Jump to ratings and reviews
Rate this book

Humayun Ahmed (Chronological List) #213

লিলুয়া বাতাস

Rate this book
Books contents are arriving very soon. Keep watching this Marketplace for your desire books and enrich your collection.

120 pages, Hardcover

First published February 1, 2006

22 people are currently reading
641 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

456 books2,912 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
242 (17%)
4 stars
447 (32%)
3 stars
462 (33%)
2 stars
159 (11%)
1 star
63 (4%)
Displaying 1 - 30 of 51 reviews
Profile Image for Mehedi  Hasan Mahfuz.
172 reviews27 followers
April 19, 2023
হুমায়ূন প্রেমিকরা কোনোদিন বড় হয় না। ভিজে চিড়ার মতন চোখের আদ্রতায় ভেজা মন নিয়ে বলে উঠে,
আহারে কি লিলুয়া বাতাস!

অনেকদিন পর হুমায়ূন পড়লাম। আগের চেয়ে একটুখানি বড় হওয়া সত্ত্বেও মনে থাকে না, আগের মতন ই চোখে বাষ্প জমে!
Profile Image for Ashikur Rahman.
13 reviews25 followers
June 13, 2018
লিলুয়া বাতাস’ বইটা আমার মনে হয় হুমায়ূন আহমেদের লেখা সবচেয়ে কম পঠিত বইগুলোর মধ্যে একটা। অবশ্য কম পঠিত হওয়ার বিশেষ কারণও আছে। এই বইটা অতি সাধারণ একটা গল্পের প্লটে সাজানো, এতে মনে ধরার মত কোনো বিশেষ ক্যারেক্টারও নেই! তবে বইটা আমার কাছে অনেক স্পেশাল। কারণ এটা আমার পঠিত প্রথম হুমায়ূন উপন্যাস। আর কাকতালীয়ভাবে এই গল্পের মূল চরিত্র যাকে বলা যায়, এই গল্পের ন্যারেটর বাবলু, সে সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেয়া একজন ছাত্র আর আমি যখন প্রথম এই বইটা পড়ি তখন আমিও সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেয়া ছাত্র ছিলাম। প্রথম কোন বই (পাঠ্যপুস্তকের বাইরে) পড়ছিলাম তাই থ্রিল ছিলো অনেক! এক রাতেই (সারারাত জেগে) পড়ে শেষ করে ফেলি! কিন্তু সেই থ্রিল আর ধরে রাখতে পারি নি! :( সেই এক রাতের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আগ পর্যন্ত সময়টায় আর কোনো বই পড়া হয়নি! প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম বইটার কথা, কিছুদিন আগে মাথায় প্রশ্ন জাগলো আমি সর্বপ্রথম কোন বইটা পড়েছিলাম? পরে অনেক ভেবে মনে পড়লো এটার কথা। তাই আরেকবার পড়ে নিলাম। সে যাক, ব্যক্তিগত ইতিহাস অনেক হলো। গল্পে আসা যাক।

যেরকমটা আগেও বললাম, গল্পটা অতি সাধারণ একটা উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবার কেন্দ্রিক। তবে গল্পটা সাধারণ হলেও হুমায়ূন আহমেদ স্যার অত্যন্ত চমৎকারভাবে গল্পটিকে সাজিয়েছেন। অবশ্য আপনারা সবাই আমার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি হুমায়ূন-রচনা পড়েছেন, তাই আপনাদের কাছে এটা নতুন কিছুই না! :P এরকম গল্পে প্রধান চরিত্র খুজে পাওয়া বেশ দুষ্কর ব্যাপার তবে, গল্পের ন্যারেটর বাবলুকেই প্রধান চরিত্র বলা চলে। গল্পটা তারই পরিবারের। সেখানে রয়েছেন তার বাবা, মা, বড়ভাই, ফুপু, বড় খালা এবং বড় খালার পালক সন্তান।

বাবলুর বড় খালা স্বামীর মৃত্যুর পর কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে যান। মাঝে মাঝেই তিনি তার ঘরে ভূত দেখেন, আর গরম একদম সহ্য করতে পারেন না! তার কাছে তার মৃত চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট স্বামীর রেখে যাওয়া অঢেল সম্পত্তি আর টাকা-পয়সা। এই টাকা আত্মসাৎ করার লোভে বাবলুর বাবা মাজেদা বেগমের (বাবলুর বড় খালা) সাথে খুব ভালো ব্যবহার করেন, এবং মাসে দু-তিনটা ব্যবসায়ের প্রস্তাব নিয়ে যান। বাবলুর বাবাকে তার পরিবারের ভেতরে ও বাইরে কেউই পছন্দ করে না তার টাউটামি স্বভাবের কারণে। বাবলুই শুধুমাত্র তাকে মন থেকে ভালোবাসে। এক শ্রেণির লোক আছে যারা জানে কম কিন্তু জ্ঞান দিতে আসে খুব, বাবলুর বাবাও ঠিক সেরকম।

বাবলুর মা ঝি-পেটানো সাধারণ একজন গৃহিণী যিনি খুব গুছিয়ে কাঁদোকাঁদো গলায় তার কষ্টের কথা বলতে পারেন, এবং কষ্টের কথা বলা শেষ হয়ে গেলে স্বাভাবিক হয়ে যান। বাবলুর বড়ভাই আতেল ধরনের ছাত্র, বোর্ডস্ট্যান্ড করা এবং ফিজিক্সে অনার্স পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস সেকেন্ড। বাবলুর ফুপু চির-ইন্টারের ছাত্রী। অভিনয় তার প্যাশান যদিও অভিনয়ে সে বকলম, ইদানীং সে একটা মেগা সিরিয়ালে নায়কের বাড়ির কাজের মেয়ের রোল পায়। কিন্তু কাজের মেয়ের রোল শুনতে বাজে দেখাবে বলে সবাইকে বলে বেড়ায় নায়কের বাড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট। সেই রোল পেতেও পরিচালক মুকুলের সাথে তার দৈহিক সম্পর্কে জড়াতে হয়।
বাবলুর সাথে সবচেয়ে বেশি খাতির যার, সে হল তার বড় খালার পালক ছেলে জহির। সেও কোনো এক সময় তুখোড় ছাত্র ছিলো, কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর মাজেদা বেগম তার পালক ছেলে জহিরের খরচ চালানোর ব্যাপারে সাফ অস্বীকৃতি জানায়। এতে আস্তে আস্তে জহির খুব গম্ভীর হতে হতে ক্রিমিনাল পর্যায়ে চলে যায়।

বাবলুর একটা ব্যাপার হলো সে সব কিছুকে খুব পজিটিভলি নেয়, কোনো কিছুতেই কখনও ওভার-রিএক্ট করে না, তাই বলে একদম গা ছাড়াও না। সে কাউকে কিছুতেই না বলতে চায় না।

গল্পটা মোড় নেয় যখন বাবলুর মা এবং ভাই আবিষ্কার করেন যে বাবলুর বাবা গোপনে আরেকটা বিয়ে করেছেন এবং সেই ঘরে আরেকটা ছোট্ট মেয়ে সন্তানও আছে। স্বাভাবিকভাবেই বাবলুর মা তার স্বামীকে ঘৃণা করতে শুরু করেন এবং নিজের সর্বস্ব দিয়ে স্বামীর অমঙ্গল কামনা করেন।

বাবলু তার বাবার ভাড়া করা বাড়িতে যায় এবং ঘটনার সত্যতা আবিষ্কার করেও খুব স্বাভাবিক আচরণ করে, তার সৎ বোন যুথির সাথে একদম আপন ভাই সূচক আচরণ করে।

এদিকে জহির তার ক্রিমিনাল মানসিকতা চরিতার্থ করে ফেলে আর তার ফুপুর পরিচালক মুকুলের সাথে দৈহিক সম্পর্কের ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়।

এভাবেই প্রথমদিককার মোটামুটি সুখি দেখতে একটা সাধারণ পরিবার আস্তে আস্তে নিমজ্জিত হতে থাকে......
Profile Image for Nahiyan Asadullah.
110 reviews26 followers
September 8, 2015
প্রতিটা গল্পেই দুচোখে দেখতে ইচ্ছা করে না এমন কিছু চরিত্র থাকে। বাব্লুর বাবা হল সেরকম বিরক্তিকর একটা চরিত্র।
Profile Image for Dipankar Bhadra.
653 reviews62 followers
April 2, 2019
অতি সাধারণ গল্পকেও তিনি( হুমায়ুন আহমেদ) উপস্থাপনার গুণে অসাধারণ করে তোলেন। এই গল্পের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সেজন্য গল্পে নতুনত্ব না থাকা সত্ত্বেও পড়তে গিয়ে বিরক্তি আসেনি। কিন্তু মুশকিল টা হলো গল্পটা শেষ হবার পর। কেন? একটা উদাহরণ দি তবে.. ধরুন কোনো একটা কাজ করতে গেলে নানা সমস্যার সন্মুখীন হতে হবে জেনেও আপনি কাজটা করে গেলেন শুধুমাত্র এই আশায় যে দিনের শেষে মুখে হাসি ফুটে ওঠার মতো কিছু একটা পাবেন। কিন্তু কপালে বাতাসাও জুটলো না. কেমন লাগবে.. আমারও ঠিক সেরকমই লাগছে... । যদিও এখানে দোষটা লেখকের নয় আমার নিজের.. দুঃখের পর যে সুখ আসবেই তা তো তিনি একবারও বলেননি..
Profile Image for Nayema.
3 reviews1 follower
January 15, 2025
কতদিন পর যে একটা বই শেষ করলাম! শান্তি লাগছে। এমন ব্লকে পড়েছি যে কিছু পড়ে আগাতেই পারছিলাম না। হুমায়ূন সবসময়ই ব্লক কাটাতে উপকারী।

বইটা শুরু থেকেই বিরক্তিকর লাগছিল। শুধুমাত্র শেষটুকুর জন্য তিন তারকা দিলাম। বইয়ের সবচে প্রিয় দৃশ্য যূথী এবং বাবলুর একসাথে বার্গার খাওয়া!
Profile Image for Nazia Disha.
42 reviews16 followers
July 18, 2021
বই: লিলুয়া বাতাস
লেখক: হুমায়ূন আহমেদ
ধরণ: সমকালীন উপন্যাস
পৃষ্ঠা:১২০
প্রকাশিত:২০০৬
রেটিং:৪/৫

কাহিনী সংক্ষেপ:

এই উপন্যাসের গল্পকথক হলো বাবলু। সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মূলত পুরো বই জুড়ে বাবলু তার পরিবারের গল্পই বলেছে।

বাবলু তার মা-বাবা,বড় ভাই,ফুপু,বড় খালা ও বড় খালার পালক ছেলে জহির ভাই সবাই একসাথে থাকে। বাবলুর বড় খালুর মৃত্যুর পর থেকে বাবলুর বড় খালা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেছে এবং জহির কে পড়াশোনার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। জহির মেধাবী থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনা শেষ পর্যন্ত করতে পারে না এবং পরে একজন বড় ক্রিমিনাল হয়ে যায়। বাবলুর বড় খালুর মৃত্যুর পর বাবলুর বাবা বাবলুর বড় খালা ও জহিরকে তাদের বাড়িতে নিয়ে এসেছেন মূলত অর্থলোভের কারণেই। এ বাড়ির কেউই বাবলুর বাবাকে পছন্দ করে না,তার টাউট স্বভাবের জন‍্য কিন্তু বাবলু তার বাবাকে খুব ভালোবাসে।
বাবলুর বড় ভাই খুবই ভালো ছাত্র। আর বাবলুর মা নিজের দুঃখের কথাগুলো খুব গুছিয়ে কাঁদো কাঁদো স্বরে বলতে পারেন। আর তার ফুপু ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্রী এবং অভিনয় করার খুবই ইচ্ছা যদিও সে অভিনয়ের কিছুই জানে না তবুও সে একটি মেগা সিরিয়ালে কাজের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছে।

কাহিনী অন‍্য দিকে মোড় নেয় যখন বাবলুর মা ও বড় ভাই জানতে পারে যে, বাবলুর বাবা অন‍্য একজন মেয়েকে বিয়ে করেছেন এবং তাদের একটি মেয়ে সন্তান ও আছে। তারপর বাবলুর মা বাবলুর বাবার নামে মামলা করেন এবং বাবলুর বাবার ৬ বছর জেল হয়।

এভাবেই কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে.....

পাঠপ্রতিক্রিয়া: উপন‍্যাসটিতে গল্পকথক বাবলুর ব‍্যাপারে ঐরকম কোনো তথ্য ছিল না। শুধু সে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে এই পর্যন্তই, এসএসসির রেজাল্ট কী হলো বা অন্য কোনো তথ্য নেই। শুধু বাবলুর পরিবারের ব‍্যাপারেই লেখা। আর আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করলাম যে,বাবলুর মা এবং বাবলুর বড় খালা এই দুই বোনের মধ্যে কোনো কথপোকথন ও হয়নি। উপন‍্যাসটির এ দুটো ব‍্যাপার ভালো লাগেনি। আর 'লিলুয়া বাতাস' বইটির অডিও বুক ও আছে, যেটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। যাদের অডিওবুক পছন্দ তারা কিন্তু ইউটিউবে 'লিলুয়া বাতাস' বইটির অডিওবুক পেয়ে যাবেন।
Profile Image for Subah Sadika.
3 reviews1 follower
Read
November 7, 2022
খুবই স্বভাবজাত হুমায়ুন আহমেদ-লাইক একটা বই। কিছু বলার মতন ভাষা থাকেনা এসব বই পড়ার পর। খুব তাড়াহুড়ো করেছি শেষের দিকে এসে। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে অন্যের বই ধার করে পড়লে দাগানো যায়না, এই জিনিসটা আমাকে বড়ই অস্বস্তি দেয়। এই বইতেও অনেক গুলো লাইনে এসে আমার মনে হয়েছে আমার এসব লাইনে বারবার ফিরে আসতে হবে, দাগাতে পারিনি। তবুও এক অর্থে আবার ফিরতে পারবো। ফিরবো। উপরন্তু আরো একটা দারুণ ব্যাপার এই ভদ্রলোকের লেখার হলো, এক বই ইন্টারভাল দিয়ে কয়েকশ বার পড়া যায় কোনো রকম ক্লান্তি ছাড়া। এই লেখাটা রিভিউ কম হাবিজাবি আলাপ বেশি হয়ে গেলো..তবে যা শুরুতে বলেছি, রিভিউ লেখা খুব কঠিন - ইমিডিয়েটলি তো আরো বেশি। এক লাইনে হাসিয়ে ঠিক পরের লাইনে দীর্ঘশ্বাস ইনট্রিগ করার মত ক্ষমতা হুমায়ুন আহমেদ সাহেবের আছে। আর এই ক্ষমতা বারংবার মুগ্ধ আর হতবাক করে যায়।
Profile Image for Afsana.
60 reviews32 followers
January 1, 2018
i read this book when i was around ten years old, and then several times growing up. The book portrays human nature and a teenagers way of thinking amidst real life situations very beautifully. Boi ta porte porte mone amar akhn mone hoy bablu real life character, r bablur abbu akhono juthi r or ammu k khuje.
Profile Image for Mubtasim  Fuad.
318 reviews41 followers
March 20, 2025
দীর্ঘদিন কোন হুমায়ূন পড়া হচ্ছিল না। আজ হঠাৎ করে মনে চাইল তাই গুডরিডসে খুঁজতে শুরু করি, ওনার লেখা মেক্সিমাম বই আমার পড়া শেষ এজন্য যেগুলো পড়া বাকি সেগুলা খুঁজতে একটু প্যারা খাওয়া লাগে, এক জীবনে এত বেশি লিখে গেছেন যা এলোপাতাড়ি পড়ার ফলে কোনটা পড়ছি আর কোনটা পড়ি নাই খুঁজতে গিয়ে ভালই সময় খরচ হয়। যাইহোক, খুঁজতে খুঁজতে চোখে বাঁধে এই উপন্যাসটি। "লিলুয়া বাতাস" কি সুন্দর নাম!!! ভাবছিলাম এত সুন্দর নাম যেহেতু অবশ্যই প্রেমের উপন্যাস হবে, যেখানে বইয়ের শেষ পাতায় গিয়ে প্রধান চরিত্রের হয়ত করুণ মৃত্যু হবে যা পাঠককে মানসিক ভাবে একদম দুমড়ে মুচড়ে দিবে। এটাই তো হুমায়ূন স্টাইল।
মনে ভালই এক্সপেক্টেশন নিয়ে পড়া শুরু করি। কিন্তু সত্যি বলতে উপন্যাসটার নামটাই সুন্দর, ভিতরে আহামরি কিছুই নাই। শক্তপোক্ত কোন কাহিনীর আবর্তন ছিল না। একটা পরিবারের গল্প। যেখানে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার করছেন। যেটা অবশ্যই একটা দোষের। তার বড় বড় সন্তান থাকতে এ কাজ অবশ্যই নেক্কারজনক। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে আরেক মেয়ে সন্তান হয়েছে। সে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথেই থাকে। একপর্যায় গিয়ে প্রথম স্ত্রী তার বিরুদ্ধে মামলা করে এবং তাকে জেল খাটানোর ব্যবস্থা করেন। কিন্তু লেখক আসলে এই স্থানে ঘটনাকে এমন ভাবে বর্ণনা করেছেন যে, আমরা প্রোটাগনিস্টের বাবার এই অন্যায় কার্যকলাপকে নিন্দা না করে বরং উল্টা তার প্রতি সহানুভূতি অনুভব করা শুরু করি। এবং প্রথম স্ত্রীর মামলা করা, তাকে জেলে ঢোকানো এসবকে ঘৃণা করতে শুরু করি। উদ্ভট এক ক্লাইম্যাক্স।
যাইহোক, আহামরি কিছুই না তবে সময় খারাপ কাটে নাই। এক বসাতে শেষ করার মতন ছিল। But Not recommended 😾
Profile Image for Nujhat Tabassum Tonny .
30 reviews41 followers
September 25, 2024
আগুনঝরা রোদ উঠেছে। কাক রোদ-বৃষ্টি নিয়ে মাথা ঘামায় না, আজ তারাও ছায়া খুঁজছে। কয়েকটা কাক কাঁঠাল গাছের ছায়ায় বসে ঝিমাচ্ছে। মাঝে মাঝে তাকাচ্ছে আকাশের দিকে। আকাশ নীল কাচের মতো ঝকঝকে। আকাশের দিকে তাকালে দৃষ্টি ঠিকরে আসে।

খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার, লু হাওয়ার মতো গরম হাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে হঠাৎ কোথেকে যেন শীতল হাওয়া এসে গায়ে লাগছে। যতবারই এই হাওয়া লাগছে ততবারই আমি চমকে উঠছি। রমজান মিয়া গামছা দিয়ে মুখে লেগে থাকা আমের রস মুছতে মুছতে বলল, এই যে ঠাণ্ডা হাওয়া হঠাৎ কইরা আহে, এই হাওয়ার নাম লিলুয়া বাতাস।

আকাশভরা জোছনা, ঘরে সুনশান নীরবতা, সিডিতে বাজছে হুমায়ূন আহমেদের লিলুয়া বাতাস। অথবা বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি, জানালা দিয়ে ঠাণ্ডা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে, ঘরে সিডিতে লিলুয়া বাতাস। আহারে, কী মিঠা লিলুয়া বাতাস।
Profile Image for Ashfaqur Rahman.
25 reviews3 followers
September 16, 2023
বই পড়ে উল্টো আরো মন খারাপ হয়ে গেল 😕
Profile Image for bookish beach.
12 reviews1 follower
April 21, 2021
I’ve never felt such strong emotions towards a Bangla book before. Granted I’ve only experienced short stories, mostly mysteries, and ended up not feeling particularly connected to the story, I’m still impressed.

‘Lilua Batash’ seems awfully similar to ‘The Perks of Being a Wallflower’, except it’s more raw, adds the special Bangladeshi touch, and there’s a lot to unpack. A skilfully crafted tale, that left me in tears.

We watch as Bablu grows up, and faces the world, tackling various family hardships. The drift between his parents, his father’s second marriage, his cousin’s criminal actions, his aunt’s scandal... we follow the lives of many different people through one book.

The story didn’t exactly end where we wanted it to, not everyone got the ending they should’ve had. But, that’s how life works. And that’s the whole point of this book.

I’m in love with the story, and the emotional impact it left will never be forgotten. Definitely a worthy read! Highly recommended!
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Rifat.
501 reviews328 followers
August 17, 2021
খুব সাধারণ কাহিনী। পড়তে গিয়ে মাঝে বিরক্ত হয়েছিলাম,ভাবলাম রেখে দেই ।পরে আবার ভাবলাম শুরু করেছি যখন শেষ করেই ফেলি। সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেয়া বাবলুর জবানীতে কাহিনীটি বর্ণিত। তার বাবার খামখেয়ালি পূর্ণ আচরণের কারণে কয়েকটি জীবন বিষণ্ন হয়ে ওঠে। খুব বিরক্তিকর লেগেছে এই বাবার চরিত্রটিকে।
তবে উপসংহারের কথাগুলো ভালো লেগেছে।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Jenia Juthi .
258 reviews64 followers
December 22, 2020
বাবলুর বড় খালা, মহিলাটা আসলেই মানসিক রোগী। এই মহিলাকে থাপড়াইতে ইচ্ছে করছে!
আর শেষটা চাইলেই খুব সুন্দর করা যেতো! মালতী, যূথী, জহির এদের জন্য খুব খারাপ লাগছে!!
Profile Image for আবদুল মতিন সোহাগ.
44 reviews5 followers
July 19, 2025
মাজেদা খালা ইদানিং ভূত দেখা শুরু করেছেন। মিথ্যা ভূত নয়— সত্যি ভূত। ভূতটা খালার খাটের নিচে থাকে। খালা ঝাড়ু পেটা করে সেই ভূত তাড়াতে চেষ্টা করেন। ভূত তাড়ানো হয়ে গেলেই খালা কাপড় খুলে রুমে এসি ছেড়ে হিন্দি সিরিয়াল দেখতে বসেন।

খালার গরম অনেক বেশি। এসির ঠান্ডায়ও চলে না। তাই তিনি বুকে কাপড় রাখতে পারেন না। সাত বছর আগে খালুজান রোড এক্সিডেন্টে মারা যান। তারপর থেকে খালার মাথায় গন্ডগোল দেখা দেয়। তখন খালা এবং তাদের পালকপুত্র জহিরকে বাবা আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন।

পৃথিবীতে কিছুকিছু মানুষ থাকে যাদেরকে কোনোরকম কারণ ছাড়াই ভাল লাগে— জহির ভাই তাদেরই একজন। জহির ভাইয়ের চেহারা রাজপুত্রের মতো। তিনি আমাদের বাড়িতে এখন আর থাকেন না। তিনি থাকেন 'দি ইমেজ' নামের এক ভিডিয়োর দোকানে।

একরাতে সেই দোকানের মালিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। জহির ভাইও গুলিবিদ্ধ হন।

কে করে গুলি?

জহির ভাইয়ের সাথে নিহিত ভিডিওর দোকান মালিকের স্ত্রীর কেন এতো মেলামেশা?

বড় ভাইয়ের মারফত মা জানালো যে, বাবা অন্য কোথাও আরেকটি বিয়ে করে সংসার করছেন। একরাতে আমাকে পাঠাল তাদের খোঁজ নিতে এবং ঘটনা সত্যি! মা, বাবার নামে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করে দেন। বাবার ছয় বছরের জেল হয়ে যায়!

নীলা ফুপি নাটকে ছোট-খাট অভিনয় করেন। সেই সূত্র ধরে প্রডিউসার মুকুল সাহেবের সাথে উনার পরিচয়। নীলা ফুপি খানিকটা বোকা ধরনের মেয়ে। নীলা ফুপির সরলতার সুযোগ নিয়ে মুকুল সাহেব ফুপির সাথে অশ্লীল কাজ করে এবং কীভাবে যেন সেই কাজের ভিডিয়ো বাজারে চলে আসে। সেই দুঃখে এক রাতে ফুপি অনেকগুলো ঘুমের বড়ি খেয়ে ফেলে!

তারপর অনেক দিন কেটে যায়। কী হয়েছে তারপর আপনারা কি জানেন? জহির ভাই কোথায় পালিয়ে গেল? বাবার নতুন স্ত্রীর খবর জানতে চান? নীলা ফুপির তারপর কী হয়েছিল? মুকুল সাহেব কি কোনো শাস্তি পেয়েছিল? জেল থেকে ছাড়া পাবার পর কী হয়েছিল বাবার? জানতে চান?

সহজ সাবলীলভাবে গল্প বলার ক্ষমতায় হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন অদ্বিতীয়। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস মানেই বুক চাপা কিছু হাহাকার আর চোখ ভিজে আসা কিছু অনুভূতির নাম। লিলুয়া বাতাসও এর ব্যতিক্রম নয়।

হুমায়ূন স্যারের শেষের দিকে লেখা ছোট পরিসরের আর সব বইয়ের মতো এই বইটিও অসাধারণ একটি বই।

দীর্ঘদিন ধরে যারা রিডার্স ব্লকে ভুগছেন কিংবা ছোট পরিসরের কোন বই পড়তে চাইছেন, তাঁদের জন্য লিলুয়া বাতাস টনিক রূপে কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস। ❤️

পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।
Profile Image for Muniad.
18 reviews
May 13, 2025
লিলুয়া বাতাস পড়া শেষে আমার মনে হয়েছে, এটি এক ধরনের “মুড বই”। মানে, কোনো এক নির্দিষ্ট আবহে পড়লে অসাধারণ লাগে, কিন্তু সব সময় সেই অনুভব ধরা দেয় না। হুমায়ুন আহমেদের লেখা বরাবরের মতোই সহজ, প্রাঞ্জল আর পাঠকবান্ধব। তবে এই বইটি পড়তে গিয়ে ভালো লাগার পাশাপাশি কিছু জায়গায় খটকা লেগেছে, যেটা একজন সাধারণ পাঠক হিসেবেই বলছি।

সবচেয়ে বড় শক্তি হলো বইয়ের ভাষা। সহজ শব্দ, সংক্ষিপ্ত বাক্য, অথচ হৃদয়ে গেঁথে যাওয়ার মতো প্রকাশ—হুমায়ুন আহমেদের এই গুণটা এই বইতেও পুরোপুরি পাওয়া যায়। বইয়ের নামের মতোই লেখার ঢংটা নরম, বাতাসের মতো।
এই বইয়ের গল্পগুলো খুব দৈনন্দিন—প্রেম, পারিবারিক টানাপোড়েন, মনের জটিলতা, ছোটখাটো আবেগ। কিন্তু সেই দৈনন্দিনতাকেই তিনি এমনভাবে উপস্থাপন করেন, যেন সেটাই হয়ে ওঠে বিশেষ কিছু। সাধারণ মানুষদের নিয়ে লেখা হলেও কিছু মুহূর্তে চমৎকার সংলাপ আর পরিবেশ তৈরির কারণে পাঠক আটকে পড়ে।

৩. আবহমান বাঙালি আবেগ:
কিছু গল্পে গ্রামের মাটি, শহরের নির্জনতা, একাকীত্ব আর মায়ার এক মিশ্র অনুভব তৈরি হয়। এটি হুমায়ুন আহমেদের লেখার একটি পরিচিত স্বাদ, যা এই বইয়েও আছে।


সব গল্পেই কোনো না কোনো “হালকা ছোঁয়া” আছে, তবে কিছু গল্প এতটাই ক্ষণস্থায়ী আর হালকা যে পড়ার পর মনে দাগ কাটে না। যেন গল্প শুরু হলো, শেষও হয়ে গেল, কিন্তু অনুভূতির জায়গায় তেমন কিছু রেখে গেল না। বইটি পুরোটা পড়তে পড়তে একটা পর্যায়ে একটু একঘেয়েমি আসতে পারে। কারণ অনেক গল্পই একই ধাঁচের—মৃদু আবেগ, সংক্ষিপ্ত সংলাপ, একটা হালকা মোড়, আর হঠাৎ সমাপ্তি। যারা একটু বেশি জটিল প্লট বা মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন খোঁজেন, তাদের জন্য গল্পগুলো কিছুটা ফিকে লাগতে পারে।চরিত্রগুলো জীবন্ত হলেও তাদের বিকাশ বা গভীরতা কিছু গল্পে সীমিত মনে হয়েছে। অনেক সময় মনে হয়, এই চরিত্রকে আরেকটু জানলে ভালো লাগত। হঠাৎ শুরু, হঠাৎ শেষ—এই ভঙ্গিটা কিছু কিছু গল্পে অর্ধেক বলে থেমে যাওয়া অনুভব দেয়।

লিলুয়া বাতাস এমন একটি বই, যা হুমায়ুন আহমেদ-ভক্তদের জন্য অবশ্যই পছন্দের হবে। এর নরম অনুভূতি, সহজ ভাষা আর ক্ষণিক আবেগের ঝিলিক পাঠককে টেনে রাখে। তবে কেউ যদি গভীর নাটকীয়তা বা ভিন্নধর্মী গল্পের খোঁজে থাকেন, তবে হয়তো এই বই তার প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ নাও করতে পারে। তবুও, জীবনের ছায়া খুঁজতে চাইলে—এই বইয়ের পাতায় পাতায় সেই আলো-ছায়ার খেলা ঠিকই দেখা যায়।
Profile Image for এস ইমন.
20 reviews
April 18, 2021
লিলুয়া বাতাস। নামের মধ্যে তেমন আকর্ষণীয় কিছু নেই। অন্তত আমার কাছে লাগেনি। তাই হয়তো, এইটা এতদিন পরে আজকে পড়া। বই নিয়ে কিছু লিখব নাকি পড়ার পরের নিজের প্রতিক্রিয়া? তাই নিয়ে একটা এলোমেলো অবস্থায় আছি৷



বই নিয়ে দুই একটা কথা বলে নিজের প্রতিক্রিয়া চলে যাই।

বুকরিভিউঃ
বলতে গেলে তেমন আহামরি কিছুই নেই বইয়ের গল্পে। একটা পরিবারে বিভিন্ন দিকগুলো নিয়ে বিষদে নাটকীয় করণ।ঘটনার প্রবাহ গুলো খুবই দ্রুত।হুমায়ূন আহমেদ এর গল্পের ধরন, চরিত্র, ঘটনার আকস্মিকতায় কেউ পরিচিত না থাকলে এটা কখনই তার জন্য সাজেস্টেড নয়৷
তবে সার্থকতা বা ভালো কিছুই নেই তার মধ্যে তা না, এই বইটা এক বসায় শেষ করতে বাধ্য হতে হবে। পর্ব গুলো সেভাবে সাজানো। অত্যন্ত সুচতুর ভাবে কাজটা করা হয়েছে। এখানে কৃতিত্ব লেখকের। সংলাপে বাহুল্য থাকলেও অন্যান্য বর্ণনা ছিলো পরিমিত৷ একবারো মনে হবেনা এইখানের বর্ণনাটা না দিলেও চলত! সেদিক দিয়ে সুপাঠ্য।


এবার নিজের কিছু অনুভূতি/প্রতিক্রিয়া বলি,

বইটা পড়ে একটা বিষাদের অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে। "ভালো লাগেনি!" কিন্ত আচ্ছন্ন ভাবটা কাটাতে সময় নিতে হয়েছে/হচ্ছে।
যূথি চরিত্রের উপর মায়া জন্মাচ্ছে। ওদের খুজে পাওয়া যাবে কি না জানতে ইচ্ছে করছে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর।সম্ভব হবে না জানা৷ তোফাজ্জেল হোসেন খন্দকার অর্থাৎ বাবা চরিত্রটার উপর রাগ ঘৃণা কিংবা মমত্ববোধ আসা উচিত কি না সেইটা নিয়ে ও সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। এইখানে হুমায়ূন আহমেদ তার চিরায়ত জাদুর ছাপ ছেড়েছেন আমার মধ্যে।

যে জিনিস গুলো খারাপ লেগেছে,(নিতান্তই আমার কাছে)

প্রথমত, বাবলুও চরিত্রটার বয়স কম কিন্ত এর অবজারভেশন পাওয়ার অত্যন্ত চোখে লেগেছে।
দ্বিতীয়ত, শিয়ালমুত্রা চরিত্রটার সংলাপের দিকটা যাচ্ছেতাই মনে হয়েছে। তার জার্নিটা মূলত কনফিউজিং৷ চরিত্রটা আরো একটু বিল্ড-আপের দরকার ছিলো।
তৃতীয়ত, নীলা ফুপার চরিত্রটা আরো একটু কম বোকা বানানো উচিৎ ছিলো৷
Profile Image for Swarna.
16 reviews1 follower
December 9, 2023
অতি সাধারণ এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবার নিয়ে বর্ণিত এই কাহিনী। গল্পের বক্তা বাবলু সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেয়া একজন কিশোর। তার বাবা, মা, বড়ভাই, ফুপু, বড় খালা আর তার পালক ছেলে জহির কে নিয়ে তার পরিবার। বড় খালা মাজেদা বেগম তার স্বামীর মৃত্যুর পর বাবলুদের বাড়িতে এসে উঠে। বাবলুর বাবা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হয় যাতে মাজেদা বেগমের টাকা হাতিয়ে নিতে পারে, কিন্তু মাজেদা বেগম কখনোই তার ফাঁদে পা দেয় না। বাবলুর ফুপু অভিনয় জগতে পা রাখতে পরিচালকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। অন্যদিকে বাবলুর বড় ভাই পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র। পড়াশোনা শেষে তার দেশের বাইরে যাওয়ার ইচ্ছে। মাজেদা বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি জহিরের পড়াশোনার খরচ দিতে অস্বীকার করেন তাই তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়।
গল্পের নতুন মোড় আসে যখন জানা যায় বাবলুর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছে এবং একটা মেয়েও আছে। তা জেনে বাবলুর মা তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা করে। এভাবেই এগিয়ে যায় গল্পের কাহিনী।

পাঠ প্রতিক্রিয়া: গল্পটা খুব আহামরি কিছু মনে হয়নি, যতটা প্রত্যাশা ছিলো তা পূরণ হয়নি শেষ পর্যন্ত।
তবে যেটা ভালো লেগেছে তা হলো বাবলুর সব কিছুকে স্বাভাবিক ভাবে নেয়ার প্রবণতা।
Profile Image for আফরোজা আজাদ.
6 reviews8 followers
Read
October 14, 2021
গল্পটা সেভাবে শেষ হয়নি যেভাবে চেয়েছিলাম। সব গল্পই তো আর মন মতো সমাপ্তি পায় না।

গল্পের ন্যারেটর বাবলু। গল্পটা তার পরিবারেরই। পরিবারের বিভিন্ন জটিলতা, বাবা-মায়ের মধ্যকার দ্বন্দ্ব, বাবার দ্বিতীয় বিয়ে, নীলাফুফুর বোকামি, খালাতো ভাই জহিরের ক্রিমিনাল অ্যাকশন... ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের ভিন্ন ভিন্ন গল্প মিলে একটা গল্পে পরিণত হয়েছে।
বাবলু সব কিছুকে খুব পজিটিভলি দেখে। তার এই পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গির মধ্য দিয়ে তার বাবার দ্বিতীয় বিয়েটাকে যেভাবে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করা হয়েছে তা ভালো লাগে নি। কিন্তু তারপরও ভাবনায় চলে আসে মানুষটা বোধহয় একটু বেশিই শাস্তি পেয়ে গেছেন।
মালতী, যূথী, জহির, এমনকি বাবলুর বাবার জন্যও বেশ খারাপ লাগছে। কিন্তু কেন জানি না সবথেকে বেশি খারাপ লাগছে বাবলুর জন্যই।

খুব সাধারণভাবে শুরু হওয়া মোটামুটি সুখী দেখতে একটা পরিবারের সাধারণ গল্পটা কেমন করে যেন ওলোটপালট হয়ে যায়।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Mueed Mahtab.
344 reviews
April 13, 2021
অতি সাধারণ গল্পকেও তিনি( হুমায়ুন আহমেদ) উপস্থাপনার গুণে অসাধারণ করে তোলেন। এই গল্পের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সেজন্য গল্পে নতুনত্ব না থাকা সত্ত্বেও পড়তে গিয়ে বিরক্তি আসেনি। কিন্তু মুশকিল টা হলো গল্পটা শেষ হবার পর। কেন? একটা উদাহরণ দি তবে.. ধরুন কোনো একটা কাজ করতে গেলে নানা সমস্যার সন্মুখীন হতে হবে জেনেও আপনি কাজটা করে গেলেন শুধুমাত্র এই আশায় যে দিনের শেষে মুখে হাসি ফুটে ওঠার মতো কিছু একটা পাবেন। কিন্তু কপালে বাতাসাও জুটলো না. কেমন লাগবে? আমার সেরকমই লেগেছে... । যদিও এখানে দোষটা লেখকের নয় আমার নিজের.. দুঃখের পর যে সুখ আসবেই তা তো তিনি একবারও বলেননি..
Profile Image for Sajid Rahman.
18 reviews1 follower
April 9, 2024
ক্লাস ফোরে যখন রাজশাহী বেড়াতে যাই একবার। সরকারি গেস্ট্ররুমে গিয়ে উঠি।ফোন ছিল না, টেলিভিশন ছিল না। অচেনা অজানা জায়গায় স্বাভাবিকই কোন বন্ধুবান্ধবও ছিল না তাও আবার খাস শহুরে এলাকায়। গেস্টরুমের এরিয়ায় অনেকগুলো গাছ ছিল আর অনেক কাঠবিড়ালি।একটুও ভয় পেতো না।
তো হঠাৎ একদিন ঘুরতে ঘুরতে এক রুমে গিয়ে আস্ত এক লাইব্রেরি আবিষ্কার করে বসি। বই পড়ার অভ্যেস আগে থেকেই ছিল। কিছু করার না পেয়ে সেখান থেকেই এই উপন্যাস খানা বের করে পড়া শুরু করে দিলাম। এখন বুঝি বয়সের তুলনায় এই উপন্যাস মোটেই খাপ খায়নি আমার সাথে। তখন পড়ে যেরকম লেগেছিল সেই ভিত্তিতেই আমার এই রেটিং দেয়া।
জানি না এখন পড়লে কেমন লাগবে!
Profile Image for Biplob Baray.
27 reviews
September 12, 2023
"এই জগতের নিয়ম যত কম জানবি তত সুখে থাকবি।পিঁপড়া সবচে' কম জানে বলে সে মহাসুখে আছে।খাচ্ছে-দাচ্ছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পিঁপড়ার চেয়ে একটু বেশি জানে উইপোকা। উইপোকাকে কী করতে হয় ? আগুন দেখলেই তাকে উড়ে আগুনের কাছে যেতে হয়।উইপোকা যদি কম জানতো তাহলে তাকে আগুনে পুড়ে মরতে হতো না।"

--লিলুয়া বাতাস
--হুমায়ূন আহমেদ
Profile Image for Bibliography  With Urbee.
26 reviews4 followers
February 24, 2024
কি সুন্দর একটা লাইন " আহারে কি লিলুয়া বাতাস" ।
বই টা যেদিন পড়া শুরু করি সেদিন হালকা বৃষ্টি হয়, আর বৃষ্টির পর কি সুন্দর ঠান্ডা একটা হাওয়া। বই টা পড়া তখনো শেষ হয় তো নি। তবুও কেন জানি বারবার মনে হচ্ছিলো এই বুঝি সেই লিলুয়া বাতাস। মন জুড়িয়ে যাওয়া, হৃদয়ে প্রশান্তির পরশ এনে দেওয়া লিলুয়া বাতাস।

বড় হয়ে গেছি তবুও চোখের কোণ ভিজে উঠে কেনো হুমায়ূন পড়লে বুঝিনা।
Profile Image for Tasnim Z.
50 reviews55 followers
February 25, 2023
হঠাৎ করে আবিষ্কার করলাম হুমায়ূন সাহেবের এই বইটি পড়া বাকি আছে। অবচেতন মনেই পড়া শুরু আগে ভাবছিলাম ২৪ বছর বয়সে এসে নিশ্চয়ই আমি হুমায়ূন আবেশ থেকে মুক্ত হতে পেরেছি। আশ্চর্য ব্যাপার, আমি এখনো কাঁদছি!
Profile Image for Sitap Paul.
33 reviews2 followers
February 24, 2024
হুমায়ূন আহমেদের পারিবারিক গল্পগুলো অন্য মাত্রার। শঙ্খনীল কারাগারের মাধ্যমে শুরু করা লেখালেখি চোখ ভিজিয়েছিল পাঠকের, ভুলা মুশকিল। লিলুয়া বাতাসও তেমনই এক সৃষ্টি। প্রতিটা চরিত্রে এক না বলা হাহাকার মিশে আছে৷
Profile Image for Mahadi Hassan.
129 reviews11 followers
July 27, 2024
সেই পুরনো হুমায়ুন আহমেদ। পরিচিত মধ্যবিত্ত পরিবারের সুখ দুঃখ, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির বেদনা। সাদামাটা ক্লান্তির ভীড়ে তবুও মুকুল সাহেবের মত লোককে খাসি করা���োর মত জাদুবাস্তবময় সুখ স্বপ্ন, কখনও মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে আসে না বোধহয়। পুরনো সেই মধ্যবিত্ত বিষাদের সুর।

ভালো লেগেছে।
Displaying 1 - 30 of 51 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.