ভাইরাসটির নাম ছিল ইকুয়িনা, বৈজ্ঞানিক পরিভাষা ব্যবহার করে বললে বলতে হয় ইকুয়িনা বি. কিউ. ২৩-৪৯। যে জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ার দীর্ঘদিন গবেষণা করে এই ভাইরাসটি দাঁড়া করিয়েছিলেন ভাইরাসটিকে তার নামে নামকরণ করা হয়েছিল। বিজ্ঞানী ইকুয়িনা কখনো কল্পনাও করেন নি এই ভাইরাসটি ল্যাবরেটরির চার দেয়ালের বাইরে যেতে পারবে-তা হলে তিনি নিশ্চয়ই কিছুতেই নিজের নামটি ব্যবহার করতে দিতেন না। কিন্তু এই ভাইরাসটি ল্যাবরেটরির চার দেয়ালের বাইরে গিয়েছিল, কারো কোনো ভুলের জন্য নয়, কোনো দুর্ঘটনাতেও নয়-এটি বাইরে গিয়েছিল সেনাবাহিনীর নির্দেশে।
Muhammed Zafar Iqbal (Bengali: মুহম্মদ জাফর ইকবাল) is one of the most famous Bangladeshi author of Science-Fiction and Children's Literature ever to grace the Bengali literary community since the country's independence in 1971. He is a professor of Computer Science & Engineering at Shahjalal University of Science and Technology (SUST). Before that, Iqbal worked as a research scientist in Bell Communication Research for six years until 1994.
Birth and Family Background: Iqbal was born on 23 December 1952 in Sylhet. His father, Foyzur Rahman Ahmed, was a police officer. In his childhood, he traveled various part of Bangladesh, because of his father's transferring job. Zafar Iqbal was encouraged by his father for writing at an early life. He wrote his first science fiction work at the age of seven. On 5 May 1971, during the liberation war of Bangladesh, the Pakistan's invading army captured his father and killed him brutally in the bank of a river.
Education: Iqbal passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1968 and HSC exam from Dhaka College in 1970. He earned his BSc in Physics from Dhaka University in 1976. In the same year Iqbal went to University of Washington to obtain his PhD and earned the degree in 1982.
Personal Life: Iqbal married Dr. Yasmeen Haque in 1978. Yasmeen is the Dean of the Life Science Department, Head of the Physics Department, Provost of the Shohid Janoni Jahanara Imam Hall and a researcher at SUST. They have two children - son Nabil and daughter Yeshim. Yeshim translated the book Amar Bondhu Rashed (Rashed, My Friend) written by her father. Iqbal's elder brother, Humayun Ahmed, was the most popular author and film-maker of Bangladesh since its independence. Humayun died after a nine-month struggle against colorectal cancer on the 19 July 2012. His younger brother, Ahsan Habib, is the editor of the satirical magazine, Unmad and one of the most reknowned cartoonist of Bangladesh.
Academic Career: After obtaining PhD degree, Iqbal worked as a post-doctoral researcher at California Institute of Technology (CalTech) from 1983 to 1988. He then joined Bell Communications Research (Bellcore), a separate corporation from the Bell Labs (now Telcordia Technologies), as a Research Scientist. He left the institute in 1994 and joined the faculty of the Department of CSE of SUST.
Literary career: Iqbal started writing stories from a very early age. Iqbal wrote his first short story at the age of seven. While studying in the Dhaka University Iqbal's story Copotronic Bhalobasa was published in a local magazine. But, a number of readers at that time felt that the story was based on a foreign story. To answer this allegation, he later rewrote the story and published the story in collection of stories named Copotronic Sukh Dukkho. Since then he is the most popular writer both in Bengali Science-Fiction and in Juvenile Leterature of the country.
Other Activities and Awards: Zafar Iqbal won the Bangla Academy Award, the highest award in literature in Bangladesh, in 2004. Iqbal also played a leading role in founding Bangladesh Mathematical Olympiad. In 2011 he won Rotary SEED Award for his contribution in field of education.
ইকুয়িনা বি. ২৩-৪৯ একটি ভাইরাস এর নাম।যেটা কিনা ইকুয়িনা নামে পরিচিত। জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ার দীর্ঘদিন গবেষনা করে এই ভাইরাসটি দাড়া করিয়েছিলেন।সেই জন্য তার নামে ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়।বিজ্ঞানী ইকুয়িনা কখনো কল্পনা করেন নি এই ভাইরাসটি ল্যাভরেটরির চার দেওয়াল এর বাইরে যাবে_যদি জানতেন তাহলে তিনি নিশ্চয়ই কিছুতেই নিজের নামটি ব্যবহার করতেন না।একটা ফিল্ড টেষ্ট করতে গিয়ে ইকুয়িনা ভাইরাসটি পৃথিবীতে মুক্ত হয়ে যায়।যার ফলে পৃথিবীর ছয় বিলিওন মানুষ মাত্র দুই মাসের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
কিছু শিশু কিশোর ইকুয়িনা ভাইরাস এর হাত থেকে প্রকৃতিক কোন রহস্যের কারণে বেঁচে যায়।পৃথিবীতে আরো দুই শতাব্দী কেটে যায়। ইকুয়িনা ভাইরাসের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া শিশু কিশোরের বংশধরেরা পৃথিবীতে একটি নতুন সভ্যতার জন্ম দিয়েছে। ভয়াবহ এক ভাইরাসের ধংসযজ্ঞের পর মানব সভ্যতা গড়ে উঠেছে নতুন ভাবে।সেখানে কৌতুহলের কোনো স্থান নেই, নেই জ্ঞান চর্চার সুযোগ। বিভিন্ন কমিউনে বিভক্ত মানুষদের সেখানে নিয়ন্ত্রণ করে এক একজন ঈশ্বর কিংবা ঈশ্বরী।
রিহান নামে সতেরো বছরের এক ছেলে এমনি এক কমিউনে বসবাস করে। সভ্যতার নতুন নিয়ম অনুযায়ী যন্ত্রকে দেবতার মতো পূজা করতে হয়। সম্মান জানাতে হয়। কোনো কৌতূহল প্রকাশ করা যায়না কোনো যন্ত্র সম্পর্কে। কিন্তু রিহান এই নিয়ম ভঙ্গ করে।তার স্বয়ংত্রিয় অস্ত্রটিতে জ্যাম ধরে যায় তাই সে তার স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রটি খুলে পরিষ্কার করে।এমন আরো অনেক নিয়ম সে ভঙ্গ করে যার কারণে তার কমিউনের ইশ্বর প্রভু ক্লড তাকে মৃত্যদন্ডের আদেশ দেন। .কিন্ত তার মৃত্য হয় না। কেন তার মৃত্য হয় না? কিভাবে সে বেঁচে যায় তা না হয় আপনারা পড়ার পরই জানবেন।প্রভু ক্লডের কমিউন থেকে সে আসে ইশ্বরী প্রিমার কমিউন এ। ঈশ্বরী প্রিমা রিহান এর সাথে কথা বলে যন্ত্র নিয়ে এসব নিয়ম কানুন ভেঙ্গে দেয়। রিহান কে অনুমতি দেয় যন্ত্র নিয়ে কাজ করার। যন্ত্রকে সম্মান দেখানোর পদ্ধতি নিষেধ করে দেয়। এতে এই কমিউনের মানুষ এর জীবন যাত্রা অনেক সহজ হয়ে যায়। তখনি প্রভু ক্লড এর লোকেরা আবিষ্কার করে রিহান মৃত নয়।
নিজের আদেশ কার্যকর করতে উন্মুখ প্রভু ক্লড, সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঈশ্বরী প্রিমার কমিউনে। রিহানকে না পেয়ে খোদ ঈশ্বরী প্রিমাকেই উঠিয়ে নিয়ে যায় তারা।শুরু হয় রিহানের উদ্ধার অভিযান।প্রিমা উদ্ধার অভিযান এ গিয়ে রিহান জানতে পারে কিভাবে কমিউন গুলো সৃষ্টি হয়েছে।কিভাবে একজন মানুষ কমিউন এর ইশ্বর বা ইশ্বরী হয়েছেন। রিহান কী পারবে প্রিমাকে উদ্ধার করতে? পারবে কি ক্লডের মতো সাধারণ মানুষ হয়ে ও ইশ্বর সেজে বসে থাকা মানুষের মুখোশ উন্মোচন করতে? জানতে চাইলে পড়ে ফেলুন জাফর ইকবাল স্যার এর এই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নিয়ে রচিত ফিনিক্স বইখানা।
It's the best dystopia written in Bengali. Civilization got destroyed by war and climates. And scientists saved knowledge at several points of the earth so that survivors may get them, so that they wouldn't need to start back from Stone Age. But humans, being humans, did the predictable. A group arose who found them and became priests. They hid knowledge from the rest of the people; they asked them to worship tools and machines while the priests were being treated like Gods. No one sees them, no one touches them, they're the all-knowers, the solution bringers, the keepers of wisdom. They are Gods.
But of course, we have a teen-boy protagonist who would be saving the ignorant society.
The thing is I read it when I was a teenager, and I can't say I didn't have a minor crush on the protagonist, but what mesmerized me the most during those days was, it made me enter a whole new world of thoughts; it made me see a lot of things that I couldn't see before. The way this author incorporated so many high thoughts into so many YA and Middle-Grade science fiction in Bengali, these would be read widely if they were in English, and I say widely because the writing is like literary ones with lots of emotions and moments under the microscope--and all these under 220 pages.
একজন বিজ্ঞানীর পরীক্ষাগারেই জন্ম নিয়েছিল সেই বিপর্যয়, যা পরে পুরো মানব সভ্যতাকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়...
ইকুয়িনা বি. ২৩-৪৯ নামের একটি ভাইরাস, মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ অধ্যায়ের সূচনা করে। দীর্ঘদিনের জিনেটিক গবেষণার ফল এই ভাইরাসটি এক অনাকাঙ্ক্ষিত ফিল্ড টেস্টের মাধ্যমে ল্যাবরেটরির চার দেয়াল পেরিয়ে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র দুই মাসে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় প্রায় ছয় বিলিয়ন মানুষ। তবে প্রকৃতির এক অজানা রহস্যে কিছু শিশু-কিশোর বেঁচে যায়। তাদের বংশধরদের হাত ধরেই দুই শতাব্দী পর গড়ে ওঠে এক নতুন মানব সভ্যতার।
যেখানে জ্ঞানচর্চা নিষিদ্ধ, কৌতূহলী হওয়া অপরাধ আর যন্ত্র দেবতার আসনে অধিষ্ঠিত। এই নতুন পৃথিবীতে মানুষ বিভক্ত বিভিন্ন কমিউনে, যেখানে একজন করে ঈশ্বর বা ঈশ্বরী মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে। সতেরো বছরের কিশোর রিহান এমনই এক কমিউনে বসবাস করে, যেখানে যন্ত্রকে দেবতার মতো পূজা করতে হয় এবং তার কার্যপ্রণালি নিয়ে প্রশ্ন তোলা মহাপাপ। কিন্তু একদিন নিজের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রটি নষ্ট হয়ে গেলে রিহান সেটি খুলে পরিষ্কার করে আর সেই সামান্য কৌতূহলই তাকে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি দাঁড় করায়। প্রভু ক্লডের দেওয়া সেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় না; রিহান বেঁচে যায় এবং আশ্রয় নেয় ঈশ্বরী প্রিমার কমিউনে, যেখানে যন্ত্রকে সম্মান নয়, বোঝার অনুমতি দেওয়া হয়।
রিহানের উপস্থিতিতে প্রিমার কমিউনের মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যেতে শুরু করে। যন্ত্র আর অদৃশ্য দেবতা নয়, হয়ে ওঠে মানুষের সহায়ক। এই পরিবর্তনই প্রভু ক্লডের ক্ষমতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। নিজের ঈশ্বরত্ব টিকিয়ে রাখতে ক্লড আক্রমণ চালায় প্রিমার কমিউনে এবং রিহানকে না পেয়ে অপহরণ করে খোদ ঈশ্বরী প্রিমাকেই। শুরু হয় রিহানের উদ্ধার অভিযান যে অভিযানের পথে সে জানতে পারে কমিউনগুলোর জন্মকথা, ঈশ্বর-ঈশ্বরী হওয়ার নেপথ্যের নির্মম সত্য এবং ভয় ও অজ্ঞতা দিয়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল।
পাঠালোচন:
ধ্বংসোত্তর এক সভ্যতায় যেখানে অজ্ঞানতাকে পবিত্র করে তোলা হয়েছে, সেখানে রিহানের কৌতূহল হয়ে ওঠে বিপ্লবের বীজ। উপন্যাসটিতে উঠে এসেছে কীভাবে ভয় ও ধর্মসদৃশ বিশ্বাস ব্যবহার করে সাধারণ মানুষই ঈশ্বর সেজে বসতে পারে আবার কীভাবে জ্ঞান সেই মুখোশ খুলে দিতে সক্ষম। রিহান ও ঈশ্বরী প্রিমার সম্পর্ক কেবল চরিত্রগত নয় বরং একটি বিকল্প মানবিক দর্শনের প্রতীকও। ফিনিক্স আসলে ধ্বংসের ছাই থেকে উঠে দাঁড়ানো মানববোধের এক শক্তিশালী রূপক।
জাফর ইকবাল স্যারের ফিনিক্স প্রশ্নহীন আনুগত্যের বিপরীতে দাঁড়ানো এক শক্তিশালী প্রতিবাদও। জ্ঞানকে নিষিদ্ধ করে, কৌতূহলকে পাপ বানিয়ে মানুষকে দেবতার দাসে কিভবে পরিণত করা যায় আর কীভাবে একটিমাত্র প্রশ্ন সেই পুরো ব্যবস্থাকে কাঁপিয়ে দিতে পারে তা চমৎকার ভাবে এখানে দেখানো হয়েছে। ধ্বংসের ছাই থেকে নতুন করে উঠে দাঁড়ানোর প্রতীক হিসেবেই ফিনিক্স নামটি অর্থবহ হয়ে উঠেছে।
চমৎকার একটা ডিস্টোপিয়ান সায়েন্স ফিকশন ‘ফিনিক্স’। এটা সেই সময়ের কথা যখন ইকুয়িনা বি. কিউ. ২৩-৪৯ নামের একটা ভয়ঙ্কর একটা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীতে। এবং সেটি ছড়িয়েছে পৃথিবীর মানুষরাই। দুই সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ মারা যায়। অর্ধেক না হয়ে সবাই মারা গেলেই বরং ভালো হতো। কারন এরপর পৃথিবীর বুকে যে বিভীষিকার জন্ম হলো তার কোন তুলনা ইতিহাসের পাতায় নেই। এই ভাইরাস থেকে কারো মুক্তি নেই, কিন্তু পৃথিবীর মানুষ তা জানে না। বেঁচে থাকার জন্য তাদের উন্মত্ত আকুলতা সেই ভয়াবহ দিনগুলোকে আরো ভয়াবহ করে তুলল। দুই মাসের মধ্যে পৃথিবীর ছয় বিলিয়ন মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। বেঁচে রইল হাতে গোনা কিছু শিশু ও কিশোর। কেন তারা বেঁচে রইল তার কারণ সকলের কাছেই অজ্ঞাত, কারন সেই রহস্যের সমাধান করার জন্য কেউ ছিল না এই পৃথিবীতে। এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় দুই শতাব্দী। ইকুইনা ভাইরাস থেকে বেঁচে যাওয়া শিশু ও কিশোররা জন্ম দিয়েছে এক নতুন সভ্যতার। বেঁচে থাকার আদিম তাড়নাই তাদের টিকে থাকার মূলমন্ত্র। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে তারা পরিবার এবং গোষ্ঠিকে কে রক্কা করে, আবার প্রয়োজনে হিংস্র পশুর মতো অন্য গোষ্ঠিকে আক্রমণ করে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। বড় বড় ট্রাকে করে তারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ায় এবং হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার মাঝে বেঁচে থাকার রসদ খুজে বেড়ায়। বেঁচে থাকার এ প্রানান্তকর প্রক্রিয়ায় তাদের সাহায্য করে তাদের নিজস্ব ইশ্বর বা ইশ্বরী।
. আমার ব্যক্তিগত ভাবে এরকম গল্প পড়তে খুব ভালো লাগে যেখানে সমাজব্যবস্থা ঠিক স্বাভাবিক নয়। এজন্যই সায়েন্স ফিকশন আমার অন্যতম প্রিয় জনরা। আর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেছে, কিছু মানুশ বেঁচে আছে, নতুন করে সভ্যতা গড়ে উঠছে এরকম গল্প পড়তে সবসময়ই থ্রিল অনুভব করি। এই গল্পটার সাথে স্যারের ক্রোমিয়াম অরণ্যের একটু মিল আছে। জাফর ইকবালের সাবলীল লেখনশৈলী সবসময় গল্পকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। কলেজে পরীক্ষা হচ্ছে। ভেবেছিলাম ১০-১৫ পাতা পড়ে রেখে দেব। কিন্তু সেই যে শুরু করলাম, শেষ করে তবে উঠেছি !
Needed a break. Though I read this book many years earlier, few books are never old and always worthy of revision. I believe no review is required as people who read book they must have read this book at least once in their lifetime. If not then I dont care for them to read it.
ছোটদের খাপে খাপে মিলে যাওয়া হ্যাপি এন্ডিং এর জগত থেকে তখন আমি আস্তে আস্তে বের হচ্ছি। বইটা তখনই পড়া। ফিনিক্স পাখির সাথে গল্পের মিল কী তখনো বুঝার মতো মাথা গজায় নাই। কিন্তু যখন বুঝতে পারলাম, তখন বইটা ফের পড়ার ইচ্ছা জেগেছিল।
ইদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি।আত্মীয় -স্বজনদের চাপে নাভিশ্বাস উঠে গেছে প্রায়।মা তার বহুদিন পরে দেখা হওয়া দুই বোন আর ছোট ভাইয়ের সাথে বসে এর ওর পিন্ডি চটকাচ্ছে।তাদের চার ভাইবোনের মধ্যে আমি কোথাও পাত্তা পাচ্ছিনা দেখে ফিনিক্স নিয়ে বসলাম।
বাড়িতে জীবন সুন্দর,মা-মাসিদের ভীড়ে চিড়েচ্যাপ্টা হওয়া জীবন আদরের।
প্রবল ঝড়-ঝাপটার পরেও বারবার জেগে ওঠা আমার ফিনিক্স পাখি বাবা-মাকে চোখের সামনে রেখে নিশ্চিন্ত,নিরিবিলি দুপুরের ভাতঘুমের সাথে জাফর ইকবাল স্যারের সাথে কিশোরী বয়সে ঘুরে আসা হঠাৎ হঠাৎ দুপুরগুলো অমূল্য।
আমার একান্ত মানুষগুলোর মাঝে বসে জাফর ইকবাল পড়লে মনে হয় আহা ছেলেবেলাতেই আছি বোধহয়।
আমি ফিনিক্সে ডুবে যাই,আমার মনে থাকে না ছুটি শেষ হলেই আমি আবার এক অলিখির প্রতিযোগিতার মধ্যে গিয়ে পড়বো,ফরেনসিকের রাইগর মর্টিস, ক্যাডাভারিক স্পাজম আর কমমেডের চেঞ্জিং কনসেপ্ট অফ হেলথের ধাঁধায় হারিয়ে যাবে আমার কিশোরী মন। এইসব সরল কিন্তু দুর্লভ মুহুর্তগুলোতে মনে হয় তারাশঙ্করের মতো করে বলি 'হায়,জীবন এতো ছোটে কেনে এই ভুবনে'
সবার জীবনে রিহান আর প্রিমার মতো সুখের সমাপ্তি হোক।
মন খারাপ হলে এটা পড়তাম। প্রথমবার অনেক বেশি আকর্ষণ আর মাধুর্যে আটকে গেছিলাম যে,বইটা শুরু করেছিলাম এক আত্মীয়ের বিয়ের দিন। মানে উনাদের বাসায় গিয়ে সেলফে দেখে সেটা নিয়ে পড়া শুরু ���রেছিলাম। এতটাই মোহে আটকে গেছিলাম যে, বিয়ের সেন্টারে গিয়ে অপেক্ষা করছিলাম কখন বাসায় এসে আবার পড়বা বাকিটা বাট আমার ধৈর্য্য আসলে খুব কম সেদিন বুঝলাম। আমি ফোনে পিডিএফ ডাউনলোড করে বাকি গল্প সেন্টারে বসে বসেই শেষ করে দিসিলাম। প্রথমেই বলছিলাম মন খারাপ হলে এটা পড়তাম আন্দোলনের আগ পর্যন্ত। আপাতত এই বইয়ের সাথে ব্রেকাপ,তবে গল্পটা ছোট থেকে বুড়ো যেকোনো সাহিত্য প্রেমীর ভাল্লাগবে:))
দারুণ একককথায়। বইটা শুরু করার আগে কিছু সংশয় কাজ করছিল। কিন্তু সব সংশয় ঝেড়ে শুরু করার সাহস পেলাম গুডরিডসের কিছু রিভিউ পড়ে। অসাধারণ, চমৎকার একটা বই। প্লটটা দারুণ লেগেছে। লেখকের বর্ণনাভঙ্গিও চমৎকার। বইটার এন্ডিংও মোটামুটি ভালোই লাগলো। সাই-ফাই ও পৃথিবীর সব মানুষ মারা যাওয়ার পর পৃথিবীর অবস্থা নিয়ে দারুণ এক সাই-ফাই!
Ergo Proxy এর সাথে শুরুতে অদ্ভুত রকমের মিল পেলাম। আর কোন কোন বই এর সাথে যে এমন অদ্ভুত মিল আছে কে জানে (ইকারাস এর মতন)। তবে খারাপ লাগে নি। বেশ ভালই লেগেছে। তবে গল্পের প্লটে একঘেয়েমি ছিল।
This book was written after a time when ইকুয়িনা virus killed most of the population of the world. Fortunately, a couple of people were immune to the virus. Later on, they had built a new civilization. The civilization was divided into কমিউন and each কমিউন was controlled by a ঈশ্বর or ঈশ্বরী. There was no room for curiosity or questions. They thought machines were something holy that needed to be prayed to before use. Anyway, রিহান was a 17-year-old boy who was punished to be killed because of his curiosity by the ঈশ্বর of his কমিউন. Fortunately, he was saved by other কমিউন where the ঈশ্বরী of that কমিউন let him stay there. He didn't believe in this ঈশ্বর-ঈশ্বরী system. Will he be the change they never knew they needed or will he face death for changing the whole system?
It had an okay pace. An okay-ish plot and characters. I didn't really find any deeper connection of the story with the name of the book. The story of Phoenix mentioned in the book could've been used a bit differently. More meaningfully. Maybe it's just me who felt like that. Overall, it was a good read.
This reminded me of a similar story of Zafar Iqbal that I had read before. I can't remember the name off hand, but it definitely had a huge overlap in the plot.
Either that or I read the same book twice and don't remember the first one.
One of the best book by Zafar Iqbal. Post apocalypse earth, what else you want? If you think "well, i have watched so many movie on post apocalypse, what else can it offer?" You just read the book and then you will see. Very good read, enjoyable. Has some little romance too ;).