিভা।
পোস্টমাস্টার গল্পটি প্রথম দিককার গল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম। একটি স্বজনহারা নিঃসহায় গ্রাম্যবালিকার স্নেহলোলুপ হৃদয় আসন্ন স্নেহবিচ্যুতির আশঙ্কায় কী সকরুণ অশ্রুসজল ছায়াপাত করেছে এই গল্পটির উপর!এছাড়াও গল্পে গল্পে দুই অসম স্তরের নরনারীর হৃদয় সম্পর্কের রহস্যকে শিল্পী উপলদ্ধি করতে চেয়েছেন। রতন যে সমাজ তথা পরিবেশ থেকে রস সঞ্চয় করে স্ফীত হয়েছে সেই পরিবেশে পোস্টমাস্টারের দশা জলের মাছকে ডাঙায় তুললে যেমন হয় তেমনি।পোস্টমাস্টার নব্য ইউরোপীয় সভ্যতাপুষ্ঠ এক যুবক আর অন্যদিকে রতন এক অনাথিনী বালিকা।
গল্পে অনাথিনী রতন তার চরিত্রের মধ্যে দিয়ে শাশ্বত নারী সত্তার যে পরিনতি তা অত্যান্ত প্রগাঢ় ভাবে দেখা দেয়। নারী হৃদয়ের যে কান্না তা পাঠকের হৃদয় অরণ্যে এক সুক্ষ দাগ কেটে গেছে। রতন সেই পোস্টআপিস গৃহের চারিদিকে অশ্রুজল ভাসিয়া ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছে। রতনের এই অশ্রুজলের পেছনে বাস্তবে কোন সামাজিক অথবা সাংসারিক ব্যাপার ছিল না। সমস্থ বেদনার উতস কেন্দ্র হৃদয় রহস্যের গভীরে প্রোথিত। নব্য ইউরোপীয় সভ্যতা দীক্ষিত পোস্টমাস্টার সমাজ সংসার বৈষম্যের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হতে পারেনি। পারেনি অনাথিনী রতনকে তার জীবনধারায় একাকার করে দিতে।
সে সময় রবীন্দ্রনাথের বিয়ের কথা চলছিল। সবখানে পাত্রী খোঁজা হচ্ছে, কিন্তু যোগ্য পাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। তখন রবীন্দ্রনাথের ভাবী জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর কথা অনুযায়ী তার সাথে যশোরে বেড়াতে এলেন রবীন্দ্রনাথ। যদিও উদ্দেশ্য কেবল বেড়ানো নয়, বরং রবির জন্যে পাত্রী খোঁজা। যশোরের সেই নরেন্দ্রপুর গ্রামে ঘুরতে গিয়েই একদিন রবির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল সে গ্রামের পোস্টমাস্টারের সাথে। যুবকটি জেলা শহর থেকে এসেছে। গ্রাম্য জীবনের সাথে তার তেমন কোন পরিচয় নেই। নিজের রান্না সে নিজেই রাঁধে। তার ঘরের কাজ করে দেয় একটি বাচ্চা মেয়ে। পোস্টমাস্টার সাহেব মাঝেমধ্যে কবিতা লেখেন.. ঠিক এই পটভূমিকাতেই রবীন্দ্রনাথ তাঁর পোস্টমাস্টার গল্পটি রচনা করেছিলেন। দেখিয়েছিলেন কেমন করে ছোট্ট রতন কি এক 'ভ্রান্তিপাশে' বাঁধা পড়েছিল। হায় বুদ্ধিহীন মানবহৃদয়! ভ্রান্তি কিছুতেই ঘোচে না..
এই গল্পটা যতজন পড়েছে, তার তুলনায় বেশি সংখ্যক মানুষ দেখেছে। অথচ, সত্যজিতের "তিন কন্যা"-র প্রথমেই থাকা এই গল্পটা নিয়ে আমি খুউব কম দর্শককে মন্তব্য করতে শুনেছি। আলোচনার সিংহভাগ জুড়ে থেকেছে 'মণিহারা' (ভূতের গল্প আর সাইকোলজিক্যাল হরর মিশে একাকার), নয়তো 'সমাপ্তি' (সৌমিত্র আর অপর্ণার রোমান্স বলে কথা)। এই গল্পটা যেন 'টেকন ফর গ্র্যান্টেড' হয়েই থেকেছে। যেমন নারীহৃদয়। তার গভীরতা আর ব্যাপ্তির অস্তিত্ব আমরা স্বীকার করি; কিন্তু তাকে প্রায়শই গুরুত্ব দিই না। ভেবে নিই, এমনটাই তো হওয়ার কথা। হয়তো নানা যুক্তি আর ব্যাখ্যা দিয়ে নিজেকে বোঝানোর চেষ্টাও করি, কেন এমনটাই স্বাভাবিক। একাকিত্ব আর অব্যক্ত অনুভূতির এমন সারসংক্ষেপ এত ছোটো একটা লেখায় এমন অনন্য আকারে পরিবেশন— এ শুধু রবি ঠাকুরের পক্ষেই সম্ভব। ক্লাসিক অভিধাটি আছে এইসব লেখার জন্যই।
রবীন্দ্রনাথের, ছোট গল্প গুলো যেন,এক একটি সাহিত্যরত্ন।রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছের,প্রতিটি গল্পই সেরা তারমধ্যে পোস্টমাস্টার, একটি। গল্প শুরু না হতেই শেষ কিন্তু এর মধ্যেই রয়েছে মানব মনের জটিলতা, সমাজের প্রতিবন্ধকতা আরও কতকিছু যা আমার মত ছোট পাঠকের কাছে অগোচরে রয়ে গেছে। পিতৃ-মাতৃহীন রতন পোস্টমাস্টারকে আশ্রয় করে বাঁচতে চেয়েছিল কিন্তু তার সেই শেষ আশ্রয়টি তাকে হারাতে হলো।পোস্ট -মাস্টারের জন্য রতনের যে ভালবাসা বা টান তা সবরকম দেনা-পাওনার বাইরে। গল্পটি পড়ার পর কবিগুরুর কিছু লাইন মাথায় ঘুরছে.... নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে, হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।
"হায় বুদ্ধিহীন মানবহৃদয়!ভ্রান্তি কিছুতেই ঘোচে না,যুক্তিশাস্ত্রের বিধান বহু বিলম্বে মাথায় প্রবেশ করে,প্রবল প্রমাণকেও অবিশ্বাস করিয়া মিথ্যা আশাকে দুই বাহুপাশে বাঁধিয়া বুকের ভিতরে প্রাণপণে জড়াইয়া ধরা যায়,অবশেষে একদিন সমস্ত নারী কাটিয়া হৃদয়ের রক্ত শুষিয়া সে পলায়ন করে,তখন চেতনা হয় এবং দ্বিতীয় ভ্রান্তিপাশে পড়িবার জন্য চিত্ত ব্যাকুল হইয়া উঠে।" এটা ছিল লাস্ট লাইনটা।এই ছোট্ট গল্পটির সারমর্ম!
" Alas for our foolish human nature! Its fond mistakes are persistent. The dictates of reason take a long time to assert their own sway. The surest proofs meanwhile are disbelieved. False hope is clung to with all one's might and main, till a day comes when it has sucked the heart dry and it forcibly breaks through its bonds and departs. "
❝ হায় বুদ্ধিহীন মানবহৃদয়! ভ্রান্তি কিছুতেই ঘোচে না,যুক্তিশাস্ত্রের বিধান বহুবিলম্বে মাথায় প্রবেশ করে, প্রবল প্রমাণকেও অবিশ্বাস করিয়া মিথ্যা আশাকে দুই বাহুপাশে বাঁধিয়া বুকের ভিতরে প্রাণপণে জড়াইয়া ধরা যায়,অবশেষে একদিন সমস্ত নাড়ী কাটিয়া হৃদয়ের রক্ত শুষিয়া সে পলায়ন করে, তখন চেতনা হয় এবং দ্বিতীয় ভ্রান্তিপাশে পড়িবার জন্য চিত্ত ব্যাকুল হইয়া উঠে। ❞
Many readers of this book depict Ratan as an innocent, naive young girl but I think the exact opposite. She is an emotionally intelligent, empathetic, more mature than her age sort of girl. Loving someone you can not have is not a sign of naivety or lack of maturity, rather, I think, it takes a lot more strength to love someone who will not love you back then loving someone who loves you in return. the only factor that matches her age is not knowing about her feelings toward the postmaster. A nice love story, refreshing to read. As always, Tagore does not disappoint.
একবার নিতান্ত ইচ্ছা হইল, ‘ফিরিয়া যাই, জগতের ক্রোড়াবিচ্যুত সেই অনাথিনীরকে সঙ্গে করিয়া লইয়া আসি’ — কিন্তু তখন পালে বাতাস পাইয়াছে, বর্ষার স্রোত খরতর বেগে বহিতেছে, গ্রাম অতিক্রম করিয়া শ্মশান দেখা দিয়াছে — এবং নদীপ্রবাহের ভাসমান পথিকের উদাস হৃদয়ে এই তত্ত্বের উদয় হইল, জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ, কত মৃত্যু আসে, ফিরিয়া ফল কি। পৃথিবীতে কে কাহার।
কোনো এক বর্ষার গল্প, আজ তেমনিই এক বর্ষা, বর্ষাকাল। আমরা আছি বাঙালি, রবিঠাকুরও আমাদের মাঝে বর্ষায়,তার লিখা গানে,কবিতায়,গল্পে।
রতন ও পোস্টমাস্টার, দুটি চরিত্রের শ্রেণীগত অবস্থান ভিন্ন। এ ভিন্নতা জোরালো করেছে তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা।কিন্ত মানুষ সবসময় নিজের চেয়ে উত্তম মানুষের প্রেমেই তো পড়ে তেমনই রতন...?
'বালিকা রতন আর বালিকা রহিল না' নিজের অজান্তেই পোস্টমাস্টার রতনকে হয়তো নিজের প্রেমিকা রূপে কল্পনা করেছিলেন।কিন্ত ভালোবাসা বুঝতেও মানুষের দেরী হয় মাঝে মাঝে খুব তেমনই পোস্টমাস্টারও...?
"জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ, কত মৃত্যু আছে, ফিরিয়া ফল কী? পৃথিবীতে কে কাহার?"
বুদ্ধিহীন মানবহৃদয়ের ভ্রান্তি কিছুতেই ঘোচে না, যুক্তিশাস্ত্রের বিধান বহু বিলম্বে মাথায় প্রবেশ করে, প্রবল প্রমাণকেও অবিশ্বাস করিয়া মিথ্যা আশাকে দুই বাহুপাশে বাঁধিয়া বুকের ভিতরে প্রাণপণে জড়াইয়া ধরা যায়, অবশেষ একদিন সমস্ত নাড়ী কাটিয়া হৃদয়ের রক্ত শুষিয়া সে পলায়ন করে, তখন চেতনা হয় এবং ভ্রান্তিপাশে পড়িবার জন্য চিত্ত ব্যাকুল হয়ে উঠে।
নদীপ্রবাহে ভাসমান পথিকের উদাস হৃদয়ে এই তত্ত্বের উদয় হইল, " জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ, কত মৃত্যু আছে, ফিরিয়া ফল কী। পৃথিবীতে কে কাহার।" "হায় বুদ্ধিহীন মানবহৃদয়! ভ্রান্তি কিছুতেই ঘোচে না, যুক্তিশাস্ত্রের বিধান বহুবিলম্বে মাথায় প্রবেশ করে, প্রবল প্রমাণকেও অবিশ্বাস করিয়া মিথ্যা আশাকে দুই বাহুপাশে বাঁধিয়া বুকের ভিতরে প্রাণপণে জড়াইয়া ধরা যায়, অবশেষে একদিন সমস্ত নাড়ী কাটিয়া হৃদয়ের রক্ত শুষিয়া সে পলায়ন করে, তখন চেতনা হয় এবং দ্বিতীয় ভ্রান্তিপাশে পড়িবার জন্য চিত্ত ব্যাকুল হইয়া উঠে।"
“Alas for our foolish human nature! Its fond mistakes are persistent. The dictates of reason take a long time to assert their own sway. The surest proofs meanwhile are disbelieved. False hope is clung to with all one's might and main, till a day comes when it has sucked the heart dry and it forcibly breaks through its bonds and departs. After that comes the misery of awakening, and then once again the longing to get back into the maze of the same mistakes.”
একবার নিতান্ত ইচ্ছা হইল, “ফিরিয়া যাই, জগতের ক্রোড়বিচ্যুত সেই অনাথিনীকে সঙ্গে করিয়া লইয়া আসি”- কিন্তু তখন পালে বাতাস পাইয়াছে, বর্ষার স্রোত খরতর বেগে বহিতেছে, গ্রাম অতিক্রম করিয়া নদীকূলের শ্মশান দেখা দিয়াছে- এবং নদীপ্রবাহে ভাসমান পথিকের উদাস হৃদয়ে এই তত্ত্বের উদয় হইল, জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ, কত মৃত্যু আছে, ফিরিয়া ফল কী। পৃথিবীতে কে কাহার।
হায় বুদ্ধিহীন মানব হৃদয়! ভ্রান্তি কিছুতেই ঘোচেনা,যুক্তিশাস্ত্রের বিধান বহুবিলম্বে মাথায় প্রবেশ করে,প্রবল প্রমাণকেও অবিশ্বাস করিয়া মিথ্যা আশাকে দুই বাহুপাশে বাঁধিয়া বুকের ভীতরে প্রাণপনে জড়াইয়া ধরা যায়,অবশেষে একদিন সমস্ত নাড়ি কাটিয়া হৃদয়ের রক্ত শুষিয়া সে পলায়ন করে, তখন চেতনা হয় এবং দ্বিতীয় ভ্রান্তিপাশে পড়িবার জন্য চিত্ত ব্যাকুল হইয়া উঠে।
ছোট গল্প এর কথা উঠলেই যার কথা মনে পড়ে তিনি হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পোস্টমাস্টার ও তার একটি ছোটগল্প।
গল্পটির শেষ ছিলো বেশ দুঃখজনক। রতন এর জন্যে কষ্ট হয়। জীবনে কষ্ট সর্বদাই থাকে। যে আজ আছে , সে কাল নেই। কাছে থাকতে মর্ম বুঝতে পারে না মানুষ। দূরে গেলে বুঝতে পারে কিন্তু ততক্ষণে সময় শেষ হয়ে যায়!
হায় বুদ্ধিহীন মানবহৃদয়! ভ্রান্তি কিছুতেই ঘোচে না, যুক্তিশাস্ত্রের বিধান বহুবিলম্বে মাথায় প্রবেশ করে, প্রবল প্রমাণকেও অবিশ্বাস করিয়া মিথ্যা আশাকে দুই বাহুপাশে বাঁধিয়া বুকের ভিতরে প্রাণপণে জড়াইয়া ধরা যায়, অবশেষে একদিন সমস্ত নাড়ি কাটিয়া হৃদয়ের রক্ত শুষিয়া সে পলায়ন করে, তখন চেতনা হয় এবং দ্বিতীয় ভ্রান্তিপাশে পড়িবার জন্য চিত্ত ব্যাকুল হইয়া ওঠে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প পোস্টমাস্টারে নিঃসহায় অনাথী রতনের একাকিত্ব ও প্রেমের আকাঙ্ক্ষার এক হৃদয়স্পর্শী চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। গ্রামীণ পরিবেশ ও পোস্টমাস্টারের শীতল, দফাদার আচরণে রতনের আবেগ নিঃসৃত হয়। কিন্তু সমাজ ও ব্যক্তিগত বাধার কারণে সে তার ভালোবাসার পূর্ণতা পায় না। নারী হৃদয়ের সূক্ষ্ম দ্যুতি, সমাজের সীমাবদ্ধতা ও মানবিক সংবেদন গল্পে অত্যন্ত প্রগাঢ়ভাবে ফুটে উঠেছে।
অবসর বিকেলের জন্য খুব সুন্দর একটা বই। "হায় বুদ্ধিহীন মানবহৃদয়!... প্রবল প্রমাণকেও অবিশ্বাস করিয়া মিথ্যা আশাকে দুই বাহুপাশে বাঁধিয়া বুকের ভিতরে প্রাণপণে জড়াইয়া ধরা যায়, অবশেষে একদিন সমস্ত নাড়ী কাটিয়া হৃদয়ের রক্ত শুষিয়া সে পলায়ন করে, তখন চেতনা হয়..."