Jump to ratings and reviews
Rate this book

হিমু #15

আজ হিমুর বিয়ে

Rate this book
ফ্ল্যাপে লিখা কথাঃ
জীবন যখন ছিল ফুলের মতো
পাপড়ি তাহার ছিল শত শত !!
বসন্তে সে হ’ত যখন দাতা
ঝরিয়ে দিত দু-চারটি তার পাতা,
তবুও যে তার বাকি রইত কত!!
আজ বুঝি তার ফল ধরেছে, তাই
হাতে তাহার অধিক কিছু নাই।
হেমন্তে তার সময় হল এবে
পূর্ণ করে আপনাকে সে দেবে,
রসের ভারে তাই সে সে অবনত!!
------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর------

95 pages, Hardcover

First published February 1, 2007

124 people are currently reading
2052 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

456 books2,906 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
728 (21%)
4 stars
1,024 (30%)
3 stars
1,100 (32%)
2 stars
372 (10%)
1 star
169 (4%)
Displaying 1 - 30 of 109 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
December 15, 2021
মনে করুন আপনি সকালবেলার মানে কাকডাকা ভোরে একটা টেলিফোন পেলেন। আপনার অত্যন্ত আপনজন আপনার জন্যে পাত্রী নির্বাচন করে রেখেছেন - সেইদিনই রাত্রি ন'টায়। আস্তে আস্তে এও জানতে পারলেন পাত্রীর প্রবল অমত। কারণ, সে অন্য একজনকে ভালোবাসে এবং সে ড্রাগ-আডিক্ট। আপনি কী করবেন?

হিমুরও একই অবস্থা। রেনুর সাথে তার বিয়ে ঠিক। রেনূ যাকে বিয়ে করতে বদ্ধপরিকর তার নাম তূর্য, আপাতত সে জেলখানায়, রানুর সাথে প্রেম করার অপরাধে। মাজেদা খালার জন্যে হিমু, রেণু ও তূর্য - তিনজনেই অগাধ সমুদ্রে। খালু ও আছেন স্বমহিমায়, হিমুর বিয়ে আটকাতে তৎপর। আর আছেন ওসি, মকবুল, পচা বাবা - যারা হিমুর খামখেয়ালীর কাছে বিপর্যস্ত। আছে রেনুর মা, বাবা, ক্ষুর আসলাম - সব মিলিয়ে একদিনের কাহিনী - হিমুর ভাষায় এক মহান গিট্টু..
December 2, 2022
আজ হিমুর বিয়ে,পড়ে খুব একটা ভালো লেগেছে তা বলব না,আবার খুব খারাপ তাও না।
এভারেজ ছিল।
মাজেদা খালা মানে নেক্যামি আর উদ্ভট আচার-আচরণ যা দেখে সত্যি হাসি পায়।রেণু নামের মেয়ের সাথে হিমুর বিয়ে ঠিক করে ফেলেন এই মাজেদা খালা।
রেনু একটা ক্ষ্যাপা মেয়ে,যে কিনা হিমুকে সালা বলে সম্বোধন করে।হিমুর ভালো লাগে রেনুকে।
হিমুর কী সত্যি বিয়ে হচ্ছে তাহলে!!😇😇জানতে হলে পড়েই ফেলুন।🙃🙃
Profile Image for Rubell.
188 reviews23 followers
August 11, 2022
হুট করে আজ হিমুর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। প্রেডিকটেবল, হিমুর বিয়ে তো হুট করেই হবে। মেয়েটা কে? মেয়ের পরিচয় যাই হোক; সে মাথানষ্ট সুন্দরী। হিমুর সাথে যে মেয়েরই কোন ঠোকাঠুকি হবে, তাকে সুন্দরী হতেই হবে। তাকে দেখলে রবীন্দ্রনাথের
মুখের পানে চাহিনু অনিমেষে
বাজিল বুকে সুখের মত ব্যথা!

এই লাইনটার কথা মনে হবে। হুমায়ূন আহমেদের লেখাতে সুন্দরী মেয়ে এবং রবীন্দ্রনাথকেও ঘুরে ফিরে বারবার আসতেই হবে। যেমন এই ছোট উপন্যাসটাতে হিমু ঘুমিয়ে গেলেই তার রবীন্দ্রনাথের সাথে দেখা হয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথের সাথে আলাপচারিতায় হিমু জানাচ্ছে যে এখন তাঁর গানে Rap ঢুকে গেছে।

হিমুর উদাহরণ:
আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদরদিনে
জানি নে, জানি নে কিছুতে কেন যে মন লাগে না ॥

এরপর হবে Rap:
আজ বৃষ্টি। লাগবে খিচুড়ি
সঙ্গে ইলিশ। এক পিস বেগুন
ভাজা। খেতে মজা খেতে মজা...

বর্তমানে রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে যারা আজেবাজে কনটেন্ট তৈরি করছেন, হিমুর এই আইডিয়া তাদেরকে ইন্সপায়ার করতে পারে। হিমুর সাথে আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রবীন্দ্রনাথের আলাপ হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমা নাগাসাকিকে পারমাণবিক বোমা হামলা করেছিলেন, সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। হিমুর বিয়েতে বরযাত্রী হতে রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন হাজতে। তবে "হিমু কেন হাজতে" সেটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করার মত কিছু না। রেগুলার ঘটনা। হাজতে হিমুর দেখা হয়ে যায় ক্ষুর আসলামের সাথে। ক্ষুর আসলাম খুব শ্রদ্ধা করে হিমুকে, সে এখন হিমুর কথায় ভালো হয়ে যাবার চেষ্টা করছে,ক্ষুর চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। এখন সে ছোটখাটো ঠকবাজি করে। আমরা জানতে পারি মাতৃভাষার প্রতিও ক্ষুর আসলামের খুব ভালোবাসা আছে।

আইনের চোখে যারা ক্রিমিনাল, তাদেরকে হুমায়ূন এমনভাবে দেখান যে তাদের প্রতি একটা সহানুভূতি তৈরি হয়। কিন্তু যারা প্রভাবশালী নেতা, ব্যবসায়ী, বা যারা ক্রিমিনাল ধরার কাজে নিয়োজিত, তাদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ কিছুমিছু লিখে ফেলেন। অর্থাৎ ক্ষমতা যাদের বেশি, হুমায়ূন তাদেরকে অল্পস্বল্প খোঁচাতে পছন্দ করেন। উপন্যাস থেকে একটা অংশ কোট করি, পাকেচক্রে একজন নির্দোষ বিদেশি নাগরিক হিমুর সাথে সাথে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। হিমুর সাথে বিদেশি ভদ্রলোকের কথোপকথন চলছে:

আমাদের দেশে র‍্যাব নামের এক বস্তু আছে। এরা আসামি ধরে কিন্তু থানায় জমা দেয় না।

তারা কী করে?

তারা থানা কোর্ট হাজত এইসবের ঝামেলায় যেতে চায় না। মেরে ফেলে।

মেরে ফেলে মানে ?

কোনো একটা ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে বলে, তোমাকে ছেড়ে দিচ্ছি। দৌড় দাও। ঝেড়ে দৌড় দেবে। খরবদার পেছনের দিকে তাকাবে না। অপরাধী ঝেড়ে দৌড় দেয়, তখন পেছন থেকে গুলি।



আজ হিমুর বিয়ে প্রকাশ পেয়েছিল ২০০৭ সালে, ফেব্রুয়ারিতে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‍্যাবের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার, যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ র‍্যাব গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘন করা কর্মকাণ্ডে জড়িত। সেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যেন তুলে নেওয়া হয় সেজন্য বাংলাদেশ সরকার খুব চেষ্টা তদবির করে যাচ্ছে। আটটা মাস কেটে গেল, নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল আছে।

বাংলাদেশ সরকার বলছে র‍্যাবের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমারও মনে হয় এগুলো হিমুর উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা। যে লোক মনে করে রবীন্দ্রনাথ কালার ব্লাইন্ড ছিল বলে কোনদিন সবুজ রঙ দেখেননি, মৃত্যুর চার বছর পর হিরোশিমায় বোমা ফেলতে তিনি পৃথিবীতে ফিরে এসেছিলেন; তাকে অন্তত বিশ্বাস করা চলে না। তাই আজ হিমুর বিয়েকে সরকারিভাবে একটা তাৎপর্যহীন, হার্মলেস, কৌতুকপূর্ণ উপন্যাসই বলা যায়।
আমি ওভারঅল পড়ে মজা পেয়েছি।
3.49/5
Profile Image for A.r. Mueid.
4 reviews5 followers
Read
May 3, 2013
অসাধারণ একটি বই এর নাম আজ হিমুর বিয়ে।
Profile Image for Mobashir Rahman.
6 reviews13 followers
March 21, 2021
বরাবরের মতো হুমায়ূন আহমেদের বেশিরভাগ উপন্যাসের মতো 'আজ হিমুর বিয়ে' জঘন্য রকমের প্রেডিক্টেবল একটা উপন্যাস। পুরো বই হিমুর কিম্ভূত কর্মকান্ডে ভরপুর, সাথে টিপিকাল একগাদা কমেডিক রিলিফ। যেমন ধরুন, "ঘেতুল কি?", "ঘেতুল হলো বাঘা তেঁতুলের মা"। আবার ধরুন, হিমু বলছে, "আমার খাম্বিত হওয়ার প্রধান কারণ মেয়েটির রূপ। খাম্বিত মানে খাম্বার মতো হয়ে যাওয়া।" কিংবা ক্ষুর আসলামের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে দুনিয়ার অন্যতম ক্লিশে রিমার্কের মাধ্যমেঃ "ডারউইন সাহেবের থিওরি যে সত্য তা ক্ষুর আসলামের মুখ দেখেই বোঝা যায়। তার মুখ দেখতে অবিকল বেবুনের মতো"। বাংলাদেশী লেখকরা সাধারণত গল্পের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ বা চরিত্রের কায়িক বর্ণনা দিতে ভীষণ কার্পণ্য করেন। হুমায়ূন আহমেদের যেকোন লেখায় এরকম বর্ণনার অভাব ভীষণভাবে চোখে পড়ে।

উপন্যাসের আরেক জায়গায় হিমু মকবুল ড্রাইভারকে আইন্সটাইনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে এভাবেঃ "আল্লাহ পাকের বিধান বোঝার চেষ্টা না করাই ভালো। যারাই চেষ্টা করেছে, আইন্সটাইনের মতো লোক বিধান বুঝবার চেষ্টা করতে গিয়ে চিৎ হয়ে পড়ে গেল।" এখানে মূলত স্পেশাল থিওরি অব রিলেটিভিটির শূন্য মাধ্যমে আলোর ধ্রুবক গতি যা আলোক উৎস বা পর্যবেক্ষকের গতি নিরপেক্ষ- এমন তত্ত্ব বিশ্লেষণের সময় আইন্সটাইনের মানসিক দ্বন্দ্বকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে 'চিৎ হয়ে পড়ে যাওয়ার' সাথে তুলনা করে। কনভার্সেশনের শেষে কমেডিক রিলিফ হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে ক্ষুর আসলামের এই রিমার্কঃ "আলু একটা তরকারী। এর দামের ওঠানামা তো হইবই। এটা নিয়া এত চিন্তার কি আছে? যে বৎসর ফলন ভালো, সে বছর দাম কম। যে বৎসর ফলন নাই সে বৎসর দাম বেশি।"

পাঠক নিশ্চয়ই এরকম জোকে হেসে কুটিকুটি হবেন না। হুমায়ূন আহমেদের মতো শক্তিশালী ও জনপ্রিয় লেখক তার লেখনী দিয়ে পাঠকের ওপর বিশাল প্রভাব রেখে যেতে পারতেন, তার বদলে তিনি এরকম সস্তা কমেডির মাধ্যমে অত্যন্ত পটেনশিয়াল একটা কনভার্সেশনের ইতি টানলেন।

গল্পের শেষভাগে তিনি যেমন একদম অপ্রয়োজনীয় ঘটনার অবতারণা করলেন। হিমু এয়ারপোর্টে সুরূজ মিয়ার পাসপোর্ট খুঁজে পেয়েছে, সেটা সে সুরূজ মিয়ার কাছে ফিরিয়ে দিবে। কিভাবে পেল, কেন পেল অথবা পুরো উপন্যাসে এই ঘটনার কন্ট্রিবিউশন কি, সেটা বোঝা শক্ত তবে এরকম ঘটনাগুলো যে কমার্শিয়াল উপন্যাসে রাখা হয় যে শুধুই বইয়ের পৃষ্ঠা বাড়ানোর জন্য, সেরকম একটা মোটিভ কেউ ধারণা করে নিলে তাকে দোষ যায় না। এরকম আরেকটা উদাহরণ এই উপন্যাসের ক্ষুর আসলামের চরিত্রের ইন্ট্রোডাকশনের মাধ্যমে। পুরো গল্পে এই চরিত্রের কোন কন্ট্রিবিউশন নেই তাকেও গল্পে টেনে আনা হয়েছে হিন্দি টিভি সিরিয়ালের মতো উপন্যাসটিকে চুইংগামের মতো একটু লম্বা করার জন্য। ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টে বিন্দুমাত্র খেয়াল না রাখার জন্য ক্ষুর আসলাম র‍্যাবের ক্রসফায়ার থেকে বেঁচে গেলেও তার প্রতি পাঠকের সহানুভূতি জন্মায় না, কিংবা পুলিশের হাতে ভীষণ মার খেলেও তাকে নিয়ে পাঠক দুঃখিত হয় না চরিত্রটির অগভীরতার কারণেই। লেখক হিসেবে হুমায়ূন আহমেদের বেশ একটা ফেইলার এটা।

গল্পের একটা পর্যায়ে হিমুর স্বপ্নে রবীন্দ্রনাথের সাথে তার উদ্ভট কিছু কনভার্সেশান আছে। লেখকের পুরো উপন্যাসটির মতো সেই কনভার্সেশানেও কোন ডেপথ নেই, কল্পিত সে কনভার্সেশানও গল্পকে এগিয়ে নিতে কোন কন্ট্রিবিউট করে না।আর এদিকে থানায় ওসির সাথে হিমুর কনভার্সেশনের মতো সিমিলার কনভার্সেশান পাঠক হুমায়ূন আহমেদের অন্তত আরো দশটি বইয়ে পড়েছে।

হিমু সিরিজের অন্য অনেকগুলো 'উপন্যাসের' মতো এই উপন্যাসেও লেখল প্রধান নারী চরিত্রকে ব্যাখাতীত রকমের সুন্দরী বলে সরলীকরণ করেন। আপনি যখন হুমায়ূন আহমেদের বেশ কিছু লেখা পড়ে ফেলবেন, সেখানে সকল নারী চরিত্রের ডেভেলপমেণ্টেই আপনি একটা খুবই প্রেডিক্টেবল ছাঁচ খুঁজে পাবেন। হুমায়ূন আহমেদ কখনো নিজেরই তৈরি করা ছাঁচ থেকে বেরোতে পারেননি। বাজারে পাঠক আকৃষ্ট করার যে কমার্শিয়াল ছাঁচ তিনি দাঁড় করিয়েছিলেন, সেখান থেকে তিনি বেরোননি, বেরোতেও চাননি। এই উপন্যাসও তার একটুও ব্যতিক্রম নয়। গল্পের প্রধান তিন নারী চরিত্রই টিপিক্যাল, প্রেডিক্টেবল আর বাস্তবতাবিবর্জিত। সেকারণেই এই উপন্যাসের নারী চরিত্রের মতো হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের বেশিরভাগ নারী চরিত্র পাঠকের মনে দাগ কাটেনা। যেমন ধরুন, 'হিমুর হাতে কয়েকটি নীল পদ্মের' মারিয়া চরিত্রের সাথে 'আজ হিমুর বিয়ে'-এর রেণু কিংবা 'মেঘ বলেছে যাব যাব'-এর চিত্রলেখার মতো চরিত্রগুলোর বৈচিত্র্য বা মৌলিকত্ব না থাকায় পাঠক সেসব মনে রাখার প্রয়োজনবোধ করে না।
Profile Image for Nujhat Tabassum Tonny .
30 reviews41 followers
September 17, 2024
বইটা পড়ে খুব ভালো লাগেনি,আবার খুব খারাপ ও লাগেনি।তবে মাজেদা খালার কান্ড বরাবরের মতো একটু পাগলাটে এবং বাড়াবাড়িই।হাইস্যকর ই বটে।মাজেদা খালা রেণু নামের মেয়েকে ড্রাগ এডিক্টেড ছেলের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য হিমুর সাথে বিয়ে ঠিক করে।হিমু সকালে উঠেই জানতে পারে রাত ১০ টায় তার বিয়ে।এরপরেই গল্পের সূচনা।যদিও নাম দেখে প্রথমেই বুঝে নিয়েছিলাম বিয়েটা হবে না।কারণ হিমুরা বিয়ে করে না।আর লেখকও হতে দিবেন না।হুমায়ূন সাহেব হিমু সিরিজের বইয়ের ভেতর এটাতেই মনে হয় সরাসরি কমেডি করার চেষ্টা করেছেন।শেষটা সুন্দর"জীবন যখন শুকায়ে আসে করুণধারায় এসো।"🌸
পছন্দের লাইন-

আরাম দুই প্রকার-শারীরিক এবং মানসিক।এই যে আমি পপকর্ণ খেয়ে মজা পাচ্ছি এটা শারিরীক আরাম।আবার পপকর্ণগুলি দেখতে বোঁটাহীন শিউলীফুলের মতো।এক ঠোঙা ফুল দেখে যে আরামটা পাচ্ছি তা মানসিক🌼

"কাহারো হাসি ছুড়ির মতো কাটে
কাহারো হাসি অশ্রুজলের মতো।"
রেণু মেয়েটির হাসি অশ্রুজলের মতো🌻
Profile Image for Soumyabrata Sarkar.
238 reviews40 followers
September 1, 2014
The whole story can be finished in perhaps just one phrase - HIMU DIGS HIS OWN GRAVE!!

Being the weird thing, that Himu is, whose so-called marriage is arranged to a girl called RENU, by his khala(Majeda here), Himu arranges for this dishelved-modern-haughty-sweet-n-troubled girl to get married with the boy of her wishes, Turjo(who is also a drug-addict, like her). Himu stabilizes both the boy and the girl and makes them meet, as well as arranges for the closure of her parents(who were divorced), with a bunch of crazy-and-numb-minded ideas that leaves him in a jail, with an accomplice and a pick-pocket-follower. Rabindranath also makes a special appearance in this one, guiding Himu in certain occasions to make some important decisions. There are as usual, troubled Police-inspectors and officials and an angry Khalu. The ending is predictable, as the reader can easily see that Himu entraps a spider's web, only to get himself in a trap and that exactly happens so. The ending is as usual a literal-masterpiece and fills you with full of hope for mankind. . . .THUMbS-UP!! for both the comedy and the sentiment that . . . . Saving other's neck always ends up in trouble of yours!!
Profile Image for Raihan Ferdous  Bappy.
226 reviews13 followers
December 3, 2025
আজ হিমুর বিয়ে!

টাইটেল পড়েই নিশ্চয় বুঝে ফেলেছেন যে এই বইয়ে হিমুর বিয়ে নিয়েই কিছু একটা হবে। ঠিক তাই!

এই উপন্যাসে মাজেদা খালা হিমুর বিয়ে ঠিক করেন। রেণু নামের এক অপরূপার সাথে। যাকে দেখলে অপ্সরা বললেও কম বলা হয় আর কি! সমস্যা হচ্ছে, রেণু ওদিকে এক ড্রাগ এ্যাডিক্টের প্রেমে পাগল। তাকে ছাড়া কিছু বুঝে না। মাজেদা খালাও হিমু আর রেণুর বিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। কি হয় তারপর? জানতে হলে পড়ে ফেলুন।

হিমু এমন একটা চরিত্র যে সবার মনের আশা পূর্ণ করবে। সমস্যা হচ্ছে, কেউ তাকে বুঝতেই পারে না। অথবা বলা ভালো সে কাউকে বুঝতে দেয় না। সবাই বলে তার সুপারপাওয়ার আছে। আমিও বলি। তবে, আমার মনে হয় এই সুপারপাওয়ার মানুষের অতীত বা ভবিষ্যত বলা নয়। মানুষের উপকার করা, অথচ বুঝতে না দেওয়া যে তার উপকার করা হচ্ছে। একদম খাঁটি প্রতিদানবিহীন যাকে বলা হয়। পৃথিবীটা হিমুতে ভরে উঠলে খারাপ হতো না।

বইয়ের ব্যাপারে কিছু বলা দরকার। দেখুন হিমু যেখানে আছে সেখানে নতুন কিছু বলা কি দরকার? মজা পাবেন মাস্ট। পড়ে ফেলুন।
Profile Image for ANGSHUMAN.
229 reviews7 followers
September 5, 2021
এত ভালো একটা এন্ডিং,আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লাম। ড্রাগ অ্যাডিক্ট এক ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করতে চায় মাজেদা খালার পারিবারিক বন্ধুর মেয়ে। তড়িঘড়ি হিমুকে জামাই হিসেবে বিয়ে দিতে চান খালা,খালুর অবশ্য ইচ্ছে বিন্দুমাত্র নেই। খালুর গাড়ির ড্রাইভার মকবুলকে গাড়ি সমেত নিয়ে বেরিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে হিমু,যার দৌলতে জেল অব্দি যেতে হয় হিমুর ভাবি শ্বশুরকে। শেষ পর্যন্ত কি এমন হলো যাতে শেষটা এত আবেগপূর্ণ হলো? জানতে হলে পড়তে হবে।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Sajib.
191 reviews23 followers
Read
January 15, 2023
যখন বইয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মেছিল তখন কার সময়ে পড়া বই।তেমন মন্দ লাগেনি তখন।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Abdus Sattar Sazib.
259 reviews15 followers
March 13, 2021
হিমু চরিত্রের আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। লেখক হিমুর বাবাকে বর্ণনা করেছেন একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ হিসেবে; যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তিনি মহাপুরুষ তৈরির জন্য একটি বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু।
হিমুর পোশাক হল পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী। হলুদ বৈরাগের রঙ বলেই পোশাকের রং হলুদ নির্বাচিত করা হয়েছিল। ঢাকা শহরের পথে-পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো তার কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না।
হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ। প্রেম ভালবাসা উপেক্ষা করা হিমুর ধর্মের মধ্যে পড়ে। কোন উপন্যাসেই কোন মায়া তাকে কাবু করতে পারে নি। মায়াজালে আটকা পড়তে গেলেই সে উধাও হয়ে যায়। হিমু উপন্যাসে সাধারণত হিমুর কিছু ভক্তশ্রেণীর মানুষ থাকে যারা হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে। এদের মধ্যে হিমুর ফুপাতো ভাই বাদল অন্যতম। মেস ম্যানেজার বা হোটেল মালিক- এরকম আরও কিছু ভক্ত চরিত্র প্রায় সব উপন্যাসেই দেখা যায়।
এছাড়াও কিছু বইয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী ও খুনি ব্যক্তিদের সাথেও তার সু-সম্পর্ক ঘটতে দেখা যায়। হিমুর একজন বান্ধবী রয়েছে, যার নাম রূপা; যাকে ঘিরে হিমুর প্রায় উপন্যাসে রহস্য আবর্তিত হয়। নিরপরাধী হওয়া সত্ত্বেও সন্দেহভাজন হওয়ায় হিমু অনেকবার হাজতবাস করেছে এবং বিভিন্ন থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।

হিমু বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় ও কাল্পনিক। নব্বই দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। হিমু ও মিসির আলি হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট সর্বাধিক জনপ্রিয় দু’টি কাল্পনিক চরিত্র। উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙালি তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
Profile Image for Bookreviewgirl_xo.
1,169 reviews98 followers
May 11, 2025
⚠️⚠️⚠️⚠️⚠️— SPOILERS —⚠️⚠️⚠️⚠️⚠️

Re-Read

Rating: ২.৫/৫

হিমু got a call from মাজেদা খালা saying today's gonna be his wedding day. She wanted him to marry a girl named রেনু who fell in love with a drug addict. After a series of incidents, রেনু ended up marrying the drug addict in the end with her parents' blessings.

First of all, somehow it was believable that an educated American father liked a drug addict guy enough to make him his son-in-law? Seriously? And lastly, I don't know whether হিমু does what he does knowing the end results or he wings it. Cuz if he knows what he's doing, I would have to say he's intelligent. Otherwise, he's just a mental case that I would like to punch. Yeah, I admit I'm not really a big fan of this character.
Profile Image for Kazi Md. Al-Wakil.
297 reviews5 followers
October 4, 2020
মাজেদা খালার হিমুর বিয়ে দিবে রেণুর সাথে। তবে রেণু ড্রাগ এডিক্ট তূর্য এর জন্য পাগল। তূর্যকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেসে। এদিকে হিমু খালুর গাড়ি নিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়ায়। যেহেতু খালুকে বলে বের হয় নাই, তাই পুলিশ গাড়িসহ তাকে ধরে। গাড়িতে ছিলো রেণুর বাবাও। হিমু এয়ারপোর্ট থেকে তাকে পিক করে আসছিলো। জেলখানায় রেণুর বাবা ও তূর্যর দেখা হয়। হিমুর দেয়া গাজাও ছিলো তূর্য এর কাছে কিন্তু তূর্য আশ্চর্যভাবে এডিকশন থেকে বের হয়ে যায়। জেল থেকে রেণুর বাবা ও তূর্য বের হয়ে যায় এবং সেই রাতেই তূর্য এর সাথে রেণুর বিয়ে হয় । এদিকে হিমু জেলখানায় গল্প বলতে থাকে।
Profile Image for S Tausif.
19 reviews1 follower
Read
July 12, 2021
একজন আগেই স্পয়লার দিয়ে দেয়ায় খুব কষ্টে বইটা শেষ করি, মনে হচ্ছিলো গল্পের প্রতিটা মোড় আমি আগেই আন্দাজ করে ফেলতে পারছি। হিমু সিরিজ টা দিনদিন একঘেয়ে লাগছে। হতে পারে হিমুর মত হতে চেয়ে হতে পারিনি, হতে পারলে হয়তো গল্পটা অন্যরকম লাগতো
Profile Image for Denim Datta.
371 reviews21 followers
September 14, 2014
16th book from Himu series. এই বই এ হিমুর মাজেদা খালা রেনু নামের মেয়েকে এক drug addict এর থেকে বাঁচাতে তার বিয়ে ঠিক করে হিমুর সাথে|

nice story...
Profile Image for Joy OKIMURO.
46 reviews6 followers
January 28, 2017
জঘণ্য একটি বই। হুমায়ুন স্যারের কাছে এধরনের বই কখনো প্রত্যাশিত নয়
Profile Image for Maraz Hossain.
35 reviews14 followers
July 13, 2018
হিমু sets up a marriage in a complicated series of events between a drug addict and daughter of a foreigner
Profile Image for Md Suny.
66 reviews
June 24, 2020
কেও যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে হূমায়ুন আহমেদ কি হিমুর কোনো বইয়ে সরাসরি কমেডি করার চেষ্টা করেছেন? আমি এই বইটির নাম বলব ইন শা আল্লাহ্‌।
Displaying 1 - 30 of 109 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.