Jump to ratings and reviews
Rate this book

विराज बहू

Rate this book
The Story tells about poor Nilambhar Chakravorty who lives in a joint family with his married brother Pitambar , unmarried sister Punnu and wife Biraj . He arranges her sister's marriage and borrows some money but his brother refuse to give any expense and he separates from them. Nilambher unable to find employment and he is unable to pay back the loan. Now he and his wife are in critical situations. In the meantime the contractor Deodhar has his eye on Biraj's beauty. Later, Nilambhar goes to a nearby town for two days. On his return rumors are rife that Biraj was seen near Deodhar's place. Biraj refuses to explain herself and is thus evicted. The question remains why she refused to explain to Nilambher?

168 pages, Paperback

First published January 1, 1914

43 people are currently reading
390 people want to read

About the author

Sarat Chandra Chattopadhyay

260 books931 followers
Complete works of Sarat Chandra (শরৎ রচনাবলী) is now available in this third party website:
http://sarat-rachanabali.becs.ac.in/i...

Sarat Chandra Chattopadhyay (also spelt Saratchandra) (Bengali: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) was a legendary Bengali novelist from India. He was one of the most popular Bengali novelists of the early 20th century.

His childhood and youth were spent in dire poverty as his father, Motilal Chattopadhyay, was an idler and dreamer and gave little security to his five children. Saratchandra received very little formal education but inherited something valuable from his father—his imagination and love of literature.

He started writing in his early teens and two stories written then have survived—‘Korel’ and ‘Kashinath’. Saratchandra came to maturity at a time when the national movement was gaining momentum together with an awakening of social consciousness.

Much of his writing bears the mark of the resultant turbulence of society. A prolific writer, he found the novel an apt medium for depicting this and, in his hands, it became a powerful weapon of social and political reform.

Sensitive and daring, his novels captivated the hearts and minds of thousands of readers not only in Bengal but all over India.

Some of his best known novels are Palli Samaj (1916), Charitraheen (1917), Devdas (1917), Nishkriti (1917), Srikanta in four parts (1917, 1918, 1927 and 1933), Griha Daha (1920), Sesh Prasna (1929) and Sesher Parichay published posthumously (1939).

"My literary debt is not limited to my predecessors only. I'm forever indebted to the deprived, ordinary people who give this world everything they have and yet receive nothing in return, to the weak and oppressed people whose tears nobody bothers to notice and to the endlessly hassled, distressed (weighed down by life) and helpless people who don't even have a moment to think that: despite having everything, they have right to nothing. They made me start to speak. They inspired me to take up their case and plead for them. I have witnessed endless injustice to these people, unfair intolerable indiscriminate justice. It's true that springs do come to this world for some - full of beauty and wealth - with its sweet smelling breeze perfumed with newly bloomed flowers and spiced with cuckoo's song, but such good things remained well outside the sphere where my sight remained imprisoned. This poverty abounds in my writings."

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
209 (27%)
4 stars
314 (40%)
3 stars
188 (24%)
2 stars
43 (5%)
1 star
13 (1%)
Displaying 1 - 30 of 32 reviews
Profile Image for Sehemi Akhi.
65 reviews2 followers
July 29, 2021
শরৎ বাবুর লেখার ধরন আসলে আপনাকে অন্য জগতে নিয়ে যেতে বাধ্য। প্রতিবার তার লেখা পড়লে মনে হয় দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভাসছে। আমি সাধারণত সাধু ভাষার লেখাগুলো এভয়েড করি কারণ মাঝে মাঝে কিছু লেখা বুঝে উঠতে পারিনা। তবে যেটা পড়ি সেটা অনেক সময় নিয়ে পড়ি। এবারও এই লেখা সময় নিয়ে পড়েছি যেখানে এই গল্পটি পড়তে তেমন সময় লাগার কথা নয়। কিছু পৃষ্ঠার গল্প ছিল তবে এতটুকুই একজন নারীর ভাব মূর্তি উপলব্ধি করাতে যথেষ্ট।

বিরাজ সতীলক্ষী নারী, সংসারে তার স্বামী নীলাম্বরকে সে বরই ভক্তি করে। তার বিশ্বাস একজন সতী সাব্ধী নারীর শেষ সময়ের ঠাই তার স্বামীর পায়েই হয়। সে সেই আশাতেই জীবন কাটাচ্ছিল যেন। প্রচন্ড ভালবাসতো নীলাম্বরকে সে। নীলাম্বরের বোন হরিমতির বিয়ের পর জামাইয়ের খরচ জোগাতে গিয়ে যে অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল নীলাম্বর সেই অবস্থায় তার মুখের দিকে তাকাতে পারতো না বিরাজ। ৯ বছর বয়সে নীলাম্বরের সংসারে আসে সে। শাশুড়ী ছেড়ে যাবার আগে সব তার হাতে দিয়ে যায়।তখন থেকে দুটি হাতে সামলাচ্ছিল সে। প্রখর তার ধ্যান ধারণা। এই বিরাজ বৌয়ের জীবনে কি ঘটলো হরিমতির বিয়ের পর, কিভাবে তার দিন আগাচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত তার কি হলো এ-ই হলো গল্পটির প্রতিপাদ্য বিষয়।

বইটি পড়ার পর সাথে সাথেই আমি এই নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি দেখে ফেলেছি। উত্তম কুমার আর মাধবী মুখোপাধ্যায়ের। যদিও দুটোর ক্লাইম্যাক্স ভিন্ন ছিল, তথাপি উত্তম আর মাধবী ছিলেন বলেই সিনেমার সৌন্দর্য আর অনুভূতি বেড়ে গেছিলো। বই পড়ার আগে কাউকে সিনেমা দেখতে বলব না। বইটি পড়ুন, তারপরেই সিনেমা দেখুন।
Profile Image for Sharika.
358 reviews95 followers
April 17, 2020
বিরাজ যখন নীলাম্বরের ঘরে বউ হয়ে আসে তখন সে ছোট্টটি। তাই তাকে ডাকা হতো বিরাজ-বৌ বলে। ছোটবেলা থেকে স্বামীর চোখের সামনেই সে মানুষ হয়েছে বলা যায়। তাই হয়তো সেই মানুষটিকে ছাড়া কিছুই বুঝে না সে। জগতের প্রতি চরম উদাসীন ধরণের একজন লোক নীলাম্বর। সংসারে যেন সে থেকেও নেই। উপার্জন নিয়ে মাথা ঘামানো নেই। এদিকে নেশায় ঠিক আসক্তি আছে। কিন্তু সেই মানুষটিকেই যে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে বিরাজ। তার এতটুকু কষ্ট সহ্য করতে পারে না।

যতোটুকুও বা সহায়-সম্বল ছিল সবটা দিয়ে ছোট বোনকে বিয়ে দেবার পর আরো নিঃস্ব হয়ে পড়লো নীলাম্বরের সংসার। ছোট ভাই পীতাম্বর বউ মোহিনীকে নিয়ে আলাদা হয়ে গিয়েছে। তার নিজের অবস্থা বেশ ভালো হলেও ভাইয়ের দিকে চেয়ে দেখে না সে। শ্রদ্ধা-সম্মানও বিশেষ নেই। ক্রমাগত অবস্থা খারাপ হতে থাকলো নীলাম্বরের সংসারের। দু'বেলা দু'মুঠো ভাত জোগাড় করতে হিমশিম খেতে লাগলো বিরাজ। কিন্তু কি-ই বা করার আছে তার, নিজে মাথা পেতে সবটা দুঃখ-কষ্ট নিয়েই অভ্যস্ত সে। ভাগ্য কোথায় নিয়ে ঠেকাবে তাকে?

পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ

স্পয়লার
.
.
.
.
.
.
.
.
.
এই বই শেষ করে শরৎবাবুর উপর প্রচণ্ড রাগ হয়েছে। এই লোকটা পাঠকদেরকে এতো কষ্ট দিতে ভালোবাসতেন কেন? সব প্রিয় চরিত্রগুলো মারা যায় সব গল্পে। তার কতো উপন্যাস পড়ে যে আমি চোখের জল খরচ করেছি হিসাব নেই। শরৎবাবুর প্রায় সব লেখাতেই দুঃখ দেখতে দেখতে ক্লান্ত হবার পর গতদিন "দত্তা" পড়ে খুব খুশি হয়ে গিয়েছিলাম। খুশিমনটা আবার দমে গেলো। কিন্তু তারপরেও বলতে হয়, "এমন করে আর কে লিখতে পারে?" 💔
Profile Image for Shawon Singha.
6 reviews1 follower
June 23, 2020
গ্রামবাংলার চিরচেনা স্বামীস্ত্রীর মান অভিমানের সাথে দারিদ্রতার সংসার
Profile Image for Mashaekh Hassan.
162 reviews28 followers
April 10, 2020
ব্যাক্তিগত ভাবে আমার কাছে মনে হয় যে বাংলা সাহিত্যের মেরুদণ্ডহীন কিন্তু সামাজিকভাবে নিষ্পাপ পুরুষ চরিত্র সৃজনের ক্ষেত্রে শরৎবাবুর তুলনা মেলা ভার। (আমি পাইনি)।

একই সমান্তরালে আবার নারী চরিত্র টি বাস্তবিক ভাবেই নিষ্পাপ হয় কিন্তু অপরাধবোধ যেন তার ২য় সবচেয়ে দামী অলংকার (সবচেয়ে বেশি দামী হচ্ছে তার স্বামী)।

উনার লেখনী দ্বারা উনি যেভাবে চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন তাতে আমার অপছন্দের ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষগুলোর ব্যাপারে জানানোর সময় যে চোখ কুঁচকে গেলো, আমার মতে, তাতেই উনার সফলতা।

আর এটা তো ছোটগল্পের মতোই ছিলো তাই এক নিঃশ্বাসেই শেষ করলাম। দম যে বন্ধ হয়ে আসেনি, আমি তাতেই খুশি।
Profile Image for Sajid.
457 reviews110 followers
August 8, 2019
শুরুর দিকে অনেকটা আকৃষ্ট হলেও,মাঝখানে সমস্ত প্লটটাই আমার কাছে মনে হয় যে,জোর জবরদস্তি করে অযথা কিছু ছেলেভোলানো কান্ড তুলে ধরেছেন। শুধু যে গল্পের মধ্যে বেশিরকম আবেগ জড়ো করলেই গল্প ভালো হয়ে যায় এটি একটি ভুল ধারনা–যার উদাহরণ এই উপন্যাসটিই।আমার কাছে উপন্যাসের মূল বিষয়টা নিতান্তই অযৌক্তিক মনে হয়েছে।একজন মানুষের ভুল বিশ্বাসের ওপরই যদি সমস্ত প্লট নির্ভর করে ,তখন ভালো না লাগাটাই স্বাভাবিক।
এই উপন্যাসে কেবল স্বামী-স্বামীর মধুর আলাপ ও কিছু কথোপকথন ব্যাতিত আমার কাছে কিছুই মানসম্মত মনে হয়নি।
1 review
Read
June 16, 2022
কেমন লাগছে ক্লিয়ার না। শরৎ বাবু মেয়েদের কষ্ট দিয়ে মহান বানানোর চেষ্টা কেন করলেন? কেন দেখালেন না, ঐ রাতে বিরাজ নৌকা থেকে লাফ দেয়নি। বরং পালিয়ে গিয়ে জমিদারণীর মত গয়না, দাস-দাসী মোরা জিবন যাপন করছে। একটু নাটকীয়তা রাখতে তার "সতী" ধর্ম রাজার ছেলের পায়ে বিসর্জন দেয়নি,সে তাকে সাহায্য করেছে দাড়াতে - এমন কিছু লিখা যেত! শরৎ বাবুর বুকের পাটা ছিলো না এতো
Profile Image for Nusrat Mahmood.
594 reviews737 followers
October 19, 2020
বিরাজ বৌ এর জন্য মনটা পুড়ে। তবে গল্পের আঝে এসে মন কেড়ে নিল বিরাজের জা ছোট বউ মোহিনী। এমন কিছু গল উপন্যাস না খুব দাগ কাটে। প্রটাগনিস্ট কে ছেড়ে সাইড ক্যারেক্টারের প্রতি মুগ্ধতা জড়িয়ে বই পড়ি অথচ তাকে জানান পিপাসা মেটাবার উপায় লেখক দেননি। কারণ সে যে প্রধান চরিত্র নয়।
Profile Image for Anindita Paul.
14 reviews
September 16, 2022
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মানেই 'আবেগ', আমার কাছে। বিরাজ বৌ আমার প্রথম পঠিত একটি উপন্যাস শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের। খুব আবেগপূর্ণ ছিলো উপন্যাসটি।
Profile Image for Rudra .
18 reviews
June 17, 2025
पुस्तक - बिराज बहु
लेखक - शरदचंद्र चटोपाध्याय
प्रकाशन वर्ष - १९१४ (बंगला)


उपन्यास का कथा स्थान है हुबली जिले का सप्तग्राम जहां निवास करते हैं दो भाई नीलांबर और पीतांबर ।
नीलांबर असाधारण व्यक्तित्व का धनी हैं वह मुर्दा जलाने, कीर्तन करने और ढोल बजाने में बेजोड़ था अपने गांव में वह परोपकार के लिए प्रसिद्ध और गंवारपन के लिए बदनाम था। छोटा भाई पीतांबर को दुनियादारी से ज्यादा मतलब नहीं, और बेहद गुस्सैल प्रकृति का व्यक्ति था। वह अदालत जाता अर्जियां लिखता और जो कुछ कमाता घर आकर संदूक में बंद कर देता।
शरदचंद्र की उपन्यास 'बिराज बहु' की नायिका और मुख्य भूमिका ब्रजरानी की हैं
जिनकी शादी ९ वर्ष के अवस्था में नीलांबर से हो जाती हैं दंपति की कोई संतान नहीं हैं जो कुछ हैं इनकी छोटी बहन हरिमती (पुंटी)है जिसे नीलांबर की मां तीन वर्ष की अवस्था में सात वर्ष पूर्व छोड़ कर स्वर्ग सिधार गई थी।
बहन हरिमती के विवाह के पश्चात ब्रजरानी और नीलांबर के साधारण दांपत्य जीवन में असाधारण परिवर्तन हो जाता हैं जो कथा को भावुकता से आगे बढ़ाती हैं
नीलांबर के घर गृहस्थी का सारा दारोमदार बिराज बहु पर था। बिराज बहु ने घर की जिम्मेदारी दस वर्ष की अवस्था में ही संभाल ली थी आज उसकी उम्र उन्नीस वर्ष है ।
कई बार बिराज बहु के मुख से असंतोषजनक और हृदयभेदक शब्द का निकल जाना और नीलांबर का दुःखी हो कर उसके तरफ से मुंह मोड़ लेना उपन्यास को नीरव दुःख और उदासी की तरफ मोड़ देता हैं।
ब्रजरानी और नीलांबर का प्रेम संपूर्ण उपन्यास में अलग- अलग रूप (विश्वास, त्याग, मोह इत्यादि)में दिखाई देते हैं।
दुःखो के पलड़े में घिरे बिराज बहु को सखी के रूप में मोहिनी (छोटी बहु)(देवरानी) मिली। दोनों सगी बहनो के तरह सुख - दुख साझा करती हैं।
उपन्यास जैसे - जैसे आगे बढ़ेगा यह अबूझ मोड़ो पर पहुंचते हुए आपके हृदय के मर्म को स्पर्श कर जाएगा।
शरदचंद्र जी की भाषा सरस,सरल और प्रवाहपूर्ण हैं उपन्यास में कही (पात्रों और कहानी)भी जटिलता ना लाने का प्रयास किया गया हैं। बंगाली समाज को केंद्र में रख कर लिखी गई यह उपन्यास पुरुषों और स्त्रियों के प्रत्येक चरित्रों को वास्तविकता से दर्शाया हैं।
उपन्यास लिखते समय बंगाल के छोटे गांव में जो भी जातीय या सामाजिक परिवेश रहा होगा उसका चित्रण बखूबी किया गया हैं।

हम सबने अपने जीवन में कई रिश्तों को कच्चे या पक्के तौर पर निभाया या जिया होगा यह उपन्यास हमें रिश्तों के मजबूती- कमजोरी, प्रेम, सहानुभूति,कुंठा और निराशा का सही अर्थ बतलाता हैं।







Profile Image for Al Amin Sarker.
45 reviews1 follower
July 20, 2022
#spoiler allert

"বিরাজ বৌ উপন্যাসের শেষটা দেবদাস উপন্যাসের ফিমেল ভার্সন বলা যায়।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হলো বিরাজ-নীলাম্বর, মোহিনী-পিতাম্বর ও পুটি। নীলাম্বর বড় ও পিতাম্বর ছোট তারা দুই সহোদর এবং তাদের স্ত্রী হলেন বিরাজ ও মোহিনী, আর হরিমতি/পুটি হলো তাদের আদরের ছোট বোন।
মাত্র ৯ বছর বয়সে বিয়ে হয় ছোটবেলায় যার সাথে খেলা ঝগড়া মারামরি খুনসুটি সবই হয়েছে সেই নীলাম্বরের সহিত। সংসার জীবনে তাদের সুখের অন্ত ছিল না কিন্তু ধীরে ধীরে সুখের সংসারে অশান্তি বাড়তেই থাকে। পুটির বিয়ের পণ বাবদ ভগ্নিপতির ডাক্তারি পড়ার খরচ দিতে দিতে সোনার সংসারে অভাব এসে ছিন্ন-ভিন্ন করে দিতে থাকে। একসময় বিরাজ মাটির ছাচ বানিয়ে বিক্রি করে সংসার চালাতে থাকে। স্বামী এবং স্ত্রীর ভালাবাসার এক সুনিপুন বন্ধন অভাব এসে ভাঙন ধরাতে শুরু করে। বিরাজের শেষ ইচ্ছে ছিল স্বামীর কোলে মাথা রেখে মরতে যেন পারে। কিন্তু একদিন স্বামীর দেয়া মিথ্যে/ভুল অপবাদে রক্তাত্ত ও অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে জমিদারের নৌকায় উঠে আবার চেতনা ফিরে পেলে নদীতে ঝাপিয়ে পরে। নদী থেকে কিভাবে হাসপাতালে যায় কিছু মনে পড়ে না বিরাজের, এদিকে নীলাম্বর সবাই প্রথমে মনে করে বিরাজ নদীতে আত্মহত্যা করেছে কিন্তু সুন্দরী নামের দাসী শুধুমাত্র নীলাম্বরকে জানিয়ে যায় সে নিজে জমিদারের নৌকায় দিয়ে এসেছিল।
হাসাপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়ে পথে পথে ভিক্ষা করে চলতে থাকে বিরাজ। এদিকে ভেঙে পরা নীলাম্বরকে নিয়ে বোন পুটি বিভিন্ন জায়গায় হাওয়া বদল করে বেড়ায়। কিন্তু হাওয়া বদলেও কোন অগ্রগতি না হওয়ায় বাড়ির পথে রওনা হয় তারা এবং সহসাই পথে বিরাজের দেখা হয়ে যায়। অসুস্থ বিরাজকে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে নীলাম্বরের কোলে মাথা রেখে মৃত্যুবরণ করে বিরাজ।
©Al Amin Sarker
"
Profile Image for Nurul Huda.
194 reviews5 followers
July 19, 2023
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস বিরাজ বৌ ১৯১৪ সালে প্রকাশিত হয়৷ একই নামে উত্তম কুমারের অভিনীত চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭২ সালে।

কাহিনী সংক্ষেপঃ
হুগলি জেলার সপ্তগ্রামের দুই ভাই নীলাম্বর ও পীতাম্বর। পিতা মৃত্যুর পর দুইভাইয়ে সম্পত্তি ভাগাভাগি করে বাড়ির মাঝখানে পাঁচিল তুলেছে পীতাম্বর। একমাত্র বোন হরিমতির (ডাকনাম পুঁটি) দেখাশুনা দায়িত্ব নেয় নীলাম্বর। নীলাম্বরের স্ত্রী বিরাজ সবাই তাকে বিরাজ বৌ ডাকে। নীলাম্বর মড়া পোড়াইতে, কীর্তন গাহিতে, খোল বাজাইতে এবং গাঁজা খাইতে পারদর্শী। কাজের কাজ কিছুই করিত না৷

পীতাম্বরের স্ত্রী মোহিনী। পীতাম্বর সংসারী, হুগলির আদালতে আর্জি লিখিয়া উপার্জন করিত।

হরিমতির বিয়ে দিতে এবং তার স্বামী যতীনের ডাক্তারী পড়াশোনার খরচ জোগাতে নীলাম্বরকে বিষয়সম্পত্তি-জমিজমা সব বন্ধক রাখতে হয়। কিন্তু বিরাজের পরামর্শ সত্ত্বেও মমতাবশত পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করতে রাজি হলেন না।

অন্যদিকে, গ্রামের নতুন জমিদার রাজেন্দ্রকুমার বিরাজের প্রতি আকৃষ্ট হলেন। তিনি বিরাজকে দেখার জন্য মাছ ধরার অছিলায় পুকুরে ছিপ ফেলে বসে থাকতেন। একদিন স্নান করতে গিয়ে ঘাটে রাজেন্দ্রকুমারকে দেখে বিরাজ তাঁকে খুব অপমান করলেন। সেরাতে চাল ধার করতে বেরিয়ে গাঁজাখোর স্বামীর সন্দেহভাজন হয়ে স্বামীর ছোঁড়া পানের ডিবেয় আহত হলেন বিরাজ। অপমানিতা হয়ে গৃহত্যাগ করে বিরাজ উঠলেন জমিদারের বজরায়। কিন্তু সেখানে বিপদ বুঝে গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন বিরাজ বৌ।.....

উপন্যাসের প্রথমের নীলাম্বর হরিমতি এবং বিরাজ বৌ এর পারস্পরিক ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে৷ কিন্তু হরিমতির বিয়ে দিয়ে ঋণে পড়লে নীলাম্বর - বিরাজ বৌয়ের সংসারে অশান্তির ঝান্ডা শুরু হয়। বিরাজ বৌ স্বামীর প্রতি অনেক শ্রদ্ধাশীল এবং ভালোবাসতেন।
__

বিরাজ বৌ
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
পৃষ্ঠা : ৬২
পার্সোনাল রেটিং : ৮/১০

#bookreview2022
Profile Image for Rudro.
37 reviews2 followers
February 24, 2025
আমার পড়া সেরা বইগুলোর একটি। অর্থের অভাব থেকে সাংসারিক টানাপোড়েন তারপর বিচ্ছেদ! এরপরে মিলন হবে কিনা তা জানতে উপন্যাসটা পড়তে হবে।
বিরাজবৌ এর মধ্যে কেন জানি আমার মায়ের ছাপ খুৃজে পেয়েছি। সতীর আরেকটা সংজ্ঞা বিরাজবৌ। চরিত্রটি তো আবহমান বাংলার সব নারীর ছাপ দেওয়া। শেষের পরিণতিটা আমার চোখে জল এনে দিয়েছিল।

প্রধান চরিত্র: বির���জ, নীলাম্বর
প্রিয় চরিত্র: মোহিনী
Profile Image for Farhina Jannat.
114 reviews12 followers
June 20, 2020
কিছু বলার ভাষা নেই। হৃদয়টা কুচিকুচি হয়ে গেল।
2 reviews
July 15, 2021
So dramatic
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Rajaram.
3 reviews
January 22, 2023
সেই কাল আর এই কাল অনেক তফাৎ। 😢
63 reviews7 followers
July 28, 2025
A piece of literature that captures how women suffered because of men's decisions, and yet were the ones called guilty.

There, that's the spoiler!
This entire review has been hidden because of spoilers.
18 reviews
November 26, 2025
Done!!!💔💔💔শরৎচন্দ্র এখনো কাঁদান। এমন শৈল্পিক লেখনীতে খর - বাস্তবতায় আর্দ্র কথকতা আর কে শোনাতে পারে। ✨✨✨
Profile Image for Fahad Ahammed.
386 reviews44 followers
December 29, 2018
অপরের জন্য নিজেকে বিসর্জন দিয়া প্রয়োজনের সময় অপর কে নিজের দুঃখের ভাগিদার করিতে পৃথিবীতে কেউ পারিয়াছে কিনা আমার জানা নাই কিন্তু আমি এখনো এমন উদাহরণ প্রত্যক্ষ করিয়া উঠিতে পারিনাই। যাহাই হোক আমার কথা রাখিয়া এইবার একটু শরৎ লইয়া আলোচনা করিবো.......

শরৎ বাবুর যত গুলো উপন্যাস এখনো পড়িয়াছি একখানা বিষয় পরিলক্ষিত হইয়াছে যে, তিনি প্রতি বারই উপন্যাসগুলোতে নতুন নতুন চরিত্রের সঙ্গে পরিচয় করাইয়া দিয়াছেন। কিন্তু বিরাজ বৌ তে একটু ভিন্নতা লক্ষ্য করিলাম সম্পুর্ন উপন্যাস খানা একটা পরিবার কে ঘিরিয়া তুলিয়া ধরিয়াছেন। 
একখানা সুন্দর সাজানো সংসার। যে সংসারের সদস্য মাত্র ৫ জন। বিরাজ এই সংসারের বড় বৌ, খুব ছোট বয়সে বৌ হইয়া আসিয়াছিলো এই সংসারের তাই সকলেই সাধ করিয়া তাহাকে "বিরাজ বৌ" বলিয়া ডাকিত। সুখ সাচ্ছন্দ্যের অভাব ছিলোনা এই সংসারে। কিন্তু বিধি বৈরি হইলে কাহার সাধ্য সে সুখ হস্তগত করিয়া রাখে। পতিব্রতা স্ত্রী বেহুলা যেমন সতিত্বের জোরে মৃত স্বামীর প্রাণ ফিরাইয়া আনিয়াছিলো। তেমন বিরাজ বৌ সতিত্বের দোহায় দিয়া পতির চরনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করিতে চাহিয়াছিল । এই ভালবাসা যে অভাবে পড়িয়া একদিন ধুলায় লুটাইয়া যাইবে ইহা কি সত্যই ভাবা যায়। অপরের দুঃখে নিজেকে বিলাইয়া দিয়াছিলো যে তাহার দুঃখে আপন ভ্রাতা যে পর হইতে পারে ইহাও কি ভাবা যায়। কথায় বলিয়া থাকে "মরার উপর খারার ঘা"। দুঃখের মধ্যে পড়িয়া বাচিয়া থাকার স্বাধটুকু যখন মিলিয়া গিয়াছে তখন জমিদার পুত্রের নজর পরিয়া গেলো বিরাজ বৌয়ের উপর। শেষ পর্যন্ত দেশ ছাড়িয়া পলায়ন করিতে হয় বিরাজ বৌ কে। কি ঘটিয়াছিলো বিরাজ বৌয়ের অদৃষ্টে? সে কি ফিরিয়া আসিয়াছিলো? নাকি প্রকৃতির বুকে আশ্রয় লইয়াছিলো? কি হইয়াছিলো তাহার সাধের সংসারের? উত্তর জানিতে হইলে বইটি অবশ্যই পড়িতে হইবে।

উপলব্ধিঃ
মানুষ অতি দুঃখে যখন পাথর হইয়া মরিবার জন্য উদ্ধত হয় তখন মৃত্যুও তাহাকে ত্যাগ করিয়া মুখ ফিরাইয়া লয়। মানুষ বিপদে পড়িলে কাহারো নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতে দ্বিধা বোধ করে করেনা। একজন নিরীহ মানুষের আর্তনাদ ঈশ্বর ব্যতিত আর কেহই বোধ করি শুনিতে চাহেনা তাই ক্ষুদ্র বস্তুর নিকট গিয়াও আশ্রয় খুঁজিয়া লইতে চায়। কিন্তু বিপদ কাটিয়া গেলে তাহার কথা আর মনে রাখে কি? যাহারা মানুষের মূল্য দিতে যানেনা তাহাদের মুখে মুল্য বোধের কথা শুনিতে মধুর হইলেও তাহা জঘন্য। আবার এমন মানুষ কেউ দেখিতে পাই, যাহারা হাসিতে হাসিতে মূল্যবান বস্তুকে পায়ে ঠেলিয়া দেয় কিন্তু তাহারা বুঝিতেও পারেনা কি বস্তু তাহারা হারাইতেছে। শত সাধনার ফলেও এ বস্তু যে আর মিলিবেনা। আর এই সকল নির্বোধেরও একদিন শুভ বুদ্ধির উদয় হয়, ততক্ষনে অনেক দেরি হইয়া যায়।

শরৎ বানীঃ
১. শান্ত নির্বাক ধরিত্রীরর অন্তস্থলে কি আগুন জ্বলে, সে বুঝিবার ক্ষমতা তুই কোথায় পাইবি!

২. কিসের মধ্যে যে কি লুকানো থাকে তা কেহই জানেনা।

৩. খোলস লইয়া খেলা করা চলে, কিন্তু জীবন্ত বিষধর মানুষের ক্রীড়ার সামগ্রী নয়।

©Rimon
Profile Image for Rini  অন্বেষা .
206 reviews4 followers
May 17, 2024
বিরাজ যখন নীলাম্বরের ঘরে বউ হয়ে আসে তখন সে ছোট্টটি, তাই তাকে বিরাজ বউ বলে ডাকা হয়। ছোটবেলা থেকে স্বামীর চোখের সামনেই মানুষ হয়েছে, তাই স্বামী ছাড়া কিছুই বোঝে না সে।

জগতের প্রতি চরম উদাসীন প্রকৃতির একজন লোক নীলাম্বর, পরোপকারী বলে খ্যাতি যেমন আছে তেমনই গোয়ার বলে অখ্যাতিও আছে একটা। সংসারে তার মন নেই, থেকেও যেন না থাকার মতন, উপার্জন নিয়েও কোনো মাথা ব্যাথা নেই... অথচ নেশায় ভীষণ আসক্তি তার। কিন্তু এই মানুষটিকেই বিরাজ প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে, এতটুকু কষ্ট সে সহ্য করতে পারে না।
যতটা সয়-সম্পত্তি জমি-জমা ছিল সবটা দিয়ে ছোট বোনকে বিয়ে দেওয়ার পর নিঃস্ব হয়ে পরে নীলম্বর। ছোটভাই পীতাম্বরের অবস্থা ভালো হওয়া সত্ত্বেও বিয়েতে একটুও সাহায্য করেনি এবং বিয়ের আগেই বিষয়-সম্পত্তি সব ভাগ করে নিয়ে স্ত্রী মোহিনীকে নিয়ে আলাদা হয়ে গিয়েছে। শ্রদ্ধা-সম্মানও বিশেষ করে না।

ক্রমাগত দুর্দশা হতে থাকলো নীলাম্বরের সংসারের। দু-বেলা দু-মুঠো ভাত জোগাড় করতে হিমশিম খেতে লাগলো নীলাম্বর। এভাবে দুঃখ কষ্ট করেই থাকতে লাগলো সে...... অবশেষে বিরাজ স্বামী নীলাম্বরকে ছেড়ে চলে গেল, কিন্তু তার "স্বামীর পদতলে দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ" করার কামনা পূরণ হলো যখন আবার তাদের সাক্ষাৎকার হলো।

এমন কী হয়েছিল যে বিরাজ তার স্বামী কে ছেড়ে চলে গিয়েছিল?
315 reviews6 followers
February 1, 2017
Biraj Bahu is the story of a pious woman who loves her husband and is dedicated to him. However, they are reduced to wretched means as her husband is without work. Due to endless twists and turns, Biraj eventually leaves her husband but meets him one last time to die at his feet. The story is set in pre-independent India around late 19th century and echoes the ethos of that era.
Profile Image for Atik Rahman.
31 reviews2 followers
January 10, 2016
শরৎচন্দ্রের গল্পে কি কাউকে না কাউকে মরতেই হবে? শুরুতে খুবই সুন্দর শেষে বেদনাদায়ক - ব্যাপারটা বেশি চোখে লেগেছে শরৎচন্দ্রের ক্ষেত্রে। গল্পটা সুন্দর, কিন্তু শেষে গিয়ে বিরাজবৌ যেভাবে স্বামীর কাছে ফিরে আসে তা কেমন যেন অদ্ভুত লেগেছে। মনে হচ্ছে বিচ্ছেদ দিয়েই শেষ করলেই বরং ভাল হত।
Profile Image for Santosh Kashyap.
54 reviews15 followers
May 30, 2012
Beautifully written. There remains no doubt Sarat Babu being a true Feminist with profound understanding of his contemporary lower Middle class Bengali life.
1 review
June 14, 2015
i want to read this book
This entire review has been hidden because of spoilers.
Displaying 1 - 30 of 32 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.