Awarded the Nobel Prize in Literature in 1913 "because of his profoundly sensitive, fresh and beautiful verse, by which, with consummate skill, he has made his poetic thought, expressed in his own English words, a part of the literature of the West."
Tagore modernised Bengali art by spurning rigid classical forms and resisting linguistic strictures. His novels, stories, songs, dance-dramas, and essays spoke to topics political and personal. Gitanjali (Song Offerings), Gora (Fair-Faced), and Ghare-Baire (The Home and the World) are his best-known works, and his verse, short stories, and novels were acclaimed—or panned—for their lyricism, colloquialism, naturalism, and unnatural contemplation. His compositions were chosen by two nations as national anthems: India's Jana Gana Mana and Bangladesh's Amar Shonar Bangla.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাটকের সুরে সুরায়িত করেছেন মানবমুক্তিকে। প্রাণশক্তিকে স্বাধীনতা দানে অর্থাৎ সব সংস্কারের বাঁধ ভেঙে আরো জীবন্ত করে তুলেছেন। আর তাই রবীন্দ্রনাথের নাটক বাংলা নাট্য সাহিত্যে স্বতন্ত্র ধারার জন্ম দিয়েছে।
আচার সর্বস্ব অন্ধ সংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মের বাঁধ ভাঙার নিমিত্তে রচি ‘অচলায়তন’ নাটকটি। মানবাত্মাকে যন্ত্রণা দেয়ার কথা কোনো ধর্মে বলা হয়নি। তাই প্রাণহীন ধর্মের বন্ধনকে ছিন্ন করার প্রয়াস লক্ষণীয় রূপ-সাংকেতিক নাটক ‘অচলায়তন’-এ। ‘বিসর্জন’ নাটকেও আমরা দেখি অন্ধ সংস্কারকে ডিঙিয়ে প্রেমের জয়। ধর্মের সংস্কারাবদ্ধ ঘরকে ভেঙে ফেলে ভালোবাসার নীড় সৃষ্টির আহ্বান। অচলায়তনে প্রাণের মুক্তির আভাস লক্ষণীয়। মানুষের কৃত্রিমতা নয়, বন্ধন নয়; পৃথিবীতে মঙ্গলের আভাসনের জন্য দরকার মুক্তি, স্বাধীনতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ নাটকের মধ্য দিয়ে একটি দেয়ালকে ভাঙলেন যে দেয়াল মানবাত্মার মুক্তিকে কেড়ে নিতে উদ্যত হয়েছিল। অচলায়তনে এক ছকে বাঁধা জীবনকে দেখানো হয়েছে। যে জীবনের কাছে মুক্তির কোনো স্বাদ নেই, বাইরের আলো-হাওয়ার ছোঁয়া নেই। অচল পাথরের মতো যূথবদ্ধ জীবন সেখানে আবদ্ধ। আচার, সংস্কার সে অচলায়তনে আস্তানা গেড়েছে। আত্মার ভালোবাসা, কর্ম সেখানে কলহ সৃষ্টি করে; কেননা সেখানে শুধু ধর্মের ভালো-মন্দের সুর বাজে। একটি নতুন সুরের মধ্য দিয়ে নাটকটির আরম্ভ। সে সুরে মুক্তির স্বাদ আছে। পঞ্চকের কণ্ঠে সে সুরই ধ্বনিত হয়েছে – ‘তুমি ডাক দিয়েছ কোন সকালে কেউ তা জানে না আমার মন যে কাঁদে আপন মনে কেউ তা মানে না। ফিরি আমি উদাস প্রাণে, তাকাই সবার মুখের পানে, তোমার মতন এমন টানে কেউ তো টানে না।’
অচলায়তন' নাটক: আধুনিকতার দ্বারপ্রান্তে রবীন্দ্রনাথ
"চলো, বদলে ফেলি কঙ্কালের এই পোশাক, ঘুনপোকাদের ভোজসভা বন্ধ করে দিই।"—সুভাষ মুখোপাধ্যায়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'অচলায়তন' এক বিশাল অনুশাসনের দেয়ালে বন্দি এক প্রতিষ্ঠানের গল্প, যা সময়ের গতি মানতে অস্বীকৃত। তবে এটি শুধু একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কথা বলে না, বরং সমাজের যে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক রূঢ়তার প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে। নাটকটি একদিকে যেমন বাঙালির ঐতিহ্যগত সংস্কারের সঙ্গে আধুনিকতার সংঘাতকে তুলে ধরে, অন্যদিকে ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রশ্নও জোরালোভাবে উত্থাপন করে।
"তুমি একবার চোখ মেলেও দেখো না কত সূর্যের জন্ম হলো তোমার ঘুমের ভিতরে।"—সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
'অচলায়তন' নাটকের প্রেক্ষাপট এক পুরাতন আশ্রম, যেখানে কেবল নিয়মের দাসত্ব চলে। এখানকার শিষ্যরা এক অদ্ভুত শৃঙ্খলার মধ্যে বন্দি, যেখানে প্রশ্ন করা নিষিদ্ধ, ভাবনার স্বাধীনতা নেই। কিন্তু মানবচেতনার স্বাভাবিক প্রবাহ কি কখনও রুদ্ধ থাকে? এখানেই আসে পঞ্চক ও মহাপঞ্চকের মতো চরিত্র, যারা পরিবর্তনের বার্তা বহন করে। এদের মধ্যে পঞ্চক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সে প্রশ্ন তোলে, আবদ্ধ জীবনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। রবীন্দ্রনাথের কল্পনায় পঞ্চক যেন এক নতুন আলোর দূত।
"তুমি শুধু কাঠামো চেনো, প্রাণের ভাষা বোঝো না?"—শঙ্খ ঘোষ
নাটকে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, প্রাতিষ্ঠানিকতার কঠোর রূপরেখার বিপরীতে নতুন চিন্তার উন্মোচন। গুরুদের কাছে শিষ্যরা শুধু নিয়ম পালনকারী যন্ত্র, কিন্তু পঞ্চকের প্রশ্নবাণ সেই প্রথাগত কাঠামোকে নড়িয়ে দেয়। এটি রবীন্দ্রনাথের চিন্তাধারা যে কতটা অগ্রগামী ছিল, তারই প্রমাণ। আজকের যুগে শিক্ষাব্যবস্থার সংকীর্ণতা ও সৃজনশীলতার অভাব দেখলে মনে হয়, 'অচলায়তন' এখনও প্রাসঙ্গিক।
"জল আসছে, কুলু আসে না, ধারাপাতের বই আসে, অঙ্ক আসে না।"—জয় গোস্বামী
শিক্ষা ও সংস্কৃতির নির্দিষ্ট কাঠামো যদি পরিবর্তন না হয়, তবে তার মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। গুরুদের মধ্যে কেউ কেউ বুঝতে পারেন, পরিবর্তন আসন্ন, কিন্তু পুরাতন শাসনব্যবস্থা এতটাই গভীরে প্রোথিত যে, তা সহজে ভাঙা যায় না। রবীন্দ্রনাথ এখানে গভীর দার্শনিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন—নিয়ম কি মানুষের জন্য, না মানুষ নিয়মের জন্য? এই প্রশ্নই আজকের আধুনিক সমাজেও গুরুত্বপূর্ণ।
"শিকল ভাঙার গান গাই, প্রাণে বেজে ওঠে ঢাক।"—নজরুল ইসলাম
নাটকের শেষ দিকে পঞ্চক যখন বিদ্রোহ ঘোষণা করে, তখন সেই বন্দিত্বের গহ্বর থেকে এক মুক্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। প্রথার বিরুদ্ধে তার এই বিদ্রোহ আসলে এক প্রতীকী মুক্তিযাত্রা, যা রবীন্দ্রনাথ বারবার তাঁর সাহিত্যকর্মে ফুটিয়ে তুলেছেন। শেষ পর্যন্ত গুরুদের মধ্যে এক নতুন চিন্তার বিকাশ হয়, যা নাটকের গূঢ় বাণীকে আরো স্পষ্ট করে তোলে—মানবতার জয়গান গাওয়া এবং চিন্তার স্বাধীনতা রক্ষা করা।
পরিশেষে কী আর বলার থাকে এই নাটক নিয়ে?
'অচলায়তন' শুধু একটি নাটক নয়, এটি এক চিন্তার আন্দোলন। এটি কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংকীর্ণতাকেই নয়, বরং সামাজিক ও মানসিক কাঠামোর পরিবর্তনকেও নির্দেশ করে। রবীন্দ্রনাথের এই অনবদ্য সৃষ্টিটি আজও আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়, চোখ খুলে ভাবতে শেখায়।
এটি প্রমাণ করে যে, সমাজ বদলাতে হলে প্রথমে বদলাতে হবে চিন্তাকে।
পঞ্চকের মতো মানুষের প্রয়োজন, যারা প্রশ্ন তুলবে, বাধা ভাঙবে, এবং নতুন আলো আনবে।
থিয়েটারের সুবাদে রবীন্দ্রনাথের এই নাটক পড়া এবং মঞ্চস্থ করার উদ্দেশ্য নিয়ে। রবীন্দ্রনাথ কেমন লিখেছেন সেসব লেখার সাধ্য নেই আমার।তবে এটুকু বলতে পারি এই 'অচলায়তন' সকল ক্ষেত্রে সকল সময়ের জন্য উপযোগী.২০২৩ সালের জানুয়ারীতে আমরা বিশাল এক দলবল বাংলাদেশের মঞ্চে নামছি অচলায়তন নিয়ে। একটা বই একা পড়ার মধ্যে যেমন আনন্দ,একটা দল হয়ে বসে যখন পড়া হয়, সারাক্ষণ ঐ বই নিয়েই আলাপ চলতে থাকে,তখন বাস্তবিক অর্থে আমরা সেই বইয়ে উল্লেখিত সময়ে বাস করতে থাকি,ঐ চরিত্রগুলোতে বাস করতে থাকি। অচলায়তন আমার জন্য সেই রকম বই।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বরাবরই সর্বসময়ের উপযোগী লেখা লিখেছেন কিন্তু অচলায়তন খুব বেশিই প্রাসঙ্গিক নাটক।যে কোনো ফ্রেমে চাইলেই অচলায়তনকে দেখা যায় তা সে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা বা নারীদের অবস্থান বা কোনো অন্য কেন্দ্রিক ব্যবস্থা।
Read the Bengali version of this book. A play, written in 1912, on education, values, nature of a good life. A play on break free, a play on moving on from old to new. A good book.