সেরা দশ গল্প

Humayun Ahmed (Chronological List) #321

by Humayun Ahmed

সাম্প্রতিক সময়ে একটি প্রশ্ন কারও কারও কণ্ঠে ধ্বনিত হয়, বাংলা ছোটগল্পের দিন কি শেষ?
না, ছোটগল্পের দিন শেষ হয়ে যায় নি। বাংলাদেশের ছোটগল্পের স্বরুপ এই প্রজন্মের পাঠকদের সামনে তুলে ধরতেই দেশসেরা গল্পকারদের ছোটগল্প সংকলনের একটি সিরিজ প্রকাশ করছে 'অন্যপ্রকাশ'।
কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদএর দশটি গল্পের বর্তমান সংকলন এই সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। এতে যুক্ত হয়েছে তার যে সকল গল্প-
*সৌরভ
*উনিশ শ' একাত্তর
*জলিল সাহেবের পিটিশন
*শিকার
*অয়োময়
*মন্রীর হেলিকপ্টার
*অচিন বৃক্ষ
*পিশাচ
*চোখ
*ছায়াসঙ্গী

110 pages, Hardcover

First published February 2, 2016

About the author

Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Reviews

[Zuberino · Rating 3 out of 5]

এখানে দুয়েকটা গল্প আগে পড়া ছিল.. সত্যি বলতে গোটা সংকলন মাঝারি মানেরই লাগলো..

- শুরুর গল্প "সৌরভ"-এর সেন্টিমেন্টালিটি বেশ বিরক্তিকর, গড়পরতা হুমায়ূনীয় ম্যানিপুলেশনের বাইরে কিছু না
- মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গল্প দুটা খুব সুন্দর (১৯৭১, জলিল সাহেবের পিটিশন)
- মাইনষের চোখ তোলা নিয়ে সাসপেন্স বানানোর প্রয়াস আছে একটা না, বরং দুইটা গল্পে। এই থিম কেন এত প্রিয় ছিল লেখকের?
- "মন্ত্রীর হেলিকপ্টার"-এর কড়া স্যাটায়ারে বেশ মজা পেলাম
- "অয়োময়" - বুনোট আর মেসেজ দুটাই শক্তিশালী ছিল
- "ছায়াসঙ্গী" - রহস্যটা একটু মেহ টাইপের লাগলো
- তার চেয়ে বরং "পিশাচ সাধক"-এর ক্যারেক্টার স্কেচটা বেশী সতেজ, সরেস।
- "অচিন বৃক্ষ" গল্পটাও এক রকম চরিত্রচিত্রণ। একেবারে মন্দ না। আন্দাজ করি যে নেত্রকোনার গ্রামের মানুষ মোবাইল ডাটার যুগে আর সেই আগের মতো নাই...

[Heisenberg · Rating 5 out of 5]

হুমায়ূন আহমেদ এর বই যত পড়ি খারাপ লাগে যে উনার নতুন আর বই আসবে না..বই এর কন্টেন্ট ভাল থাকুক কি খারাপ পড়তে কখন ও বিরক্তি আসে না..বরং আফসোস লাগে..এত দ্রূত চলে যাওয়া লাগলো তার...
এই বইয়ের "অচিন বৃক্ষ" আর "জলিল সাহেব এর পিটিশন" পড়ে কষ্ট গুলো আরও যেন বেড়ে গেল..এমন অদ্ভূত সুন্দর গল্প গুলো সব লেখা শেষ হয়ে গেছে..নতুন আর একটাও আসবে না... 😓😓

[Salahuddin Sunny · Rating 3 out of 5]

“হতাশা গুণনাশিনী। হতাশা মানুষের সমস্ত গুণ নষ্ট করে দেয়।” [গল্প ১: সৌরভ]

প্রতিদিন নিয়ম করে রাতে ঘুমানোর আগে রিডিং ল্যাম্পের মৃদু হলুদ আলোয় শুয়ে শুয়ে একটা বা দুটো গল্প (মাঝে কিছুদিন এ নিয়মে খানিকটা ব্যাঘাত ঘটেছিলো যদিও), কুমিল্লায় অবস্থান করার সময়ে এক কি দুদিনে দুটো গল্প তারপর অনেকটা সময় পেরিয়ে শেষে আজকে বাসে করে ভার্সিটি যাওয়ার পথে পড়তে পড়তে কখন যে বইটা শেষ হয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না। সাইন্স ল্যাব থেকে একেবারে ক্যাম্পাসের ঐখানে বাস থেকে নামার আগ পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘন্টার জার্নিতে বই থেকে একটুও চোখ সরেনি আমার। শহরের কোলাহল আর সাভারের ঐদিকটার আশেপাশের কিছু সুন্দর সুন্দর জায়গাকে পেছনে ফেলে বাস এগিয়ে গেছে তার গন্তব্যের দিকে।এর মাঝে আমার পাশের সিটে তিনজন লোকের অদল বদলও হয়েছে। ছোটখাটো একটা ছেলে ফোন চালানোর বদলে এভাবে বইয়ের ভেতর মশগুল হয়ে আছে দেখে আশেপাশের মানুষ বিস্ময় নিয়ে তাকিয়েও ছিলো হয়তোবা! আচ্ছা যাইহোক এদিক সেদিকের প্যাচাল বাদ দিয়ে এখন একটু বই নিয়ে প্যাচাল পারা যাক!

অন্যপ্রকাশ থেকে আরও কয়েকজন ভিন্ন ভিন্ন লেখকের বাছাইকৃত সেরা দশটি গল্প নিয়ে ‘সেরা দশ গল্প’ নামে এ সিরিজের বই বের হয়েছে। বইয়ের শিরোনামে সেরা দশ গল্প লেখা থাকলেও কিন্তু দশটির দশটি গল্পই আমার কাছে সেরা মনে হয় নি বা বলা যায় লাগেনি। এর মধ্যে সবচেয়ে জোশ লাগছে শেষের গল্পটা‌! এছাড়াও প্রথম গল্প ‘সৌরভ’, এরপর ‘শিকার’, ‘অচিন বৃক্ষ’, ‘পিশাচ’ এই শিরোনামের গল্পগুলো ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে ভালো লেগেছে। স্যারের লেখা নিয়ে আলাদা করে বলার কিছুই নেই। আমাদের কমবেশি সকলের চেনা পরিচিত সহজ সাবলীল কথ্যভাষাতে লিখেছেন প্রতিটা গল্প। এদের মধ্যে কয়েকটাতে আবার ময়মনসিংহের আঞ্চলিক ভাষার কিছু কিছু শব্দেরও দেখা মিলবে। এইতো...

আর কিছু বলার নেই আমার। ছোটগল্প পড়তে ইচ্ছে করলে এটা পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো কিছু সময় কাটবে আপনাদের এ বইয়ের সাথে এবং ভালোও লাগবে।

Happy Reading 💛

[Samanwoy Pal · Rating 4 out of 5]

কিছু মানুষের লেখা নিয়ে এত কিছু বলা যায় যে তাই নিয়েই একটি বই হয়ে যেতে পারে। হুমায়ুন আহমেদ সেই রকম এক ব্যক্তি। তাঁর লেখার সাথে আমার সদ্য পরিচয় হলেও এর মধ্যেই বেশ আপন করে নিয়েছি বলা চলে।

বাংলা সাহিত্যের ধারার মধ্যে আমার সব থেকে প্রিয় ছোট গল্প। এইটা শুধু এই কারণে নয় যে পড়তে কম সময় লাগে, এঁর কারণ তার গভীরতা অনেক বড় বড় উপন্যাসের থেকেও বেশি। ছোটগল্পের ক্ষেত্রে একেবারে পথিকৃৎ বলা চলে সে রবীন্দ্রনাথই। তিনিই শুরু করে একেবারে যুগ যুগ ধরে শ্রেষ্ঠত্বের দাবি-দাওয়া রেখে এসেছেন। তারপরে যদিও অনেকে ছোট গল্প লিখেছেন, যাঁর মধ্যে বনফুলের নাম অবশ্যই করতে হবে। প্রেমেন্দ্র মিত্রের কয়েকটি ছোটগল্প কয়েকরাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

কিন্তু বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এসে সেই ঘোড়া কিছুটা হলেও ঝিমিয়ে পড়ে। কিন্তু তাকেই নতুন জিন পরিয়ে, খাইয়ে দাইয়ে হুমায়ুন আহমেদ হৃষ্ট করে তুলেছেন। এই বইটি তার মাত্র দশটি গল্পের সংকলন। এই রকম লেখা দশটি গল্প পড়ে কিছুতেই মন ভরে না, এমনকি মাঝে মাঝে প্রকাশককে গালিগালাজ করতে মন চায়। যা হোক ছোটগল্পের গল্প বলে কিছু সুবিধা করতে পারবো না। তাই শেষে শুধু আমার অপ্রয়োজনীয় মতামতটা জানিয়ে যাই, এই রকম শ্লেষ- ব্যঙ্গ-বিদ্রুপময় অথচ সুন্দর-কোমল-শীতল লেখা আমি বড় কম দেখেছি।

[Mahmudul Alam Zisan · Rating 3 out of 5]

Short stories are fun to read but hard to finish a whole book of them. Because you can never get into the flow as the moment you are deep into a story, it ends. So, it took me a while to get into the mindset to finish this collection, but I am glad I did. If you have read any of Humayun Ahmed's previous works, then you know what you are getting into. Because of the short length of the stories, the writer keeps the stories ambiguous. Most of the time it felt like I started from the middle of the story, without much context to how we got here. That is not a negative aspect of the book, rather something different that has its own charm. The best one out of this whole collection was "Jalil Shaheb ar petition". This single-story towers over all the other ones here. The nuance present in that story is unmatched. It showcases the writer's capability to understand the deeper aspiration of human beings and most importantly where they fall short. Hope you give it a try.

[Tamanna Binte Rahman · Rating 5 out of 5]

উপহার পেয়েছিলাম তাই পুরোনো গল্পগুলো নতুন করে আবার পড়া হল। গল্প বলাতে হুমায়ূন আহমেদ বরাবর দূর্দান্ত। এই দশটিকেই সেরা গল্প হিসেবে কেন উপস্থাপন করা হয়েছে সেটি বলতে গিয়ে প্রকাশক বৈচিত্রময় গল্পের উপস্থাপনার কথা লিখেছেন। কোনটার থেকে কোনটা বেশি ভাল সেটি আমিও বের করতে পারিনি। অবশ্য তা বের করবার প্রয়োজনও ছিলনা। হৃদয়ে ভালবাসার সমুদ্র ধারণ করে পিশাচ হবার দরকার কী?

[Epil Mandi · Rating 4 out of 5]

হুমায়ূন আহমেদের এই বইটি আমার দ্বিতীয় বই যেটা আমি পড়া শেষ করেছি। দশটি ভিন্ন স্বাদের গল্প আছে যেগুলো পড়ে আপনার ভিন্ন ধরনের মনোভাব পোষণ করবেন। আমার ' অচিন বৃক্ষ ' গল্পটা খুব ভালো লেগেছে। পড়ে দেখতে পারেন হতাশ হবেন না।

[Md. Niamul Ahad Chowdhury · Rating 3 out of 5]

এক দিনে হুমায়ূন আহমেদের দশটি গল্প পড়তে চান? তাহলে নিঃসন্দেহে এই বইটি পড়তে পারেন। এই দশট��� গল্প মুক্তিযুদ্ধ, পল্লীজীবন, মধ্যবিত্তের জীবন নিয়ে, যেগুলোর লুক্কায়িত অর্থ বুঝতে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের আশ্রয় নেওয়া লাগে। আমি এই অর্থগুলো বুঝতে না পারায় হয়তো আমার কাছে শুধুমাত্র চলনসই মনে হয়েছে।

[Muhammad Nayeem Ur Rahman Fahim]

হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে অনেক সময়ই আমার মনে হয়েছে, তিনি মূলত একজন গল্পলেখক। ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের তুলনায় গল্পকার হুমায়ূন আহমেদ অনেক বেশি সফল । গল্প বলায় তার মুনশিয়ানা তুলনাহীন। আফসোসের বিষয়, তার গল্পগুলো বিভিন্ন পত্রিকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রকাশিত হয়েছে, পরবর্তীতে আড়ালেই থেকে গেছে। আয়ুষ্কালে এবং মৃত্যুর পরেও গল্পকার হিসেবে যে পাঠক এবং স্বীকৃতির দাবিদার তিনি ছিলেন, তা তিনি পাননি।

গল্প নির্বাচন পছন্দ হয় নাই, তাই পাঁচতারা দিচ্ছি না।