Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
উফফ! আতাউরের শেষ চিঠিটা পুরো বাজিমাত করে দিলো। সত্যিই, ভালোবাসা,এ এক অদ্ভুত অনুভূতির নাম। যা কখনো কাউকে বলে কয়ে আসে না। কখনো কখনো সেটা হঠাৎ করেই চলে আসে, আবার তেমন করে হঠাৎ করেই চলে যায়। কার যে কখন, কাকে ভালো লেগে যেতে পারে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। প্রথমে যাকে দেখে বিরক্তি ভাব চলে আসে হয়তো তার জন্যই পরে অনুভূত হয় এক ধরণের আবেগ কিংবা ভালোবাসা।
শামা।এ গল্পের নায়িকা। পরিবারের বড় মেয়ে । দেখতে বেশ রুপবতী। কলেজে পড়ে। তার বাবা আবদুর রহমান অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার। একদিন কলেজ থেকে বাসায় এসে জানতে পারে বাবা তার বিয়ে ঠিক করেছে। ছেলে বাবারই অফিসে চাকরি করে। নতুন এসেছে। জুনিয়র অফিসার। আজই দেখতে আসবে। ছেলের নাম আতাউর। শামা ছেলের নাম জানার পর মনে মনে তাকে খাতাউর বলে ডাকে।
ছেলেপক্ষ বাসায় আসে শামাকে পচ্ছন্দ করে আংটিও পড়িয়ে রেখে যায়। সেদিন রাতেই বাবা আতাউরের সাথে কথা বলার জন্য আতাউরের বড় বোনের বাসার টেলিফোন নাম্বার শামার কাছে দেয়। শামা বাড়িওয়ালা চাচার বাসা থেকে আতাউরকে ফোন দেয়। কিন্তু নিজের পরিচয় গোপন করে ছোট বোন এশার নাম বলে। এভাবে দুষ্টামি করে কথা বলতে বলতেই শামা অনুভব করে এই আতাউর ছেলেটার প্রতি বিশেষ দূর্বলতা।
বেশ কিছুদিন পরের কথা। বান্ধবীর বিয়েতে গিয়ে আশফাক নামের এক ছেলের সাথে পরিচয় হয়। ছেলেটি বেশ বিত্তবান, প্রভাবশালি। এই আশফাক ছেলেটি শামাকে পচ্ছন্দ করে ফেলে। আবার এদিকে দূর্ভাগ্যক্রমে আতাউরের সাথে বিয়েটা ভেঙে যায়। আতাউরের একটা বিশেষ রোগ আছে যা শামার পরিবারের থেকে লুকিয়ে ছিলো। আর সেটা জানতে পেরেই আতাউরের সাথে বিয়ে ভেঙে দেয় শামার বাবা। আর আশফাকের সাথে বিয়ের কথা শুরু হয়। কিন্তু এরই মাঝে আতাউর একটা চিঠি লেখে শামাকে। চিঠি পড়ে শামা জানতে পারে এক করুণ কাহিনী। যে চিঠির কথা প্রথমে বলেছি। এখন কি করবে সে? কার কাছে যাবে? আবার কি ফিরে যাবে আতাউরের কাছে? অবশ্যই অসাধারণ।
হুমায়ূন আহমেদের কোন উপন্যাসের নাম জানার পর ও পড়িনি এমন যদি হয় তা বৃষ্টি বিলাস। জানি না নামের কারনেই হোক বা কেউ একজন বলেছিলেন খুব বেশি সুন্দর, তার কারনেই হোক তুলে রেখেছিলাম অনেক বছর।
বৃষ্টি বিলাস শেষ করি আজ থেকে ৫-৭ দিন আগে। কিন্তু একটা জড়তা এমন ভাবে আকড়ে ধরেছিল যে দুই লাইনের পাঠপ্রতিক্রিয়া ( হে হে! এইটা পাঠ প্রতিক্রিয়া বলায় কেউ অপমান কইরেন না!) লিখব তাও লিখতে পারছিলাম না। তবে কারন টা, আমি বেশ দ্বিধার ভেতর ছিলাম। উপন্যাস টা পড়ার সময় সত্যি আমার ভালো লাগে নি। গতানুগতিক একটা গল্প। ইভেন মনে হচ্ছিল খুব বেশিই প্রেডিক্টেবল আর সাধারণ।
কিন্তু, ওই যে শেষ টা? চিঠি টা সব বদলে দিল। উপন্যাস শেষ করে খুব একটা ভাবার সময় পাই নি কিন্তু মাথায় ঘুরে ফিরে চলে আসছিল বার বার। আর এই আফটার ইফেক্ট আমাকে ভালো লাগতে বাধ্য করে! জানি না এই পয়েন্ট অফ ভিউ চেঞ্জ হবে কিনা, তবে শেষের অংশের জন্য ❝ বৃষ্টি বিলাস❞ ভালোবাসার একটা যায়গা নিয়ে নিলো।
বয়স তখন ১৪ কি ১৫।সেই সময়ের দুর্দান্ত পছন্দের একটা বই “বৃষ্টি বিলাস”। শামার বাবা একদিন হঠাৎ করে অফিসের এক ছেলে আতাউরের সাথে তার বিয়ের কথা শুরু করেন।প্রথমটা বাধোবাধো থাকলেও শামার বোন এশা সেজে শামা আতাউরের সাথে ফোনে কথা বলা শুরু করে।মানুষটার জন্য আশ্চর্য রকমের মায়া কাজ করতে থাকে শামার।ভালোলাগার চরম মূহুর্তে আতাউরের মানসিক সমস্যার জন্য বিয়েটা ভেংগে যায়।প্রায় ঠিক এমন সময়ে শামার জীবনে প্রবেশ করে ধনী ও প্রতিষ্ঠিত আশফাকুল।হার্ট আর ব্রেইনের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে জয়ী হয়? এশা আর মুত্তালিব চাচার ক্যারেক্টার দুটোকে বেশ ভালো লেগেছে।এছাড়াও প্রতিটা আবেগ নিজে অনুভব করবেন আপনি। বইটা পড়তে পড়তে আমি নিজেকেও প্রশ্ন করেছি যে আমি শামার জায়গায় থাকলে কি করতাম!উত্তর পাইনি।শামা হয়তো পেয়ে গিয়েছিল।বইয়ের শেষের দিকে একটা সুন্দর চিঠি আছে।পড়তে আপনার বেশ ভালোলাগবে।গল্পের শেষটা আপনার হাতে।আমি ধরে নিলাম যে শামা ভালোবাসার টানে শেষ পর্যন্ত আতাউরের অসুস্থতাকে অগ্রাহ্য করে তার হাত ধরেছিল । সবাই ভালো থাকবেন,ভালোবাসায় থাকবেন…
গল্প খুব স্বাভাবিক হুমায়নী ভঙ্গিতে আগাচ্ছিলো। অন্যান্য উপন্যাস থেকে ভিন্নতর কিছু মনে হচ্ছিলোনা। কিন্তু শেষে হুমায়ুন এমন মাস্টার স্ট্রোক দিলেন যে থম মেরে বসে থাকা ছাড়া কিছু করার ছিলোনা। ভেতরে কিছু একটা হচ্ছিলো, সেটা টের পাচ্ছিলাম। একটা উপন্যাসের এই যে একটা মানুষকে বিমূঢ় করে তোলা, এতেই এর বাকি সব ত্রুটি অদৃষ্টিগোচর হয়ে যায়।
"মস্ত বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেবার আগে আগে মেয়েদের চোখে সবসময় পানি আসে"কি অদ্ভুত একটা কথা কিন্তু যার শতভাগই ধ্রুব সত্য সতি্যই জীবনের খুব সিন্ধান্ত নেবার আগে অধিকাংশ আবেগপ্রবণ মেয়ের আবেগ নদীর দুকুল ভাসিয়ে উপচে পড়ে চোখ দিয়ে অশ্রু বিন্দু হয়ে.শামার সাথে তার কল্পনার কথোপকথন সাথী খাতাউর না বন্ধু তৃণার ঠিক করা আশফাকুরের সাথে গাঁটছড়া বাঁধা হলো কি না সেটা না হয় মাকড়সার জালের মতো ধাঁধা হয়েই থাকল কিন্তু শেষভাগে আতাউরের চিঠি সত্যিই দাবা খেলার মত কিস্তিমাত করে দিয়েছে পুরো ব্যাপারটা.চরিত্র প্রয়োজনে মন্টু,সুলতানা,আবদুর রহমান অথবা বাড়ীওয়ালা আসলেও একমাত্র এশাকেই আমার শামার থেকে আরো বেশি স্ট্রং মনে হয়েছে,তার চাপা স্বভাব আর যুক্তিবোধের জন্যই বোধহয় সে মনে দাগ কেটেছে.
আমার ও এখন বৃষ্টি বিলাস করতে ইচ্ছে করছে, একদম চুপ করে সবকিছু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে , হিসেবে নিকেশের খাতা কলমে কাটাকুটি করে গাইতে মন চাইছে
"আজি ঝরঝর মুখর ও বাদল দিনে জানিনে জানিনে কিছুতে কেন মন ও লাগে না"
I think, khub kom manush e ache jer ai boita pore valo lage nai. Ami usually kono boi 2nd time pori na. Ai boi ta 2009 shaale Ami prothom pori. Tokhn 'Shama' character ta sotty khub valo legeclo.
Ekhn boli 2nd time porer onuvuti. "Shama" n "Esha" 2bon. Ekjon sobkichu te chomke dite valobashe. Arekjon sobkichu juktitorko diye vabte valobashe. Kintu Tara 2jon e odvud karone tader valobasher manush k pochondo Kore. Meyera kokhnoi kono celer chehera ba ter ortho dekhe valobashe na. I think, kono meye e bolte perbe na, she ter valbasher manush k keno valbashe. R Jodi bolte pare, tahole she kono kale take valobashe nai. Ekhanei "Shama" n "Esha" 2 bon er modhe mil. 1ta meye jotoi jibone chomotker ba jukti torko Kore vabuk, valobashe kintu ojana karonei.
কিছু বই আছে হয়না এমন, পড়ে শেষ করার পর ভীষণ একটা আবেগ হুড়মুড়িয়ে মনের ঘর ছাপিয়ে দেয়? বন্যার পানির মত? বহুবার পড়া এই বইটি তেমন। কেমন একটা হাহাকার কেমন একটা ভাল লাগা। বিষণ্ণ বর্ষার দিনের মতো।
সেই চিরচেনা হুমায়ূন আহমেদের চিরচেনা মধ্যবিত্ত গল্প। তবুও পড়তে ভালো লাগে। এই একই গল্প বার বার ফিরে আসে, তবুও কেন পড়তে ভালো লাগে? ভালো লাগে কারন আমিও এই শহরের এই চিরচেনা মধ্যবিত্ত একজন। জীবনের মূল্য আমি খুঁজি যে সকল উপাদানে হুমায়ূন আহমেদ সেই উপাদানগুলো দিতে পারে তার গল্পে, তাই হয়তো ভালো লাগে।
হুমায়ূন আহমেদের গল্পের মধ্যবিত্ত পরিবারে অসম্ভব সুন্দরী যে নায়িকাগুলো থাকে আমরা সব সময় এদের খুঁজি, জীবনে এদের ভালোবাসা পেতে চাই, আমরা চাই আমাদের রমণীরা অসম্ভব সুন্দরী হবে, মমতাময়ী হবে, তাদের ভালোবাসা হবে নির্লোভ, তাদের ভালোবাসা হবে অপার্থিব, তাদের ভালোবাসা হবে পবিত্রতায় মোড়ানো। কিন্তু গল্পের এই নায়িকাদের আমরা আমাদের জীবনে পাই না, তাই বারবার গল্পে ফিরে যাই, আর গল্প থেকে জীবনের অপূর্ণ সুখটুকু নেই।
পুরো গল্পটা খুব সাদামাটা ভাবেই আগাচ্ছিল, যেভাবে হুমায়ূন আহমেদ আগায়। কিন্তু শেষ চিঠিটা গল্পটাকে রঙিন করে তুললো, অসাধারণ করে তুললো। শেষ চিঠিটার জন্য এক তারা বোনাস।
বইয়ের ভালো লাগা লাইন: যে মিথ্যা কথা বলতে পারে না তাকে মানুষ ভয় পায়। ভালো ও বাসে না পছন্দ ও করে না।
গল্পের শেষে শামা কি করে তা বলা হয়নি। তবে আমি ধরে নিলাম সে খাতাউর-এর সাথেই বাকি জীবন কাটিয়েছিল। তার এবং খাতাউর-এর কেমিস্ট্রি খুবই ভাল লেগেছে। মনে হয়েছে তারা একে অন্যের পরিপূরক। তারা আসলেই আলাদা বসবাস করলে কষ্ট পাব। তাই এটা মিলনান্তক গল্প হিসেবে ধরে নিলাম। :)
৩০০-তম বই শেষ করলাম 'বৃষ্টি বিলাস' দিয়ে। হুমায়ূন আহমেদ আমার সবচাইতে প্রিয় লেখক। কয়দিন থেকে বৃষ্টিও হচ্ছে খুব। ভাবলাম এই বৃষ্টির দিনগুলাতে নাহয় 'বৃষ্টি বিলাস'-ই পড়া যাক।
উপন্যাসটা শুরু হয় শামাকে নিয়ে। হুমায়ূন সাহেবের অন্যান্য সব উপন্যাসের নায়িকার 'অত্যন্ত রূপবতী' ট্যাগ শ্যামার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য থাকে। শামা কলেজ থেকে আসার পরে জানতে পারে তার জন্য তার বাবা একজন পাত্র পছন্দ করেছেন। পাত্রপক্ষ শামাকে দেখতে আসে এবং তারা মেয়ে পছন্দ করে আংটি পরিয়ে বিয়ের কথা পাকা করে চলে যায়। পাত্র আতাউরকে যে শামার খুবই পছন্দ হয়েছে তা বলা যায় না। তারপরেও নিজের পছন্দের কেউ না থাকায় শামা পরিবারের পছন্দে আর দ্বিমত করে না। সবকিছু ঠিকঠাকই চলে। শামা আস্তে আস্তে আতাউরকে পছন্দ করাও শুরু করেছিলো। সমস্যা হচ্ছে, এক পর্যায়ে শামার বাবা আতাউরের সম্পর্কে এমন একটা বিষয় জানতে পারে, যার জন্যে বিয়েটা ভেঙে দেয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শামা কি করবে? বিয়ে ভেঙে যাবার পর কি হয়? কেনোই বা তার বাবা বিয়েটা ভেঙে দিলো? জানতে হলে পড়তে হবে 'বৃষ্টি বিলাস'।
একটা বিষয় না জানালেই নয়। উপন্যাসের শেষে একটা চিঠি আছে। এই চিঠিটার জন্যে হলেও উপন্যাসটা একবার পড়া উচিত। চিঠিটার কথা কেনো বললাম তা না পড়লে বুঝবেন না।
সবমিলিয়ে, মনটা খারাপ হয়ে গেলো। এই রেশ যে কতদিন থাকবে মাথায়! পুরো বইয়ের কথা বাদ দিন। শুধুমাত্র চিঠিটার জন্যে হলেও এই বই ভালোবাসার জায়গা করে নিবে যে কারো মনে। অসাধারণ একটা বই। অবশ্যই পড়বেন।
একটা চিঠি। সহজ ভাষায় ভয়ংকর গল্প আষ্টেপৃষ্ঠে থাকা একটা চিঠির টানে এই বইটা আমি বারবার পড়ি। ওই চিঠি একটা অসুখ গিলে আছে। হুমায়ূন সাহেব আবারো শেষ করেও শেষ করেননি বইটা। তবে আমি কল্পনা করতে পারি, শ্যামা, আতাউর আর তাদের ছোট্ট মেয়ে আশা তিনজনে হাত ধরাধরি করে বৃষ্টিবিলাস করছে। তাদের ছোট্ট মেয়ে আশার নাম রাখা হয়েছে আতাউরের আ আর শ্যামার শা থেকে। মজা ব্যাপার বইটা আমি দু'বছর আগে এই হাফ ইয়ার্লির বাংলা পরীক্ষার আগের রাত জেগে পড়েছিলাম। আজকে পড়লাম। পরশুদিন আমার হাফ ইয়ার্লি বাংলা ১ম পত্তর। হেহে -,-
আব্দুর রহমান সাহেব বারান্দায় রাখা একটি পা ভাঙ্গা চেয়ারে বসে আছেন। আজকে উনি অনেক খুশি কারণ উনি উনার বড় মেয়ে শামার বিয়ে ঠিক করে এসেছেন। উনিরই অফিসে নতুন জয়েন করা একটা ছেলের সাথে। ছেলে রহমান সাহেবের খুবই পছন্দ। তাই ছেলে সম্পর্কে কোনো খোঁজ খবর নেননি। আজকেই নাকি ছেলেপক্ষ শামাকে দেখতে আসবে। যেই কথা সেই কাজ। বিকেল বেলায় ছেলেপক্ষ হাজির রহমান সাহেবের বাসায়। মেয়ে হিসেবে শামা অত্যন্ত রূপবতী। যে কারোরই দেখে পছন্দ হবার মতো। কিন্তু একটু রসিকতা করতে পছন্দ করে। তাই যখন ছেলেপক্ষের সবাইকে নাস্তা দেবার সময় এল তখন শামা প্রথমেই নাস্তার প্লেটটা তুলে দিল ছেলের হাতে। শামার ইচ্ছা ছিল সবাইকে একটু চমকিয়ে দেয়ার। তাই হলো। মুরব্বিরা এতে একটু বিব্রতবোধ করলেন। কিন্তু এতে অবশ্য বিয়ের কথা পাকাপাকি করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়নি। ছেলেপক্ষ যাওয়ার সময় শামাকে একটি আংটি এবং একটি খামে এক হাজার এক টাকা দিয়ে গেল। ছেলেপক্ষ নাকি আগে জমিদার ছিল। জমিদার থাকা অবস্থায় যখন উনারা কোনো মেয়ে দেখতে যেতেন তখন মেয়েকে এক হাজার একটি আশরাফি দিয়ে আসতেন। কিন্তু এখন তো আর সেটা সম্ভব নয়। তবুও পরিবারের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য এই এক হাজার এক টাকা দেয়া। অহহ!! ছেলের নামই তো বলা হলো না। ছেলের নাম হচ্ছে আতাউর। অবশ্য শামা রসিকতা করে তাকে ডাকে খাতাউর।
শামারা যেই বাসায় ভাড়া থাকে ��েই বাসার মালিক হচ্ছেন মুত্তালিব সাহেব। উনার বয়স পঞ্চাশ অথবা তাঁর কিছুটা উপরে হবে। উনি উনার ফ্লাটে একাই থাকেন। স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হয়েছে অনেক বছর আগেই। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। এখন সে তার জামাইয়ের সাথে আমেরিকাতে থাকে। মুত্তালিব সাহেব কারোর সাথেই যোগাযোগ রাখতে চান না শুধুমাত্র একটি মানুষ ছাড়া। আর সেই মানুষটি হচ্ছে শামা। কোনো এক অজানা কারণে মুত্তালিব সাহেব শামার প্রতি প্রচন্ড টান অনুভব করেন।
শামা প্রায় প্রতিদিনই মুত্তালিব সাহেবের বাসায় আসে টেলিফোন করার জন্য। টেলিফোনের অপর প্রান্তে যারা থাকে তারা সবাই শামার বান্��বী। একদিন শামা তার বান্ধবী তৃণাকে ফোন করল। তৃণা তাকে মনে করিয়ে দিল আসছে ১৭ তারিখে তাদের আরেক বান্ধবী মীরার বিয়ে। অনেক হৈ হুল্লোড় হবে। বিয়ের দিন সারারাত থাকতে হবে। সে যেন আগে থেকেই বাসা থেকে ভিসা করিয়ে রাখে।
রহমান সাহেব একদিন উনার মেজো মেয়ে এশাকে ডেকে একটি হলুদ রঙের কাগজ দিলেন। কাগজটিতে একটি ফোন নম্বর লেখা। ফোন নম্বরটি হচ্ছে আতাউরের বোনের বাসার নম্বর। সে এখন নিজের বোনের সাথেই আছে। রহমান সাহেব কাগজটি শামাকে দিতে বললেন। যেহেতু বিয়ে ঠিক হয়েই গেছে সেহেতু এখন কথা বলতে কোনো দোষ নেই। শামা নম্বরটি পাওয়ার পর একটি ফন্দি আটল। সে আতাউরের সাথে কথা বলবে ঠিকই কিন্তু শামা হিসেবে নয় এশা হিসেবে।
রিং বাজছে। অন্য কেউ নয় আতাউরই ফোন রিসিভ করল। শামা এশা সেজে আতাউরকে ক্লাস শেষে কলেজের পাশের একটি কনফেকশনারির দোকানে থাকতে বলল। আতাউর প্রথমে অনেক না করলেও পরে রাজি হলো। আতাউর পরেরদিন অফিস কামাই দিয়ে শামার সাথে দেখা করতে গেল। শামা এমন একটা ভাব করল যে সে এটার কিছুই জানে না। শামা আতাউরকে নিজেদের বাসায় চা খাওয়ার দাওয়াত দিল। আতাউর সংকোচবোধ করা সত্ত্বেও রাজি হল। শামা ঠিক করল আজকে সে আতাউরকে নিয়ে মার্কেটে যাবে এবং মীরার বিয়ের জন্য একটা উপহার কিনবে। আর কেনাকাটা শেষে আতাউরই তাকে মীরাদের উত্তরার বাসায় দিয়ে আসবে।
মীরাদের বাড়ীর সামনে দাঁড়িয়ে শামা ভাবছে এই বাড়ীর একটা মেয়ে কেনো ইডেনে পড়বে। তার তো পড়ার কথা বিলেতের কোনো কলেজে। বিলেত না হলেও কমপক্ষে দার্জিলিং-টার্জিলিং জাতীয় তো কিছু একটা হবে। তৃণা বাড়ীর বাইরে শামাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বাড়ীর বারান্দা থেকে হাত নাড়ল। শামা বাড়ীর ভিতরে ঢুকল। শামার সব বান্ধবী এসে হাজির। তৃণা সেখান থেকে শামাকে মীরার বাসর ঘরে নিয়ে গেল। শামা একটি কোণে বসে বাসর ঘর সাজানো দেখতে লাগল কিন্তু তার কিছুই ভালো লাগছে না। মন চাইছে আতাউরকে ফোন করতে যেন সে এক্ষনি এসে তাকে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে বাসার কাজের মানুষ জাতীয় একজন এসে শামাকে খুঁজতে শুরু করল। শামার নাকি একটা ফোন এসেছে। তাড়াতাড়ি করে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় শামার সাথে হলুদ ব্লেজার পরা একজনের দেখা হল। মীরার বান্ধবীরা নাকি মজা করে তার চশমাটা লুকিয়ে রেখেছে। উনার খুবই সমস্যা হচ্ছে। শামা এই ব্যাপারে যদি তাকে একটু সাহায্য করে। কিন্তু শামা তো এই সর্ম্পকে কিছুই জানে না। তাই লোকটি আবারও সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল। শামা ফোন রিসিভ করে দেখে মুত্তালিব সাহেব ফোন করেছেন। রহমান সাহেবের শরীর নাকি খুবই খারাপ। বারবার নাকি তার কথা জিগেস করছেন। মুত্তালিব সাহেব ইতোমধ্যে শামার জন্য গাড়ী পাঠিয়ে দিয়েছেন। যেকোনো সময় মীরাদের বাসায় পৌঁছে যাবে। শামা যেন কোনো ধরণের কাল ক্ষেপন না করে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসে। শামা ফোনটা নামিয়ে দেখে সেই হলুদ ব্লেজার পরা লোকটা দাঁড়িয়ে আছেন। উনি সন্দেহ করছেন শামার ব্যাগেই তাঁর চশমাটি রয়েছে। শামা তার ব্যাগে হাত দিয়ে দেখে আসলেই লোকটির চশমা তার ব্যাগে। সে দেখতে পেল তৃণা হাসছে। শামার একটুও বুঝতে বাকি রইল না যে এটা আসলে তৃণারই কাজ। লোকটি শামাকে কয়েকটা কটু কথা শুনালেন। শামা কাঁদতে কাঁদতে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ল।
আতাউরের সঙ্গে শামার বিয়ে ভেঙ্গে গেছে। আতাউরের নাকি খুব বড় ধরণের একটি সমস্যা আছে। মানসিক সমস্যা। এই সমস্যাটি যে সব সময় হয় এমনটি নয়। মাঝে মাঝে হয়। কিন্তু যখন হয় তখন তাকে দুই তিন দিন একটি ঘরে তালাবন্ধ করে রাখতে হয়। শামা একদিন এশা সেজে আতাউরকে ফোন করল এবং জানতে চাইল সে কেনো তার অসুস্থতার কথাটি তাদের কাছে লুকাল। আতাউর স্বীকার করল যে অসুস্থতার ব্যাপারটি লুকানো তার ঠিক হয়নি। আতাউর শেষবারের মতো শামার সাথে কয়েকটা কথা বলতে চাইল। কিন্তু শামা এশা হিসেবে তাকে জানিয়ে দিল যে শামা তার সাথে কোনো ধরণের কথা বলতে রাজি নয়।
হলুদ ব্লেজার পরা সেই লোকটার আসল নাম হচ্ছে আশফাকুর রহমান। মীরার বিয়ের দিন শামার ব্যাগে যে উনার চশমাটি তৃণা লুকিয়ে রেখেছিল এই ব্যাপারটা তিনি জানতে পেড়েছেন। এরজন্য তিনি খুবই লজ্জিত এবং তিনি শামার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। শুধু যে ক্ষমা চেয়েছে তাই নয়। আশফাকুর সাহেবের মা শামার খোঁজ খবর নিয়েছেন। এমনকি শামার কলেজে পর্যন্ত গিয়েছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শুভ কাজে দেরি হবে না। কারণ আশফাকুর সাহেবের বাবা মৃত্যু পথযাত্রী। বারডেম হাসপাতালে ভর্তি। তিনি ছেলের একটা গতি দেখে যেতে চান।
আজকে আশফাকুর সাহেবের সাথে শামার বিয়ে। কিন্তু বিয়ের আগে কিছু কাজ করা এখনও বাকি। আতাউরকে আংটিটি এবং টাকাটা ফেরত দিয়ে আসতে হবে। কিন্তু সুলতানা কোনোভাবেই নিজের মেয়েকে যেতে দিবেন না। শামা একটি চিঠি বের করে তার মার হাতে দিল। চিঠিটি আতাউরের লেখা। সুলতানা চিঠিটি পড়ে জানতে পারল ছোটবেলা থেকেই আতাউরের বিভিন্ন ধরণের রোগ বালাই লেগেই থাকতো। তাই তার বাবা একদিন ঠিক করলেন ছেলেকে নিয়ে প্রতিদিন ভোরবেলা হাঁটতে বের হবেন আর ঠিক এক মাইল হাঁটবেন। হেঁটে হেঁটে সান্ধিকোনো পুলের কাছের বটগাছ পর্যন্ত যাবেন। উনার বিশ্বাস এভাবে ঠিক একমাস হাঁটলে উনার ছেলের সব শারিরীক সমস্যা দূর হয়ে যাবে। একদিন খুব ঝড় শুরু হলো। কিন্তু তাই বলে তো আর হাঁটা বাদ দেয়া যাবে না। ছাতা ছাড়াই দুইজন বেরিয়ে পড়ল হাঁটতে। কিন্তু বটগাছের কাছে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই বটগাছের পিছন থেকে কয়েকজন বেরিয়ে এসে আতাউরের বাবাকে ধরে কাদায় ফেলে দিল। এরপর তাদের মধ্যে থেকে একজন গরু জ*বাই করার মস্ত বড় একটা ছু*রি বের করল। আতাউরের বাবা তাদেরকে অনেক আকুতি করলেন যেন তার ছেলেকে এই দৃশ্য দেখতে দেয়া না হয়। তাকে যেন সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তারা তাঁর একটি কথা শুনল না। তার সামনে তার বাবাকে গরুর মতো জ*বাই করা হলো। তারপর তারা মূহুর্তের মধ্যে উধাও হয়ে গেল। বৃষ্টির পানি র*ক্তে লাল হয়ে গেল। এই ঘটনার পর থেকেই তার এই মানসিক সমস্যার সৃষ্টি। এই সমস্যার অনেক চিকিৎসা করানো হয়েছে। কলকাতায় গিয়ে বড় সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানো হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। দুই তিন বছর পর পর বর্ষার সময় এই সমস্যাটা দেখা দেয়। বৃষ্টির পানির দিকে তাকালেই মনে হয় সে যেন একটা খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে আছে। আর তার গায়ে টকটকে লাল বৃষ্টির ফোঁটা আছড়ে পড়ছে। সাইকিয়াট্রিস্ট তাকে বৃষ্টির দিকে তাকাতে না করেছেন। বলেছেন যেন বৃষ্টি হলেই ঘরের সব দরজা জানালা বন্ধ করে সে যেন বসে থাকে। এখন সে সেই চেষ্টাই করছে।
এই পুরো ব্যাপারটা লুকানোর পিছনে শুধুমাত্র একটি কারণই ছিল। আতাউর ভেবেছিল বৃষ্টির সময় কেউ যদি গভীর মমতায় তার হাতটা ধরে রাখে, কানে কানে তাকে বলে যে, ভয় নেই। আমি তোমার পাশেই আছি। তাহলে তার এই রোগটা বোধ হয় ঠিক হয়ে যাবে।
তার এই চিন্তা ভাবনার পিছনে আসলে কোনো যুক্তি নেই। কিন্তু ভালো হওয়ার সামান্য আশা নিয়েই এই সবকিছু করা। আতাউর টেলিফোনে এশার সাথে তার কথা বলার ব্যাপারটা শামাকে জানাল এবং শামাকে অনুরোধ করল যেন সে এশাকে এই ব্যাপারে কিছু না বলে।সবশেষে, চিঠিটা এশাকে দেখাতে বলে সে চিঠিটা শেষ করে।
মুত্তালিব সাহেব গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন। পিছনের সীটে মুত্তালিব সাহেব এবং শামা বসে আছে। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। তারা কোথায় যাচ্ছে কেও জানে না। শামা কি কিছুক্ষন ঘুরে আবার বাসায় ফিরে যাবে? বাসায় গিয়ে আশফাকুর সাহেবের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসবে নাকি আতাউরের কাছে গিয়ে বলবে, চলুন আজকে আমরা বৃষ্টিতে ভিজব, আজকে আমরা বৃষ্টি বিলাস করব আর আমি একটি মূহুর্তের জন্যও আপনার হাত ছাড়ব না, সারাক্ষন আপনার হাতটা শক্ত করে ধরে রাখব? কী করবে শামা?
This entire review has been hidden because of spoilers.
হুমায়ূন আহমেদ এর টানা কয়েকটা বই পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা করা যাই এই ঘটনার পর পরবর্তী কি ঘটনা ঘটতে পারে। এই বইয়ের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। অসাধারণ কিছু খুঁজে পাইনি। উনার বই যেরকমটা হয় ঠিক সেরকমটা ই। তবে পড়লে টানা পড়তে ইচ্ছে করে, যতই মনে হোক না কেনো আপনি মোটামুটি জানেন এরপর কি ঘটবে তবুও! এটা উনার লেখার ভালো একটা দিক যেটা আমার পছন্দের। আর শেষে শামা নামের মেয়েটা কি সিদ্ধান্ত নিলো এটা বইয়ে উল্লেখ না থাকলেও বইয়ের নাম "বৃষ্টি বিলাস" থেকে কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যায়।
এই চিঠিটা পড়তে আমি বারবার বইটা পড়ি। মানুষের বয়সের সাথে তার অনুভূতিও বদলে যায়। ১৫ তে পড়ে যা ভেবেছি, ২১ এ তা ভাবছি না। আবার ৩০ এ অন্য কিছু ভাবা স্বাভাবিক। চিঠিটা একই থাকবে, শুধু ভাবনা বদলে যাবে। এটাই জীবন।
হুমায়ুন আহমেদের বইগুলো আবারও পড়ছি, পড়ার সময় মনে হয় আগে পড়িনি। ভাবছিলাম বইগুলা কি রাখা উচিত নাকি এক্সচেঞ্জ করা উচিত, মনে হয় রেখে দেয়া উচিত, প্রথমবার যতটা ভালো লেগেছিলো এখন ততটা লাগছে না, দুই-চারবছর পর আবার পড়লে মনে হয় আরও ভালো লাগবে না। থাকুক!
সামান্য একটি গল্পকে অসামান্য করে তুলে ধরেছেন লেখক। নামের স্বার্থকতা জানার জন্য পাঠকদের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এই অপেক্ষা হতাশার কারণ হবে না, হবে কিছু অসংজ্ঞায়িত বৃষ্টিস্নাত আবেগের :)