Jump to ratings and reviews
Rate this book

আপনাকে বলছি স্যার

Rate this book
Letter to a Teacher by the School of Barbiana

136 pages, Hardcover

First published January 1, 1970

11 people are currently reading
111 people want to read

About the author

Salil Biswas

1 book1 follower

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
21 (33%)
4 stars
24 (38%)
3 stars
13 (20%)
2 stars
2 (3%)
1 star
2 (3%)
Displaying 1 - 21 of 21 reviews
Profile Image for Farzana Raisa.
530 reviews237 followers
April 11, 2021
অবিশ্বাস্য!
ভাবা যায়, মূল বইটা লেখা হয়েছে ১৯৫২ সালের দিকে আর এখন এই ২০২১ সালে এসেও ঠিক বারবিয়ানা স্কুলের সেই ছাত্রদের মতোই অভিযোগ করছে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা?

ইতালির অখ্যাত একটা অঞ্চলের অখ্যাত স্কুল বারবিয়ানা। অধিকাংশ ছাত্রই (ছাত্রীর সংখ্যা তখন হাতে গোণা) নিম্নবিত্ত পর্যায়ের। শিক্ষা ব্যবস্থার নানান অসংগতি নিয়ে কয়েকজন ছাত্র মিলে লিখেছে এই বইটি। ১৯৭০ এর দিকে বইটার অনুবাদ করেন সলিল বিশ্বাস। পাদটিকা থেকে বোঝা যায়, ইতালির সাথে তখনকার ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার তফাত খুব একটা নেই। আর আমি বইটা পড়লাম, ২০২১ এ। সেই একই বৈষম্যমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা চলছে এখনও। কতোটুকু পরিবর্তন হলো আসলে?

বইটা পড়তে পড়তে তোত্তোচান বইটার কথা খুব মনে পড়ছিল। আর আফসোস হচ্ছিল খুব! তোত্তোচানের মতো ভাগ্য যদি আমাদের দেশের বাচ্চাদের হতো! (এখানে ধনী গরীব নির্বিশেষে সকলকে বোঝানো হচ্ছে) তবে শিক্ষার্থীরা চোখের জলে নয়, হেসে খেলে শিক্ষা অর্জন করতো। আর সেই শিক্ষা, সেই আদর্শকে লালন করতো আমৃত্যু! বইটার বক্তব্য বারবিয়ানা স্কুলের শিক্ষার্থীদের হলেও, মূল বক্তব্যে সবাই একমত হবেন বৈ কি! শিক্ষাকে করতে হবে অনেক বেশি মানবিক এবং সার্বজনীন। শিক্ষকদের হতে হবে আরও বেশি আন্তরিক। শিক্ষায় বৈষম্য বা আজগুবি নীতিমালাগুলো কিংবা বিদঘুটে আর অদ্ভুত বইপত্র আর সিলেবাস শিক্ষার্থীদের গেলানোর সিদ্ধান্ত নেবার আগে নীতিনির্ধারকগণ সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের কথা একটা বার ভেবে দেখেবেন কি?

*শিক্ষক কিংবা শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারে ভূমিকা রাখছেন-এমন সবার জন্য মাস্ট রিড।
Profile Image for ফারহানা জাহান.
Author 5 books57 followers
April 9, 2021
বইটার কথা শুনেছিলাম অনেকবার। ইচ্ছা ছিল পড়বো। তবে বলে না, কিছু বই পড়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট বয়সসীমা নির্ধারণ করা থাকে। এই বইটাও তেমন কিছু। এই বয়সে পড়ার চেয়ে বইটা যদি স্কুলপড়ুয়া অবস্থায় হাতে পেতাম, তবে তখন শিরদাঁড়া বেয়ে একটা উত্তেজনার স্রোত টের পেতাম_'আসলেই তো!' বইতে ইতালির শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কথা থাকলেও অনুবাদকের কল্যাণে আমরা ভারতবর্ষের শিক্ষাব্যবস্থারও একটা আলোচনা দেখতে পাই। সবথেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে এত আগের বই হওয়া সত্ত্বেও সেই সমস্যাগুলো, সেই ধ্যানধারণা, সেই অথর্ব সিস্টেমের প্রায় সবটাই এখনো বহাল তবিয়তে শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কে মেদ ধরিয়ে যাচ্ছে। এখানে তাও ছোটো বাচ্চাদের কথা বলা, এই যুগে এসে তো বুড়ো বাচ্চাদেরও ওই তোতাপাখির বুলি মুখস্ত করতে হয় পেটের তাগিদে, তাতে জানার আকাঙ্ক্ষা আদতে কতটুকু থাকে তা নিয়ে নাই বললাম।

বইটাতে এসব সমস্যা উত্তরণের কিছু সমাধান দেওয়া আছে। সবকিছুর সাথে একমত নই অবশ্যই। গল্পকথক যেহেতু একজন শিক্ষার্থীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সমাধানগুলো দিয়েছেন, যদিও তাতে বিশ্লেষণ আর পরিসংখ্যানের উল্লেখ আছে, তবুও সেসবে বাচ্চাসুলভ বা আবেগতাড়িত কিছু সমাধান নজরে পড়ে। একটা উদাহরণ দেই, বইটি অনুযায়ী একটা অন্যতম সমাধান হলো শিক্ষকরা চিরকুমার থাকবেন, যেমনটা গান্ধীজি ছিলেন। এতে করে তারা সার্বক্ষণিক পাঠদানের সুযোগ পাবেন এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি একাগ্র মনোনিবেশের অবকাশ পাবেন৷ এখানে ভালো প্রস্তাবের কথাও বলা দরকার। বইতে 'ডোপোস্কুওলা' রীতির সাথে আমাদের পরিচিত করা হয়েছে। এখানে বয়সে একটু বড় শিক্ষার্থীরা তাদের থেকে ছোটোদের পড়াশোনা শেখায়৷ একটা শিক্ষার্থী যদি কোনো প্রসঙ্গ না বুঝতে পারে তবে তার জন্য সকলেই অপেক্ষা করে। এখানে কোনো বাধাধরা সিলেবাস নেই, সময় নেই। আলোচনা, রেডিও শোনা, কাগজ পড়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বহির্বিশ্বের সাথে পরিচিত হয়। এখানে কোনো পরীক্ষা নেওয়া হয় না, তাই পাস-ফেলের চিন্তা নেই। স্কুলের গৎবাঁধা পড়াশোনায় যেসব শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয় তারা এই 'ডোপোস্কুওলা' তে এসে নিজেদের মস্তিষ্কে শাণ দেয়। সেই সাথে গরীব পরিবারের সন্তানরাও একটু পরিচর্যা পায়, যা তাদের স্কুল থেকে পাওনা ছিল।

ভাবতে আফসোস হয়, এত এত লেখা, এতজনের এত তত্ত্ব-উপাত্ত-সমাধান, তার পরেও শত বছরের এই শিক্ষাব্যাবস্থার জড়তা কাটে না_এখনো তোতলানোতেই আটকে আছে।
Profile Image for Ranendu  Das.
156 reviews63 followers
June 7, 2021
এতো জঘন্য বই জীবনে পড়িনি।
শিক্ষককে প্রায় শ্রেণীশত্রু ধরে নিয়েই এই বই লেখা হয়েছে। পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্যে যে শিক্ষার দাবী করে শিক্ষকদের শ্রেণীশত্রু হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, সেই শিক্ষাকেই আবার অন্যত্র বড়লোকের সংস্কৃতি বলে ব্যাঙ্গ করা হয়েছে। শিক্ষক এখানে শ্রমিক নয়, শিক্ষককে ধরে নেওয়া হয়েছে বুর্জোয়া সুবিধাভোগী শ্রেণী হিসেবে। লেখার ভাষা থেকে এটাও পরিষ্কার যে বইটি ভূমিকায় যেমনটি বলা হয়েছে, মোটেও সেরকম কোনো ছাত্রদের দ্বারা লিখিত নয়, বরং বইটি লেখা হয়েছে নিশ্চিত ভাবে হিংসক মনোবৃত্তি সম্পন্ন বয়ষ্ক কারো দ্বারা। এই বইতে মহিলাদের যে ভাবে, যে ভাষায় সম্মোধিত করা হয়েছে, তা আর যাই হোক কোনো সুসভ্য সংস্কৃতির পরিচায়ক নয়। এটি একটি অতীব ফালতু বই যা লেখা হয়েছে সম্পূর্ণ একরকম চরম রাজনৈতিক মতাদর্শের বাধ্যবাদকতা থেকে। বইটি পড়া সময়ের এবং বোধের অপচয়।
বৈকল্পিক শিক্ষা দানের উপায় সম্মন্ধে আরেকটি বইএর উল্লেখ করা প্রয়োজন যা হলো তোত্তো-চান। যারা এই বইটি পড়ে আপ্লুত বোধ করবেন, তারা অবশ্যই যেন তোত্তো-চান বইটি পড়েন।
Profile Image for Shapla.
28 reviews4 followers
August 16, 2022
এটা আমাদের শিক্ষামন্ত্রীকে উপহার দিলে কেমন হয়?
Profile Image for Onu Tareq.
29 reviews208 followers
July 1, 2022
অনেক অনেক বছর পর একটি বই পড়লাম যার প্রতিটি লাইন ভাবালো, খুব যে নতুন করে ভাবালো তা নয়, কারণ অনেক অনেক শব্দ-বাক্য-ভাবনা-অভিজ্ঞতায় নিজের স্কুল-কলেজ জীবনের মিল খুঁজে পেতে পেতে যেন সেই জগতে ফিরে গেছিলাম।

ক্ষমতা থাকলে বাংলাদেশের ( বিশ্বের সকল দেশেই) প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, সবার আগে অবশ্যই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, তারপর মাধ্যমিক, উচ্চ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষকের পড়ার জন্য বাধ্যতামূলক করে দিতাম, আর তারপরে পড়ার ব্যবস্থা করতাম ছাত্রদের জন্যও।

নিশ্চিত ভাবেই এই বই একবার পাঠ করে উপলব্ধি করলে সে আর আগের মানুষটি থাকে না, অন্তত কিছুটা হলেও আলোর চেতনা জাগ্রত হয় ভিতরে।

ইতালির তুসকানি রাজ্যের ফ্লোরেন্সের কাছেই অবস্থিত এক অখ্যাত গ্রাম বারবিয়ানা। সেই গ্রামেই এক স্কুল ছিল, সেই স্কুলের আট জন ছাত্র মিলে তাদের শিক্ষকদের লিখেছিল কিছু কথা, জীবন ঘষে পাওয়া সেই প্রতিটা শব্দ যেন ভাবায় আমাদের, জানায় অমিত সম্ভাবনার জীবনকে কিভাবে নষ্ট করে ফেলি আমরা ভুল মানুষের ভুল দিক নির্দেশনায়। এই বই নিয়ে মারভিন হফম্যান নামের এক মার্কিন শিক্ষক লিখেছিলেন,

“ সবার আগে আমি সাধুবাদ দিব বারবিয়ানার ছেলেদের। ১৯৬০ সালে উচ্চারিত এই ছেলেদের কথা আজও অনুরণিত হয়ে চলেছে সারা আমেরিকা জুড়ে, তথা ��ারা পৃথিবী জুড়ে। দুঃখের কথা। কারণ, সেই ছেলেরা যে সমস্যাগুলোকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলি লিখেছিল সেসব সমস্যা একইভাবে পৃথিবীর সমস্ত পড়ুয়াকে আর শিক্ষকদের আচ্ছন্ন করে রেখেছে। কিন্তু ছেলেদের কণ্ঠস্বরের দিক থেকে গৌরবের কথাও বটে। তারা কী অসাধারণ গভীরতায় সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করেছিল সে কথা ভাবলে আশ্চর্য হতেই হয়।“

লোরেনজো মিলানি নামের এক রোমান ক্যাথলিক পাদ্রী জীবনের প্রথম থেকেই চেষ্টা করছিলেন জনগণের স্কুল প্রতিষ্ঠা করার, প্রত্যন্ত বারবিয়ানা গ্রামে বদলি হয়ে গেছে তিনি শিক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা ‘অশিক্ষিত’ আর নিপীড়িত মানুষের ‘সার্বভৌম ব্যক্তিত্বে’ পরিণত করতে যারা স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারবে, নিজেদের মনের চিন্তা প্রকাশ করতে পারবে এবং সেই চিন্তার সমর্থনে বিতর্ক চালাতে পারবে। যুদ্ধবিরোধী চিন্তা প্রচার করায় উনার নামে মামলা রজু করে ইতালির সরকার এবং মামলা চলা অবস্থায়ই মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মিলানি মারা যান, সেই সময়ের মাঝেও তাঁর একাধিক বই নিষিদ্ধ করেছিল সরকার ধর্মদ্রোহ, যুদ্ধবিরোধিতা ইত্যাদি নানা কারণে!

বইটির প্রথম লাইনগুলো তুলে দেবার লোভ সামলাতে পারছি না,

প্রিয় স্যার,
আমাকে আপনার মনে পড়বে না। আমার নামও নিশ্চয় আপনি ভুলে গেছেন। আপনি আমাকে আর আমার মতো অনেককে অনেকবার ফেল করিয়েছেন।
আমি কিন্তু আপনার কথা অনেক ভেবেছি, আপনার মতো শিক্ষকদের নিয়ে চিন্তা করেছি। যে অচলায়তনটিকে আপনার ‘স্কুল’ বলেন তার আসল চেহারা দেখেছি। সেইসব ছেলেমেয়েদের কথা আমার মাথায় ঘুরে বেড়িয়েছে যাদের আপনারা ফেল করিয়ে কলে-কারখানায় আর মাঠে ছড়িয়ে দেন, আর বেমালুম ভুলে যান তাদের কথা।

এইই শুরু, এর পরে উঠে আসে একে একে নানা অবহেলা, শোষণ, বঞ্ছনার কথা। যেখানে এই ছাত্র তার শিক্ষকদের বলতে বাধ্য হন,

‘আপনাদের সংস্কৃতির ব্যাপারটাই এই, আপনারা মনে করেন আপনারাই গোটা দুনিয়া।‘

সেই লেখক ছাত্রের কথা আছে, যে শিক্ষক হয়ে মাঝে মাঝে ক্লাস ইচ্ছা করে সামান্য ভুল করে সমস্ত ছাত্রদের কাতারে নিজেকে সামিল করে খুব সুন্দর করে সবাইকে নিয়ে গুছিয়ে ক্লাস শেষ করতেন, আর সেই সাথে নিজেদের শিক্ষকদের অথর্ব শিক্ষা পদ্ধতির তুলনাও করেছেন। পরীক্ষা নিয়ে সরাসরি বলেছেন

“পরীক্ষা ব্যাপারটাই, জানেন, তুলে দেওয়া উচিত। আর যদি পরীক্ষা নিতেই হয় তাহলে অন্তত সুবিচার যাতে হয় সেটা দেখা উচিত। খামোখা কঠিন প্রশ্ন করে ছাত্র ঠকানোর প্রবণতা যেন না থাকে পরীক্ষকের। ছাত্ররা তো আর শত্রুপক্ষ নয়!
তবু আপনারা কঠিন কঠিন প্রশ্ন করে অবান্তর সমস্যা সাজিয়ে ছাত্রদের বিপদে ফেলেন। কেন করেন এমন? ছাত্রদের ‘ভাল’-র জন্য?

এভাবেই তারা ঝরঝরে ভাষায় বলে গেছিল ধনী সমাজের সন্তানের প্রতি শিক্ষকদের পক্ষপাতিত্ব, গরীবের সন্তানকে সরাসরি তার বাবার সামলেই বলা ‘এর মাথায় কিছু নেই্, ওর দ্বারা কিছু হবে না’’, কোচিং ব্যবসার বিরুদ্ধে মতামত, এমন অনেক অনেক অনেক কিছু।

শিক্ষক বন্ধুরা, আপনার অন্তত বইটা পড়ুন। আপনাদের ছাত্র-ছাত্রীরা কিছুটা হলেও শুধুই ভালো ছাত্র না হয়ে আলোকিত মানুষ হবার দিকে এগিয়ে যাক।

( ১৯৬৭ সালে বইটি ইতালিতে প্রকাশিত হয় ‘লেটার টু এ টিচার’ ( লেত্তেরা আ উনা প্রোফেসোরসা) ।
বাংলায় সলিল বিশ্বাসের অনুবাদে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৭ সালে কোলকাতার বাউলমন প্রকাশন থেকে।
বাংলাদেশের বাতিঘর সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে কিছুদিন আগে, মলাটমূল্য রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা। বাতিঘরকে ধন্যবাদ এই অসাধারণ বইটিকে প্রকাশ করার জন্য। )


Profile Image for Raihan Sultan.
12 reviews8 followers
December 16, 2017
সব বিষয়ে একমত হতে না পারলেও, এক কথায় বলতে হয়- অসাধারণ একটি বই! ৩০-৪০ বছর আগের ইতালির প্রেক্ষাপটে লেখা হলেও, আজকের এই দিনে এসেও বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে সম্পূর্ণ মিলে যায়। সব শিক্ষকদের অবশ্যপাঠ্য এই বই।
শিক্ষাদান সম্পর্কে তাঁদের চিন্তাভাবনার অনেকটুকু পরিবর্তন নিয়ে আসবে এটা হলফ করে বলা যায়।
Profile Image for মোহতাসিম সিফাত.
180 reviews50 followers
June 19, 2022
Boi ta onek purano context e lekha holeo kisu extract ekhkonkar tym eo projojjo. business based education system er against e etake use kora jay. Prottekta teacher er pore neya uchit ei boi ta, jno unara future e erokom na kore
Profile Image for Himel Rahman.
Author 7 books46 followers
December 18, 2019
২/১টা বিষয়ে দ্বিমত আছে বলে তো আর রেটিং কম দেওয়া যায় না। মানের দিক থেকে বিচার করলে যুগান্তকারী একটি বই। নাহলে নন-ফিকশন হওয়া সত্ত্বেও আমার মতো পাঠককে টানা দেড়ঘণ্টা বসিয়ে রাখতে পারতো না।
Profile Image for Rupak Faisal.
5 reviews
January 15, 2023
“আপনাকে বলছি স্যার” বইটি আসলে একটি খোলা চিঠি। এই বইয়ের লেখকবৃন্দ অর্থাৎ বারবিয়ানা স্কুলের আটজন ছাত্র সম্মিলিতভাবে এই বইয়ের “আমি” আর “আপনি” হচ্ছে বিশ্বের সকল শিক্ষক। এই আটজন লেখকের লেখা বইটিতে তাদের যুক্তি-তর্কের আধার বারবিয়ানা স্কুলে তাদের শিখন-শিক্ষণের অভিজ্ঞতা। ইতালির মুজেল্লো অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম বারবিয়ানা, সেখানেই ১৯৫৪ সালে ফাদার দন লোরেনজো মিলানি তাঁর বৈপ্লবিক ও প্রথাবিরুদ্ধ শিক্ষাচিন্তার আলোকে গড়ে তোলেন বারবিয়ানা স্কুল। সে স্কুল আমার আপনার চেনা কোনো স্কুল নয়। রোজ সেখানে গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়া হতো সংবাদপত্র, চলতো খবর নিয়ে আলাপ-আলোচনা। পড়া হতো আইনি দন্ডবিধি আর সংবিধান, তারপর সেই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক। এখানে ছাত্ররা বিদেশি ভাষা শিখতো রেকর্ড বাজিয়ে, ঠিক যেভাবে আমরা মাতৃভাষা শিখি। শিক্ষক কারা ? ছাত্রদের মধ্যেই যারা বয়সে একটু বড়, তারাই ছোটদের পড়াতো। ভেবে দেখুন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দরিদ্র ঘরের স্কুলে-খেদানো ছাত্ররাই পরষ্পরকে পড়াচ্ছে, কী অদ্ভুত সুন্দর লাগছে, না?!

আমাদের স্কুলের সেসব গোবেচারা, অসহায় সহপাঠীদের কথা মনে পড়ে? পরীক্ষায় যারা বারবার ফেল করেছে, ক্লাসে যারা কখনোই পড়া পারেনি? আমাদের শিক্ষকরা “ফেল করা, পড়া না পারা” ছাত্রদের জন্য একটা উপাধি আলাদা করে রেখেছিলেন- “গাধা”। এই উপাধির বোঝা ঘাড়ে নিয়ে দিন দিন সেসব ছাত্ররা ন্যুব্জ হয়েছে সংকোচে, তাদের আত্মবিশ্বাস ভেঙে গেছে বরাবরের মত। অথচ এসব “গাধা”রা যেন শিখতে পারে সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব আদতে কার ছিলো?! উপাধির বোঝা ঘাড়ে চাপিয়ে যিনি তার ছাত্রের শেখার ইচ্ছেকে মেরে ফেললেন, তিনি কি তার দায়িত্ব পালন করেছেন আদৌ?! এসব প্রশ্নগুলো আমাদের মনেও কোনো না কোনো সময় এসেছে, কিন্তু আমরা এগুলোকে মনের ভুল ভেবে বাদ দিয়েছি। বাদ দেয়নি বারবিয়ানা স্কুলের ছাত্ররা। স্কুল, শিক্ষক, শিক্ষাব্যবস্থার এই আজব কান্ড-কারখানাকে ময়নাতদন্ত করে তারা লিখেছে এই বই।

বারবিয়ানা স্কুল প্রতিষ্ঠার মূলে ছিলো “অশিক্ষিত” ও নিপীড়িত মানুষদের সার্বভৌম ব্যক্তিত্বে পরিণত করার প্রয়াস যেন সেসব মানুষেরা নিজেদের মনের চিন্তা প্রকাশ করতে পারে এবং সেই চিন্তার সমর্থনে বিতর্ক চালাতে পারে। আর এই মূঢ়তা আর নৈ:শব্দের সংস্কৃতির মূলে আঘাত হানতেই লেখা এই বই। আমার চোখে স্কুল অব বারবিয়ানা আমার পাঠ্যবইয়ে পড়া স্বপ্নের “জ্ঞানীয় সমাজ”; আর চেনা পৃথিবীর অচেনা বৈষম্যকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে অন্তরের অন্ত:স্থলে আলোড়ন জাগানোর মত বই ”আপনাকে বলছি স্যার: বারবিয়ানা স্কুল থেকে”।
Profile Image for Tuton Mallick.
100 reviews4 followers
October 24, 2019
বই: আপনাকে বলছি স্যার
বারবিয়ানা স্কুল থেকে
অনুবাদক: সলিল বিশ্বাস
অরিজিনাল বুক: Letter to a Teacher by the school of BARBIANA

রেটিং: ৫.০/৫.০
এতটুকু পর্যন্ত দেখে খুব অবাক হচ্ছেন নিশ্চয় রেটিং দেখে। বইটি এতটাই ভালো যে সম্ভব হলে আমি ৫.০ এ্য বেশি রেটিং দিতাম। কারণ এই বইটি একটি দেশের শিক্ষানীতি কে পরিবর্তন করেছে অথবা বলতে পারেন এখনো পরিবর্তন করে যাচ্ছে। বইটি লেখার উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল। বইটি বাংলা ভাষায় কলকাতা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৭ সালে। এবং এটি প্রকাশের পর কলকাতা তে অনেক শিক্ষক শিক্ষাব্যবস্থার ভুল নিয়ে চিন্তা করা শুরু করেছে।
বারবিয়ানা একটি অনন্য স্কুল যেটি ইতালি তে অবস্থিত। ঐ স্কুল কে অনন্য বলার কারণ তারা প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে সরে এসে পাদ্রী লোরেনজো মিলানি এর উদ্যোগে সম্পূর্ণ নতুন স্কুল শিক্ষা চালু করে পিছিয়ে পড়া ছাত্র ছাত্রী দের নিয়ে। এই বইয়ে মূলতঃ স্কুল-কলেজ শিক্ষা নিয়ে কথা বলা হয়েছে। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে মনে করি বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষক এর এই বই একবার পড়া উচিত এবং ঐ শিক্ষকদের যদি জ্ঞান বুদ্ধি বিবেচনা থেকে থাকে তাহলে নিজের চিন্তা ভাবনায় কিঞ্চিৎ পরিবর্তন হলেও আসতে বাধ্য।
আমরা কি আসলেই কখনো চিন্তা করেছি স্কুলে আমার পরীক্ষায় নম্বর বেশি পাবার উপায় ব্যতীত আর কিছু কি শিখায়! আমরা কি আসলেই ক্লাসে কম বুঝে, পারে না, এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কখনো ভেবেছি বরং আমরা হেসেছি ; এসব ছাত্র ছাত্রী আবার পড়তে এসেছে।
পাদ্রী মিলানি এর এই শিক্ষা চিন্তা অনেক দেশ অনুসরণ করছে। অনেক দেশ চেষ্টা করছে।
আমি খুব অবাক হচ্ছি কেন এই বইটি আমি এতদিন পরে আমার কাছে আসলো।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যারা শিক্ষক শিক্ষিকা, যারা শিক্ষানীতি নিয়ে কাজ করেন তারা যেন অন্তত একবার বইটি পড়েন।

সর্বোপরি বাতিঘর প্রকাশনী কে হয়তো এই প্রথম আমি মন থেকে ধন্যবাদ দিচ্ছি এইরকম একটি উল্লেখযোগ্য বই প্রকাশ করার উদ্যোগ নেবার জন্য।

অনুবাদক/লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই ধরনের একটি বই অনুবাদ করার জন্য।

#ধূসরকল্পনা
Profile Image for Subarna.
11 reviews3 followers
September 5, 2021
This book acted like a stepping stone in the revolutionary history of Italy in education reformation. Though some rigid outlooks were there in the book, such as teachers shouldn't get involved in marrietal relationship as it hinders the full potential and the level of dedication in the service of teaching. But also, in the context of Bangladesh and the society, this statement is half true. We often get to see that the academician female individuals, especially who choose the teaching profession in any educational institutions, lack behind in improving their research background, constructing new and improved methods to teach, after getting married mostly. So, cannot deny entirely. It is one of the bravest books I've ever come across as it brutally pointed it's finger out on all the classist, racist education systems of the world, because these systems are more or less identical in nature.
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for ANIT.
86 reviews2 followers
July 12, 2023
সুদূর ইতালির এক ক্ষুদ্র জনপদে বসে বারবিয়ানার ছেলেরা স্কুলস্তরে শিক্ষার ভালোমন্দ নিয়ে আলোচনা করে চিঠি লিখেছিল শিক্ষকদের কাছে, উচ্চশিক্ষার স্তরে কী কী হতে পারে তা নিয়ে বিশেষ কোনো কথা তারা বলেনি। তবুও, তাদের চিঠিতে এমন কিছু গভীরতর বক্তব্য লীন হয়ে আছে, যা জ্ঞানার্জনের সকল প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক সংবেদনশীল মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।

এলিট শাসিত সমাজে এলিট তৈরী, এক পুরুষ থেকে পরের পুরুষে এলিট এর পুনরুৎপাদনের প্রক্রিয়াতে শিক্ষার ভূমিকাটি তাদের কলমে বাস্তবতার ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে।


- আপনাকে বলছি স্যার
Profile Image for Swati Ray.
40 reviews5 followers
September 6, 2020
A new idea. Not that I agee to all the ideas of how things should work but the book really opens up to the set of problems that the not-so-priviledged students face. A good trigger point to start thinking about what the schooling system should offer to different types of students.
Profile Image for Ashraful Islam Saeem.
53 reviews4 followers
May 12, 2024
মুদ্রার একপিঠের গল্প শোনা গেলো।
Profile Image for সৌমিত্র বিশ্বাস.
115 reviews7 followers
February 9, 2021
“কোন হাসপাতাল যদি কেবল সুস্থ্য ব্যক্তিদের পরিচর্যা করে আর রোগাক্রান্তদের বাদ দেয় তাহলে তাকে কি বলা হবে?”
এমন প্রশ্নই করা হয়েছে গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে “আপনাকে বলছি স্যার” বইটিতে। প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা আসলে এই ব্যপারটিকে ঘটতে দেখি প্রতিনিয়ত। যেখানে এগিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়া হয়, পুরস্কৃত করা হয় আর ব্যর্থদের, ফেল করাদের বাদ দিয়ে দেওয়া হয় স্কুল থেকে। কিন্তু এই ব্যবস্থা মেনে নিতে পারেননি একজন, তিনি ফাদার মিলানি (পুরো নাম ডন লোরেঞ্জো মিলানি)। মিলানি ১৯৫৪ সালে বারবিয়ানা চার্চে (ইতালি) যোগদান করেন। যোগদানের পর তিনি বারবিয়ানাতে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন যেটা ছিল প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বিদ্যালয় থেকে বাদ পড়া ছেলেমেয়েদের নিয়েই গড়ে উঠেছিল তার বিদ্যালয়টি। এই ব্যতিক্রমী বিদ্যালয়টির শিক্ষা পদ্ধতি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে পুরোন ছাত্রেরা অনেক সময়ই নতুনদের পড়াত, আর শিক্ষার অঙ্গ হিসেবে পড়ুয়াদের সমাধান করতে হত তাদের প্রাত্যহিক জীবনের নানা সমস্যা। এই ব্যতিক্রমী বিদ্যালয়টিই সে সময় সাড়া জাগিয়েছিল সমগ্র ইতালীজুড়ে।
Profile Image for Md. Mahmudul Hasan.
36 reviews
January 2, 2020
বই পড়া শেষ হওয়ার পর মনের যে একমাত্র চাওয়া ছিল বারবিয়ানা স্কুলে পড়ার। কিন্তু যোগ্যতা, অর্থনৈতিক সামর্থ্য এবং বাস্তবিক পক্ষে আনুষ্ঠানিক বিদ্যালয় না হওয়ার কারণে পিড়া হলো না। আজ থেকে ৩০-৪০ বছর আগে রচিত হওয়া সেই বই এখনো যেন শিক্ষকের জন্য আবশ্যকীয় পাঠ্য হিসেবে দাঁড়িয়ে। যদিও বইয়ের সব বিষয়ের সাথে একমত হওয়া যায়না এবং বইয়ে যেসব সমস্যার কথা বলা আছে তার সব সমাধান দেয়া হয়নি তারপরেও বইটি তার নিজস্ব আলোয় আলোকিত। লেখকের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা সেই সময়ের তুলনায় কত অগ্রগামী ছিল এবং বাস্তবিকপক্ষে সবার জন্য শিক্ষা বাস্তবায়নের যে কথা বলেছিল তাই আজকের পৃথিবী পালন করে চলছে। জানিনা অদূর ভবিষ্যতে কী হবে কিবে কিন্তু চাই বইটি যাতে হারিয়ে না যায় বাংলা ভাষা থেকে।
8 reviews
November 23, 2012
I was hoping to read about day-to-day life at the school -- how it was run, what the philosophy was. Instead this is an argument against the Italian education system, with a strong socialist bias. I agree that it sounds like the system need(ed) to be fixed, but the conclusions don't follow from the evidence given. Anyway, it was disappointing not to get what I'd hoped for from the book, but compelling enough that I finished it (but then I rarely don't finish a book once I start it).
Profile Image for Matteo.
144 reviews
November 12, 2007
i only read this in italian, not in english. in italian, it is a punch to the stomach, perhaps the most powerful piece of writing about teaching and learning (and the social relations in which schooling happens) i have ever read.
3 reviews1 follower
November 5, 2008
I read Chinese translation of this book, which is published by Step Forward Multi-Media Co Ltd located in Hong Kong
Displaying 1 - 21 of 21 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.