Jump to ratings and reviews
Rate this book

হিমু #14

হলুদ হিমু কালো র‍্যাব

Rate this book
ফ্ল্যাপে লিখা কথাঃ
আমার নতুন অবস্থান বর্ণনা করি। আমি হাতলবিহীন কাঠের চেয়ারে বসে আছি। নড়াচড়া করতে পারছি না। আমার হাত পেছনের দিকে বাঁধা।বজ্র আঁটুনি। ফস্কা গিরোর কোনো কারবারই নেই। টনটন ব্যাথা শুরু হয়েছে। আমর সামনে ব সেক্রেটারিয়েট টেবিলের মতো টেবিল। টেবিলের ওপাশে তিন জন বসে আছেন। মাঝখানে যিানি আছেন তাঁর হাতে চেঙ্গিস খানের বই।তিনি অতি মনোযোগে বইটি দেখছেন। বইটার বেতর সাংকেতিক কিছু আছে কিনা ধরার চেষ্টা করছেন বলে মনে হচ্ছে। এক দুই লাইন করে মাঝে মধ্যে পড়েন এবং ভুরু কুঁচকে ফেলেন।

ভূমিকাঃ
হিমুর যেন ভূমিকা নেই, হিমুকে নিয়ে লেখা উপন্যাসেরও ভূমিকা থাকার কোনো কারণ নেই। তারপরেও লিখিতভাবে বলছি, এই বইয়ের প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক। এদের কারো সঙ্গেই আমার কোনোদিন দেখা হয় নি।
হুমায়ূন আহমেদ
নুহাশ পল্লী, গাজীপুর

96 pages, Hardcover

First published February 1, 2006

43 people are currently reading
1157 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

456 books2,906 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
632 (21%)
4 stars
917 (30%)
3 stars
960 (32%)
2 stars
327 (10%)
1 star
149 (4%)
Displaying 1 - 30 of 89 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
January 21, 2019
হিমু সিরিজ আমার খুব একটা ভালো লাগে না। তবে এই বইটি অসাধারণ। যখন মন খারাপ হবে তখন এই বইটি আবার পড়বো। স্যার মানুষ ক্যান্সার সেল না। প্রকৃতি মানুষকে কতই না যত্ন করে তৈরী করে.... এত যত্নে তৈরী জিনিস বিনা বিচারে মারা যাবে স্যার এটা কি ঠিক?" রন্টি- সাহিত্য হলো ক্রমাগত পরিবর্তিত একটা জিনিস। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সাহিত্য বদলাবে - এটাই স্বাভাবিক।

হিমু একটা চরিত্র। তাকেও বদলাতে হবে। হিমুরা মোবাইল ইউজ করে না- হিমুকে প্রযুক্তিসম্পন্ন করে দেখানো হচ্ছে। দোষের কিছু নেই। হিমু কাজ করে এন্টি-লজিক নিয়ে। এন্টি লজিক হলো লজিকের বিপরীত। হিমুর জগৎ আধ্যাত্মিক। হিমু মানুষের ভবিষ্যৎ বলতে পারে, মহাপুরুষদের মতো বিভ্রান্ত করতে পারে- এটাই হিমুর সুপার পাওয়ার !
Profile Image for Rifat.
501 reviews329 followers
March 17, 2025
হিমুর গল্পগুলো সাধারণত যে রকম হয় সে রকমই (গল্পহীন!)। তারপরও আসলে পড়তে খারাপ লাগে না। এই বইতে হিমুকে র‍্যাব এসে বারংবার তুলে নেয় আর ছেড়ে দেয়। বরাবরের মতোই এই বইয়েও একটি নারী চরিত্রের অবতারণা করা হয়েছে যে কিনা হিমুর প্রেমে শেষে হাবুডুবু খায়। কিন্তু হিমু কি আর এসবে ডুবে মরার পাত্র! বইয়ের শেষে সে যাবে কোনো রিকশাওয়ালা কিংবা দারোয়ান কিংবা বস্তিনিবাসী অথবা দরবেশ বাবার দুয়ারে, কবজি ডুবিয়ে খানা খাবে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে। সত্যি বলতে খারাপ লাগেনি যদিও তেমন এস্টাব্লিশড কাহিনী নেই। উপভোগ করেছি।

১৭ মার্চ, ২০২৫
Profile Image for Raihan Ferdous  Bappy.
226 reviews13 followers
November 8, 2025
হিমু!! এমন এক রহস্যমানব, যাকে নিয়ে হুট করে এক বাক্যে কিছু বলা কঠিন। যার কাজকর্ম প্রেডিক্ট করা আরো কঠিন। হিমু সিরিজ পড়লে আপনার ঠোঁটে কোথা থেকে যে হাসি এসে জায়গা করে নেবে তা আপনি নিজেও টের পাবেন না। চমৎকার এক চরিত্র!

আজ শেষ করলাম হিমু সিরিজের চৌদ্দ নাম্বার বই 'হলুদ হিমু কালো র‍্যাব'। এই বইয়ে হিমু পড়ে র‍্যাবের খপ্পরে। কথায় আছে, পুলিশে ছুঁলে আঠারো ঘাঁ! আর র‍্যাবে ছুঁলে? ছত্রিশ ঘাঁ হবার সম্ভাবনা আছে। তার চাইতে বেশি পড়লেও অবাক হবার কিছু নাই। র‍্যাব মানেই তো আতঙ্ক! কালো ড্রেসটায় ভয় ভয় অনুভূতি জাগায়৷ কিন্তু বুঝতে হবে। চরিত্রটা যে হিমু! র‍্যাব পর্যন্ত তার কাছে খাবি খায়। ওদিকে, হিমুর খালু মজেছে ফ্লাওয়ার নামের এক মেয়ের প্রেমে। আবার, হিমুর খালা হিমুর জন্য পাত্রী ঠিক করে ফেলেছেন। যেনোতেনো পাত্রী নয়। এক চাইনীজ ফুট ম্যাসাজার। নাম তার হু সি!
এই সবকিছু মিলিয়ে, এক চরম হাস্যকর বই হচ্ছে 'হলুদ হিমু কালো র‍্যাব'।

হুমায়ূন আহমেদের লেখা হচ্ছে আমার কম্ফোর্ট জোন। গোগ্রাসে গিলতে পারি। আর হিমু! কার না পছন্দের! মন খারাপ থাকলেই এই সিরিজ নিয়ে বসে পড়া যায়। এমনি এমনিই মন ভালো হয়ে যাবে।

সবমিলিয়ে, হিমুর পাগলামিতে ঠাঁসা আরো একখানা বই। যাতে হাসির উপাদান যথেষ্ট। অবশ্যই পড়বেন। এই বইয়ের এক জায়গায় দেখবেন ৯ জানুয়ারিতে হিমুকে দেখা করতে বলে হু সি! তারিখটা নাকি স্পেশাল। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, আমার জন্মদিন ৯ জানুয়ারি। মজা পেয়েছি। হাহা! শুভরাত্রি!
Profile Image for Nuha.
Author 9 books24 followers
September 21, 2022
নতুন করে হুমায়ূন আহমেদের সব বই পড়ছি। রিডার্স ব্লক কাটানোর জন্য এর থকে মোক্ষম উপায় আমার জানা নেই। আরেকটা জিনিস ভাল হচ্ছে তখন যখন বই পড়ছিলাম সেই অভিজ্ঞতা থেকে এই অভিজ্ঞতা অন্যরকম। নতুন করে উপভোগ করছি।

হলুদ হিমু কালো র‍্যাব পড়ে তখন আমার বেশি ভালো লাগেনি, কিন্তু এখন আবার যখন পড়লাম, আরেকবার চিন্তার খোরাক যোগালো। তাই জন্য রেটিং ও চেঞ্জ আসছে। বইয়ের সবচেয়ে ভালো লাগার জায়গাটা শেয়ার করি। একদম শেষের দিকে হিমুর কাছে র‍্যাবের একজন কর্মকর্তা জানতে চান কেন হিমু র‍্যাবদের অপছন্দ করে। সন্ত্রাসীরা সমাজে ক্যান্সারের মত। ক্যান্সার কে উপড়ে ফেলা ই কি শ্রেয় নয়? হিমু তার উত্তরে বলে- মানুষ কখনো ক্যান্সার হতে পারেনা। মানুষ মানুষই। তাকে সরিয়ে ফেলার দায়িত্ব অন্য মানুষকে দেয়া হয়নি। অনেকেই হয়তো এই জায়গার সাথে একমত হবেননা কিন্তু লেখকের মানবিকতাকেই মুখ্য করে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি তাই আমার ভালো লাগলো।
Profile Image for হামিম কামাল.
79 reviews29 followers
Read
June 2, 2022
সহজ দুষ্টুমির ছদ্মবেশ পরিয়ে বলা সরকারি হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্পষ্ট কথাগুলো, অমন স্পর্শকাতর সময়ে, বই ও লেখক দুজনকেই হয়ত বড় ধরনের বিপদে ফেলত যদি মানুষটা হুমায়ূন আহমেদ না হতেন। বইয়ের পুরোটা জুড়ে পতাকা ওড়াচ্ছিলেন স্বয়ং চেঙ্গিস খান। এখানেও যে এক আশ্চর্য অধ্যাস খেলালেন হুমায়ূন কজন টের পেয়েছে? পেলেও রা করেনি কারণ ‘পাগলাটা’ যে সবার চোখের মণি!
হুমায়ূন আহমেদ অসীমতক বিস্তৃত করতে পেরেছিলেন তাঁর সাধ্যের পরিধি। এ শুধু মন জুগিয়ে হয় না। মন অনেকেই জুুগিয়েছে।
ওই চৈনিক মেয়েটির কী প্রেমেই না পড়ে গিয়েছিলাম। আর ভাসিলি ইয়ানের চেঙ্গিস খান বইটাও তার পরপরই জোগাড় করি।
Profile Image for Aman.
45 reviews10 followers
March 19, 2023
চাইনিজরা সাপ-ব্যাঙ খায় এই ব্যাপারটা বারবার টেনে এনে লেখক হাস্যরস তৈরির চেষ্টা করেছেন। হাসি না পেয়ে বরং চৈনিক তরুণী হু-সি'র রান্না খেতে খুঁতখুঁতে খাদ্যসচেতন হিমু ভাইজানের কষ্টটাই আমার নজরে পড়েছে।
এর চাইতে হিমুকে চড় মারতে গিয়ে এক র‍্যাব কর্মকর্তার হুমড়ি খেয়ে পড়ে গিয়ে কোমায় চলে গিয়ে একেবারে সিঙ্গাপুরের হসপিটালে ভর্তি হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা বেশি হাস্যকর ছিলো।
তবে এই উপন্যাসে হিমুর মাধ্যমে লেখক 'ক্রসফায়ার' বিষয়টার প্রতি ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই দিক থেকে দেখলে হয়তো তিনি সফল।
Profile Image for Towhid Zaman.
103 reviews19 followers
November 19, 2022
হাসার মত গল্প কিন্তু হাসতে পারিনাই, অতটা ভালো লাগেনাই।
তবে শেষের কিছু অংশের জন্য তিন স্টার দেয়া যায়।
110 reviews
November 11, 2025
হুমায়ুনের মতো র‍্যাব এবলিশমেন্ট এক্টিভিস্ট বাংলায় খুব বেশি আসে নাই।তাও আবার ২০০৬ ���ালে।তখনও বিএনপি-জামাত জোট সরকার চলছে।সে সময়ে বসে বিএনপি ফাউন্ডেড র‍্যাবের বিরুদ্ধে এমন লিখা প্রকাশ করছে প্রজন্মের সবচেয়ে আলোচিত লেখক।একবার ভাবুন তো!
Profile Image for Nazia Disha.
42 reviews16 followers
July 18, 2021
QOTD: What are you currently reading?
এখন আপনি কোন বই পড়ছেন?

বইঃ হলুদ হিমু কালো র‍্যাব
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ধরণঃ সমকালীন উপন্যাস
পৃষ্ঠাঃ ৯৫
প্রকাশিতঃ ২০০৬
রেটিংঃ ৫🌟/৫🌟

🟡কাহিনী সংক্ষেপঃ

হিমু সন্ধ্যাবেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চা-কফি বিক্রি করে রাত ১১ টার দিকে মেসে ফিরছিল | ফেরার সময় র‍্যাব হিমুকে সন্দেহ করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরে নিয়ে যায় | হিমুকে একটি চেয়ারে বসিয়ে ৩ জন র‍্যাব হিমুর খালা ও বিভিন্ন জায়গার পুলিশের কাছে ফোন দিয়ে হিমুর ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করে কিন্তু তারা তেমন কিছুই জানতে পারে না | হিমু ৩টি র‍্যাবের জন্য ৩ টি নাম ঠিক করে-ঘাম বাবু, হাম বাবু ও মধ্যমণি | তারপর টেলিফোন পর্ব শেষ হলে তারা হিমুর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে কিন্তু হিমুর অদ্ভুত সব কথাবার্তা শুনে ঘাম বাবুর ধৈর্য্যচ‍্যুতি হয় এবং হিমুকে চড় দিতে আসে কিন্তু সে হঠাৎ করেই স্ট্রোক করেন |
তারপর অনেকক্ষণ পর হিমু ছাড়া পায় এবং র‍্যাব হিমুকে সবসময় ফলো করা শুরু করে |

আবার অন্যদিকে হিমুর খালু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে 'ফ্লাওয়ার' নামের এক মেয়ের প্রেমে পড়ে | হিমুর খালা তাই হিমুকে তার স্বামী ও ফ্লাওয়ারের বিভিন্ন ছবি তুলে আনতে বলে |

হিমুর খালা ধানমণ্ডির এক পার্লারের হংকং থেকে আসা হু-সি নামক এক মেয়েকে বাসায় আনিয়ে ফুট ম্যাসাজ করায় | মেয়েটা হিমুর খালার সামনে এমন অভিনয় করে যেন সে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারে না কিন্তু হিমুর সাথে যখন সে কথা বলে তখন সে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলে | হিমুর খালা হু-সির সাথে হিমুর বিয়ে ঠিক করে ও হিমু ও হু-সি দুজোনেই এই বিয়েতে রাজি হয় এবং বিয়ের কার্ড ও ছাপানো হয়ে যায় |

হিমুর সাথে কী হু-সির বিয়ে হবে? হু-সি কেন হিমুর খালার সাথে এমন অভিনয় করে ? হিমু কী হু-সি কে ভালোবাসে? জানতে চাইলে পড়ে ফেলুন হুমায়ূন আহমেদের এই মজার উপন্যাসটি |

🟡পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ

🔲বইটিতে হুমায়ূন আহমেদ র‍্যাবের বিভিন্ন কাজ , বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধের ঘটনা এবং অপরাধীর জীবনের বর্ণনা করেছেন |

🔲উপন্যাসটি খুবই ছোট এবং খুবই মজার | আশা করি , পাঠকদের বইটি পড়ে ভালো লাগবে |
Profile Image for Kazi Md. Al-Wakil.
297 reviews5 followers
October 2, 2020
হিমুকে র‍্যাব ধরে নিয়ে যায়। সেখানে হিমুর দেখা হয় খুনী মুরগী সাদেক এর সাথে। মুরগী সাদেককে ক্রসফায়ার করে মারা হয়। মারা যাওয়ার আগে তার শেষ ইচ্ছা ছিলো, ডিম ভর্তা দিয়ে ভাত। সেটা হিমুর ইচ্ছায় তাকে দেয়া হয়। হিমুর পিছনে লোক লাগিয়ে রাখা হয়। সেই লোককে হিমু ম্যাসে এনে ভাত খাওয়ায় এবং খাওয়ার পরে সেই লোক ঘুম দেয়। হিমুকে মাজেদা খালা বিয়ে দিতে চায়। হংকং এর একটা মেয়ে এসে মাজেদা খালার পা ম্যাসাজ করে। সেই মেয় এর সাথে বিয়ে দিতে চায়। বিয়ের সকল কাজ শেষ করার পর র‍্যাব থেকে হিমু জানতে পারে সেই মেয়ে ড্রাগ সাপ্লাই করে।
Profile Image for Maria Rahman.
108 reviews28 followers
July 5, 2019
( হিমুর বইয়ের রিভিউ লিখার মতো দক্ষ আমি না)
চিরাচরিত হিমুর বই মানেই হঠাৎ করে শুরু হঠাৎ করেই শেষ, এর মাঝের পথটুকু পড়ে আরাম। এবং হঠাৎ করেও শেষ হলেও কোন কিছু নিয়ে একটা আফসোস বা কিছু একটা জানার ইচ্ছা হুমায়ূন আহমেদ রাখেইইই । এই বইতে যেমন জানতে ইচ্ছা করছিল হু সি চায়নিজ ভাষায় কি বলেছিল হিমুকে...(এটা স্পয়লার না মনে হয় 🙄🤔)... জানার ইচ্ছাটা যদিও তেমন বেশি ছিল না যেমন সাধারণত হিমুর অন্য বইগুলোতে থাকে। 🙂
Profile Image for Mehadi  Menon.
30 reviews2 followers
February 23, 2015
হিমু সিরিস এর সবচেয়ে মজাদার গল্প :: এই গল্পের মাধ্যমেই আমার হিমু চরিত্রে প্রবেশ ঘটে :: এবং এটাই মনে হয় আমার পড়া হুমায়ুন আহমমেদ স্যার এর প্রথম বই ::
Profile Image for Salwa Mahfuz Noha.
22 reviews11 followers
January 3, 2021
আমি বলব এটা হিমু সিরিজের বেস্ট বই। হিমু চরিত্রটা খামখেয়ালির ভেতর দিয়ে সামাজিক রাজনৈতিক সমস্যা গুলো তুলে ধরে। এই বইটা তার সেরা উদাহরণ!
Profile Image for ANGSHUMAN.
229 reviews7 followers
September 4, 2021
হিমুর বড়খালা হিমুর সঙ্গে এক চাইনিজ ফুট ম্যাসাজার হু সি এর বিয়ে দিতে চান। অন্যদিকে তার খালু আবার ফ্লাওয়ার নামে এক মেয়ের প্রেমে মাতোয়ারা। এদিকে শুধুমাত্র সন্দেহের বশে বিনা কারণে হিমুকে র‍্যাব আটক করে হেড কোয়ার্টারে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সব মিলিয়ে এক উথাল পাথাল ঘটনা বহুল বই। পড়ে হাসির সুযোগ ছিল প্রচুর তাই হেসেছিও প্রচুর।
Profile Image for Shafi Hossain.
20 reviews1 follower
May 3, 2020
হিমু সমগ্রের প্রথম পড়া বই এটি। পড়ার পড়ি হিমুকে নিয়ে কল্পনা করা শুরু হয়ে গেছে। আশা করবো হিমুর বাকি খণ্ডগুলোও পড়ে ভালো লাগবে।
Profile Image for Mueed Mahtab.
344 reviews
January 7, 2021
হিমু পড়লে বিরক্তি লাগে,এই বইটা বিরক্ত করে নি।
Profile Image for Alvi Rahman Shovon.
467 reviews16 followers
August 15, 2024
২০০৬ সালে যখন বইটি প্রকাশিত হয় তখন পড়ি। এটাই ছিলো আমার হিমু সিরিজের প্রথম পড়া বই। কিশোর কালে মোহগ্রস্থ হয়েছিলাম বইটা পড়ে। ১৮ বছর পর আবার পড়লাম বইটা।
Profile Image for Saquib Bin Habib.
22 reviews19 followers
December 23, 2021
A good read. Himu continues to confuse people. The conversation are witty, with the simpler truth yet beyond perceptions of normal people.
Himu gets caught by RAB. He faces interrogation in rab office where he remains calm and in his usual demeanour. He leaves the interrogation after one officer gets fainted.
Himu also meets a coffee seller boy, whose father was familiar to himu from before. He considers himu as a saint. Himu gets a mission from Mazeda khala. She asks Himu to spy against his khalu who goes to Suhrawardi uddayan and gets close to a girl. Later he gets attacked by the girls’ men and starts supporting cross firing by rabs.
Himu also gets call by rab officers. The ‘hambabu’, who got fainted , is in Singapore and the rab members ask himu to go there. But Himu by his usual intuition, says that he got better and jumbles the rab members. Later, Shuvro, Hambabu’s son , pays a visit to Himu and with him he goes to Coffee seller boy’s house where they eat a feast.
Mazeda khala also arranges marriage for Himu with a Chinese girl,Hu see. But later she gets caught by rab. She says something in chinese to himu while in jail, but Himu fails to understand that. The story ends with she crying in jail, with the tears sparkling in sunlight. Himu wonders about the various facets of beauty the nature arranged.
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Abdus Sattar Sazib.
259 reviews15 followers
March 13, 2021
হিমু চরিত্রের আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। লেখক হিমুর বাবাকে বর্ণনা করেছেন একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ হিসেবে; যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তিনি মহাপুরুষ তৈরির জন্য একটি বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু।
হিমুর পোশাক হল পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী। হলুদ বৈরাগের রঙ বলেই পোশাকের রং হলুদ নির্বাচিত করা হয়েছিল। ঢাকা শহরের পথে-পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো তার কর্মকাণ্ডে�� মধ্যে অন্যতম। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না।
হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ। প্রেম ভালবাসা উপেক্ষা করা হিমুর ধর্মের মধ্যে পড়ে। কোন উপন্যাসেই কোন মায়া তাকে কাবু করতে পারে নি। মায়াজালে আটকা পড়তে গেলেই সে উধাও হয়ে যায়। হিমু উপন্যাসে সাধারণত হিমুর কিছু ভক্তশ্রেণীর মানুষ থাকে যারা হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে। এদের মধ্যে হিমুর ফুপাতো ভাই বাদল অন্যতম। মেস ম্যানেজার বা হোটেল মালিক- এরকম আরও কিছু ভক্ত চরিত্র প্রায় সব উপন্যাসেই দেখা যায়।
এছাড়াও কিছু বইয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী ও খুনি ব্যক্তিদের সাথেও তার সু-সম্পর্ক ঘটতে দেখা যায়। হিমুর একজন বান্ধবী রয়েছে, যার নাম রূপা; যাকে ঘিরে হিমুর প্রায় উপন্যাসে রহস্য আবর্তিত হয়। নিরপরাধী হওয়া সত্ত্বেও সন্দেহভাজন হওয়ায় হিমু অনেকবার হাজতবাস করেছে এবং বিভিন্ন থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।

হিমু বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় ও কাল্পনিক। নব্বই দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। হিমু ও মিসির আলি হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট সর্বাধিক জনপ্রিয় দু’টি কাল্পনিক চরিত্র। উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙালি তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
Profile Image for Mekail Rex.
5 reviews24 followers
January 23, 2017
হিমু সিরিজের একটা উপন্যাস। এর কোন বিশেষত্ব আমার চোখে পড়ে নি। হিমু ‍সিরিজের অন্য বইগুলোর তুলনায় বইটি অনেক নিন্ম মানের। র‌্যাব সেই সময়ের খুবই আলোচনার বিষয় ছিল। সেই বিষয়টাকে কাজে লাগিয়েছেন লেখক কোন রকমের দায়বদ্ধতার ধার না ধরেই ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে। কাহিনীটা আমার কাছে নিতান্তই ছ্যাবলামো মনে হয়েছে। হিমু ‍সিরিজের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট স্বাভাবিক ঘটনার জন্য হিমুকে অলৈকিক ভাবে। এই উপন্যাসে সেরকমটি আছে। র‌্যাব সদস্য তার অসুস্থতার জন্য হিমুকে কারন মনে করে। এই ধরনের একটা আমাদের সমাজে আছে তবে লেখক এমন ভাবে উপস্থাপন করেছেন যে, এটা হিমুর বেলাই শুধু ঘটে। এই একটা মোহময়তা হিমু সিরিজের প্রধান হাতিয়ার। হিমুর অনেক কার্যকলাপই নৈতিকতা বিরোধী।

এই বইটি আমার কাছে অপসাহিত্য মনে হয়েছে। তবে হিমু ‍সিরিজের দুএকটা বই অসাধারন। এই বইটা চাইলে আপনি এড়িয়ে যেতে পারেন। তবে পড়লে এক বার মন্দ লাগবে না।
Profile Image for আহসানুল শোভন.
Author 39 books91 followers
December 14, 2021
হিমু ধরা পড়েছে র‍্যাবের হাতে। র‍্যাব তাকে ধরেছে বিনা কারণে। যথারীতি র‍্যাবের হেড কোয়ার্টারে বসে কিছু ভবিষ্যতবাণী আর ভেলকি দেখিয়ে হিমু কাবু করে ফেললো র‍্যাবের বেশ ঝানু অফিসারকে। হিমু ছেড়ে দেবার পরও তারা একজন গুপ্তচর লাগিয়ে রাখলো হিমুর পেছনে।

হিমুর আরও একটি অ্যাভারেজ বই। পড়তে খারাপ লাগেনি, তবে উল্লেখ করার মতো কিছু না।
Profile Image for Asim Nondon.
Author 1 book10 followers
November 29, 2025
প্রথম কথা হচ্ছে, একটা বিশেষ মহল হুমায়ূন আহমেদ'কে 'সস্তা-বাজারি' লেখকের তকমা দিয়ে থাকেন। যেহেতু হুমায়ূন আহমেদ হাস্যরস'কে উপজীব্য করেই বেশিরভাগ লেখা লিখেছেন এবং তাঁর লেখায় বাক্যের বিন্যাস খুবই সরল তদুপরি গল্পের ঘটনাবিন্যাসও অনেকটা সংলাপধর্মী। তাই তাঁকে অ-সিরিয়াস লেখক বলে এক শ্রেণির লোক আনন্দ পায়।

যারা এতে আনন্দ পায়, তাদের জন্য শুভ কামনা। ভালোবাসা জানবেন আপনারা।

বাস্তবসম্মত ভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, হুমায়ূন আহমেদ একজন তুমুল জনপ্রিয় লেখক। মৃত্যুর ১ যুগ পরেও তিনিই বেস্ট সেলার! কিন্তু কেন?

সরলবাক্য, হালকামেজাজ এবং সুখপাঠ্য হবার কারণেই তিনি এখনও তুমুল জনপ্রিয়। বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশে যখন বইয়ের পাঠক খুঁজে পাওয়া দায়! তখনও হুমায়ূন আহমেদের পাঠক বর্তমান আছে। তা কেবল বক্তব্যের সহজ সরল বিন্যাসের জন্যই।

এবার আসি 'হলুদ হিমু কালো র্যাব' প্রসঙ্গে।

বইটা যখন প্রকাশ পেয়েছে তখন বিএনপি শাসনামল। দেশে RAB নামের নতুন এলিটফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই এলিট ফোর্সের তখন প্রধান কাজ ছিল জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিচারবহির্ভূত এনকাউন্টারে খতম করা। তেমন কোনো জবাবদিহি'র বালাই ছিল না। একাউন্টারের তখন ১টি নাটুকে নাম দেয়া হয়েছিল। ক্রশফায়ার!!

হুমায়ূন আহমেদ তখন এই বইটা লিখেছেন। এবং তাঁর হালকা মেজাজের ঠাট্টার মধ্য দিয়ে বেশ কিছু সরল প্রশ্ন রেখেছেন সমাজের কাছে।

অন্য দিক থেকে বলা যায়, হিমু চরিত্রটা লেখকের এক ভীষণ জনপ্রিয় প্রোটাগনিস্ট। অনেকে বলে থাকে কবি ও লেখক 'ব্রাত্য রাইসু'র ক্যারেক্টারের অনেকটা ছাপ হুমায়ূন আহমেদের হিমু চরিত্রে ছায়া ফেলেছে! অবশ্য এর সত্যতা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। কেননা ব্রাত্য রাইসুকে আমি কেবল সোস্যাল মিডিয়াতেই দেখেছি। তাতে ১জন মানুষের চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে খুব অল্পই জানা যায়। রাইসু'র লেখা থেকে শুধু জানতে পারি, তিনি বড়লোকদের বন্ধু হতে চান। এবং ক্ষমতাধরদেরও বন্ধু হতে চান। সত্যিই চান কিনা জানি না! তবে যদি রাইসু সত্যিই বড়লোক এবং ক্ষমতাধরদের বন্ধু হতে চান, তবে তার মাঝে হিমুভাব অল্পই হয়তো আছে!

হিমু সত্যিকার অর্থেই টিনএজ বয়সীদের জন্য একরকম সংক্রামক চরিত্র। যখন টিনএজে ছিলাম, তখন হিমু'র গল্প পড়েই হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে চপ্পল পায়ে হাঁটতে বেরিয়ে যেতাম!

তো হুমায়ূন আহমেদ হিমুসিরিজের বইয়ে RAB'কে Adopt করলেন!! লেখায় রাজনীতির ব্যাপারে হয়তো তিনি কোনো রকম তাত্ত্বিক ধ্যানধারণা প্রয়োগের পক্ষপাতী ছিলেন না। তাই তাঁর অস্ত্র ছিল হাস্যপরিহাস! যেহেতু সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহ'কে উপজীব্য করে তিনি এই গল্প ফেঁদেছেন, তাই তাঁর লেখার এক অংশে আমরা এমন বক্তব্যের সন্ধান পাই, যা তাঁর রাজনৈতিক সচেতনতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়।

তিনি এই বইয়ের এক অংশে বলছেন। পত্রিকার নানা খবরের উছিলায় হিমু খবরে দেখে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশে এসেছেন। তাই দেখে হিমু বলছে, খালেদা জিয়া'র ছেলে তারেক রহমান যদি রাজনীতির মাঠে নেমে থাকেন তবে অবশ্যই জয়কেও নামতে হবে। এবার হবে পুত্রে-পুত্রে লড়াই! যা ���দতেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা! এবং বর্তমানে সেরকম দিকেই তো আমাদের দেশ ধাবিত হয়েছে! আর পরিবারকেন্দ্রিক রাজনৈতিক বাস্তবতা ভেঙে তো আমাদের দেশ পূর্ণ গণতন্ত্রে প্রবেশ করতে পারেনি। তার উপর রাজনৈতিক দলের রাজনীতিও যে সময়-অসময়ে সামরিক জান্তাদের হাতে তুরুপের তাসে পরিণত হয়, তা আমরা সবাই জানি।

আর এই ধরনের বাস্তবতার কথাই হুমায়ূন আহমেদ তাঁর লেখায় সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির মুখের বয়ানে তুলে ধরেছেন। তাঁর এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির বয়ানই তাঁকে সবচেয়ে বেশি পাঠকের নিকটে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।

বাঙাল আদতে মূর্খের জাত! বই পড়ায় এজাতের দারুণ অনাগ্রহ। সেই অনাগ্রহ'র বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে হুমায়ূন আহমেদ যে সরলবাক্য এবং সংলাপধর্মী বৈশিষ্ট্যের পথে এগিয়ে ছিলেন, তা তাকে নিজস্ব পাঠক তৈরিতে সফল করে তুলেছে। এখনও যারা বই পড়ে না। কোনো দিন পড়েনি। তাঁকে আমি সবসময়ই পরামর্শ দেই হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ার! মানে হুমায়ূন আহমেদ দিয়ে শুরু টা তো করুক! তারপর যদি হুমায়ূনে নেশা ধরে তবে সেই বইপড়ার মাদকতাই পাঠককে পথের সন্ধান মিলিয়ে দেবে!
Profile Image for Mahadi Hassan.
129 reviews11 followers
November 27, 2023
বহুদিন বাদে আজ পড়া হচ্ছিল "হলুদ হিমু, কালো র‍্যাব"। মনে আছে, আগের পড়ার সময় এটা "বাজে হিমু"র সবচেয়ে বাজেতর লেখা হিসেবে ভেবেছিলাম। অথচ এই বইটায়, র‍্যাবের প্রায় জন্মকালীন সময়ে র‍্যাবকে নিয়ে এমন তীব্রভাবে স্যাটায়ার করা হয়েছে, ক্রসফায়ার আর অস্ত্র উদ্বার অভিযানের কথা এত শ্লেষাত্মক ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যেটা বোধহয় এক হুমায়ূন আহমেদ, আর দুই হিমুর আজব কান্ডকারখানা মাধ্যমে বলা হয়েছে বলেই লেখক কোন ধরনের চাপে পড়েন নি। কেউ তেমন সিরিয়াসলিও নেয় নি।

এরকম হাসতে হাসতে হালকা ভঙ্গিতে ফাজলামোর আলোকে যে প্রতিবাদটুকু করা হয়ে গেলো, এটা সিরিয়াস ভঙ্গিতে আর কোন লেখক করতে পারতেন কি না, বা করার সাহস ছিল কী না, সেটা নিয়ে ভাবনার যায়গা আছে।

অনেকে এসব কথাকে আঁতলামিও ভাবতে পারেন, হয়তো আমিই বিন্দুতে সিন্ধু দর্শন করছি।

তবে, নির্দিষ্ট সময় বিরতিতে, নিজের ভিন্ন ভিন্ন বয়সে, একই বই সম্পর্কে পাঠ অভিজ্ঞতা যে ভিন্ন ভিন্ন হচ্ছে (এবং এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক) এটা উপলব্ধি করতে পেরে বেশ আনন্দ হচ্ছে।

জীবনের সব পড়া বই যদি এভাবে বারবার পড়ার মত সুযোগ থাকতো!
Profile Image for A.H. Anha.
53 reviews3 followers
June 6, 2025
একদিকে হিমুর সহজাত সাদামাটা, এলোমেলো জীবনযাত্রা—হলুদ পাঞ্জাবি, খালি পায়ে রাস্তায় হাঁটা। আর অন্যদিকে র‍্যাব—শৃঙ্খলা, অস্ত্র, নিয়ন্ত্রণ এবং ভয়। এই দুই জগত একসাথে আসতে পারে?

হুমায়ূন আহমেদ এই বইতে ব্যঙ্গ, বাস্তবতা এবং দর্শনের এমন এক চমৎকার মিশেল সৃষ্টি করেছেন, যেখানে হিমুর ভাবজগৎ মুখোমুখি হয় রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের প্রতিনিধিদের।
র‍্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর হিমুর নির্লিপ্ত আচরণ, প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া, কিংবা জীবনের অদ্ভুত যুক্তিগুলো—সব মিলিয়ে এই উপন্যাসে রয়েছে একধরনের হাস্যরসের গভীরে লুকানো গম্ভীরতা।

“যাদের চোখে শুধু আইন, তারা কোনোদিনই দেখতে পায় না কবিতা। আমি কবিতা।”

র‍্যাবের জেরা, রাষ্ট্রের সন্দেহ, এবং হিমুর সেই নির্লিপ্ত হাঁসিটা—সবই যেন বাস্তবের ভেতর দার্শনিক প্রতিবাদ। এই বইতে হিমু শুধু হিমু নয়, একটা প্রতীক—যে সমাজের কাঠামোর বাইরে থেকেও প্রশ্ন তোলে, বিব্রত করে, আবার আপন করে নেয়।
Profile Image for Saiful Islam Musa.
20 reviews
December 25, 2024
পুরুষ মানুষকে চোখে চোখে রাখতে হয় চোখের আড়াল হলে এরা অন্য জিনিস, এরা হলো দড়িতে কুটির সাথে বেঁধে রাখার বস্তু দূর যতদূর পর্যন্ত ছাড়া হবে এরা ততদূর পর্যন্ত চরে বেড়াবে এর বাইরে যাবে না।
- হুমায়ুন আহমেদ
Displaying 1 - 30 of 89 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.