Jump to ratings and reviews
Rate this book

দেনা-পাওনা

Rate this book
मंदिरों की अपार धनसंपदा हड़पने के लिए पुजारी, जमींदार तथा अन्य गणमान्य व्यक्ति कितनी ओछी हरकतें कर सकते हैं, इस की एक मिसाल है शरत चंद्र चट्टोपाध्याय का यथार्थपरक उपन्यास ‘देना पावना’ जिस में चंडीगढ़ के एक मंदिर की बहुमूल्य संपत्ति हथियाने के लिए गांव के प्रतिष्ठित लोगों ने भैरवी को लांछित और अपमानित करने में कोई कोर कसर नहीं छोड़ी-
इस षड्यंत्र में नारी की भावनाओं और संवेदनाओं के साथ भी जम कर खिलवाड़ किया गया है, जिस की गहन एवं मार्मिक अभिव्यक्ति में शरतचंद्र ने कलम तोड़ दी है- संभवतया इसीलिए उन्हें ‘नारी वेदना का पुरोहित’ कहा जाता है।
भारतीय रचनाकारों की पहली पंक्ति में गिने जाने वाले कथाकार शरतचंद्र चट्टोपाध्याय ने परंपरागत बंधनों, संकीर्ण मानसिकताओं, हीनताओं, दुर्बलताओं के मायाजाल से निकाल कर हिंदू समाज, विशेषतया नारियों को उदार एवं व्यापक दृष्टि प्रदान करने का प्रयास किया है। शरतचंद्र की लोकप्रियता का अंदाज इसी से लगाया जा सकता है कि उन की रचनाओं का भारतीय ही नहीं, विश्व की प्रायः सभी प्रमुख भाषाओं में अनुवाद हो चुका है।

144 pages, Hardcover

First published January 1, 1923

35 people are currently reading
771 people want to read

About the author

Sarat Chandra Chattopadhyay

260 books931 followers
Complete works of Sarat Chandra (শরৎ রচনাবলী) is now available in this third party website:
http://sarat-rachanabali.becs.ac.in/i...

Sarat Chandra Chattopadhyay (also spelt Saratchandra) (Bengali: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) was a legendary Bengali novelist from India. He was one of the most popular Bengali novelists of the early 20th century.

His childhood and youth were spent in dire poverty as his father, Motilal Chattopadhyay, was an idler and dreamer and gave little security to his five children. Saratchandra received very little formal education but inherited something valuable from his father—his imagination and love of literature.

He started writing in his early teens and two stories written then have survived—‘Korel’ and ‘Kashinath’. Saratchandra came to maturity at a time when the national movement was gaining momentum together with an awakening of social consciousness.

Much of his writing bears the mark of the resultant turbulence of society. A prolific writer, he found the novel an apt medium for depicting this and, in his hands, it became a powerful weapon of social and political reform.

Sensitive and daring, his novels captivated the hearts and minds of thousands of readers not only in Bengal but all over India.

Some of his best known novels are Palli Samaj (1916), Charitraheen (1917), Devdas (1917), Nishkriti (1917), Srikanta in four parts (1917, 1918, 1927 and 1933), Griha Daha (1920), Sesh Prasna (1929) and Sesher Parichay published posthumously (1939).

"My literary debt is not limited to my predecessors only. I'm forever indebted to the deprived, ordinary people who give this world everything they have and yet receive nothing in return, to the weak and oppressed people whose tears nobody bothers to notice and to the endlessly hassled, distressed (weighed down by life) and helpless people who don't even have a moment to think that: despite having everything, they have right to nothing. They made me start to speak. They inspired me to take up their case and plead for them. I have witnessed endless injustice to these people, unfair intolerable indiscriminate justice. It's true that springs do come to this world for some - full of beauty and wealth - with its sweet smelling breeze perfumed with newly bloomed flowers and spiced with cuckoo's song, but such good things remained well outside the sphere where my sight remained imprisoned. This poverty abounds in my writings."

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
288 (34%)
4 stars
381 (45%)
3 stars
152 (18%)
2 stars
13 (1%)
1 star
9 (1%)
Displaying 1 - 29 of 29 reviews
Profile Image for শাহ্‌ পরাণ.
259 reviews74 followers
April 13, 2024
অলকার মত এতো শক্তিশালী নারী চরিত্রের সাথে খুব বেশি পরিচয় হয়নি। এরকম শক্তিশালী নারী চরিত্র সরৎবাবুর পক্ষেই সৃষ্টি করা সম্ভব। শরৎচন্দ্রের অন্যান্য উপন্যাসের মত এই উপন্যাসেও উঠে এসেছে নারীদের উপর সমাজের অত্যাচার আর নিপীড়নের কাহিনী, দুর্বলের প্রতি সবলের অত্যাচার আর শোষণ। শেষে নারীর মহিমান্বিত রূপ। আর শেষে এতো সুন্দর একটা ফিনিশিং দিয়েছেন যে মুগ্ধ হয়ে রইলাম।

বইয়ের ভালো লাগা লাইন:

তোমার মা একদিন তোমাকে আমার হাতে দিয়েছিলেন অলকা তবু তোমাকে পেলাম না, কিন্তু সেদিন আমাকে যদি কেউ তোমার হাতে সপে দিতেন আজ বোধহয় তুমি অন্ধকারে আমাকে এমন করে ফেলে যেতে পারতে না ।

নিজের মন যার পরের হতে চলে যায় সংসারে তার চেয়ে নিরুপায় বুঝি আর কেউ নেই
Profile Image for Syed Morshed.
52 reviews20 followers
July 5, 2016
বইটা পড়ছিলাম আর প্রথম দিকে মনে হচ্ছিল 4 star দিবো। মাঝখানে এসে অসম্ভব একঘেয়ে লাগছিলো। রাগে মনে হচ্ছিলো 1 star দিই। কিন্তু শেষ দিকে এসে গল্প ঠিক লাইনে উঠে আসলো। এখন মনে হচ্ছে 5 star দিই। শেষদিকে এসে এমন একটা টাচ দিল। একেবারে মাস্টার টাচ। প্রথম দিকেও প্লটটা গড়ে উঠেছিলো ধীরে ধীরে। শেষে একেবারে জমে ক্ষীর!

জীবনানন্দ অসাধারণ এক চরিত্র! সাথে ষোড়শী! চরিত্রের ভোল দেখে মনে হয় এই রোদ আবার এই বৃষ্টি। আহা! মধু মধু!
Profile Image for Turna Dass.
145 reviews
Want to read
August 31, 2025
আচ্ছা,শরৎবাবু এই উপন্যাস লিখেছিলেন বটে,
কিন্তু এই উপন্যাস অবলম্বনে লেখা নাটক "ষোড়শী" বেলায় শিবরামকে ক্রেডিট দিলেন না কেন?

কেন?
(উত্তর জানতে চাই)
Profile Image for Humaira Tabassum  Ellin.
21 reviews7 followers
July 18, 2025
"নিজের মন যার পরের হাতে চলে যায়,সংসারে তার চেয়ে নিরুপায় বুঝি আর কেউ নাই"

-জীবানন্দ

৫ তারার বই ⭐/৫
Profile Image for Bayejid Ahmad.
28 reviews1 follower
October 5, 2024
ছয় বছর আগে ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের 'চিতা বহ্নিমান' পড়েছিলাম। সেখানে বৈবাহিক জীবনের সচরাচর ঘটে না এমন একটি ব্যতিক্রমী কাহিনী ছিল। আজ শরৎচন্দ্রের "দেনা-পাওনা" তে যেন সেই কাহিনীরই পুনরাবৃত্তি ঘটল। যদিও দুটি কাহিনীর প্যাটার্ন সম্পূর্ণ ভিন্ন, তবুও শেষের টুইস্ট এক ও অভিন্ন। তবে দুজনের শব্দচয়নেও রয়েছে যথেষ্ট পার্থক্য, এবং এক্ষেত্রে আমি ফাল্গনী মুখোপাধ্যায়কেই এগিয়ে রাখব। জমিদার জীবনানন্দ ও মন্দিরের ভৈরবী অলকা—দুটি ভিন্ন প্লটে এগিয়ে যাওয়া গল্প কীভাবে একসাথে মিলে যায়, তাই দেখানো হয়েছে। আহা! সে কী অপূর্ব প্রেম কাহিনী!

সঙ্গত কারণেই আখ্যানটিতে প্রবেশ করে অলকার মা-বাবার কথা, জমিদারের চাকর-বাকর ও জমিদারিত্বের বর্তমান অবস্থা, মন্দির ও মন্দির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মানুষ। এছাড়া বিভিন্ন উপমায় নারী বন্দনা, জ্যোৎস্না, তাঁরা ইত্যাদি তো আছেই। নবীনদের জন্য এটি সুখপাঠ্য না হলেও যারা নিয়মিত উপন্যাস পড়েন, তাদেরকে এ বই অবশ্যই বিমুগ্ধ করবে, অন্তত হতাশ তো করবেই না।
Profile Image for Sazia.
3 reviews2 followers
September 19, 2025
বইয়ের মূল চরিত্র দুটিই শক্তিশালী বিশেষত ষোড়শী চরিত্রটি। লেখক এখানে দুজনের চরিত্রের মধ্যেই দ্বৈত রূপায়ণ করেছেন বলে মনে হয়। ফলে নিষ্ঠুর অত্যাচারী শাসক জীবানন্দেরও অলকার কথা মনে পড়ে; একজন সন্নাসী ও দেবীর ভৈরবী হওয়ার পরও ষোড়শীর হৈম ও নির্মলের সংসার দেখে নারীর সংসার জীবনে আকৃষ্ট হয়। শরৎচন্দ্রের অন্য বইগুলোর মতো একবার শুরু করে পড়েই গেলাম। অনেকদিন পর একটানা কোনো বই পড়ে শেষ করলাম।
কিন্তু শেষটা মনে হলো তাড়াহুড়ো করে হুড়মুড় করে শেষ করে দেওয়া হলো। আরেকটু গুছিয়ে শেষ করলে ভালো হতো।
Profile Image for Partha Goswami.
130 reviews2 followers
July 18, 2023
অসাধারণ একটি উপন্যাস, কেবল শরৎচন্দ্রের পক্ষেই ইংরেজ আমলের পল্লী বাংলার সমাজ নিয়ে এমন নিখুত বুননের উপন্যাস লেখা সম্ভব। অন্য পড়াশোনার কারনে বেশ কিছুদিন উপন্যাস ইত্যাদি পড়ার ক্ষেত্রে যেন রিডার্স ব্লক হয়ে গিয়েছিল, সেটা থেকে খুব সুন্দর একটা মুক্তি মিলল।
179 reviews11 followers
May 8, 2020
একটা জনপ্রিয় হওয়ার মত উপন্যাস, জনপ্রিয় হওয়ার মত সব কোয়ালিটিই এটার আসে, জনপ্রিয় উপন্যাস খুবই ভাল উপন্যাস হইতে পারে, এটা খুবই ভাল উপন্যাস না কিন্তু শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে বেশ ভাল মানের ঔপন্যাসিক বলে মনে হইল।

খুব ভাল লাগলো কারন প্রথমত জীবন আর জীবনের বিভিন্ন নিয়ম নিয়তি ভালভাবে তাঁর জানা হইসিল। বাস্তবতা জানসিলেন। ক্ষমতা আর ক্ষমতাহীনতা বুঝসিলেন। দ্বিতীয়ত, মেয়েদের কে সত্যিই উনি ভালবাসচিলেন, আর তাদেরকে শক্তিহীন হিসাবে কল্পনা করেন নাই, অনেক শক্তিশালী চরিত্র হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করসেন। মুসলমানদের, গরীবদের জন্যও মমতা ছিল। এদের, গরীবদের দুঃখ এখানে আসে বেশ, তাদের শোষনের স্ট্রাকচারাল পদ্ধতিও কিসু আসে।

কিন্তু, কথাবার্তা এত নাটকীয় (কলকাতার টিভির সিরিয়াল-পেষাপের-ফেনা-নাটক অর্থে নাটক), ঘটনা এত অতি-নাটকীয়, শোষনের ব্যাকগ্রাউন্ডে, ফোরগ্রাউন্ডের প্রেম এত নাটকীয়, আবেগ এত থলথল, আর শেষে গিয়ে বাস্তবতার কঠিন সত্যের জনপ্রিয় নাটকীয়তার কাসে এমন হেরে যাওয়া খারাপ লাগায়। মূল চরিত্রের ট্রান্সফরমেশন উনি ভাল লেখক বলেই হাস্যকর লাগে না, কিন্তু খুব যে বিশ্বাসও করা যায় এমনও না।

কিন্তু খারাপ বই না, আমি যা চাইতেসিলাম, তার অনেকটুকুই পাইসি। আর এইটাই একটা সুন্দর সারপ্রাইজ।
Profile Image for Sajid.
457 reviews110 followers
October 3, 2019
ষোড়শী চরিত্রটি প্রবলভাবে আমাকে প্রভাবিত করেছে। মানুষের মনের রহস্য অব্যক্ত রুপেও যখন মনুষ্যত্বকে অবলম্বন করে অনুভূতির দ্বারা ব্যক্ত করে তখন খবু গূঢ়ভাবে সেই রহস্যকে আপন হৃদয়েরই একটি অংশ হিসেবে উপলব্ধি করা যায়।মানুষের মন হচ্ছে জলের মতো–যা কখনো একভাবে স্হির থাকে না,প্রতিমুহুর্তেই প্রবাহিত হতে থাকে,সেই মনের অনুভূতির রুপ যেমনই হোক তাকে কখনো মানুষের অস্তিত্বের দ্বারা পৃথক করা যায়না। নিজের দখলে থাকা এই মনেরই দিক বা স্রোতের প্রবণতা মানুষ কখনো বুঝে উঠতে পারে না। মানুষের চরিত্রের কোনো এক পরিবর্তন যে মানুষকে সময়েরও উর্ধ্বে পৌঁছে দিতে পারে তা এই উপন্যাসের জীবনানন্দ চরিত্রটিই সুক্ষ্ণ ভাবে অনুভব করতে সাহায্য করে।
Profile Image for Atik Rahman.
31 reviews2 followers
April 12, 2016
বইটা ভাল লেগেছে। শরৎচন্দ্রের বই আমাকে সবসময়ই চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে মানুষের আচরণ সম্পর্কে, অনুভূতির গভীরতার ব্যাপারে। এবং অনেকসময় সহজ উত্তরও যে চাপা রাখা দরকার ও কেন দরকার তা বুঝতে সাহায্য করেছে। এই বইটাও তার ব্যতিক্রম না। জমিদার জীবনান্দ, ষোড়শী, নির্মল ও হৈম। চরিত্রগুলো মনে থাকবে অনেককাল।
Profile Image for Janardan Misra.
30 reviews4 followers
June 12, 2012
All the books (novels) of Sarat chandra are salient expressions of emotional depths in human relations... This one is no exception...
Profile Image for Nuhash.
221 reviews8 followers
December 2, 2022
"দেনা পাওনা" অতুল শিহরের মত প্রভাবিত বই। এর রচনার ধার অনন্ত সুক্ষ্ম কিন্তু অতি তীব্র। কঠোর ভাষায় নারীর চোখে সমাজ অবলোকনের উপায় বলা যায়। প্রতিটি চরিত্র, এক এক স্তম্ভ কলঙ্কের। প্রাচীণ গোত্রীয় নারীর নিজের আত্মসম্মান, তার দৃঢ় সংকল্প আর বিশ্বাস অবিচল সমর্থনের ঘোষণা করে বিদ্রোহের।

নারীর সতীত্ব খুব ঠুনকো নয় যে মিথ্যে অপবাদে তা ভেঙে যাবে। যে নারী সতী তার শৌর্যবীর্য চোখে পড়ে ষোড়শীর মত। তার চোখে থাকা সত্য, কপালে লেপ্টে থাকা নির্মলতা, হাসিতে থাকা মুক্তোর ঝলক সকল 'দেনা পাওনার' উৎসমূল। সকল ষড়যন্ত্র যদি হয় সত্যের বিরুদ্ধে সেখানে সত্য সর্বদা নিশ্চল থাকে।

প্রতিটি চরিত্র ( জীবনানন্দ, ষোড়শী, নির্মল, রায় মহাশয়, হৈম, তারাদাস, এককড়ি) তারা যেন একসূত্রে গাঁথা। স্বচ্ছতা আর কর্দযতা দিয়ে নির্মিত তাদের স্মৃতিসৌধ। প্রজা পীড়ন, দেবীর পূর্জা, সত্য আর অতি শোষিত শ্রেণীর মানুষ যেন অলক্ষ্যে না থেকে সরাসরি ভেঁসে উঠেছে 'দেনা পাওনা' উপন্যাসে। সাগর যেন এক ক্ষুদ্র প্রতিবাদের প্রতীক। শহীদের ঝলকিত রক্তের বুঁদবুদ।

চিরচরিত সেই প্রেম, যা ছাড়া মানব সমাজ অচল লেখক তা ফুঁটিয়ে তুলতে দ্বিধা বোধ করেন নি। ষোড়শীর সেই কঠোর মনেও যে হৈমের মত ঘর সংসার করার প্রয়াস তা তিনি তুলে ধরেছেন। জীবনানন্দের শেষের মুহুর্তের আগমন পাঠকে চঞ্চল করে কী হবে জানার জন্য। পাঠককে তিনি ভাবতে সহজ করে দিয়েছেন, ষোড়শীর আগমন।

সারর্মম হল, একজন দেবীর ভৈরবীকে জমিদার তুলে নিয়ে যায় খাজনা দিবে না বলায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে ভৈরবী জানতে পারে জমিদার তার স্বামী। তার মা ছোটবেলায় জমিদারের হাতেই তাকে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু জমিদার তুলে আনায় সমাজ তাকে নষ্টা বলে অপবাদ দিতে থাকে। তার হাতে পূর্জা দেওয়ার ভার কেঁড়ে ন্যায়। কিন্তু সে অচল, কারো কাছে তার কোন অভিযোগ নেই। সে যেন মুক্ত পাখির মত সব ছেড়ে দিয়ে সকল অপবাদ থেকে দূরে যেতে চায়। জমিদারকে সে দিয়ে যায় আত্মগ্লানি আর ভালো থাকার উপকরণ। প্রজাপীড়িত জমিদার হয়ে যায়, মানুষের প্রতিধ্বনি। সে কেবল প্রেমের আর্দশে।
Profile Image for Anonna.
4 reviews
October 3, 2024
শরৎ! এবারও আমি হারলুম! ভেবেছিলাম ওনার যেক'টি মাত্র লেখা এ পর্যন্ত পড়েছি তার মধ্যে এটি আশানুরূপ হবে না এবং আশাহত হলেও এই একটিবার যে ওনার লেখা মন কাড়ে নি তা সগর্বে প্রচার করে (3/4 star দিয়ে) জয়ী হতে পারবো। আসলে ব্যাপারটা হলো ওনার বই ধরলে শেষ না করে উঠতে পারি না। এবার এক বসায় শেষ না হলেও মোটামুটি একদিনে শেষ হয়েছে বলা যায়।

শুরুর দিকে গল্প যেভাবে এগিয়েছে তাতে বেশ আগ্রহ পাওয়া যায়। তারপর কিছুটা পড়ে একটা পর্যায়ে গিয়ে আগ্রহ কমে যাচ্ছিলো। মনে হচ্ছিল যেমনটা ভাবছিলাম তেমন অসাধারণ সৃষ্টি নাও হতে পারে। কিন্তু ক্রমেই তা ভুল প্রমাণিত হলো। বুঝতে পারছিলাম এটাও তার এক অনবদ্য সৃষ্টি! কিন্তু শেষটা! আহা! মাখন! কি অসাধারণ চরিত্রের রদবদল। তাছাড়া কিছু ঘটনাপ্রবাহ আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। সাবলীল অথচ বুদ্ধিদীপ্ত কথোপকথনে অসম্ভব রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হয়েছে বলবো।

এক বলিষ্ঠ নারী চরিত্রকে (যাকে কখনো গলানো যায় না, লেখা অনুসারে তিনি পাথর, তাকে ভেঙে গুড়ো করা যাবে তবু গলিয়ে অন্যরূপ দান করা অসম্ভব) যর্থাথ মূল্যায়ণ ও ভালোবাসায় কোমল হতে দেখেছি,
অন্যদিকে এই একই ভালোবাসার হেতু এক কুচ্ছিত ব্যক্তিত্বকে অতিশয় সুন্দর বলিষ্ঠ হয়ে উঠতে দেখেছি। Highly recommended.
49 reviews
April 23, 2024
সুখপাঠ্য।
অসম্ভব রকমের ভালো চরিত্রায়ণ। অতি সূক্ষ্ম ভাবে ব্রিটিশ ভারতের পল্লীরূপ ও সমাজ দেখিয়েছেন লেখক।
ষোড়শী এক মন্দিরের ভৈরবী। তার গ্রামে হঠাৎ জীবনাননদের আগমন হয়, যে কিনা অত্যাচারী, খুনী , ধর্ষক। তারপর নানা কাহিনী চলতে থাকে। বলিউডের কিছু পিরিয়ডিক রোমান্টিক সিনেমা আছে না যেগুলো এমনই কাহিনী হয়। সেরকমই। অর্থাৎ খুবই বিনোদন পাওয়া যায়।
তবে শরৎচন্দ্রের সেই পুরোনো কিছু দোষ। অর্থাৎ প্রচ্ছন্ন পুরুষতান্ত্রিকতা। স্বামী খুনী, অত্যাচারী হলেও দেবতা ইত্যাদি ইত্যাদি। হয়ত সেই সময় এরকম অনেকেই ভাবত। তবে রবীন্দ্রনাথ, বিভূতি সহ আরো অনেকে ভাবেন নি। তাই বেশ কিছু বিষয় একটু মানতে কষ্ট হয়। তাছাড়া মাঝের দিকে একটু বড় মনে হলো।
৪/৫
Profile Image for Kaushik Mandal.
44 reviews
August 10, 2024
"জীবানন্দ মুচকিয়া হাসিয়া কহিল, চিকিৎসক কি জাল করার বিষে খুন করার ব্যবস্থা দেবেন? নির্মলের মুখ রাঙ্গা হইয়া উঠিল। কহিল, জানেন ত, অনেক সময় ওষুধের নাম করলে আর খাটে না! সে যাই হোক, আপনি জমিদার, ব্রাহ্মণ, বয়সে বড়, আপনাকে শক্ত কথা বলবার ইচ্ছে আমার নেই। কিংবা হঠাৎ কি কারণে আপনার ধর্ম- জ্ঞান এরূপ প্রচণ্ড হয়ে উঠল তাও জানবার কৌতূহল নেই, কিন্তু একটা কথা বলে যাই যে, এ জিনিস আপনার স্বাভাবিক নয়। গভর্নমেন্ট যদি প্রসিকিউট করে ত জেলের মধ্যে একদিন তা উপলব্ধি করবেন। আপনি সর্পকে রজ্জু বলে ভ্রম করচেন। জীবানন্দ কহিল, এ কথা আপনার সত্য, কিন্তু ভ্রম যতক্ষণ আছে ততক্ষণ রজ্জুটাই ত আমার সত্য!"
-দেনা পাওনা
Profile Image for A.H. Anha.
53 reviews3 followers
June 11, 2025
গল্পটা ছোট, কিন্তু যে তিক্ততা, সামাজিক বাস্তবতা আর নিঃশব্দ প্রতিবাদ এতে আছে, সেটা সহজে ভোলার নয়। রমেশ আর রমা—দুজনেই নিজের মতো করে সঠিক, অথচ মাঝখানে যে অবিশ্বাস, সম্মানহানি আর সমাজের চাপ, সেটা যেন নিঃশব্দে একটা সম্পর্ককে ভেঙে দেয়।

রমা চরিত্রটা খুব তীব্র লেগেছে—যে চুপ থেকেও কথা বলে। গল্পটা শেষে একটা খচখচে অনুভব রেখে যায়, যেন কিছুই ঠিকঠাক হলো না, তবু সেটাই সবচেয়ে সত্যি।

ভাষা একদম স্বচ্ছ, শরৎচন্দ্রের লেখা বলেই গভীরতা সহজভাবে প্রকাশ পেয়েছে। ছোট গল্প, কিন্তু ভেতরে অনেক কথা জমে আছে।
Profile Image for John Milton.
25 reviews3 followers
May 27, 2021
নিজের মন যার পরের হাতে চলে যায়, সংসারে তার চেয়ে নিরুপায় বুঝি আর কেউ নেই 😅
Profile Image for Md. Islam.
6 reviews3 followers
July 5, 2021
'অলকা' শরৎচন্দ্রের তৈরি এক বিস্ময়!!
Profile Image for Rik Roy.
4 reviews
August 28, 2024
The book was kind of okayish in the first half, but then it took a breathtaking turn.😶 But I think it could have been slightly better the opposite male character wasn't enough justified.
Profile Image for Masudur Tipu.
125 reviews2 followers
October 17, 2024
বছরে একটা শরত উপন্যাস পড়া উচিত। অনূভুতি গুলো তাহলে জীবিত হবে মাঝে মাঝে!
Profile Image for sabila.
14 reviews
December 12, 2025
I HATE THAT MAN. Like he did everything he could to make oloka’s life miserable and she still ended up with him. The whole time i was like “girl STAND UP”
32 reviews2 followers
November 12, 2025
উপন্যাসটা পড়ার পর একটাই রিয়ালাইজেশন এসেছিল।
একজন নারীর জন্য যে জগৎ সংসারে কত কী ঘটে যায়(শরৎচন্দ্রর উপন্যাস পড়লেই সবচেয়ে ভালো টের পাওয়া যায়)
Profile Image for Aurora.
98 reviews35 followers
August 29, 2019
এই বইটা যে এ পর্যন্ত কতবার পড়েছি নিজেও জানিনা। এখনো পড়তে ইচ্ছা করে।
Profile Image for Nafisa Anjum.
226 reviews13 followers
March 19, 2024
চিরচরিত সেই প্রেম, যা ছাড়া মানব সমাজ অচল লেখক তা ফুঁটিয়ে তুলতে দ্বিধা বোধ করেন নি। বইটি নির্দ্বিধায় অসম্ভব সুন্দর এবং যে বাস্তবতা লেখক দেখিয়েছেন তাও প্রশংসনীয়
Displaying 1 - 29 of 29 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.