Javed Rasin (Bengali: জাবেদ রাসিন) is a Bangladeshi poet & fiction writer. He was born in Mymensingh but has raised in Dhaka from childhood. Javed completed his graduation & post-graduation in law from the University of Dhaka. He likes the charm of prosody and playing with words which fits into poetry. Shunno Pother Opekkhay (শূন্য পথের অপেক্ষায়) was his maiden published poetry.
Also the world of fiction, especially thriller & horror fiction fascinated him and he started writing in this genre. His first published thriller fiction novel was Blackgate (ব্ল্যাকগেট), co-authored with Tarim Fuad. His other works are horror novel Tomisra (তমিস্রা) & conspiracy novel Circle (সার্কেল). He continued to produce poetry and to work on fiction novels.
হরর থ্রিলার হিসেবে বইটা চমৎকার। পরবর্তী বইগুলোর জন্য এটার আলাদা একটা গুরুত্ব আছে। অনেকগুলো পাতা খরচ হয়েছে শুধু পরবর্তী বইগুলোর প্রেক্ষাপট দাড় করানোর জন্য। তবে কয়েকটা নেতিবাচক দিক না বললেই নয়। যেমন ইরফানের উপর করা জাদুটার এতো সহজ সমাধানে হতাশ হয়েছি। সোলেমানি আংটিকে নিয়ে কিছু একটা আশা করেছিলাম। সেখানেও হতাশ। এদিকে ক্লাইম্যাক্সেও লেখক বড্ড তাড়াহুড়ো করে ফেলেছেন। ইফ্রিত জ্বিনের লম্বা ইতিহাসের প্রয়োজন এ গল্পে খুব বেশি ছিল বলে মনে হয় না। এখন সব প্রশ্নের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছি 'বিমর্ষ গোধূলি' র জন্য। দেখা যাক।
চিন্তা করে দেখেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ভয়ানক অসুস্থ। তার চিকিৎসা বিদেশে কিম্বা দেশের কোন নামীদামী হাসপাতালে না হয়ে, হচ্ছে কি না প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এক অদ্ভুত ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে। ডাক্তারী পাশ করলেও যার মূল কাজ হলো জিন তাড়ানো। কী? চোখ কপালে উঠল বুঝি? শ্যাষ হয় নাই গো ডিয়ার পাঠক/পাঠিকাগণ.. চমক আছে আরও। জি না, আমি আর কিছু বলব না। কাহিনি যদি বলেই দেই তো বই পড়ে লাভটা হবে কি?
জাবেদ রাসিনের 'তমিস্রা' বইটার কথা মনে আছে? সেই শুভপুর গ্রামে এক শয়তানের উপাসকের সাথে দেখা হয়ে যাক এক অবিশ্বাসী (আস্তিক-নাস্তিক সেই অর্থে) ডিবি অফিসার সোহেল আরমান আর আরেক রহস্যময় চরিত্র ইরফানের। সেই বইয়ের সিক্যুয়েল এই বই 'বিস্তৃত আঁধার।' মাঝে অবশ্য ছোট্ট একটা নভেলা আছে, দ্বিতীয় পর্ব হিসেবে কিন্তু সেই বইটা তমিস্রা আর বিস্তৃত আঁধারের তুলনায় তেমন কিছুই না। বরং সেই বইটা আগে পড়লে লেখকের পড়াশোনার ব্যাপ্তি, কল্পনাশক্তি, প্লট, পরিশ্রম-সব কিছু সম্পর্কে ভুল ধারণা পাওয়া যেতে পারে। তমিস্রা আর বিস্তৃত আঁধার বই দুইটাই বরং অনেক বেশি গোছানো, ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টও হয়েছে দারুণভাবে। তবে কয়েকটা ক্যারেক্টার অসমাপ্ত বলে মনে হয়েছে বা বাহুল্য বলা যেতে পারে, খুব সম্ভব সেগুলো পূর্ণতা পাবে পরবর্তী বই 'বিমর্ষ গোধূলি' কিংবা 'কুরুকারা'তে। আমার মনে হয় আর কি 🐸 যেহেতু সিক্যুয়েল। আমার কাছে ভাল্লাগসে বইটা, দারুণ উপভোগ করেছি। অবশ্য হরর,প্যারানরমাল পড়তে যেয়ে ভয় জিনিসটা কাজ করে অনেক বেশি। এখানে ভয় পাই নাই (শুধু অন্ধকারের বর্ণনাটায় একটু গা ছমছম করসিল, নইলে ওকে) কিন্তু বাদবাকি সবই ভালো।
ও আচ্ছা.. বকবক যে করে যাচ্ছি শুধু। একটু সিনোপসিস দেই। দিনের আলোয় এত্তোগুলো চোখের সামনে 'খুন' হয় স্পীকার পুত্র। যদিও বলা হচ্ছে খুন কিন্তু কিভাবে, কে, কেমন করে এবং সবচেয়ে বড় প্রশ্ন কেন ব্যাপারটা ঘটল-তার পুরাটাই রীতিমতো ধোঁয়াশা। তদন্তে নামে সোহেল। অই যে! কথায় আছে না.. নিয়তি। হ্যা, সেই নিয়তিই বোধ হয় সোহেলের সাথে সেই রহস্যময় ডাক্তারের দেখা করিয়ে দেয়। দু'জনে একসাথে নামে কাজে, কোন এক রহস্যময় শক্তির বিপরীতে। এদিকে ভালো নেই ইরফান নিজেও। কি এক অজানা শক্তির জাদুতে দিন দিনে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে সেও। কি যে হয়েছে তার বুঝতে পারছে না। আর জিন ইফ্রিতের কথা মনে আছে? সেও নিতে চাচ্ছে প্রতিশোধ মারিদদের বিরুদ্ধে।
এই বিংশ শতাব্দীতে জাদু কিম্বা জাদুকর, ঝাড়ফুঁক, জিন, শয়তান-একটু কেমন মনে হয় না? যদিও ইসলামে জাদু-টোনা কিংবা জিন বা শয়তানের কথা স্পষ্টভাবেই আছে, অবিশ্বাসও করা যায় না। শান্ত-নিস্তরঙ্গ শুভপুর গ্রাম ছেড়ে এখন আঁধার নেমেছে খোদ ঢাকা শহরের বুকে। সোহেল-ইরফান, বিশ্বাসী আর অবিশ্বাসীর এই যুগলবন্দী কি পারবে সেই বিস্তৃত আঁধার কাটাতে?
মানে, থ্রিলার বা হরর গল্প বলেই একদম রসায় রসায় বিকৃত পরিস্থতি তৈরী করতে হবে? মন্ত্রীদের পার্টি, মুনিয়া-জয়নাল সহ বেশ কিছু জায়গায় অযথা অসুস্থ, বিকৃত বর্ণনার ছড়াছড়ি। পড়ার ইচ্ছাই চলে যায়। একেবারে যা তা!
বইটা শুরুই হয়েছে স্পীকারের পুত্রের মৃত্যুর মাধ্যমে। অদ্ভুত এ মৃত্যু রহস্য উৎঘাটনের জন্য ডিবির সোহেলকে নিযুক্ত করা হয়। সাথে থাকে পিবিআই এর শানজিনা। সমস্যা আরো প্যাচালো হয় যখন অল্প কিছু সময় পরেই স্পীকার মারা যায় হার্ট অ্যাটাকে৷ পরিকল্পনা মন্ত্রী রিজওয়ানের সাথে কে এই রহস্যময় মানুষ? প্যারানরমাল বিহেভিয়ার ডাক্তার ইরফান হাবীবের স্মৃতিভ্রষ্ট হচ্ছে কেন? প্রধানমন্ত্রীর দুই ছেলে এক পার্টিতে আজব প্রানীর দ্বারা আক্রান্ত হয় কেন? কে আছে এসবের পেছনে? শুভপুরের (তমিশ্রা বইয়ে দ্রষ্টব্য) অশুভ শক্তি তো জেলে বন্দী। তাইলে এসবের পেছনে কে?
এই বইটা অনেক বড়। প্লটও অনেক বিস্তৃত করে লেখা হয়েছে। বিভিন্ন আংগিক থেকে এসে সুন্দরভাবেই শেষ হয়েছে। লেখকের একটা কাজ ভাল লাগল যে উনি যেন একটা আলাদা দুনিয়া সৃষ্টি করতে চাইছেন। প্রতিটা বইয়ে নতুন নতুন চরিত্র এনে দিচ্ছেন আর এদেরই নিয়ে আরো বিরাট প্লটের দিকে আগাচ্ছেন। আমি জানি না আমার এ ধারণা সত্য কিনা৷ যদি হয়ে থাকে তবে এ লেখক কঠিন পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন। আগ্রহ ধরে রাখার জন্য সামনে প্রচুর পড়ালেখা করে বই লিখবেন বলেই আশা রাখি৷ বেস্ট অফ লাক।
ওপাড় বাংলায় যেমন তন্ত্রমন্ত্র নিয়ে প্রচুর বই লেখার চর্চা হয়েছে, আমাদের এদিকে কালো জাদু, জাদু টোনা, জ্বীনের আসর, বদনজর এসব নিয়ে বই লেখার হিউজ স্কোপ থাকা সত্ত্বেও কেন যেন লেখা হচ্ছে না। এদিক দিয়ে জাভেদ রাসিনকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানাবো তার তমিস্রা ভূবন সিরিজের জন্য এরকম একটা ইউনিক বিষয়বস্তুকে বেছে নেবার জন্য।
বই প্রসঙ্গে যাই। এবারের কাহিনীর মূল চরিত্র স্বাভাবিকভাবেই ইরফান। সোহেল, রিজবানসহ অন্যান্য চরিত্রগুলোর ডিটেইলিংগুলো ভালো লেগেছে। সবচেয়ে যে জিনিসটা ভালো লেগেছে তা হলো ইরফানের পোজেসড হওয়ার দৃশ্যকল্পগুলো। বেশ ভয়ংকর আর বিশ্বাসযোগ্য লেগেছে, এর জন্য লেখক বাহবা পাবেন। তবে খারাপ লেগেছে অধিক যৌনতার ব্যবহার, যে দোষে সিরিজের প্রথম বই তমিস্রাও দুষ্ট ছিল।
বাংলাদেশের হরর থ্রিলারের সংখ্যা একেবারেই কম। তার মধ্যে অক্টারিন আর বিস্তৃত আঁধার দুটো বইই চমৎকার লেগেছে। সিরিজের শেষ বইটার অপেক্ষায় রইলাম।
'তমিস্রা' ও 'অসূয়া'-র তুলনায় সুলিখিত এবং বৃহত্তর (তিনশো বাহান্ন পাতা!) এই উপন্যাসটি পড়তে মন্দ লাগল না। তবে এতেও গাঁজাখুরি ফান্ডাগুলোর তুল���ায় বাস্তবিক রাজনীতির সাপ-লুডো আর সম্পর্কের টানাপোড়েন পড়েই বেশি ভালো লাগল। জিন, হিন ও অন্যান্য তথাকথিত অপশক্তি নিয়ে হাবিজাবি বকার বদলে লেখক এই সিরিজের কাহিনিদের সাইকোলজিক্যাল হররের আকারে পরিবেশন করলে বেশি কাজ দিত। প্রত্যেক গল্পকে ক্লিফহ্যাংগারের মতো করে শেষ করে লেখক হয়তো স্যাডিস্টিক আনন্দ পাচ্ছেন। তা পান। আমি আর এই সিরিজের ত্রিসীমানায় নাই।
তমিস্রা ভুবনের গল্পটা বেশ বড়সড় পরিসরে লেখা। যেমন এই বইটাতেই বেশ কয়েকটা ঘটনা সমান্তরালে অগ্রসর হয়েছে। যদিও এক পর্যায়ে এসে ভাবছিলাম যে লেখক কি শেষ পর্যন্ত আসলেই সুন্দর একটা সমাপ্তি দিতে পারবেন গল্পটার!? আমার আশংকাকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত করে সুন্দরভাবে গল্পটা শেষ করেছেন তিনি। যদিও শেষ অধ্যায়ের পর পরবর্তী বইটা পড়ার ইচ্ছা প্রবলভাবে জেগে ওঠে! আর কোন বই এর সিরিজ এর পরের বই পড়ার জন্য এমন টুইস্ট না থাকলেই নয়! সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে আগের বইগুলোর ঘটনার সাথে এই বই এর ঘটনার গাঁথুনি বেশ চমৎকার। লেখক যে তার মূল লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যাননি এই জন্য তাকে সাধুবাদ জানাই।
লেখকের লেখা খুবই ঝরঝরে, পড়ে আরাম পাওয়া যায়। গল্পের বিল্ড আপ আর কানেকশন খুবই দক্ষতার সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইরফান চরিত্রটা খুবই নিখুঁত ভাবে সৃষ্টি করেছেন লেখক। আগাগোড়া পুরোটাই বেশ ভালো লাগলো পড়তে। পরের বইগুলো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম!
কাহিনীর শুরু তমিস্রার পরে থেকে। তমিস্রায় উপস্থিত সব চরিত্রের উপস্থিতি ঘটেছে এখানে। বরং আরো কিছু ক্যারেক্টারের আবির্ভাব ঘটেছে দৃশ্যপটে।
ঘটনা এবার ঢাকায়। হঠাত করে আলৌকিক ভাবে খুন হয়ে যায় স্পিকারের ছেলে। মৃত্যুর কারন খুজে বের করতে গিয়ে বিশ্বাস নিয়েই টানা টানি লেগে যায় সবার। কারন বিষয়টা স্বাভাবিক নয়। ডিবি থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয় সোহেলকে। সাধারন কেসই মনে করে এগোচ্ছিল সে। হঠাত এক নকশা সব বদলে দেয় ঘটনা। দৃশ্যপটে আবির্ভাব ঘটে তাই ইরফানের। তাহলে শুভপুরে যা ঘটে গেছে তা শুধু মাত্র শুরু? আরো কি বাকি আছে? ঘটনা আরো গুরুতর হতে থাকে যখন একের পর এক দেশের মাথাদের কেউ টার্গেট করতে থাকে।
তমিস্রা সিরিজের তিন নম্বর বই বিস্তৃত আঁধার!শুরুতেই দেখা যায় জাতীয় সংসদের স্পিকারের ছেলে বনানীর এক মেগা শপে খু*ন হয়!খু*নটা খুবই অদ্ভুতভাবে হয়েছে!প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য এবং সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে দেখা যায় অদৃশ্য কোনো কিছু স্পিকারের ছেলেকে উপরে-নিচে,এদিক-সেদিক আছড়ে আছড়ে ফেলছে!তদন্তের ভার পরে ডিবি অফিসার সোহেল আরমানের উপর! অপরদিকে,ইরফানের মস্তিষ্ক থেকে খন্ড খন্ড স্মৃতি মুছে যাচ্ছে! হঠাৎ হঠাৎ তার চারপাশ অন্ধকার হয়ে যায়,সে অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে!জ্ঞান ফেরার পর আর কিছু মনে থাকেনা! স্পিকারের ছেলের খু*নের তদন্ত করতে গিয়ে বা*ফো*মে*টের চিহ্ন পায় লাশের শরীরে এবং তার প্রেমিকাকে পাঠানো একটা ছবিতে অদ্ভুত নকশা হাতে এসে পড়ে সোহেলের!সেই নকশা নিয়েই যায় ইরফানের কাছে!ইরফান নিজের অসুস্থতার মাঝে কিভাবে এই খু*নের রহস্য ভেদ করতে সক্ষম হয় সেটাই দেখার পালা!
রিভিউ লিখতে গিয়ে কেন জানি সকল নেগেটিভ দিকগুলোই প্রথমে মাথায় আসে। তাই এগুলো আগে বলে নেই। ➡ মারাত্মক অপ্রয়োজনীয় ইতিহাস বর্ণনা ➡ অনেক বেশি ক্যারেক্টার আর ➡ ক্যারেক্টার বিল্ডিংয়ে চরম অপারগতা ➡ মেইন স্টোরিলাইন থেকে ঘন ঘন সরে যাওয়া ➡ আবহাওয়ার অহেতুক বিবরণী (জাবেদ রাসিনের বৃষ্টিযে কতটা পছন্দ তা এই সিরিজের ৩ টা বই না পড়লে বুঝা যাবে না, দিন নাই রাত নাই, বৃষ্টি হইতেই হবে। চরম মুহূর্তে, সাধারণ মুহূর্তে বৃষ্টি চাই-ই চাই।) ➡ যেখানটাতে তথ্য/ইতিহাস দরকার ছিল সেখানটাতে তথ্যের অভাব। ➡ ➡আবারও সেই একই পয়েন্ট, ক্লাইম্যাক্স আনতে চরমভাবে ব্যর্থ। শেষের ১০ পর্ব সহজ অনুমেয় ছিল কি হতে চলেছে। ➡ 'তমিস্রা' যেখানে ভালো একটি হরর থ্রিলার, আর 'অসূয়া' যেখানে কেবলই হরর, এই 'বিস্তৃত আঁধার' হরর বা থ্রিলার বা হরর থ্রিলার কোনোটাই হয়নি। নরমাল গোয়েন্দা কাহিনী বলা যেতে পারে। ➡ অল্প কিছু অযৌক্তিকতা। ➡ কাহিনীর উলটাপালটা গতি .................. পজেটিভ কিছু দিক নক বললেই নয়... ☑ এধরণের কাহিনী এদেশের প্রেক্ষাপটে একেবারেই নতুন। ☑ লিখনশৈলী ভালো এবং অনেক সম্ভাবনাময়। ☑ কিছু ক্যারেক্টার বিল্ডিং ভালো ছিল। ☑ সাসপেন্সটা একটু হলেও ধরে রাখতে পেরেছে। ☑ 'তমিস্রা'র পর থেকেই কাহিনী শুরু কিন্তু ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে। সেই হিসেবে কাহিনী যথেষ্ট ভালো। ☑ থ্রিলার হিসেবে প্রশংসা করা যেতে পারে। You might not just feel that it has been a waste of time and money.
বেশি ভালো ছিলো। ক্যারেক্টার অবশ্য অনেকগুলো আনা হয়েছিলো এই বইতে। তবে ইরফানের ক্যারেক্টার বেশ ভালোভাবে ডেভেলপ করানো হয়েছিলো। ভালো লেগেছে বিষয়টা। তমিস্রার চাইতে এটা আরো বেশি ডার্ক ছিলো হয়তো। তবে কিছু কিছু জিনিস এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। আশা করি সামনের বইতে সেগুলো ক্লিয়ার করা হবে।
চরম হতাশ বইটা পড়ে।তমিস্রা কেমন ছিল ওইটা না বলি,কিন্তু এই বইটা পড়ে তমিস্রার অনুভূতি হারাইয়া গেছে।কিছু কিছু লাইন এবং প্লট এত বাজে ছিল যে মন চাইছিল বইটা শেষ না করেই উঠে যাই।
কাহিনী সংক্ষেপঃ বনানীর এক মেগাশপের ভেতর খুন হলো জাতীয় সংসদের স্পিকারের ছেলে। কিন্তু কীভাবে খুন হলো কেউ বলতে পারছে না। মেগাশপের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েনি খুনি। তদন্তের ভার ন্যস্ত হলো ডিবি অফিসার সোহেল আরমানের ওপর। তদন্ত করতে গিয়ে আধিভৌতিক কিছু বিষয়ের মুখোমুখি হতে হলো সোহেলকে, যদিও অলৌকিক কোনো কিছুর ওপর বিশ্বাস নেই তার। তারপরও কী মনে করে সাহায্যের আশায় সে ছুটে গেলো ইরফান আহমাদের কাছে, যার সাথে তার পরিচয় হয়েছিলো ময়মনসিংহের শুভপুর গ্রামে। স্পিকারে�� ছেলের পিঠে পাওয়া গেলো বাফোমেটের নকশা। প্রতি রাতে নির্জন একটি বাড়ির অন্ধকার কক্ষে বসে শয়তানের প্রার্থনায় মেতে ওঠে...কে সে? ছেলের মৃত্যুর তদন্ত চলাকালীন সময়ে মারা গেলেন স্বয়ং স্পিকার-ও। তার মৃত্যুটা কি স্বাভাবিক, নাকি তাকেও অলৌকিক কোনো কায়দায় হত্যা করা হয়েছে? সবকিছু জট পাকিয়ে গেছে, সমাধান খুঁজে পাচ্ছে না সোহেল। ইরফান নিজেই অনেক অসুস্থ তাই খুব একটা সাহায্য করতে পারছে না। বার বার দুঃস্বপ্নের জগতে চলে যাচ্ছে সে, দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে স্মৃতিশক্তি।
উপরমহল থেকে ক্রমাগত চাপ আসছে সোহেলের ওপর। এখন কী করবে সে?
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ‘অসূয়া’ ছাড়া তমিস্রা সিরিজের বাকি সব বই-ই ভালো লেগেছে। বিস্তৃত আঁধার-ও তার ব্যতিক্রম নয়। লেখক এত বড় পরিসরের লেখায় অন্য জগতের শক্তির সাথে চলমান রাজনীতির সুন্দর সমন্বয় ঘটিয়েছেন। বইয়ের কিছু অধ্যায়ে হাবিবা নামের ছোট্ট একটি মেয়ের কথা বর্ণনা করা হয়েছে যে নিজেও অলৌকিক শক্তির অধিকারী। আপাতঃদৃষ্টিতে কাহিনীর সঙ্গে মেয়েটির সম্পৃক্ততা খুঁজে পাইনি, তবে জ্বীন কুইলির ব্যাপারে বিস্তারিত ‘বিমর্ষ গোধূলি’ বইটিতে পেয়েছিলাম। হাবিবা মেয়েটির কাহিনী হয়তো তমিস্রা ভুবনের পরবর্তী কোনো বইতে বিস্তার লাভ করবে।
তমিস্রাতে ঘটা অদ্ভুত ব্যাপারগুলো মনে আছে? এবার আরো ভয়ংকর রূপে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে তা!
কাহিনি শুরু হয় স্পিকারের একমাত্র ছেলের বিস্ময়কর মৃত্যু দিয়ে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আৎকে উঠে ডিবির পুলিশ অফিসার সোহেল রহমান। কোন অতিপ্রাকৃত রহস্যে বিশ্বাস না করা সোহেল হতবাক হয়ে পরে! কূলকিনারা খুঁজে না পাওয়ায় সে দ্বারস্থ হয় ইরফানের।
শুরু হয় অজানা এক শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ! ইরফান কি পারবে সেই ভয়াল শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে?
মোটামুটি এটাই কাহিনী। বেশ বড় পরিসরের এই বইতে ভালোই খেল দেখিয়েছেন জাবেদ রাসিন। তবে কেন যেন একটু বেশি বেশিই মনে হলো!
ইদানিং জাবেদ রাসিনের লেখা পড়া হচ্ছে। বিস্তৃত আঁধারে ইরফান চরিত্র আরো পরিণত মনে হয়েছে। কিন্তু কিছু জায়গায় লেখক অপরিণতের ছাপ রেখেছেন। তবে আগের লেখাগুলোর তুলনায় 'বিস্তৃত আঁধার' কে অনেকটাই ম্লান মনে হয়েছে!
সাম্ভালা সিরিজ শেষ করার পর যেমন অনুভব হয়েছিল তমিস্রা সিরিজের তিনটা বই পড়ার কেন জানি একই রকম অনুভূতি কাজ করতেছে। 'বিস্তৃত আঁধার' কোনো ভাবেই হরর/ থ্রিলার/ হরর থ্রিলার কোনোটাই লাগে নি। মনে হচ্ছিলো রহস্য উপন্যাস পড়তেছি।
প্রথম বই দুইটিতে খুব একটা চরিত্র না থাকলেও, এ বইটিতে অনেক বেশি চরিত্র ছিল। যার কারণে মনে হয়েছিল চরিত্র বিল্ডিং সঠিক ভাবে হয় নি। তবে কিছু ক্যারেক্টার বিল্ডিং ভালো ছিল। প্লট আমার ভালোই লেগেছিল, তবে মেইনপ্লট ছেড়ে অন্যান্য প্লটে ঘন ঘন সোয়াইপ হয়েছে যদিও৷
বানান ভুল নেই বললেই চলে৷ প্রোডাকশন কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো।
হাবিবা আর কুইলি- এর ভূমিকা হয় তো পরের বইতে পাওয়া যাবে। পরের বই সংগ্রহে আশার অপেক্ষায় আপাতত। :'3
বাস্তব আর পরাবাস্তবের অদ্ভুত মিশেল। এই পর্বটা আগের ও পরের যোগসুত্র। তবে স্বাধীনভাবে বর্ণিত ঘটনাও আছে। জাদুবাস্তবতার প্রাকটিকাল স্বরুপ বিচ্ছেদ সহকারে।
ইসলামিক মিথলজির চরম প্রয়োগ ঘটেছে, বেশ আকর্ষণীয়ভাবেই। বিণ, হীন, তীন, রীন কে অনেক স্কলার হিউম্যানোয়েড এর রেফারেন্স হিসেবে উপস্থানের চেষ্টা করেছেন, বিবর্তনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে চিন্তা করলে আরকি। তবে মিথলজির অস্পষ্ট দিকগুলো লেখক কিছুটা নিজের ইচ্ছামত ফুটিয়ে তুলেছেন। জাদু ও জাদুকরের প্রায় ছড়াছড়িই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। সহযোগিতা ও অসহযোগিতা সহকারে তাদের স্বতন্ত্র অবস্থান। যাই হোক এই বইয়ের মূল বিশেষত্ব অন্য যায়গায়, তা হলো সবলের সাথে সবলের সম্পর্কের দুষ্ট ঘনীভূবন। তারা সবাই একই ভুবনের নয়, ক্ষেত্রবিশেষ অন্যভুবনের...
গল্প বলার ধরন ভালো। কাহিনী মোটামুটি ভালোভাবেই এগিয়েছে। তবে মাঝে কিছু জায়গায় অতিরিক্ত কাহিনী ঢুকানো হয়েছে, যেটা শুধুমাত্র পৃষ্ঠাসংখ্যাই বাড়িয়েছে। কিন্তু শেষদিকে এসে মনে হলো আবারো অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত এটার আর কোন সিক্যুয়াল এই তিনটি বইয়ের পর আর হয়নি। পরে আবার বের হবে কিনা জানিনা। তবে লেখকের গল্প বলার ধরন ভালো লেগেছে। কিন্তু, গল্পের প্লট আরো শক্তিশালী করতে হবে বলে আমি মনে করি।
তমিস্রা যা ছিলো বলার বাহিরে । তারপর এ অসূয়া যা আমার কাছে একদম ভালো লাগেনি । আর এখন বিস্তৃত অধাঁর যা তমিস্রার মতোই আমাকে কল্পনার জগৎ এ নিয়ে গিয়েছে । তবে ফিনিশিং টা একটু দ্রুত হয়ে গেছে আমার মনে হয় ।
অসূয়া -র চাইতে কিছুটা ভালো তবুও কাহিনী জমতে পারেনি এবারেও। আর যেসব আনকমন টার্ম ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোরও কিছু ব্যাখ্যা দরকার ছিল গল্পের প্রয়োজনে। কাহিনী কিছু কিছু জায়গায় অপ্রয়োজনীয়ভাবে টেনে লম্বা করা হয়েছে ��াই পৃষ্ঠার সংখ্যা বেড়ে গিয়ে বইটাও মোটা হয়ে গিয়েছে।
আসগর মাহতাব -ই যে আসল কালপ্রিট গল্পের শুরুতেই সেটা বোঝা গিয়েছে। কিন্তু ভেবেছিলাম অন্তত এই চরিত্রটাতে চমক থাকবে। চরিত্রের জেল থেকে পলায়ন একেবারেই সিম্পল ছিল।
শানাজুকে সাগর তীরে রেখে ইফ্রিত চলে গেল সদলবলে কিন্তু বেচারি (নাকি বিশ্বাসঘাতিনী?) গেল কই? আর আশকাকারই বা কি হলো?
আইরিনের কুরুকারা নিয়ে কথাবার্তা খুবই সামান্য, অসূয়া -র সাথে সামঞ্জস্য রাখতে আরও কিছু বাতচিত হলেই ভালো হতো।
মৃত্যুঞ্জয় সমাদ্দার সেই যে চিকিৎসা করতে গেল তারপর আর টিকিটিরও দেখা পাওয়া গেল না। পৌঁছতে পেরেছিল তো হাসপাতাল অবধি? হয়তো লেখক সামনের কিস্তির জন্য কিছু চমক উঠিয়ে রেখেছেন?
প্লট ভালোই, গল্পে অনেক কিছু আছে যা দিয়ে ভয়ংকর ভয় মিশ্রিত আরও কয়েক কিস্তির চমৎকার উপন্যাস দাঁড় করানো যায়। আশা করি লেখক সামনের কিস্তিতে আশাহত করবেন না।