Ganjay Farishtay is a collection of sketches of famous literary figures, actors and actresses. The sketches include those of famous actors and actresses like Ashok Kumar, Shyam, Nargis, Noor Jehan and Naseem, and of literary figures like Meera Ji, Hashar Kashmiri and Ismat Chughtai. Manto's sketches also include a sketch of Muhammad Ali Jinnah.
Saadat Hasan Manto (Urdu: سعادت حسن منٹو, Hindi: सआदत हसन मंटो), the most widely read and the most controversial short-story writer in Urdu, was born on 11 May 1912 at Sambrala in Punjab's Ludhiana District. In a writing career spanning over two decades he produced twenty-two collections of short stories, one novel, five collections of radio plays, three collections of essays, two collections of reminiscences and many scripts for films. He was tried for obscenity half a dozen times, thrice before and thrice after independence. Not always was he acquitted. Some of Manto's greatest work was produced in the last seven years of his life, a time of great financial and emotional hardship for him. He died a few months short of his forty-third birthday, in January 1955, in Lahore.
সাবঅলটার্ন স্টোরিটেলার হিসেবে যে মান্টোকে চিনতাম, গাঞ্জে ফেরেশতের লেখক মান্টোকে যেনো চিনিই না! বই মেলায় একজন বৃদ্ধা পাঠিকা তাঁর স্বামীর জন্যে হন্যে হয়ে একটা বই খুঁজছিলেন। মান্টোর ‘গাঞ্জে ফেরেশতে’। ভাবছিলাম, বেশ ইন্টারেস্টিং নাম তো। নামটা তখনি গেঁথে যায়। ফার্সি ভাষায় ফেরেশতে মানে তো দেবদূত। আর গাঞ্জে? গাঞ্জে মানে টেঁকো! অর্থাৎ, গাঞ্জে ফেরেশতে মানে টেঁকো দেবদূত। কিন্তু কারা মানটোর এই টেঁকো দেবদূতগন?
মান্টোকে আমরা চিনি নিম্নবর্গের কথাকার হিসেবেই। তিনি জীবনের একটা দীর্ঘ সময় জড়িত ছিলেন বোম্বে ফিল্ম জগতের সাথে। সেটা জীবিকার তাগিদে হোক বা যাই হোক। ত্রিশ চল্লিশের দশকের বোম্বে সিনেমার অনেক কিছুরই সাক্ষী তিনি। অনেক তারকা মহাতারকা, পরিচালকের সাথে হয়েছে ঘনিষ্ঠতা। এঁদের মধ্যে আছেন নার্গিস, অশোক কুমার, নাসিম বানু, বাবুরাও প্যাটেল, শাহির লুধিয়ানভি, নূরজাহান, প্রভৃতি। এঁরাই হলেন গাঞ্জে ফেরেশতে অর্থাৎ টেঁকো দেবদূতগণ! আরও দুজন মানুষের কথা না বললেই না, এক ইসমত চুগতাই, বিখ্যাততম উর্দু লেখিকা আর দুই, হানিফ আযাদ, ইনি ছিলেন মহম্মদ আলী জিন্নার রথের সারথি আই মিন গাড়ির ড্রাইভার যিনি ছিলেন মান্টোর শরাবের ইয়ার!
তাঁর কাছে বম্বে ছিল একরকমের ড্রিমল্যান্ড। বোধহয় একটা সময় বম্বের ফিল্ম জগতের প্রতি বিতৃষ্ণাও তৈরি হয়। ফলে যোগ দেন অল ইন্ডিয়া রেডিওতে। রেডিওতে (বেশ সফল্ভাবে) দেড় বছর কাজ করবার পর আবার বোম্বের ফিল্মিস্থান লিমিটেডে (বোম্বে টকিজ ভেঙ্গে পরবর্তীতে ফিল্মিস্থান লিমিটেড তৈরি হয়) কাহিনী ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে যোগ দেন। এখানেই গাঞ্জে ফেরেশতে বা বোম্বে নগরীর চলচ্চিত্র উপাখ্যান লেখায় হাত দেন।
এটাকে বোম্বে সিনেমার ইতিহাস না বলে মান্টোর সেমি অটোবায়োগ্রাফি বলা যেতে পারে। যে সব টেঁকো দেবদূতদের কথা লিখেছেন তাঁদের মধ্যে কিছুজনের সাথে মান্টো এতোটাই ঘনিষ্ট ছিলেন যে তাঁদের কথা শুনলে মান্টোর সম্পর্কেও অনেক খানি জানা হয়ে যায়।
বইটি না পড়ে আমার মান্টো (২০১৮) সিনেমাটা দেখার ফল হল সিনেমাটা আবার দেখা।
১৯৩০ সালে বলিউডের পত্তনের পর তার উন্নতির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিল হিমাংশু রায় ও দেবিকা রানী'র প্রতিষ্ঠিত (১৯৩৪) স্টুডিও 'বম্বে টকিজ'। টকিজের সুপারস্টার অশোক কুমার আবার ১৯৪৩-এ প্রতিষ্ঠা করেন নিজের ফিল্ম কম্পানি, 'ফিল্মিস্তান'। এই সবের সাথে তাহলে গল্পকার মান্টোর যোগ কোথায়? মান্টো শুরু থেকেই বম্বে টকিজে যুক্ত ছিলেন, বন্ধু অশোকের সাথে পরে ফিল্মিস্তানে যোগ দেন এবং ফিল্মিস্তানের পয়লা সিনেমা 'Chal Chal Re Naujawan'-এর স্ক্রিনপ্লে তারই লেখা। এরপরও ফিল্মিস্তানের অনেক সিনেমার জন্য কাজ করেছেন মান্টো, নিজের সিনেমা 'আট দিন' (Eight Days) ফিল্মিস্তানে তৈরীর বেলায় সেখানে ক্যামিও-ও করেছিলেন একটা। লেখক মান্টোর ওপর খ্যাপা পাকিস্তান যে সময়ে তাকে 'ঠান্ডা গোশত'(১৯৫০)-এর জন্য কাঠগড়ায় তুললো, মান্টো তখন লেখালেখি ছেড়েই দেবেন কিনা ভাবছিলেন। হাতে উপায় ছিল দুইটা, ব্ল্যাক মার্কেট অথবা মদের ব্যবসা। তবে দ্বিতীয়টায় আশঙ্কা ছিল, নিজেই ব্যবসার মদ খেয়ে শেষ করে দিবেন। সাতপাঁচ ভেবে পরে পত্রিকায় লেখা শুরু করেন তার চেনাজানা চিত্রতারকাদের নিয়ে। শুরুতে 'আফাক' পত্রিকায় নাসিম বানুকে নিয়ে লিখেন, পর্যায়ক্রমে বন্ধুবর যত নায়ক, নায়িকা, পরিচালক, পত্রিকা সম্পাদক, সাহিত্য বোদ্ধা এমন অনেককে নিয়েই লিখে গেছেন মান্টো, যাঁদের সাথে কাছ থেকে মিশেছেন তিনি। অভিনব ব্যাপার হলো, যে সময়কাল-টা তখন একদিকে ভারতীয় ফিল্মের যাত্রা শুরুর, আবার দেশভাগের। দেশান্তরের নানান দিক ছাড়াও সিনেমার বাজার, পণ্যসামগ্রীর প্রাপ্যতা এইসবও সিনেমা-সাহিত্যের অঙ্গনে প্রভাব ফেলেছিল, সেসব মান্টোর লেখায় উঠে এসেছে নিতান্ত দিনলিপির ঢঙে। ওই সময়কার প্রামাণ্য দলিল সহজলভ্য না, আত্নস্মৃতিও কেউ এমন করে লিখে যাননি, তাই মান্টোর এই বইয়ের আবেদন অনস্বীকার্য। 'গাঞ্জে ফেরেশতে'-র পর মান্টো পাকিস্তানে বসে 'লাউডস্পীকার' নামেও আরেকটা বই লিখেন একই বিষয়ে। '৬৭ সাল থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাপ্তাহিক 'চিত্রালী'-তে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছিল 'গাঞ্জে ফেরেশতে', মোস্তফা হারুনের অনুবাদে। অনুবাদকের কাজ মোটেই অনুবাদ বলে মনে হয়নি, অনেকাংশে মনে হয়েছে মান্টোর লেখা পড়ছি। লেখাগুলো বই আকারে বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৭ সালে, স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে মুক্তধারা থেকে। প্রচ্ছদ করেছেন হাশেম খান, আর নিঃসন্দেহে বাংলাদেশি এই প্রিন্টের প্রচ্ছদ পাকিস্তানী দুটা এডিশনের চেয়ে বেশি সুন্দর। শেষ কথা। নিজের শিল্পীদের গন্ডির বাইরে, পাঠক বা আমজনতার কাছে বোধয় আজীবন গালি খেয়েই এসেছেন মান্টো, ঠান্ডা গোশতের শুনানির ফাঁকে চিত্রজগত নিয়ে লেখাটাকে যখন কি না 'নিরাপদ' বলে ভেবেছিলেন, সেটা নিয়েও 'আফাক' থেকে শুরু করে অন্যান্য পত্রিকা বরাবর চিঠি আসছিল 'অশ্লীল ভাষা'য় লেখা 'পাঠের অযোগ্য' এবং 'শিশুদের নাগালে পত্রিকা রাখার অনুপযোগী' লেখাগুলোর জন্য অভিযোগ জানিয়ে। আদতে আরো হাস্যকর অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছিল, "সিনেমা-কে কবিরা গুনাহ মনে করি না, কিন্তু চাই না সন্তানরা সিনেমা দেখুক... এখক পত্রিকাতেও সিনেমা জগত নিয়ে গল্প ছাপালে সেগুলো থেকে শিশুদের দূরে রাখব কেমন করে? পত্রিকা পড়ে তো আর তা আলমারীতে তালাবদ্ধ করতে পারি না..." ১১ জানুয়ারী ১৯৫২ সনে বইরূপে প্রকাশ্য 'গাঞ্জে ফেরেশতে'র মুখবন্ধ সা'দত হাসান মান্টো শেষ করেছেন এইভাবে- " আমার প্রসাধন কক্ষে কোনো প্রসাধন দ্রব্য নেই ভাই। না আছে এখানে কোনো শ্যাম্পু, না আছে স্নো পাউডার, না আছে চুল বানাবার কোন উপাদান। আমি সাজগোজ করতে জানি না। প্রসাধন করে আসল চেহারা ঢাকতে জানি না। 'আগা হাশর'-এর সিক্ত-নয়নযুগলকে আমি সাদা চোখে দেখতে পারি না। তার মুখ থেকে গালিগালাজ ছাড়া ফুল ঝরাতে পারিনা। মিরাজীর ভ্রষ্টতাকে আমি ইস্ত্রি করতে পারিনি। বন্ধু শ্যামকে আমি বাধ্য করতে পারি না যে, সে অন্য মেয়েকে 'শালী' না বলুক। এ পুস্তকে যে সব ফেরেস্তাদের সমাবেশ— নিঃসন্দেহে তাদের মাথা মুড়ানো হয়েছে এবং এ কাজে আমি একটুও শিথিলতা করিনি। " তার আগে লিখেছিলেন, " আমি অনেক চিন্তা করে এই বইর নাম 'গাঞ্জে ফেরেশতে' রেখেছি। যথার্থভাবে এ বইর জন্যে এই নামই প্রযোজ্য (গাঞ্জে ফেরেশতের অর্থ দাঁড়ায় নিষ্পাপ ফেরেস্তার দল, ভন্ড-তপসী,—বকধার্মিকদের বেলায়ও এ নাম প্রযোজ্য। "
চলনসই অনুবাদ মোস্তফা হারুনের, মুক্তধারা থেকে প্রকাশিত।
বই প্রসঙ্গে লেখকের নিজের মতামত, "আমি সাজগোজ করতে জানি না। প্রসাধন করে আসল চেহারা ঢাকতে জানি না। ... এ পুস্তকে যেসব ফেরেশতাদের সমাবেশ - নিঃসন্দেহে তাদের মাথা মুড়ানো হয়েছে এবং এ কাজে আমি একটুও শিথিলতা করিনি।" [পৃঃ১৮]
দেশভাগ, দাঙ্গা, সমসাময়িক রাজনীতির ঝাপটা লেগেছে পাতায় পাতায়। অশোক কুমার, দেবীকা রানী, নার্গিস ... অদ্ভুত এক বই সব মিলিয়ে।
গাঞ্জে ফারিশতে শব্দের আক্ষরিক অর্থ করলে দাঁড়ায় "টেঁকো দেবদূতগণ"। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, মান্টোর সেই দেবদূত কারা?
মান্টোর নাম প্রথম শুনি নওয়াজুদ্দীন সিদ্দীকির ফিল্ম " মান্টো" এর ট্রেইলার দেখে। নানা কারণে এই ফিল্মটা পরে আর দেখা হয়ে ওঠেনি। পরবর্তীতে বিচ্ছিন্নভাবে কতগুলো কবিতা পড়লেও মান্টো সম্বন্ধে আমার জ্ঞান এই বইয়ের ভূমিকার পাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
মান্টোর লিখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে একাধিকবার, কারণ তার লিখা নাকি "অশ্লীল"। ব্রিটিশ আমল এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান আমল মিলিয়ে বেশ কয়েকবারই মান্টোকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে, জেল খাটতে হয়েছে, এবং নগদ অর্থ জরিমানা গুণতে হয়েছে। মান্টোর লেখার বড় বৈশিষ্ট্য বোধ করি এই যে, তার লেখা খুব " ডাইরেক্ট", শ্রুতিমধুরতার ধার উনি খুব বেশি ধারেন না। বোধ করি এই কারণেই উনার লেখা বারবার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
"গাঞ্জে ফারিশতে" মূলত মান্টোর স্মৃতিচারণমূলক লেখা বলা চলে। বোম্বের ফিল্ম সিটির গোড়াপত্তনের সময় থেকে দেশবিভাগ, এবং তার নিজের লাহোর আগমন, এর মধ্যকার বিভিন্ন ঘটনাবলী মান্টো নিজের ভাষায় তুলে ধরেছেন। সেকালের বেশ কয়েকজন বিখ্যাত সেলিব্রেটী এবং গুরুত্বপূর্ণ মানুষের কথা তুলে ধরা হয়েছে এ বইয়ে। আছে অশোক কুমার, নূরজাহার, নাসিমা বানু, ইসমত চুঘতাই এর কথা, আছে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এর কথা, যার ড্রাইভারের সাথে মান্টোর বেশ খাতির ছিল। আছে পর্দার হিরো-হিরোইনদের পর্দার অন্তরালে, তাদের অন্ত:পুরের গল্প, লোকদের চোখের আড়ালে সেখানে কি ঘটে তার বর্ণনা।
এ লেখা প্রকাশিত হবার কিছুকাল পরেই মান্টো মারা যায়, এবং এ বইয়ের ব্যাপারে প্রচুর সমালোচনা হয়েছে, এর সত্যতা নিয়েও অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করে। তবে যা ই হোক, চাই সে সত্য বা মিথ্যে, বইটি পাঠকের জন্য অবশ্যই সুখপাঠ্য!
Written around 1950-52 this book is a memoir by Manto of his friends and acquaintances in and around Bombay, Amritsar and Lahore. The book touches upon the lives of eminent filmmakers, writers, editors and poets of those times. It touches upon their rise and fall, their love and lust their fears and theirs foibles. The book is called Ganje Farishte because Manto doesn't shy away from unraveling the who's who of their times. Chapters are on the lives of Shyam, Babu Rao Patel, Ashok Kumar, Nawab Kashmiri, Rafiq Ghaznavi, Anwar Kamal Pasha, B.H. Desai and Ismat Chugtai. The writer admits that though on the verge of offending, his intentions in penning down these anecdotes is nothing more than to present a humane and truthful account of the famous and the powerful including their weaknesses and their darker side.
Imo, the name comes from an interesting concept, it's a collection of social essays written in response to criticism and stuff that came from people and his friends in the literary circle. Those friends paraded their innocence (farishtay) but Manto took it upon himself to unveil them (ganjay)
though i read bangla translation version of this book . it is a awesome book. many inofrmatiive and i like it about the drakness of cinema world and incident of starting of bollywood
سب سے اچھا خاکہ "میرا صاحب" تھا۔ اس کے علاوہ "پری چہرہ نسیم بانو" بھی دلچسپ تھا۔ تین گولے" بالکل سمجھ نہیں آیا بیکار تھا۔" باری صاحب" بہت کھنچ کر بور کر رہا تھا۔"
آپ نے اگر اردو ادب کا مطالعہ تھوڑی گہرائی میں جا کر کیا ہو تو آپ کو معلوم ہوگا کہ تحریر کی مختلف ہئیت ہوتی ہیں جیسے کہ مضمون، سفرنامہ، سوانح عمری، آپ بیتی وغیره ۔ تو اسی طرح ایک ہئیت کا نام "خاکہ" بھی ہے، خاکہ لکھنے کو خاکہ نگاری کہا جاتا ہے، ایک ویبسائٹ خاکہ کی تعریف یوں کرتی ہے کہ : "خاکہ یا اسکیچ (Sketch) اس تحریر کا نام ہے جس میں کسی شخصیت کے کردار کے اہم خد و خال مختصر الفاظ میں ابھارے جائیں۔ اس کی مثال اس طرح ہے جیسے کوئی مصور موٹے موٹے خطوط سے کسی چیز کی عمومی تصویر کا احساس دلاتا ہے۔ خاکہ میں بھی تفصیل سے گریز کرکے اشارات کی زبان میں شخصیت کی مطلوبہ تصویر کھینچی جاتی ہے۔ کامیاب خاکہ نگار وہ ہے جو تھوڑے سے الفاظ میں کردار کے اہم اور منفرد پہلو سامنے لے آتا ہے اور پڑھنے والے کو یہ محسوس ہونے لگتا ہے کہ وہ شخصیت اس کی آنکھوں کے سامنے چل پھر رہی ہے۔" ( از لفظونہ ڈاٹ کام) بہت سارے ادیبوں نے خاگہ نگاری میں اپنا قلم چلایا اور انہی میں سے ایک سعادت حسن منٹو ہے, دوسرے سمیسٹر میں جب ہم نے خاکہ نگاری کا تعارف پڑھا تو میڈم نے مختلف خاکوں کے نام بتائے جن میں سے ایک "گنجے فرشتے" تھا. بعد میں جب ای-لائبریری میں اسے پایا تو پہلی کتاب یہی پڑھنی شروع کی، تمہید کافی ہو گئی اب کتاب کا ایک جائزہ لیا جائے…. اس کتاب میں پہلا خاکہ "میرا صاحب" کے نام سے ہے اور یہی خاکہ میرے لیے دلچسپی کا باعث بنا اور مجھے کتاب مکمل کر دینے پر مجبور کیا، ہم سب بچپن سے قائد اعظم کا مضمون پڑھتے آئے ہیں اور اب تو وہ روایتی مضمون نہایت غیردلچسپ معلوم ہوتا ہے مگر منٹو کی نظر سے "میرا صاحب" کی صورت میں قائداعظم کے متعلق پڑھ کر دیکھئیے روح تک خوش نہ ہوئی تو کہیے گا۔ گو منٹو کافی مشکل اردو لکھتا ہے جو میرے جیسے نئے نویلے قاری کے لیے کافی "بڑا" مسئلہ ہے مگر چونکہ ان کی تحاریر کافی دلچسپ ہوتی ہیں اس لیے انسان اُس سے جُڑا رہتا ہے… منٹو ان لوگوں میں سے ہے جو یہ سمجھتے ہیں کہ "اگر مرنے کے بعد کسی کی خوبیوں کو بیان کیا جا سکتا ہے تو کسی کی برائیوں کو بیان کیوں نہیں کیا جا سکتا؟؟" نہایت ایمانداری سے منٹو نے ہر شخص کا خاکہ الفاظ میں یوں کھینچا ہے کہ ایسا معلوم ہوتا ہے کہ گویا ہم اس شخص کے ساتھ برسوں گزار چکے ہیں، جب منٹو کے یہ خاکے مختلف رسائل میں چھپے تو لوگوں نے اس پر خوب باتیں بنائیں اور منٹو کو خط لکھے کہ کم از کم مرے ہوئے لوگوں کو تو بخش دو، پھر اس کے ردعمل کے طور پر منٹو نے کتاب میں شامل آخری خاکہ " گنجے فرشتے" لکھا. اس کتاب کو پڑھنا وقت اور پیسے کا ضیاع بالکل بھی نہ ہوگا، میری طرف سے Highly Recommended ہے…. آپ مختلف شخصیات کی زندگی کا مختصر جائزہ چاہتے ہیں تو یہ کتاب نہایت موزوں ہے، کتاب کی فہرست یہ رہی…. 1 میرا صاحب 2 آغا حشر سے دو ملاقاتیں 3 اختر شیرانی سے چند ملاقاتیں 4 تین گولے 5 باری صاحب 6 عصمت چغتائی 7 مُرلی کی دھن 8 پری چہرہ نسیم بانو 9 اشوک کمار 10 نرگس 11 کشتِ زعفران 12 بابو راؤ پٹیل 13 گنجے فرشتے
ایمانداری سے کہوں تو کچھ ایک دو خاکے (جیسے تین گولے) بہت مشکل الفاظ میں تھے جو مجھے سمجھ نہیں آئے، اس لیے کچھ عرصہ بعد دوبارہ پڑھوں گا اس کتاب کو ان شاءاللہ عزوجل۔ افسانوی ادب کے مقابلے میں مجھے یہ چیزیں زیادہ پسند ہیں اس لیے یہ میرے لیے نہایت دلچسپ رہا، امید ہے کہ آپ بھی اس کو بہترین پائیں گے، پڑھتے رہئیے اور تجویز کرتے رہئیے، اللہ نگہبان…..
৪০ এর দশকের বম্বের সিনেমাপাড়ার একটা চিত্র উঠে আসে। সিনেমার সাথে সম্পর্কিত কিছু মানুষের সাথে মান্টোর স্মৃতির চারণ। সেখানে কারও চরিত্রে আলগা রঙ চড়ানো নেই, বা নাহক ভালো করে তোলার প্রয়াস নেই, বইয়ের নামেই সেটা পরিস্কার। সেমি-অটোবায়োগ্রাফি বলে মনে হয়েছে। চরিত্রগুলোর সাথে মান্টোকেও আরেকটু জানা হয়ে যায়। বিভিন্ন পত্রিকার জন্য লেখা দেখে হয়তো উনি আরো বেশি অথবা বিস্তারে লিখেন নি। সাথে বইয়ের সম্পাদনাতে কালের পরিক্রমা ঠিক রেখে লেখা সাজানো যেতে পারতো হয়তো। বেশ কিছু চরিত্র নিয়ে একটু গোলমাল লেগে গেছিলো কারণ তারা কিছু একাধিক লেখায় এসেছে। সময় পরিক্রমা মাথায় থাকলে বুঝতে সুবিধা হতো। বেশ উপভোগ করে��ি বম্বের জাকজমকপূর্ণ জগৎটার কিছু রঙিন চরিত্রকে মান্টোর সাথে তার দৃষ্টিতে দেখতে
Manto writes this piece after facing backlash for his previous work "Thanda Gosht". Here we read his musings and learn of his disappointments. Manto tells us that he doesn't write to offend, in fact he tries his best to forgo writing and find different means of sustenance.
Manto name drops several literary figures of the time, most I couldn't pick up since I'm not an avid Urdu Lit reader. Manto expresses confusion and disappointment to the feedback he receives on his writings from fellow writers and calls out their hypocrisy.