Shesher Kobita is a popular novel of Rabindranath Tagore. Rabindranath Tagore is Bengali Writer, poet, Song Compser and Nobel owner for literature. He born 7 May 1861 in Kolkata, India and Died 7 August 1941. He got Novel prize for Gitangoli in 1913. His popular Books and songs are Gitanjali, Gora, Ghare-Baire, Jana Gana Mana, Rabindra Sangeet, Amar Shonar Bangla etc. Noukadubi is his one of most popular novel which published first in Probashi Magazine in 1928
Awarded the Nobel Prize in Literature in 1913 "because of his profoundly sensitive, fresh and beautiful verse, by which, with consummate skill, he has made his poetic thought, expressed in his own English words, a part of the literature of the West."
Tagore modernised Bengali art by spurning rigid classical forms and resisting linguistic strictures. His novels, stories, songs, dance-dramas, and essays spoke to topics political and personal. Gitanjali (Song Offerings), Gora (Fair-Faced), and Ghare-Baire (The Home and the World) are his best-known works, and his verse, short stories, and novels were acclaimed—or panned—for their lyricism, colloquialism, naturalism, and unnatural contemplation. His compositions were chosen by two nations as national anthems: India's Jana Gana Mana and Bangladesh's Amar Shonar Bangla.
ভেবেছিলাম ভার্সিটিতে ওঠার আগে এই বই হাতে নিব না। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কবে যে কলেজ লাইফ শেষ হবে আর কবে ভার্সিটিতে উঠব কে জানে। তাই সাহস করে ধরেই ফেললাম। এখন বুঝতে পারছি এই সময়ে এর থেকে ভাল ডিসিশন হয়ত আর হত না।
কাব্যিক সুন্দর, বিষন্ন সুন্দর, পরিপূর্ণ সুন্দর, অসম্পূর্ণ সুন্দর, পরিপক্ব সুন্দর আর যতরকম সুন্দর আছে তার এক অদ্ভুত মিশ্রণ শেষের কবিতা।
'For God's sake hold your tounge and let me love' থেকে শুরু করে 'হে বন্ধু বিদায়' পর্যন্ত প্রতিটা লাইন এমন অদ্ভুত জীবনবোধ এ পরিপূর্ণ যে এটুকু ধারন করতে পারলেও হয়ত আর কিছুই লাগবে না জীবনে। দীঘি আর এক ঘড়া জল এর পার্থক্য বুঝতেই আমরা সাধারণত সারাটাজীবন লাগিয়ে ফেলি অথচ রবীঠাকুর কয়েক পৃষ্ঠায় কি সুন্দর মলাটবন্দী করে ফেলেছেন এই জটিল বিষয়টা। এটা একবার পড়ার বই না। জীবনের একেকটা পর্যায়ে একেকভাবে উপলব্ধি করার বই। কিন্তু হাজার বার পড়লেও বোঝা শেষ হবে না এমন বই।
"ওঁর নিয়ম হচ্ছে, হয় উনি পেয়েও পাবেন না, নয় উনি পেয়েই হারাবেন। যেটা পাবেন সেটা যে আবার রাখতে হয়, সেটা ওঁর ধাতের সঙ্গে মেলেনা।"
জানুয়ারীর বাইশ তারিখে এই বই পড়ে শেষ করলেও পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখতে কেটে গেল মাঝে চার মাস। দেরী হওয়ায় অবশ্য ভালোই হয়েছে, বইটার প্রতি প্রেমটা যে সত্যিকারের তা অন্তত এই চার মাসে প্রতিদিন একবার করে হলেও লাবণ্যকে মনে পরায় ঠিক ঠিক বুঝেছি।
শেষের কবিতা ১৩৩ পাতার প্রেমকে নিয়ে লেখা সহজ স্বীকারোক্তি। বিলেত ফেরত অমিত প্রেমে পরে লাবণ্যর। প্রথম দেখায় প্রেম যাকে বলে, হ্যাঁ সেটাই হয় অমিতের। নিজের ব্যারিষ্টারি, কবি হওয়ার সাধনা, শহর কলকাতার চাকচিক্য সব ভুলে ঘর বাঁধে পাহাড়ের কাছে। লাবণ্যও কি প্রেমে পরেনা? খুউউব পরে। দুজন দুজনার প্রেমে পরার পরেও যে কিন্তু থেকে যায়, তাই নিয়েই এ গল্প।
প্রথম দেখায় যে মেয়েকে সাক্ষাৎ পুরাণের পাতা থেকে উঠে আসা কোনো দেবী বলে ভ্রম হয়, সে তার সাধারণের মাঝে সযত্নে লুকিয়ে রাখে নিজের স্বরূপ। স্নিগ্ধতা আর লাবণ্যর খোলস ছেড়ে সে ভীষণ দৃঢ়চেতা এক মানুষ। তাই যখন দমকা হাওয়ার মতো কেতকীর আগমন ঘটে, সে মান অভিমানের পুরনো খেলা খেলেনা, প্রেম আর সংসারের যে আকাশ-পাতাল দূরত্ব তা অতিক্রম করার বৃথা স্বপ্ন দেখেনা। মিথ্যে বলব না, লাবণ্যর জন্যই বইটার মায়ায় আটকে আছি। ভালোবেসেও, ভীষণ করে কাউকে চেয়েও, সত্যিটা সকালের সূর্যর মতো করে দেখতে পারে যে মেয়ে তাকে ভালো না বেসে কিভাবে পারা যায়!
সময়ের প্রেক্ষাপটে যদি বিচার করতে চাই, এ বই তার সময়ের চেয়ে সহস্র বৎসর এগিয়ে যে আছে তা নতুন করে আমার বলার কিছু নেই। এই গল্প চিরন্তন, এই মন আর মস্তিষ্কের লড়াই সার্বজনীন। মনের খুব গভীরে যত্ন করে রাখা গোপন কোনো কষ্টের মতো বয়ে নিয়ে বেড়াই সবাই।
শেষের কবিতা পড়ার প্রতি আমার একটা অনীহা ছিল। স্কুলে পড়ার সময় স্যার একবার কারণ জানতে চাইলেন। ক্লাস নাইন পড়ুয়া আমি খুবই বিতৃষ্ণা নিয়ে বললাম, 'কনসেপ্টটাই তো কেমন! প্যাঁচের কারণটাই তো বুঝি নাহ!" স্যার হেসে উত্তর দিয়েছিলেন, "ভালোবাসার কনসেপ্টটাই তো অদ্ভূত। অনেকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, শেষের কবিতায় একদম ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা। বড় হলেই বুঝবা।"
I'm not quite sure what to make of Farewell Song. Even more so than usual with Tagore, I feel myself stranded on alien shores, uncertain of what I’m missing. The tone of the novella escapes me. Tagore is clearly toying with the line between irony and sincerity, literary pretension and profundity. But where, precisely, is the line drawn? Am I meant to take the romance of this novella seriously? Or is it all affectation? Or is it all affectation and nonetheless serious? Our hero—is he a hero or an ass or both? And what of the constant meta references to Tagore himself? The protagonist—whose poetry, which may or may not be tongue in cheek, enlivens the novel—explicitly positions himself in opposition to Tagore, the literary celebrity. Is this a joke? If so, at whose expense?
I suspect the answers to all these questions would be clearer if only I read Bengali and had a real sense of its literary history. Alas. Still, Farewell Song is well worth reading, even if I found it far less immediately captivating than Tagore’s The Garden or The Broken Nest. Even on a surface level, it is a beautifully written story sprinkled with lovely poetry. There are moments when the humor sparkles, and moments when it hits in an ugly way that feels intentional (colonialism, dependence and independence are constant themes—there is a political heft here, which again, I fear eludes me in its particulars). But even a reader as ignorant as I can appreciate a glimpse through the fence at beauties inaccessible.
মুগ্ধ! বিমোহিত! এমন দ্যুতিময় লেখা এর আগে খুব অল্পই পড়া হয়েছে। বুদ্ধদেব বসু'র কথার সুর ধরেই বলতে হয়, বাংলা গদ্য যে এত সাবলীল হতে পারে, তাকে যে ইচ্ছেমতো বাঁকানো, হেলানো, দুমড়ানো, মোচড়ানো সম্ভব, আলো-ছায়ার এত সূক্ষ্মস্তর তাতে ধরা পড়ে, খেলা করে ছন্দের এত বৈচিত্র্য, তার সুউজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রবি ঠাকুরের 'শেষের কবিতা'।
লুইচ্চা সম্রাট অমিত এবং খারাপ পোলাপানের সাথে উরাধুরা প্রেম করে বলদ পোলার গলায় ঝুলে পরা টিপিকাল লাবণ্যর অনবদ্য প্রেম কাহিনি। প্রেমের নামে কবিতা আর প্যাঁচানো প্যাঁচানো কথা বলতে বলতে পাহাড় বনের আড়ালে আবডালে হাত ধরাধরি করে সিস্টেম সেরে দুইজনই দুই নিরীহ বলদের গলায় ঝুলে জিতছি ভাব নিল। সেরা চরিত্র বিশিষ্ট রামছাগল শোভনলাল এবং আয়োজন করে সিস্টেমের ব্যবস্থা করে দিয়ে ভাজা মাছটি উল্টাতে পারি না ভাব ধরা পাতানো মাসি যোগমায়া।
Tagore’s ‘The Last Poem’ is a real treat to read. He wrote this novel at the later stage of his life but the rhythm is as usual and which is always reflected from his writings. It’s a love story between Amit and Lavanya. The plot had been sketched in the beautiful hill station of Shillong. The protagonists met because of a small motor accident and soon they found an intense chemistry between them. They discovered philosophy through their poetry. ‘The last Poem’ is a very modern story. The way he (kobiguru) described the emotions, feelings and love in the story is absolutely incredible. Sometime I do wonder how someone can sketch the protagonists so closely to life without being part of them. But then I also realize that is what ‘Kobi-guru RN Tagore’ is all about. The imagination touches the highest level through his creation. His realization for the world and universe is beyond our imagination. The story ends but it’s really not, still feel the characters running around back of mind. Amazing realization indeed.
A beautiful love story set in the hills of Shillong. The book is full of erudite conversations between the lovers, Amit and Labanya, and also other characters. Many poems on various themes are also presented. The story started well, got better and better and ended on an impressive note. I don't often read romance stories. I only read this story because it's written by Rabindranath Tagore and I liked it very much. In fact I look forward to his other romantic works.
P.S. - The author had inserted himself in the story as Robie Thakur. He doesn't make a physical appearance in the story though. Amit and Labanya often discoursed about Tagore's works. Amit is open about his dislike for Tagore's works, while Labanya is very fond of his writings.
'শেষের কবিতা' কবিতার কি আসলেও শেষ হয়েছিলো। নাকি অপূর্ণ আর আক্ষেপ নিয়ে শেষ হয়েছিল। অমিত লাবণ্যের প্রেম মনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। বেশিরভাগ প্রেম কাহিনীর মতো নায়ক/নায়িকার মৃত্যু /মিলন দিয়ে ইতি ঘটেনি। অমিত তার সৃষ্টিশীল কবিতার মধ্যে লাবন্যকে মনের মতো গড়ে তুলেছিল। আর এইখানেই লাবণ্যের ভয়। অমিতের ভাবনার অসমান্য লাবণ্যের মাঝেও যে সাধারণ বঙালি মেয়ের স্বপ্ন, কল্পনা ছিলো তা একদিন অমিত উপলব্ধি করবে । অমিতের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে চলতে গিয়ে কোনো একদিন হয়তো সে পিছিয়ে পড়বে। সেদিন অমিতের বোঝা হয়ে সে পথে থাকতে চায়না লাবন্য।
বইয়ের কিছু প্রিয় অংশ-
"পুরুষ তার সমস্ত শক্তিকে সার্থক করে সৃষ্টি করতে, সেই সৃষ্টি আপনাকে এগিয়ে দেবার জন্যই আপনাকে পদে পদে ভোলে। মেয়ে তার সমস্ত শক্তিকে খাটায় রক্ষা করতে,পুরোনোকে রক্ষা করার জন্যই নতুন সৃষ্টিকে সে বাধা দেয়। রক্ষার প্রতি সৃষ্টি নিষ্ঠুর,প্রতিরক্ষা বিঘ্ন।এমন কেনো হলো?এক জায়গায় এরা পরষ্পরকে আঘাত করবেই। আমাদের সকলের চেয়ে বড় বাধা সে মিলন নয়, সে মুক্তি।"
"যতদিন পারি নাহয় ওর কথার সঙে, ওর মনের খেলার সঙ্গে মিশিয়ে স্বপ্ন হয়েই থাকবো। আর স্বপ্নই বা তাকে বলবো কেনো? সে আমার একটা বিশেষ জন্ম। একটা বিশেষ জগতে সে সত্য হয়ে দেখা দিয়েছে। নাহয় সে গুটি থেকে বের হয়ে আসা দু চারদিনের রঙিন প্রজাপতিই হলো। তাতে দোষ কি?জগতে প্রজাপতি আর কিছুর চেয়ে কম সভ্য তা তো নয়। নাহয় সে সূর্যদয়ের আলোতে দেখা দিলো আর সূর্যাাস্তের আলোতে মরে গেলো, তাতেই বা কী? কেবল এটুকুই দেখা চাই যে, সেটুকু সময় যেন ব্যর্থ হয়ে না যায়। "
জীবনে খুব কম বই একবারের বেশি দু'বার পড়েছি। সেই কম বইগুলোর মধ্যে এখানা সবচে' বেশিবার পড়েছি। প্রথমবার পড়েছিলাম, চতুর্দশীয় বসন্ত ছোয়ার দিনে...উপহার পেয়েছিলাম। ভালো লাগে নি তখন। কিন্তু এরপর আরও তিনবার পড়েছি, এবং প্রতিটা বার ভালো লাগার মাত্রা বেড়েছে। শেষ যেবার পড়েছি, সেবার একদম অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। এ বইয়ের রস আলাদা, একই জিনিস বারবার পড়ার মধ্যে আনন্দ খুব কম বইয়ে মিলে। এবং প্রতিবার শেষ করার পর সেই আনন্দের মাত্রা বাড়া!....আমার ক্ষেত্রে এ বই ছাড়া আর কোনো বইয়ের ক্ষেত্রে এরকম হয় নি।
এ বইয়ের স্থান অনেক উঁচুতে, রস আস্বাদন করার জন্য সেরকম উঁচু জায়গায় মনকে নিয়ে যেতে হয়। কবিগুরুকে চিরদিনের জন্য নিজের করে নিয়েছিলাম এ বইয়ের মাধ্যমে।
The first time I read Shesher Kobita- probably 15 to 16 years back, it seemed to me that it was nothing more than an average-rated book. However, unknowingly, I felt interested in reading it- again. Then I started reading it- again, and I read it 4- times at a stretch. The more I read the book, the more I felt that there was something more in the depth. Still, today, whenever I get a chance, I open the book on any page and read it, and I get the same feeling again and again.
আমি মুগ্ধ! বিমোহিত! "শেষের কবিতা" সব দিক দিয়ে অসাধারণ সৃষ্টি বাংলা সাহিত্যের! লাবণ্যর প্রেমে পরে গেছি! নাকি নিজের ভিতর লাবণ্যর ছায়া দেখতে পেয়েছি?! সে যাই হোক! জয় হোক কবি গুরুর! :D
তি...রি...শ বছর! আজ থেকে এই এতগুলো দিন আগে পড়েছিলাম এই বইটি। কেন পড়েছিলাম? উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর আগের সেই সময়টাতে এই রচনাটি শ্রুতিনাটক আকারে রূপায়িত হচ্ছিল। আমি ছিলাম তার সূত্রধর। ফলে মূল লেখাটা পড়তেই হয়েছিল। সেইসব অমিত, লাবণ্য, কেতকী... হারিয়ে গেছে সময়ের স্রোতে। কলসিতে ভরা জল, ঝর্না, রডোডেনড্রন গুচ্ছ, এমনকি বইটা পড়ার সময় মনের মধ্যে অমিত রায়কে চপেটাঘাতের উদ্দেশ্যে জেগে ওঠা এক প্রবল বাসনা— সব হারিয়ে গেছে। কী থেকে গেছে তাহলে? "কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?" যতবার, য...ত...বা...র এই লাইনটা মনে পড়ে, ততবার গায়ে কাঁটা দেয়। সত্যি-সত্যিই মনে হয়, প্রেম-অপ্রেম, শৌখিন বুদ্ধিমত্তা আর ধৈর্যের স্থৈর্য ছাপিয়ে এই কাহিনি আসলে মানব ও মানবীর সম্পর্ককে, তাদের মনোজগতকে এক অদ্ভুত আলোয় তুলে ধরেছে। কনে-দেখা আলোর মতোই সে আলো সবকিছুকে স্পষ্ট, মেদুর, মোহময়, আর অপ্রাপনীয় করে তোলে। মানিকের 'প্রাগৈতিহাসিক'-এর বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে থেকেও কালাতীত হয়ে যাওয়া এই লেখা নিয়ে আর কীই বা লিখব? বরং "হে বন্ধু, বিদায়" বলে থেমে যাই এ-যাত্রা।
ভোজন হল, হজম হল না। স্বাদ নিলাম, কিন্তু সাধ মিটল না।
অমিতের আতলামি অনেকাংশেই বিরক্তির উদ্রেক করেছে। আর লাবণ্যর চরিত্রটা এত অল্প পরিসরে ঠিক প্রস্ফুটিত হতে পারেনি বলে মনে হয়েছে। নিবারণের অনেকগুলো কবিতা চরণই বেশ আনাড়ি লেগেছে। সহপাঠকগন এই বিখ্যাত বইটি পড়ে এভাবে উজাড় করে তারকা প্রদান কেন করেছেন তা মিলাতে পারিনি। অনেকেই মনে করতে পারেন যে, আমিও হয়তো অমিতের মত স্রোতের বিপরীতে পাল ফুলিয়ে নৌকা চালাচ্ছি। তাহারা আমার মন্তব্য ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দর্শন করে আপনাদের ভাল লাগার কারণ জানালে বাধিত থাকব।
An amazing and exceptional book is the one that you feel to re read once again from the 1st page after you have completed it. It is a very rare feeling which occurs to any reader after reading a book and Tagore's "The Last Poem" is one such gem. It is a saga, an epic love story. Tagore has brilliantly weaved poetry with prose and made every page of the book beautiful. The novel is deep, witty and extremely romantic. It is the type of book that will linger in the minds of the readers for long. The character of Amit is wonderfully etched out as we turn the pages of the book. His character of an eccentric, moody, poetic romantic soul metamorphoses to a matured, responsible, calm minded person. Similarly, the character of Lavanya which begins with a reserved, studious, strong hearted girl soon changes into a fragile, soft hearted romantic woman who craves for love. Amit and Lavanya complimented each other beautifully in the book as their camaraderie and moments helped each other to overcome the weaknesses they had.The two souls met each other in Shillong, fell in love, helped each other rediscover their inner self and then parted with a smile to settle down with different individuals. When Yati asked Amit whom he actually loves, I loved the metaphor used by Amit: "What binds me to Ketaki is love, but this love is like water in a vessel.I'll draw it and use it everyday. My love for Lavanya is like a lake, which can't be brought home in a vessel. My mind will swim in it." The last poem is definitely the most poignant poem out of all the verses used in the book. It was thought provoking, touching and heart wrenching at the same time. The lines that touched me the most are: "Grieve not on my account, Wide is the world with many tasks. My cup is not discarded Shall fill again- Let this sustain me forever. I may yet be blessed If there be one eager heart Waiting for my footsteps. I long to give myself to him Who can see the compassion of love The actual me, a blend of good and ill Who can light up the dark night With flowers plucked in moonlight."
The translator Dilip Basu has done a great work and the illustrations of Dinkar Kowshik added beauty to the book. I know I will surely read this book time and again as this is surely not a one time read. Lastly, I take a bow to convey my respect to Rabindranath Tagore, the genius.
ওগো বন্ধু, সেই ধাবমান কাল জড়ায়ে ধরিল মোরে ফেলি তার জাল তুলে নিল দ্রুতরথে দু'সাহসী ভ্রমনের পথে তোমা হতে বহু দূরে।
মনে হয় অজস্র মৃত্যুরে পার হয়ে আসিলাম আজি নব প্রভাতের শিখর চুড়ায়; রথের চঞ্চল বেগ হাওয়ায় উড়ায় আমার পুরানো নাম।
ফিরিবার পথ ন���হি; দূর হতে যদি দেখ চাহি পারিবে না চিনিতে আমায়।
হে বন্ধু বিদায়।
কোনদিন কর্মহীন পূর্ণো অবকাশে বসন্তবাতাসে অতীতের তীর হতে যে রাত্রে বহিবে দীর্ঘশ্বাস, ঝরা বকুলের কান্না ব্যাথিবে আকাশ, সেইক্ষণে খুজে দেখো, কিছু মোর পিছে রহিল সে তোমার প্রাণের প্রানে, বিস্মৃতি প্রাদোষে
হয়তো দিবে সে জ্যোতি, হয়তো ধরিবে কভু নামহারা স্বপ্নে মুরতি।
তবু সে তো স্বপ্ন নয়, সব চেয়ে সত্য মোর সেই মৃত্যুঞ্জয় - সে আমার প্রেম।
তারে আমি রাখিয়া এলাম অপরিবর্তন অর্ঘ্য তোমার উদ্দেশ্যে। পরিবর্তনের স্রোতে আমি যাই ভেসে কালের যাত্রায়।
হে বন্ধু বিদায়।
তোমায় হয় নি কোন ক্ষতি। মর্তের মৃত্তিকা মোর, তাই দিয়ে অমৃতমুরতি যদি সৃষ্টি করে থাক তাহারি আরতি হোক তবে সন্ধ্যা বেলা-
পূজার সে খেলা ব্যাঘাত পাবে না মোর প্রত্যহের ম্লান স্পর্শ লেগে; তৃষার্ত আবেগবেগে ভ্রষ্ট্র নাহি হবে তার কোন ফুল নৈবদ্যের থালে।
তোমার মানস ভোজে সযত্নে সাজালে যে ভাবরসের পাত্র বাণীর ত'ষায় তার সাথে দিব না মিশায়ে যা মোর ধূলির ধন, যা মোর চক্ষের জলে ভিজে। আজও তুমি নিজে হয়তো বা করিবে বচন মোর স্মৃতিটুকু দিয়ে স্বপ্নবিষ্ট তোমার বচন ভার তার না রহিবে, না রহিবে দায়।
হে বন্ধু বিদায়।
মোর লাগি করিয় না শোক- আমার রয়েছে কর্ম রয়েছে বিশ্বলোক। মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই, শুন্যেরে করিব পূর্ণো, এই ব্রত বহিব সদাই। উ'কন্ঠ আমার লাগি কেহ যদি প্রতীক্ষিয়া থাকে সে ধন্য করিবে আমাকে।
শুক্লপখক হতে আনি রজনী গন্ধার বৃন্তখানি যে পারে সাজাতে অর্ঘ্যথালা কৃষ্ণপক্ষ রাতে সে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালমন্দ মিলায়ে সকলি, এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি।
তোমারে যা দিয়েছিনু তার পেয়েছ নিশেষ অধিকার। হেথা মোর তিলে তিলে দান, করূন মুহূর্তগুলি গন্ডুষ ভরিয়া করে পান হৃদয়-অঞ্জলি হতে মম, ওগো নিরূপম,
হে ঐশ্বর্যবান
তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারই দান, গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।
কোন একটা বই পড়ার সাথে বয়সের সম্পর্ক আছে বোধ করি। রবি ঠাকুরের "শেষের কবিতা" কতবার হাতে নিয়েছি আর দুই পাতা পড়ে রেখে দিয়েছি তার হিসেব নেই; তা উপন্যাসের দোষে নয়, আমার বয়সের অপক্বতায় হয়ত। জন্মের তিন দশকের জয়ন্তীতে এসে কি সেই পরিপক্বতা অর্জন করলাম! আর এক বার পড়েই চরিত্রদের মানস যেন কিছু কিছু বুঝলাম, যাকে ইংরেজিতে বলে "makes sense", এটাও কি অপক্বতা জনিত না পরিপক্বতা লাভের লক্ষণ সেটা এখনও নিশ্চিত নই। ভাল লাগল। রবীন্দ্রনাথের পরপর দুটো উপন্যাস পড়লাম। তাঁর মানুষের মন নিয়ে যে সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ তা সুপাঠ্য। তবে তা ভিক্টোরিয়ান (ব্যক্তিগত মত)। [ভিক্টোরিয়ান যুগে ভিক্টোরিয়ানই তো হওয়ার কথা!]
প্রথম যখন শেষের কবিতা পড়েছিলাম আমার মনে আছে আমি ছোট ছিলাম। শেষটা পড়ে আমার মনে হয়েছিলো ধুর ধুর এটা আবার কেমন উপন্যাস! অথচ পরে আবার বহুবছর পরে যখন পড়ি, এখন কিছু মাস পরপরই আবার পড়তে পারি- এতো ভালো লাগে। ভালোলাগাটা এমন যে বুঝতে পারি এখন কতটুকু দূর্দান্ত রবিঠাকুরের এই কালজয়ী অমিত-লাবণ্যকথা। ভালোলাগাটা এমন- যেন নক্ষত্রভরা আকাশ। যত দেখবো যতো জানবো, ক্লান্ত হবো না কোনোদিন। নশ্বর জীবনে মন ভরিয়ে প্রাণ পুরিয়ে দেখে পড়ে যেতে পারবো এইরকম প্রিয় হয়ে গেলো।
"অমিত বলে, “মেয়ে বিয়ে করত সেই পুরাকালে, লক্ষণ মিলিয়ে । আমি চাই পাত্রী আপন পরিচয়েই যার পরিচয়, জগতে যে অদ্বিতীয় ।” সিসি বলে, “তােমার ঘরে এলেই তুমি হবে প্রথম, সে হবে দ্বিতীয়, তােমার পরিচয়েই হবে তার পরিচয় ।” অমিত বলে, “আমি মনে মনে যে মেয়ের ব্যর্থ প্রত্যাশায় ঘটকালি করি সে গরঠিকানা মেয়ে । প্রায়ই সে ঘর পর্যন্ত এসে পৌঁছয় না । সে আকাশ থেকে পড়ন্ত তারা, হৃদয়ের বায়ুমণ্ডল ছুঁতে-না-ছুঁতেই জ্বলে ওঠে, বাতাসে যায় মিলিয়ে, বাস্তুঘরের মাটি পর্যন্ত আসা ঘটেই ওঠে না।”
"....কোনোদিন কর্মহীন পূর্ণ অবকাশে, বসন্তবাতাসে অতীতের তীর হতে যে রাত্রে বহিবে দীর্ঘশ্বাস, ঝরা বকুলের কান্না ব্যথিবে আকাশ, সেইক্ষণে খুঁজে দেখো, কিছু মোর পিছে রহিল সে তোমার প্রাণের প্রান্তে ; বিস্মৃতপ্রদোষে হয়তো দিবে সে জ্যোতি, হয়তো ধরিবে কভু নামহারা-স্বপ্নের মুরতি। তবু সে তো স্বপ্ন নয়, সব চেয়ে সত্য মোর, সেই মৃত্যুঞ্জয়।"
কিছু বই আছে যা খপ করে গিলে ফেলতে হয় না, ধীরে সুস্থে আয়েশ করে বসে খোসা ছাড়িয়ে একটু একটু করে তারিয়ে তারিয়ে খেতে হয়। এই বইটা ঠিক সেই ধরণটার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
ছয়মাস আগে পিডিএফ ফরম্যাটে বইটা যখন প্রথমবার পড়েছিলাম তখন হাতে হার্ডকপি না থাকায় বইটা ছিঁড়ে ফেলতে পারি নি! তবে প্রচন্ড মেজাজ খারাপ যে হয়েছিলো সে কথা বলাই বাহুল্য। ন্যাকামি আর লুলামিতে পরিপূর্ণ একটা বইয়ের উদাহরণ দিতে গেলে এটার নাম একেবারে প্রথম সারিতে থাকতো। তবে অনেকেরই ভালো লাগা বইটা (গুডরিডস রেটিং দ্রষ্টব্য) ব্যক্তিগতভাবে জঘণ্য লাগার কারণটা বুঝার জন্য হলেও আরেকবার পড়ে দেখার ইচ্ছা ছিলো! সপ্তাহখানেক আগে হটাৎ করে মাত্র বিশ টাকায় পল্টন থেকে প্রায় নতুন কন্ডিশনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংষ্করণ পেয়ে যাওয়ায় বুঝতে পারলাম মহাবিশ্বও চায় বইটা আরেকবার পড়ে দেখি.. :3
কিন্তু এবার পড়ার অনুভূতি সম্পূর্ণ ভিন্ন! একই সাথে একটা বই দিয়ে এরকম বৈপরীত্যের জাদু দেখানো বোধহয় শুধু রবীন্দ্রনাথের পক্ষেই সম্ভব!
বইয়ের মূল চরিত্র মাত্র দুইটি, লাবণ্য আর অমিত। এই দুইজনকে নিয়েই পুরো উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হলেও সাথে আরও কিছু ছোটখাটো পার্শ্বচরিত্র আছে। মূল পার্শ্বচরিত্র যদিও বইয়ের গোড়ার দিক থেকেই আছে, কিন্তু একেবারে শেষ পর্যায়ে না গেলে বোঝা যায় না। তাই তার নামটা বলে মজা আগে থেকে নষ্ট করলাম না। কিছু কথা থাক না গুপন! বইটা একই সাথে কমেডি, আবার সেই সাথে ট্রাজেডিও! সেইটা নির্ভর করবে কার চোখ দিয়ে দেখা হচ্ছে তার উপর। তবে শেষটা চমৎকার ছিলো, বিশেষ করে শেষের কবিতাটা..!!
[ বিঃদ্রঃ প্রথমবার বইটা পড়ে 'দুই বধূ এক স্বামী' নামের বাংলা সিনেমার কথা মনে পড়লে কিছুদিন বিরতি দিয়ে আরেকবার পড়ে দেখবেন। 😁 ]
For God's sake, hold your tongue and let me love! 'শেষের কবিতা' সম্পর্কে বুদ্ধদেব বসু বলেছেন ❝...এই আশ্চর্য নতুন রচনাটি পড়তে পড়তে আমাদের মনে হ'লো যেন একটা বদ্ধ দুয়ার, যা আমাদের আনাড়ি হাতের আঘাতে কোন উত্তর দেয়নি, তা এক জাদুকরের স্পর্শে হটাৎ খুলে গেল–দেখা গেল আমাদেরই অনেক স্বপ্নের চোখ-বাধানো মূর্তি। আমরা যা-কিছু চেষ্টা করছিলাম অথচ ঠিক পারছিলামনা, সেই সবই রবীন্দ্রনাথ করেছেন–কী সহজে কী সম্পূর্ণ ক'রে কী সুন্দর ভঙ্গিতে...❞
"তোমারে দিইনি সুখ, মুক্তির নৈবেদ্য গেনু রাখি রজনীর শুভ্র অবসানে। কিছু আর নাই বাকি, নাইকো প্রার্থনা, নাই প্রতি মুহুর্তের দৈন্যরাশি, নাই অভিমান, নাই দীন কান্না, নাই গর্ব-হাসি, নাই পিছু ফিরে দেখা। শুধু সে মুক্তির ডালিখানে ভরিয়া দিলাম আজি আমার মহৎ মৃত্যু আনি। "
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কাব্যধর্মী উপন্যাস 'শেষের কবিতা' এর রিভিউ দেওয়া আমার কাছে সমুদ্র থেকে এক বিন্দু জল তুলে নেওয়ার মতো ব্যাপার। কোন লাইন ছেড়ে কোন লাইন উল্লেখ করবো তা বুঝে উঠতে পারলাম না। প্রত্যেকটি লাইনে যে ভাবার্থ অন্তর্নিহিত রয়েছে তা শুধু আত্ননিমগ্ন হলেই বোঝা সম্ভব। সম্পর্কের বাস্তব রূপটা এই উপন্যাসে রোমান্টিকতার সাথে ফুটে উঠেছে। আমার অল্পবিস্তর জ্ঞানের মাধ্যমে যদি এর সংক্ষেপ বলি তাহলে বলবো, আমরা সঠিক সময়ের অভাবে অনেক সময় সঠিক মানুষটিকে গ্রহণ করতে অপারগ হই। আবার যখন আমাদের সঠিক সময় আসে তখন মানুষটি সঠিক হয় না। তাইতো কবি বারবার জন ডনের লাইনটি বলেছেন,
" For God's sake, hold your toungue and let me love you!"
এই সঠিক-বেঠিক, শত সংঘাতের মাঝেও আজীবন আমরা একজনকেই ভালোবাসি। আর অপ্রাপ্তিতেই সেই ভালোবাসা অক্ষয় হয়। তাই কবি বলেছিলেন, " রূপক দিয়েই বলতে হবে, নইলে এসব কথার রূপ চলে যায়__কথাগুলো লজ্জিত হয়ে উঠে। কেতকীর সঙ্গে আমার সম্বন্ধ ভালোবাসারই, কিন্তু সে যেন ঘড়ায় তোলা জল__প্রতিদিন তুলবো, প্রতিদিন ব্যবহার করব।আর লাবণ্যর সঙ্গে আমার ভালোবাসা সে রইল দিঘি, সে ঘরে আনবার নয়, আমার মন তাতে সাঁতার দেবে"
শেষের কবিতাঃ "...ওগো তুমি নিরুপম, হে ঐশ্বর্যবান, তোমারে যা দিয়াছিনু সে তোমারি দান__ গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়। হে বন্ধু, বিদায়।"
উপন্যাসের ইতিহাসে এমন উপন্যাস বিরল। লেখক তখন প্রায় ফুরিয়ে গিয়েছেন বলেই মনে করছিল তাঁর অধিকাংশ পাঠক। এমন সময়েই তিনি লিখে ফেললেন এক অনন্যসাধারণ গল্প, যেখানে প্রেম, দর্শন, ও বুদ্ধিবৃত্তির মিশেলে এক চিরন্তন মানবিক দ্বন্দ্বকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্র অমিত রায়, এক আধুনিক, বুদ্ধিদীপ্ত, আত্মবিশ্বাসী যুবক। তিনি বিলেতফেরত ব্যারিস্টার, কিন্তু প্রচলিত সামাজিক ধ্যানধারণার প্রতি তাঁর তেমন মোহ নেই। অন্যদিকে, লাবণ্য এক সংযত, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, প্রখর বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন বাঙালি মেয়ে, যার সঙ্গে অমিতের দার্জিলিংয়ে সাক্ষাৎ ঘটে। অমিত ও লাবণ্যর মধ্যকার প্রেম কেবল আবেগের নয়, বরং এক গভীর বুদ্ধিবৃত্তিক সংলাপ।
এই প্রেমের পরিণতি শেষ পর্যন্ত পরিণয়ে গড়ায় না। বরং বাস্তবতা ও সামাজিক কাঠামোর বাস্তব উপলব্ধি তাদের পথকে আলাদা করে দেয়। লাবণ্য চলে যায় এবং অমিতের জীবনে প্রবেশ করে কেতকী — a more socially acceptable choice!!
এই উপন্যাস শুধুমাত্র এক গতে বাঁধা প্রেমকাহিনি নয়, বরং এটি প্রেম, বাস্তবতা ও আত্মসচেতনতার এক অসাধারণ রূপক। এখানে রবি বাবু প্রেমের রোমান্টিকতা ও বাস্তবতার মাঝে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছেন। অমিতের উচ্চকণ্ঠ ও বুদ্ধিদীপ্ত রোমান্টিকতা একদিকে, আর লাবণ্যর শান্ত, গভীর জীবনবোধ অন্যদিকে—এই দুইয়ের সংঘাতে উপন্যাস এগিয়ে চলে।
রবি বাবুর ভাষা এই উপন্যাসে অত্যন্ত কাব্যময় এবং দার্শনিক। কথোপকথনের মধ্যেই অনেক দার্শনিক ও নান্দনিক চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অমিতের সংলাপগুলো বিশেষভাবে কাব্যময় ও রূপকের সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ।
'শেষের কবিতা' পাঠককে কেবল প্রেমের এক আবেগী ধারা উপহার দেয় না, বরং তাকে ভাবতে বাধ্য করে। অনেক পাঠকই অমিত-লাবণ্যর বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেন না, আবার কেউ কেউ মনে করেন, এটাই বাস্তব প্রেমের প্রকৃত রূপ।
উপন্যাসটি প্রেমের এক রোমান্টিক আদর্শ ও বাস্তবতার সংঘর্ষ তুলে ধরে, যা আজও প্রাসঙ্গিক।
সর্বোপরি, ‘শেষের কবিতা’ শুধুমাত্র প্রেমের গল্প নয়, এটি জীবনের গভীরতর সত্য ও অনুভূতির এক অনন্যসাধারণ চিত্রায়ণ, যা বারবার পাঠ করতে ইচ্ছা জাগায়। চিরন্তন রবীন্দ্রনাথ।
পড়ুন এই বই। অনুভব করুন সহজিয়া রবি ঠাকুরের সৃষ্টি সুখের উল্লাস !!
উপন্যাস টি কালজয়ী, নাকি কালজয়ী লেখকের উপন্যাস আমার দ্বিধা আছে। অনেক কিছু জটিল করে লেখা হইসে যা আমি বার বার পড়তে বাধ্য হইসি।
কবিতাগুলো বার বার পড়া সত্ব্বেও মন বসাতে পারিনি। লাবন্য কে অমিত ডাকে বন্যা আর অমিতকে লাবণ্য ডাকে মিতা বলে। কী ন্যাকমিই টা দেখালেন বিশ্বকবি!
অমিত এক নারীতে আসক্ত না। জীবনে প্রেম বার বার আসতে পারে। নারীও বার বার আসতে পারে। শতভাগ খাটি। কিন্তু একই সাথে দুই নারীকে ভালোবাসা সম্ভব কি করে? তাও সেই দুই নারীর ব্যক্তিত্ব পরস্পর বিপরীত!! একজন প্রেমিক এক সাথে সত্যিকারের প্রেম কয়টা করতে পারে? লেখক কি বুঝাতে চাইলেন, ক্ষনে ক্ষনে বাঙ্গালী পুরুষ মানেই লম্পট? হিউম্যান লেজিটেমেসি কই?
হয় তিনি এন্টিসিপেট করেন নাই উপন্যাস টা কালজয়ী হতে যাবে নয়ত পূর্বপুরুষদের এহেন 'নিজের কালচার বাদ দিয়ে ইংরেজ ভাবসাব নিতে পারাটা স্মার্টনেস, জাতে ওঠা'' টাইপের ব্যক্তিত্বহীনতা বা চরিত্রহীনতা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মেসেজ হিসাবে রেখে গেছেন। আহ কবিগুরু, নারী মনে হয় আপনার পছন্দের খেলার বস্তু। অমিতকে লাম্পট্যের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে যে উক্তির মাধ্যমে আমার মনে হয়-
কেতকির সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালোবাসারই, কিন্তু সে যেন ঘড়ায় তোলা জল- প্রতিদিন তুলব, প্রতিদিন ব্যবহার করব। আর লাবন্যের সঙ্গে আমার যে ভালোবাসা, সে রইল দীঘি, সে ঘরে আনবার নয়, আমার মন তাতে সাঁতার দেবে।
একজন প্রতিষ্ঠিত কবি কেনো তার সমকালীন উপন্যাসে নিজের ঢোল নিজে পেটাবেন? একজন কাল্পনিক কবির সাথে প্রতিভাযুদ্ধ এবং শেষে এসে নিজেকেই জয়ী করলেন। ইতিমধ্যে নোবেল বিজয়ী ঔপন্যাসিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের- এভাবে নিজে��ে ঔপন্যাসিক দেখাবার প্রয়োজন কি ছিলো? তিনি তো ইতিমধ্যেই কালজয়ী। সমালোচকদের সমালোচনায় আত্মপীড়ন হয়ে গেছিলো তার? আমার জানা হবে না কখনো।
Wanted to read the Hindi translation, but couldn't get it anywhere and had to settle for English. Enjoyed the transcreations from this blog which did an excellent job. Rich prose, having a filmy love story, albeit unconventional with a different level of emotions and understanding. Wish I could comprehend the poetry parts in Bengali, as translations strip them off their magical wordplay.
Some noteworthy quotes....
On culture and education: "The crude stone from whence the glittering diamond is cut is education. The luminous light that sparkles forth is culture. The stone lends weight, the light gives illumination."
Against feminism: "The party with the shackles fetter the bird in chains. The ones without manacles, bind through opium, in other words through deceit and delusion. The shackler ties you down but does not beguile. The opium vendor places you under control and also misleads. The female case is filled with opium, nature being the evil supplier."
On punctuality: "It befits the ones who have loads of time on their hands to be punctual. God’s hourglass contains eternity, hence the sun rises and sets right on time. Our tenure is limited, it is extravagant for us to waste time by being punctual."
Okay, I finally read Shesher Kobita. It took me a long time to pick up the book for I was daunted by the difficulty of the language. And that's exactly why it took me over a month to complete reading this fantastic book.
Now, what a book! It's more than just a love story. The dialogues between the lovers were culturally and ideologically rich alongside being romantic (which, by the way, may seem a little corny at this point in time). Some of the concepts discussed are way ahead of its time. The depth of the words made me reread certain portions at times, marveling at the sheer genius of Rabindranath.
One complain I have is that the similes and metaphors used sometimes felt forced or unnecessary. Of course it enriched the reader experience for me, leaving me gawking at the pages speechlessly, but at times it seemed that the usage of similes and metaphors was excess in quantity.
All that being said, I loved reading Shesher Kobita. I guess it's time for me to pick up Nouka Dubi.
প্রথম লাইনটি পড়েই অবাক হতে হলো। ছোট ছোট সরল বাক্য। খুব আধুনিক ছাঁতে ফেলে যত্ন নিয়ে লেখা। মলাট উল্টিয়ে নিশ্চিত হতে হল, রবি ঠাকুরই কিনা! রবীন্দ্র-নিন্দুকদের জন্য নিজ হাতে, নিজের মনমত চরিত্রে, নিজেকে চপেটাঘাত করে অন্যকে বুঝিয়ে দেয়া-সেটা উনার দ্বারাই সম্ভব হয়তো। শিলং এ পাহাড়ি আবেশে স্বপ্নাতুর প্রেমের এক রুচিসম্পন্ন, মার্জিত গল্প। নিপাট, বৃষ্টিভেজা কদম ফুলের মত স্নিগ্ধতায় আচ্ছন্ন লাবণ্য-অমিতের অমিত আবেগময় বাক্যবিনিময় আর কালক্ষেপণ। ছন্নছাড়া অমিত আর শুভ্রকোমল লাবণ্যের অস্ফুট আবেগের অমিয় প্রকাশ। আর শেষের কবিতাটার কথা না বললে তো অপমানই হয়,
তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান; গ্রহন করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়। হে বন্ধু বিদায়!
এ উপন্যাস যেনো শরতের ভোরবেলা দিগন্তজোড়া সবুজ মাঠে ঘাসের উপর বিছিয়ে দেয়া কোমল শিশিরের মত। পথ চলতে আনন্দ, পা ভিজিয়ে সুখ, হাতের পরশ বুলিয়ে তৃপ্তি আর তাতে শুয়ে থেকে আলো ফোটার অপেক্ষার মত মিষ্টি। শিশিরের মতই ক্ষণস্থায়ী কিন্তু আবেশে দূরপ্রসারী।