"জেনে রেখো এ জগতে সকলেই গরু যে যারে ঠেকাতে পারে সেই তার গুরু"
থোতঁা মুখ ভোঁতা করে দেওয়ার প্রবাদবাক্য বাংলায় একদম সুপরিচিত,তবে আমাদের মতো যারা নিরস প্রকৃতির তারা ঐ ভোঁতা করতে আসলে মশা মারতে কামান দাগার মত লাঠিসোটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লেও উজ্জ্বল ব্যতিক্রম এই বঙ্গের সূর্য সন্তানেরা ,তারা যেমন করনে পটু বলনেও তাদের জুড়ি মেলাটা তখনকার ভূভারত তো বটেই এখনকার দিনেও খুঁজতে বের হলে দেখা যাবে খড়ের গাদায় ছুঁচ খুঁজতে খুঁজতে নিজের ই গলদঘর্ম হয়ে রণে ভঙ্গ দিতে হবে।তার চেয়ে বরং বইপত্তরের রস আস্বাদন করে যতদিন বেঁচে বর্তে থাকা যায় ততই মঙ্গল।
বইয়ের সন্ধান পেয়েছিলাম বইয়ের হাট গ্ৰুপের এক ধারাবাহিক লেখায়, প্রতিদিন ফেবু খুললেই ওমা আজ এর কান্ড তো কাল ওর কান্ড এমন ভঙ্গিতে লেখা যে কোনোটা পড়ে হেসে লুটোপুটি খাচ্ছি তো কোনোটাতে হো হো করে না হলেও এক চিলতে হাসি লেগে থাকছে।
কেউ কবিতা লেখেছে অথচ তা পড়ার যোগ্য নয় ,বেশ তো তাকে ঈশ্বরচন্দ্রের ঐ উপরের কবিতাখানা শুনিয়ে দিন,ব্যস বুদ্ধিমান হলে তো কেল্লা ফতে আর না বুঝলে বিবেকানন্দের মতো ঝিকে না মেরে সরাসরি বৌকেই না হয় বুঝিয়ে দিন।
একই নামের দুই ব্যক্তি হলে নাম বিভ্রাট?আরে মশাই শরৎচন্দ্র আর শরৎচন্দ্র কেই দেখুন না, একজন চরিত্রহীন আর একজন বিদুষক, বুঝলেন না তো?বলছি দাদার ঠাকুর শরৎচন্দ্র পন্ডিত যিনি সন্তানের মৃত্যুর পরও রসিকতায় বলছেন"৬৪ দিন ড্র রাখতে পেরেছিলুম,আজই গোল দিয়ে দিল"আর দ্বিতীয় টি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় , সাহিত্য সভায় তো বটেই হাঁটে মাঠে এমন কোনো জায়গা ছিল না যেখানে তিনি মাতিয়ে রাখতেন না।
আজকের দিনে একটা জামা পরে না কি একের বেশি অনুষ্ঠানে যাওয়াই যায় না, হিসেবের খাতা বারবারই হারিয়ে যায় যত্রতত্র,চিন্তা নেই। শিবরাম আছে কি করতে!হিসেবটা না হয় দেয়ালেই লিখে ফেলার অভ্যাস করা যায় , ছেঁড়া জামা পরেও দিব্যি হাসতে হাসতে বলা যায় ভালো জামা গুলো লন্ডির রসিদ যে ঐ চোরে চুরি করে নেওয়া কাপড়ের মধ্যে রয়ে গেছে,ব্যস আপনাকে আর কথায় হারায় এ সাধি্য কার!
যেখানেই যাচ্ছেন ছায়ার মতো কেউ অনুসরণ করছে?আরে চিন্তা কিসের নজরুলের মতো কোকিল কন্ঠ না হলেও বা কি হেঁড়ে গলায় না হয় গেয়েই দিলেন"তুমি টিকটিকি জানি ঠিকঠিকই" এরপরে ও কেউ পিছু নেয় এমন চক্ষুলজ্জাহীন ব্যক্তি খুব বিশেষ আশেপাশে নেই হলফ করে বলা যায়।
উপহার দিতে চান কিন্তু আবার কাছেও রাখতে চান?বেশ তো কবিগুরুর মতো কাউকে খুঁজে নিন যে উপহারেও বলবে আমি চাইনে আপনার এই ভেট,কিংবা ভুলে যাওয়ার রোগ?ঠিকাছে যখন কাউকে সামনে পাবেন তাকেই না শুনিয়ে দিবেন নিজের কথা গুলো।
কণ্যাদায়গ্ৰস্থ পিতা পিছু ছাড়ছে না? সুভাষ চন্দ্র দেখিয়ে গেছেন পালানোর পথ,বলুন আমি ঘরে যত না থাকি জেলেই থাকি বেশি?এরপর আর বিয়ে হয় না হওয়া সম্ভব?
এরকম আরো কতশত ঘটনায় যে ভরপুর এই বই ,বলে শেষ করা যাবেনা বলারই বা দরকার কি!আমিই যদি সব বলে দি তবে আপনারা পড়বেন টা কি?
আমরা বাঙলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ নজরুল, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্র এনাদের বই পড়ার পর মনে হয়, যেন তারা বাস্তব জীবনেও ঠিক এমন ই। অনেক গুরুগম্ভীর হয়ে থাকেন। আসলে তা নয়। সবার পেছনেই একটা হাস্যরাত্মক মানুষ লুকিয়ে ছিল। হয়ত সেটা জানার জন্য সময় ও পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করতে হত। . তবে সবাই যে পরিমাণ রসিক ছিলেন তা বলার বাইরে। এক একজন তার অপরজনের থেকে এক কাঠি উপরে। কেউ কাউকে ছাড়তে চান না। সবাই যেন অপরে ছাড়িয়ে যাবার প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন। কে কতটা রসিক সেটা প্রমাণ করার জন্য যেন উঠে পরে লেগেছিল। . আসলে সাহিত্যিক থেকে মনীষী সবাই নিজের এমন ভাবে তুলে ধরেছেন যেন তারা এভাবেই কথা বলতে পছন্দ করতেন। বই না পড়া হলে জানতাম যে এনারা কতটা রসিক ছিলেন।