জোছনরূপ সুদর্শন, মেধাবী। ছাত্রাবস্থায় দারিদ্র্যের সঙ্গে রীতিমতো যুঝতে হয়েছে তাকে। এক চোখ কানা ছিল তার ছোড়দির। বেড়ালটা ছোড়দিকেই কেন বেশি ভালবাসে, এই ঈর্ষায়, ছোট বেলায় সে লাট্টু দিয়ে বেড়ালের চোখ কানা করতে চেয়েছিল। আহত, পলায়ন পর মার্জারটি ধরতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল ছোড়দি। সেই ধাক্কায় মা পক্ষাঘাতে পঙ্গু হয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে গোটা পরিবার। প্রায় মাতৃহীন শৈশবে দুই দিদির তত্ত্বাবধানে বেড়ে উঠছিল জোছনরূপ। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্নে বিভোর সে এমনকী বয়ঃসন্ধিতেও নারী সম্পর্কে আগ্রহী ছিল না। অথচ, প্রথম দর্শনে, প্রতিবেশী ভাড়াটেদের মেয়ে কমলিনীতা কে পরিপূর্ণ প্রেমিক করে তোলে। অনায়াসে মেজদির প্রেমের সহায়ক হয়ে ওঠে সে। কমলিনীকে পড়ানোর দায়িত্ব সে নিখুঁত ভাবে পালন করেছিল নিজের প্রেম সম্পূর্ণ গোপন করে।
Tilottoma Mojumdar is an Indian Bengali novelist, short story writer, poet, lyricist, and essayist. She writes in the Bengali language. She was born in North Bengal, where she spent her childhood in tea plantations. She was educated at the Scottish Church College at the University of Calcutta.
তিলোত্তমা মজুমদার-এর জন্ম ১১ জানুয়ারি ১৯৬৬, উত্তরবঙ্গে। কালচিনি চা-বাগানে। ইউনিয়ন একাডেমি স্কুলে পড়াশোনা। ১৯৮৫-তে স্নাতক স্তরে পড়তে আসেন। কলকাতায়, স্কটিশ চার্চ কলেজে। ১৯৯৩ থেকে লিখছেন। পরিবারের সকলেই সাহিত্যচর্চা করেন। সাহিত্যরচনার প্রথম অনুপ্রেরণা দাদা। ভালবাসেন গান ও ভ্রমণ। ‘বসুধারা’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার (১৪০৯)। ‘একতারা’-র জন্য পেয়েছেন ডেটল-আনন্দবাজার পত্রিকা শারদ অর্ঘ্য (১৪১৩) এবং ভাগলপুরের শরৎস্মৃতি পুরস্কার (২০০৭)।