বৃষ্টি কি বলতে চায় কিছু? তার অবিরাম ধারাপাত কোন গল্পের সূচনা করে মানুষের সামনে? এটুকু বৃষ্টি... তিন ভাইয়ের গল্প। একাকী সম্রাট, নিস্তব্ধ ডিউক আর চন্দ্রাহত রাজা। বাবার সঙ্গে অদ্ভুত দূরত্বে ভেসে থাকা সম্রাট বেঁচে ওঠে সাজিকে দেখলে। সাজি আবার পছন্দ করে ডিউককে। কিন্তু ছোট্ট দোকান, একলা মা আর উন্মাদ দাদাকে নিয়ে ডিউক ক্রমশ তলিয়ে যেতে থাকে। সাজির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা মনেই আনতে পারে না সে। সাজি তবু স্থির থাকে তার পছন্দে। আর ক্রমশ বুঝতে পারে তার সিদ্ধান্তই গড়ে দেবে বাদবাকি জীবন। আর এই সবের বাইরে আরেকটি গল্প চলতে থাকে মনের ভেতরে। এক গোয়েন্দা ও তার প্রেমের উপাখ্যান সমান্তরালভাবে বহমান হয় মূল গল্পের সঙ্গে। ভালবাসার গল্পই যে চিরন্তন তাই আবার জলের অক্ষরে জানায় স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর এটুকু বৃষ্টি...
বিরক্তিরও একটা সীমা থাকা উচিত। সে সীমা অতিক্রম করে গেলে বিরক্তির প্রকাশ আর করা যায় না।
এই একটুক্ষণ আগে ডিসকর্ডে গলার স্বর কমিয়ে বাড়িয়ে বেশ মুন্সীয়ানার সাথেই সৈকতকে একটু সাল্টিং দিয়ে বুঝিয়েছিলাম কেন এই বই মহাফালতু। লম্বা ভাষণ শেষ করে ভেবেছিলাম, যা বলেছি তা-ই এসে লিখে দিব, কিন্তু হচ্ছে না। দুটো পয়েন্ট বলি, ১. এ বইয়ে লেখক এতো প্রশ্ন করেছেন। সংলাপে প্রশ্ন, কল্পনায় প্রশ্ন। একের পর এক প্রশ্ন শুধু। মনে হচ্ছিল বইয়ের সব চরিত্রই জেরা করতে ওস্তাদ৷ আমি বাবা জেরার ধকল নিতে পারি নি। দম বন্ধ লাগছিল একের পর এক লাইন পড়তে গিয়ে। ২. 'ক' ভালোবাসে 'খ' কে। কিন্তু 'খ' ভালোবাসে 'গ' কে। অইদিকে 'গ' আবার 'খ' কে পাত্তা দেয় না। কিন্তু 'ঘ' বেচারী মরেই যাচ্ছে 'ক' এর জন্য। এই হচ্ছে বইটির সারমর্ম। সঙ্গে আছে বালতি বালতি আভেগ। এখন, এসব পড়ার খুব বেশি ইচ্ছে থাকলে পড়তে পারেন। আমার বদহজমি হয়েছে বাপু, অনেক কষ্টে এ বই পুরোটা শেষ করেছি। ডিউক, সাজি, সম্রাট…প্রতিটা ক্যারেক্টারই অভাগা শ্রেণীয় ছিল।
আমার পড়া শেষ বই হিসেবে এটাকে বেছে নিয়ে বিরাট বড় ভুল করেছিলাম আসলেই। উপভোগ তো করলামই না, বরং এক জিভ তেতো স্বাদে মেজাজ পুরোই বিগড়ে গেছে। আর বিষোদগার না, বিদায় নি এবার। ভালো থাকবেন।
একাকী সম্রাট, নিস্তব্ধ ডিউক এবং চন্দ্রাহত রাজার এই গল্পে কে হিরো আর কে ভিলেন বোঝা দায়। রাজার অসংলগ্ন কথা-সংলাপ, ডিউকের দায়বদ্ধতা, সম্রাটের চূড়ান্ত একাকীত্ব আমাকে ভাবায় যে ভালোবাসা কী? কীভাবে এটা সম্ভব। সম্রাট চেয়েও সাজিকে পাচ্ছেনা, ডিউক সাজিকে চাইতে পারার দুঃসাহস দেখাচ্ছেনা, আর রাজা? মোহনাকে ভালোবেসে নিজেকে হারিয়ে ফেলল সে, চিরতরে। ভিষন বেপরোয়া ভাবে সাজি নিজেকে ডিউকের হতে চায়, অবাঞ্ছিত নিজের মা-বাবার কাছে বলেই হয়তো, আর মধুমঞ্জুরী দেবী? তিনি একজন ভিষন শক্ত মহিলা, নিজের সবটা দমিয়ে সকলের ভালো চাইতে বসেছেন। কিছু প্রশ্ন শেষ অবধি থেকেই যায়। যেমন-সৃজিতা কে? মোহনা-ছিপি কী জন্যে ব্যবহার করল রাজাকে। ডিউক কি শেষ অবধি গেল সাজির কাছে? আর সম্রাটের কী হল শেষ অবধি?
নিখাদ প্রেমের এই গল্প আজকের সময়ের সম্পর্কের জটিল সমীকরণের কথা বলে। অনেক পাঠকের কাছে এটি স্বাভাবিকভাবেই প্রেমের (অযথা জটিল করে লেখা) একটি "ম্যাদামারা" গল্প, কেননা, এখানে প্রত্যক্ষভাবে প্রেম উঠে এসেছে প্রতি চরিত্রের আলাদা আলাদা গল্পে। কিন্তু পরোক্ষভাবে এতে লুকিয়ে আছে সমাজের তলিয়ে যাওয়া এক শ্রেনীর কথা, প্রেমের কঠিন হিসেব নিকেশের কথা, হেরে যাওয়া মানুষদের কথা, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের লড়ে যাওয়ার কথা। লেখক বলে দিয়ে যান নি, এই গল্পের সিংহভাগ.. সেটুকু আমাদের নিজেদের জন্যই তোলা আছে। অসাধারণ লেখনীতে স্মারণজিৎ তুলে ধরেছেন গল্পের ভেতরের গল্পকে, কিন্তু তা যে সকলেই দেখতে পাবেন বা চাইবেন এমনটা নয়। নিখাদ প্রেমের গল্প হিসেবেও যেমন এই গল্প সুন্দর, তেমনই, যারা গল্পের মধ্যে গল্প দেখতে পান, তারা এই গল্প পড়ে, ভাবনার কিছু রসদ পাবেন।
সবুজেঘেরা ছোট্ট বিকুল দিঘির শহর তার পাশে গড়ে ওঠা ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন। এটুকু বৃষ্টি তিন ভাইয়ের গল্প, একাকী সম্রাট যার কাছে সব আছে , বাবার ক্ষমতা আছে, টাকা আছে তবু সে ভীষণ একা অন্যদিকে ডিউক, হঠাৎ মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন দাদা, ভাঙাচোরা বাড়ি ছোট্ট সেলাইয়ের দোকান । সবকিছু সামলাতে সামলাতে ক্রমশ তলিয়ে যেতে থাকে সে অন্যদিকে রাজা শুধু কি গুন্ডাদের মারে সে মানসিকভাবে ভারসাম্য হারিয়েছে ,নাকি পিছনে অন্য কোন কারণ কাজ করছে। সম্রাট তার একাকী জীবনের সম্রাজ্ঞী মনে করে সাজিকে। কিন্তু এই ভালোবাসা খেলায় সাজি যে গোমরা মুখো ডিউক এর দলে। তা ডিউক যতই থাকে অবহেলা করুক না কেন, সাজি তার পছন্দের স্থির ।আর সে ক্রমশ বুঝতে পারে তার সিদ্ধান্তই বদলে দেবে বাদবাকি জীবন আর এইসবের বাইরে আরো এক গল্প চলতে থাকে মনের ভেতরে এক গোয়েন্দা ও তার প্রেমের উপাখ্যান সমান্তরাল ভাবে বহমান হয়ে মূল গল্পের সঙ্গে।
এনি একমাত্র লেখক যার লেখায় ভাষার জটিলতা থেকে মনের সরলতা লেখার মাধ্যমে ভীষণ স্বচ্ছ ভাবে প্রকাশিত হয়। এই বইটি কোনো রকম ভাবে অন্যান্য বইগুলির তুলনায় ব্যাতিক্রম নয়। আর আরেকটা ব্যাপারে আমি উল্লেখ না করে পারলাম না সেটি হলো পৃথিবী গোল সেটি কি সুন্দর ভাবে লেখক বুঝিয়ে দেন। প্রত্যেকটা চরিত্র কি সুন্দর একে ওপরের সাথে জুড়ে আছে। আর প্রাকৃতিক বর্ণনা সাথে কোনো চরিত্র মনের ভাবনা গুলো কখনো বৃষ্টির ফোটার সাথে মিলে যাচ্ছে কখনও বা প্রখর রৌদ্রের সাথে খাপ্ খাচ্ছে। ভালো লাগে যখন গল্পের শেষটাও ঠিক মনের মতো হয়। প্রেম, ভালোবাসা, স্বপ্ন পূরণের গল্প হলো “এটুকু বৃষ্টি"।
স্মরঞ্জিত চক্রবর্তী র লেখা যে আমায় কি মাদকতায় পেয়েছে জানি না। এই নিয়ে উনার সপ্তম লেখা পড়ছি। খুব ভালো লেগেছে লেখাটা। সাজি, ডিউক, সম্রাট, রাজা এই চারজন কে ঘিরে একটা গল্প। আর তার সাথে রয়েছে বকুলদিঘির মতো মিষ্টি একটি মফস্বল। একটি ত্রিকোণ প্রেমের গল্প। সাজি পছন্দ করে ডিউক কে , আবার সম্রাট চায় সাজি কে। শেষ পর্যন্ত কি হবে সেটাই হলো গল্প। এরই পাশাপাশি সমান্তরাল ভাবে রয়েছে কিছু রাজনৈতিক হিংসা। সব মিলিয়ে ভীষণ ই মিষ্টি একটা ছোট উপন্যাস।
The intertwined lives of some teen-agers form this novel, with teen-age love being the central theme, as is typical in the novels of Smaranjit Chakraborty. A light read, you can finish the book in 2-3 sittings, but immensely enjoyable.
To say frankly, this is the first time I have read one of the social fiction of the writer. He is quite genius in writing thrillers, that was my feeling before. But, after reading this book I can undoubtedly say that he also has the inborn capability to construct ingenuine social fictions. While reading the novel I feel I am also a person of the book walking alongside all of the characters. In my opinion one of the best novelist in recent times, at least better than most of his contemporaries in writing social fictions.
I hope I can get the time to immerse myself more into his books in the upcoming days.
"এটুকু বৃষ্টি" বকুলদিঘির একঝাঁক কিশোর - কিশোরী ও সদ্য যৌবনে পা দেওয়া কয়েকজনের গল্প। এখানে ত্রিকোণ প্রেম আছে, একপাক্ষিক প্রেম আছে, আর আছে চরিত্রগুলির জীবনসংগ্রাম। তাদের প্রায় সকলেরই অগোছালো, ভাঙাচোরা জীবন আর জীবনের সেই ফাটলের ফাঁক দিয়েই উঁকি মেরে যায় প্রেম, কখনো তার উপস্থিতি জীবনকে রঙিন করে তোলে , আবার কখনো বা তার অপ্রাপ্তিতে সাদা - কালো হয়ে ওঠে জীবন।
ধীরে ধীরে অনেকটা সময় নিয়ে পড়েছি বইটি। প্রতিটা চরিত্রের এত গল্প, এত বৈচিত্র্য, যে সময় নিয়ে না পড়লে খেই হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা। তাছাড়াও আছে একটা রহস্য, কাহিনী এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে যে রহস্যের জট খুলবে আস্তে আস্তে। সামান্য সাইকোলজিকাল একটা টুইস্ট আছে, যার জন্য গল্পটা আরও ভালো লেগেছে আমার।
contemporary, witty and humorous, with a locale of a town-city by the riverside, a bunch of teenagers in inter-webbed love-angles and their respective un-fulfilled stories, thier schools and colleges and subjects, their daily minute problems and their solutions, their hopes and dreams, friendships and treachery, sufferings and joys, and the people surrounding them, their families.
A sweet-sour story with the occasional tear-shedding tale of love, drenched in a little bit of rain, just as the title suggests. . . . . enjoyed this one for sure :)
মন্দ নয়... লেখার প্যাটার্ন প্রায় একই রকম - আমাদের সেই শহরে, ক্রিস ক্রস আর ফিঙ্গে পড়ার পর এই লেখাটা পড়ে আমার অন্তত তাই-ই মনে হচ্ছে। তবে ঝরঝরে লেখা - যে কন টিন-এজ তরুণ-তরুণীদের পড়তে ভাল লাগবে...