Shankar's real name is Mani Shankar Mukherjee. Sankar is a very popular writer in the Bengali language. He grew up in Howrah district of West Bengal, India. Shankar's father died while Shankar was still a teenager, as a result of which Shankar became a clerk to the last British barrister of the Calcutta High Court, Noel Frederick Barwell. The experience of working under Mr. Barwell provided the material for his first book Koto Ojanare (কত অজানারে), translated as The Great Unknown. During 1962, Shankar conceived the idea of writing the novel Chowringhee on a rainy day at the waterlogged crossing of Central Avenue and Dalhousie - a busy business district in the heart of Kolkata. Many of Shankar's works have been made into films. Some notable ones are - Chowringhee, Jana Aranya (জন-অরণ্য, translated as The Middleman) and Seemabaddha (সীমাবদ্ধ, out of which the last two were directed by Satyajit Ray.
এই বছরের ২০ নম্বর সংকলন বিখ্যাত লেখক শংকর এর লেখা ' স্বর্গ মর্ত পাতাল '। এই বইটিতে আছে তিনটি বহুল চর্চিত উপন্যাস ' জন অরণ্য ' ' সীমাবদ্ধ ' এবং ' আশা আকাঙ্খা '। এই প্রথম আমার পরিচয় হলো শংকর এর লেখনীর সাথে সত্যিই ছিটকে দেওয়ার মতো। সহজ সরল সাবলীল ভাষায় ১৯৭০ দশকের যে সকল কাহিনী গুলো বলেছেন সেগুলো যেন আজ ও সত্য। আমার কাছে যে বইটি আছে সেটি বহু পুরোনো ১৯৮৫ এর প্রিন্ট তাই সেই বইয়ের ছবি আর ব্যবহার করলাম না। এই বছর আমি একটি লিস্ট তৈরি করেছি বাংলা ক্লাসিক উপন্যাস এর সেগুলোই আগে পড়ে শেষ করবো এই বইটিও সেই লিস্টের অন্তর্গত। বইয়ের তিনটি উপন্যাস নিয়ে ছোট্ট আলোচনা করে রাখলাম
১) জন-অরণ্য : গল্পটা কলকাতার, গল্পটা বেকার যুবক সোমনাথ ও সুকুমারের।লেখক সোমনাথ ও সুকুমারের মাধ্যমে বেকার জীবনের দুঃখ-দুদর্শা, জীবন যুদ্ধ তুলে ধরেছেন। চাকরি চাকরি করে একটা নিরপরাধ সুস্থ ছেলে পাগল হয়ে গেল, সুসভ্য সমাজতান্ত্রিক সমাজ তার জন্যে কারও মনে কোন দুঃখ, কোন চিন্তা নেই, কোন লজ্জা নেই। সত্যিই এই জন অরন্যের মাঝে সামাজিক এবং পারিবারিক চাপ একজন বেকার ছেলের জীবনের উপর কিভাবে প্রভাব বিস্তার করে এই উপন্যাসে তা লেখক খুব সুন্দর বর্ণনা করেছেন।
২. সীমাবদ্ধ - হিন্দুস্থান পিটার্স কোম্পানি লিমিটেড। সুশিক্ষিত শ্যামলেন্দু চ্যাটার্জী এই কোম্পানির ফ্যান শাখার সেলস এর ম্যানেজার, একটা প্রমোশন হলেই ম্যানেজিং ডিরেক্টর। শ্যামলেন্দু পাটনায় শিক্ষকতা করতেন সেখান থেকে কলকাতায় এই কোম্পানির ম্যানেজার, স্যালারি এর সাথে সাথে জীবন শৈলীও উচ্চমানের হয়েছে। কোম্পানি প্রদত্ত বহুতল ফ্ল্যাট, কর্পোরেট লাইফ, ক্লাব, রেসের মাঠ এই নিয়েই কেটে যাচ্ছে। সীমাবদ্ধতা শুধু কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের সামাজিক ও আর্থিক দায় অব্দি, কোনরকম আনএথিকাল কাজ এর (কোম্পানির হিতে অথবা বিপরীতে) ক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। আর এই সুযোগ এই কোম্পানির একটা ক্রাইসিস সময়ে শ্যামলেন্দু নিজের বিচার বুদ্ধির জোরে কোম্পানিকে একটি বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়, কাজটা আনএথিকাল অবশ্যই কিন্তু নিজের বিবেকের কাছে কি জিততে পারবে শ্যামলেন্দু?
৩. আশা আকাঙ্খা - কমলেশ রায়চৌধুরী একজন বিজ্ঞানী, তিনি রিসার্চ করছেন ভারতীয় সরকারের অধিনস্ত রাসায়নিক সার প্রস্তুতকারক একটি কোম্পানিতে। এমনিতেই বাড়ির বাইরে থেকে একার সংসার, এরপর তিনি বিয়ে করেন। নব্য বিবাহিতা স্ত্রী কে ফুলশয্যার দিনে কলকাতায় রেখেই কমলেশ কে ফিরে যেতে হয় কর্মস্থলে। একদিকে সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী এর দাবী এবং আশা আকাঙ্খা অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রের কঠিন লক্ষ্যপূরণের জন্য দিনরাত নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার তাগিদ। শেষ পর্যন্ত কি পারবে কমলেশ উভয় দিক সফল হতে নাকি বিফল হবে, ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্সের উপর এই অনবদ্য উপন্যাসটি আমাকে যেমন ভাবিয়েছে আশা করি পাঠকরাও সহমত হবেন।
পাঠ প্রতিক্রিয়া - এই সকল ব্লকবাস্টার বইগুলোর রিভিউ করার ক্ষমতা আমার নেই, আমি যা লিখছি তা শুধুমাত্র আমার মনের ভাব ব্যক্ত করেছি, উপন্যাসগুলো পড়ে। এই বইয়ের ভাষা খুবই সাবলীল, যে কেউই পড়ে ফেলতে পারেন, প্রতিটি উপন্যাসই বেশ গতিময়।
♦️ জন অরণ্য - উপন্যাসের শুরুটা ঠিক ফ্ল্যাশব্যাকের মত, জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট দিয়ে গল্প শুরু তারপর লেখক ধীরে ধীরে উপন্যাসের মূলস্রোতে প্রবেশ করেন। সোমনাথ বাড়ির ছোট ছেলে, বড় দুই ছেলে জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত, ছোট ছেলে বাড়িতেই থেকে চাকরির চেষ্টা করছে। সোমনাথের কষ্ট, ব্যর্থতা, মানসিক অবসাদ খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। ♦️ সীমাবদ্ধ - আজকাল দিনের কর্পোরেট বেচু বাবুর জীবনী, সকাল বিকেল সন্ধ্যে বড় বড় কোম্পানি আপনার সময় কিনে রেখেছেন। এই সময়ের বদলে আপনি এবং আপনার পরিবার পাবেন যাবতীয় সুখ স্বাচ্ছন্দ্য, প্রচুর মাইনে, বিলাস বহুল বহুতল, সর্বক্ষণের সাহায্যকারী হাত। আর এই এত টাকার বিনিময়ে কোম্পানি নিজের স্বার্থে আপনাকে দিয়ে কোনো অনৈতিক কাজ করিয়েই নিতে পারে, আপনি কি বিবেকের দংশন সারাজীবন বয়ে বেড়াবেন নাকি হয়ে উঠবেন একজন ম্যানেজিং ডিরেক্টর?
♦️ আশা আকাঙ্খা - ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্সের উপর একটি দারুন উপন্যাস। কমলেশ রায়চৌধুরী এর কর্মব্যস্ত জীবন এর খুব সুন্দর বর্ণনা করেছেন লেখক। জীবনের ওঠা নামা, কর্মক্ষেত্রের কঠিন লক্ষপূরণের চাহিদা তার সাথে জীবনের ছোট ছোট ভালো লাগা গুলো খুব সুন্দর লেগেছে। এই বই সকলেই পড়েছেন আশা করি যারা এখনো নুতুন পাঠক তারা এই বই মিস করবেন না।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক শ্রী মনিশংকর মুখোপাধ্যায়ের তিনটি উপন্যাসের সংকলন ‘স্বর্গ মর্ত পাতাল’। সত্তর দশকের কলকাতার রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে লেখা উপন্যাস তিনটি হলো: জন অরণ্য, সীমাবদ্ধ, আশা-আকাঙ্ক্ষা।
✓জন-অরণ্য
উপন্যাসের শুরুটা ঠিক ফ্ল্যাশব্যাকের মত, জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট দিয়ে গল্প শুরু তারপর লেখক ধীরে ধীরে উপন্যাসের মূলস্রোতে প্রবেশ করেন। কলকাতার জন্ম অরণ্যে দুই বেকার যুবক সোমনাথ ও সুকুমার। লেখক এই দুই যুবকের মানসিক ও পারিবারিক চাপের মধ্য দিয়ে বেকার জীবনের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেছেন।
✓সীমাবদ্ধ
হিন্দুস্থান পিটার্স কোম্পানি লিমিটেড কোম্পানির ফ্যান শাখার সেলস এর ম্যানেজার শ্যামলেন্দু চ্যাটার্জী। আগে শ্যামলেন্দু পাটনায় শিক্ষকতা করতেন। তারপর কলকাতায় এই কোম্পানির ম্যানেজার হয়েছেন, জীবন শৈলীর মান উন্নত হয়েছে। কোম্পানির দেওয়া বহুতল ফ্ল্যাট, কর্পোরেট লাইফ, ক্লাব এইসবের মধ্যে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন কোম্পানির হবু ম্যানেজিং ডিরেক্টর শ্যামলেন্দু বাবু। সীমাবদ্ধতা কার? শুধু কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের? যারা সামাজিক ও আর্থিক ভাবে পর্যদুস্ত। বহু টাকার বিনিময়ে কোম্পানিতে একটি অনৈতিক কাজ করে শ্যামলেন্দু বিবেক যন্ত্রণায় কষ্ট পান।
✓আশা আকাঙ্খা
বিজ্ঞানী কমলেশ রায়চৌধুরী ভারতীয় সরকারের অধিনস্ত রাসায়নিক সার প্রস্তুতকারক একটি কোম্পানিতে গবেষণার কাজে নিযুক্ত আছেন। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী কে ফুলশয্যার দিনে কলকাতায় রেখেই কমলেশ বাবুকে ফিরে যেতে হয় কর্মস্থলে। একদিকে সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী এর আশা আকাঙ্খা অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রের দায়বদ্ধতা, এই দুইয়ের মধ্যে কিভাবে সামঞ্জস্য রাখবেন তিনি? জীবনের ওঠা নামা, কর্মক্ষেত্রের কঠিন লক্ষপূরণের চাহিদা তার সাথে জীবনের ছোট ছোট ভালো লাগা গুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই উপন্যাসটিতে।