ফ্ল্যাপে লিখা কথা মিসির আলিকে চেনেনা এমন পাঠক খুব কমই আছেন। চাক্ষুস দেখিনি, পরিচয় নেই, কিন্তু কত জানাচেনা এই লোকটি। দীর্ঘদিনের জানা। ওর হাসি-খুশিতে আনন্দ পাই, ব্যাথায় হই ব্যাথিত । মানব জীবনের রূপ-রস-রহস্য ও হাসি-কান্না-বেদনার অপূর্ব এক প্রকাশ এই মিসির আলি ও তার পার্শ্ব চরিত্র। জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ-এর অপূর্ব সৃষ্টি এই মিসির আলি। হরতন ইশকাপন মিসির আলি সিরিজের বইগুলোর মধ্যে অত্যুজ্জ্বল সৃষ্টি। হরতন ইশকাপন-এ মিসির আলির সঙ্গে যোগ দিয়েছে যাদুবিদ্যায় পারদর্শী মনসুর, মানসিক রোগী রেবু, বাড়িওয়ালা আজমল সাহেব ও কাজের মেয়ে আঁখিতারা।
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
বেশ কিছুদিন আগে মিসির আলী নতুন একটা বাসায় উঠেছেন। আর নতুন বাসায় উঠার পরপরই শুরু হল অদ্ভুত সব ঘটনা। প্রথমতঃ মিসির আলীর সাথে দেখা করতে আসলেন এক ম্যাজিসিয়ান। তার দাবী ম্যাজিক দেখাতে সে কোন প্রতারনার আশ্রয় নেয় না। একে একে বিভিন্ন ম্যাজিক যেমন মস্তিষ্কের সাহায্যে বইয়ের পাতা একের পর এক উল্টিয়ে অভিভূত করলেন মিসির আলীকে। এমনকি সে শূন্যে ভাসতে পারে। তবে মিসির আলীর কাছে এসে শুধু ম্যাজিক দেখানোটাই তার একমাত্র উদ্দেশ্যে নয় বরং এই বাসার একটি মেয়ে রেবা থেকে সাবধান করে দেয়া মূল উদ্দেশ্যে।
মিসির আলী ভেবে পেলেন না, রেবা নামে অল্পবয়েসী সুন্দরী মেয়ের থেকে সাবধান হওয়ার কি আছে। তখন লোকটি বললো রেবা মিসির আলীকে খুন করতে চায়, এর আগে নিজের কোলের শিশু আর স্বামীকে খুন করেছে। মিসির আলী বুঝতে পারেন লোকটি তাকে বিভ্রান্ত করছে, কারন রেবাকে চেনার এবং তার বিষয়ে জানার কোন কারন লোকটির নেই। তবে তার দাবী সে গোপন কথা জানতে পারে। তার এই ক্ষমতার কিছু নমুনা বইটাতে দেয়া আছে যেমন কাজের মেয়ের নাম জানা, তার অসুস্থতার কথা না জানা সত্বেও ওষুধ নিয়ে আসা, দু মিনিটেই থার্মোমিটার নিয়ে আসা ইত্যাদি।
এভাবে চলতে থাকে কাহিনী,মিসির আলী বুঝতে পারছেন না এ কোন রহস্য তার সামনে আসলো কারন তিনি রেবার সম্পর্কে খোঁজখবর করেছেন। লোকটির কথার সতত্যা আছে। তাহলে কি রেবার হাতেই মৃত্যু হবে মিসির আলীর?????
❝ আঁখিতারার দিকে তাকিয়ে বললেন, আজ থেকে আমি তোমার নাম দিলাম কুটু মিয়া। কুটু মিয়া কে? কুটু মিয়া একটা উপন্যাসের চরিত্র৷ তার মত রান্না কেউ করতে পারে না। ❞
অদ্ভুত একটা ব্যাপার, যদিও হুমায়ূন স্যারের বই গুলো আমি পড়ার পর বার বার ভুলে যায় তার পরও হরতন ইশকাপন আমার বেশ কয়েকবার পড়া আর একবার খুব সম্ভবত অডিও বুক ও শোনা৷ কিন্তু কখনো কুটু মিয়ার চরিত্র নিয়ে মিসির আলি কথা বলেছেন এটা আগে নোটিশ করার কথা ছিল!
তবে হরতন ইশকাপন প্যারাসাইকোলজির নয়, ভালোবাসার আখ্যান। এটাই যেন বইটার দিকে বার বার টানে আমাকে।
হুমায়ূন আহমেদের লেখা যেকোনো কিছু আমি সবথেকে সহজে হজম করতে পারি, গল্পে কাহিনী থাক অথবা না থাক। উনার লেখার ধরন, হিউমার, বিষাদ, জাদুবাস্তবতা সবকিছু আমার কাছে বিশেষ কিছু। হরতন-ইশকাপন ‘আরেকটা’ টিপিক্যাল মিসির আলি বই। একইভাবে কিছুটা উইয়ার্ড ঘটনা ঘটতে থাকে মিসির আলির সাথে, সেইসাথে তাকে বিশেষ দক্ষতায় ইমপ্রেস করার চেষ্টা করে এক যুবক। কাহিনী নিরীহ গতিতেই এগোচ্ছিল, বেশিকিছু আশা করিনি, এজন্য শেষ দুই পৃষ্টার টুইস্টটা ভালো লাগল। উপভোগ না করে, যদি মাথা খাটাতাম তাহলে হয়ত ভালো লাগত না ধাক্কাটা। সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার হিসেবে ৪.৫/৫।
পুরো গল্পে মিসির আলি কেমন যেনো অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন। স্বভাব সুলভ মিসির আলিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে শেষটা সুন্দর হয়েছে। কিছু জিনিস লেখক জোর করে নিয়ে এসেছেন মনে হয়েছে।
হুমায়ুন আহমেদের কুটুমিয়া চরিত্রের সাথে আমার সম্পর্ক একদম শুরু দিকের। মানে হুমায়ুন আহমেদের কুটুমিয়া পড়ি তখন তার লেখা পড়ার শুরু দিকে একদম। সেই কুটুমিয়াকে একটা জায়গায় টানা হলো। বিষয়টা আমার খুব ভাললাগছে। আর এই বইটাতে বেশ কিছু জায়গা আমার বেশ লেগেছে। মনসুরের ভালোবাসাটাও রেবুর প্রতি একদম দারুণ লাগল।
মনসুরের একটা কথা খুব মনে ধরেছে, "আমি এই অসুস্থ মেয়েটাকে ভয়ঙ্কর ভালোবাসি।"
বইয়ের স্টোরিলাইন চমৎকার, দারুণ সাসপেনশন বজায় রেখে গল্পটা এগিয়ে নিয়েছেন লেখক। সমস্যা হলো শেষে এসে দেখা গেলো লজিকটা খুবই নিচু শ্রেণীর। সম্ভবত, মিসির আলির কোনো একটা বই বের করার তাগাদা ছিলো হুমায়ূন স্যারের। কিন্তু প্রোপার কোনো কাহিনী মাথায় আসছিলো না। তাই রহস্য বানানোতে মনোযোগ দিয়েছেন তিনি, লজিক তৈরী করতে গিয়ে খেয়েছেন হিমশিম। তবু, চার স্টার দেবার কারণ হলো এমন শীত আসছে আসছে সময়টায় কম্বল গায়ে দিয়ে বইটা পড়তে বেশ ভালোই লাগছিলো।
মানব জীবনের রূপ-রস-রহস্য ও হাসি-কান্না-বেদনার অপূর্ব এক প্রকাশ "হরতন ইশকাপন" উপন্যাসটি। এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মিসির আলি। তার কাছে একদিন মনসুর নামে একজন চব্বিশ-পঁচিশ বছরের ছেলে আসে ম্যাজিক দেখানোর অজুহাতে। সেই থেকে মনসুরের সাথে পরিচিত হয় মিসির আলি। কিন্তু মনসুরের নাম-পরিচয় বা ব্যবহার সবকিছুই রহস্যজনক মনে হয়। আর মনসুরও ধীরে ধীরে নিজেকে রহস্যময় করে তোলার চেষ্টা করে মিসির আলির কাছে। এদিকে মিসির আলির ঘরের দরজা সবসময় খোলা থাকায় যখনতখন বাড়িওয়ালার মেয়ে রেবু আসত মিসির আলির সাথে দেখা করতে। রেবু মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ ছিল না। তাই, এটা নিয়ে তৈরি হয় বেশ ঝামেলা।
একদিন ঝড়ের রাতে বাড়িওয়ালা আজমল সাহেবকে টেলিফোনে মনসুর মিসির আলীকে একটা মারাত্মক বিপদের আভাস দেন। তিনি বলেন, রেবু হয়তোবা মিসির আলিকে মেরে ফেলবেন। কিন্তু মিসির আলি তার এই কথার কোন গুরুত্ব দেন নি। . আরেকদিন মনসুর চিঠির মাধ্যমে "সোনার বাংলা" নামে একটি অনিয়মিত পাক্ষিক পত্রিকা প্রেরণ করে মিসির আলির কাছে। ঐ পত্রিকাটির প্রথম পৃষ্ঠায় একটি চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশিত হয়, যেখানে বলা হয় রেবু তার নিজের সন্তান ও স্বামীকে নিজে হাতে হত্যা করেছে। পত্রিকাটির সম্পাদকের নাম চৌধুরী খালেকুজ্জামান মিয়া। এই নামটি নিয়েও তৈরি হয় একটি ঘোরতর রহস্যের জাল। . এরপর কখনো দরজা খোলা পেয়ে অন্ধকার রাতে মিসির আলির বাড়িতে ঢুকে এক কৃত্রিম ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছে স্বয়ং মনসুর। . পরবর্তীতে আরও একটি ঘটনা ঘটায় মনসুর যা আরও রহস্যজনক। মিসির আলিকে আঁখিতারা নামে একটা মেয়ে দেখাশোনা করতেন। তাকে নিজের মেয়ের চোখে দেখতেন মিসির আলি। একদিন রাতে মেয়েটা হঠাৎ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। শরীরের তাপমাত্রা ১০৫° ডিগ্রী উঠে যায়। কোনোভাবেই জ্বর কমে না। সেদিন রাতে হঠাৎ মনসুর মিসির আলির বাড়িতে এসে আঁখিতারার মা���ায় পানি দিয়ে ও প্যারাসিটামল খাইয়ে জ্বর নিরাময়ের চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় মনসুর। এরমধ্যে মনসুর হঠাৎ মিসির আলিকে বলে বসে যে, আঁখিতারা আর বাঁচবে না। কিন্তু মনসুর কেনো এমন বললো, কেনই বা সে এতগুলো সন্দেহজনক কাজ করলো? এটাও একটা ঘোরতর রহস্য।
এসব রহস্য ভেদ করতে হলে পাঠককে যেতে হবে উপন্যাসের শেষ পর্যন্ত।
এই উপন্যাসে আঁখিতারা চরিত্রটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে। ছোটবেলা থেকে পিতার স্নেহ বঞ্চিত এই মেয়েটি মিসির আলিকে বড়বাবা বলে ডাকে। মিসির আলিও মেয়েটাকে নিজের মেয়ের মতই স্নেহ করে। মিসির আলির স্নেহ পেয়ে সে যেন আনন্দের অশ্রু বিসর্জন করতো। এজন্য এই মেয়েটিকে লেখক রবীন্দ্রনাথের পোস্টমাস্টার গল্পের রতনের সাথে তুলনা করেছেন।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র রেবু। সে তার মামার আশ্রয়ে থাকে। সে তার অতীত জীবনে স্বামী-সন্তান হারিয়ে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে চিকিৎসায় কিছুটা নিরাময় হয়ে উঠলেও পুরোপুরি সে সুস্থ হয় না। তাই তার মামা তার বিয়ের ব্যবস্থা করতে পারলে যেন চিরদিনের দায় থেকে মুক্তি পায়। এমন অভাগিনী মেয়ের জীবনের কষ্ট হয়তো কোনো ভাষা দ্বারা পুরোপুরি বোঝানো সম্ভব না। কিন্তু লেখক চেষ্টা করেছেন চরিত্রটি যথাসম্ভব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে।
প্রথমে উপন্যাসটি পড়তে একটু একঘেয়েমি লাগলেও মনসুর যখন একটার পর একটা রহস্যজনক ঘটনা ঘটাতে থাকে, তখন কাহিনীর প্রতি আরও কৌতূহল প্রবণ হয়ে উঠবেন পাঠক। জানতে ইচ্ছে করবে, মনসুর এসব ঘটনা গুলো কেন করছে? আর কিভাবেই বা করছে? মনসুরের মধ্যে কি অলৌকিক কোন ক্ষমতা আছে নাকি এসব ঘটনার নেপথ্যে আছে অন্য কোন ভেলকিবাজি? . এসব প্রশ্নের কৌতূহল মেটানোর জন্য অবশ্যই যেতে হবে উপন্যাসের শেষ পর্যন্ত।
কাহিনীর শুরু স্ব-ঘোষিত ম্যাজিশিয়ান মনসুরের প্রশ্নের মাধ্যমে। মনসুরের নিজের ভাষ্যমতে সে বেশ ভালো ধরণের মানসিক ক্ষমতার অধিকারী, কোনো চাতুরী বা প্রতারণা ছাড়াই সে ম্যাজিক করতে জানে এবং হিপনোটিজমও জানে। বলাই বাহুল্য - মিসির আলি তার কোনো ধরণের ক্ষমতার প্রদর্শনেই মুগ্ধ হলেন না। যুবকের কলাকৌশলের পেছনের যুক্তিগুলো খুঁজে বের করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। কিন্তু যুবক তার পিছু ছাড়লো না। উদ্দেশ্য কি তার??
মিসির আলি যে বাড়িতে থাকেন, সেই বাড়িওয়ালার ভাগ্নী রেবু। রেবুর কথা অনুযায়ী - সে পূর্বে একবার পাগল হয়ে গিয়েছিলো। যদিও তার আচার-আচরণে মোটামুটি পরিষ্কার পাগলামির ধাঁচ তার ভেতরে এখনো ভালোরূপেই বিদ্যমান। সে মিসির আলির কাছে আসে-যায়, উল্টোপাল্টা কথা-বার্তা বলে। মেয়েটির নামে ভয়াবহ ধরণের কিছু গুজব শুনতে পাওয়া যায়। সেগুলো কতোটুকু সত্য?
ইতিমধ্যে মিসির আলির বাসায় ছোট্ট একটি মেয়ে কাজ করে এলো। তার নাম আঁখিতারা। সে মিসির আলিকে "বড় বাবা" বলে ডাকা শুরু করলো এবং মিসির আলি তাকে অল্পসময়েই অত্যন্ত আপন করে নিলেন।
পাঠ-প্রতিক্রিয়া - এই বইতে আমার প্রিয় চরিত্র আঁখিতারা। কেন প্রিয় সেটার ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। অকারণেই প্রিয়। বাচ্চা-চরিত্রটি আমার অত্যন্ত ভালো লেগেছে, তার সাথে মিসির আলির কথোপকথনের অংশগুলো আমি কয়েকবার করে পড়েছি।
বইটার শেষের দিকের কিছু অংশ বাদে সবটা ভালো লেগেছে। রহস্য-রহস্য আবেশটা বেশ ছিল, কাহিনীটা যেরকম ভেবেছিলাম একদমই তা নয় আর কি জানি নাই নাই মনে হলো। কাহিনীর জন্য ৭/১০, চরিত্রগুলোর জন্য ৯/১০।
আজমল সাহেব - অর্থাৎ মিসির আলির বাড়িওয়ালাটিও ইন্টারেস্টিং চরিত্র, রেবুর অংশগুলো আরেকটু বেশি দীর্ঘায়িত করলে সম্ভবত আরো ভালো লাগতো।
এই বইয়ের প্রচ্ছদটা আমার অত্যন্ত, অত্যন্ত পছন্দ।
যাইহোক, দিনশেষে মিসির আলি ভালোবাসা ❤
ভালো লাগা উক্তিগুলো -
★ আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে বৃষ্টি নামবে। বৃষ্টি নামার আগে প্রকৃতি কিছু বোধ হয় করে৷ চারদিকে এক ধরণের অস্থিরতা ছড়িয়ে দেয়।
★ ভাসিয়ে দেবার প্রবণতা প্রকৃতির ভেতর আছে। সে জোছনা দিয়ে ভাসিয়ে দেয়, বৃষ্টি দিয়ে ভাসিয়ে দেয়, তুষারপাত দিয়ে ভাসিয়ে দেয়। আবার প্রবল প্রেম, প্রবল বেদনা দিয়েও তার সৃষ্ট জগৎকে ভাসিয়ে দেয়।
★ এই ব্যাপারটা মিসির আলির খুব অদ্ভুত লাগে। নামিদামি রেস্টুরেন্টের চায়ের চেয়ে রাস্তার পাশে সস্তা দোকানগুলোর চা ভালো হয়। সম্ভবত চা বানানোর বিশেষ কোনো কায়দা আছে।
★ আঁখিতারা অতিদ্রুত চা বানিয়ে নিল। কাপে একটা চুমুক দিয়েই মিসির আলি বললেন, আজ থেকে তোমার নাম চা-কন্যা। আমি এত ভালো চা আমার জীবনে খাইনি।
★ মানুষ দুটা সময়ে খেলতে পছন্দ করে। শৈশবে এবং বৃদ্ধ বয়সে। শৈশবে খেলার সঙ্গী জুটে যায়। বৃদ্ধ বয়সে কাউকে পাওয়া যায় না। তখন খেলতে হয় নিজের মনের সঙ্গে।
★ রান্নাঘরে খুটখাট খুটখাট শব্দ হচ্ছে। কেউ কি আছে রান্নাঘরে? রান্নাঘরে বাতি জ্বলছে না। অশরীরী কেউ অন্ধকারে রান্নাবান্না করছে নাকি?
চমৎকার। আরো একবার মুগ্ধ হলাম মিসির আলিতে। সহজ সরল কিন্তু লুকিয়ে থাকা পয়েন্টগুলোর লজিকে যেমন মজা পেয়েছি তেমনি চমকেছি। আর শেষের দিকের ধাপাধাপ টুইস্টগুলো তো গল্পের স্বাদ বেশ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে বইটার যে জিনিসটা আমার এক্সক্লুসিভ লেগেছে সেটা হলো বইয়ের আবহ। হুমায়ূন আহমেদের কিছু কিছু লেখা থাকে যেখানে পুরো লেখা জুড়ে একটা মায়া ছড়িয়ে থাকে। মিসির আলির লেখাগুলোতে এই মায়ার ব্যাপারটা সবসময় থাকে না, থাকলেও থোকায় থোকায় ছড়িয়ে থাকে। কিন্তু এই বইটা পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো, পুরো বইটা জুড়ে অদ্ভূত একটা মায়ার প্রলেপ দেয়া হয়েছে। ভীষণ সুন্দর!
#স্পয়লার এলার্ট মিসির আলির বাসার মালিকের ভাগ্নি এসেছে বেশ কিছুদিন হলো। অল্পবয়সী মেয়ে বয়স বিশের নিচে।সে পাগলও হয়েছিল একবার।তবে মিসির আলির মনে হয় মেয়েটি এখনও মানসিক ভাবে অসুস্থ আছে।মিসির আলির বাসায় মনসুর নামের এক যুবক আসে যদিও তার প্রকৃত নাম খালিকুজ্জামান চৌধুরী। সে মিসির আলিকে সাবধান করতে চায়।এদিকে বাসার মালিকের পীর ভাইও মিসির আলিকে বলেন কিছুদিনের মধ্যে সে বিপদে পড়তে যাচ্ছেন!চরম বিপদ!তবে চরম জ্বরের মুখে পরে তার কাজের মেয়ে আঁখিতারা।যাইহোক রাতে তাকে নাকি কোনো জ্বীন এসে চিমটি দিয়ে গেছে তাই সে তাবিজ চায়।ওদিকে সকালে মনসুর এসে আবার বলে যে বাড়িওয়ালার ভাগ্নি রেবু হচ্ছে খুনি, সে তার স্বামী সন্তানকে খুন করেছে।পুরো কাহিনীর সুরাহা করেন মিসির আলী।মিসির আলির ঘরে মূলত মনসুরই এসেছিল আর চাবি পেয়েছে রেবুর থেকে।মিসির আলির ভিতরের ঘরের সাথে দোতালার বারান্দার একটা দরজা আছে, সেটা দিয়ে।মনসুর এই ঘরটাতেই ভাড়া থাকতো, প্রায় তিন মাস ছিল।তখনই তার আর রেবুর প্রণয়। রাবেয়া প্রায়ই রাতে ঐ দরজা দিয়ে তার ঘরে আসতো।কিন্ত��� মনসুর একসময় চলে যায় কারণ রেবু ছিল বিবাহিত। পরে রেবুর বাচ্চা হলে তার স্বামী বলতে থাকে এ বাচ্চা তার নয়।রেবু স্বীকার করে।তারপর বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্বামী আর সন্তানকে।মনসুর বলে স্যার আমি আপনাকে ভয় দেখিয়ে এ বাড়ি থেকে দৌড়াতে চেয়েছিলাম।কারণ রেবু এখনও অসুস্থ। সে তার প্রিয় মানুষদের মেরে ফেলতে চায়।আপনাকে তার ভাল লেগেছে।রেবু আমাকে বলেছে যে সে আপনাকে মারতে চায়।কিন্তু আপনাকে আমার প্রয়োজন, আপনিই রেবুকে সুস্থ করে তুলতে পারবেন। কারণ ঐ মেয়েটাকে আমি ভয়ংকর ভাবে ভালোবাসি।
This entire review has been hidden because of spoilers.
প্রথমেই আমার প্রশ্ন হল বইটার নামের সাথে গল্পের মিল কীভাবে? আচ্ছা যাই হোক! গল্পের স্টার্টিং দেখে একটা ভাল কিছুর আভাসই পাচ্ছিলাম বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু যতই গল্পের ভিতরে ঢুকেছি কাহিনী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মিসির আলি গল্পগুলোর যেই উত্তেজনা, যেই রোমাঞ্চ থাকে সেটা এ বইতে পুরোপুরিভাবে মিসিং ছিল - এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নাই। কী যেন নেই কী যেন নেই এর মধ্য দিয়েই গল্পের ইতিতে পৌছে গেলাম... হুমায়ুন আহমেদের লেখনী তো অবশ্যই সবসময় সেরা কিন্তু হরতন ইস্কাপন আমার কাছে আহামরি কিছু লাগে নি।
বাঙালি পাঠক ঘরে মিসির আলীকে চিনেন না এমন মনে হয় খুব কম লোকই আছেন। গম্ভীর এবং বিজ্ঞ একজন লোক, যিনি রহস্যের আঁচ ধরতে গিয়ে আরো রহস্যে জড়িয়ে ফেলেন নিজেকে। হরতন ইশকাপন বইটা সেই রহস্যে ঘেরাই। মিসির আলী মানেই যেমন রহস্য, তেমনই টানটান একটা উত্তেজনা গজগজ করতে থাকে। একদিন পঁচিশ ছাব্বিশ বছরের এক তরুণ ম্যাজিক দেখানোর নাম করে তাকে কিছুটা ভড়কে দিলে মিসির আলী সেদিনের পর থেকেই কিন্ঞ্চিৎ রহস্যে জড়িয়ে ফেলেন নিজেকে। যে বাসাটায় সে ভাড়া আছেন, সেই বাসার মালিক আজমল সাহেবের ভাগ্নী রেবুর বেশ কিছু কথাবার্তা মিসির আলীর কাছে রহস্য রহস্য লাগতে শুরু করে। শুধু রেবুই না, সেদিন সন্ধ্যায় ফালতু ম্যাজিক দেখানো যুবক মনসুরের ভেতরেও একটা রহস্য রহস্য গন্ধ পান তিনি। একসময় মিসির আলীকে চিঠি ও দেয়া হয় রেবু নামের মেয়েটার কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে। কেনোই বা সরিয়ে রাখতে বলেছে? এমন কি হয়েছিলো রেবুর সাথে যাতে করে মিসির আলীকে কেউ চিঠি দিয়ে সতর্ক করে দিবে? মনসুর ছেলেটা কি আসলেই মনসুর নাকি অন্য কেউ, যে নাকি ম্যাজিক দেখানোর কাজ করে মিসির আলীকে শুধুমাত্র ভড়কে দেবার চেষ্টা করছে? এদিকে মিসির আলী একা হওয়ায় তাকে কাজের মেয়ে ঠিক করে দেন বাড়িওয়ালা আজমল সাহেব। দশ- এগারো বছরের মেয়েটি একদিন হুট করেই প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শিশু হসপিটালে ভর্তি হয়। এবং এই জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পেছনেও খুব সুক্ষ্ম একটা কারণ জড়িয়ে থাকে যা মিসির আলী পরে টের পান। কি সেই কারণ? আর আজমল সাহেবের ভাগ্নী রেবু এবং মনসুরের আসল রহস্যই বা কি ছিলো তা আদৌ মিসির আলী জানতে পেরেছিলেন কিনা সেই রহস্য উদঘাটন করতে চাইলে এক বসায় পড়ে ফেলতে পারেন।
যদিও আমার ইচ্ছে ছিলো না বইটা পড়ার, রিসেন্ট বড় সাইজের একটা বই পড়ার কারণে প্রায় ঝিমিয়ে পড়েছিলাম। শুধুমাত্র মাত্র ঝিম ধরাটা কাটানোর জন্যেই পড়া। মিসির আলী সিরিজের বই খুব কমই পড়া হয়েছে আমার। তবে খুব সম্ভবত হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলী চরিত্রটি আমার কাছে বেশী পছন্দের, তাই হয়তো কোন রকম বিরক্তি ছাড়াই এক বসায় শেষ করে উঠতে পেরেছি।
বাঙালি লেখক দের মধ্যে editor এর সাহায্য নেওয়ার প্রবণতা খুবই কম! বই গুলো আমি পাঠক হিসেবে দু/একবার পড়েই কিছু ভুল পেঁয়েছি। এ গল্পে মনসুর যখন মিসির কে কাজের মেয়েটির নাম বলে তখন সে অবাক হয় মিসির ভাবে তিনি নাম টি বলেন নি মনসুর কে সে কিভাবে জানলো। কিন্তু তার দুই পৃষ্ঠা পূর্বেই উল্লেখ করেন তিনি। এই বিষয় গুলি এডিটর দের সংশোধন করার কথা এবং লেখক দের অতিরিক্ত লেখা কে বাদ দিয়ে পাঠক উপযোগী করা
বইঃ হরতন ইশকাপন লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ ধরণঃ সমকালীন উপন্যাস প্রকাশিতঃ ২০০৩ রেটিংঃ ৫🌟/৫🌟
🦟কাহিনী সংক্ষেপঃ
একদিন মিসির আলীর বাসায় মনসুর নামের এক ছেলে আসে এবং সে নিজেকে ম্যাজিশিয়ান হিসেবে দাবী করে | মিসির আলীর অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মনসুর তাঁকে জোর করে ম্যাজিক দেখায় এবং সবগুলো ম্যাজিকই মিসির আলী ধরে ফেলেন | তারপর মিসির আলী মনসুরকে চলে যেতে বলেন | ঐদিন রাতেই মিসির আলীর মালিক- আজমল সাহেবের বাসায় মনসুর ফোন করে মিসির আলীকে চায় এবং মিসির আলীকে ফোনে বলে যে আজমল সাহেবের ভাগ্নি- রেবু মিসির আলীকে খুন করতে চায় তাই মিসির আলী যেন সাবধানে থাকে এবং রেবু নাকি নিজের সন্তান ও স্বামীকেও খুন করেছে |
মনসুর রেবুকে কীভাবে চিনে? আর সে আজমল সাহেবের বাসার নাম্বার জানে কীভাবে? তাহলে কী রেবুর হাতেই মিসির আলীর খুন হবে? জানতে চাইলে পড়ে ফেলুন রহস্যে ভরা এই বইটি |
🦟পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ
'হরতন ইশকাপন' বইটি হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলীর সিরিজের এক অন্যতম সৃষ্টি | বইটি একবার পড়া শুরু করলে রহস্য না জানা পর্যন্ত আর রেখে দিতে পারবেন না | আশা করি, বইটি পড়ে সবার ভালো লাগবে |
মিসির আলি সিরিজের শেষ বইটাও শেষ। মন খারাপ লাগছে আবার ভালোও লাগছে। প্রিয় একটা সিরিজ শেষ করলাম। এখন পড়লে মজাও পাবো আবার পাবো না। রহস্যের বই রিপিট পড়তে কেন জানি আমার ভালো লাগে না। কারণ আমার সব মনে থাকে। লাইন বাই লাইন। ( বেশির ভাগ বইয়ের ক্ষেত্রেই এবং সব ধরণের বইয়েরই।) একবার জানা হয়ে গেলে সেই রহস্য আর রহস্য থাকে না তাই রহস্যোপন্যাস রিপিট করতে ভালো লাগে না। কিন্তু এখন আর করার কিছু নেই। মাঝে মাঝে মনে হয় সত্যি একজন মিসির আলি দরকার আমার জীবনে। যে আমার সমস্ত বিষন্নতা, উদ্ভট জিনিস গুলো দূর করে দিবে৷ পৃথিবীর সব মানুষই কোনো না কোনোদিন উদ্ভট আচরণ করেন, কিছু ক্ষেত্রে যুক্তি ভাঙেন কেন এমন করেন জানা দরকার। আবার মনে হয় সবাই ই নিজের মতো করে সমাধানও করেন তার করা উদ্ভদ আচরণের। সেই অর্থে আমরা সবাই কী মিসির আলি???!!!!
"তুমি আর কোথায় পেলে সেই আমাকে!" ~ হরতন ইশকাপন পড়তে গিয়ে মিসির আলির মুখে এই বিখ্যাত গানের লাইন কল্পনা করলাম। সেই দেবী, নিশিথিনী, বৃহন্নলা, নিষাদের মিসির আলিকে খুঁজে পেলাম না গোটা গল্প জুড়ে। Humour টাই শুধু প্রাপ্তি আর ক্লাইম্যাক্স কিছুটা।
Meh. There’s a somewhat predictable plot to these last few books written on Misir Ali. A young and beautiful woman shows up in Misir Ali’s life, often to seek help for psychological/paranormal issues. There’s a subplot regarding the landlord and his family with whom Misir Ali is staying as a sublet. And there’s usually a new kid who helps Misir Ali with his household chores and to whom Misir Ali acts as somewhat of a father figure.
Not necessarily a drawback. The books represent the lethargy of Misir Ali in his old age, maybe that of Humayun Ahmed as well. But there are probably better books written on Misir Ali than this one.
Twist at every turns here. The characters are very real and will remain with you even after you have end reading this. Specially worth mentioning are the two characters of Mansur and Aankhitara. Enjoyed it very much!! Along with the classic Mishir Ali, these are perhaps the added bonus.
কাজের মেয়েটার জন্য মিসির আলীর মমত্ববোধের পরিচয় লেখক খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। পুরো বইতে সবচাইতে উপভোগ করেছি এই বিষয়টিই। বাকিটা কেন যেন সেই রকমের ভাল আমার কাছে লাগে নি। ৩★ কম হয়ে যায় তাই ৪★ দেয়া। তবে ৪★ ও বেশি হয়ে যায়। সাড়ে ৩★ দেয়া গেলে ভালো হত। আমি সাড়ে ৩★ দিতাম।
মিসির আলির বাসায় মনসুর নামের এক যুবক আসে যদিও তার প্রকৃত নাম খালিকুজ্জামান চৌধুরী। সে মিসির আলিকে সম্ভাব্য কোনো বিপদ থেকে সাবধান হতে বলে।একদিন সকালে মনসুর এসে বলে বাড়িওয়ালার ভাগ্নি রেবু নিজের স্বামী সন্তানকে খুন করেছে।পুরো কাহিনীর সুরাহা করেন মিসির আলী।মিসির আলির ঘরটাতেই একসময় মনসুর ভাড়া থাকতো।তখনই তার আর রেবুর প্রণয় হয়। রাবেয়া প্রায়ই রাতে ঐ দরজা দিয়ে তার ঘরে আসতো।কিন্তু মনসুর একসময় চলে যায় কারণ রেবু ছিল বিবাহিত। পরে রেবুর বাচ্চা হলে তার স্বামী বলতে থাকে এ বাচ্চা তার নয়।রেবু স্বীকার করে।তারপর বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্বামী আর সন্তানকে।মনসুর বলে রেবু এখনও অসুস্থ। সে তার প্রিয় মানুষদের মেরে ফেলতে চায়।মিসির আলিকে তার ভাল লেগেছে।পরিশেষে রেবুকে সুস্থ করতে মিসির আলির সাহায্য প্রার্থনা করে।
কাহিনীর শুরুতেই এভাবে এমন একটা লাইন যে পড়া শুরু করে দিলাম। পড়ার আগে জানতাম এই না, এটা মিসির আলী সিরিজের।
মিসির আলীর বাড়িতে ম্যাজিশিয়ান মনসুর যখন, হেল্কি ভেল্কি দেখানো শুরু করে মিসির আলী মোটেও অবাক হয় নি। উল্টো, তার কলাকৌশলের পেছনের যুক্তিগুলো ধরিয়ে দিলো। মিসির আলীর এই জিনিসটাই ভালো লাগে, সব কিছুর পেছনে যুক্তিগুলো ভালোভাবে ব্যাখ্যা করে।
এই বইয়ে সবচেয়ে ভালো লেগেছে আঁখিতারা চরিত্রটি। কেনো ভালো লেগেছে, কী জানি। তবে ভালো লেগেছে।
উক্তি~ ▪ভাসিয়ে দেবার প্রবণতা প্রকৃতির ভেতর আছে। সে জোছনা দিয়ে ভাসিয়ে দেয়, বৃষ্টি দিয়ে ভাসিয়ে দেয়, তুষারপাত দিয়ে ভাসিয়ে দেয়। আবার প্রবল প্রেম, প্রবল বেদনা দিয়েও তার সৃষ্ট জগৎকে ভাসিয়ে দেয়।
অতি চমৎকার একটি বই।এইখানে অবশ্য মিসির আলিকে নির্দিষ্ট কোন সমস্যা খুঁজে সেটার সমাধান বের করতে কসরত হয়নি। গল্প এগিয়েছে স্বাভাবিক গতিতে। মনসুর, রেবু,আঁখি তারা আর আজমল সাহেব সাকুল্যে এরাই গল্পের প্রাণ।
এই বইটা পড়তে পড়তে আমার মজার একটা প্রশ্ন মাথায় এলো- হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসগুলোতে কাজী সাহেব সবসময় মগবাজার থেকেই কেন আসেন;এলিফ্যান্ট রোড কিংবা অন্য কোনো জায়গা থেকে কেন নয়?
একজন লেখক মাত্রই মানুষ পড়তে পারে।তাকে মানুষের সাইকোলজি বুঝতে হয় ঠিকঠাক। নয়তো পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করা কঠিন। এই অতি কঠিন কাজটা হুমায়ুন আহমেদ কী দারুণভাবে করেছেন।
তিনি দেখাচ্ছেন একজন প্রফেসর কেমন হন,একটা কাজের মেয়ের বলন-চলন কেমন হয়,হুটহাট উদয় হওয়া যুবক এবং স্বামী-সন্তান হারানো একটি নারীর মানসিকতা কেমন হয়।
This entire review has been hidden because of spoilers.