Jump to ratings and reviews
Rate this book

নির্বাচিত প্রবন্ধ

Rate this book

159 pages, Hardcover

First published February 1, 2017

2 people are currently reading
29 people want to read

About the author

Sheikh Hasina

67 books39 followers
Sheikh Hasina is the current Prime Minister of Bangladesh, in office since January 2009. She previously served as Prime Minister from 1996 to 2001, and she has led the Bangladesh Awami League since 1981. She is the eldest of five children of Sheikh Mujibur Rahman, the founding father and first President of Bangladesh, and widow of the nuclear scientist M. A. Wazed Miah. She is also sometimes referred-to as Sheikh Hasina Wazed, her married name.Hasina is a member of the Council of Women World Leaders, an International network of current and former women presidents and prime ministers.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
1 (16%)
4 stars
1 (16%)
3 stars
3 (50%)
2 stars
0 (0%)
1 star
1 (16%)
Displaying 1 of 1 review
Profile Image for Mridul.
45 reviews2 followers
June 9, 2018
বইটি মোট ১৩ টি প্রবন্ধের সংকলন ।তবে প্রবন্ধগুলি একই সময়ে লেখা নয় । রচনার সময়কাল ১৯৯১ সাল হতে ২০০৭ । এর মধ্যে লেখিকার বিরোধী দলের নেত্রী থাকাকালীন লেখা যেমন স্থান পেয়েছে তেমনি প্রধানমন্ত্রিত্বকালীন কিছু লেখাও আছে । এই কারণে বইটির রাজনৈতিক আবেদন অন্য বইয়ের থেকে বেশি বলে আমার মনে হয়েছে ।

অধিকাংশ প্রবন্ধ রাজনৈতিক, কিছু ঐতিহাসিক, আর কিছু স্মৃতিকথা । রাজনৈতিক প্রবন্ধগুলো অতি স্বাভাবিকভাবেই নিজ দলের সাফাই এবং বিরোধী পক্ষকে তুলোধুনো করে লেখা । সব লেখার সাথে অবশ্যই একমত না । সময়সীমা এই বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ । খুব সরলভাবে নিজের মনের কথা গুলোই বলি । বিরোধী দলে থাকাকালীন তিনি মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, ভোটের অধিকারের কথা যেভাবে বলেছেন তাঁর বর্তমান ভাবমূর্তির সাথে তা পুরোপুরি বেমানান । আমাদের দেশে রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় থাকলে নিজে ভাল আর বিরোধী দলে থাকলে সরকার খারাপ এই ধারণা পুঁজি করে এক ধরণের ব্যবসা করে আসছেন । লেখিকা তৎকালীন সরকার সম্পর্কে যে সকল অভিযোগ করেছেন তা হয়ত মিথ্যা নয় । তবে আত্মসমালোচনা করার মত মানসিকতা এবং সত্যকে গ্রহণ করার মত সাহসিকতা এক সময় আমাদের রাজনীতিবিদদের হবে এর বেশি কিছু আশা করি না ।

সামাজিক প্রবন্ধ সম্পর্কে বিশেষ ভাবে বলতে চাই । তাঁর লেখা আমাকে অনেক আশান্বিত করেছে । তাঁর দেশ ও সমাজ ভাবনা আশা জাগানিয়া । এটা তো সত্য যে আওয়ামী লীগ সরকার সামাজিক উন্নয়ন ও সুরক্ষা খাতে যথেষ্ট অবদান রেখেছে । তাঁর লেখায় সমাজে নারীর ভূমিকা, বৈষম্য দূরীকরণ, সামাজিক সুরক্ষা ও সুবিচার স্থান পেয়েছে । অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা তিনি খুব সহজ উদাহরণ দিয়ে নিজের মত ব্যাখ্যা করেছেন ।
শিক্ষা সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ বইয়ে স্থান করে নিয়েছে । এই লেখাটির জন্য তাঁকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাব । তিনি সহজ সরল কথা লিখেছেন, সর্বজনীন শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন । কিন্তু যা আমার কাছে অভূতপূর্ব মনে হয়েছে সেই লাইনগুলো হুবহু তুলে দিচ্ছি,
"আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি যে, আপনারা অনেকেই ভাবেন ঐসব মেধাবী ছাত্রছাত্রীর কথা যারা মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করেও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না । এদের অনেকেই দ্বার থেকে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে । তাদের কথা অবশ্যই ভাবতে হবে এবং তাদের উচ্চ শিক্ষার জন্য পথ প্রশস্ত করে দিতে হবে । কিন্তু আমি তাদের কথা ভাবতে চাই, যারা মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করতে পারে নি । আমরা কি ভেবে দেখেছি তাদের সংখ্যা কত ? .............. তারাও অনেক স্বপ্ন অনেক কল্পনা ও আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল । .......আমি এই সম্ভাবনাময় বিরাট জনশক্তিকে হতাশার তিমির থেকে কর্মের ক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনতে চাই।" লেখাটির সময় অতি অবশ্যই বিরোধী দলে থাকাকালীন । যাই হোক , তিনি যে এই বিষয়ে চিন্তা করেছেন সেই কারণে তাঁর প্রতি অতিরিক্ত শ্রদ্ধা তৈরি হল ।

স্মৃতি চারণা করেছেন কয়েকটি প্রবন্ধে । সেই লেখা গুলোই বইয়ের মূল আকর্ষণ । এত আবেগাক্রান্ত বর্ণনা শুধু খাঁটি সাহিত্যিকের কলম থেকেই নির্গত হয় । এই লেখা গুলো পাঠকের মর্মস্পর্শ করবে বলেই আমার বিশ্বাস । "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" আগে পড়া থাকায় বেশ কিছু ঘটনার পুনঃবিবরণ পেলাম, যেমন ৫২ সালে পিতার সাথে জেলে দেখা করতে দাদার সাথে ঢাকায় আসেন কিন্তু দেখা হয় না , কারণ বঙ্গবন্ধুকে তখন ফরিদপুর জেলে স্থানান্তর করা হয়েছে । আবার এমন কিছু ঘটনাও লিখেছেন যা আগে কোথাও পড়ি নি । ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় বাবার সাথে দেখা করতে যাওয়া, তথ্য পৌঁছে দেওয়া । পাঠক আবেগাক্রান্ত হবেন ৩২ নম্বরের বাসাটির বর্ণনা পড়ে । তাঁর মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ধীরে ধীরে বাসাটি গড়ে তুলেন আর এক সময় তা পুরো বাংলাদেশের হৃদয়ে পরিণত হয় । সে সময়ের বর্ণনা দিয়েছেন তিনি, সাথে সাথে পাঠকও যেন দেখতে পান এক অন্য শেখ হাসিনাকে যিনি একজন তরুণী কন্যা, শিক্ষার্থী ।

পরিশেষে বলব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন দক্ষ রাজনীতিক ও প্রশাসকই নন তিনি একজন ভাল লেখিকাও বটে । তার ভাষার উপর দখল, বাক্যে উপমার ব্যবহার, প্রতিপক্ষকে ব্যঙ্গ ও কটাক্ষ করার দক্ষতা বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতিবিদদের মাঝে বিরল । বইয়ে বাংলার মধ্যবিত্ত, সংস্কৃতিবান পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর নতুন পরিচয় আবিষ্কার করে আনন্দ পেয়েছি ।
Displaying 1 of 1 review

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.