पक्का दो कोस रास्ता पैदल चलकर स्कूल में पढ़ने जाया करता हूँ। मैं अकेला नहीं हूँ, दस-बारह जने हैं। जिनके घर देहात में हैं, उनके लड़कों को अस्सी प्रतिशत इसी प्रकार विद्या-लाभ करना पड़ता है। अत: लाभ के अंकों में अन्त तक बिल्कुल शून्य न पड़ने पर भी जो पड़ता है, उसका हिसाब लगाने के लिए इन कुछेक बातों पर विचार कर लेना काफी होगा कि जिन लड़कों को सबेरे आठ बजे के भीतर ही बाहर निकल कर आने-जाने में चार कोस का रास्ता तय करना पड़ता है, चार कोस के माने आठ मील नहीं, उससे भी बहुत अधिक। बरसात के दिनों में सिर पर बादलों का पानी और पाँवों के नीचे घुटनों तक कीचड़ के बदले धूप के समुद्र में तैरते हुए स्कूल और घर आना-जाना पड़ता है, उन अभागे बालकों को माँ-सरस्वती प्रसन्न होकर वर दें कि उनके कष्टों को देखकर वे कहीं अपना मु
Sarat Chandra Chattopadhyay (also spelt Saratchandra) (Bengali: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) was a legendary Bengali novelist from India. He was one of the most popular Bengali novelists of the early 20th century.
His childhood and youth were spent in dire poverty as his father, Motilal Chattopadhyay, was an idler and dreamer and gave little security to his five children. Saratchandra received very little formal education but inherited something valuable from his father—his imagination and love of literature.
He started writing in his early teens and two stories written then have survived—‘Korel’ and ‘Kashinath’. Saratchandra came to maturity at a time when the national movement was gaining momentum together with an awakening of social consciousness.
Much of his writing bears the mark of the resultant turbulence of society. A prolific writer, he found the novel an apt medium for depicting this and, in his hands, it became a powerful weapon of social and political reform.
Sensitive and daring, his novels captivated the hearts and minds of thousands of readers not only in Bengal but all over India.
"My literary debt is not limited to my predecessors only. I'm forever indebted to the deprived, ordinary people who give this world everything they have and yet receive nothing in return, to the weak and oppressed people whose tears nobody bothers to notice and to the endlessly hassled, distressed (weighed down by life) and helpless people who don't even have a moment to think that: despite having everything, they have right to nothing. They made me start to speak. They inspired me to take up their case and plead for them. I have witnessed endless injustice to these people, unfair intolerable indiscriminate justice. It's true that springs do come to this world for some - full of beauty and wealth - with its sweet smelling breeze perfumed with newly bloomed flowers and spiced with cuckoo's song, but such good things remained well outside the sphere where my sight remained imprisoned. This poverty abounds in my writings."
শরৎচন্দ্র কেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক? প্রতিটা উপন্যাস, ছোট গল্পে তিনি সমাজের মূলে গিয়ে নাড়া দিয়েছেন। তৎকালীন হিন্দু সমাজের জাত প্রথা নিয়ে সরব হয়ে সৃষ্টি করেছেন এক একটি অপম উপাখ্যান যার একটি হলো এই বিলাসী বই কি সংগ্রহে রাখার মত? আমার মতে অসাধারণ এই পল্লি সমাজের প্রেম কাহিনী টি অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মত।
বিলাসী, বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় এই কথাসাহিত্যিক এর অমর সৃষ্টি, যেই বিলাসী বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে আরো নাম না জানা কত অজানা সত্তাকে, কত অদেখা গল্পকে এবং অমর এক ভালোবাসার উপাখ্যান কে। মৃত্যুঞ্জয় এই গল্পের নায়ক, বিলাসী তার নায়িকা। কিন্তু অন্যান্য গল্পগুলোর মত নিয়তি তাদের অপার ভালোবাসার সুযোগ যে করে দেয়না, মাঝে এসে দাঁড়ায় জাত্যভিমান। বিলাসী কে? সে যে সামান্য সাপুড়ের মেয়ে অথচ মৃত্যুঞ্জয়? বিশাল এক আমবাগানের মালিক, মিত্তির বংশের প্রদীপ। এই দুজনের মিলন কি সম্ভব? দুজন ঠিক ই দুজন কে আপনার করে নিতে পেরেছিলো, মৃত্যুঞ্জয় বিলাসীকে বুকে টেনে নিতে পারলেও সমাজ তা দেয়নি। সমাজ তা দেয় কিভাবে? এ যে মিত্তির বংশের মান ইজ্জতের ব্যাপার যে সামান্য সাপুড়ের মেয়েকে বিয়ে করলে জাত চলে যাবে, এ জন্য সেই মহান সামাজিক গ্রাম বাসীরা মাঝ রাতে অসুস্থ মৃত্যুঞ্জয়ের পাশ থেকে বিলাসী কে টেনে হিচড়ে আলাদা করে দিয়ে জাত রক্ষা করে। কিন্তু তারপর?
এক আশ্চর্য মর্মান্তিক পরিণাম অপেক্ষা করে আছে এই ভালোবাসার উপাখ্যানে। বিলাসী ও মৃত্যুঞ্জয় জাত কে জয় করে যখন ভালোবাসার মায়াবী সংসার পেতে একে অপরের স্পর্শে বাচঁতে শিখছিল ঠিক তখনি সাপের বিষাক্ত ছোবলের মত যেন শেষ হয়ে বিলাসীর ভালোবাসা। এ তো ছোট গল্প, মনের আশা না পুরোতেই যে শেষ হবে, আচ্ছন্ন হয়ে রইবে মন, যেন শেষ হয়েও হইলোনা শেষ।
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা সবার ভাগ্যে জোটে না। আবার ভাগ্যে লেখা থাকলে অনেকসময় পরিবার-সমাজ শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। জাতপাতের জাতাঁকলে কতো ভালোবাসা যে পিষে গেছে তার ইয়ত্তা নেই!
বিলাসীর ভাগ্যে কী লেখা আছে?
শৈশবে পড়া পিচ্চি একটা গল্প কিন্তু সুন্দর একটা কাহিনী।
শরৎ বাবু আমার প্রিয় লেখক কেন? সমাজের ক্ষয়কারী প্রথাগুলো কালান্তক বাক্য ছুড়ে মানব হৃদয়কে নাড়া দেয়ার যেই সক্ষমতা তাঁর আছে- সেটাই আমাকে কুর্ণিশ করতে বাধ্য করে তাঁকে।
বিলাসী শক্তিশালী নারী চরিত্র। এরকম আরও একটা নারী চরিত্র আমার কাছে শক্তিশালী মনে হয়েছে, অতসী মামি।
বিলাসী শরৎচন্দ্রের অন্যতম জনপ্রিয় ছোটগল্প। গল্পটি হতে কিছু হাস্যরসাত্মক উক্তিগুলো উত্থাপন করা যাক: "যে ছেলেদের সকাল আটটার মধ্যে বাহির হইয়া যাতায়াতের চার ক্রোশ পথ ভাঙিতে হয় (চার ক্রোশ মানে আট মাইল নয়, ঢের বেশি) বর্ষার দিনে মাথার উপর মেঘের জল পায়ের নিচে এক হাঁটু কাদা এবং গ্রীষ্মের দিনে জলের বদলে কড়া সূর্য এবং কাদার বদলে ধুলার সাগর সাঁতার দিয়া স্কুল ঘর করিতে হয়, সেই দুর্ভাগা বালকদের মা-সরস্বতী খুশি হইয়া বর দিবেন কি, তাহাদের যন্ত্রণা দেখিয়া কোথায় যে তিনি লুকাইবেন, ভাবিয়া পান না"।
"কার বাগানে আম পাকিতে শুরু করিয়াছে, কোন বনে বঁইচি ফল অপর্যাপ্ত ফলিয়াছে, কার গাছে কাঁঠাল এই পাকিল বলিয়া, কার মর্তমান রম্ভার কাঁদি কাটিয়া লইবার অপেক্ষামাত্র, কার কানাচে ঝোপের মধ্যে আনারসের গায়ে রং ধরিয়াছে, কার পুকুরপাড়ের খেজুরমেতি কাটিয়া খাইলে ধরা পড়িবার সম্ভাবনা অল্প, এই সব খবর লইতেই সময় যায়, কিন্তু আসলে যা বিদ্যা— কামস্কাটকার রাজধানীর নাম কী এবং সাইবেরিয়ার খনির মধ্যে রূপা মেলে না সোনা মেলে- এসকল দরকারি তথ্য অবগত হইবার ফুরসতই মেলে না। কাজেই এক্সামিনের সময় এডেন কী জিজ্ঞাসা করিলে বলি পারশিয়ার বন্দর, আর হুমায়ুনের বাপের নাম জানিতে চাহিলে লিখিয়া আসি তোগলক খাঁ। তারপর প্রমোশনের দিন মুখ ভার করিয়া বাড়ি ফিরিয়া আসিয়া কখনোবা দল বাঁধিয়া মতলব করি, মাস্টারকে ঠ্যাঙানো উচিত, কখনোবা ঠিক করি, অমন বিশ্রী স্কুল ছাড়িয়া দেওয়াই কর্তব্য"।
"তাহার নাম ছিল মৃত্যুঞ্জয়। আমাদের চেয়ে সে বয়সে অনেক বড়। থার্ড ক্লাসে পড়িত। কবে সে যে প্রথম থার্ড ক্লাসে উঠিয়াছিল, এ খবর আমরা কেহই জানিতাম না- সম্ভবত তাহা প্রত্নতাত্ত্বিকের গবেষণার বিষয়"।
"সে প্রদীপটা আমার হাতে দিতেই তাহার উৎকন্ঠিত মুখের চেহারাটা আমার চোখে পড়িল। আস্তে আস্তে সে বলিল, একলা যেতে ভয় করবে না তো? একটু এগিয়ে দিয়ে আসব? মেয়ে মানুষ জিজ্ঞাসা করে, ভয় করবে না তো। সুতরাং মনে যাই থাক, প্রত্যুত্তরে শুধু একটা 'না' বলিয়াই অগ্রসর হইয়া গেলাম।"
"শুনিয়াছি নাকি বিলাত প্রভৃতি ম্লেচ্ছদেশে পুরুষদের মধ্যে একটা কুসংস্কার আছে, স্ত্রীলোক দুর্বল এবং নিরুপায় বলিয়া তাহার গায়ে হাত তুলিতে নাই। এ আবার একটা কী কথা! সনাতন হিন্দু এ কুসংস্কার মানে না। আমরা বলি যাহারই গায়ে জোর নাই, তাহারই গায়ে হাত তুলিতে পারা যায়। তা সে নরনারী যাই হোক না কেন।"
"এবং আমরা কখনও-বা একসঙ্গে কখনও-বা আলাদা তেত্রিশ কোটি দেবদেবীর দোহাই পারিতে লাগিলাম। কিন্তু বিষ দোহাই মানিল না, রোগীর অবস্থা ক্রমেই মন্দ হইতে লাগিল। যখন দেখা গেল, ভালো কথায় কাজ হইবে না, তখন তিন-চারজন ওঝা মিলিয়া বিষকে এমনি করিয়া অকথ্য অশ্রাব্য গালিগালাজ করিতে লাগিল যে, বিষের কান থাকিলে সে মৃত্যুঞ্জয় তো মৃত্যুঞ্জয়, সেদিন দেশ ছাড়িয়া পলাইত।"
এবার মূল তত্ত্বে আসা যাক। শরৎচন্দ্র একজন সমাজ বাস্তবতার শিল্পী, নিখুঁত কারিগর। তাঁর মতো করে সমাজের জীবনসংগ্রাম ও অসঙ্গতি বাংলা ভাষার জাদুতে আর কেউ ফুটিয়ে তুলতে পারেননি। এজন্যই তিনি আমাদের অপরাজেয় কথাশিল্পী। বিলাসী গল্পের দ্বারা একজন জাতপ্রথা দ্বারা পীড়িত মেয়ে বিলাসীর কি করুন পরিণতি চিত্রিত হয়েছে। নিচুতলার বেদের মেয়ে বলে মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে তার বিয়ে কেউ মেনে নিতে পারেনি। তার প্রতি করা হয়েছে অকথ্য নির্যাতন। এমনকি মৃত্যুঞ্জয়কে সে মরণব্যাধি থেকে বাঁচিয়ে তুললেও এর ক্রেডিট তাকে তো দেওয়া হয়ই নাই, উল্টো সে মৃত্যুঞ্জয়ের জাত মেরেছে বলে রটানো হয়। মৃত্যুঞ্জয়কে সাপে কাটলে যখন সে মারা যায় তখন বিলাসীকেও আত্মহননের পথ বেছে নিতে হয়। ধিক্কার সেই সমাজের প্রতি, যেই সমাজ মানুষকে মানুষ বলে মূল্যায়ন করতে জানে না। ধিক্কার সেই প্রথা ও সংস্কারের প্রতি যা জাতভেদের কারাগারে মানুষকে বন্দী করে। তার বেচে থাকার অধিকারকেও হরণ করে।
🔹 এই ছোট গল্পটি আমিও অনেক ছোট থাকতেই পড়েছিলাম। মেয়বি ক্লাস ৩/৪ এ পড়ি তখন। তখনই কাহিনিটা অনেক ভালো লেগেছিলো কিন্তু বিষয়বস্তুটা উপলব্ধি বাকি ছিলো। আজ আবার পড়ার সময় অনুভূত হলো বিষয়গুলো কতোটা গভীর!
🔹 "বিলাসী" একটা ছোটগল্প। যেটা ১৩২৫ বঙ্গাব্দে "ভারতী" পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। কয়েক পৃষ্ঠার একটি অণুগল্প অথচ অনেক কিছুই এখানে বিদ্যমান। মানে কি নেই? প্রেম-ভালোবাসা,কুসংস্কার,বিরূপ সমাজ,লোভ,ত্যাগ-তিতিক্ষা,জীবন বিসর্জন,শিক্ষণীয় দিক প্রভৃতি। অল্পকথায় এতো অসাধারণ বিষয় ফুটানোতে শরৎ বাবু সিদ্ধহস্ত।
🔹 বাবা-মায়ের দেয়া নাম ছিলো মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু সে কি আদোতেও এই চিরসত্য মরণ জয় করতে পেরেছিলো? ভালোবাসার জন্য সে ত্যাগ করেছিলো তার চৌদ্দ পুরুষের জাত। ত্যাগের এই উদাহরণ সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
🔹 নারী চরিত্র কি ভাবে বিশেষিত,সংজ্ঞায়িত ও পরিস্ফুটিত করতে এটা যেনো সবাই শরৎ বাবুর কাছে শেখে। তার নারী চরিত্রগুলো এতোটাই মহিমান্বিত হয় যে তারা অজান্তেই মনের গহীনে আটকে যায়। আহা বিলাসী! একে নিয়ে যতোটা বলবো ততোটাই কম পড়ে যাবে।
🔹 গল্পটা সবারি পড়া। তবুও আবার পড়ুন। ভাবার জন্য পড়ুন,চিন্তার জন্য পড়ুন। ঠিক কি কারণে এই গল্পটি মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে অবশ্যপাঠ্য করা হয়েছে? শেষের দুটো অংশ এতোটাই গভীর যে আপনার চিন্তার জগতকে আন্দোলিত করবে। কালজয়ী একটি ছোটগল্প।
no seriously i've had to read this dude's books for ages and not a single one looks at the problems they pose like it wants to solve them/start discussions about them that enhance the social responsibility towards them. suffering solely for the sake of suffering? the lowest common denominator when it comes to this guy. please. i am Tired. your ""satire"" if it doesn't encourage/inspire active change at all despite how the sheer VOLUME of it that permeates every single piece of your writing and only leads your reader to consistently spiral into depression, what is the point of it??
also i can bet not a single creative question we'll have to answer from this will feature anything on the narrator's internalized sexism, classism or cultural appropriation. i kind of want to shake this guy by the shoulders and go, "be the change you wanna see in the world!!!!" but that would be hypocritical.
fortunately, as sarat chandra likes to proselytize, as a bengali, my well of hypocrisy will supposedly never run dry. nature vs. nurture, and all that.
"ঠিক যেন ফুলদানিতে ভিজাইয়া রাখা বাসী ফুলের মত" " টিকিয়া থাকাই স্বার্থকতা নয়। অতিকায় হস্তি লোপ পাইয়াছে, কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে।"
একাডেমিকে লাইন-বাই-লাইন মুখস্থ করেছিলাম। আজ আরেকবার পড়া হলো সম্ভবত ১৭-১৮ বছর পর। শরৎবাবুর এই গল্পটাই কেন পাঠ্যবইতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলো তার কারন আজ উদ্ধার করতে পারলাম।
জাত ভেদের দেয়াল মানুষকে কত সহজে অপরাধী বানিয়ে দিতে পারে, তাই না? বেদের ঘরে জন্মানো বিলাসীর ভালোবাসা সমাজের জন্য মেনে নেয়া অসম্ভব। এ সমাজের রোগ একটাই মানুষকে মানুষ না দেখা। আর এমন প্রথা টিকে থাকাটাই অন্যায়।