Jump to ratings and reviews
Rate this book

হিমু #16

হিমু রিমান্ডে

Rate this book
ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
দুপুরে হেভি খাওয়াদাওয়া হলো। খালু সাহেব অফিসে যান নি। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া। শুনলাম কয়েকদিন ধরেই তিনি অফিসে যাচ্ছেন না। তাঁর যে শরীর খারাপ তাও না। তবে চোখে ভরসা হারানো দৃষ্টি। হড়বড় করে অকারণে কথা বলে যাচ্ছেন। পৃথিবীর সবচে’স্বদু খাবার কী- এই বিষয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দিলেন। তাঁর মতে হরিয়াল পাখির মাংস পৃথিবীর সবচে’স্বাদু খাবার। কারণ এই পাখি বটফল খায়, মাছ খায় না। হরিয়াল পাখি কীভাবে রান্না করতে হয় সেই রেসিপিও দিলেন। সব পাখির মাংসে রসুন বেশি নাগে, হরিয়ালের ক্ষেত্রে লাগে না। কারণ এই পাখির শরীরেই রসুনটাইপ গন্ধ। নার্ভাস মানুষরা নার্ভাসনেস কাটাতে অকারণে কথা বলে। খালু সাহেব কোনো কারণে নার্ভাস। ঘটনা কিছু একটা অবশ্যই আছে, তা যাথাসময়ে জানা যাবে।

90 pages, Hardcover

First published February 1, 2008

57 people are currently reading
1083 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

456 books2,906 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
484 (19%)
4 stars
779 (31%)
3 stars
809 (33%)
2 stars
255 (10%)
1 star
115 (4%)
Displaying 1 - 30 of 63 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
January 27, 2019
বিশেষ মজা পেয়েছি এই গল্প পড়ে। কবির সাহেবের অবস্থা পড়ে পরেতো হাসি আর বন্ধ হয় না। আয়না মজিদ আর তার সাগরেদ এর কর্মকান্ডও বেশ মজার। সব মিলে আপনি হাসতে হাসতে বইটা শেষ করবেন। ঠিক কোন দিক থেকে গল্প শেষ হবে টেরই পাবেন না। মজার একটা বই। পড়ে দেখবার আমন্ত্রণ রইলো।

আরো কিছু জায়গায় ভালো লেগেছিল:
১. হিমুর খালুদের চ্যানেল আইতে live দেখাচ্ছিল তারা একটা কুকুরের হাতে জিম্মি।চ্যানেল আইয়ের রিপোর্টার রিপোর্ট করছিল তার মাঝে শুরু হল বিজ্ঞাপন সবই ছিল আবুল হায়াতের বিজ্ঞাপন হিমু মনে মনে বলল "আজ বোধহয় আবুল হায়াত দিবস। তাই সব আবুল হায়াতের বিজ্ঞাপন"।

২. টাইগারকে লাক্স সাবান দিয়ে গোসল করানো হচ্ছে (লাক্স সুন্দরীরা কিছু মনে করবেন না)
Profile Image for দ্রোহী.
24 reviews
September 3, 2013
কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি ড. হুমায়ুন যদি লেখেন "বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি হয়েছে sound থেকে। Big bang..." তাহলে কেমন লাগে?
Profile Image for তান জীম.
Author 4 books279 followers
October 20, 2022
ইদানিং হুমায়ূন আহমেদই পড়তে মন চাচ্ছে। আমি সাধারণত একই লেখকের বই পর পর পড়ি না। কিন্তু ইনিই একমাত্র লেখক যার ক্ষেত্রে এই নিয়মটা আমি কখনো মানিনি।

সে বাজারি লেখক, তার শেষ দিকের লেখাগুলো ভালো না, তার কোন বই পড়েই এটা আমার মনে হয়নি। এটার ক্ষেত্রেও তাই। আমি পড়েছি আর গল্পে ডুবে গেছি। হুমায়ূন আহমেদ না থাকায় আমাদের সাহিত্যের যে কত বড় ক্ষতি হলো, এটা আমি কখনো বলে বোঝাতে পারবো না। ওপারে ভালো থাকবেন প্রিয় লেখক।
Profile Image for Md Suny.
66 reviews
June 30, 2020
জানি না কেন, তবে বইটা উপভোগ করেছি। এক বসায় পড়া শেষ। বরাবরের মতোই হূমায়ুন আহমেদের লেখা সরলতার প্রশংসা করতে হবে। একবারের জন্য পড়ার সময় থামতে মন চায় নি।
Profile Image for ANGSHUMAN.
229 reviews7 followers
September 5, 2021
আয়না মজিদ নামের এক কুখ্যাত সন্ত্রাসী মনে করে হিমুকে নেওয়া হয়েছে রিমান্ডে। হিমু সেখান থেকে কিভাবে পালালো,কিভাবেই বা আয়না মজিদ ধরা পড়লো এই নিয়েই এই কাহিনী। হাসি,কান্না,ভয়,ভক্তি অলৌকিক কার্যকলাপ সবরকমই আছে এই বইয়ে,তবে হাসিই বেশি। এই বই পড়লে মন খারাপের লেশমাত্র থাকার কথা নয়। আপাদমস্তক মন ভালো করে দেয়ার গল্প। হিমুর গল্প পড়ে আমরা যেন প্রত্যেকেই একটা করে হিমু হয়ে যেতে চাই।
Profile Image for Raihan Ferdous  Bappy.
226 reviews13 followers
December 3, 2025
আমি টানা কোনো সিরিজ পড়ি না। টানা পড়লে বিরক্তি আসে। তবে, কেনো জানি হিমু পড়তে ইচ্ছে করছে। ইচ্ছে যখন করছে তখন তা কাজে লাগানোই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে আমার বিশ্বাস। সেই অনুযায়ীই কাজ চলমান। তাই শেষ করে ফেললাম হিমু সিরিজের আরো একটি বই 'হিমু রিমান্ডে'।

হিমু সিরিজ পড়লে অটোমেটিক আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। এইটার গ্যারান্টি আমি দিতে পারছি। এইবারের গল্প শুরু হয় হিমুর রিমান্ড থেকে। আয়না মজিদ মনে করে হিমুকে নেয়া হয়েছে রিমান্ডে। আয়না মজিদ হচ্ছে একজন কুখ্যাত সন্ত্রাস। তার সাথে হিমুর চেহারায় মিল থাকায় বেচারার কপালে এসে জুটেছে রিমান্ড। রিমান্ড থেকে হিমু তার 'হিমু পাওয়ার' ব্যবহার করে পালিয়ে যায়। যার জন্য বেচারা কবির সাহেবকে বেশ ভুগতে হয়। তবে হিমু কি আর সহজ লোক? সে সোজা গিয়ে হাজির হয় আয়না মজিদের কাছে। তারপর শুরু হয় আসল মজা।

'হিমু রিমান্ডে' হিমু সিরিজের অন্যান্য বইগুলা থেকে একটু আলাদা। এর শেষের টুইস্টটাতে কিছুটা মিসির আলি ভাইব আছে। যা আমি বেশ উপভোগ করেছি। শেষটা একদমই রহস্যময় বানিয়ে ফেলেছেন হুমায়ূন সাহেব। চমৎকার লেগেছে।

সবমিলিয়ে, পড়ে ফেলুন। ভালো লাগবে। আর হ্যাঁ, বেশি বেশি বই পড়ুন। জীবন আর কয়দিনের! চলি।
Profile Image for Samsudduha Rifath.
425 reviews23 followers
September 7, 2024
প্রকৃতির রিমান্ড বড়ই রহস্যময়।
Profile Image for Abdus Sattar Sazib.
259 reviews15 followers
March 13, 2021
হিমু চরিত্রের আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। লেখক হিমুর বাবাকে বর্ণনা করেছেন একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ হিসেবে; যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তিনি মহাপুরুষ তৈরির জন্য একটি বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু।
হিমুর পোশাক হল পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী। হলুদ বৈরাগের রঙ বলেই পোশাকের রং হলুদ নির্বাচিত করা হয়েছিল। ঢাকা শহরের পথে-পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো তার কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না।
হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ। প্রেম ভালবাসা উপেক্ষা করা হিমুর ধর্মের মধ্যে পড়ে। কোন উপন্যাসেই কোন মায়া তাকে কাবু করতে পারে নি। মায়াজালে আটকা পড়তে গেলেই সে উধাও হয়ে যায়। হিমু উপন্যাসে সাধারণত হিমুর কিছু ভক্তশ্রেণীর মানুষ থাকে যারা হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে। এদের মধ্যে হিমুর ফুপাতো ভাই বাদল অন্যতম। মেস ম্যানেজার বা হোটেল মালিক- এরকম আরও কিছু ভক্ত চরিত্র প্রায় সব উপন্যাসেই দেখা যায়।
এছাড়াও কিছু বইয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী ও খুনি ব্যক্তিদের সাথেও তার সু-সম্পর্ক ঘটতে দেখা যায়। হিমুর একজন বান্ধবী রয়েছে, যার নাম রূপা; যাকে ঘিরে হিমুর প্রায় উপন্যাসে রহস্য আবর্তিত হয়। নিরপরাধী হওয়া সত্ত্বেও সন্দেহভাজন হওয়ায় হিমু অনেকবার হাজতবাস করেছে এবং বিভিন্ন থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।

হিমু বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় ও কাল্পনিক। নব্বই দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। হিমু ও মিসির আলি হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট সর্বাধিক জনপ্রিয় দু’টি কাল্পনিক চরিত্র। উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙালি তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
Profile Image for Nahid Hasan.
132 reviews20 followers
April 16, 2019
সাড়ে ৩ আসলে।
অনেকদিন পরে হিমু পড়লাম। ক���লাসের ভারী ভারী বই পড়ে মনটা বিমর্ষ হয়ে ছিল, এখন অনেকটাই হালকা লাগছে।
যদিও আমি সাধারণত হিমু'কে নিয়ে লেখা পড়ার সময় যুক্তির ধার ধারিনা, আর সবাই-ই তা করে। কিন্তু বইটার শুরুর দিকে বিরক্ত হয়েছিলাম বৈ কী ! তথাপি ভালো লেগেছে।
হিমুর কাহিনীতে আহামরি সাহিত্যরস থাকেনা বটে, কিন্তু গল্পটা শেষ হতে হতে খুব সুন্দর একটা বার্তা আমাদের মনে গেঁথে দেয়। এটাই হিমু এবং হুমায়ুন আহমেদের বৈশিষ্ট্য।
Profile Image for Md. Faysal Alam Riyad.
317 reviews26 followers
October 11, 2016
প্রকৃতির রিমান্ড থেকে পালানোর কোন উপায় নাই আমাদের!!
Profile Image for Aman.
45 reviews10 followers
March 21, 2023
'হিমু রিমান্ডে' নামটা শুনে ধরেই নিয়েছিলাম যে হিমু ভাইজানের কপালে এবার শনি আছে। কিন্তু না ; লেখক সাহেব বোধহয় 'হিমু'র গায়ে কোনো আঁচ দিতে রাজি নন।
আয়না মজিদ নামক এক শীর্ষ সন্ত্রাসী সন্দেহে তাকে রিমান্ডে নেয়া হলেও সে এমন এক উপায়ে বেরিয়ে আসে যে উপায় কেবলমাত্র কোনো পাঁচ বছরের বাচ্চার মাথাতেই আসা সম্ভব।
তো এই অতি সহজ উপায় অবলম্বন করে থানার সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে রিমান্ডের হাত থেকে বেরিয়ে এসে হিমু ভাইজান তার অদ্ভুত, অযৌক্তিক কিন্তু হাস্যকর নানা কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে গল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
Profile Image for Towhid Zaman.
103 reviews19 followers
November 27, 2022
দুই ধরনের রিমান্ড আছে। পুলিশের রিমান্ড এবং প্রকৃতির রিমান্ড। পুলিশের রিমান্ড থেকে পালানো যায়, প্রকৃতির রিমান্ড থেকে পালানো যায়না।

৩.৫/৫
২৭ নভেম্বর ২০২২
Profile Image for Prionty - প্রিয়ন্তী.
37 reviews20 followers
March 12, 2018
#পুতুলের_রিভিউ
বইয়ের নাম- হিমু রিমান্ডে
লেখক - হুমায়ুন আহমেদ
মূল্য-২০০ টাকা
প্রকাশনী-অন্য প্রকাশন

#রিভিউঃ উপন্যাসের নাম অনুযায়ী বুঝাই যাচ্ছে হিমুকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রিমান্ডে যাওয়া আসামীদের অন্যায় থাকে গুরতর।হিমু এরকম কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। আর না করার মাঝেও আছে ইতিহাস। যদি কিছু নাই করলো হিমু কেন রিমান্ডে গেলো! আচ্ছা জানা যাবে এটা পরে। কিন্তু কথা হলো, হিমুকে যেভাবে বসিয়ে রাখা হয়ছে, তাকে আবার সিরিয়াস পর্যারে আসমী মনে হচ্ছে না। আবার প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের ধরন দেখে হাস্যকর মনে হচ্ছে। যিনি প্রশ্ন করছেন তিনি হলেন ইনস্পেক্টর কবির। হিমু যখন জানলো তার নাম কবির। সে তখন তাকে কবির ভাই ডাকা শুরু করলো। লোকটি কিছুটা অবাক হলো। আরো বেশি অবাক হলো যখন হিমু চা খেতে চাইলো। অবাক হলেও তিনি হিমুকে চা এনে দিতে বললেন। কিন্তু তাকে সব ঠিকঠাক উত্তর দিতে হবে। হিমু কতদূর উত্তর দিছিলো তা পাঠক বইয়েই পাবেন।

এরমধ্যে হিমুর খালু সাহেব কয়েকদিন ধরেই অফিসে যাচ্ছেন না। তাঁর যে শরীর খারাপ তাও না। তবে চোখে ভরসা হারানো দৃষ্টি। হড়বড় করে অকারণে কথা বলে যাচ্ছেন। পৃথিবীর সবচে স্বাদু খাবার কী- এই বিষয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দিলেন। তাঁর মতে হরিয়াল পাখির মাংস পৃথিবীর সবচে’স্বাদু খাবার। কারণ এই পাখি বটফল খায়, মাছ খায় না। হরিয়াল পাখি কীভাবে রান্না করতে হয় সেই রেসিপিও দিলেন। সব পাখির মাংসে রসুন বেশি লাগে, হরিয়ালের ক্ষেত্রে লাগে না। কারণ এই পাখির শরীরেই রসুনটাইপ গন্ধ। নার্ভাস মানুষরা নার্ভাসনেস কাটাতে অকারণে কথা বলে। খালু সাহেব কোনো কারণে নার্ভাস। ঘটনা কিছু একটা অবশ্যই আছে, যা যথাসময়ে জানা যাবে। হিমুর খালু নার্ভাসনেস কি করে কাটানো যাবে তাও জানতে পারবেন বইটি পড়ে।খুবই মজার একটা বই।পড়ার জন্য আমন্ত্রণ রইলো।

#পাঠ্য_প্রতিক্রিয়াঃ হিমু হুমায়ুন আহমেদের লেখা এলোমেলো টাইপ এক চরিত্র।এই গল্পে হিমুর খালু যিনি বাদলের বাবা ব্যক্তিটিকে বেশ ভালো লাগে।উনার কর্মকান্ড সব সময় বিনোদিত করে।এই গল্পে কবির সাহেবের চরিত্র ব্যাপক হাস্যকর।আয়না মজিদ আর তার সাগরেদ এর কর্মকান্ডও বেশ মজার। সব মিলে আপনি হাসতে হাসতে বইটা শেষ করতে পারবেন।
রেটিংঃ৪.৫/৫
Profile Image for Maria Rahman.
108 reviews28 followers
November 28, 2015
মোটামুটি ভালই লেগেছে। কিন্তু শেষ পাতায় এসে একটা লাইন খটকা লেগেছে। এতোটাই বেশি খটকা যে বইটার নাম দেখলেই মনে হয় যে হিমুর ..... থাক লাইনটা বলবো না দেখি অন্যদের কাছে খটকা লাগে নাকি।
Profile Image for Fårzâñã Täzrē.
272 reviews19 followers
April 9, 2025
~তুই মহাত্মা গান্ধিকে খু*ন করেছিস?

~জি স্যার করেছি।

~উনাকে কীভাবে খু*ন করলি?

~কীভাবে করেছি এখন মনে নেই। একটু যদি ধরায়ে দেন তাহলে বলতে পারব। তবে খু*ন যে করেছি ইহা সত্য।

~গলা টিপে মে*রেছিস?

~এই তো মনে পড়েছে। জি স্যার, গলা টিপে মে*রেছি।

~উনার যে ছাগল ছিল সেটা কী করেছিস?

~ছাগলের কথা মনে নাই স্যার, একটু ধরায়ে দেন। ধরায়ে দিলেই বলতে পারব।

~ছাগলটা কেটেকুটে খেয়ে ফেলেছিস কি-না বল।

~অবশ্যই খেয়েছি স্যার। কচি ছাগলের মাংস অত্যন্ত উপাদেয়। এই বিষয়ে একটা ছাড়াও আছে স্যার। বলব?

"কচি পাঠা বৃদ্ধ মেষ
দধির অগ্র ঘোলের শেষ।"

পাঠার জায়গায় হবে ছাগল।

উপরের কথোপকথন রি*মান্ডে পু*লিশের মা*র খাওয়ার পরের অবস্থা। আ*সামি যেসব অপরাধ সে করে নি তাও স্বীকার করে। এবার ফেঁ*সে গেছে হিমু। তাকে রি*মান্ডে নেয়া হয়েছে। রি*মান্ড শব্দটা এতদিন শুধু পত্র-পত্রিকায় পড়েছিল সে। অমুক নেতা রি*মান্ডে মুখ খুলেছেন। অমুক শিল্পপতি গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন ইত্যাদি। রি*মান্ডে হালুয়া টাইট করে দেয়া হয় এবং ব্ৰেইন হালুয়া করে দেয়া হয়।

হিমু মোটামুটি চিন্তায় আছে কারণ সে শুনেছে রি*মান্ডে যাদের নেয়া হয় তাদেরকে চো*রকুঠুরি টাইপ ঘরে রাখা হয়। সেই ঘরের কোনো দরজা জানালা থাকে না। উচু সিলিং থেকে লম্বা একটা তার নেমে আসে। তারের মাথায় দিন-রাত চারশ পাওয়ারের লাইট জ্বলে। ইলেকট্রিক শ*ক দেয়ার ব্যবস্থা থাকে। ট্রেতে কোয়েলের ডিম থেকে শুরু করে রাজহাঁসের ডিম সাজানো থাকে। একটা পর্যায়ে সাইজমাফিক ডিমের ব্যবহার শুরু হয়। এ ধরনের কথাবার্তা সে বহু শুনেছে।

অবাক করার বিষয় হলো বাস্তবে তেমন দেখছে না। হিমুকে যে ঘরে বসানো হয়েছে তার দরজা-জানালা সবই আছে। জানালায় রঙজলা পর্দা আছে। মাঝে মাঝে পর্দা সরে যাচ্ছে, তখন জানালার ওপাশে শিউলি গাছ দেখা যাচ্ছে। গাছভর্তি ফুল। হিমু এতদিন জানতো শিউলি ফুলের গন্ধ থাকে না। হিমু কিন্তু মিষ্টি গন্ধ পাচ্ছে। তবে এই গন্ধ ওর সামনে বসে থাক��� স্যারের গা থেকে ভেসে আসা সেন্টেরও হতে পারে। যিনি জেরা করছেন তাকে নেহাতই ভদ্রলোক, কলেজের প্রফেসর টাইপ লাগছে।

হিমু হুট করে চা খেতে চাইলে পু*লিশ ভদ্রলোক একটু হকচকিয়ে গেলেও পরে বললেন, "চা খাওয়াচ্ছি। যা জিজ্ঞাস করব ধানাইপানাই না করে উত্তর দিবে।"

অবশ্যই দিব।

আসল নাম কী?

আমার একটাই নাম হিমালয়, ওরফে হিমু।

তুমি আয়না মজিদ।

বলেন কী স্যার?

পু*লিশ ভদ্রলোকের নাম কবীর। কবীর সাহেব ভুরু কুঁচকে আবার বললেন, "চা খেতে চেয়েছিলে চা খাওয়াচ্ছি। আরাম করে যেন চা খেতে পার তার জন্যে হ্যান্ডকা*ফও খুলে দেয়া হবে। শর্ত একটাই, চ��� খেয়ে আমার সঙ্গে যাবে। লম্বু খোকনের ঠিকানায় আমাকে নিয়ে উপস্থিত হবে। পারবে না?"

লম্বু খোকনের ঠিকানাটা দিলে অবশ্যই নিয়ে যাব।

কবীর সাহেব বেল টিপলেন। দুকাপ চা এবং সিংগারা দিতে বললেন। তিনি নিজেই চাবি দিয়ে হ্যান্ড*কাফ খুললেন।

হিমুকে থা*নার লোকজন আয়না মজিদ ভাবছে। এখন এই বেচারা হিমুকে কী সত্যিই আয়না মজিদ হিসেবে জে*ল খাটতে হবে নাকি হিমু নিজেই আয়না মজিদকে খুঁজে বের করে ফেলবে? আসল আয়না মজিদ কোথায় আছে হিমু কীভাবে জানবেন ভাবছেন তো, ঘটনা তো আরো বাকি। শুধু শেষটায় আয়না মজিদের মুখোমুখি হয়ে হিমু কী করে জানতে হলে পড়ে ফেলুন তাড়াতাড়ি।

🍜পাঠ প্রতিক্রিয়া 🍜

হুমায়ূন আহমেদের হিমু পড়ার সময় আপনাকে খুব সিরিয়াস মুডের হলে চলবে না। হিমুরা কোনো যুক্তির ধার ধারে না তো আপনিও আসলে হিমু সিরিজের বইগুলোতে কিছু কিছু জায়গায় লজিক খুঁজলে ভুল করবেন। তবে হিমুর পাগলামি আপনাকে আনন্দ দেবে, হাসিয়েও দিতে পারে যদি হালকা মনে পড়েন। খুব আহামরি নয় আমার কাছে তবে ওই যে বললাম আমি হুমায়ূন পড়তে বসলে খুঁজে খুঁজে সেইসব বই পড়ি যেগুলোতে আমি আনন্দ খুঁজে পাবো।

হিমুর গল্প তো আমাদের অজানা নয় বরং এত জনপ্রিয় যে হুমায়ূন আহমেদের হিমু পড়ে এদেশের বহু তরুণ হিমু হতে চেয়েছে, হলুদ পাঞ্জাবী গায়ে ঘুরেছে রাস্তায়। হিমুর অর্থহীন কর্মকাণ্ড কারো কারো কাছে খুবই বিরক্তিকর। আমি হিমু সিরিজের বইগুলোর বহু কট্টর সমালোচক দেখেছি। এটা কোনো চরিত্র হলো নাকি! অতিরঞ্জিত করে লেখা, বাস্তবে এসব অসম্ভব ইত্যাদি। কিন্তু হিমুকে একবার হলেও পড়েননি এমন পাঠক কমই আছেন।

হুমায়ূন আহমেদের অনেক মাস্টরিড বই আছে তেমনি অর্থহীন কিছু বই আছে। আপনি পড়লে বিনোদন পাবেন না পড়লেও ক্ষতি নেই। হিমু তেমনি এক চরিত্র। যার বাবা তাকে জোর করে মহাপুরুষ বানাতে চেয়েছিলেন। হিমু অর্থহীন তবুও সে মন ভালো করে দেয় তার পাগলাটে স্বভাব দিয়ে। হাস্যরসাত্মক কাজকর্ম দিয়ে।

🌭বইয়ের নামঃ "হিমু রি*মান্ডে"
🌭লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
🌭ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪/৫
Profile Image for Nurul Huda.
194 reviews5 followers
July 19, 2023
হিমুকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে, প্রশ্নকর্তা কবির তাকে নানান প্রশ্ন করছেন।হিমুকে আয়না মজিদ ভেবে ধরে এনেছে। আয়না মজিদের সাংগু পাংগুদের পরিচয় জানতে যাচ্ছে।

কথার একপর্যায়ে জানতে পারল, কবির সাহেবের বাসায় বোয়াল মাছ রান্না হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হিমুকে রুমে বন্দি করে চলে গেলো সবাই। হিমু বুদ্ধি খাটিয়ে রুম(জেল) থেকে পালিয়ে গেলো।

বের হয়ে কবির সাহেবের বাসায় ফোন করল, এবং ঠিকানা সংগ্রহ করে দশ কেজি টক দৈ নিয়ে হাজির হল কবির সাহেবের বাসায়। কবির সাহেবের স্ত্রী শুভার সাথে ততক্ষণে আপা ডেকে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে। সে বোয়াল মাছ দিয়ে খেয়ে চলে আসে।

অনেক দিনযাবত খালার বাসায় যাওয়া হয় না হিমুর। তাই সিদ্ধান্ত নিল খালার বাসায় যাবে। গেল। দুইএকদিন পর তার খালু বলল, তোমাকে একটা ঠিকানা দিচ্ছি আর ২ লক্ষ টাকা দিচ্ছি তা নিয়ে দিয়ে আসো। ঘটনাচক্রে জানতে পারল, এ টাকা আয়না মজিদের কাছেই দিয়ে আসতে হবে। টাকা নিয়ে গেল.....

হিমু সমগ্র আমার প্রিয় সিরিজ, ভালো না লাগার কিছুই নাই। আপনারাও পড়তে পারেন।হতাশ হবেন না
90 reviews2 followers
April 4, 2025
অবাক করা ব্যাপার হল, এটি আমার পড়া প্রথম 'আউট' বই। তখন ক্লাস ফোরে পড়ি। ছোটোমামা বইমেলা থেকে দুটি বই নিয়ে এসেছেন। হিমু রিমান্ডে এবং আরেকটি সম্ভবত 'হিমুর রুপালী রাত্রি'। আমার চোখ বইগুলোর দিকে। তখনো হিমুর নাম শুনিনি, হূমায়ুন আহমেদের সাথে মূলত নাটকের মাধ্যমে পরিচয়। বিটিভিতে তখন হুমায়ূন আহমেদের নাটক কিংবদন্তীর খ্যাতিতে পৌঁছেছে। হিমু রিমান্ডে বেছে নেয়ার কারণ বোধ করি, নামের মধ্যে কিছুটা থ্রিল ছিল, তাছাড়া প্রচ্ছদও বেশ ভারিক্কি অন্য বইটির তুলনায়। তো মামার কাছে বায়না ধরে বাগিয়ে নিলাম বইটি, শুরু হল বইয়ের আনন্দময় ভূবনে যাত্রা। এরপর বহু বই-ই পড়া হয়েছে, এরচেয়েও নিশ্চিতভাবে অনেক অসাধারণ বই, তবুও এই বইটী এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে আমার মনে।
Profile Image for Kazi Md. Al-Wakil.
297 reviews5 followers
October 6, 2020
হিমুকে আয়না মজিদ মনে করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। সেখান থেকে হিমু পালিয়ে যায়। বাদলদের বাসায় কিছুদিন থাকে। সেখানে বাদল এর বাবাকে আসল আয়না মজিদ ফোন করে টাকা চায়। হিমুর দ্বায়িত্ব হয় আয়না মজিদ এর কাছে টাকা নিয়ে যাওয়া। সেখানে তাকে তালাবদ্ধ করে রাখার পরও কিভাবে বাইরে থেকে তালা খুলে যায়। এতে আয়না মজদি বিস্মিত হয়। এদিকে যার কাস্টডি থেকে হিমু পালায় , SI কবীর, তার স্ত্রী শোভা এর সাথে হিমু ভাই বোন সম্পর্ক গড়ে তুলে । তবে হিমু আয়না মজিদ ও লম্বু খোকনকে পুলিশ এর কাছে হস্তান্তর করে দেয়।
10 reviews
December 27, 2024
পাঠ্যপ্রতিক্রিয়া (৬)
** হিমু রিমান্ডে

বইটি বেশ উপলব্ধি করেছি। তবে এতটুকুতেই শেষ হবে আশা করিনি। শেষের দিকে কেন যেন মনে হয়েছিলো আরো কিছু লিখা উচিত ছিলো লেখকের। বইটিতে লেখক দুটি বিষয় খুবই সুক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এক, মানুষ যা বিশ্বাস করে তাই ঘটে। যা হাবিব ভাইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়েছে। দুই, সৃষ্টিকর্তা মানুষকে ছাড় দেন ছেড়ে দেন না। যে কোনো ভাবেই অপরাধী তার প্রাপ্যটুকু ফেরত পাবেই। যা আয়না মজিদ নামক ধুর্ত চরিত্রে লক্ষ্যনীয়।
Profile Image for Likhon Kundu Shaikat.
3 reviews
August 26, 2025
হিমু রিমান্ডে বইটা আসলেই রহস্যময়। জাদুকর এই অপার্থিব সৃষ্টি ব্যাক্ষাতিত। এদানিং গল্প পড়ছি না ঠিক শুনছি। এত সুন্দর লাগছে সিরিজটা আবার শুরু করে বলার নয়। আচ্ছা এই আধুনিক পৃথিবীতে চাইলেই কি সম্ভব হিমু হতে পারা?
Profile Image for Ariful Lemon.
7 reviews
February 9, 2019
খুবই ভাল। বিশেষ করে রিমান্ডের কথা গুলু অনেক ভালো লেগেছে
Profile Image for Layek Ahmed.
47 reviews1 follower
February 5, 2020
২০১৩ সালে পড়ছিলাম প্রিয় সিরিজ প্রিয় বই।
Profile Image for Md Tazri.
103 reviews8 followers
March 7, 2020
শেষ দিকের আয়না মজিদের পিছনের কাহিনীটা হালকা ইন্টারেস্ট লেগেছে।অবাক লাগে আমার কেউ তার বোন কে মারতে পা���ে নিজের মনে ইচ্ছায়।আর কী কাকতালীয় ভাবে মিলে যায় মেয়ে আর কুকুরটার নাম।আসলেই অদ্ভূত.. 😮😮😮😮
Profile Image for Jenia Juthi .
258 reviews64 followers
September 13, 2020
শোভা চরিত্রটার কথা মনে পড়লেই হাসি আসে। আর হিমু যা বলে তা হয়ে যায় কিভাবে? আশ্চর্য!!
Profile Image for Abu Rayhan Rathi.
108 reviews
October 23, 2020
এখন পর্যন্ত পড়া হিমু সিরিজের বইগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে খারাপ লাগলো।তাই দুই তারকা।
8 reviews
November 7, 2020
হিমু সিরিজের পড়া আমার প্রথম বই এবং খুবই পছন্দের বই।
Displaying 1 - 30 of 63 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.