কল্পনাপ্রবণ কৃষ্ণেন্দু ইউনিভারসিটিতে পৌঁছেও তার জীবনের ‘আধা ইচ্ছার সংকট’ কাটিয়ে উঠতে পারে না। বান্ধবী নন্দিনীকে জেদ করে ভালবাসতে গিয়ে সে আশ্রয় নেয় ফ্যানটাসির। প্রতিদিন নন্দিনী পালটে যেতে শুরু করে নতুন নতুন ইচ্ছের শরীরে। নিজেকে ঘিরে নানান অতৃপ্তি ও কাকাদাদুর মরণোত্তর শরীরদানের ইচ্ছেপত্রকে বাস্তবে পরিণত করতে না পারার ব্যর্থতা ভুলতে নন্দিনী তার কাছে হয়ে ওঠে এক কল্পতরু। কিন্তু ছায়ার শরীর নিয়ে এই ভয়ানক খেলা প্রাথমিক সাফল্য এনে দিলেও সেই সফলতার গর্ভেই ছিল প্রতারণার বীজ। ‘মায়াকাচ’ উপন্যাসে ভালবাসা যেন গভীর চোখ দিয়ে দেখে নিতে চায় বিচিত্র জীবনকেই।
তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১২ জুলাই, ১৯৭৮ নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজিতে এম এ। পেশা শিক্ষকতা। মায়ের গলায় শোনা রবীন্দ্রনাথের গানই সমস্ত নন্দন চর্চার প্রেরণা। গল্প প্রকাশিত হয়েছে দেশ, আনন্দবাজার পত্রিকা, সানন্দা ছাড়াও অনেক উল্লেখযোগ্য পত্রিকায়। ২০০৭ সালে আনন্দবাজার পত্রিকায় 'প্রতিদ্বন্দ্বী' গল্পটি লিখে বৃহত্তর আত্মপ্রকাশ। ১৪১৮ শারদীয় দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত 'মায়াকাচ' উপন্যাসটি পাঠকদের মূল্যায়নে 'সেরা উপন্যাস' হিসেবে পেয়েছে 'বর্ণপরিচয় সাহিত্য সম্মান ২০১১'।