Bani Basu is a Bengali Indian author, essayist, critic and poet. She was educated at the well-known Scottish Church College and at the University of Calcutta.
She began her career as a novelist with the publication of Janmabhoomi Matribhoomi. A prolific writer, her novels have been regularly published in Desh, the premier literary journal of Bengal. Her major works include Swet Patharer Thaala (The Marble Salver), Ekushe Paa (twenty One Steps), Maitreya Jataka (published as The Birth of the Maitreya by Stree), Gandharvi, Pancham Purush (The Fifth Man, or Fifth Generation?) and Ashtam Garbha (The Eighth Pregnancy). She was awarded the Tarashankar Award for Antarghaat (Treason), and the Ananda Purashkar for Maitreya Jataka. She is also the recipient of the Sushila Devi Birla Award and the Sahitya Setu Puraskar. She translates extensively into Bangla and writes essays, short stories and poetry.
Bani Basu has been conferred upon Sahitya Academy Award 2010, one of India's highest literary awards, for her contribution to Bengali literature.
বাণী বসু'র মহাভারত সিরিজ পুরোটাই লৌকিক। মোটাদাগের মহত্ত্ব বা সরলতা বা আত্মত্যাগকে লেখিকা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন, যুক্তি খুঁজেছেন প্রতিটা কাজের পেছনে। কিন্তু বইয়ের ব্যাপ্তি ছোট। এতো ছোট পরিসরে পাঞ্চালকন্যা দ্রৌপদীর মতো বর্ণাঢ্য, জটিল ও মোহময় চরিত্রকে ধারণ করা দুঃসাধ্য। লেখিকা উপন্যাস লিখবেন না নিজের ভাবনাগুচ্ছ প্রবন্ধ আকারে পেশ করবেন সে ব্যাপারে মনস্থির করতে পারেননি। যার ফলে উপন্যাসের উত্তেজনা বা প্রবন্ধের ক্ষুরধার যুক্তি কোনোটাই পুরোপুরি পাওয়া যায় না। তবে বাণী বসু'র লেখা উৎসাহী পাঠককে মহাভারত সম্পর্কে আরো কৌতূহলী করে তুলবে।
প্রবল প্রতিবাদ-উৎসাহ-গোলযোগের মাঝে এক শ্যামাঙ্গ যুবক নির্বিকারে লক্ষ্যভেদ করে জয় করে নিলেন পরমাসুন্দরী রাজকন্যাকে। মহাভারতের সবচেয়ে নাটকীয় দৃশ্য সম্ভবত এটাই। একের পর এক নাটকীয়তা তখন। কে এই ব্রাহ্মণ যুবক? পরিচয় জানা গেলো, ভাগও হলেন যাজ্ঞসেনী। এর মধ্য দিয়েই মনের অবস্থারও একের পর এক পরিবর্তন ঘটে চলেছে অর্জুন-দ্রৌপদী দুজনেরই। সেই কৃষ্ণা দ্রৌপদী পাঞ্চালী। যাঁর প্রতিটা নামই বহন করে এক একটি পরিচয়। যাঁর উদ্ভব থেকে পতন প্রায় সবই এক অত্যাশ্চর্যে মোড়া ব্যঞ্জনায় গাঁথা। বাণী বসু আলোকপাত করেছেন তাঁর অনার্য জন্মের সম্ভাবনার দিকে। দ্রৌপদীর সাথে সাথেই আলোচিত হয়েছেন পরাক্রমশালী অথচ পিতৃতান্ত্রিক ভীষ্ম, প্রায় ক্লীব এবং নিষ্কর্মা যুধিষ্ঠির, সম্ভাবনাময় অথচ ঈর্ষাকাতর দুর্যোধন, বুদ্ধিমান কৌশলী কৃষ্ণ এবং মানসিক এবং শারীরিক উভয়ক্ষেত্রেই অসামান্য শক্তির অধিকারী পার্থ। আজো আমাকে দুঃখ দেয় অর্জুন-দ্রৌপদীর বিচ্ছেদ, দুঃখ দেয় দুজনের মনের না বলা গহীন অভিমান, দুঃখ দেয় দূরে দূরে থেকে গড়ে ওঠা এক অব্যক্ত ভালোবাসা, যা ঈর্ষাকাতর করেছিল জৈষ্ঠ পাণ্ডবকেও। পুরো মহাভারতে কৃষ্ণ আর দ্রৌপদীর মতো চমৎকার সম্পর্ক আর দেখা যায় না। এই অংশটি সবচেয়ে স্মার্ট, ব্যাসদেবের তীক্ষ্ণ, বিচক্ষণ লেখনী এত যুগ আগেও এই মনোরম সম্পর্কটি কীভাবে আবিষ্কার করেছিল ভাবতে অবাক লাগে। একই সাথে সুকৌশলে সকল প্রধান চরিত্র, তিনি নিজে, সত্যবতী, কৃষ্ণ, দ্রৌপদী, অর্জুন সকলকে তিনি কিন্তু অনার্যই হওয়ার ইঙ্গিত রেখেছিলেন, এক ধরনের দ্রোহ বটে! মহাভারতের প্রাসঙ্গিকতা এই সমাজে সম্ভবত কখনো ফুরাবে না। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সময় তাঁর সকল স্বামীসহ প্রবল পুরুষদের নিশ্চেষ্ট দাঁড়িয়ে থাকা কী আজো আমাদের সমাজের এক বিশেষ দৃশ্যের কথা মনে করিয়ে দেয় না?
I don't know how many of you have read Mythological Retelling books or how far you love this genre !!! Honestly I never feel interest to read mythological retelling books... But when I went to International Kolkata Bookfair, this book caught my eyes and I decide to give it a try..
Draupadi wants to be the wife of the great valiant. The wife of a man who would be her friend, would give her real respect. But Panchaali's dream, desire was crushed ... We usually think that She was one of the reason behind the war of Kurukshetra ... But how far is the fact true ??
Within 166 pages Bani Basu masterfully describes not only the life and pain of Draupadi also gives the strong message about feminism... The book changes my perspective about some characters of Mahabharata (specially about Yudhisthira) And of course I love the way Basu blends this mythological story with modern thoughts and language. My Rating 4.1/5
আমি কৃষ্ণা। অনেকে পাঞ্চালরাজ দ্রুপদের কন্যা দ্রৌপদী বলেও চিনেন। সারাজীবন আমি অন্যের হাতের পুতুল হয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়েই গেছি। আমার জীবন ও ইচ্ছার কোনো মূল্য ও মালিকানা আমার নিজের এখতিয়ারে ছিল না। আমার জন্মও বেশ রহস্যময়। রাজা দ্রুপদ বাল্যকালে বন্ধু দ্রোণাচার্যকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পরবর্তীতে ভুলে যান ও দ্রোণাচার্যকে অপমানিত করেন। অপমানিত দ্রোণাচার্য শিষ্যদের দ্বারা দ্রুপদকে বন্দি করে হিংসার খেলায় মেতে উঠেন। 'প্রতিহিংসা' - কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মূলে রয়েছে এই প্রতিহিংসা। মহাভারত জুড়ে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাই করে গেল। লাঞ্ছিত দ্রুপদও প্রতিশোধস্পৃহায় পুত্রসন্তানের যজ্ঞ করেন। এই যজ্ঞে অলৌকিক (!) বা লৌকিক উপায়ে আমার আবির্ভাব হয়। ভবিষ্যতের প্রতিহিংসার খেলার অংশ হিসেবে আমি পাঞ্চালে বড় হতে থাকি। আবার আমার স্বয়ংবর অনুষ্ঠানে আমাকে জিতে নিল মধ্যমপাণ্ডব অর্জুন। আমি আমার ভাগ্যকে বনবাসী অর্জুনের সাথে জুড়ে দিলাম। 'ভাগ্য' মনে হয় আমার অনেক বেশি সুপ্রসন্ন,না হলে এক স্বামীকে মালা দিয়ে কিভাবে যেন পাঁচ স্বামীকে বরণ করে ফেলেছি। এরপর এই নারী জীবন পঞ্চপাণ্ডবের সুখ-দুঃখ, বনবাস , দারিদ্র্য জীবনের সাথে জড়িয়ে গেছে। অনেকে আমাকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের জন্যও দায়ী করেন! অথচ আমি আগেই বলেছি আমার মতামত ও ইচ্ছার মূল্য কতটুকু? ভরা মজলিসে কৌরব ব্যক্তিত্বদের সামনে যখন যুধিষ্ঠির পাশা খেলায় হেরে আমাকে পণ্য হিসেবে বিনিময় করে, দুঃশাসন যখন আমার বস্ত্রহরণ করতে থাকে তখন কুরুবংশের সর্বনাশ চাওয়া ছাড়া আমার কিইবা বলার ছিল!
বাণী বসুর মহাভারত সম্পর্কিত যত পিচ্চি সাইজের বই আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো লাগলো এইটা। সত্যি বলতে, এটা পড়ার আগে দ্রৌপদীকে পাঁচ ভাইয়ের স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন চোখেই দেখি নি। সেখানে দ্রৌপদীর বিভিন্ন দিকে যেভাবে আলোকপাত করেছেন, আমি চিন্তার খোরাক পেয়েছি।
বিশেষ করে ভীষ্মের সকল সিদ্ধান্তের খেসারত দিয়েছেন কুরুকুলের রমনীগণ... এ সংক্রান্ত আলোচনাটুকু এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বোধহয়। আর "সত্যবাদী যুধিষ্ঠির" এর প্রতি লেখিকার উষ্মা বেশ স্পষ্ট ভাবেই বুঝা যাচ্ছিলো, বলা যায় একরকম ধুয়ে দিয়েছেন।
আফসোস বাকিগুলোর মতোই, খুবই ক্ষীণকায় এই বইটিও। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের আগেই লেখিকা সব বইয়ের ক্ষেত্রেই তাঁর কলম টেনে ধরেছেন।
মহাভারতের বিভিন্ন চরিত্রদের নিয়ে বাণী বসুর লেখা সিরিজের আরো একটা বই, যেটা মাঝপথে এসে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। মহা ভারতের প্রচলিত ভার্সনের বাইরে এতো এতো লেখা বিশেষত পাঞ্চালীকে নিয়ে যে আমার মনে হয় লেখক লেখিকাদের উচিৎ তার ভার্শনের রেফারেন্স আর রেশনাল উল্লেখ করা! মাঝে মাঝেই মনে হয় যে যা ইচ্ছে অথবা যে যা নিজে ভাবছে যে ঠিক তাই লিখে যাচ্ছে। কী একটা অবস্থা
মহাভারতের পাঞ্চাল কন্যা একটা বিশেষ চরিত্র। ছোট্ট পরিসরে লেখিকা সেই চরিত্র নিয়েই শুরু আলোচনা করেন নাই, প্রশ্ন তুলেছেন মহাভারতের নানা সূত্র ধরে, যে প্রশ্ন গুলো যৌক্তিক। তিনি চেষ্টা করেছেন সেই প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর দিতে। নারী চরিত্রের মাঝে বলিষ্ঠ ও শক্তিশালী এক চরিত্র হয়েও নানা ভাবে কোনঠাসা হয়ে সেই সময়ের নারী জীবন ও রাজ পরিবারের রাজনৈতিক বিষয়ের মধ্যে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন।
ভালো লেগেছে, তবে কালিন্দী পড়ে যতটা ভালো লেগেছিল, ঠিক ততটা নয়। তবে কৃষ্ণা আমার খুব প্রিয় একটি চরিত্র, তাই তাকে নিয়ে লেখিকার লেখা তথা বিশ্লেষণ অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছি। কিছু কিছু জায়গা ভালো লাগেনি, কেন বলতে পারব না... তবে অনেক জায়গায় তিনি এমন কিছু লিখেছেন মহাভারত কে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার অনুপ্রেরণা জোগায়।
গল্পটি সবার জানা। স্বল্পতায়ন এই উপন্যাসে লেখিকা তুলে ধরেছেন দ্রৌপদীর জীবনের জন্ম মুহূর্ত থেকে বনবাস অবদি ঘটনাপ্রবাহ। এতে সব অলৌকিক কাহিনীর লৌকিক ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করা হয়েছে। এই সিরিজে এটাই আমি প্রথম পড়লাম। মহাভারতে ইঙ্গিত পূর্ণ বিভিন্ন ঘটনার আধুনিক ব্যাখ্যা এই বইটির মূল আকর্ষণ।
If you have read The Palace of Illusions and followed it up with this, then this book would definitely be a disappointment and the storyline might feel swaying away from the central character - Draupadi/Panchali and veering elsewhere maybe as a justification/background to explain the events in Panchali's life. The ending was rushed and abrupt and left a lot to be desired. The only different thing worth noting in this essay/novella was its perspective on Yudhisthira and how he might not exactly be the "Dharma purush" that we've known him to be.