জন্ম চট্টগ্রামে। শৈশব ঢাকায়, কৈশোর আবুধাবিতে। পরিণত বয়সে ভারতে এবং বিয়ের পর আবার চট্টগ্রামে ফিরে আসা। দীর্ঘদিন কানাডায় প্রবাসজীবন কাটিয়ে বর্তমানে মালয়েশিয়াতে বসবাস করছেন।
আদর্শিক, উদারপন্থি এবং জ্ঞানানুসন্ধানী পরিবারে রেশমের গুটির মতো নিরাপদ ও পরিশীলিত পরিবেশে বেড়ে ওঠা।
জীবনের পরবর্তী অংশে বন্ধুবান্ধব, পেশা, বিয়ে ইত্যাদির কারণে ব্যাপক সামাজিক সংস্পর্শে আসা। মূলত মুখচোরা বইপোকা। নানা রঙের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে কিছু তুলে ধরার প্রয়াস এবং সমাজের নানান দিক দিয়ে চিন্তাশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর জন্যই মাঝেমধ্যে টুকটাক লেখালিখি ।
ইংরেজিতে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করে শিক্ষকতা করলেও বিশ্বসাহিত্য ও জ্ঞানের যকোনো অঙ্গনে বিচরণে আপত্তি নেই। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব চিটাগাং-এ শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘদিন।
আবুধাবিস্থ ‘ইয়াং টাইমস’ ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখিকা হিসেবে লেখার হাতেখড়ি। মাঝে বহুদিন পড়াশোনায় মগ্ন থাকার পর ছাত্র-ছাত্রীদের চাপাচাপিতে আবার লেখালিখিতে ফিরে আসা।
আজকাল চাকরির বাজারে যেমন কাঠফাটা রোদ, তেমনি বিয়ের বাজারেও খাস বাংলায় চান্দি ফাটা রোদ। যৌতুক, দেনমোহর, ক্যারিয়ার নিয়ে অতিরিক্ত সচেতনতা, পাত্র-পাত্রী সিলেকশনে অতি নান্দনিক ক্রাইটেরিয়া, বিয়ের বয়স, পাশের বাসার ওরা কী বলবে, আত্নীয়রা কী মন্তব্য করবে, সমাজে অবস্থান কোথায় যাবে প্রভৃতি ক্রাইটেরিয়া মেইনটেইন করতে গিয়ে এক গলদঘর্মাবস্থা। ফলস্বরূপ দেখা যায় পাত্র-পাত্রীর বয়স হয়ে যায়( টুয়েন্টিজ চলে যাওয়া আরকি🐸 ত্রিশের পরে আর সেই চঞ্চলতা সবার থাকে নাকি!🥱), ফার্টিলিটি চলে যাওয়া, পাত্রের মাথায় টাক পড়ায় পাত্রী কর্তৃক হালকা করে নিগৃহীত হওয়া (মশকরা আরকি🐸), সামাজিক অবক্ষয়, ব্লা ব্লা এবং একই সাথে দেখা যায় কুকর্মের সহাবস্থান। তবে এতসব ক্রাইটেরিয়া পার করে বিয়ে হলেও বিয়ে পরবর্তী জীবন কোনো থ্রিলিং এডভেঞ্চারের চেয়ে কম নয়! কারও জীবনে আসে তুমুল শান্তি কারও জীবনে আসে "স্ত্রী-শাশুড়ি-স্বামী" (শ্বশুর মশাই জেনারেলি নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকেন) ডমিনেটিং ডমিনেটিং খেলা -_-
যাইহোক এসবের আলোচনা নিয়েই এই বই, সাথে আছে কিছুটা রিলিজিয়াস ভিউ। শুরুর দিকে (২০/২৫ পৃষ্ঠা) রয়েছে এসব নিয়ে লেখিকার আলোচনা। এরপর নানা রকম বিয়ে রিলেটেড গল্প, যার সবই রিলেটেবল!
বইখানা ভালো লেগেছে। রেকোমেন্ডেড টু "দ্য সোসাইটি" এন্ড অল পিপল। তবে লেখিকার লেখনী আমার কাছে তেমন একটা মোলায়েম লাগে নি (কিছু ক্ষেত্রে ফেসবুকীয় গল্পের মতো মনে হচ্ছিল) যাক গে, একটি তারা কাটিয়া চারটি তারা দিলুম।
(বিশিষ্ট রেকোমেন্ডার আপা! বিলম্ব করে হলেও পড়ে ফেললাম :)
হাইলি রেকোমেন্ডেড। স্পেশালি আমাদের পিতামাতার জন্য। ১২ টা গল্প আছে বইটাতে। বিয়ের পূর্বের গল্প, বিয়ের গল্প, বিয়ের পরের গল্প, বিভিন্ন ধরণের শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, বউ, স্বামী বা বিভিন্ন পরিবারের চাহিদার উল্লেখ করে গল্প গুলো লেখা। ঝোকের বসে ছেলেমেয়ের বিয়ে দিয়ে ধরা খায় এমন পাব্লিক অনেকই আছে। এছাড়াও ছেলের টাকা দেখে বিয়ে বা মেয়ের সৌন্দর্য দেখে বিয়ের একটা রিচুয়াল চলছে সমাজে। ১১ আর ১২ নং গল্প দুইটা অসাধারণ।
What a Marvellous book it is! You have married or Not or will marry in future! THEN this book is for You. I highly recommend that please Read at least one times.
ঠাট্টা মশকারা করে লাভ নেই৷ এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপারে শুধু মানুষের রসিয়ে রসিয়ে বলা কথায় বিশ্বাস করে লাভ নেই। বাস্তবতায় বেচে বাস্তবতাকে জানতে হবে - এই চিন্তা থেকেই বইটা পড়া। লেখিকা রেহনুমা বিনতে আনিস সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন বিশ্বাসী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিয়ে ব্যাপারটাকে দেখতে। পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে ধর্মীয় নির্দেশনাগুলো কতটা জরুরি তা আলাদা করে চোখে পড়ল। সত্যি, ধর্মীয় বিধানে বিয়েকে কত সোজা করা হয়েছে, কিন্তু এখনকার সমাজে অনেক কঠিন। দোষ দেয়া যায় কী না তাও জানি না, কিন্তু আসলেই সামগ্রিক ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত না হলে অনেক চ্যালেঞ্জিং। আল্লাহ রক্ষা করুন।
জীবনের গল্প ক্যাটাগরির গল্পগুচ্ছ নিয়ে লিখিত। ছোটগল্প আকারে সাজানো প্রতিটি গল্প। দুইটি বিষয় খটকা লেগেছে। প্রথমত বহুবিবাহ ব্যাপারটা ডিমোটিভেট করা হয়েছে। বহুবিবাহ সুন্নাহটি সমাজে হারিয়ে যাওয়ায় আমাদের সমাজের মেয়েদের বিরাট একটি অংশ আজ অবিবাহিত, বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা। পরবর্তী বিষয়টি হলো আল্লাহ ﷻ এর শানে বেচারা বিশেষন যোগ করা। আমি 'আলেম নই কিন্তু বিষয়টি খটকা লেগেছে। বাকি পুরো বই মোটামুটি সুন্দর।
আল্লাহ কোরআনে বলেছেন.. এরপর ইংরেজিতে কোটেশন দিয়েছে। পরপরই বাংলায় অনুবাদ 🙄 এরকম করার যুক্তি কি? এটিএন বাংলায় এটা দেখতাম। ইংরেজিতে তেলাওয়াত করে বাংলায় অনুবাদ করা।
খুবই সাবলীল ভাষায় লেখিকা বিয়ের গুরুত্ব এবং বিয়ে প্রকৃত অর্থ ও উদ্দেশ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সাধারন দিক বিবেচনা করে বইটি নারীদের জন্যে তুলনামূলক বেশী গুরুত্বপূর্ন কেননা, আমাদের দেশে বিয়েতে মেয়েদের মতামত কিংবা বিয়ে সম্পর্কে ধারন খুবই সীমিত। লেখিকা এই দিকটি বিশেষ ভাবে আলোকপাক করার চেষ্টা করেছেন। ছোট ছোট গল্পোর মাধ্যেমে বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান তুলে ধরেছেন। পরিশেষে, বইটি পড়ার পর বিয়ে সম্পর্কে পাঠক পাঠিকার ভালো আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো লেখা। পড়েছি এবং কিছুটা উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি। বয়স কম, তাই বিষয়গুলো মাথায় রাখার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। তবে সব কিছু অবশ্যই ভালো লাগে নি। বিশেষ করে কোথাও একটা লেখা ছিলো ”বেচারা আল্লাহ”। আশা করি পরবর্তী সংস্করণ এ ঠিক করা হবে।
পথ হারানো ছেলে মেয়ে বাবা মা শ্বশুর শাশুড়িদের জন্য মূল্যবান উপদেশ থাকলেও অনেক জায়গায় ফ্রি মিক্সিং টেনে আনা, পর্দার সাথে যায় না এমন কিছু লিখনি পড়ে অসন্তুষ্টি চলে আসে।