Jump to ratings and reviews
Rate this book

অস্পৃশ্যতা

Rate this book
সিলিঙের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল একটি লাশ। সবাই আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইলেও মানতে রাজি নয় তরুণ সাব-ইন্সপেক্টর ফাইয়াজ। তদন্তে বেরিয়ে এল বেশকিছু চমকপ্রদ তথ্য। আট বছর আগের এক খুনের সাথে যোগসূত্র খুঁজে পেল সে। কিন্তু আড়াল থেকে কেউ একজন নাটাইয়ের সুতো টেনে ধরেছে।

অবসরপ্রাপ্ত হোমিসাইড ডিটেকটিভ ফারুক আবদুল্লাহ। মোটামোটিভাবে কেটে যাচ্ছিল তাঁর দিন ।কিন্তু যেদিন সাব ইন্সপেক্টর ফাইয়াজ তাঁর দরজায় কড়া নাড়ল সেদিন থেকে অপরাধবোধ কুঁড়েকুঁড়ে খাচ্ছে তাকে। বৃদ্ধ বয়সে আবার নতুন করে নামল আট বছর আগের একটি আনসল্ভড কেস সমাধানে। কিন্তু কিছুতেই উত্তর মিলছে না। সবকিছু যেন একটা লুপের ভিতরে পড়ে গিয়েছে।

আবির আহমেদ,রিয়ান খান, লাবনী শারমিন, ফারজানা আলম। সবাইকে একই চক্রে নিয়ে এসেছে আট বছর আগের সেই খুনটি।যেখানে এদের যে কোন একজন ছাড়া চক্রটি অসম্পূর্ণ। সবার কাছে এ যেন এক অস্পৃশ্যতা। যা শুধু অনুভব করা যায় কিন্তু ধরা যায় না।

কিভাবে শেষ হবে এই চক্র?
তরুণ বয়সে যা পারেননি ,বৃদ্ধ বয়সে কি তা পারবেন প্রাক্তন হোমিসাইড ডিটেকটিভ ফারুক আবদুল্লাহ?

256 pages, Hardcover

First published February 18, 2018

2 people are currently reading
127 people want to read

About the author

Nazrul Islam

8 books228 followers
নজরুল ইসলামের জন্ম চাঁদপুরে ।কিন্তু বেড়ে উঠা এবং শিক্ষাজীবন নারায়ণগঞ্জ শহরে। একটু দেরিতে বই পড়া জগতে প্রবেশ হলেও সেই জগত থেকে আর বের হতে পারেননি। বইয়ের সাগরে ডুবতে ডুবতে একেবারে ভরাডুবি ঘটেছে। বই পড়তে এবং সংগ্রহ করতে ভালবাসেন।
সব ধরণের বই'ই পড়তে ভালোবাসেন। বিশেষ দূর্বলতা আছে ফোকলোর,থ্রিলার এবং ফ্যান্টাসি জনরার প্রতি। প্রিয় লেখকের তালিকায় আছে গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, হারুকি মুরাকামি,শহীদুল জহির,শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়,মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, শরীফুল হাসান, কাজী আনোয়ার হোসেন,ইসমাইল আরমান,সায়েম সোলায়মান, রবিন জামান খান,তানজীম রহমান, জে কে রাওলিং,রিক রিওর্ডান,জিম বুচার, আগাথা ক্রিস্টি,জেমস হ্যাডলি চেজ, লেইগ বারডুগো,কেইগো হিগাশিনোসহ প্রমুখ।
লেখালেখি করেছেন রহস্য পত্রিকায়।এছাড়াও বিভিন্ন গল্প সংকলনে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশ কিছু অনুবাদ গল্প।
২০১৮ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার প্রথম উপন্যাস "অস্পৃশ্যতা"।
২০১৯ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার মৌলিক থ্রিলার "একটি খুনের নেপথ্যে"।
২০১৯ বুক স্ট্রিট থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ "ইয়োর নেম"
তার প্রকাশিত অন্যান্য বইগুলো হচ্ছে- "শেষ পান্ডুলিপি", "ওডিনের শেষ দিন"। অনুবাদ গ্রন্থ- " আউট", "দ্য ডার্ক মেইডেনস"

তার প্রকাশিতব্য মৌলিক গ্রন্থ- সোলায়মানি কিতাব, রক্তনদী, মায়ানগরী,
এভাবে একদিন সবকিছু গল্প হয়ে যায়

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
31 (33%)
4 stars
43 (46%)
3 stars
17 (18%)
2 stars
2 (2%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 30 of 31 reviews
Profile Image for Injamamul  Haque  Joy.
100 reviews115 followers
June 4, 2021
— ওগো শুনছো……অ্যাই ওঠো তো।
— ধুর, কী হইছে?
— তুমি নাকি গত রাতে নজরুল ইসলামের 'অস্পৃশ্যতা' শেষ করছো?
— হ্যা, তো?
— বইটা শুনেছিলাম কিয়াগো হিগাশিনো'র 'জার্নি আন্ডার দ্য মিডনাইট সান' এর এডাপটেশন। আসলেই?
— হু।
— কী হু-হ্যা করছো? কাহিনী কী বইয়ের?
— দাড়াও, আগে উঠে বসি…… হ্যা, এইবার শুরু করি। এক বিল্ডিংয়ের সিলিংয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলো জামাল নামের জনৈক ভদ্দরনোকের লাশ। সবাই এটাকে আত্মহত্যা মনে করলেও সাব-ইন্সপেক্টর ফাইয়াজের চোখ এড়াতে পারলো না ঠান্ডা মাথার খুনটা। একটু তদন্ত করতেই খুনের সাথে সংযোগ পেলো আট বছর আগের এক অমীমাংসিত চাঞ্চল্যকর খুনের। অতঃপর ফাইয়াজ শরণাপন্ন হলো আট বছর আগের সেই কেসের ইনভেস্টিগেটর ফারুক আবদুল্লাহর, যিনি ওই কেসের দায়িত্বে থাকাকালীন গ্লানির বোঝা মাথায় নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরে গিয়েছিলেন। তার হাত ধরে আবার শুরু হলো অতীত আর বর্তমানের নেক্সাস ইনভেস্টিগেশন।
— জোশ তো। কেমন লাগলো তোমার?
— দারুণ দারুণ। বইটা পড়ার পর রসায়নে লা-শাতেলিয়ার নীতির একটা লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে খুব, 'প্রতিটা বিক্রিয়ার পেছনেই প্রভাবকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে'। বইয়ে প্রচুর চরিত্র —আবির, লাবণী, ফারজানা, রিয়ান, রাফিউল, উর্মি, জাহিদ……। আর উপরের দুই চরিত্র তো আছেই। সব গুলো চরিত্রই যতটা সম্ভব ততটুকুই ফোকাসড হয়েছে। প্রেম আছে, নৃশংসতা আছে আছে অপরাধের বৈপরীত্যে আবেগের ছায়া। আসলে এটা সাসপেন্সধর্মী থ্রিলার। ধুম ধারাক্কা টুইস্ট না থাকলেও পেজ টার্নার। কোনো চরিত্র কিংবা ঘটানাবাহের উপর তুমি বিশ্বাস রাখতে পারবে না, ক্ষণে ক্ষণে বদলে যাবে পরিস্থিতি। নিজের অবস্থান ঠিক করতে হলে যেতে হবে বইয়ের শেষ অব্ধি, যেটা আমি করেছি। আর ফিনিশিংয়ের কথা না বললেই নয়, কিছুটা বিষণ্নতা, কিছুটা অযাচিত আর সব রহস্যের মূলোৎপাটন হয়েছে ইমোশনাল ভাবে। এর বেশী কিছু বললাম না। আর নজরুল ইসলাম সাহেব বেশ ভালো কাজ দেখিয়েছে লেখনীতে। হিগাশিনো স্পিরিটটা পুরোপুরি তুলে ধরতে পেরেছেন উনি, আর এজন্য ওনাকে সাধুবাদ।
— তো এত্ত ভালো এত্ত ভালো, তাইলে গুডরিডসে ৪ তারা দিছো ক্যান? এক তারা গেলো কই?
— এর জন্য প্রথমেই বলবো প্যাচানোর কথা। ওই যে তুমি স্টার প্লাস আর জলসাতে দেখোনা, ওরকম লেভেলে নিয়ে গিয়েছিলো মাঝ দিয়ে। আর কিছু জায়গায় ইম্ম্যাচিউর সংলাপ। ও হ্যা, বাতিঘরের জন্মগত অভ্যাস, বানান ভূল তো আছেই।
— ওহ, দুঃখজনক বটে। তবে প্যাচানোটা আমার কাছে তেমন গুরুতর কিছু ঠেকে না, কাহিনির জন্য পেচানোটা বেশ উপভোগই করি। আচ্ছা যাই তাহলে।
— আরে দাড়াও না-
— আরে কী হইছে, ব্রেকফাস্ট করতে হবে তো নাকি?
— শোনো না, বইয়ের প্রচ্ছদের চোখ দুটো না ঠিক তোমার দুটোর মত।
— যাহ, দুষ্টু কোথাকার। তুমি না যা-তা। গেলাম আমি।

;)
Profile Image for Riju Ganguly.
Author 37 books1,864 followers
July 3, 2019
লেখকের উদ্দেশে একটি ঠকাস স্যালুট সেরে বাকিটা লিখছি।
লেখক সরাসরি বলেছেন, কিইগো হিগাশিনো'র অতুলনীয় ডার্ক থ্রিলার 'জার্নি আন্ডার দ্য মিডনাইট সান'-কে নিজস্ব ভাষা ও পরিপ্রেক্ষিতে ধরার চেষ্টা থেকেই এই উপন্যাসের জন্ম। ওই বইটি পড়ার পর থেকে এখনও অবধি এমন বোধহয় একটা দিনও যায়নি যেদিন ওই বইয়ের মুখ্য দুটি চরিত্রকে নিয়ে ভাবিনি। এতদিন এটাই জেনে এসেছি যে হোয়াইট কুইন আর ব্ল্যাক নাইটের ওই আমৃত্যু ব্যালে, এবং তাদের পায়ে তৈরি হওয়া নকশার আশেপাশে লাশ আর ভাঙা মনের স্তূপ - একে বাংলায় ধরা অসম্ভব। কিন্তু নজরুল ইসলাম সেটাই করে দেখিয়েছেন। ভরসা রাখি, এমন অসাধ্যসাধন তিনি আগামী দিনে আরও করবেন।

মূল উপন্যাসের পাঠক মাত্রেই জানবেন, কী নিয়ে রচিত হয়েছে এই কাহিনি। এটি প্রথাগত থ্রিলার, হু-ডান-ইট, এমনকি রহস্যগল্পও নয়। কিন্তু মৃত্যু, প্রতারণা আর দাঁতে দাঁত চেপে সত্যের সন্ধানে ধেয়ে যাওয়ার এক অদ্ভুত লিরিক্যাল ব্যালাড এই উপন্যাস। মূল কাহিনি অনেককিছু অকথিত রেখে দিয়েছিল। এই উপন্যাসে লেখক সেটা করতে ভরসা পাননি। তিনি সব বলে দিয়েছেন, ব্যাখ্যা করেছেন, এমনকি ইয়ুকিহো'র (কাহিনিতে লাবণি'র) বয়ানে গল্পের পরিসমাপ্তি দেখিয়েছেন। ওগুলোর কোনো দরকার ছিল না।

এই উপন্যাস তথা হিগাশিনো'র অন্যান্য লেখা এইভাবে বাংলায় এলে আমাদের পক্ষে সেটা দারুণ ভালো হবে। এতে আমরা ছকে-বাঁধা রহস্যকাহিনির বদলে মগজাস্ত্রের ধারালো স্পর্শধন্য অন্ধকারাচ্ছন্ন লেখাজোখা পড়তে পাব। আবার বিশ্বসাহিত্যের সেরা কিছু নিদর্শনও বঙ্গীকৃত হবে স্বচ্ছন্দ ভাষায়।
Profile Image for Nazrul Islam.
Author 8 books228 followers
March 18, 2022
নিজের বইকে নিজেই ৫ তাঁরা দিলাম ।আশাকরি এই অপরাধে জনগণ আমার ফাঁসি চাবে না :p

আসল কথা হইল "টু রিড" দিয়া ফাইসা গেছি। নিজের বই আবার নিজে পড়ে কেমনে? ঘাড় থেকে এই "টু রিড" ঝামেলা নামাইতেই এই ব্যবস্থা :/
Profile Image for Shuk Pakhi.
512 reviews305 followers
March 9, 2018
অস্পৃশ্যতা
নজরুল ইসলাম

একটি খুন হয়েছে! সেটার তদন্ত করতে গিয়ে পিছিয়ে যেতে হয় আট বছর। যেখানে পরিত্যক্ত জাহাজে পাওয়া গিয়েছিলো একটি মৃতদেহ। কিন্তু জানা যায়নি কে কেন কিভাবে খুন করেছিল তাকে। এই খুনের জন্য যে তিনজনকে সন্দেহ করা হয়েছিল একে একে তারাও খুন হয়ে যায় যদিও সেগুলো দেখানো হয় দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যার মতন করে।

লাবণীর স্কুলের প্রতিদ্বন্দী বিপদে পরলে তাকে উদ্ধার করে লাবণী নিজেই। লাবণীর কলেজের বান্ধবী খুন হয়ে যায়। খুন হয়ে যায় সেই খুনের তদন্তকারী পুলিশ অফিসারও। লাবণীর স্বামী তাকে একটাকা না দিলেও সে লাখ টাকা নিয়ে শেয়ার ব্যবসা শুরু করে কিভাবে! তার স্বামীর আগের বান্ধবীর সাথে দেখা হওয়াটা কি আসলেই কাকতালীয় ছিল! যেটার সূত্র ধরে লাবণী তাকে ডিভোর্স করে।

লাবণীকে ঘিরে রহস্যের জাল ছড়াতে থাকে। যেখানে লাবণী সেখানেই কারো না কারো বিপদ। লাবণীর চারপাশে ঘিরে থাকে একটি ছায়া। কেউ কেউ টের পায় তবে পুরাটা জানার জন্য তারা আর বেঁচে থাকে না। কি ঘটছে এই অনিন্দ্য সুন্দর মিষ্টি মেয়ে লাবণীকে ঘিরে!!

আবির যার বাবা খুন হয়েছিল সেই পরিত্যক্ত জাহাজে। এই ছেলেটি কোথায় কি করে কিভাবে এত এত টাকা আসে তার হাতে সেটা তার খুব কাছের বন্ধুও জানে না। জানে না আবিরের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে। ভালোই ত চলছিল দুই বন্ধুর কম্পিউটার বিজনেস। হঠাৎই উধাও হয়ে যায় আবির।

বহু বছর আগে পরিত্যক্ত জাহাজের খুনের রহস্যের সমাধান করতে না পেরে বসের সাথে ঝগড়া করে যাকে রিটায়ার করতে বাধ্য করা হয় সেই হোমিসাইড ডিটেক্টিভ ফারুক এখনো লেগে আছেন এই কেস নিয়ে। তিনি কি বের করতে পারবেন সত্যিটা নাকি তিনিও খুন হয়ে যাবেন! সবই কি অধরা অস্পৃশ্যই রয়ে যাবে নাকি আলো পাবে সত্যের দেখা।

বইয়ের মূল চরিত্রগুলো ঠিক রেখে সময়ের ব্যাপ্তি বেস লম্বা। সময়ের পরিবর্তনে এই মানুষগুলোর জীবনের নানান পরিবর্তন উঠে এসেছে কাহিনীতে এটা ভালো লেগেছে। সময়ের ব্যাপ্তি থাকলেও কাহিনী কোথাও নিরস হয়ে যায়নি দিব্বি একটানে পড়ে ফেলা যায়। এটা থ্রীলার কাহিনী তবে বইটা শেষ করে খুব সূক্ষ্মভাবে হলেও পাঠক অনুভব করেবন এটা এক ধরনের ভালোবাস���র কাহিনীও বটে। সব মিলিয়ে বইটা ভালো লেগেছে। লেখক নজরুল ইসলামের কাছ থেকে সামনে আরো চমৎকার বই পাবো বলে আশা করছি।
Profile Image for Maria.
122 reviews8 followers
March 22, 2021
"কেউ কেউ সারাজীবন রাতের আঁধারে হেঁটে যায়। সে মানুষগুলো চাইলেও সূর্যের আলোতে হাঁটতে পারে না। আঁধারই তাদের একমাত্র পথ।"

অস্পৃশ্যতা! যা শুধু অনুভব করা যায় কিন্তু ধরা যায় না! এটি এমন একটি বই যেখানে নিঃশর্ত ভালবাসা, ঘৃণা, হিংসা এবং নিষ্ঠুরতা সব মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। বইটি মূলত দুজনের জীবনকে কেন্দ্র করে; খুন হওয়া বন্ধকি দোকানদারের ছেলে আবির আহমেদ এবং প্রধান সন্দেহভাজনের মেয়ে লাবনী শারমিন। রহস্যময় তাদের ব্যক্তিত্ব। সেই রহস্যের জট একে একে যারাই খুলতে গিয়েছে, সবাইকেই বরণ করতে হয়েছে করুণ পরিণতি। কিন্তু কেন? এই কেন-র উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে প্রখ্যাত জাপানি থ্রিলার লেখক কিয়েগো হিগাশিনোর বহুল আলোচিত উপন্যাস 'জার্নি আন্ডার দ্য মিডনাইট সান' - এর গল্প অবলম্বনে লেখা লেখক নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস অস্পৃশ্যাতা

অসাধারণ কিন্তু অদ্ভুত বিষন্নতা দিয়ে ঘেরা একটা বই। পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।
Profile Image for DEHAN.
275 reviews86 followers
August 24, 2020
সবই তো বুঝলাম কিন্তু কারো ফোনের রিংটোন "আলো আলো আমি কখনো খুঁজে পাবো না" হতে পারে এইটা বিশ্বাস হচ্ছে না। আর লেখক যেইভাবে কাহিনি প্যাচিয়েছেন পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো যে লেখক নিজেই না কোন জায়গায় পাঠক রে প্রশ্ন করে না ফেলেন- "আচ্ছা আমরা কোথায় ছিলাম যেন? "
তা ময়রার দোকানে গরম গরম জিলাপি খেতে যাওয়ার সাধ ছিলো, সে সাধ এখানেই মিটেছে।
Profile Image for Wasee.
Author 49 books785 followers
March 13, 2018
কিছু কিছু বই আছে, যা পড়ার পর অদ্ভুত এক ঘোরের সৃষ্টি হয়; কেমন যেন হাহাকার দানা পাকিয়ে ওঠে মাথার ভেতর। পূর্ণতার স্বাদের সাথে সাথে আরেকটা আফসোস জন্ম নেয়, "আহারে! এতো অসাধারণ একটা বই পড়া হয়ে গেলো! আবার কবে এমন কিছুর সন্ধান পাওয়া যাবে!"

জাপানি ঔপন্যাসিক কিয়েগো হিগাশিনো'র জার্নি আন্ডার দ্য মিডনাইট সান এর কাঠামো অবলম্বনে রচিত 'অস্পৃশ্যতা' ঠিক তেমনি একটা বই। দেশীয় প্রেক্ষাপটে, পরিচিত আমেজে যথেষ্ট সাবলীলভাবে বর্ণিত হয়েছে আগাগোড়া কাহিনী। বিভূতিভূষণ, হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের উল্লেখ সহ অর্ণব, ওয়ারফেজ, আর্টসেলের গান ব্যবহার করার মাধ্যমে উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে আরো বেশি।

এক্ষেত্রে, লেখককে বড়সড় ধন্যবাদ জানাতে হয়। চমৎকার একটা গল্পকে সুনিপুণ লেখনীশক্তির ছোঁয়ায় আরো প্রাণবন্ত করে উপস্থাপন করেছেন তিনি। আশা রাখি, অচিরেই নজরুল ইসলামের কাছ থেকে আরো এমন অনবদ্য নিরীক্ষাধর্মি অথবা মৌলিক উপন্যাস উপহার পাবেন পাঠক।
Profile Image for Didarul Islam.
137 reviews1 follower
December 27, 2021
বাস্তবিক অর্থেই বইটা পড়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছি। এত সুন্দর করে এডাপশন গল্পকেও অন্যমাত্রায় নিয়ে যাওয়া যায়, এই বইটা তার বাস্তব প্রমাণ।
প্লটটা যেভাবে সাজানো হয়েছিল, তা শুরু থেকেই আগ্রহ জাগানিয়া ছিল। একটা খুন এবং খুনের সাথে ১৫ বছর আগের কেসের সম্পর্ক নিয়ে গল্প শুরু হলে পুলিশ প্রসেডিওরাল স্টোরি ভেবেছিলাম। তবে গল্প মোড় ঘুরিয়ে চরিত্রগুলোর জীবনের ঘটনা বিশদভাবে ফোকাস করে, ফলে আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। শুরুতেই দেখানো হয় প্রাইম সাসপেক্টদের মৃত্যু, তাই আসলে পুরো গল্পটা ধাধায় ফেলবে বেশ। মাঝের দিকে প্রাইম সাসপেক্টের কন্যা লাবণীকে নিয়ে ফোকাসড ছিল গল্প, ফলে তখন বেশ কিছু চরিত্র নিয়ে এমনভাবে কাহিনী ডালপালা গজাতে থাকে যে, যুতসই সমাপ্তি পাব কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ছিলাম। ভয়ে ছিলাম যে গল্পের গতিপথ ঠিক থাকবে কিনা। কিন্তু পরে এক সুতোয় যেভাবে সব ঘটনা সাজালেন লেখক, তা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। ডজনখানেক মারপ্যাঁচের সমাধান শেষ দুই পৃষ্ঠায় হয়ে যায়, সত্যি তখন সন্তুষ্টির পাশাপাশি আবেগীও হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের এন্টাগনিস্টের প্রতি শেষে ঘৃণা জন্মাবে না আপনার, জন্মাবে করুনা। একটি নির্মম পরিণতি হাজারো অপরাধের জন্ম দিতে পারে, যার দোষ আসলে কাউকেই দেয়া যায় না। পার্ফেক্ট এণ্ডিং, অস্পৃশ্যতা নামটার মর্মার্থও অনুভব করেছি।
এমন এডাপশন সত্যি বেশ দরকার❤️
Profile Image for Salman Sakib Jishan.
273 reviews158 followers
August 3, 2022
কিয়েগো হিগানিশিনোর উপন্যাস 'জার্নি আন্ডার দ্য মিডনাইট সান' অবলম্বনে ২০১৮ সালে নিজের প্রথম উপন্যাস 'অস্পৃশ্যতা' লেখেন লেখক নজরুল ইসলাম।
ইন ডেপথে হিসেব করলে গল্পটি দারুণ। অনেক লম্বা প্ল্যানিং বা মাস্টার মাইন্ড গেইম আছে একটা পুরো গল্পের পেছনে। বিদেশী গল্প অবলম্বনে রচিত হলেও বইটিতে সেরকম কোনো গন্ধ রাখেননি লেখক। একদম দেশি ছাঁচে গড়ে তুলেছেন গল্প গোড়া থেকে। একটি খুনের তদন্তে বিফল হয়ে পুরো আট বছর পর আবার আরেক নতুন হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছোটাছুটির পর বেড়িয়ে আসা ক্লু, কয়েকটি চরিত্র ঘিরেই লুপের মতো ঘটে চলা সব দূর্ঘটনা, সব কিছুর ব্যাকগ্রাউন্ড স্টোরি মিলে জমেছে বেশ।
কিন্তু এই বইটি আমার বেশ কয়বার নতুন করে শুরু করতে হয়েছে। প্রতিবারই কিছুদূর আগানোর পর মনে হচ্ছিলো সাধারণ মার্ডার মিস্ট্রি, প্রথম দিকে আগ্রহ ধরে রাখা কঠিন। আর লেখকের প্রথম দিককার লেখার দূর্বলতাও প্রকট। তাই আগ্রহ থাকবার পরও শুরু করে আর শেষ দেখা হচ্ছিলোনা। বইটিতে প্রচুর চরিত্রের সমাবেশ। বারবার প্রসঙ্গ ঘুরে যাচ্ছিলো। আর টাইমলাইন অদলবদল হচ্ছিলো। তবে সেসব খুব একটা সমস্যা করছিলোনা যতটা সমস্যা করছিলো ক্লাইম্যাক্সে এসে গল্পের ধর তক্তা মার পেরেক নীতি। একদম ধুমধাম একটার পর একটা জট খুলছিলো। শেষটা এসে গল্পের পরিণতি ভালো লাগলেও এতক্ষণের পড়া গল্পের সমাপ্তি কেন এতো ছোট করে সারাংশ আকারে দেয়া হলো বুঝতে পারিনি। আমার ধারণা এই প্যাটার্নের থ্রিলার বইগুলোর রহস্য খোলাসা করার অংশটুকুই সবচাইতে চমকপ্রদ হয়। সেটা আরেকটু ডিটেলে যাওয়া উচিত ছিলোনা?
যাহোক, সবমিলিয়ে পুরো গল্পটা মাথায় ঢুকবার পর তৃপ্তি পেয়েছি ভালোই।
Profile Image for Dipankar Bhadra.
653 reviews62 followers
June 27, 2019
গল্পটি শুরু হয় জামাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু কে কেন্দ্র করে। আপাতদৃষ্টিতে সেটা আত্মহত্যা বলে মনে হলেও সাব-ইন্সপেক্টর ফাইয়াজ এর ধারণা এটা খুন। তদন্ত করতে গিয়ে সে বুঝতে পারে আট বছর আগের একটি অমীমাংসিত খুনের কেসের সাথে এই ঘটনার একটি যোগসূত্র আছে। একটি পরিত্যাক্ত জাহাজে পাওয়া গেছিল শফিক আহমেদ নামে একজন বন্ধকগ্রহীতার মৃতদেহ। সেই কেসের প্রধান দুই সাসপেক্টের একজন দুর্ঘটনায় ও অন্যজন বিষাক্ত গ্যাসের কারণে মারা যায় তা-ও মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে। এরপর কেস ক্লোজ করে দেওয়া হয় এবং ওই কেসের দায়িত্বে থাকা ফারুক আবদুল্লাহ কে হোমিসাইড ���েকে জোর করে অবসরে পাঠানো হয়। দুটো কেসের সমাধান কীভাবে হচ্ছে সেটা জানার জন্য গল্পটি আপনাকে শেষ পর্যন্ত পড়ে যেতে হবে ঠিকই কিন্তু আগেই বলে রাখি চিরাচরিত রহস্য কাহিনী এটা নয়। এমনকি অনেককিছু আপনি আগের থেকে প্রেডিক্টও করে ফেলতে পারবেন। তাহলে প্রশ্ন হলো, এর আকর্ষণটা কোথায়? তাই তো? আসলে গোটা গল্পটিতে অনেক চরিত্র এসেছে কিন্তু গল্পটি টিকে রয়েছে দু'জন মানুষের পথচলার ওপর। কিভাবে একটা ঘটনা তাদের এবং আরো অনেক মানুষের জীবন পাল্টে দেয় বা বলা যায় তছনছ করে দেয়, সেগুলোই যেন পড়তে পড়তে উঠে আসবে চোখের সামনে। এই দুটি চরিত্রের অমোঘ আকর্ষণে ��� তাদের শেষটা জানার জন্য‌ই আপনি হোমিসাইড ডিটেকটিভ ফারুক আবদুল্লাহ এর মত ছুটে যাবেন সেই শেষ পরিণতির দিকে। না-হলে কারুর‌ই যে শান্তি নেই।
শেষমেশ,
কিয়েগো হিগাশিনো যে একজন জিনিয়াস লেখক সেই নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই। তার ছোট ছোট অথচ বুদ্ধিদীপ্ত টুইস্ট, দক্ষ চরিত্রাঙ্কন আর গল্পের পরতে পরতে মিশে থাকা সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো পাঠকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতে বাধ্য। কিন্তু তার 'জার্নি আন্ডার দ্য মিডনাইট সান' উপন্যাসটির ছায়া অবলম্বনে যেভাবে লেখক নজরুল ইসলাম এই গল্পটিকে গড়ে তুলেছেন তা প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে তার থেকে আরো ভালো ভালো কাজ যে পাবো সেই আশায় র‌ইলাম। নমস্কার!
Profile Image for Taznina Zaman.
251 reviews63 followers
November 5, 2019
রীতিমতো মুগ্ধ হয়েছি। অ্যাডাপ্টেশন হলেও লেখকের ঝরঝরে লেখনী তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। মন থেকে দোয়া করলাম, লেখক নজরুল ইসলাম যেন আরো বহুবার এমন চমৎকার বই উপহার দেন।
Profile Image for তান জীম.
Author 4 books279 followers
September 14, 2022
দূর্দান্ত বই। নজরুল ভাই এখানে যে কাজটা দেখিয়েছেন এটাকে আসলে কি বলে প্রশংসা করবো বুঝতে পারছি না। নজরুল ভাই, আপনি এরকম কাজ আরো রেগুলার করুন। ইদানিং আলসেমিতে ধরেছে, আগের মত রিভিউ লিখতে পারছি না। তবে এ বইটার রিভিউ আমি লিখবো পরে কোন এক সময়।

যারা মাসে একটা সেরা বই পড়তে চান, তা সে যে জনরাই হোক, তারা চোখ বন্ধ করে নজরুল ভাইয়ের এ বইটা তুলে নিতে পারেন। হতাশ হলে টাকা ফেরত টাইপ গ্যারান্টি দিচ্ছি।
Profile Image for ANIT.
86 reviews2 followers
June 28, 2023
আরেকটা ভালো এডাপশন।
বইয়ের মাঝখানে গেলেই বোঝা যায় কে/কারা খুনী তবে মোটিভ জানা যাচ্ছিলো না, তার জন্য শেষ পর্যন্ত যাওয়াই লাগবে।
তবে শেষ টা বেশ সুন্দর ছিলো। রিকমেন্ডেড!!
Profile Image for Anjan Das.
413 reviews16 followers
October 25, 2024
মূল বই পড়েছিলাম টানা ৫ দিন ধরে।এইটা শেষ করলাম একদিনে।"জার্নি আন্ডার দ্য মিডনাইট সান" কে লেখক দেশীয় প্রেক্ষাপটে খুব ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলতে না পারলেও খুব খারাপ করেন নি।চরিত্র গুলোর আরো স্পেস দরকার ছিল,যদিও মূল গল্পে হুটহাট আসতেছিল বাট সেখানে চরিত্রকে ভালো মত বিল্ডআপ করেছিলেন লেখক।মূল দুই চরিত্র লাবনী এবং আবিরের মধ্যে আমি সেই "ইউকিহো আর " রিও" কে আসলে খুঁজে পাই নি।সেই দুই চরিত্র কে হিগাশিনো যে লেভেলে নিয়ে গেছে তা পড়া শেষেও মাথা থেকে নামতেছে না।এছাড়া মূল বইয়ের কিছু জিনিস বাদ ও দিয়েছেন লেখক নজরুল ইসলাম।

একটা জিনিসের জন্য সাধুবাদ জানাই যে মূল বইয়ে যৌনতা তিনি দেশীয় প্রেক্ষাপটে আনেন নি একদম ই।যদিও আমি কোনকিছু বাদ দেওয়ার লক্ষে না তবু বইপ্রেমী সুশীল মানুষরা মূল বইয়ের যৌনতার বর্ননা এই অ্যাডাপ্টেশন এ দেখলে ছ্যাৎ করে উঠত!

প্রথম বই হিসেবে মোটামুটি ভালোই রূপান্তর ছিল।লেখনশৈলী আরেকটু ভালো হলে জমত আরো।
Profile Image for Samma Irtifa.
43 reviews12 followers
January 7, 2024
পৃথিবীর বুকে মানব জীবন একটাই। সেই জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো একটা ঘটনা আশেপাশের কতগুলো মানুষের উপর কিভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, তা আমরা হযতো কখনো জানতেও পারিনা। এমন একটা উদাহরণই হলো "অস্পৃশ্যতা"।

চরিত্রায়নের ক্ষেত্রে লেখক যে পন্থা অবলম্বন করেছেন, তাতে খুবই দক্ষ সাহিত্যিকের পরিচয় দিয়েছেন।
ক্ষুদ্র ভূমিকা মাত্র, সে চরিত্রটাও কাহিনীতে এমন ভাবে উপস্থাপন করেছেন যে অাগে থেকে কিছুই প্রেডিক্ট করতে পারবেনা পাঠক। কিছুদূর পরপর নতুন নতুন ঘটনা যখন আসছিলো, মনে হচ্ছিলো "মূল গল্পের খেই হারাচ্ছে না তো লেখক!?"
কোথায় কি! পড়া শেষে প্রতিটা চরিত্রের আগমন-বিশ্লেষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছি। চরিত্রগুলো মনের ভেতর গেঁথে গেছে যেন।

গল্পের "টাইমলাইন" এর দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানটা বুঝতে একটু সমস্যা হয়েছে। কারন বর্তমান থেকে "আট বছর আগে" চলে যাওয়া এবং বর্তমানকেও অতীত বানিয়ে আরো একটা বর্তমানে ঢুকে যাওয়া বুঝতে বেশ কষ্টই হয়েছে। এদিকে লেখকের একটু খেয়াল রাখা প্রয়োজন ছিলো।

লেখনশৈলী নিয়ে একটু কথা বলতেই হয়। নজরুল ইসলামের অনুবাদ আগে পড়েছি। তখন রিভিউতে অনুবাদের প্রশংসা করেছি। কিন্তু অনুবাদ আর মৌলিক এক না। (অস্পৃশ্যতা এডাপশন হলেও ভাষাগত ভাবে মৌলিক )। ভাষাগত মাধুর্যতা ভালো লেগেছে। পড়ার সময় বিরতি দিতে ইচ্ছাই করছিলো না! সাবলীল আর প্রাণবন্ত লেখার ধাঁচে দূর্দান্ত একটা বই।

বইটা রেকমেন্ড তো করবোই, সেই সাথে বলে দেই, একবার পড়া শুরু করলে গল্পটা পাঠককে এমন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিবে যে পড়ার শেষ হওয়ার পরেও ভাবনায় ডুবে থাকতে বাধ্য হবেন।
Profile Image for Kowshik Debnath.
Author 1 book49 followers
November 9, 2019
চমৎকার গল্প। লেখাও দারুণ। শুধু সংলাপের কারণে একটু খারাপ লেগেছে৷ ক্লাস টেনে পড়া দুই বন্ধু ওভাবে কথা বলে না বোধ হয়। মনে হচ্ছিল কোনো বড় মানুষ কথাগুলো বলছে৷ এবং সবার কথা বলার ধরণ একইরকম। তাই আরো বেশি খচখচানি ছিল। আলাদা করার মতো সংলাপ মনে হয় শুধু দুজনের ছিল। জামাল আহমেদ ও ইউনুস আলী। এরা দুইজনই ছিল সবচেয়ে কম ফোকাসে। যারা বেশি ফোকাস পেয়েছে গল্পে, তাদের সংলাপগুলোতে আরো কাজ করা দরকার ছিল।
এছাড়া সবকিছুই ঠিকঠাক।
Profile Image for Shahriar Hassan.
12 reviews
April 2, 2021
বইটাতে প্রচুর বানান ভুল ছিল,প্রচুর।বাধাইয়েও সমস্যা ছিল।কিন্তু ৫ স্টার দিলাম কারন বইটা মন থেকে ভালো লেগেছে।
মাস্ট রিড,মাস্ট রিড,মাস্ট রিড!!!.....
Profile Image for শুভাগত দীপ.
275 reviews47 followers
February 11, 2019
|| রিভিউ ||

বইঃ অস্পৃশ্যতা
লেখকঃ নজরুল ইসলাম
প্রকাশকঃ বাতিঘর প্রকাশনী
প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
ঘরানাঃ মার্ডার মিস্ট্রি/ক্রাইম থ্রিলার
প্রচ্ছদঃ ডিলান
পৃষ্ঠাঃ ২৫৫
মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫০ টাকা
ধরণঃ হার্ডকাভার


কাহিনি সংক্ষেপঃ জামাল আহমেদের লাশটা যখন আবিস্কৃত হলো, তখন ওটা সিলিং থেকে ঝুলছে। তদন্তকারী পুলিশের মতে ওটা আত্মহত্যা। কিন্তু পাওয়া গেলোনা কোন সুইসাইড নোট। পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ফাইয়াজের মতে জামাল আহমেদের রহস্যময় মৃত্যু মোটেও আত্মহত্যা না, বরং সুপরিকল্পিত খুন। আর এই চিন্তাধারা থেকেই ফাইয়াজ শুরু করলো অনুসন্ধান। আর শুরুতেই দারুন চমকপ্রদ একটা ব্যাপার আবিস্কার করে ফেললো সে। জামাল আহমেদের মৃত্যুর আট বছর আগের এক খুনের ঘটনার সাথে যেন সম্পর্ক আছে ব্যাপারটার। সাব-ইন্সপেক্টর ফাইয়াজকে এবার ফিরে যেতে হবে আট বছর আগে রহস্যময় ভাবে খুন হওয়া শফিক আহমেদের কেসের ক��ছে।

ভয়াবহ অসম্মান ও বিফলতার গ্লানি নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরে গিয়েছিলেন সাবেক হোমিসাইড ডিটেকটিভ ফারুক আবদুল্লাহ। শফিক আহমেদের খুনের কেসের কিনারা হয়নি আজও। তাই যখন সাম্প্রতিক সময়ে খুন হওয়া জামাল আহমেদের কেসের তদন্তকারী সাব-ইন্সপেক্টর ফাইয়াজ তাঁর সাহায্য চাইলো, তিনি পড়ে গেলেন দোটানায়। নতুন এই কেসের সাথে আট বছর আগে মাটিচাপা দেয়া কেসটার যে সম্পর্ক তার শেকড় অনুসন্ধানে বৃদ্ধ হোমিসাইড ডিটেকটিভ ফারুক আবদুল্লাহ একটু দেরিই করে ফেললেন।

এদিকে আট বছর আগে খুন হওয়া শফিক আহমেদের একমাত্র ছেলে আবির আহমেদ, অনিন্দ্যসুন্দরী লাবণী শারমিন, মাল্টিমিলিওনিয়ার রিয়ান খান, আবিরের বন্ধু রাজিব সহ কারো জীবনই কিন্তু থেমে নেই। নিজস্ব গতিতে প্রবহমান সবার জীবনই। কিন্তু মাঝে মাঝেই ঘটছে ছোটখাটো ছন্দপতন। এই ছন্দপতনের ঘটনাগুলোও যেন কোন না কোনভাবে অতীতের সাথে জড়িয়ে আছে। যে গল্পের শুরু হয়েছিলো আট বছর আগের শফিক আহমেদের খুনের ঘটনার মধ্য দিয়ে, তা যেন বারবার বাঁক নিতে লাগলো আবির, রিয়ান, লাবণী, ফারজানা, ঊর্মি, রাফিউল, জাহিদ, রাজিব, ইউনুস আলীদের হাত ধরে। এই গল্পের শেষটা দেখতেই যেন বৃদ্ধ বয়সেও মরিয়া হয়ে উঠলেন সাবেক গোয়েন্দা ফারুক আবদুল্লাহ। মাত্র একটা আলগা সুতোর সন্ধান, যার খোঁজ পেলেই আলোকিত হয়ে উঠবে গল্পটার অন্ধকার কোণগুলো।


পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বিশ্বখ্যাত জাপানি থ্রিলার সাহিত্যিক কিয়েগো হিগানিশিনো'র আলোচিত থ্রিলার উপন্যাস 'জার্নি আন্ডার দ্য মিডনাইট সান'-এর ছায়া অবলম্বনে নবীন লেখক নজরুল ইসলাম রচনা করেছেন 'অস্পৃশ্যতা'। এই ক্রাইম থ্রিলার উপন্যাসে একটা বিষয়ই সবকিছুকে ছাপিয়ে প্রতীয়মান হয়েছে বলে মনে হয় আমার কাছে। আর সেটা হলো, মানুষ কখন একটা অপরাধ ঢাকতে একের পর এক অপরাধকর্মে জড়িয়ে পড়ে তা সে নিজেও বুঝতে পারেনা।

'অস্পৃশ্যতা' ক্রিমিনাল সাইকোলজির এক অসাধারণ উদাহরণও বটে। লেখক নজরুল ইসলাম বেশ সুন্দরভাবে পুরো গল্পটা পরিবেশন করেছেন পাঠকের সামনে। লেখকের গল্প বলার ধরণটাও বেশ সাজানো-গোছানো লেগেছে আমার কাছে। শব্দ চয়ন ও প্রকাশভঙ্গিতেও ছিলো সাবলীলতার ছাপ৷ তবে এই উপন্যাসে চরিত্রের সংখ্যা এতো বেশি পরিমাণে ছিলো যে তাল মেলাতে মাঝে মধ্যে হিমশিম খেতে হয়েছে আমার৷ যদিও বিরতি দিয়ে দিয়ে পড়াটা এর একটা কারণ হলেও হতে পারে।

এই উপন্যাসের বেশ কিছু জায়গায় টাইপিং মিসটেকের দেখা পেয়েছি। বিশেষ করে 'অ্যান্ড' কথাটা লিখতে বারবার ভুল করেছেন লেখক। যা 'অঠ্যন্ড' বা এই ধরণের কিছু হয়ে গেছে। প্রুফ রিডিং-কে দূরে সরিয়ে রেখে নিখুঁত কিছু করা আসলেও সম্ভব না। যাই হোক, 'অস্পৃশ্যতা' আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ডিলান সাহেবের করা প্রচ্ছদটাও সুন্দর ছিলো। নজরুল ইসলামের পরবর্তী কাজগুলোর জন্য রইলো শুভকামনা। যাঁরা এখনো পড়েননি, চাইলে পড়ে ফেলতে পারেন নিরীক্ষাধর্মী এই কাজটা।


ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪/৫
গুডরিডস রেটিংঃ ৪.২৮/৫

© শুভাগত দীপ

(১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, বিকাল ৪ টা ১৩ মিনিট)
Profile Image for Safwan  Mahmood.
113 reviews4 followers
September 23, 2023
তিন নাকি চার তারা দেবো, এ নিয়ে সংশয়ে আছি। শেষমেশ চারই দিলাম।

বইটা শেষ করে মাথা থম মেরে আছে। এই বইয়ের পুরো সাধারণ কিন্তু প্যাচানো কাহিনির রহস্যভেদ আর এন্ডিংটাই এর প্রধান কারণ। আসলে এটাকে সাধারণ রহস্যগল্প আর সেটার টুইস্ট বিবেচনায় দেখছিনা। চমকে দেওয়ার পাশাপাশি বিষন্নও করে দিয়েছে। অন্যরকম, এটাই মাথায় আসছে। এক্ষেত্রে এটা যে কিয়েগো হিগাশিনোর ম্যাজিক সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কিয়েগো হিগাশিনো বাঙালি থ্রিলার পাঠকদের মাঝে ইদানীং খুবই জনপ্রিয়, একইসাথে প্রশংসিতও বটে। তাই থ্রিলার লাভার হিসেবে তার বই পড়তেই হতো। এর আগে তার 'দ্য নেম অব দ্য গেম ইজ আ কিডন্যাপিং' পড়েছিলাম। সেটা উপভোগ্য গল্প আর টুইস্ট বিবেচনায় ভালো লাগলেও, শেষমেশ সাদামাটা ক্রাইম স্টোরি লাগল। তবে রিসেন্টলি তার কোনো বই থেকে বানানো বলিউডের ডার্ক কমেডি থ্রিলার মুভি 'মনিকা ওহ মাই ডার্লিং' মুভিটাও ভালো লেগেছে। তাই এবারে হিগাশিনোর 'জার্নি আন্ডার দ্য মিডনাইট সান' বইয়ের ছায়া অবলম্বনে নজরুল ইসলামের 'অস্পৃশ্যতা' পড়ে নিলাম।

যাইহোক, বইয়ের গল্প আসলে থ্রিলারের চেয়েও বেশি মানব জীবনের অন্ধকার দিককেই তুলে ধরে। একটা অপরাধ কতগুলো মানুষের জীবনে কত দীর্ঘ সময় ধরে প্রভাব ফেলে তাই দেখানো হয়েছে। ঘৃণা, বিষন্নতা, ভালোবাসা, জেদ, বিদ্বেষ এই আবেগগুলোকে নতুনভাবে উপলব্ধি করাই এই গল্প। গল্পে চরিত্রায়ন এক কথায় অসাধারণ, সব চরিত্রই গল্পে পর্যাপ্ত স্পেস না পেলেও বিকশিত হয়েছে, প্রভাবও ফেলেছে। আর এই সবকিছুই খুব সাসপেন্সের সাথে এগিয়ে নিয়ে চলেছিল বইয়ের গল্পকে। রিভিউতে অনেকে বলে, হিগাশিনোর বই পড়ে নাকি খুনিদের জন্য করুণা হয়। 'কিডন্যাপিং' পড়ে তেমন কিছু না হলেও এই বই পড়ে হচ্ছে।

যাইহোক, অ্যাডাপ্টেশনের ব্যাপারে বলতে গেলে, প্রথমে যা ভালো লেগেছে বলি। গল্পটা বাংলাদেশে বেশ ভালোভাবেই নিয়ে আসতে পেরেছেন লেখক। লেখনী প্রথম বই বিবেচনায় ভালোই হয়েছে। তবে হতাশার ব্যাপারে বললে বলব, গল্পের অনেক সাবপ্লট বোধহয় বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে টাইম গ্যাপ, কিছু চরিত্রের আগমন কিংবা বিদায়, ঘটনা বদলানো সবই কেমন জানি হুট করে হয়ে যাচ্ছিল, এন্ডিংটাতেও তাড়াহুড়োর ছাপ। ফারুক আবদুল্লাহ কিংবা সাফাতের তদন্ত, ফায়াজের চরিত্র গঠন গুলো আরও ভালোভাবে আসতে পারত। এমনকি বইয়ের মূখ্য দুই চরিত্রের সম্পর্কটাও ভালোমতো বিকশিত হয় নি।

যদিও মূল বই না পড়ে এ মন্তব্য করা উচিত নয়। তারপরও রিসেন্টলি বের হওয়া 'জার্নি আন্ডার দ্য মিডনাইট সান' এর অনুবাদ দেখলাম সাড়ে পাঁচশো পৃষ্ঠার, আর এই বই আড়াইশোর। মানে কাটছাট যে করা হয়েছে তো বটেই। আর খারাপ লেগেছে সংলাপগুলো। সবরকমের চরিত্রের সংলাপের ধরণই একই, কোনো বৈচিত্র নাই।

যাইহোক, এই কারণে তৃপ্তির ঢেঁকুরটা পুরোপুরি তুলতে পারলাম না। মূল বইটা পড়তে হবে মনে হচ্ছে। কবে হাতে পাবো জানি না। সংগ্রহে থাকা হিগাশিনোর সাসপেক্ট এক্স, স্যালভেশন অব আ সেইন্ট আর ম্যালিস পড়ে নিতে হবে।

📚 বইয়ের নাম : অস্পৃশ্যতা

📚 লেখক : নজরুল ইসলাম

📚 বইয়ের ধরণ : ক্রাইম থ্রিলার, মিস্ট্রি থ্রিলার, সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার

📚 ব্যক্তিগত রেটিং : ৪/৫
Profile Image for Sayf.
63 reviews4 followers
February 19, 2019
অস্পৃশ্যতা, নামটা কাব্যিক হলেও, আসলে মলাটের ভেতরে থ্রিলার । সড়গড়ে চলিত বাংলাতে, এই চেনা পরিবেশের ভেতরে অনেকগুলো আপাত লেজবিহীন খুনের কিনারা করার প্রয়াস নিয়ে দীর্ঘসময়ের গল্প । ধুন্ধুমার লেখনী মোটেও না । বলে যাবার গল্প, সরল ভাবে বলে গেছেন লেখক । তবে গল্পের ভেতরের গল্পটা অতটা সহজ ছিল না ।থ্রিলার হলেও, শেষতক কাব্য করে শেষ ।
Profile Image for Md Nafiul.
23 reviews
April 12, 2021
"জার্নি আন্ডার দ্য মিডনাইট সান" উপন্যাসকে নিজ দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বইতে তুলে ধরা হয়েছে এবং সেটাও খুব চমৎকার ভাবে। প্রথম থেকেই সাস্পেন্সে পরিপূর্ণ এবং শেষ পর্যন্ত দারুণ থ্রিল বজায় থাকে,তাছাড়া লেখাও সহজ সাবলীল পড়তে তেমন অসুবিধা হয়নি। তবে কিছু জায়গায় টাইপিং মিস্টেক ছিল,যা চোখে পড়ার মতো🙂। এটার ফিল্ম এডাপটেশন ও রয়েছে কিন্তু তা থেকে বই বেস্ট।
Profile Image for Junaed Alam Niloy.
86 reviews11 followers
June 6, 2018
অসাধারন লাগলো!!
একটানে পড়ে ফেললাম! লেখক রহস্যের মদ্ধ্যে নিয়ে জেতে ও সক্ষম হয়েছে, আর শেষে এমন এক ভালবাসার গল্পে মন খারাপ ও করে দিতে পেরেছে!!
লেখকের কাছে সামনে এমন আরো কিছু বই আশা করবো!!
Profile Image for Mazedur Pranto.
27 reviews2 followers
October 27, 2019
গল্প সুন্দর। কিন্তু লেখকের প্রথম বই দেখে হয়ত লেখার ভাষাটা তেমন পরিপক্ক লাগেনি। তাহলে হয়ত বইটা আরো ভাল হতে পারত।
Profile Image for Mueed Mahtab.
344 reviews
August 30, 2020
মাথা নষ্ট!শহরটা যদি নারায়নগঞ্জ না হয়ে আমার ঢাকা হতো!
Profile Image for Shahjahan Shourov.
162 reviews24 followers
October 2, 2019
ভাল লিখেছেন নজরুল ইসলাম। নতুন (আমার জন্য। মনে পড়েনা ঠিক এই ঢংয়ের কোন বই পড়েছি কি না।) কায়দাটা ভাল লেগেছে। মূল গল্পের জায়গায় উনি ৩ এর চেয়ে এক বা দেড় তারা বেশি পাওয়ার মতো কাজ করেছেন নিঃসন্দেহে এবং তার ভাগীদার কিয়েগো হিগাশিনোও। তারা কমে ৩এ ঠেকেছে সংলাপ আর বর্ণনার কারণে। কিছু জায়গায় বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ২০১৯ এবং ২০১১ তে দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা (থানা পর্যায়ের) একজন বিউটি পার্লারের কর্মচারী কিংবা বন্ধকী দোকানদারের স্ত্রী, দোকানদারের সহযোগীর সাথে এতোটা নমনীয় হয়ে এবং ভদ্রতা রক্ষা করে কথা বলবে; বিশ্বাস করতে বাঁধে। সংলাপ দিয়ে চরিত্রগুলো আলাদা হয়নি। বন্ধকী দোকানের কর্মচারী যেভাবে কথা বলেছে, এএ্যান্ডএল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকও সেভাবেই কথা বলছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা যেভাবে বলছে, নকল ক্রীম-লোশানের ব্যবসায়ীও সেভাবে বলছে। ন্যারেশান সহজ হয়েছে, সেইসাথে মনে দাগ কাটতেও ব্যর্থ হয়েছে।

শুভকামনা রইলো লেখকের জন্য। তার কাছ থেকে নতুন ঢং এর, নতুন কেতা’র আরও সমৃদ্ধ লেখনীর বই পাওয়ার প্রত্যাশা রইলো।
Profile Image for Saikat Sarkar.
27 reviews
September 27, 2025
সাত বছর আগে প্রকাশিত হওয়া বই "অস্পৃশ্যতা" বিখ্যাত জাপানিজ লেখক কিয়াগো হিগাসিনোর "দা জার্নি আন্ডার দা মিডনাইট সান" অবলম্বনে লিখেছেন নজরুল ইসলাম। হিগাসিনোর কোনো বই আমার আগে পড়া হয়নি।এর আগে যত এডাপটেশন পড়েছিলাম তার ভেতর বেশ মনে রাখার মতো ছিল মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের "কেউ কেউ কথা রাখে" যা এদুয়ার্দো সাচেরির "La Pregunta de sus ojos" অবলম্বনে লেখা হয়েছিল।


"অস্পৃশ্যতা" এডাপ্টেশন হলেও, প্রেক্ষাপট,চরিত্র সবই বাংলাদেশের।ফোর রেটিং দেয়ার মতো থৃলার শুধুমাত্র এর মূল গল্পের জন্য!

উপন্যাস এগিয়েছে কয়েকটি অমীমাংসিত খুন আর মৃত্যুকে ঘিরে।

অনেকগুলো চরিত্র বইতে আর তাদের ঘিরে কিছু মানুষের মৃত্যু।সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবন যাত্রাও উঠে এসেছে এখানে।আত্মরক্ষা আর প্রতিশোধ স্পৃহায় যেমন মানুষ আরেকজন খুন করতে দ্বিধা করে না, ঠিক একইভাবে অপরাধ ঢাকার জন্যও আরো অপরাধ নিয়ে যায় লোভ,অযাচিত মোহের দিকে,তখন মানুষ অপরাধকেই বেছে নিতে পারে।

থৃলার হলেও পাঠক সামাজিক জনরার স্বাদ পাবে এখানে।চমকে যাওয়ার মতো টুইস্ট  ছিল না।সাসপেন্স ছিল,পেজ টার্নার ছিল।উপন্যাসের উপসংহার ছিল বেশ ট্রাজেডি ধর্মী।অপরাধীকে আর ততটাও ঘৃণা করতে ইচ্ছে করে না,বরং একটু বেশিই ভাবিয়ে তুলতে পারে(বোধহয়!)।


মাঝে মাঝে সংলাপ বেশ দুর্বল লেগেছে।যা অনেক সময় পাঠের আনন্দকে নষ্ট করে দেয়,পড়ার গতিকে স্লো করে দেয়।চরিত্রের আবেগ অনুভূতি ঠিক ভাবে প্রকাশিত না হলে রিলেট ও করা যায় না গল্পের সাথে।


তবে,সব মিলিয়ে বললে,স্রেফ গল্প শোনার জন্য হলেও এই বইটা দারুন।পড়ে শান্তি পাওয়ার মতো।
Profile Image for Tasmia Tasneen Nitol.
55 reviews
October 13, 2022
9/10
প্রথম দিকে একটু বোরিং লাগছিলো। একটার পর একটা ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, নতুন নতুন চরিত্রের আগমন ঘটছে, বাচ্চাগুলা বড়ো হয়ে মাঝবয়সী হয়ে যাচ্ছে অথচ কোন রহস্যেরই কোন কুল কিনারা নাই, কোন প্রশ্নের কোন উত্তর নাই। তার মধ্যেই আবার নতুন সব ঘটনা ঘটছে। এই ব্যাপারটা একটু বিরক্ত করছিল। কিন্তু শেষে এসে এটাই ভালো লেগেছে। ক্রাইম জানি, সাসপেক্ট জানি, কিছু একটা কাহিনি যে সাসপেক্টের আছে৷ তাও জানি, কিন্তু মোটিভ জানি না৷ যোগসূত্রটা কোথায় তা জানি না৷ ওই প্রশ্নের না জানা উত্তর গুলোই বইয়ের শেষ পাতা পর্যন্ত আগ্রহ ধরে রেখেছে। লেখনীও বেশ গোছানো। ভালো লেগেছে।
Profile Image for Shashoto Sharif.
116 reviews8 followers
March 13, 2022
মূল বইটা পড়া ছিল।
কয়দিন আগে স্টকে না পড়ে ফেলে রাখা বই(যেটার সংখ্যা হিউজ) ঘাটতে গিয়ে চোখে পড়ল এটা।মূল বইয়ের ভাল লাগা থেকেই পড়তে বসা।
আগে থেকেই টুইস্ট সব জানি,তাই বলে পড়তে খারাপ লাগে নাই।অনেক কিছুই ছিল মূল বই এ,যেগুলো বাংলাদেশের পটভূমিতে কিভাবে আনবেন সেটা জানার আগ্রহ ছিল।লেখক বেশ ভালভাবেই উতরে গেছেন।
প্রথম বই,তাই হয়ত ভাষাটা ছিল কিঞ্চিত আড়ষ্ট,কিছু জিনিস ছিল আজাইরা খাজুইরা আলাপ,আবার কিছু ছিল একটু রাশ।কিন্তু সব মিলিয়ে যথেষ্ট উপাদেয়,৫ এর কম দেই কি করে 😅😅
1 review
December 30, 2021
বই টার প্রেডিক্যাবিলিয়টি যেহেতু বোঝার মতো নয় সে হিসাবে দারুন
প্লট গুলো কিছুটা জটিল থাকলেও লেখনী ভালো
মাঝখানের লেখা গুলো খুব বাড়তি মনে হয়েছে টা ছাড়া সব ঠিক আছে।
শেষে সেক্সওয়াল প্রেসারে গেলেও টুইস্ট ভালো
Profile Image for Mitul Rahman Ontor.
161 reviews56 followers
July 16, 2021
গল্পের প্লট ভালো। কিন্তু লেখনী খুবই আ্যমেচার। স্পেশালি শুরুতে। সংলাপ বা বর্ণনাভঙ্গি কোনোটাই টানতে পারে নি।
Displaying 1 - 30 of 31 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.