Public condemned Les fleurs du mal (1857), obscene only volume of French writer, translator, and critic Charles Pierre Baudelaire; expanded in 1861, it exerted an enormous influence over later symbolist and modernist poets.
Reputation of Charles Pierre Baudelaire rests primarily on perhaps the most important literary art collection, published in Europe in the 19th century. Similarly, his early experiment Petits poèmes en prose (1868) (Little Prose Poems) most succeeded and innovated of the time.
From financial disaster to prosecution for blasphemy, drama and strife filled life of known Baudelaire with highly controversial and often dark tales of Edgar Allan Poe. Long after his death, his name represents depravity and vice. He seemingly speaks directly to the 20th century civilization.
বোদলেয়ারের মনোক্রমিক দুর্বিষহ জীবনের তিক্ততা আর বিষণ্ণতার সাথে কোথায় যেন জীবনানন্দের জীবনের দেজা ভ্যু হয়। দুর্বোধ্যতা, বিস্ময় এবং মুগ্ধতাইয় মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়া কবিতা নিয়ে বই।জীবনানন্দের ভাষাতে বললে, 'অসম্ভব বেদনার সাথে মিশে রয়ে গেছে অমোঘ আমোদ।' পুনশ্চ - বইয়ের প্রথমার্ধের তৎকালীন ফ্রান্স, ফরাসী কবিতার বিবর্তন আর তাতে বোদলেয়ারের ভূমিকা নিয়ে লেখা বুদ্ধদেব বসুর প্রবন্ধটা খুবই চমৎকার।
তাঁর সম্পর্কে আরতুর র্যাবো বলছিলেন,'বোদলেয়ার...প্রথম দ্রষ্টা, কবিদের রাজা, এক সত্য দেবতা'। এই কথা যে কতটুকু সত্য বা মিথ্যা এরকম কোনো সন্দেহ মনে হয় এখন আর কোনো সচেতন কবিতার পাঠকই করে না। ব্যক্তিগত জীবন যে নিদারুণ কষ্টের মাঝে যাপন করেছেন তার থেকেই ফুটে উঠেছে তার ক্লেদজ কুসুম। ফ্রান্সের এক পবিত্র শয়তান তিনি। এই মুহূর্তে কোট করতে মন চাইতেছে,
"পাপের বাসা এই মাথার খুলি দিক না পিষে, ধড় হোক দু-ফাঁক, উড়িয়ে বিদ্রূপ দেবো বেবাক- দেবতা, শয়তান, ধর্মবুলি!"
তো এইরকম কোট করতে চাইলে প্রচুর কোট করা যেতে পারে। কিন্তু পাঠ করতে হবে আরও অনেক। এইখানে সবিনয়ে ধন্যবাদ বুদ্ধদেব বসু'কে। তিনি যে দারুণ দক্ষতায় অনুবাদ করে গেছেন, তা অনেকটা আত্মীয়-মতন। এছাড়া অনুবাদের সাথে সাথে যে তথ্য-সংযুক্তি রেখে গেছেন, তাতে বোদলেয়ার-কে খুব কাছের করে নেয়া সম্ভব হইছে। এতোটা স্বচ্ছ হইতে পারছে শুধু মাত্র অনুবাদকের দক্ষতায়ই। কেননা তর্জমা যদি সুখদায়ক না হয়, তবে সাহিত্যের স্বাদ পাওয়া দুঃসাধ্য।
এখন আবার আসি বোদলেয়ার প্রসঙ্গে। জীবদ্দশায় বাস্তবিক অর্থেই একজন ব্যর্থ কবি। উত্তাল জীবনযাপন, দাদাইজম, নেশা এবং প্রতিভা। সব সময়ে একরকম বিশৃঙ্খল, যে কারণে তাঁকে সারাজীবনই ভুগতে হয়েছে অনেক। কিন্তু জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সাহিত্যের জন্য ছিলেন পাগল। লালনের গানে যেমন আমরা শুনে থাকি, 'পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না'। সেই সময়ে ফ্রান্সের সাহিত্যের আকাশে বোদলেয়ার ছিলেন একদম পঞ্চম। এবং তার কবিতাতেও তাই। যে কারনে নিজ সময়ে অনেক বেশি নিগৃহীত হয়েছে তাঁর কবিতা। তাঁর সময়ে তাঁকে অনেক ক্ষেত্রেই শুধু শিল্প-সমালোচক এবং পো-এর অনুবাদক হিসেবে ফ্রান্সে পরিচিতি করানো হত। চতুরভাবে তাঁর কবিতাকে অস্বীকার করার প্রয়াস করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকৃত শিল্পকে ধামাচাপা দেয়া অসম্ভব। তাই আজ আমরা সেই রসের স্বাদ নিতে পারতেছি।
বোদলেয়ার যেভাবে দেখে গেছেন, যে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে মানুষের অনুভূতির সত্য বক্তৃতাকে রূপায়িত করছেন- তা বিস্ময়কর। তাঁর সমূহ দুঃখবিলাস এবং রোমানটিজমে যেকোনো সচেতন পাঠককে মাতাল হতেই হয়। তাই এইখানে আরেক লাইন কোট করতে চাই
"কিন্তু মদে হবে কাফন বোনা তারা কি স্বপ্নেও ভাবতে পারে?"
আবার কোট করতে ইচ্ছা জাগতেছে। বলছিলাম আগেই, এত প্রচুর কোট করা যেতে পারে-ভালো লাগা
"ঘুমোতে চাই যে আমি, যে-ঘুমে ফুরোয় বাঁচা, মরণের মতোই কোমল তন্দ্রায় অস্তগামী, ক্ষমাহীন লক্ষ চুমোয় তনু তোর ঢাকবো আমি- উজ্জ্বল তামার মতো ও-তনু, নতুন, কাঁচা।"
এইখানেই আমার বলাবলি আপাতত শেষ করলাম। যারা কবিতা পাঠ করেন, তারা অবশ্যই বোদলেয়ার পাঠ করে দেখেন। আনন্দসুরায় উন্মত্ত হতে পারবেন।
এমন মানুষ কে আছে, বুকের তলে না পোষে হলদে সাপের তীব্র ফণা মসনদে বসে অনবরত যে বলে: ‘ আমি রাজি’, আর উত্তরে ‘পারবো না!’ কিন্নর, পরি, অস্পরীদের স্তব্ধ নয়নে তোমার নয়ন করো নিবদ্ধ, বিষদাত বলে : ‘মন দাও কর্তব্যে !’ গাছে ঢালো জল, সন্তানে দাও জন্ম, গড়ো কবিতায়, মর্মরে কারুকর্ম, সে বলে : ‘হয়তো আজকেই তুমি মরবে!’ মানুষ যতই ভাবুক. করুক চেষ্টা, মেলে না জীবনে এমন কোনো মুহূর্ত মানতে যখন না হয় – দারুন ধূর্ত এই অসহ্য সর্পই উপদেষ্টা ।
এক কবির হাতে আরেক কবির কবিতা। বদলেয়ার মানে এক ঝাক বিস্ময় আর বসু মানেই ভালোবাসা। তার প্রচন্ড পরিশ্রমের এক অসাধারণ ফসল। পড়ার মতো বই ভালো লাগার মতো বই।