Jump to ratings and reviews
Rate this book

কপোট্রনিক সুখ দুঃখ

Rate this book

86 pages, Unknown Binding

14 people are currently reading
262 people want to read

About the author

Muhammed Zafar Iqbal

401 books1,604 followers
মুহম্মদ জাফর ইকবাল (Bengali)

Muhammed Zafar Iqbal (Bengali: মুহম্মদ জাফর ইকবাল) is one of the most famous Bangladeshi author of Science-Fiction and Children's Literature ever to grace the Bengali literary community since the country's independence in 1971. He is a professor of Computer Science & Engineering at Shahjalal University of Science and Technology (SUST). Before that, Iqbal worked as a research scientist in Bell Communication Research for six years until 1994.

Birth and Family Background:
Iqbal was born on 23 December 1952 in Sylhet. His father, Foyzur Rahman Ahmed, was a police officer. In his childhood, he traveled various part of Bangladesh, because of his father's transferring job. Zafar Iqbal was encouraged by his father for writing at an early life. He wrote his first science fiction work at the age of seven. On 5 May 1971, during the liberation war of Bangladesh, the Pakistan's invading army captured his father and killed him brutally in the bank of a river.

Education:
Iqbal passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1968 and HSC exam from Dhaka College in 1970. He earned his BSc in Physics from Dhaka University in 1976. In the same year Iqbal went to University of Washington to obtain his PhD and earned the degree in 1982.

Personal Life:
Iqbal married Dr. Yasmeen Haque in 1978. Yasmeen is the Dean of the Life Science Department, Head of the Physics Department, Provost of the Shohid Janoni Jahanara Imam Hall and a researcher at SUST. They have two children - son Nabil and daughter Yeshim. Yeshim translated the book Amar Bondhu Rashed (Rashed, My Friend) written by her father. Iqbal's elder brother, Humayun Ahmed, was the most popular author and film-maker of Bangladesh since its independence. Humayun died after a nine-month struggle against colorectal cancer on the 19 July 2012. His younger brother, Ahsan Habib, is the editor of the satirical magazine, Unmad and one of the most reknowned cartoonist of Bangladesh.

Academic Career:
After obtaining PhD degree, Iqbal worked as a post-doctoral researcher at California Institute of Technology (CalTech) from 1983 to 1988. He then joined Bell Communications Research (Bellcore), a separate corporation from the Bell Labs (now Telcordia Technologies), as a Research Scientist. He left the institute in 1994 and joined the faculty of the Department of CSE of SUST.

Literary career:
Iqbal started writing stories from a very early age. Iqbal wrote his first short story at the age of seven. While studying in the Dhaka University Iqbal's story Copotronic Bhalobasa was published in a local magazine. But, a number of readers at that time felt that the story was based on a foreign story. To answer this allegation, he later rewrote the story and published the story in collection of stories named Copotronic Sukh Dukkho. Since then he is the most popular writer both in Bengali Science-Fiction and in Juvenile Leterature of the country.

Other Activities and Awards:
Zafar Iqbal won the Bangla Academy Award, the highest award in literature in Bangladesh, in 2004. Iqbal also played a leading role in founding Bangladesh Mathematical Olympiad. In 2011 he won Rotary SEED Award for his contribution in field of education.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
593 (37%)
4 stars
592 (37%)
3 stars
306 (19%)
2 stars
58 (3%)
1 star
18 (1%)
Displaying 1 - 30 of 44 reviews
Profile Image for Pranta Dastider.
Author 18 books328 followers
April 6, 2015
বাংলাদেশের সাইন্স ফিকশন জনক কে তা নিয়ে আমার মনে কোনও দ্বিধা ছিলনা কখনও। কারণ সাই-ফাই পড়া শুরু করেইছি জাফর ইকবালকে দিয়ে, এবং তার প্রায় এক কুড়ি সাই ফাই উপন্যাস পড়ে পরিণত হয়েছি একনিষ্ঠ ভক্তে। তার সাম্প্রতিক বই যদিও তেমন একটা আকর্ষণ করেনা কিন্তু সৌভাগ্যবশত সাই ফাই সমগ্র ১ এর কিছু গল্প এখনো পড়া হয়নি। আর এটাই সমগ্রের প্রথম গল্প।

বইটার শুরুতে একটু ধাক্কা খেলেও (ইদানীং কালের একদম ডালভাত মার্কা সাই ফাই যেহেতু নয়!) কয়েক পাতার মধ্যেই মজা পেতে শুরু করলাম। এবং মজাটা এগিয়ে চলল শেষ পাতা পর্যন্ত।

ভেতরে অনেকগুলো ছোট ছোট ঘটনার সমন্বয় ঘটেছে, কিন্তু সময়ের ধারাবাহিকতায় কাহিনী এগিয়েছে একই চরিত্রদের নিয়ে। সময়ের প্রয়োজনে প্রতিটি কাহিনিতেই যোগ হয়েছে নতুন কোনও রোবট কিংবা চরিত্র।

গল্পে যোগ হয়েছে লেখকের স্বতঃস্ফূর্ত হিউমার। যা গল্পে করেছে উপাদেয়।

রোবট কিংবা সেসবের প্রগতি, অধঃপতন, উন্নয়ন, অনুভূতি আবেগ, ইত্যাদি নিয়ে এতো বই রচনা হয়েছে যে নতুন কিছু খুঁজে পাওয়া মুশকিল, তাও আবার এত আগের একটা বই থেকে। কিন্তু সেটাই সবচেয়ে আশ্চর্য করেছে। কিছু ব্যাখ্যা এতো অসাধারণ লেগেছে যে লেখকের সাই-ফাই গল্পের প্রতি পুরাতন ভালোবাসা বহুগুণে উজ্জিবিত হয়েছে। লেখকের প্রথম বই নাকি এটাই!! আশ্চর্য। আসলে যে বস সে শুরুর থেকেই বস। সেটাই বুঝলাম।
Profile Image for Meem Arafat Manab.
377 reviews257 followers
June 15, 2017
বইটা কেমন আর বলা সম্ভব না। তবে নস্টালজিয়া ভালো।
অনেকদিন পর পড়লাম। স্টুডেন্ট ধার দিছে। রাশ্মিঁ।
শেষেরটা, স্যামসন, প্রমিথিউস, সেই। ইনস্পায়ার্ড কী না গুরূত্বপূর্ণ না সেইটা আমার কাছে। ইন্সপায়ারিং।

ন্যারেটরটারে ভালো না লাগা, এইটা লেখকের প্রতি ভালো লাগা বাড়ায়ে দেয়।
Profile Image for Adwitiya (অদ্বিতীয়া).
297 reviews41 followers
May 16, 2021
জাফর ইকবাল স্যারের লেখায় বেছে বেছে যা যা ভালো লাগতো সবই তাঁর এই প্রথম বইটাতে দেখতে পেলাম। ৬টা ছোট গল্প, সবগুলো এক সূত্রে গাঁথা এই হিসেবে যে এগুলো একজন বিজ্ঞানীরই জীবনের বিভিন্ন সময়ের স্মৃতিচারণ - সবই কোন না কোনভাবে এক যন্ত্রমানবকে নিয়ে। লেখক যেসব দর্শন প্রকাশ করলেন এখানে তার কোনটাই তেমন বিস্ময়কর কিছু নয়, তবে তারপরও সরল সোজা ভাষায় এত স্পষ্টভাবে এগুলো প্রকাশিত হতে দেখে ভালোই লাগলো। পরিশিষ্ট অংশটা নিয়ে মাথায় অনেককিছু ঘুরছে, তবে বইটা শেষ করার ভালো একটা বুদ্ধি ছিলো সেটা স্বীকার করতেই হচ্ছে।

~ 26 January, 2021
Profile Image for Ashiq Mustafa.
4 reviews2 followers
February 12, 2016
আমার কাছে এই বইটির দ্বিতীয় প্রকাশ যেটা ৭৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল সেই কপি আছে । একদিন হঠাৎ করেই বইটি বের হয় পুরনো বইয়ের কালেকশন থেকে । বলে রাখা ভালো আমাদের বাসায় আগেই থেকেই বই পড়ুয়া অনেকেই আছে । তাদের কেউই এই বইটি কিনেছিল । পাঁচ টাকা দাম ছিল তখনকার সময়ে !!!! । ভাবা যায় ???
Profile Image for Avishek Bhattacharjee.
370 reviews79 followers
June 4, 2020
জাফর ইকবালের পড়া আমার প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। এরপরেই উনার প্রায় সব বই আমি গোগ্রাসে গেলা শুরু করি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবটের কাহিনী নিয়ে লেখা গল্পগুলো সব বয়সের পাঠকেরই ভাল লাগতে বাধ্য।
Profile Image for Khoirom Kameshwar.
40 reviews16 followers
June 5, 2015
এই বইটি পড়ার সময় আমার মনে হয়েছে - যদি কোনদিন রোবটরা সত্যি সত্যি পৃথিবী দখল করে ফেলে!
Profile Image for ফরহাদ নিলয়.
191 reviews61 followers
November 23, 2015
এটা জাফর ইকবাল স্যারের প্রথম বই?
বিশ্বাসই হতে চায় না।
সেই ৭০ এর দশকে একজন বাচ্চা মানুষ (তখন তিনি ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন) এত চমৎকার একটা বই কিভাবে লিখল?
Profile Image for Nasrin Shila.
266 reviews88 followers
December 25, 2018
বইটা মারিয়াকে পড়তে দিয়েছিলাম। ফেরত দেয়ার সময় সে বলল, সে বইয়ের কোন গল্পই বোঝেনি! এত পছন্দের বই সম্পর্কে এমন মন্তব্য শুনে বাসায় এসেই বইটা আবার পড়লাম। আবারও আগের মতই ভাল লাগল। এক বসায় পড়ে ফেললাম। এখনো বুঝতে পারছিল না যে, গল্পগুলো না বোঝার কারণ কি!
Profile Image for Sourav Anando.
132 reviews6 followers
February 13, 2018
বই টা পড়তে গিয়ে মাথাটা কে খাটাতে হয়েছে কয়েকটা ক্ষেত্রে । আর সেখানেই এই সায়েন্স ফিকশন এর সার্থকতা।

ভালো লেগেছে ! 4.5/5
Profile Image for Mahin.
49 reviews51 followers
January 26, 2019
যে বিষয়টা আমার সবচেয়ে অবাক লাগসেঃ
২৪ বছর বয়েসী একজন তরুণের জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এত্তো গভীর কেমনে হয়!!!
জাফর স্যার ছোটবেলা থেকেই বস 8)
Profile Image for Farhan.
725 reviews12 followers
June 10, 2019
এই বইটা সেসব বইয়ের একটা, যেটা পাঠক হিসেবে আমাকে আরেকটা সিঁড়িতে পা দিতে শিখিয়েছিল।
Profile Image for Madhurima Nayek.
361 reviews135 followers
September 28, 2020
এটা একটা সায়েন্স ফিকশন বই। সত্যি বলতে
শুরুটা মোটেও ইন্টারেস্টিং লাগেনি, ধীর গতিতে পড়া শুরু করতে হয়েছে।বইএর পুরো অংশ টা আমার ভালোও লাগেনি, এর মধ্যে ভালো লাগার অংশ দুটি হল - কপোট্রনিক বিভ্রান্তি (দুই), কপোট্রনিক অস্ত্রপ্রচার।

রোবটের মস্তিষ্ক অর্থাৎ যেটাকে বলে কপোট্রন, এই নিয়েই গল্পের কারবার। এক প্রোফেসর তথা বিজ্ঞানী তার সহকারী হিসেবে একটি রোবট নেওয়ার কথা ভাবে।কিন্তু সাধারণ রোবট তিনি চান না।তাঁর চাই অনুভূতি সম্পন্ন রোবট অর্থাৎ যার মধ্যে আনন্দ,বেদনা, রাগ, ঘৃণা,ভালোবাসা, ঈর্ষা এসব থাকবে।তাই তিনি নিজেই রোবট বানাবার সির্ধান্ত নেন।প্রমিথিউস, স্যামসন, রু- টেক,ইলেন নামের বেশ কটি রোবটের উল্লেখ আছে। এখান থেকেই শুরু। পর্যায়ক্রমে কয়েকটি অধ্যায় এসেছে -
🤖 কপোট্রনিক ভালোবাসা
🤖কপোট্রনিক বিভ্রান্তি (এক)
🤖কপোট্রনিক বিভ্রান্তি (দুই)
🤖কপোট্রনিক ভায়োলেন্স
🤖কপোট্রনিক অস্ত্রপ্রচার
🤖কপোট্রনিক ভবিষ্যৎ
🤖কপোট্রনিক প্রেরণা
🤖 পরিশিষ্ট
3 reviews3 followers
June 30, 2020
আমার পড়া প্রথম সায়েন্স ফিকশন। এটা পড়েই এই জনরার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল। খাবার যে মানবজাতির অন্যতম চালিকাশক্তি এটা এই বই পড়ার মাধ্যমেই উপলদ্ধি করি প্রথম।
Profile Image for Mumin.
39 reviews4 followers
October 20, 2014
বইটা কয়েকবার পড়া হয়েছে। বইটা পড়লে রোবটদের জন্য কষ্ট লাগে।
Profile Image for Arif.
4 reviews
September 3, 2015
আমার পড়া অন্যতম সেরা সায়েন্স ফিকশন।
Profile Image for Rizal Kabir.
Author 2 books45 followers
May 18, 2018
আমার পড়া প্রথম দিকের সায়েন্স ফিকশন। অসাধারণ একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম প্রথম যখন বইটা পড়ি।
Profile Image for Abdul Ahad.
58 reviews4 followers
January 31, 2019
জাফর বাবুর যেমন প্রথম সাইন্স ফিকশন বই তেমনি আমার পড়া তাঁর প্রথম বই এটা। ভালো লেগেছিলো।
Profile Image for Fahad Ahammed.
386 reviews44 followers
July 22, 2019
সায়েন্স ফিকশন বরাবরই আমার ভালোলাগে আর এই বইয়ের গল্প গুলোও ছিল অসাধারণ।
4 reviews1 follower
December 5, 2019
one of the best books I've read.. Awesome story with great twists and it really takes you to an imaginary world.
Profile Image for Rafiq Rahman.
11 reviews
January 6, 2024
পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ যারপরনাই অদ্ভুত নামের এক বই৷ “কপোট্রনিক সুখদুঃখ”, এর মানে কী? কপোট্রন জিনিসটা কী? বিজ্ঞানের কোনো উন্নত প্রযুক্তির বিশেষ আবিষ্কার? ভাবছিলাম বইখানা পড়তে শুরু করার আগে। দীর্ঘদিন ধরেই ভেবে রাখা যে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের কিছু বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর বইগুলো পড়ব। এবার হুট করে ধরেই ফেললাম৷ এবং তার সূচনা হলো “কপোট্রনিক সুখদুঃখ” বইটি দিয়েই। শুরুর আগে উপর্যুক্ত প্রশ্নগুলো মাথায় এসেছিল যথারীতি। তবে বইয়ের প্রথম “কপোট্রনিক ভালোবাসা” গল্পেই প্রশ্নের বিষয়টা লেখক পরিষ্কার করেছেন। “কপোট্রন” হলো রোবটের মস্তিষ্ক। তখনই বুঝতে পারলাম লেখক এই বইয়ে মানব ও রোবট নিয়ে গল্প সাজিয়েছেন। বইটিতে মোট ০৮ টি ছোটগল্প রয়েছে এই “কপোট্রন” বা রোবটকে নিয়ে। গল্পগুলোর নাম যথারীতি 

কপোট্রনিক ভালোবাসা 

কপোট্রনিক বিভ্রান্তি (১)

কপোট্রনিক বিভ্রান্তি (২)

কপোট্রনিক ভায়োলেন্স

কপোট্রনিক অস্ত্রপচার

কপোট্রনিক ভবিষ্যৎ ও

কপোট্রনিক প্রেরণা 

 

বলাবাহুল্য, প্রতিটা গল্পই একে অপরের সাথে সংযুক্ত। মানে বইয়ের প্রথম গল্পে যেই চরিত্রদের সাথে পরিচয় হবে, মূলত তারাই প্রতিটা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র। কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন বিজ্ঞানী (গল্পকথক) একদা এক রোবট বানায়, যা তৎকালীন পৃথিবীর একমাত্র মানবিক আবেগসম্পন্ন রোবট। অতঃপর মানুষের আবেগ অনুভূতি যুক্ত একটি মেশিন বা রোবট কি কি করতে পারে, কেমন অনুভূতি নিয়ে চলতে পারে এসবই প্রথম গল্পে উঠে এসেছে। এবং বাকি সব গল্পগুলোও বিজ্ঞানী ও তার পরিবারের সাথে নানান সব রোবট সম্পর্কিত ঘটনাগুলোকেই গল্পের মতো করে উল্লেখ করা হয়েছে৷ একটা উপন্যাসের মতোই বইটা, তবে যেহেতু আটটি ঘটনা, তাই বইটা আটটি গল্পে ভাগ হয়েছে। যা আমার ভালো লেগেছে, মূলত বিরক্তি কমিয়েছে৷ 


“কপোট্রনিক সুখদুঃখ” বইটি আমার কাছে মোটামুটি ভালো লেগেছে পড়ে। স্বাভাবিক বর্ণনা, বিজ্ঞানের মিশ্রণ, গল্প বলার ধরণ সবকিছুই আকর্ষিত করেছে। কিছু কিছু গল্প একটু বেশিই ভালো লেগেছে কারণ সেগুলো হতে বিশেষ কিছু মুহূর্ত আমাকে বেশ আনন্দ দিতে পেরেছে, যেমন দ্বিতীয় গল্প “কপোট্রনিক বিভ্রান্তি (১)” আবার “কপোট্রনিক ভায়োলেন্স”, আবার শেষ গল্পটাও অনেক ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে বেশ উপভোগ করবার মতো ছোট্ট একটি বই ছিল এটা।


সমালোচনা করার মতো বিশেষ কিছু নেই। তবে দীর্ঘকাল আগেও রোবট সম্পর্কিত মুভি বা গল্পগুলোর কেন্দ্রীয় প্লট যা থাকে এই বইয়েও যথারীতি তাই। তা হলো রোবটেরা মানবসভ্যতাকে ছাড়িয়ে যেতে চায়, পৃথিবীতে রোবটের ভিত্তি স্থাপন করতে চায়, চায় তারাই হবে পরবর্তী ও উন্নত প্রজন্ম৷ শেষ গল্পটা যদিওবা আমার এই মন্তব্য আটকে দিতে যথেষ্ট ছিল কেননা ওটার শেষটা যথেষ্ট সুন্দর ছিল এবং বইয়ের শেষ অনুসারে একদম পারফেক্ট ছিল৷ কিন্তু পরিশিষ্ট অংশ দেখে আমার এই মন্তব্য আর বদলানো গেল না। লেখক যে সেই দিকেই ঝুকেছেন, সেই ধারণাই দিয়েছেন যে অদূর ভবিষ্যতে রোবট সভ্যতা মানব সভ্যতাকে বিলুপ্ত করে দিয়ে এ জগতে রাজত্ব করবে। যেখানে শেষ গল্পটাতেও পুরো ব্যাপারটাকেই তিনি সুন্দরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন যে রোবটেরা কখনই মানুষদের জায়গা দখল করে মানুষদের মতো সভ্যতা গড়তে পারবে না। 


যাইহোক, সব মিলিয়ে বইটা ভালো লেগেছে, এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়াই যায়। এবং অবশ্যই সুপাঠ্য।


বই: কপোট্রনিক সুখদুঃখ 
লেখক: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল 
জনরা: সায়েন্স ফিকশন, গল্পগ্রন্থ

পাঠ-প্রতিক্রিয়ায়ঃ রাফিক
179 reviews11 followers
June 2, 2023
ছোটবেলায় পড়ে খুবই ভাল লাগসিলো। প্রথম জাফর ইকবালের বই যেটা সত্যিকার অরথে ইম্প্রেসিভ লাগসিলো, যতটুকু মনে পরে। আবার পড়তেসি, রাইম ডেথ নোট টা শেষ করে নিয়ে আসে নাই এখনো এই জন্যে।

১/ কপোট্রনিক ভালবাসা- খুব ভাল।

২/ কপোট্রনিক বিভ্রান্তি (১) - খুব মজা।

৩/ কপোট্রনিক বিভ্রান্তি (২) - মজা।

৪/ কপোট্রনিক ভায়োলেন্স - খুব ভাল।

৫/ কপোট্রনিক অস্ত্রোপচার - খুব ভাল।

৬/ কপোট্রনিক ভবিষ্যৎ - ভাল।

৭/ কপোট্রনিক প্রেরণা - খুব ভাল।

*পরিশিষ্ট - খুব ভাল।

প্রথমে- এটা একটা উপন্যাস না তো? জানি একটা গল্প লিখা হইসিল প্রথমে তারপর অন্যগুলা -কিন্তু এটা উপন্যাস হিসাবে চলে- গল্প গুলার ফ্লো আসে, টাইমলাইন ঠিক আসে, আর উপন্যাস যদি হয় তাহলে চলে না খুব ভাল একটা উপন্যাস।

কিন্তু উপন্যাস হোক না হোক, গল্প গুলা আলাদা আলাদা ভাবে আর একসাথে দুই ভাবেই খুব ভাল । এর আগে ছোট থাকতে এটা পড়ে ইম্প্রেসড হইসিলাম, জাফর ইকবালের অন্যগুলার তুলনায় বেশী-ই যতদূর যেভাবে মনে পরে এখন। এখনও ইম্প্রেসড হইলাম।

বুলা আর নাম না জানা প্রোটাগনিস্ট প্রফেসর! আর টোপন। ভাল লাগার মত ক্যারেক্টার সবাই। প্রোটাগনিসট তো মূল ক্যারেক্টার, আর এর ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট আসলেই খুব ভাল। একটা গল্প থেকে আর একটা গল্পে তা�� চেঞ্জগুলা কে ধরা যায়, আর চেঞ্জ গুলা সবই খুব আন্ডারস্ট্যন্ডেবল, বিলিভেবল, রিলেটেবল আর -ইন্টারেস্টিং। আর প্রোটাগোনিস্ট ভাল মূলত একটা কারনে- সে পারফেক্ট না, তার ফ্ল আসে, আর ফ্ল গুলা সবই সত্য আর নুয়ান্সড। খুব ই হিউম্যান। কিন্তু অনেক লাইকেবল ও। অনেক ভাল গুন আসে, ইন্টারেস্টিং কোয়ালিটি আসে।

ইন্টারেস্টিং একটা লাইফ। তার লাইফের সব কিছু ডায়েরীতে তো লিখে নাই, অন্তত এই ডায়েরীতে না। আর এই ডায়েরীর সব এক্সপেরিয়েন্স রোবটদের নিয়ে, আর রোবটদের সাথে তার সত্যিকার ইন্টারেস্টিং এক্সপেরিএন্স আসে। সব স্ট্যান্ডারডে, ইতিহাসের সব স্ট্যান্ডারডে। আর সে চায়ও নাই কখনও এত ঐতিহাসিক রোল প্লে করতে, অন্তত রোবটদের ডেভেলপমেন্টের ইতিহাসে বা রোবোট-মানুষের সম্পরকের এভোলুশোনে। একটা আনউইলিং, ফেট ড্রিভেন লাভ-হেট সম্পরক তার রোবটদের সাথে, আর কত কিছুই না তার করতে হইল-সইতে হইল চেয়ে না চেয়েই। আয়রোনিক ফেট।

ব্যাকগ্রাউন্ডটা বুঝতে হবে-
আমাদের প্রোটাগনিস্ট এমন সময়ে থাকে যখন মানুষ সব কাজ করায় রোবট দিয়ে । এই জন্য রোবটদের এভোয়েড করা প্রায় অসমভব। যে কারও জন্যেই।

আমাদের প্রফেসার ফারস্ট ক্লাস সাইন্টিস্ট, ল্যাবে কাজ করে সব সময় রোবটদের সাথে। এভোয়েড করতে চাইলেও ক্যামনে করবে?

তারপর তার পারসোনাল হিস্ট্রি, কানেকশন রোবটদের সাথে। উইলিংলি আর অ্যাক্সিডেন্টালি।

রোবোটদের ইতিহাসও যেই প্লেনে আগাইসে সেটা কন্সিস্টেন্ট। আর ভালো। সাইন্সটা, বিশেষ করে ভালোবাসায়, কপোট্রনে আবেগের বিষয়ে সাইন্সটা আরো ভাল হইতে পারত।

কিন্তু অনেক কন্সেপ্টই বেশ ভাল ছিল মনে হয় সেই সময়ের হিসাবে। আমি সায়েন্স ফিকশনে খুব বেশী ওয়েল ভারসড না হওয়ার কারনে বলতে পারতেসি না ঠিক কত টা ভাল আর ফরওয়ারড ছিল। কিন্তু বেশ ভাল যে এই বিষয়ে সন্দেহ নাই।

এই গল্পগুলায় চাকরি, ভালবাসা, জীবন সম্পরকে কিছু সত্যও আসে, সাধারন হইলেও। সবচেয়ে বেশি ট্রুথ আসে কিছু
হিউম্যান ইমোশনাল রেস্পন্স নিয়ে। অবাক লাগে এতটুকু বুঝলেও জাফর ইকবাল কিভাবে অবুঝ ফ্যাসিস্ট হয়ে গেল। বয়সের দোষ? কে জানে। কিন্তু ইয়াং জাফর ইকবাল, প্রথব বই এর জাফর ইকবাল আসলেই খুব ভাল। প্রমিজিং ছিল অনেক।

--- এখন বাংলাদেশের বইএর (পাব্লিকেশন) কোয়ালিটি নিয়ে কিছু বলতে চাই।


এটা অনেক বিক্রি হওয়া একটা বই। প্রথম কারা পাব্লিশ করসিল এটা জানি না, কিন্তু জ্ঞানকোষ প্রথম যখন বের করে ১৯৯৬ সালে তখন এইটা যে অনেক পপুলার অলরেডি আর এইটা যে অনেক বিক্রি হবে এই বিষয়ে সন্দেহ ছিল না। আর অনেক বিক্রি হইসেও। জ্ঞানকোষের টাও ৭ম প্রিন্ট হইসে ২০১৮ সালে।

[image error]

কিন্তু তারপরও লাখ লাখ বানান ভুল। এইটা যে এত লজ্জার। বাংলাদেশের পাবলিশার রা কি এইটা বুঝে না? মানুষ ও কি কিছুই বুঝে না?

তারপর সূচিপত্রে পেজ নাম্বারও নাই। এইটা যদি ইন্টেনশনালি করে থাকে কোন কারনে (কি কারন থাকতে পারে আমার মাথায় আসে না), এই সূচিপত্রে কপট্রনিক ভায়লেন্সর কোন চিনহই নাই। কি ভাবে এই লোকরা, এত ক্যাভালিয়ারলি ক্যাম্নে নেয় এই জিনিশ গুলারে কে জানে।


Profile Image for Tisha.
205 reviews1,118 followers
April 14, 2025
আমি এই পর্যন্ত জাফর ইকবাল স্যারের লেখা অল্প কয়েকটা সায়েন্স ফিকশন পড়েছি। এদের মধ্যে অধিকাংশই সাম্প্রতিক লেখা। প্রত্যেকটার লেখার স্টাইল আমার কাছে অনেকটা একই ধাঁচের মনে হয়েছে! কিন্তু এই বইটা যদি লেখকের নাম আড়াল করে আমাকে পড়তে দেওয়া হতো, তাহলে মনে হয় না আমি বলতে পারতাম যে এটা ওনার লেখা! ওনার অন্যান্য লেখার থেকে অনেক বেশি আলাদা ছিল এটি। আর সবচেয়ে বড় কথা মুগ্ধ হয়েছি পড়ে! খুব সম্ভবত ওনার প্রথম দিকের লেখা এটা। ইবুক পড়লাম, তাই ঠিক কবে প্রকাশিত হয়েছিল সেটা বুঝতে পারছি না! সব লেখকরাই বুঝি ধীরে ধীরে কেমন একঘেয়ে হয়ে যান! যাই হোক, প্রিয় বইয়ের তালিকায় আরেকটি নাম যোগ হল। :)
Profile Image for Asif Ahmed.
48 reviews
July 5, 2020
Writer express a world where the main character a Professor tried to integrate emotions inside Robots.

Robots are mainly built for helping human beings but they don't have any emotions in them. They are built with a special device named "Kopotron" which works as their brain.

The pros and cons of having emotions inside robots were showed in this book.
Profile Image for Ishra Maria.
101 reviews
June 25, 2021
কপোট্রিনিক সুখ দুঃখে মুলত রোবটদের কপোট্রন বা কৃত্রিম মস্তিষ্কের অনুভুতি যেমন কপোট্রনিক ভালোবাসা, কপোট্রনিক বিভ্রান্তি, কপোট্রনিক ভায়োলেন্স,কপোট্রনিক অস্ত্রপাচার, কপোট্রনিক ভবিষ্যৎ, কপোট্রনিক প্রেরণা এসব কাহিনির উল্লেখ আছে।ঘুরে ফিরে বইটিতে কেবল রোবটদের কপোট্রনের অনুভুতির কথাই বলা আছে।
Profile Image for Saif9795.
53 reviews1 follower
December 19, 2023
"কষ্ট পাবার ভয় থেকেই মানুষ বেচে থাকে, আনন্দের লোভে নয়" - এই লাইন টা খুব সুন্দর করে অনেক কিছু প্রকাশ করে। ছোট বেলায় যখন পড়েছিলাম তখন এতো কিছু বুঝি নি।

খুবি ছোট বই। এক বসাতেই শেষ হবে। সমস্তটাই রোবোট সংক্রান্ত। ছোটো বেলার স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিল বইটি পড়ে।
Profile Image for Md. Emdadul  Islam.
12 reviews
January 2, 2024
"আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি রিসার্চ সেন্টারের করিডোরে আমাকে গুলি করেছিল।"

বইয়ের প্রথমে দারুণ সংলাপ দিয়ে শুরু করে দুই ঘন্টা ত্রিশ মিনিট শেষ করলাম! সাইন্স ফিকশন বরাবর আমাকে ভাবুক করে তোলে এক্ষেত্রে সফল, সুন্দর একটা বই
Displaying 1 - 30 of 44 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.